উপন্যাসের শেষ পাতায় তুমি পর্ব -০১

#উপন্যাসের_শেষ_পাতায়_তুমি
#Writer_Tanisha_Akter_Tisha
#Part_1

কপি নিষিদ্ধ ❌

আস্তে আস্তে চোখ খুলে বুঝতে পারলাম হাত,পা,মুখ বাধা অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছি।
খুব কষ্টে উঠে হেলান দিয়ে বসলাম বুঝতে পারলাম একটি রুমে বন্ধি আছি,
উহু রুমটি অন্ধকার নয়,খুব সুন্দর সাজানো গোছানো আলো বাতাস পূর্ণ।

হঠাৎ বারান্দা থেকে ভেসে আসল,

“Janam dekhlo
Mit gayin duriyaan

Main yahaan hoon
yahaan hoon
yahaan hoon yahaan

Janam dekhlo
Mit gayin duriyaan

Main yahaan hoon
yahaan hoon
yahaan hoon yahaan

Kaisi sarhade
kaisi majbooriyan

Main yahaan hoon
yahaan hoon
yahaan hoon yahaan

(বাকিটুকু নিজ দায়িত্বে শুনে নিবেন 😊)

গানটা শুনে আমার হাত পা থর থর করে কাঁপতে শুরু করলো, হার্ট দ্রুত বিট করছে। গলারস্বর টা চিনতে বিন্দু মাত্র অসুবিধা হল না, ভয়ে সারা শরীর ঘেমে একাকার হয়ে গেছে।

বারান্দা থেকে রুমে আসতে আসতে সে বলল

-কি হলো জানপাখি ভয় পাচ্ছো? ভয় পাওয়ার কি আছে আমিই তো, [ মুচকি হেসে কথাটা বললো ]

বিছানায় বসে আমার মুখের বাধন খুলে আমার গাল শক্ত করে চেপে ধরে
রাগি কন্ঠে চোয়াল শক্ত করে দাঁতে দাঁত চেপে বলতে লাগলো-

“এখন এত ভয় পাচ্ছো কেন?
পালানোর আগে এই ভয় কোথায় ছিল
তোমাকে আমি বার বার বলেছি আর যাই করো না কেন কখনো আমার থেকে দূরে যাবার কথা মাথায়ও আনবে না, কিন্তু তুমি কি করলে আমার থেকে পালানোর চেষ্টা করলে। খুব বড় ভুল করেছো জানপাখি, এতোদিন তুমি শুধু আমার ভালো রূপটা দেখেছো,আমার কথার অবাধ্য হলে আমি ঠিক কতোটা ভয়ংকর হতে পারি তা এবার তোমাকে হাড়ে হাড়ে বোঝাবো। Just wait and see. ”

ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে রেগে হন হন করে বেড়িয়ে গেল।বেড় হবার সময় ঠাস করে দরজা বাহির থেকে লক করে গেলো।
দরজার আওয়াজে হালকা কেঁপে ওঠলাম

” আচ্ছা আমি কি কখনোই তার হাত থেকে মুক্তি পাব না,এভাবেই কি সারাজীবন তার সাথে কাটাতে হবে?

ভাবতে ভাবতে ডান চোখ থেকে একফোঁটা জল গড়িয়ে পরলো।

Past-

“ছায়া এতিমখানা”

গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আরো একবার নামটি মনে মনে বললাম, এই নামটি যে ভুলবার নয়, এখানেই তো কেটেছে আমার শৈশব, হয়েছি বড়, এখানের প্রতিটি কোনায় কোনায় সৃতি ছড়িয়ে আছে।

ভেতরে প্রবেশ করলাম।

এতিমখানার মালিক রফিক আহমেদ ও তার স্ত্রী ছায়া বেগমকে জড়িয়ে ধরে বললাম,

কেমন আছো তোমারা?

উওরে রফিক আহমেদ বললেন,
আমরা ভালো আছি,মামনি তুই কেমন আছিস?

আমিও ভালো আছি।

ছায়া বেগম জিজ্ঞেস করলেন,
হে রে মা আয়েশা কোথায়?

ও তো আসলে….

বলতেনা বলতে ফোন বেজে উঠলো।

হ্যালো কই তুই?

পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে

এই তো আমি, “Happy Birthday Tishu Pakhi”.

“Thank you janu”,তোর এত লেট হলো কেন?

আর বলিস না ঢাকা শহরের জ্যামের সম্পর্কে তো তুই জানিসই, জ্যামে আটকা পরেছিলাম তাই লেট হলো আসতে, সরি রে জানু।

আচ্ছা ঠিক আছে চল বাচ্চাদের কাছে।

[ তানিসা আক্তার তিশা, সবাই ওকে তিশা বলে ডাকে,
দেখতে খুবই সুন্দর, ফর্সা গায়ের রং, টানা টানা চোখ, গোলাপী ঠোট, মায়াবি চেহারার অধিকারী সে, সবচেয়ে আকর্ষনীয় দিক হলো তার লম্বা সিল্কি চুল আর ঠোঁটে ও থুতনিতে থাকা তিল। যেই তাকে একবার দেখবে তার চোখ ফেরানো দায় হয়ে যাবে,তিশার বাবা মা নেই,
ওর একমাত্র দূর্বলতা ও শক্তি হচ্ছে আয়েশা। আয়েশা ওর বেস্টফ্রেন্ড ওরা একসাথে ছোট থেকে বড় হয়েছে এই এতিমখানায়।বর্তমানে ওরা পড়াশোনা শেষ করে একটি অফিসে জব করে,ওরা দুইজন একসাথেই একটা ফ্ল্যাটে থাকে]

[ আয়েশা সিদ্দিকা। দেখতে মাশাল্লাহ অনেক সুন্দর, আয়েশা শ্যামবতী কন্যা তার চেহারায় অনেক মায়া জড়ানো। যেকোনো পুরুষ তার মায়ায় আটকাতে বাধ্য।
সেও লম্বা চুলের অধিকারি। ও আর তিশা একে অপরকে এতই ভালো বাসে যে ওরা একে অন্যের জন্য জান দিতেও দ্বিধাবোধ করবেনা]

ওরা দুই জন সব বাচ্চাদের গিফট দিয়েছে।দুপুরের খাবার একসাথে খেয়ে বাসায় চলে গেছে।

এখান থেকে যাওয়ার পর ওরা ওদের জন্মদিন এখানে এসে সবার সাথে পালন করে।

চলবে কি?

[

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here