#প্রমত্ত_অঙ্গনা
#লেখিকা_আরোহী_নুর
(৪৮)
রিদিকা শুয়ে আছে হাসপাতালের বিছানায়,ভিতর জাগ্রত হলেও সারাদিন অচেতনের মতো পরে থাকতে হয় তাকে, মুখ ফোটে চাহিদাটাও বলার সক্ষমতা নেই তার,প্রতিশোধ নেওয়া তো দূর এমন জীবন নিয়ে বেঁচে থাকাও এবার দূরুহ হয়ে পরেছে,চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করলে তাও পারে না,চাইলে পালাতেও পারবে না,না তো নিজেকে শেষ করে দিতে পারবে তবে এমন জীবন মৃত্যু থেকেও ভয়াবহ রিদিকার জন্য।অসহায়ের মতো পরে থাকা ছাড়া আর কিছু করার নেই তার।
সাত সকালে চোখ খুলেই হঠাৎ আঁখিকে সামনে দাঁড়ানো দেখে ভিতর থেকে ঘাবড়ে উঠে রিদিকা,রাগে গা জ্বলে যাচ্ছে তার কিন্তু কিছু করতে পারছে না, সকল ক্ষোভ যেন তার চোখ দিয়ে বেড়িয়ে আসছে,মুহুর্তেই চোখগুলো রক্তিম বর্ণ ধারণ করে গেছে।এদিকে আঁখি হাসতে হাসতে বলল।
″ইশ সুইটহার্ট তোর এমন হাল দেখে সত্যিই আমার বুক ফেঁটে যাচ্ছে,প্রাণের বান্ধবীকে না দেখে থাকতে পারলাম না তাই দেখতে চলে এলাম,ভালো আছিস তো?আমি তোকে সত্যিই নিজের অনেক আপন একজন মনে করতাম রিদিকা,নিজের বোনের জায়গায় বসিয়েছিলাম তোকে কিন্তু জানতাম না স্বার্থপর কারো আপন হয় না।তবে তুই কেমনে ভুলে গেলি রিদিকা আমার বিষয়ে,আমার সাথে লাগতে আসার আগে কি একবারও তোর মন কাঁপে নি,কিভাবে ভুলতে পারলি আমি আঁখি সবকিছু জ্বালিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখি,দেখলি তো কি হাল হলো অবশেষে।তা চলি ভালো থাকিস,কেমন।″
আঁখি চলে গেল।অসহায়ত্বে রিদিকার চোখ বেয়ে গড়িয়ে পরল জল।
কক্ষের বারান্দার প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে আঁখি,আজ মনে নেই কোনো গ্লানি।তিক্ত অনুভুতি সব চাঁপা পরেছে আদৃতের অসীম ভালোবাসার নিচে।তবুও মনে অল্প খারাপলাগা বিরাজমান তার।
সুখপাখির মন খারাপের ভাবটা যেন তার প্রেমিক পুরুষ বুঝে যেতে পারল অল্পতে,এসে পাশে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করল।
″কি হয়েছে?″
″জানেন আপনি,কখনও আমি নিজে জেনেশুনে কোনো অন্যায় করি নি।আমি আদ্রিশের জন্য হয়ত বাবা– মাম্মাম বা পরিবার কখনই ছাড়তাম না,সেটা আমার জীবনের একটা বড় অন্যায় ছিল যা আমি জেনেশুনেই করেছি।কিন্তু আমার তখন তা ন্যায় মনে হয়েছে,কারণ বাবা কখনও আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে যান নি,যা আমার জন্য খারাপ মনে হতো উনার তা উনি আমায় বুঝিয়ে বলতেন,বন্ধুর মতো পাশে থাকতেন সবসময়, জানো সেদিন যদি আদ্রিশের জায়গায় কোনো গরীব ছেলেকেও বাবার সামনে নিয়ে যেতাম তাহলে হয়ত বাবা রাগ করতেন কিন্তু বাবা এমন প্রতিক্রিয়া করতেন না যতটা আদ্রিশকে দেখে করেছিলেন।আদ্রিশের দাদু আমার বাবার ফুপুর স্বামী ছিলেন।উনি উনার প্রথম স্ত্রী ছিলেন,আদ্রিশের দাদু আমার বাবার ফুপু মানে আমার দাদুর উপর অনেক অত্যাচার করেন দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য,অতঃপর দাদু সুইসাইড করেন,সেজন্যই বাবা আদ্রিশের সাথে আমার বিষয় মানছিলেন না,আর আমার কাছে তখন উক্ত দিক অন্যায় বলে মনে হয়েছে,কারণ ওর দাদু এমনটা করেছেন বলে তো জরুরি ছিল না যে ও নিজেও এমনটা করবে,তাছাড়া আমি আদ্রিশকে অনেক ভালোবাসতাম,তাই ওর হাত ধরি,ভেবেছিলাম বাবাকে উক্ত বিষয় মানিয়ে নিব,যখন বাবা দেখবেন আমরা সুখে আছি তখন বুঝতে পারবেন এমনটা সকল ক্ষেত্রে হওয়া জরুরি না,কিন্তু অবশেষে বুঝতে পারলাম আমিই সেদিন অন্যায় করেছিলাম।জানিনা বংশের ছাঁপ ব্যক্তিত্বে থেকে যায় কি না কিন্তু এতটুকু বুঝতে পারলাম কখনও বাবা মায়ের বিরুদ্ধে যেতে নেই,যতই যা হয়ে যাক উনাদের মানানোর চেষ্টা করা উচিৎ কিন্তু বিরুদ্ধে যাওয়া উচিত না,বাবা মাম্মাম আমাকে ক্ষমা করে দিলেও আমি নিজেকে ক্ষমা করতে পারি না।″
″এসব বংশের ছাঁপ বলতে কিছু হয় না আঁখি,সবই মানুষের ব্যক্তিত্বে থাকে,শরীর ও মনে যদি নিজের আয়ত্ব না থাকে তবে নিজেকে প্রকৃত মানুষ বলে দাবী করা যায় না,এতে কারো বংশের কোনো দোষ হতে পারে না,আর মানুষ মাত্রই তো ভুল আঁখি,তুমিও ভুল করেছে,কিন্তু সে প্রকৃত মানুষ যে ভুল শুধরে নেওয়ার ক্ষমতা রাখে।আর তুমি তা করে দেখিয়েছ।
হয়েছে এবার আর মুখ গুমরো করে রেখো না,তোমাকে একদম ভালো দেখায় না এভাবে।তা আজ মন চাইছে না?
″কি?″
″এই যে বৃষ্টি নেমেছে, আর আমার ময়ূরটা ঘরে বসে নিরাশ হচ্ছে।″
″ময়ূর তো চলল,কুনোব্যাঙ আপনি ঘরের কোণেই থাকেন।″
″কি আমি কোনোব্যাঙ,দাঁড়াও আসছি।″
আঁখি হেসে ছাঁদের দিকে ছুটে গেলে আদৃতও পিছন গেল ছুটে।
রাত তখন প্রায় ১ টা,আশপাশটা নিরব,শুধুই চারিদিকে বৃষ্টির কলকাকলি শোনা যাচ্ছে, মনের আনন্দে ভিজে যাচ্ছে আঁখি,আদৃত বিমোহিত হয়ে দেখছে তাকে বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে।
″এই যে মি.কুনোব্যাঙ বৃষ্টির আনন্দ নিতে না চাইলে বাইরে আসলেন কেনো?″
″এই ময়ূরটাকে দেখব বলে।″
″লজ্জা করে না এভাবে দাঁড়িয়ে একটা মেয়েকে বৃষ্টিতে ভিজতে দেখতে?″
″কেন করবে?মেয়েটা তো আমার নিজেরই বউ।″
″বউ বলে কি সব অধিকার পেয়ে গেলেন?″
আদৃত এবার আঁখির দিকে এগিয়ে গিয়ে তার কোমরের পিছনে হাত রেখে তাকে টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে নিল,আঁখিকে একদম নিজের মুখোমুখি নিয়ে এলো।নেশাভরা স্বরে বলা শুরু করল।
″বিয়ে করার মানেই তো সব অধিকার পেয়ে যাওয়া,কেন তুমি কি কোনো অধিকার থেকে বঞ্চিত করবে আমায়?″
″ঠান্ডা শীতল পরিবেশটায় আদৃতের উষ্ণ নিশ্বাস উপচে পরছে আঁখির চেহারায়,যা একপ্রকার পাগল করে তুলেছে আঁখিকে।হুটহাট আদৃতের এমন পাশে আসা বয়ে আনছে তার জন্য একরাশ লজ্জা,তাই চোখ নামিয়ে নিয়ে লজ্জামিশ্রিত স্বরে উত্তর দিলো।″
″বিয়ের ক্ষণেই নিজেকে আপনার নামে লিখে দিয়েছি,আমার উপর সকল অধিকার যে এখন শুধু আপনারই।″
″তবে তাই?″
আদৃত ঠোঁট কামড়ে বাঁকা হাসি দিলো,আঁখি চোখ নিচু করে লজ্জাময় হাসি অটল রেখে আছে।এবার আদৃত আঁখির থুতনিতে একহাত দিয়ে তার মুখ উঁচু করে ধরল,আঁখি বুঝতে পারল আদৃত কি করতে চাইছে তাই নিজের চোখ বন্ধ করে নিল,আদৃতও নিজের চোখ বন্ধ করে নিল,অতঃপর অধরে অধরে মিলিয়ে দিল।অল্পক্ষণ পর আঁখিকে ছেড়ে দিল আদৃত,অতি লজ্জায় আঁখি আদৃতের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে ছুটে যেতে নিলে আদৃত তার আঁচল পাকড়াও করল।
″কোথায় যাচ্ছ লজ্জাবতী,পালাবে কোথায় আমার থেকে।″
আঁখি কিছুই বলছে না,শুধু জায়গায় দাঁড়িয়ে ঘন নিশ্বাস ফেলছে,আদৃত এবার পিছন থেকে এসে আঁখির চুলগুলো একপাশ করে আঁখির ঘাড়ে একটা গভীর চুমু দিয়ে বসল,যাতে আঁখি শিহরণে পিছন ফিরেই জরিয়ে ধরে তাকে।আদৃত আবারও মুচকি হাসি দেয়,অতঃপর আঁখিকে পাজকোলে নিয়ে কক্ষের পানে হাঁটতে শুরু করে।
শায়েলা মির্জা বিছানার একপাশ হয়ে শুয়ে আছেন,অপরপাশে আরিয়ান মির্জা, শত চেষ্টার পরও শায়েলা মির্জা কথা বলেন না আরিয়ান মির্জার সাথে।এক কক্ষে থাকেন এটাই উনার জন্য বড় পাওনা এই কয়েকদিন ধরে।তবুও চেষ্টায় কমতি নেই উনার।
″এই যে আদৃতের মা কথা বলবে না,বললাম তো আর হবে না এমনটা,শেষবারের জন্য ক্ষমা করো।তুমি কথা না বলে থাকলে আমার দিন ভালো যায় না জানো তো।″
″এতো রাতে প্যাকপ্যাক করো না তো,ঘুমোয়।″
″বুঝেছি আঁখির আইডিয়া এবার কাজে লাগাতেই হবে।″
″ও মা গো,আহ,বুকে বড্ড ব্যাথা হচ্ছে আমার,শায়েলা বাঁচাও আমায়।″
″আরে আরে কি হয়েছে আরিয়ান তোমার?হঠাৎ বুকে ব্যাথা করছে কেন?দাঁড়াও আমি সবাইকে ডাকছি,আদৃত… ″
″আরে কি করছ তুমি?নবদম্পতি ওরা,রাত ১ টা সময় ডাকতে যাচ্ছ ওদের!বুঝো না কিছু?″
″কিন্তু তোমার যে শরীর খারাপ করেছে।″
″আরে ও তেমন কিছু না,তোমার কথা না বলার দরুন অসুস্থ হয়েছি আমি,তুমি কথা বললে আর তোমার হাতে বুকের মধ্যে হালকা মালিশ পেলে সব ঠিক হয়ে যাবে।তুমি ছাড়া যে আমার বাঁচা মুশকিল শায়েলা,ক্ষমা করে দাও।″
″কখনও এমন অলুক্ষুণে কথা বলবে না,তোমার কিছুই হবে না,এই তো আমি মালিশ করে দিচ্ছি, আর কথাও বলছি,তুমি শান্ত থাকো প্লিজ।″
শায়েলা মির্জা কাঁদতে কাঁদতে বললেন কথাগুলো,আরিয়ান মির্জা মুখ চেঁপে হাসি আটকানোর চেষ্টা করলেন।
″যাক অবশেষে লাইনে এসেছে,আঁখির বুদ্ধি আছে বলতে হবে।″
আঁখি আজও শাড়ি পরেছে,আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে তৈরি হচ্ছিল, আদৃত হুট করে এসে তাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে তার চুলে নাক ডুবিয়ে দিলো।
″রোমান্সের ভুঁ*ত মাথা থেকে নামান ডা.সাহেব,হাসপাতাল যেতে হবে।″
আদৃত এবার আঁখিকে নিজের দিকে ফিরিয়ে নে*শা*ময় স্বরে বলল।
″মনের ডাক্তারের কাছেই তো আছি,হাসপাতালে গিয়ে কি করব?″
কথাটা বলে আদৃত আঁখির অধরের পানে এগিয়ে যেতে নিলে আঁখি তার মুখ চেঁপে ধরল।
″হাসপাতালে গিয়ে অন্য রোগীদের চিকিৎসা করবেন,এখন চলুন।″
আঁখি আলতো ধাক্কায় আদৃতকে ছাড়িয়ে নিয়ে একপ্রকার ছুটে কক্ষের বাইরে চলে আসে।″
আঁখি আদৃত বসে আছে খাবার টেবিলে,কর্মচারীরা খাবার বেড়ে দিলেও শায়েলা মা আরিয়ান মির্জার আলাদা করে খেয়াল করছেন।আদৃত আঁখিকে মৃদু স্বরে বলল।
″এ কি আঁখি,বাবা মায়ের প্যাচ আপ হলো কি করে!″
″আঁখি আছে যেখানে সমস্যার সমাধান আছে সেখানে।″
″তুমি কি করলে এমন!″
″একটা আইডিয়া দিয়েছিলাম আঙেলকে,হয়ত কাজ হয়েছে।″
″তুমিও পারো বটে।″
নাস্তা শেষে দু’জন হাসপাতালের উদ্দেশ্য বেড়িয়ে গেল।
আজকে হাসপাতালে তেমন কাজ করতে দিলেন না আশরাফ খান আঁখি আদৃতকে,বরং দু’জনকে অর্ধেক দিনেই ছুটি দিয়ে দিলেন।আদৃত তো মহাখুশি।
″যাক কপাল করে একজন শ্বশুরমশাই পেয়েছি,একমাত্র মেয়ের জামাই এর মনের ডাক কিভাবে বুঝে গেলেন দেখো,ছুটি দিয়ে দিলেন,আজ সারাদিন রাত ঘুরব তোমায় নিয়ে।″
″হয়েছে এবার এতো খুশি না হয়ে গাড়ি ছাড়ুন।″
″এখনই ছাড়ছি ডা.সাহেবা।″
আদৃত গাড়ি ছেড়ে দিয়ে হাসপাতালের গেটের বাইরের রাস্তায় উঠার আগেই কোথা থেকে আদ্রিশ তাদের গাড়ির সামনে চলে এলো।আদৃত সহসা ব্রেক কষল।দু’জনই বেশ বিরক্ত হয়ে গাড়ি থেকে নেমে গেল।
″কী হয়েছে আদ্রিশ?বুদ্ধি বিলুপ্ত হয়েছে তোমার!এখনই কি ঘটে যেত ভাবতে পারছ?″
″যা হওয়ার তো হয়ে গেছে আঁখি আর কি হবে?শুধু শেষবার তোমাকে দেখতে এসেছিলাম,জানি আর কখনও ফিরে আসবে না তবে আজ মন রাখার জন্য একবার হলেও বলো না ক্ষমা করে দিয়েছ,শান্তিতে মরতে তো পারব।″
″কী বলছ এসব আদ্রিশ!″
আঁখির জবাবে আদ্রিশ কিছু বলল না বরং রহস্যময়ী হাসি দিয়ে পিছু হাঁটতে লাগল,অপর পাশ থেকে দ্রুত গতিতে একটা গাড়ি আসতে দেখল আঁখি,কিন্তু কিছু বলে বা করে উঠার আগেই আদ্রিশ চলে গেল সে গাড়িটার সামনে,মুহুর্তেই আদ্রিশ গাড়ির প্রবল ধাক্কায় উড়ে গিয়ে বেশ দূরে ছিটকে পরল।আঁখি আদৃত ছুটে গেল আদ্রিশের কাছে,আদ্রিশ আঁখির হাত ধরে খুব কষ্ট করে মুখে কথা ফোটালো।
″আঁখি,মানুষ এমন অবস্থায় কখনও মিথ্যে বলবে না,আমি সত্যিই তোমাকে অনেক ভালোবাসি আঁখি।″
আদ্রিশ জ্ঞান হারিয়ে গেল।
প্রায় ১ ঘন্টা পেরিয়ে গেছে আঁখি আদৃত এখনও বেড়োয় নি অপারেশন থিয়েটার থেকে।আদ্রিশের অপারেশন চলছে।বাইরে আঁখি আদ্রিশের পরিবার দাঁড়িয়ে আছে।অনেক সময় পর আঁখি আদৃত বেড়িয়ে এলো,সবাই উৎসুখ হয়ে এগিয়ে গেল তাদের দিকে,জাহানারা রাহমান কাঁদতে কাঁদতে জিজ্ঞেস করলেন।
″আমার ছেলে ঠিক আছে তো?″
আঁখি আদৃত একে ওপরের দিকে তাকালো তারপর বিষন্নতার সহিত আঁখি বলল।
″হ্যাঁ বর্তমানে ও বিপদমুক্ত তবে ওর এক পা একদম ভেঙে গেছে,কখনও তা ভালো হওয়ার সম্ভাবনা নেই,শরীরের বাকি অনেক অংশেই যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি রয়েছে তবে তা সেরে যাবে আস্তে-ধীরে।″
″শুভ্রতা আপু তুমি আমার সাথে আসো″
কথাগুলো বলে চলে গেল আঁখি তার কেবিনের দিকে।
শুভ্রতা ওর পিছন গেল।
″কি হয়েছে আঁখি?″
″আপু জানিনা বিষয়টা মা আর ভাইয়া মেনে নিতে পারবে কি না তাই সবার সামনে বলতে পারি নি,আর বিষয়টা সবার সামনে বলার মতোও না।ডাক্তার হিসেবে রোগীর পরিবারের একজনকে হলেও কথাটা আমায় জানাতে হবে তাই ডেকেছি তোমায়।″
″কি হয়েছে বলো?″
″আদ্রিশ শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে গেছে।মানে ও আর কখনও শারীরিক সম্পর্ক করতে পারবে না,ওকে বাঁচানো গেছে এটাই বড়।″
চলবে…