চাদোঁয়া মহল পর্ব -১৫

#চাঁদোয়া_মহল
পর্বঃ১৫
#অত্রি আকাঙ্ক্ষা

চন্দ্ররেখাকে নিয়ে সকলের মধ্যে এক প্রকার হুলস্থুল বেঁধে গেছে।ইতিমধ্যে লাইলি আর ইউসুফের বিয়ে স্থগিত করা হয়েছে।এতে অবশ্য লাইলি বেশ খুশি হয়েছে বলা যায়!খুশির তোড়ে সে ইউসুফকে বারবার ভেংচি কাটছে।ইউসুফ বুঝে সব সহ্য করছে।জিমি, সিমি আর মাসুক মিলে চন্দ্ররেখার জন্য ‘গেট ওয়েল সুন’ লেখা বিশাল বড় একটা কার্ডের ব্যবস্থা করেছে।সাথে তিনজন তিন রকমের চকোলেটের বক্সও উপহার দিয়েছে।দোয়া মির্জা চন্দ্ররেখার কপালে ব্যান্ডেজ দেখার পর থেকে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদেই চলছেন।তাকে শান্ত করার দায়িত্ব পড়েছে হাফিজ মির্জা ও তৃণা মির্জার ওপরে।তারা এই সময়ের মধ্যেই বেশ হাঁপিয়ে উঠেছে।

মোহিনী মির্জা ছেলেকে এক দফা ইচ্ছেমতো ঝেড়েছেন!এখন একটু পর পর শাসানের দৃষ্টিতে তাকাচ্ছেন।এদিকে শারাফ পুরোপুরি নির্লিপ্ত।নিজস্ব ভাবনায় মশগুল!ফুপুমা যদি চন্দ্ররেখার মা হয়ে থাকে,সে হিসেবে তো তাজওয়ার চৌধুরী তার স্বামী!কিন্তু তিনি কেন বললেন,তিনি কারো স্ত্রী নন।তাহলে কি চন্দ্ররেখা তার আর তাজওয়ার চৌধুরীর অবৈধ…..?ধ্যাত,কি সব ভাবছে সে!নিজেকে ধমকে উঠলো শারাফ।আর যাইহোক সে তার ফুপুুমাকে চিনে,তার কাছে মায়ের পর সবচেয়ে শুদ্ধতম নারী হচ্ছে তার ফুপুমা।সেই তালিকায় এখন চন্দ্ররেখাও যুক্ত হয়েছে।বিশুদ্ধতার সায়রী!নির্মলতার সম্রাজ্ঞী!শারাফের অপ্সরী!শারাফ চন্দ্ররেখার দিকে তাকালো।বুকের ভেতরে ধুক করে উঠলো।কিছু সময়ের মধ্যে রেখার মুখটা কেমন মলিন হয়ে আছে!একদম চুপসে গেছে।মাথার একপাশে মোটা ব্যান্ডেজ।শাড়ির বদলে,সাদামাটা একটা সেলোয়ার-কামিজ অঙ্গে জড়িয়েছে।চুলগুলো সযত্নে বেণী করা।মোহিনী মির্জার সামনে কাচুমাচু করে বসে আছে।তিনি একটু পর পর ভাতের লোকমা তুলে মুখের সামনে ধরছেন।যখনই সে খাবে না,খাবে না করে সরে যাওয়ার চেষ্টা করছে!তিনি চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে ধমকে উঠছেন।রেখার গায়ে বোধহয় হালকা জ্বরও আছে!এবার শারাফের দৃষ্টি তার মায়ের দিকে নিবন্ধ হলো।তার মা হলো দুনিয়ায় সবচেয়ে নির্ভেজাল একজন মহিলা!বুঝ হওয়ার পর থেকে শারাফ তার মাকে কোনোদিন অহংকার করতে দেখে নি।চাঁদোয়া মহলের এই আভিজাত্য,তার মায়ের মধ্যে বিন্দুমাত্র পরিমাণ পরিবর্তন আনতে পারে নি।তিনি চিরকালই সাধারণ।উমম…..না,সাধারণের মধ্যে অনন্য অসাধারণ!তার অন্তরের বচনের বহিঃপ্রকাশ হয় মুখঃনিসৃত বাক্যের মাধ্যমে।বাচনভঙ্গি যতোই বিষাক্ত বা শ্রুতিমধুর হোক না কেন!মোহিনী মির্জা চিরকালই স্পষ্টভাষী।সবাইকে আপন করে নিতে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেন না কোনোদিন!যাদের নিজের মনে করেন,তাদের শাসন করতেও দ্বিতীয়বার ভাবেন না।এই যে তিনি চন্দ্ররেখাকে একটু পর পর ধমকে উঠছেন,শারাফ খুব ভালো করেই জানে মা তার নিজের মনের অস্থিরতা কমাতে এসব করছে।শারাফ এ ও জানে তার মা জিমি সিমির মতো চন্দ্ররেখাকেও নিজের মেয়ে হিসেবে মেনে নিয়েছেন।

-‘কি দরকার ছিলো একা একা বাহিরে বেরুনোর?দেখে শুনে চলতে পারো না বুঝি!ইঁটের সাথে বাড়ি খেয়ে এখন মাথা ফাটিয়ে বসে আছো!এর থেকে খারাপ কিছুও তো হতে পারতো?ঠিক মতো হাঁটা চলাও শিখোনি দেখি!ভবিষ্যতে চাঁদোয়া মহলের দায়িত্ব সামলাবে কি করে শুনি?’

রেখা কাঁদো কাঁদো মুখ নিয়ে শারাফের দিকে তাকাল।শারাফের ঠোঁটের কোনে মৃদু হাসি।যার অর্থ,তোমার শাশুড়ীর তুমি বুঝে নেও আমি কোনো হেল্প করবো না।শারাফের কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখে রেখা চট করে জবাব দিলো।

-‘আপনার কাছ থেকে সবকিছু আস্তে আস্তে শিখে নিবো।শিখাবেন তো মা!’

মোহিনী মির্জা কিছু কড়া কথা বলতে চাইলেন।অতঃপর চন্দ্ররেখার মুখের দিকে তাকিয়ে চুপ হয়ে গেলেন।গৌরবর্ণের মুখাবয়বে কি অজস্র মায়া!হালকা পাতলা গড়নের দেহের,এ যেন এক ছোট্ট খাটো একটা পুতুল।চেহারায় এই অনন্য লাবণ্যতা যে কারো দৃষ্টিতে গেঁথে যাওয়ার মতো।চোখ দুটি যেন নির্মলতার ক্যানভাস,আর তার মধ্যে টলটল করতে থাকা পানি হলো সেই ক্যানভাসে লেপ্টে থাকা জলরঙ।মেয়েটি পরিপূর্ণ ভাবেই মায়ের শ্রীয়ের উত্তরাধিকারীত্ব পেয়ে বসে আছে।এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকার কারণে মোহিনী মির্জার বা’চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়লো।তড়িঘড়ি করে চোখ মুছে নিলেন।চন্দ্ররেখাকে সব ঔষধ যত্নসহকারে খাইয়ে,ছেলকে কিছু সময় বুঝ দিলেন।শারাফ টচ করে তার মায়ের কপালে চুমু খেলো।মোহিনী মির্জাকে অপ্রস্তুত করার জন্য এতোটুকুই যথেষ্ট ছিলো।তিনি কপট রাগ দেখালেন।

-‘হয়েছে আর ঢং দেখাতে হবে না!বারবার করে বলে দেওয়ার পরও, শুধুমাত্র তোর অসাবধানতার জন্য এক্সিডেন্ট হয়েই গেল।এবার কান খুলে শুনে রাখ!ওর গায়ে হাল্কা জ্বর আছে,রাতে জ্বর বাড়লে আমাকে অবশ্যই ডাকবি…কেমন?’

শারাফ মাথা নেড়ে সম্মতি জানালো।মোহিনী মির্জা চন্দ্ররেখা পুনরায় সাবধান করে নিজের কক্ষের দিকে এগিয়ে গেলেন।বেশ রাত হয়েছে,তার নিজেরও একটু বিশ্রাম প্রয়োজন।

———

মূলত চন্দ্ররেখা নিজেই নওশিনের ধাক্কা দেওয়ার ব্যাপারটি সবার কাছ থেকে এড়িয়ে গেছে।নিজের মতো সাজিয়ে কিছু একটা বলে দিয়েছে।যদিও মিথ্যে বলতে তার বেশ কষ্ট হচ্ছিল!শারাফ সত্যিটা বলতে যেয়েও রেখার অনুরোধে চুপ হয়ে গেছে।রেখার ধারণা নওশিন হয়ত না বুঝেই ধাক্কা দিয়ে ফেলেছে! কি দরকার তাকে সবার সামনে ছোট করার!সে যদি ওই সময় জেদ না করতো,তাহলে নওশিন তাকে ধাক্কা দেওয়ার সুযোগই পেত না।নওশিনের সাথে চন্দ্ররেখা নিজেও সমান দোষী।সেই সময় চিৎকারের শব্দ শুনে কোনো কিছু বিবেচনা না করেই একদম হাইপার হয়ে গিয়েছিলো।সুধা মির্জার কথায় হসপিটালে মেনে নিলেও,রেখার এখনও কিছুটা খটকা লাগছে।সত্যি কি কেউ ছিলো না সেই গোডাউনে!সবই কি মনের ভুল!শারাফকে একবার জিজ্ঞেস করবে কি?যেহেতু তাদের সম্পর্কটাকে একটা সুযোগ দিবে বলে ভেবেছে সেই হিসেবে শারাফকে ভরসা করতে তো দোষ নেই।

-‘কখন থেকে ডেকে চলছি আপনাকে!এতো কি ভাবছেন অপ্সরা?’

শারাফ তার দীর্ঘকায় সুঠাম দেহ নিয়ে চন্দ্ররেখার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে।রেখা শারাফের দিকে তাকাল।শারফের চোখের দৃষ্টিতে খানিকটা অপরাধবোধের পাশাপাশি ভালোবাসাময় ব্যাকুলতা স্পষ্টত।পুরুষ মানুষ কান্না করতে পারে না কথাটি একদমই ভুল।পুরুষ মানুষের চোখ তার প্রণয়িনীর জন্য সবসময় কাঁদে।শারাফের রক্তাক্ত চোখ দুটি জুড়ে কেবল চন্দ্ররেখার জন্য আসক্তি।এই সুদর্শন পুরুষটি একমাত্র তার এটা মনে হলেই রেখার বুকে কাঁপন ধরে যায়।শারাফের পরনে সাদা রঙের পাঞ্জাবি পায়জামা,হাতা কনুই অবদি গুটানো।হাতের পশম গুলো কি সুন্দর চামড়ার সাথে লেপ্টে আছে!ইসস,চন্দ্ররেখাও যে ঠিক একইভাবে শারাফের সাথে লেপ্টে থাকতে চায়।নিজের ভাবনার জন্য রেখা বেশ লজ্জা পেলো। সাদা গালে আবছা গোলাপি গোলাপি আভা।এদিকে শারাফ চোখ ভরে চন্দ্ররেখার সৌন্দর্য আহরণ করছে।কিছু সময়েই শারাফ অসংখ্য বার মাশাল্লাহ বলে ফেলেছে।বেলকনির মৃদু বাতাস ঘরে প্রবেশ করছে,সেই বাতাসে শারাফের চুল গুলো হেলেদুলে উঠছে।চন্দ্ররেখার জবাবে শারাফের ঘোর কাটলো।

-‘আপনাকে নিয়ে ভাবছি।’

-‘সত্যি!যাক তাহলে আমার বউয়ের কিছুটা সুবুদ্ধি হয়েছে বলা যায়।তা কি ভাবছেন শুনি!’

রসিকতার সহিত জিজ্ঞেস করলো শারাফ।শারাফের মুখে বউ ডাক শুনে চন্দ্ররেখা লজ্জায় আরো কুঁকড়ে গেল।কাঁপা কাঁপা গলায় জবাব দিলো।

-‘আপনার মাদকাময় চোখ দুটি ভীষণ সুন্দর।’

শারাফ আরো কিছুটা এগিয়ে গেল।দুইজনের মধ্যে দূরত্ব নেই বললেই চলে।এক অপরের নিশ্বাসের শব্দ শুনতে পাচ্ছে তারা।রেখা শারাফের ওপর থেকে দৃষ্টি ইতিমধ্যে সরিয়ে নিয়েছে।তার বক্ষে যে খুবই অদ্ভুত ধরনের অনুভূতি হচ্ছে!শারাফ চন্দ্ররেখার ডান হাত নিজের হাতে তুলে নিলো।তাকে নিয়ে বিছানায় বসিয়ে দিলো।নিজে চন্দ্ররেখার সামনে হাঁটু গেড়ে বসলো।রেখা বিস্মিত চোখে শারাফের সব কর্মকান্ড দেখে যাচ্ছে।শারাফ চন্দ্ররেখার দুইহাত নিজের দু’গালে চেপে ধরলো।

-‘আমার উচিত ছিল আপনার খেয়াল রাখা।এভাবে অপরিচিত জায়গায় আপনাকে রেখে আসা আমার একদম উচিত হয় নি।আমি চাই আপনি আমাকে এরজন্য শাস্তি দিন।যদি আপনার আরো বেশি ক্ষতি হয়ে যেত!এটা ভেবেই আমার ভেতরে ভীষণ জ্বালা পোড়া হচ্ছে!কোনোভাবেই শান্তি পাচ্ছি না।প্লিজ প্লিজ!আমাকে শাস্তি দিন।’

শারাফ আচমকা রেখার দু’হাতে চুমু খেতে লাগলো। সাথে বিড়বিড় করে বলতে লাগলো,’প্লিজ আমাকে শাস্তি দিন।”রেখার সমস্ত কায়ায় শিরশিরে এক অনুভূতি বয়ে গেলো।তার চোখ আপনাআপনি বন্ধ হয়ে হয়ে।সে অনুভূতির জোয়ারে ভেসে যাচ্ছে।পর মূহুর্তেই নিজেকে সামলে নিলো।

-‘আপনি কেন নিজেকে বারবার দোষী সাবস্ত করছেন!আমার একদম উচিত হয় নি, আপনাকে না বলে সেখানে একা একা যাওয়া।’

-‘তারপরও’…আমার।’

-‘হুশশ….আপনার একদমই গিল্টি ফিল হওয়ায় প্রয়োজন নেই।যা হয়েছে, সেটা কেবল একটা এক্সিডেন্ট।দুঃস্বপ্ন মনে করে সব ভুলে যান।’

শারাফ ফ্যালফ্যাল করে চন্দ্ররেখার দিকে তাকিয়ে আছে।ঠোঁট দিয়ে চন্দ্ররেখার হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।খানিক থেমে চন্দ্ররেখা প্রশ্ন করলো,

-‘আমি সেই গোডাউনের দরজা খোলা অবস্থায় একসাথে অনেক মানুষের চিৎকারের শুনতে পেয়েছিলাম।কিন্তু দরজা বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে সব চিৎকার যেন হওয়ায় মিইয়ে গিয়েছিলো। আদোও কি সবকিছু আমার ভ্রম! নাকি সত্যি সেখানে কেউ ছিলো?’

শারাফ আকস্মাৎ রেখার হাত ছেড়ে উঠে দাঁড়াল।কামরার লাইট অফ করে,বিছানার এক পাশে টানটান হয়ে সুয়ে পড়লো।রেখা হতভম্ব হয়ে গেল।কি করবে বুঝে পেল না!শারাফ কি তার করা প্রশ্ন ক্ষুদ্ধ হয়েছে?কিন্তু কেন!রেখার মন ভার হয়ে গেল।শারাফ চট করেই উঠে বসলো,রেখাকে টেনে বিছানায় শুয়ে দিলো।পাশে আধশোয়া হয়ে রেখার চুলে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলল,

-‘গায়ে যে জ্বর সেই খেয়াল কি আছে আপনার!এসব ব্যাপারে পরে কথা হবে,এখন চুপটি করে ঘুমিয়ে পরুন।আজ আর কোনো না।’

শারাফের এড়িয়ে যাওয়া রেখা স্পষ্টত লক্ষ্য করলো।বিছানায় পিঠ লাগার সাথে সাথে সারাদিনের ক্লান্তিরা জেঁকে ধরলো। কিছু বলতে চাইলেও,পারলোনা।চোখ দুটি অটোমেটিক বন্ধ হয়ে গেল।শারাফ নির্নিমেষ তাকিয়ে রইল।বেলকনিতে জ্বলতে থাকা লাইটের আবছা আলোয়,চন্দ্ররেখার মায়াবী মুখের মায়া ডুবে যেতে চাইলো।

———

সুধা মির্জার সামনে দাঁড়িয়ে আছে আরিফ।ঘুম ঢুলুঢুলু অবস্থা!দেয়ালে থাকা ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো,রাত একটা বেজে পনেরো মিনিট।এতো রাতে ডেকে পাঠানোর কোনো মানে হয়!আরিফ মনে মনে বেশ বিতৃষ্ণা বোধ করলো।

-‘বসো আরিফ।তোমার সাথে আমি বেশখানিকটা সময় নিয়ে কথা বলবো।আশা করি তোমার কোনো সমস্যা নেই?’

-‘জি,না বড়মা!কোনো সমস্যা নেই।’

আরিফ সুধা মির্জার সামনে থাকা সোফায় বসে পড়লো।সুধা মির্জা স্বাভাবিক ভাবে বলে উঠলেন,

-‘আমি চাই তুমি নওশিনকে বিয়ে করো।আমি এ ও জানি তুমি নওশিনকে পছন্দ করো।তোমার আপত্তি থাকার তো কোনো প্রশ্নই আসে না!’

সুধা মির্জার কথা শুনে আরিফের ঘুম উধাও হয়ে গেল।বড়ো বড়ো চোখ করে তাকিয়ে রইল।সে কি কানে ভুল কিছু শুনে ফেলছে!শুকনো কেশে উঠলো।তারপর মিনমিন করে বললো,

-‘কিন্তু নওশিন তো আমাকে…’

আরিফের কথায় বাগড়া দিয়ে, সুধা মির্জা বলে উঠলেন,

-‘সে চিন্তা তোমায় করতে হবে না।নওশিন আমার কথার দ্বিমত করবে না,সেটা তুমি বেশ ভালোই জানো।আর আজকের ঘটনার পর শারাফ যে চুপ থাকবে না,সেটাও তুমি জানো।নওশিনকে শাস্তি দিতে বিন্দুমাত্র পরিমাণ পিছপা হবে না সে।আমি চাই তুমি কালকের মধ্যেই নওশিনকে বিয়ে করো।’

আরিফ নিজের হাতে চিমটি কাটলো কোনো স্বপ্ন দেখছে না তো? নওশিনকে পাওয়ার আশা তো সে বহু আগেই ছেড়ে দিয়েছিলো।অবশেষে কি নওশিনকে নিজের করে পাবে!

-‘আমার তোমাকে নওশিনের অতীত বিষয়ে কিছু বলার আছে।আমি চাই তুমি সব জেনে সিদ্ধান্ত নেও।বিয়ের পর তুমি এ নিয়ে আফসোস করো আমি একদমই চাই না।’

আরিফ প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল।বুক কামড়ে উঠলো।নওশিনের এমন কি অতীত আছে যার জন্য তার আফসোস হবে!যতো খারাপ অতীতই থাকুক না কেন,নওশিনকে সে ছাড়বে না।ভাগ্য যেহেতু একবার সুযোগ দিয়েছে,সেই সুযোগকে সে কাজে লাগাবে।

চলবে

আমি গল্পটা একটু সময় নিয়ে সাজিয়ে লিখতে চাইছি।আশা করি আপনারা আমাকে সেই সময়টুকু দিবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here