#প্রণয়ের_সূচনা
#লেখিকা_Nazia_Shifa
#পর্ব_২৫
____________________________
মিসেস আফিয়া চলে গেছেন।ইরা এসেছিল সূচনাকে খায়িয়ে দিয়ে,কিয়ৎপরিমাণ কথাও হয়েছে তাদের।সে ফাকে প্রণয় ফ্রেশ হয়ে এসেছে।বর্তমানে সোফায় চোখ বন্ধ করে বসে আছে প্রণয়।আর সূচনা বিছানায় বসে তাকিয়ে আছে তার দিকে।চোখের সামনে এখনো ভাসছে মূহুর্তগুলো।অতীত পিছু ছাড়ে না তা জানে সূচনা,কিন্তু তার যে পুনরাবৃত্তি ও ঘটে তা অনুধাবন করল আজকে। তার সাথে খারা/প কিছু হয়নি।নিষাদের কথা মনে পড়তেই গা ঘিনঘি/ন করছে সূচনার।জ্ঞান না হারালে হয়তো,,আচ্ছা তাকে প্রথম কে দেখেছিল সেন্স লেস অবস্থায়?প্রণয়?রুমে এসেছিল কে?আর কখন?কতক্ষণ পড়েছিল এখানে?এখনই বা কয়টা বাজে?এত সবকিছুর মধ্যে সময় পরখ করতেও মনে নেই। শরীরে জড়ানো মোটা, ভারী কম্বল টা সরিয়ে উঠতে নিলেই আঁ/তকে উঠলো।তার পড়নে পিংক কালারের লং টি-শার্ট আর কালো রঙ এর প্লাজু।এতক্ষণে তার খেয়ালই হয়নি,তার ড্রেস চেঞ্জ করল কে? ফট করে বিছানা থেকে উঠে দাড়ালো সূচনা। ধ্যান ভাঙলো প্রণয়ের।তার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো-
–‘কী হয়েছে? এভাবে উঠে দাড়ালে কেন?
নিজের কাজে সূচনা নিজেই ল/জ্জা পেল খানিক। আমতা আমতা করে বললো-
–‘কিছু না।
গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে গিয়ে সোফায় যেয়ে বসলো প্রণয়ের পাশে। প্রণয় প্রতিক্রিয়া দেখাল না তেমন একটা। দুজনের মাঝে থাকা কিঞ্চিৎ পরিমাণ দূরত্বের ইতি টানল সূচনা।একদম গা ঘেষে বসল প্রণয়ের। প্রণয় হতবিহ্বলের ন্যায় ঠাই বসে রইলো।সূচনা ও প্রণয়ের কাধের সাথে কাধ ঠেকিয়ে বসে আছে চুপচাপ। সূচনার গা গর/ম এখনো।তা দেখে প্রণয় চিবিয়ে চিবিয়ে বললো-
–‘ জ্বর কমেনি এখনো, এখানে এসে বসলে কেন? ঠান্ডা লাগবে।
সূচনা সহসা জবাব দিল-
–‘লাগবে না।
–‘ বললাম না ঠান্ডা লাগবে যাও
–‘যাবনা।
–‘কেন?
–‘আমার প্রশ্ন আছে কিছু, উত্তর দিন।
প্রণয় স্বাভাবিক গলায় ই জিজ্ঞেস করলো-
–‘কী প্রশ্ন?
সূচনা নিচু স্বরে জিজ্ঞেস করলো-
–‘ আমি যে রুমে ছিলাম সেন্সলেস হয়ে সেটা প্রথম কে দেখেছে?
–‘আমি,, কেন?
–‘আপনি রুমে কেন আসলেন?আপনি তো ছাদে ছিলেন।কিভাবে জানলেন আমি রুমে ছিলাম?
–‘আমার রুম আমি আসব না?
–‘আহা,সত্যি কথা বলুন।
–‘ইরা বলেছে।তুমি ছাদ থেকে নামার দশ কি পনেরো মিনিট পরই হবে,তোমাকে ছাদে না দেখে খুঁজছিলাম, তখন ইরা বললো রুমে। তাই রুমে এসেছিলাম।
–‘ তারপর?
–‘কী তারপর? তারপর সেন্সলেস হয়ে পড়েছিলে,ফ্লোর থেকে উঠিয়ে বিছানায় শুয়িয়ে পানির ঝাপ্টা দিলাম,আর তখন সেন্স এসেছে,আর চিৎকা/র দিয়ে উঠেছ।আচ্ছা চিৎ/কার দিয়েছিলে কেন বলোতো?খারা/প স্বপ্ন দেখেছিলে?
প্রণয়ের প্রশ্ন শুনেই মুখশ্রীতে মলিনতা এসে ভীড় করল সূচনার। অস্ফুটস্বরে বললো-
–‘না।
–‘তাহলে?
–‘ আসলে,,,
–‘ওয়েট তন্ময় ফোন দিয়েছে বোধহয়। একটু বসতে পারবে না একা?
সূচনা ছোট্ট করে বললো-
–‘হুম।
ফোন নিয়ে ব্যালকনিতে চলে গেল প্রণয়।
.
.
–‘ হ্যা তন্ময় বলো।
–‘স্যার ও এসেছে আপনি আসবেন না?
–‘আসব,, একটু অপেক্ষা করো।
–‘ঠিক আছে স্যার।
কল কেটে দিয়ে আবার ও রুমে আসলো প্রণয়। সূচনা সোফাতে পা উঠিয়ে কাচুমাচু হয়ে বসে আছে। এই মুহূর্তে একদম বাচ্চাদের মতো লাগছে থাকে।এলোমেলো চুল,পড়নের টি-শার্ট টাও একদিক দিয়ে উঠে আছে, গায়ে ওড়নাও নেই।সে দিকে খেয়ালই নেই তার,থাকলে এতক্ষণে কেমন রিয়েক্ট করত কে জানে। প্রণয় কিঞ্চিৎ হাসল।সূচনার সামনে যেয়ে দাড়ালো। তারপর বললো-
–‘ অনেক রাত হয়ে গেছে এবার ঘুমাও। আমিও ক্লান্ত অনেক।
–‘ কয়টা বাজে?
–‘বারটার বেশি হবে।
–‘ওহ,,কিন্তু আমার উত্তর?
–‘দিলামই তো।
–‘আপনি এত স্বাভাবিক আচরণ করছেন? কিছু বলবেন না? করবেন না কিছু?
–‘কি করব? আর আমার অস্বাভাবিক আচরণ করার কী কথা?
–‘ যদি কিছু হয়ে যেত?
–‘ সেই দুঃসা/হস দেখানোর মতো সাহস তার নেই আর না হবে।
–‘ মুখে বললেই হয়ে যায়?
–‘ হতে হবে।
–‘ যদি অন্য কারো সাথে ও এমন করে?
–‘সেই ভাবনা তার মাথায়ও আসবে না।
–‘মানে?
–‘কিছু না।
–‘আপনার কথা কিছুই বুঝতে পারছি না।
–‘ সময় হলে এমনি বুঝবে।
সূচনা হার মান/ল যেন। হতাশ গলায় বললো –
–‘আপনি অদ্ভুত।
–‘ হয়ে গেছি।
–‘আগে ছিলেন না?
–‘নাহ।
–‘ কারণ কী?
–‘বলব একদিন,সঠিক সময়ে আপনাআপনি সব ধরা দিবে তোমার সামনে।এখন চলো ঘুমাও তাড়াতাড়ি।
দুজনের সহজ কথোপকথন। সূচনাকে এক প্রকার জোর করে ই বিছানায় শুইয়ে দিল প্রণয়।বললো-
–‘ হালকা জ্বর আছে,,কাথায় হবে?
–‘হবে।
সূচনার গায়ে কাথা জড়িয়ে দিয়ে সে ও তার পাশে শুয়ে পড়ল। কোমল স্বরে বললো-
–‘তুমি ঘুমাও, আমি চুলে হাত বুলিয়ে দেই।
–‘হাত বুলিয়ে দিতে হবে না,, ঘুমিয়ে যাব আমি।আপনি ও ঘুমিয়ে পড়ুন।
–‘চুপচাপ ঘুমাও,আমার কাজ করতে দাও আমাকে।
–‘অভ্যাস হয়ে যাবে।
–‘সমস্যা নেই,,মে হু না,
প্রণের কথা শুনে প্রতিক্রিয়া দেখাল না সূচনা। তাকে হাসাতে প্রণয়ও হাসল তার দিকে তাকিয়ে।লাভের লাভ কিছু ই হলো না।তবে পাঁচ মিনিটের মধ্যে ই ঘুমের দেশে পাড়ি জমিয়েছে সূচনা। এত তাড়াতাড়ি কেউ ঘুমাতে পারে? কী ঘুম রে ভাই।প্রণয় মনে মনে ভাবল কথাগুলো।
_______________________________
অন্ধকার রুমে বাইরের রাস্তার সোডিয়াম বাতির আবছা আলো এসে পড়েছে। সে আলোতে হালকা হলেও বোঝা যাচ্ছে ফ্লোরে পা ভেঙে বসে থাকা নিষাদের ভীত মুখশ্রী।তার সামনে দু’জন দাঁড়িয়ে।একজন তার একেবারে সামনে আরেকজন অনেকটা দূরেই।
সামনে থাকা ছেলেটার পড়নে অর্ধেক সাদা আর অর্ধেক কালো রঙ এর শেডের হুডি পড়, মুখে মাস্ক ও আছে, হুডির টুপি টাও টেনে দেয়া।তার পেছনে দাড়ানো ছেলেটার অবস্থা ও ঠিক এমনই,পার্থক্য শুধু হুডির রং এ।সে সম্পূর্ণ কালো রঙ এর হুডি পড়েছে।দুজনের ব্যবহার দেখে বোঝা যাচ্ছে সামনের জন তার পেছনের জনের বস।
সামনের ছেলেটা নিচু হয়ে নিষাদের শার্টের কলার চেপে ধরলো। দাঁতে দাঁত চেপে ক্ষুব্ধ কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলো-
–‘ ওকে ছোয়ার সাহস হলো কী করে তোর?
নিষাদ ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পাল্টা প্রশ্ন করলো-
–‘আমাকে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে কেন?
–‘আমার প্রশ্নের উত্তর এটা না।কোন সাহসে ছুয়েছিস?
–‘কা,,কার কথা বলছেন আপনি?আর আপনি কে?
–‘ আমি কে সেটা জানার পরে সত্যিটা এমনি চলে আসবে মুখে কিন্তু অত সময় আমার নেই, যে কাজে এসেছি সেটাই করি। নাকি দেখাব আমি কে?
–‘ হ্য,,,হ্যা দেখতে চাই,কার এত বড় সাহস আমাকে এভাবে এখানে ধরে নিয়ে আসার?
–‘ধরেই নিয়ে এসেছি বে/ধে তো রাখিনি। পা/লিয়ে কেন যেতে পারলিনা? সাহ/স হয় নি তাই না?
কিছু সনয় চুপ থেকে সামনের ছেলেটা হুট করেই হাসতে লাগল।হাসতে হাসতে তার পেছনের ছেলেটার উদ্দেশ্যে বললো-
–‘বুঝলে জুনিয়র, ইদানীং একটা জিনিস আমি খেয়াল করলাম যে তুমি আমার কাজগুলো সুন্দর করে নিজের আয়ত্তে আনছ,একদম আমার মতো করে শিখছ,করছো ঠিক যেমনটা আমি চাই। আই এম প্রাউড অফ ইউ মাই বয়।
–‘ সব আপনারই ক্রেডিট স্যার।
–‘তোমার কাছে খোলা হাত পায়ে থেকে, এমন তা/গড়া এক যুবক পালা/নোর সাহস করতে পারলনা।স্ট্রেন্জ রাইট?
–‘ সেটা কিভাবে পারবে স্যার, ঘুড়ির নাটাই যে আমাদের হাতে।চলে গেলে তো তারই বিপ/দ।
–‘ হ্যা,, তা ভিডিওটা কি আছে না ভাইরাল করে দিয়েছ?
–‘না স্যার,আপনার অনুমতি ছাড়া কিভাবে করব? এখনও আছে। স্যার আপনার মাথায় যে কিভাবে আসে?এত কিছু লক্ষ্য করেন কিভাবে সেটাই ভাবি
–‘ ভিডিওটা ভাইরাল করব না শাস্তি অন্য ভাবে দিব?
–‘অন্য ভাবে স্যার।
–‘ তার আগে সারপ্রাইজ টা দিয়ে নেই?
বলেই মুখে থাকা মাস্কটা খুলে ফেলল।নিষাদ যেন চম/কে উঠলো তাকে দেখে। কাপা কাপা কণ্ঠে শুধু উচ্চারণ করলো-
–‘প্র,,,
পুরো কথা,শেষ হওয়ার আগেই রুম কাপিয়ে চিৎকার করে উঠলো সে। লুটিয়ে পড়লো মাটিতে,ব্য/থায় আর্ত/নাদ করে উঠলো,তার বামহাত টার দিকে তাকিয়ে থেকে ছটফ/ট করতে লাগল।
ছেলেটা নিষাদের দিকে তাকিয়ে ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বললো –
–‘তোর মতে নিচু মানসিকতার মানুষ না আমি যে একটা মেয়ের মান সম্মান নিয়ে খেলব সে যতই খা/রাপ হোক।তোর ফোনে তোর আর তোর গার্লফ্রেন্ড এর ইন্টি/মেট মূহুর্তের ক্লিপ গুলো আছে না সেগুলো তো আমরা দেখিওনি,জানতাম ওনা।তবে চ্যাট বক্সে ঢুকতেই জানতে পারলাম, বাজি/য়ে দেখার জন্য জুনিয়র বলেছিল সেই ভিডিওর কথা, আর অপ্রত্যাশিত ভাবে সেটাই সত্যি ছিল যার দরুন তুই স্ব ইচ্ছায় এখানে এসেছিস।ফোন দিয়ে দিলাম,ধর,,মেমোরি জি/রো।কিচ্ছু নেই,সব ডিলি/টেড।
পিছনে ঘুর তাকিয়ে বললো-
–‘জুনিয়র ওকে হসপিটালে পোঁছে দিও।
_____________________________
দুইহাত বু/কে গুজে ব্যালকনিতে দাড়িয়ে আছে প্রণয়।
রুমে সূচনা।বেঘোরে ঘুমাচ্ছে সে। মেডিসিনের এফেক্ট।গভীর রজনী,নিস্তব্ধ চারিপাশ, ঘুটঘুটে অন্ধকারে ঢাকা পড়েছে নগরী, গাছের পাতায় যেন হাওয়ার ছোয়া মাত্র নেই।গুমোট সেই পরিস্থিতি তে একরাশ ভাবনা এসে ভর করেছে প্রণয়ের মন কুটিরে। লজ্জা আর অনুতপ্ততা দুটোই ঘিরে ধরেছে তাকে। লজ্জাবোধ টা নিজের দায়িত্বহীন তার জন্য। দায়িত্বহীন ই তো সে, তার স্ত্রী কে অন্য কেউ ছুঁয়েছে হোক সেটা শুধু হাত পর্যন্ত ই সীমাবদ্ধ। ছুঁয়েছে তো,বা/জে ভাবে। সে একা না ছাড়লে, আগে খেয়াল রাখলে তো এমন হত না। সূচনাকে যতটা সহজভাবে বলেছে বা বুঝিয়েছে সে মোটেও অতটা সহজ ভাবে নেয়নি। ইরাকে তখন ছাঁদে সূচনার কথা জিজ্ঞেস করেছিল, বলেছে রুমে গেছে সেজন্য ই তো রুমে এসেছিল। রুমে এসে যখন দেখল নিষাদকে তার রুম থেকে বের হতে তখনই বু/কে মোচড় দিয়েছিল প্রণয় এর। দৌড়ে গিয়েছিল রুমে, ফ্লোরে পড়েছিল সূচনা। তাকে ঔ অবস্থায় দেখে হৃদকোমলে অদ্ভুত রকমের অস্থিরতা টের পাচ্ছিল প্রণয়।তার কারণ সে জানে না, জানতে ইচ্ছুক ও না।তবে যা করা উচিত ছিল করে এসেছে এবার একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলা যাক।সকালে আবার ধক/ল তো কম যাবেনা।তারওপর সূচনা সকালে কেমন ব্যবহার করবে কে জানে।হাহা,,বড় বড় কয়েকটা শ্বাস ছাড়লো প্রণয়।ঠিকঠাক হয়ে ব্যালকনি থেকে রুমে আসলো।সূচনা এলোমেলো হয়ে শুয়ে আছে।তার মুখ থেকে দৃষ্টি সরাতেই থমকে গেল প্রণয়। টি-শার্ট সরে গিয়ে উন্মুক্ত উদ/র। একদম স্লিম বা ছিপছিপে না ফর্সা উদরে হালকা মেদ জমেছে।প্রণয় সেখানে তাকিয়ে ই ফাঁকা ঢোক গিললো কয়েকটা। শব্দহীন এগিয়ে আসলো সূচনার দিকে। বাম হাত দিয়ে কোনোরকমে টি-শার্ট টা নামিয়ে দিয়ে সরে আসলো। বড় বড় শ্বাস নিল কয়েকটা। এই এতটুকু দেখেই তার এমন অবস্থা।নিজেকে ঠিকঠাক করে সটান হয়ে শুয়ে পড়ল বিছানায়।আপাদত এটাই বেস্ট নাহলে কি থেকে কি করবে সে নিজেও জানেনা।
______________________________
ডাইনিং টেবিলের একেবারে শেষ মাথার চেয়ারটায় চুপ/টি মে/রে বসে আছে সূচনা। তার দুই পাশে মিলিয়ে দিনা,তিথি, মিহু,ইরা,ফিহা,তৃণা বসেছে।দিনার বাকি দুইজন বান্ধবী থাকেনি, রাতেই চলে গিয়েছে তাড়াতাড়ি করে।সবাই কথা বললেও সূচনা চুপ।মাথার মধ্যে এখনও ঔসবই ঘুরছে।
–‘ভাবি তোমার কী খা/রাপ লাগছে?জ্বর কমেনি?
ভাবনার মাঝে ইরার ফিসফিসানি কণ্ঠ। তার দিকে তাকিয়ে সূচনা ও ফিসফিসিয়ে বললো-
–‘কমেছে,, একটু উইক লাগছে।
–‘আচ্ছা,, তাহলে রুমে যেয়ে রেস্ট নেও তাহলে। আমি নাস্তা রুমে দিয়ে আসবনি।
–‘সমস্যা নেই থাক।
–‘সিওর?
সূচনা হালকা হেসে বললো-
–‘হ্যা।
–‘মামী নিষাদ আর নিহা কই?
ডাইনিং টেবিলের নিজের জন্য বরাদ্দ কৃত চেয়ার টায় বসতে বসতে জিজ্ঞেস করলো প্রণয়। তন্ময় তার পাশে দাড়ানো।সূচনা চোখ ঘুড়িয়ে প্রণয়ের দিকে তাকালো। প্রণয়ের প্রশ্নের উত্তরে মিসেস আফিয়া উদাস কণ্ঠে বললেন-
–‘নিষাদ নাকি কালকে রাতে এখান থেকে ফেরার সময় বাইক এক্সি/ডেন্ট করেছে। বাম হাত ভে/ঙে গেছে, প্লাসটার করে দিয়েছে, একদম রেস্টে থাকতে বলেছে।নিহা সকালে শুনেই চলে গিয়েছে,ফিহা ও চলে যাবে বলছে।জোর করে রাখলাম,বলেছি বিকেলে যেয়ে দিয়ে আসবে কেউ। আমি না বুঝলামনা কিভাবে কী হলো?ও রাতে গেলই বা কেন?আমাকে বলেও যায়নি। নিহা বা ফিহা কেও বলেনি।কি সব আজব ঘটনা হচ্ছে। বুঝতে পারছি না কিছু।
কেউ তেমন প্রতিক্রিয়া দেখাল না হয়তো তারা আগে থেকেই জানে।কিন্তু মিসেস আফিয়ার প্রথম কথাটুকু শুনেই সূচনা তা/জ্জব বনে গেল যেন। কেন যেন ফট করে তাকালো প্রণয়ের দিকে। প্রণয় শান্ত চোখে মিসেস আফিয়ার দিকে তাকিয়ে তার কথা শুনছে। সূচনার দিকে চোখ পড়তেই নিজ কায়দায় ঠোঁট বাকি/য়ে হাসল প্রণয়।সূচনা থম মে’রে বসে রইলো।
#চলবে
( আসসালামু আলাইকুম। আজকে বড় পর্ব দিয়েছি, কমেন্ট চাই প্রচুর😇। নাইস নেক্সট করবেননা প্লিজ,গঠনমূলক মন্তব্য চাইই🥺।)