Love With Dragon part -16

#Love_With_Dragon
#Episode_16(২য়_খন্ড)
[✖️গল্পটি কাল্পনিক দয়া করে কেউ বাস্তব এর সাথে তুলনা করবেন না✖️]

ড্রাগনটি আর কেউ নয় রোহিত ছিল।রোহিত অধরাকে বুকের সাথে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।

— আর একটু আগে আসলে অধরার(রিদিয়া) বাবাকে বাঁচানো যেত।(রোহিত)

রোহিত অধরাকে তার বাড়িতে নিয়ে আসল।
অধরাকে খাটে শুইয়ে দিয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে সেখান থেকে চলে যায়।
____________________

রাত একটা বিশ মিনিটে অধরার জ্ঞান ফিরে আসে।অধরা ধীরে ধীরে চোখ খুললো। ধীরে ধীরে শোয়া থেকে ওঠে বসলো।

— অধরা তুই ঠিক আছিস তোহ্।

অধরা পাশে তাকাতেই দেখে মেঘলা দাঁড়িয়ে আছে।

— মেঘলা আপু আমি এখানে কি করে আসলাম আমার বাবা……বাবা কোথায় বলেই অধরা উওেজিত হয়ে পরলো।(অধরা)

মেঘলা অধরাকে জড়িয়ে ধরে বলে,,,,,

— শান্ত হ অধরা তোর বাবা আর নেই তুই ভালো করেই জানিস।একজন লোক তোর বাবার রক্তাক্ত মৃতদের নিয়ে এসেছে বাড়িতে। তিন ঘন্টা আগেই তোর বাবাকে বাড়ির সামনে দাফন করা হয়েছে। তুই অজ্ঞান ছিলি তাই প্রতিবেশী সবাই বলল,,
লাশ বেশিক্ষণ থাকলে সমস্যা হবে ওনারা আর দেরি করেনি।(মেঘলা)

— আমাকে একবার দেখতে দেওয়া হয়নি কেন মেঘলা আপু।(অধরা)

বলেই অধরা রুম থেকে দৌঁড়ে বাবার কবরের সামনে বসে হাউমাউ করে কান্না শুরু করে।

আড়াল থেকে রোহিত দাঁড়িয়ে সবটা দেখছে। অধরাকে এভাবে কান্না করতে দেখে রোহিতের বুকটা ফেটে যাচ্ছে। রোহিতের মনে হচ্ছে কেউ তার কলিজায় আঘাত করছে।
মেঘলা অনেক কষ্টে অধরাকে বাড়ির ভিতর নিয়ে গেল।সারারাত অধরা কান্না করতে করতে শেষ রাতে এসে ঘুমিয়ে পরলো।

মেঘলা অধরার পাশে বসে আছে।আড়াল থেকে রোহিত অধরাকে দেখছে।অধরা ঘুমিয়ে পরতেই রোহিত অধরার পাশে এসে বসল।

— স্যার রিদিয়া(অধরা) ঘুমিয়ে পরেছে। আমি বাহিরে আছি আপনি রিদিয়ার পাশে থাকেন।(মেঘলা)

— ঠিক আছে যাও।(রোহিত)

রোহিত ঘুমন্ত অধরার কপালে অধর চুইয়ে দিলো।

— আমার শ্যামবতী…😢।
আমার জন্যই তুমি এত কষ্ট পাচ্ছ।আমি যদি ঠিক সময়ে আসতাম তাহলে এমনটা হতো না।(রোহিত)

রোহিতের চোখের পানি অধরার মুখে পরলো।অধরা নড়েচড়ে ওঠে আবার ঘুমিয়ে পরে।
রোহিত অধরার মাথায় হাত রেখে মনে মনে একটা স্পেল পড়লো। ধীরে ধীরে অধরা চোখ খুললো। অধরা অপলক তাকিয়ে আছে রোহিতের দিকে।রোহিত অধরাকে বাহিরে নিয়ে গেল।

রোহিত ড্রাগনের রূপে আসল। ইশারায় রোহিত অধরাকে তার পিঠে বসতে বললো।
( রোহিত ম্যাজিক করে অধরাকে নিজের আয়ত্তে নিয়ে এসেছে কিছুসময়ের জন্য। অধরার মন ভালো করার জন্য রোহিত এমনটা করেছে।মূলত, অধরার হাসিমুখ দেখার জন্য)
অধরা হাসি দিয়ে রোহিতের পিঠে ওঠে বসলো। অধরার মুখে হাসি দেখে রোহিতের মনটা ভালো হয়ে গেল।রোহিত আকালে উড়াল দিল অধরাকে নিয়ে।অধরা ভয়ে চোখ বন্ধ করে পেললো।অধরাকে চোখ বন্ধ করতে দেখে রোহিত বলে,,,

— শ্যামবতী ভয় পেও না।আমায় শক্ত করো জড়িয়ে ধরে রাখ তাহলে সব ভয় চলে যাবে তোমার।(রোহিত)

— ওহ মাই কিউট ড্রাগন আরো ওপরে ওঠো…. (অধরা)

অধরার কথা শুনে রোহিতের অধরার প্রথম জন্মের কথা মনে পরে যায়।রিদিয়া রোহিতকে কিউট ড্রাগন বলে ডাকতো।
____________________

মেঘলা নিচে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সব দেখছে।

— সত্যি ভালোবাসা সুন্দর। রোহিত স্যার রিদিয়ার জন্য এতবছর ধরে অপেক্ষা করেছিল। অবশেষে স্যারের আশা পূর্ণ হলো।আর আমরা ও আমাদের বান্ধবী পেয়ে গেলাম।(মেঘলা)

মেঘলা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এসব ভাবছে।পিছনে থেকে মেঘলাকে কেউ জড়িয়ে ধরতেই মেঘলা রেগে গেল।

— যখন তখন আমায় জড়িয়ে ধরবি না আকাশ আমার এইসবে বিরক্ত লাগে।(মেঘলা)

— আমার ভাম্পায়ার রানী বুঝি আমার ওপর রেগে আছে।(আকাশ)

মেঘলা কিছু না বলে আকাশের দিকে ফিরে আকাশের হাতে দাঁত বসিয়ে দিয়ে হালকা রক্ত শুষে নেয়।

— আমার রানীটা দেখি আজ খুব রেগে আছে।(আকাশ)

— তোকে কি এখন আসতে বলা হয়েছে….. (মেঘলা)

— রাজ্যে একটা কাজে ফেঁসে গেছিলাম…. (আকাশ)

— নিশ্চয়ই কোনো মেয়ের সাথে ফেঁসেছিস। আমি তোকে ভালো করে চিনি তুই…..(মেঘলা)

আর কিছু বলতে যাবে তার আগেই আকাশ মেঘলার ঠোঁটে ঠোঁট ছোঁয়ায়।
আকাশের কাজে মেঘলা থমকে যায়।আকাশকে ধাক্কা মেরে সেখান থেকে চলে যায়।
_______________________

— শ্যামবতী কেমন লাগছে তোমার…..(রোহিত)

— অসম্ভব ভালো লাগছে মাই কিউট ড্রাগন…… তোমায় এওগুলো ভালোবাসি আমি।(অধরা)

রোহিত মুচকি হাসল অধরার কথায়।স্বভাব আগের মতোই আছে।আগে মনস্টার ভয় পেত না কিন্তু এখন মনস্টার অনেক ভয় পায় রিদিয়া(অধরা)।

রোহিত অধরাকে নিয়ে নিচে নেমে মনুষ্য রূপে আসল। অধরাকে কোলে তুলে নিয়ে খাটের ওপর শুইয়ে দিলো। রোহিত আবারও অধরার মাথায় হাত রেখে একটা স্পেল পড়ল।সাথে সাথে অধরা ঘুমিয়ে পরলো।রোহিত মনে মনে মেঘলাকে স্মরণ করলো।

— স্যার আমি এইখানে…..(মেঘলা)

— গুড রিদিয়াকে চোখে চোখে রাখবে।আর একটা কথা ভুলে ওকে রিদিয়া বলে ডাকবে না তাহলে সমস্যা বেড়ে যাবে।আমি চলে যাচ্ছি আমার শ্যামবতীর খেয়াল রেখো।(রোহিত)

— জ্বি স্যার।(মেঘলা)
_______________________

— এই স্পর্শিয়া উঠো।আকাশ,নীল,অনিমা এসেছে।(আদর)

— ডিস্টার্ব করো না আদর সারারাত ঘুমাতে দেওনি এখন আবার আমায় জ্বালাচ্ছো কেন……(স্পর্শিয়া)

স্পর্শিয়ার কথা শুনে সবাই কাশতে শুরু করলো। এতগুলো মানুষের কাশির শব্দ শুনে স্পর্শিয়া হুর মুর করে শোয়া থেকে ওঠে বসলো।

— তোরা কখন আসলি….(স্পর্শিয়া)

— কিরে আদর আমাদের স্পর্শিয়াকে তুই অনেক জ্বালাস তাই না তবে রে শালা,,,,,,,,(নীল)
বলেই নীল আদরকে সুরসুরি দিতে লাগল।আদর হাসতে শুরু করলো।

— ছাড় ভাই না হলে হিসু করে দিব।(আদর)

— তোমার মুখে কিছুই আঁটকায় না।যখন মুখে যা আসে তাই বলে দেও সবার সামনে…. (স্পর্শিয়া)

— আমি না তুমি বলেছ।তুমি একটু আগে বলনি সারারাত নাকি তোমায় আমি ঘুমাতে দেই না।(আদর)

আদরের কথায় লজ্জায় স্পর্শিয়ার গাল দুটো লাল হয়ে গেল।স্পর্শিয়া দৌঁড়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।

— স্পর্শিয়া পালাচ্ছিস কোথায়……(অনিমা)

— আদর তুই ও না এসেছি আড্ডা দিতে সবকিছুর রারোটা বাজিয়ে দিলি।এখন তোর বউ আর আমাদের মুখ ও দেখাবে না।(আকাশ)
বলেই সবাই মিলে আদর বেচারকে মারতে থাকে।বেচারা আদর কোনোরকমে পালিয়ে গেল।

চলবে……..
#লেখনীতে__ফিহা
[❌কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ❌]
_____________________

[বানানে ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন]

[প্রিয় পাঠক-পাঠিকাগণ গল্প পড়ে লাইক – কমেন্ট করে যাবেন। প্রথম খন্ডের অজানা সবকিছু ধীরে ধীরে দ্বিতীয় খন্ডে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনাদের।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here