#প্রণয়ের_সূচনা
#লেখিকা_Nazia_Shifa
#পর্ব_০৬
__________________________
সূচনার দিকে অবাক চিত্তে তাকিয়ে আছেন মিসেস দিশা আর আরহাম সাহেব।সূচনা শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তাদের দিকে।গলা খাঁকারি দিয়ে আরহাম সাহেব জিজ্ঞেস করলেন-
–‘তুমি যা বলছো তাই কি তোমার শেষ সিদ্ধান্ত?
–‘হ্যা আব্বু।
–‘কিন্তু তারা আমাদের কথা কেন মানবে?প্রণয় তাদের একমাত্র ছেলে। আর একমাত্র ছেলের বিয়ে তে তারা কোনো আয়োজন করবে না তা কি করে হয়।
–‘আমি জানিনা আব্বু।কিন্তু আমি চাইনা যে আমার বিয়েতে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান হোক।যদি রাজি থাকো তাহলে আমিও বিয়েতে রাজি না হয় আমি বিয়ে করবোনা।
মিসেস দিশা মনে মনে ভাবতে লাগলেন-সে জানে তার মেয়ে ভিড়ভাট্টা, লোক সমাগম এত পছন্দ করে না, এড়িয়ে চলে কিন্তু তাই বলে নিজের বিয়েতে কিছু করতে দিবেনা?এটা কেমন কথা,,আশ্চর্য!
তার ভাবনার মাঝে আরহাম সাহেব এর কণ্ঠ –
–‘তুমি রুমে যাও।আমি দেখছি।
–‘জ্বি।
সোফা থেকে উঠে রুমের উদ্দেশ্যে পা বাড়ালো সে।রুমে এসে ধপ করে বিছানায় শুয়ে পরলো।একা একা আর ভালো লাগছেনা।মিহুটা ও চলে গেছে সকালে।ছোটবেলা থেকে একা একা বড় হয়েছে সে। নিজের কোনো ভাই-বোন নেই।তার বাবার ও আর কোনো ভাই ও নেই।বাবা-মা গত হয়েছেন অনেক আগেই।দু’টো বোন আছে,তাদের মধ্যে একজন ফ্যামিলি নিয়ে ইতালি তে থাকেন।তার এক ছেলে এক মেয়ে।তারা হয়তো ঠিক মতো সূচনাকে চেনেওনা।আর এক ফুপ্পি উনি থাকেন উত্তরাতে। উনি যা ও একটু আসেন সময় পেলে।কিন্তু তাকে খুব বেশি একটা পছন্দ না তার।কারণ তার কথা বলার ধরন,একটু অন্য রকম।কথা দিয়েই খুব সহজে মানুষের অনুভূতিতে আ’ঘাত দিতে পারেন।তার দুই ছেলে এক মেয়ে।রিশা,ইরাদ,আর নিহাদ।নিহাদ বিয়ে করেছে চারবছর এর বেশি হবে।তাদের একটা মেয়েও আছে।হৃদুকা।মেয়েটা বড্ড ভালোবাসে তাকে।বেশ ভাব তার সূচনার সাথে। কিন্তু সূচনা তার ফুপ্পি মিসেস আফরোজার কারণে তাদের বাসায় যায়না, যার দরুন দেখাও হয় না। তবে মাঝেমধ্যে ভিডিওকলে কথা হয়।
ইরাদ এবার অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছে।আর রিশা সবে এস.এস.সি পরীক্ষার্থী।সূচনার আম্মু তার বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে।ভাই আছে দুইটা।তার বড় মামার দুই ছেলে আর ছোট মামার এক ছেলে এক মেয়ে।কিন্তু তারা সবাই থাকে দূরে দূরে।সব মিলিয়ে সে এ’কাই।ভাবতে ভাবতেই মন আরও খা’রাপ হয়ে গেলো সূচনার।শোয়া থেকে উঠে বসলো সূচনা।প্রণয়ের সাথে দেখা করতে হবে। তার বাবা যা বলবে বলুক তার একান্তে কথা বলাটা জরুরি।কিন্তু কিভাবে বলবে দেখা করার কথা?তার কাছে তো প্রণয়ের নাম্বার টা ও নেই।হঠাৎ খেয়াল হলো তার মায়ের কাছেই তো আছে কিন্তু সোজা যেয়ে তো তাকে বলা যায় না-
–‘আম্মু ওনার নাম্বারটা দাও।
এখন কি করবে তাহলে?একটাই পথ আছে। বিছানা থেকে উঠে কাবার্ড থেকে জামাকাপড় নিয়ে সোজা ওয়াশরুমে ঢু’কলো।শাওয়ার নিয়ে,নিজেকে পরিপাটি করে বেরুলো রুম থেকে। রান্নাঘরের সামনে ঘুরঘুর করছে সে।তা দেখে মিসেস দিশা বললেন-
–‘এভাবে ঘুরঘুর করছিস কেন?কিছু লাগবে?
–‘এম্নিতেই। কিছু লাগবেনা।
রান্নাঘর থেকে ড্রয়িং রুমে এসে বসলো। মিনিট বিশেক বাদ আবার রান্নাঘরে যেতে দেখলো মিসেস দিশা নেই।তার রুমের দিকে পা বাড়ালো।পা টিপে টিপে রুমে প্রবেশ করলো কিন্তু রুমে নেই। ওয়াশরুম থেকে পানির শব্দ পেয়ে বুঝতে পারলো যে শাওয়ার নিতে গিয়েছে।বেড সাইড টেবিল থেকে ওনার ফোন নিয়ে কল লিস্টে ঢু’কতেই দেখা গেল প্রণয় দিয়ে সেভ করা একটা নাম্বার। তাড়াতাড়ি নিজের ফোনে টু’কে,ফোন রেখে বেড়িয়ে এলো রুম থেকে।নিজের রুমে এসে বারান্দায় যেয়ে ফোন নিয়ে বসলো কাউচে।নাম্বার তো নিয়ে নিয়েছে কিন্তু ফোন করবে?কি বলবে?কি দিয়ে শুরু করবে?দুরুদুরু বু’কে নাম্বারে ডায়াল করলো আবার সাথে সাথে ই কে’টে দিল।আবার ডায়াল করে আবারো একই কাহিনি।অতঃপর নিজেকে ধাতস্থ করলো।বললো-
–‘সে কি বাঘ না ভাল্লুক যে এত ভয় পাচ্ছি? কল দিব,বলবো কথা আছে দেখা করেন শেষ কাহিনি।হুহ!
এবার ডায়াল করল কিন্তু আর কা’টলো না।দুবার রিং হতেই রিসিভ করা হলো।ওপাশ থেকে শীতল কণ্ঠে কেউ বললো-
–‘আসসালামু আলাইকুম। কে বলছেন?
সূচনা নিচু স্বরে বললো-
–‘ ওয়া আলাইকুমুস সালাম।আমি সূচনা।
ওপাশ থেকে প্রণয়ের তরফ হতে কোনো আওয়াজ পাওয়া গেল না।সূচনা ও চুপ রইলো।হঠাৎ ই প্রণয় বলে উঠলো-
–‘তুমি আমার নাম্বার চু’রি করেছ মিস.রঙ্গন?
সূচনা ভ্রুকুটি করে জিজ্ঞেস করলো-
–‘রঙ্গন কে?
–‘কেন তুমি।যাক সেসব আমার নাম্বার চু’রি করে তারপর ফোন দিলে।ইম্পর্ট্যান্ট কিছু বলার আছে?
–‘জ্বি।আমার কথা আছে আপনার সাথে। দেখা করতে পারবেন?
–‘আজকে?
–‘জ্বি।
–‘আজকে অফিস থেকে বের হতে দেরি হবে আমার। প্রায় সন্ধ্যা হয়ে যাবে।
–‘ওহ।তাহলে কালকে?
–‘ঠিক আছে।
–‘আচ্ছা। এজন্য ই কল করেছিলাম। বিরক্ত করার জন্য দুঃখীত।
জবাবে প্রণয়কে কিছু বলতে না দিয়েই ফোন রেখে দিল সূচনা।
ফোন রেখে বারান্দায় বসে রইলো চুপচাপ।মনে মনে আওড়ালো -মিস.রঙ্গন।বলে নিজেই হেসে ফেললো।
–‘একা একা হাসছিস কেন?
মিসেস দিশার কণ্ঠে হাসি থেমে গেল সূচনার।থতমত গেয়ে বললো-
–‘ক,,কই হা,,হাসছি।
–‘আমি তো দেখলাম।
–‘ভুল দেখেছো।
–‘হয়েছে মিথ্যা বলিস না এখন খেতে আয়।
–‘হুম চলো।
নিজের ব্যবহারে নিজেই অবাক হলো সূচনা।আসলেই সে হাসছিলো?প্রণয়ের সেই সম্বোধনে?
.
.
গালে হাত দিয়ে মনম’রা হয়ে ডাইনিং টেবিলে বসে আছে সূচনা।মাত্র সন্ধ্যা সাতটার মতো বাজে।এখনে সকাল হতে কত্ত সময় বাকি।কখন হবে সকাল, কখন দেখা হবে,কখন বলবে? ভাবনার সুতোয় টান পড়ল ফোনের আওয়াজে।প্রণয়ের নাম্বার।তড়িৎ গতিতে ফোন হাতে নিল সে।রিসিভ করতেই শোনা গেল প্রণয়ের কণ্ঠ-
–‘মিস রঙ্গন।
আবারো সেই অদ্ভুত সম্বোধনে থমকালো সূচনা।মন গহীনে জোগাড় হলো অদ্ভুত এক অনুভূতির।ওপাশ থেকে আবারে ডাক পড়লো –
–‘মিস রঙ্গন,,আমি আপনার বাসার সামনে, তাড়াতাড়ি আসুন।
চমকে গেল সূচনা।বাসার সামনে মানে? চমকিত স্বরে জিজ্ঞেস করলো-
–‘বাসার সামনে মানে?এখানে কেন এসেছেন?আর আমি আসবো কেন?
–‘ইম্পর্ট্যান্ট কথা বলবে না?
–‘হ্যা,,কালকে দেখা করবেন বলেছিলেন।তাহলে?
–‘আমি ভাবলাম অনেক ইম্পর্ট্যান্ট কিছু আর সেটা আজকেই বলতে চাইছ তাই আসলাম।
–‘আমি এখন আসতে পারবনা।আম্মু আসতে দিবেননা।
–‘আন্টিকে বলো প্রণয় এসেছে।
সূচনা আমতাআমতা করে বললো-
–‘আসলে,,আম্মুকে না জানিয়ে আপনার সাথে দেখা করতে আসতাম।তাই এখন বলতে পারবনা।
প্রণয় ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বললো-
–‘এত কিছু জানিনা।কাম ফাস্ট।আ’ম ওয়েটিং।
সূচনা আর কিছু বলার আগেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলো প্রণয়।সূচনা পড়লো ঝা’মেলায়। কি করবে?কিভাবে যাবে?না যেয়েও তো পারবেনা।মানুষটা তার জন্য এতক্ষণ অপেক্ষা করবে আর সে যাবেনা এতটাও পাষা’ণ হওয়া দায় তার।দুরুদুরু বু’কে মিসেস দিশার রুমে গেল সে।বিছানায় বসে ইসলামিক বই পড়ছিলেন।সূচনা যেয়ে নিচু স্বরে ডাক দিল-
–‘আম্মু?
মাথা তুকে সূচনার দিকে তাকালেন মিসেস দিশা। বললেন-
–‘বল।
–‘আম্মু আমি একটু বাইরে যাই?
মিসেস দিশা কপাল কুঁচকে জিজ্ঞেস করলেন –
–‘বাইরে যাবি মানে?সন্ধ্যার সময়ে এখন কোথায় যাবি?
–‘বাইরে মানে মেইন গেটেী ভিতরেই থাকব।ঘরে থাকতে দম বন্ধ লাগছে,,একটু হেটে আসি?কামাল চাচা তো আছেনই গেটে।যাই?
–‘ঠিক আছে কিন্তু বেশি সময় নিসনা। তাড়াতাড়ি আসিস।
–‘ঠিক আছে আম্মু।
মিসেস দিশার রুম থেকে বেরিয়ে দ্রুত পায়ে ছুটলো বাইরে।মেইন গেটের সামনেই একটা কালো রঙ এর গাড়ি,তার সাথে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আছে প্রণয়।সূচনা বিড়াল পায়ে এগিয়ে গেলো।নীল রঙের শার্টটা ঘামে ভিজে একাকার। লেপ্টে আছে শরীরের সাথে।কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম।আচ্ছা এখন তো এত গরম না তাহলে এত ক্লান্তি? আর এদিকে সূচনা,বেচারি হিমশীতল হাওয়ায় যেন জমে যাচ্ছে। মাথার ঘোমটা টা ভালো করে টেনে নিল সূচনা।প্রণয়ের চোখে চোখ পরতেই প্রণয় বললো-
–‘গাড়িতে বসে কথা বলতে আপত্তি আছে?
তার দিকে তাকিয়ে দুই দিকে মাথা নাড়লো সূচনা।অর্থাৎ সমস্যা নেই।
গাড়ির সিটে বসে হাত কচলাচ্ছে সূচনা।আর প্রণয় তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার দিকে।
–‘মিস রঙ্গন এভাবেই হাত কচলাতে থাকবে না কিছু বলবে?
–‘বলবো।
–‘তাহকে বলো
সূচনা ফা’কা ঢো’ক গিললো কয়েকটা।তারপর বললো-
–‘আমি বিয়েতে রাজি। তবে
–‘তবে?
–‘আমার শর্ত আছে একটা।
–‘কী শর্ত?
–‘আমি চাইনা আমাদের বিয়েতে কোনো অনুষ্ঠান করা হোক।এত জাঁকজমকপূর্ণ প্রদর্শনী চাইনা আমি।ছোটবেলা থেকেই আম্মুকে বলতাম যে যার সাথে আমার বিয়ে ঠিক হবে সে আসবে বিয়ে করে নিয়ে চলে যাবে।আম্মু ভাবত আমি মজা করতাম কিন্তু এটা সত্যি। আমি এমনটাই চাই।
–‘এতটুকুই?
–‘আরেকটা আছে তবে সেটা শর্ত নয় অনুরোধ।
–‘কি অনুরোধ?
সূচনা মাথা নিচু করে নিল।নত মস্তকেই বললো-
–‘আমি বিয়েতে রাজি তবে আমার সময় লাগবে,সবকিছু মানিয়ে নিতে, বুঝতে,নিজেকে বোঝাতে।সেই সময় কি পাব?
কিছু বললো না প্রণয়।সূচনা মাথা তুলে তাকালো তার দিকে।তাকে তাকাতে দেখে প্রণয় তখনই বললো-
–‘আপনি বাসায় যান।আন্টি টেনশন করবে।
প্রণয়ের কথা শুনে বু’ক ধ্বক করে উঠলো সূচনার।তার প্রশ্নের জবাব তো দিল না প্রণয়।তবে কি?কিছু না বলে গাড়ি থেকে বেড়িয়ে পড়লো সূচনা।পেছনে তাকালো না আর।বাসায় যেয়ে সোজা রুমে চলে গেল সে।
.
.
“হতে পারে রুপকথার এক দেশের
রাতের আকাশের এক ফালি চাঁদ
তোমার আমার চিরকাল।
তুমি আমি হাতে রেখে হাত
ছুঁয়ে দিয়ে আঙুলে আঙুল
দেখতে পারো কিছু আদুরে সকাল।
হতে পারে এ পথের শুরু
নিয়ে যাবে আমাদের অজানায়
তুমি আমি আমাদের পৃথিবী
সাজিয়ে নিবো ভালোবাসায়।
ভালোবাসি বলে দাও আমায়
বলে দাও হ্যাঁ সব কবুল
তুমি শুধু আমারই হবে
যদি করো মিষ্টি এই ভুল।”
–‘বাহ বাহ,আজকাল রোমান্টিক গান ও গাওয়া হচ্ছে। কাহিনি কি ভাইয়া?
ব্যালকনিতে দাড়িয়ে গান গাইছিল প্রণয় তার মাঝেই ইরার বলা কথা কানে আসায় গান থামিয়ে পেছনে ঘুরলো সে।ইরা আর তিথি দাড়িয়ে আছে। মুখে দাত কেলানি এক হাসি।গা জ্বালা’নো মতো।কপাল কুচকে
বিরক্তি মাখা কণ্ঠে প্রণয় বললো –
–‘তোদের জ্বালায় শান্তিতে গান ও গাওয়া যাবেনা।এখন বিরহের গান গাইলে বলবি ছে’কা খেয়েছি।
প্রণয়ের কথা শুনে তিথি বললো-
–‘কি যে বলো ভাইয়া সে কথা বলতে যাব কেন?আর ইরুপি কাহিনি কি হবে?তোমার কি মনে হয় যে ভাইয়ার দ্বারা প্রেম করা সম্ভব? মোটেও না।এসব প্রেম ট্রেম তাকে দ্বারা অসম্ভব আর প্রেম না হলে ছেকা খাওয়ার তো প্রশ্ন ই ওঠে না তাই না ভাইয়া?
প্রণয় ক্ষিপ্ত কণ্ঠে বললো –
–‘তবে রে তিথু বেশি পে’কে গেছিস দেখা যায়।দিনা আপুর আগে তোর বিয়েটা সেড়ে ফেলি কি বলিস।
তিথি আমতাআমতা করে বললো-
–‘আব,,ব ইরুপি আমি রুমে গেলাম ঘুম পেয়েছে আমার। তুমি আসো।
এক প্রকার ছুটে পালালো তিথি।প্রণয় ইরার উদ্দেশ্যে বললো –
–‘তুই যাবি নাকি তোকেও আলাদা ভাবে বলব কিছু।
ইরা ভেঙচিয়ে বললো –
–‘হুহ যাচ্ছি যাচ্ছি।
–‘শোন
–‘বল
–‘কালকের কথা মনে আছে না?ঠিক ঠাক মতো করিস সবকিছু।
–‘তুমি টেনশন করোনা।
–‘হুম।
ইরা চলে গেলে ব্যালকনির গ্রিলের দুপাশে হাত রেখে আকাশের দিকে দৃষ্টি রাখলো প্রণয়।বিড়বিড় করে বললো-
–‘সামথিং স্পেশাল ইজ ওয়েটিং ফর ইউ মিস.রঙ্গন।
.
.
অন্য দিকে সূচনাও বারান্দায় বসে আছে। দৃষ্টি তার ওই দূর আকাশে।মনে সহস্রাধিক প্রশ্ন। কি হবে?কি করবে সে?প্রণয় কি সিদ্ধান্ত নিবে?
#চলবে