#ঝিলের_ওপারে_পদ্মফুল
তন্বী ইসলাম -১৭
সন্ধ্যার আলো মিলিয়ে সবেমাত্র আঁধার নামতে শুরু করেছে। নাম জানা না জানা পাখিরা বাইরের কোলাহল থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়ে নিজ নিজ বাসায় এসে আশ্রয় নিয়ে চুপটি মেরে বসে আছে। দূরে বাঁশের ঝাড় টা থেকে ভেসে আসছে অগণিত ঝিঁঝি পোকার আর্তনাদ। কত করুণ স্বরে ডেকে যাচ্ছে তারা। কানে তালা দেবার উপক্রম।। এমনই একটা মুহূর্তে ঘরের পেছন দিকে শ্রাবণ ভাইয়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে পদ্ম। শ্রাবণ ভাই চলে যাচ্ছে, সেজন্য পদ্ম’র মন খারাপের যেনো অন্ত নেই। শ্রাবণ মৃদুস্বরে বেশ কয়েকবার পদ্ম’কে ডাকলো। মন খারাপে কন্ঠ ভারী হয়ে থাকায় সে ভারী গলা দিয়ে কিছু বলতে পারলো না পদ্ম। শ্রাবণেরও আজ মন খারাপ। পদ্মফুলকে এভাবে রেখে যেতে তার ভালো লাগে না মোটেও। শ্রাবণ মনে মনে ভাবলো, ‘একবার শাপলার বিয়েটা হয়ে যাক শুধু। এরপর দুই ফ্যামিলিকে যে করেই হোক রাজি করিয়ে তার পদ্মফুলকে বিয়ে করে নিজের করে নিবে। এরপর একটা ছোটখাটো চাকরি নিয়ে পদ্ম’কে নিয়ে পাড়ি দেবে শহরে, এরপর শুরু করবে তার পদ্মফুলকে নিয়ে ভালোবাসার সংসার।
শ্রাবণ মৃদুস্বরে আবারও পদ্মকে ডাকলো
“পদ্মফুল!
“হু।
“আমি চলে যাচ্ছি তো।
“জানি।
মলিন গলায় বললো পদ্ম।
শ্রাবণ দুহাতে পদ্মকে জড়িয়ে ধরলো। তাতেও পদ্ম’র ভাবাবেগ হলো না। সে এখনও নির্জীব হয়েই দাঁড়িয়ে আছে৷ শ্রাবণ ক্ষীন হেসে বললো
“এভাবে মন খারাপ করে আমার সামনে দাঁড়িয়ে থাকলে আমি যাবো কি করে বল? শেষে আমার এক্সামটাও খারাপ হবে। রেজাল্ট খারাপ হলে কি চাচী তোকে আমার হাতে দিবে?
“তুমি যাও শ্রাবণ ভাই। আমারে নিয়া এতো চিন্তা করা লাগবে না।
শ্রাবণ মৃদু হেসে পদ্ম’কে আরেকটু শক্ত করে নিজের সাথে ধরলো। বললো
“এক্সামটা শেষ হলেই আমি চলে আসবো পদ্মফুল। তুই মন খারাপ করে থাকিস না প্লিজ।
পদ্ম মাথা উঁচিয়ে শ্রাবণের মুখপানে ধীরে ধীরে তাকালো। শ্রাবণ এক দুই কিছু না ভেবে হুট করে পদ্ম’র কপালে একটা শুকনো চুমো দিয়ে বসলো। মুহুর্তেই স্থির হয়ে গেলো পদ্ম। যেনো নিজ যায়গাতেই জমে গেছে সে। দুই মিনিট পর পদ্ম বিস্ময়ে বললো
“কি করলা এটা?
শ্রাবণ হেসে বললো
“ভালোবাসা দিলাম।
পদ্ম যতদ্রুত সম্ভব শ্রাবণের বাহু থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে চাইলো। কিন্তু শ্রাবণ তার পদ্মফুলকে নিজের বাহুবন্ধনে এতটাই শক্ত করে ধরে রেখেছে যে পদ্ম নিজের কাজে সফল হতে পারলো না। এদিকে বেশ লজ্জাও পাচ্ছে সে। শ্রাবণ ভাইয়ের মুখের দিকে তাকাতেও তার দ্বিধা হচ্ছে বেশ। পদ্ম এবার শ্রাবণের বাহুডোরে থেকে লজ্জামাখা মুখটা নিচের দিকে নোয়ালো। ঠোঁট চেপে খুবই ধীরে ধীরে হাসতে লাগলো। শ্রাবণ খেয়াল করলো সবটাই। ওর ঠোঁটের কোনেও হাসির রেশ।
শ্রাবণ বেশ আলতোভাবে পদ্ম’র থুতনিতে হাত রাখলো। পদ্ম’র লজ্জা আগের তুলনায় আরো কয়েকগুণ বেড়ে গেলো। শ্রাবণ বেশ ধীরে ধীরে ওর থুতনি ধরে মুখটা সামনের দিকে তুলতে লাগলো, ঠিক যেনো নতুন বউ এর চাঁদ মুখটা দেখার আশায় সদ্য বিবাহিত বর আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। শ্রাবণ অপলকভাবে দেখে যাচ্ছে তার পদ্মফুলকে, তবুও আশ মিটছে না। পদ্মফুলকে দেখার হাজার বছরের তৃষ্ণা শ্রাবণের বুকে জেকে বসেছে। শ্রাবণের নজর গেলো এবার পদ্ম’র ঠোঁটজোড়াতে। অনবরত কাঁপছে সেগুলো। শ্রাবণ শুকনো ঢোক গিললো এবার। অজানা এক লোভ শ্রাবণের মনে হানা দিলো, নিজের উপর থেকে যেনো ধীরে ধীরে কন্ট্রোল হারিয়ে ফেললো লাগলো সে। শ্রাবণ পদ্ম’র ঠোঁট বরাবর এগিয়ে যেতে লাগলো। পদ্ম’ও সবকিছু ভুলে তার প্রাণপ্রিয় শ্রাবণ ভাইয়ের নিকট নিজেকে সঁপে দিতে লাগলো। যখনই শ্রাবণ আর পদ্ম’র ঠোঁট যুগল একসঙ্গে মিলিত হবে ঠিক তখনই কারো কাশির শব্দ পেয়ে দুজন ছিটকে গেলো দু’দিকে। পদ্ম লজ্জায় মাথা নিচু করে দাঁড়ালো বেশ কিছুটা দূরে। জোরে জোরে হাপাচ্ছে সে। শ্রাবণ খেয়াল করলো বেশ কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে আছে শাপলা। ওর দৃষ্টি তাদের দিকেই। শ্রাবণ নিজেও খানিক লজ্জা পেয়ে গেলো।
শাপলা এগিয়ে এলো এবার। পদ্ম’র কাছে এসে ওর কান টেনে ধরে চাপা হাসি আঁটকে রেখে ক্ষীন কড়া গলায় বললো
“এদিকে প্রেম করা হচ্ছে। প্রেম যখন করবিই একটু আড়ালে গিয়েও তো করতে পারিস।
পদ্ম মুখ তুলে তাকালো না। এবার শ্রাবণের দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে শাপলা বললো
“তখন কে যেনো বলেছিলো তার ট্রেন মিস যাওয়ার সম্ভাবনা আছে?
শ্রাবণের হুশ এলো এবার। সত্যিই তো তার দেরি হয়ে যাচ্ছে। পদ্ম’কে কাছে পেয়ে সে ভুলেই গিয়েছিলো সেটা। শ্রাবণ তরিঘরি করে দৌঁড়াতে লাগলো। পদ্ম’র কাছাকাছি গিয়ে আবারও থমকে দাঁড়ালো সে। একপলক দেখে ফিসফিস করে বললো
“আমি খুব শীঘ্রই চলে আসবো পদ্মফুল। আমার জন্য অপেক্ষায় থাকিস।
প্রায় দু’ঘন্টা বাদে বিয়ে সংক্রান্ত আলোচনা শেষ করে বৈঠক ঘর থেকে বেরিয়ে এলো সকলেই। সবার মুখেই হাসি হাসি রব। ছেলের বাড়ির তিনজন আর মেয়ের বাড়ির দুজন। সেলিম আর তার বাবা। তাদের পাঁচজনের মুখেই খুশির রেশ। মহিলারা ভেতর ঘরে গিয়ে পর্দার আড়ালে দাঁড়ালো। শাপলাও এবার নিজেকে গুটিয়ে বেশ জড়োসড়ো হয়ে খাটের কোনায় বসলো। পদ্ম তার পাশে বসেই অপেক্ষা করছে বিয়ের তারিখটা কবে শোনার জন্য। সেলিমের বাবা আলেয়াকে খুঁজতে খুঁজতে জুবেদাকে উদ্দেশ্য করে বললো
“আলেয়া কই?
“ভেতর ঘরে।
“একটু ডাকো তারে।
জুবেদা ক্ষীন গলায় আলেয়াকে ডাকলে বেশ লম্বা করে ঘোমটা টেনে তিনি বেরিয়ে এলেন ভাসুরের সামনে। আদবের সহিত তিনি বললেন
“দিন তারিখ ঠিক হইছে ভাইজান?
সেলিমের বাবা হেসে বললেন
“জানবা জানবা। আগে খাওন দাওয়ানের ব্যবস্থা করো।তারা যাওনেগার লাইগা পাগল হইয়া গেছে।
আলেয়া জুবেদার দিকে তাকিয়ে হাসিমুখে তাড়া দিয়ে বললেন
“আপা, আসেন খাওন দাওন বাড়াগোড়া করি।
জুবেদা বিনা বাক্যে আলেয়ার সঙ্গে রান্নার ঘরে গিয়ে ঢুকলো।
রাত মোটামুটি গভীর। সকলে খেয়ে দেয়ে শুয়ে গেছে বেশ অনেক্ষণ আগেই। হয়তো ঘুমিয়েও গেছে। পদ্ম’ও ঘুমিয়ে গেছে সবেমাত্রই। শাপলা শুয়ে থেকে ফোন নিয়ে ঘাটাঘাটি করছে। একবার ফোনের স্ক্রিন অন করছে, আবার এভাবেই রেখে দিচ্ছে। যখন ফোনের স্ক্রিন অটোমেটিক অফ হয়ে যাচ্ছে তখন আবারও স্ক্রিনের আলো জ্বালিয়ে দিচ্ছে শাপলা। যেনো ছোট বাচ্চাদের মতো ফোন নিয়ে খেলা করছে। এভাবে প্রায় বেশ কিছুক্ষণ কেটে গেলো, তবুও ঘুম এলো না তার চোখে। রাত তখন প্রায় বারোটা। শাপলা ফোনটা বালিশের পাশে রেখে ঘুমোতে যাবে ঠিক তখনই মেসেজ টোনটা বেজে উঠলো। তরিঘড়ি করে ফোনটা হাতে নিয়ে মেসেজটা ওপেন করলো সে। তবে মুখের অবয়ব দেখে বুঝা গেলো সে কিছুটা হতাশই হয়েছে। নাম্বারটা একটা আননোন নাম্বার। শাপলা ফোনটা রেখে দিতে গিয়েও রাখলো না। মেসেজটা ওপেন করে দেখলো সেখানে গুটিগুটি অক্ষরে লিখা আছে, “আসসালামু আলাইকুম।”
রাত দুপুরে কে তাকে সালাম দিলো ভেবে পেলো না শাপলা। নাম্বারটাও অপরিচিত। এটা কার নাম্বার হতে পারে? আরহামের? তবে সে নাম পরিচয় না দিয়ে মেসেজ করলো কেন? আর সালামই বা দিলো কেন? ছোট ছোট প্রশ্ন গুলো তার মাথায় কিলবিল করে ঘুরপাক খেতে লাগলো।
কয়েক সেকেন্ড বাদে আবারও একই নাম্বার থেকে মেসেজ এলো। মেসেজে লিখা, ‘কি করছো?
বেশ রাগ লাগলো এবার। এতো রাতে কেউ কি করে এটা যে কারোরই জানার কথা। এতো ন্যাকামি করে প্রশ্ন করার কি আছে। শাপলা কি যেনো মনে করে রিপ্লাই করলো
“এতো রাতে মানুষ কি করে? নিশ্চয়ই নাচানাচি করে না। এটা ঘুমানোর সময়, স্বভাবতই আমিও ঘুমোচ্ছি।
পরক্ষণে আবারও মেসেজ এলো, ‘যদি ঘুমিয়েই থাকো, তাহলে আমার প্রশ্নের উত্তর দিলে কি করে?
শাপলা এবার মাথা খাটালো। ঠিকই তো, সে তো ঘুমোচ্ছে না। আর এই মানুষটাই বা কে? প্রশ্ন টা মনে উঁকি দিতেই সে আবারও মেসেজ করলো
“কে আপনি?
কয়েক সেকেন্ড পর রিপ্লাই এলো
“কে হলে খুশি হবে?
শাপলার রাগ হলো এবার। এতো ঘুরিয়ে পেচিয়ে বলার কি আছে। আর রিপ্লাই করবে না সে। যে হবার হোক। ফোনটা একপাশে রেখে শুয়ে ডান কাত হয়ে শুয়ে পরলো শাপলা। আরো কয়েকবার মেসেজ টোন বেজে উঠলো। তবে শাপলা আর মাথা ঘামালো না। কে না কে রাত দুপুরে মজা করছে, তার সাথে ফাউ কথা বলার মন মানসিকতা তার নেই। এক দুই তিন মিনিট করে প্রায় পাঁচ মিনিট কেটে গেলো। ঠিক তখনই ফোনের ভাইব্রেশন কাঁপিয়ে কেউ কল দিলো। শাপলা চোখেমুখে বিরক্তি নিয়ে ফোনটা হাতে নিয়ে দেখলো এতোক্ষণ যে নাম্বার থেকে মেসেজ এসেছে, কলটাও সে নাম্বার থেকেই এসেছে। প্রথমে ভাবলো রিসিভ করবে না, পরক্ষণে মানুষটা কে সেটা জানার আগ্রহ থেকে কল রিসিভ করলো সে। প্রথমে কয়েক সেকেন্ড কানে ঠেকিয়ে কোনো কথা বললো না শাপলা। ওপাশের মানুষের কন্ঠস্বরের অপেক্ষায় আছে সে। কিন্তু দুর্ভাগ্য বসত ওপাশ থেকেও কেউ কিছু বলছে না।
শেষে এক পর্যায়ে বিরক্ত হয়ে সে ফিসফিস করে বললো
“কে? কে বলছেন?
এবার ওপাশ থেকে এক সুমিষ্ট কন্ঠধারী ছেলের উত্তর এলো। বেশ নম্রভাবে বললো
“আমি আরহাম।
আরহাম নামটা শুনেই কলিজাটা ছ্যাৎ করে উঠলো তার। এই আরহামের সাথেই তো আজ তার বিয়ে ঠিক হয়েছে। আজ থেকে পুরো সাতদিন পর তাদের বিয়ে। বিয়ের তারিখ ঠিক করা হয়েছে শ্রাবণের পরীক্ষার দিন শেষ হবার উপর নির্ভর করে। শ্রাবণ ভাইয়ের ইনকোর্স এক্সাম শেষ হবার পরদিনই বিয়ে। তাদের যে উৎসাহ এ বিয়ে নিয়ে, শ্রাবণ ভাইয়ের এক্সাম না থাকলে বোধহয় আরো আগেই ডেট দিয়ে দিতো।
শাপলাকে নিরব দেখে ওপাশ থেকে আবারও আরহাম নামের সেই সুমিষ্ট কন্ঠধারী ছেলেটি বলে উঠলো
“কথা বলছো না কেন শাপলা?
শাপলা কাঁপা কাঁপা গলায় ফিসফিস করে বললো
“এতো রাতে কেন ফোন করলেন?
“বিরক্ত হচ্ছো?
“নাহ। একটা লম্বা নিশ্বাস ছেড়ে বললো শাপলা।
ওপাশ থেকে মৃদু হাসির আওয়াজ পেলো শাপলা। জানতে ইচ্ছে করলো কেন সে হাসছে। কিন্তু প্রশ্ন টা আর করলো না সে। আরহাম আবারও বললো
“তোমার সাথে কিছু কথা বলতে চাই শাপলা।
শাপলা ভদ্রতাসূচক কন্ঠে উত্তর দিলো
“আগামীকাল নাহয় কথা বলি আমরা। অনেক রাত হয়ে গেছে আজ।
“আচ্ছা। শুভ রাত্রি।
“হুম।
শাপলা ফোন কেটে দেওয়ার আগ মুহূর্তে আরহাম আবারও বলে উঠলো
“তারাতাড়ি ঘুমিয়ে পরো। নয়তো শরীর খারাপ করবে, চেহারা নষ্ট হয়ে যাবে রাত জাগলে।
“চেহারা নষ্ট হলে কি বিয়ে ভেঙ্গে দিবেন?
শাপলার কথায় হাসলো আরহাম। বললো
“প্রশ্নই আসে না।।
শাপলা আর কোনো কথা না বাড়িয়ে ফোন রেখে দিয়ে ঘুমের জগতে পাড়ি দিলো।
একটা দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুম ভাংলো পদ্ম’র। দেখলো গোধুলি বেলায় বিশাল এক সমুদ্রের পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে সে। সমুদ্রে বিশাল বড় বড় ঢেউ বইছে। পাশেই দাঁড়িয়ে আছে শ্রাবণ ভাই। শ্রাবণ ভাই তার হাতটা শক্ত করে ধরে আছে। পদ্ম সমুদ্রের ঢেউ দেখছে আর শ্রাবণ দেখছে তার পদ্মফুলকে। সাগরের পাশে ঠান্ডা শীতল বাতাস ওদের দুজনের গা ভেদ করে চলে যাচ্ছে, শরীরে এক ঝংকারের সৃষ্টি হচ্ছে। ধীরে ধীরে শ্রাবণ পদ্মকে তার কাছে টেনে নিচ্ছে। ঠিক তখনই তীব্র এক ঢেউ এসে হানা দিলো তাদের। তীব্র আঘাতে দূরে গিয়ে আঁচড়ে পরলো শ্রাবণ। বিশাল ঢেউ তার জলের কোলে করে টানতে টানরে নিয়ে যেতে লাগলো পদ্ম’কে। পদ্ম ফিরে আসার চেষ্টা করছে, কিন্তু পারছে না। শ্রাবণ দৌড়ে এসে পানিতে ঝাপিয়ে পরলো তার পদ্মফুলকে ঢেউ থেকে ফিরিয়ে আনার। তবে তার আগেই সব শুন্য। বিশাল জলরাশির বুকে পদ্ম হারিয়ে গেলো।
এমন একটা উদ্ভট স্বপ্ন দেখে নিজের উপর নিজেই ক্ষীপ্ত সে। মনে মনে বির বির করে সেই বাজে স্বপ্নটাকে বকতে লাগলো পদ্ম। শাপলা সেটা খেয়াল করে বললো
“একা একা কি করিস?
পদ্ম মুখ ফুলিয়ে বললো
“স্বপ্ন দেখি।
“কি স্বপ্ন?
“বলবো না। পরে স্বপ্নে এসেও তুই আমাদের ভালোবাসায় বেগড়া দিবি।
চলবে….