উপন্যাসের শেষ পাতায় তুমি পর্ব -২৭+২৮

#উপন্যাসের_শেষ_পাতায়_তুমি
#Writer_Tanisha_Akter_Tisha
#Part_27

কপি নিষিদ্ধ ❌

তিশা বক্স খুলতেই দেখতে পেলো একটা ডায়েরি, একটা ইয়া রিং আর আর্ট করা অনেক গুলো ছবি।এসব কিছু দেখে তিশা পুরো থ হয়ে রইল।ওসমান ইয়া রিং টা হাতে নিয়ে তিশার দিকে তাকায়,
পাঁচ বছর ১০ মাস আগে শুধু এই একটা স্মৃতিই ছিল আমার কাছে।

তিশা : এটা আমার কানের দুল?

ওসমান : হুম, চিনতে পারােনি?

তিশা : ঠিক মনে পরছে না, পাঁচ বছরে তো অনেক কানের দুল কিনেছি, ফেলেছি।এটা চিনতে পারছি না। বলুন না কোথায় পেয়েছেন।

ওসমান : সময় হলে জানতে পারবেন।

তিশা : উফফ কিছু জিজ্ঞেস করলেই বলেন সময় হলে জানতে পারবে,বলি সময়টা আসবে কবে।

ওসমান : সবর করো বালিকা সবর করো।

তিশা ওসমান দিকে রাগি দৃষ্টিতে তাকায়।

তিশা : এই ছবিগুলো কে একেছে?

ওসমান : তোমার বর।

তিশা : আপনি ছবিও আঁকতে পারেন!

ওসমান : ছোট বেলায় আর্ট স্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম,তাই পারি।আমার কাছে তোমার কোনো ছবি ছিল না তাই তোমার ছবি এঁকেছি।

তিশা : এই ডায়েরিতে কি লিখেছেন।

ওসমান : তোমাকে নিয়ে লিখেছি।

ও ডায়রি খুলতে নিলেই ওসমান ডায়েরিটা ওর হাত থেকে নিয়ে টেবিলের উপর রেখে দেয়।
ওসমান : বাহিরে কতো সুন্দর বৃষ্টি হচ্ছে, চলো ছাদে যেয়ে ভিজি।

তিশা : আচ্ছা চলুন।

ওরা ছাদের দিকে যায়।

আয়েশা : এই মায়াবতীর আশিক।

ওমর : হুম মায়াবতী।

আয়েশা : কতো সুন্দর বৃষ্টি হচ্ছে চলোনা বৃষ্টিতে ভিজি।

ওমর : ওকে জানেমান।

আয়েশা : চলো ছাদে যাই।

ওমর : না সিড়ি দিয়ে উঠার আওয়াজ পেলাম ভাইয়া ভাবি ছাদে আছে আমরা বরং বাগানে যাই।

আয়েশা : আচ্ছা চলো।

ওমর : তুমি আগে যাও আমি ছাদের আর বাগানের লাইটগুলো অন করে দিয়ে আসছি।

আয়েশা : ওকে।

ওরা দু’জন বাগানে যায়।

তিশা দুহাত মেলে আকাশের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজচ্ছে,ছাদের কর্নারে হেলান দিয়ে ওসমান ওর “বৃষ্টি বিলাসিনীকে” দেখছে।

বাগানে বৃষ্টির প্রতিটা ফোঁটা আয়েশা ওমরকে ভিজিয়ে দিচ্ছে।

তিশা চোখ মেলে ওসমানের দিকে তাকিয়ে দেখে ওসমান ওর দিকে একমনে তাকিয়ে আছে, তিশার আয়েশার বলা কথাটা মনে পরে।
তিশা : [মনে মনে]: আজ আমাদের মধ্যে সব দুরত্ব মিটিয়ে দিবো।
ওসমানের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে।ওসমানের কাছে আসতে আসতে,
Zara zara behekta hai
Mehek ta hai,
Aj to mera tan badan
main pyaasi hoon.

ওসমানের গালে হাত রেখে,
Mujhe bhar le
Apni bahoon mein.

আয়েশা ওমরকে নিয়ে সুইমিংপুলে নেমে ওর বুকে হেলান দেয়,ওমর ওকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে কাঁধে থুতনি রাখে,ওর স্পর্শ পেয়ে আয়েশা গেয়ে উঠে,
Zara zara behekta hai
Mehek ta hai,
Aj to mera tan badan
main pyaasi hoon.

পেছনে ঘুরে ওমরের মুখোমুখি হয়ে,
Mujhe bhar le
Apni bahoon mein.

ছাদে,
তিশা : Hai meri kasam tujhko sanam
door kahin na jaa.

বাগানে,
আয়েশা : Ye doori kehti hein
Pass mere aajaa.

ছাদে,
ওসমানের গলা জড়িয়ে,
তিশা : Yunhi baras baras
Kali ghata barse,
Hum yaar bheeg jaaye is
Chaahat ki barish mein.

বৃষ্টির পানিতে আয়েশার চুল গালের সাথে লেপ্টে ছিল ওমরের চুল গুলো গাল থেকে সরিয়ে দেয়।
আয়েশা : Meri khuli khuli laton ko
Suljhaye,
Tu apni ungliyon se mein to
Hoon isi khawaahish mein.

আচঁলের শেষ অংশ ওসমানের উপর দিয়ে,
তিশা : Sardi ki raaton mein
Hum soye rahe ek chaadar mein.

ওসমানের থেকে একটু দূরে সরে,
তিশা : Hum dono tanha ho na koi bhi
Rahe is ghar mein.

ওমর আয়েশাকে কোলে নিয়ে সুইমিংপুল থেকে উঠে আসে।
আয়েশা : Zara zara behekta hai
Mehek ta hai,
Aj to mera tan badan.
main pyaasi hoon,
Mujhe bhar le
Apni bahoon mein.

দুহাত দিয়ে ওসমানের শার্টের কলার ধরে হালকা ভাবে টান দিয়ে,
তিশা : Tadpaye mujhe teri sabhi
Baatein.
Ek baar ae deewane
Jhoota hi sahi pyaar to kar

ওমর আয়েশাকে কোলে নিয়ে ঘুরে,আয়েশা ওর গলা জড়িয়ে ধরে,
আয়েশা : Main bhooli nahin
Haseen mulaaqatein.

ওসমান তিশার কাঁধে চুমু দেয়।
তিশা : Bechain kar ke mujhko
Mujhse yun na pher nazar.

ওমরের চোখের দিকে তাকিয়ে,
আয়েশা : Roothega na mujhse
Mere saathiya yeh waada kar.

ওসমানের হাত ধরে
তিশা : Tere bina mushkil hai
Jeena mera mere dilbar.

আয়েশা : Zara zara behekta hai.

তিশা : Mehek ta hai.

আয়েশা : Aj to mera tan badan
main pyaasi hoon,

তিশা : Mujhe bhar le
Apni bahoon mein.

আয়েশা : Hai meri kasam tujhko sanam.

তিশা : Door kahin na jaa.

আয়েশা : Ye doori kehti hein.
ওমর আয়েশাকে কোলে তুলে বাসার ভেতরে নিয়ে যায়।

তিশা : Pass mere aajaa.
ওসমানকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।
জড়িয়ে ধরেই,
সরি।

ওসমান : কেন?

তিশা : তোমাকে বার বার কষ্ট দেওয়ার জন্য।

তিশা মুখে তুমি ডাক শুনে ওসমানের মুখে হাসি ফুটে উঠে।

তিশা : ঐদিন ছবি গুলো দেখে আমার মাথা কাজ করেছিল না, আমি বুঝতে পারিনি কি করবো, একবার মনে হয়েছে তুমি আমাকে ধোঁ!কা দিয়েছো আরেক বার মনে হয়েছে তুমি আমাকে ধোঁ!কা দেওনি এসব মিথ্যা, আমার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল বুঝতে পারিনি কি করবো, কিন্তু এই কয়েকদিন অনেক ভেবে দেখলাম ওগুলো সব মিথ্যা তুমি আমাকে ধোঁ!কা দেওনি, কিন্তু আমি বার বার তোমাকে কষ্ট দিয়েছি,সরি।

ওসমান : সরি বলতে হবেনা তুমি হাজারটা ভুল করলেও তোমাকে মাফ করে দিব, কিন্তু আমার থেকে কখনো দূরে যাওয়ার কথা মাথায়ও আনবে না।

ওসমানের কপালের সাথে কপাল ঠেকিয়ে স্লো ভয়েসে,
প্রোমিশ কখনো তোমায় ছেড়ে যাবোনা,কখনো তোমায় ভুল বুঝবোনা,শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত তোমার সাথে থাকবো।আমার #উপন্যাসের_শেষ_পাতায়_তুমি,
ভালোবাসি ওসমান।

ওসমান : আমারও #উপন্যাসের_শেষ_পাতায়_তুমি আমার বউটাকে খুব ভালোবাসি।

তিশা মুচকি হাসলো।

ওসমান : আজকি তোমাতে বিলীন হতে দিবে?
আমার ভালোবাসার রঙে নিজেকে রঙিন করবে কি?

তিশা : হুম রঙিন হবো তোমার রঙে, ডুব দিব ভালোবাসার সাগরে, বিলীন হবো তোমাতে।

ওসমান তিশার কোমড় জড়িয়ে নিজের খুব কাছে নিয়ে আসে।

পরদিন সকালে,

ওসমান ওমর নাস্তা করে হসপিটালে চলে যায়। আয়েশা ওর রুমে বই পরছে, তিশা বসে টিভিতে হরর মুভি দেখছে। একটু পরে ফোনে কথা বলতে বলতে আয়েশা তিশার কাছে আসে।
আয়েশা : দেখো মামনি তোমার মেয়ে বসে বসে মুভি দেখছে।

তিশা : আসসালামু ওয়ালাইকুম মামনি কেমন আছো?

অবান্তিকা : ওয়ালাইকুম আসসালাম, আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি তোমরা কেমন আছো?

তিশা : আমারও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

অবান্তিকা : দেশে ফিরবে কবে?

তিশা : জানিনা মামনি, তোমার ছেলে তো এখনো বলেনি কবে যাবে।

অবান্তিকা : তোমাদের খুব মিস করছি।

তিশা ও আয়েশা : আমরাও।

ওরা আরও কিছুক্ষণ কথা বলে।

রাতে ওসমান তিশার মাথা তেল দিয়ে মালিশ করে দিচ্ছে।
ওসমান : মাথা ব্যাথা কমেছে?

তিশা : হুম অনেকটাই।

ওসমান : আরেকটু মাসাজ করলেই কমে যাবে।

মাসাজ শেষে চুল আঁচড়িয়ে বেনী করে দেয়।

ওসমান : ছোট বেলায় দেখতাম বাবা মামনির চুল বেঁধে দিত,ইভেন এখনো দেয়।

তিশা : বাবা মামনি দুজন দুজনকে কতো ভালোবাসে তাই না।

ওসমান : হুম ভীষণ ভালো বাসে, বাবা কখনো মামনিকে ধ’ম’ক দিয়েও কথা বলেনি।

তিশা : দে আর সুইট কাপল।

ওসমান : হুম।

তিশা : আমরা দেশে ফিরবো কবে?

ওসমান : এখনো বলতে পারছিনা দেখি সব মেনেজ করি তার পর যাবো।

তিশা : বাবা মামনিকে খুব মিস করছি একটু দ্রুত সব কিছু ঠিক করো না।

ওসমান : চেষ্টা তো করছি।চিন্তা করো না খুব তাড়াতাড়ি আমরা বাবা মামনির কাছে যাবো।

তিশা : হুম।

ওসমানের গলা জড়িয়ে,
বেবি।

ওসমান : বেবি!

তিশা : হুম বেবি।

ওসমান : তুমি আমাকে বেবি বলো ডাকছো কেন?

তিশা ওর কথা শুনে ফিক করে হেসে দিয়ে গলা থেকে হাত সরিয়ে নেয়।
আমি নি”ব্বি হওয়ার চেষ্টা করছিলাম,আর তোমার নিহাও তো বেবি বলে ডাকে তাই আমিও বললাম।

তিশার হাত ধরে টান দিয়ে নিজের কাছে এনে,
ভুল বললে আমার নিহা না আমার তিশা হবে।
কথা টা বলে তিশার নাকে টোকা দিল।

তিশা : বাহ বাহ বউয়ের প্রতি এতো ভালোবাসা!

ওসমান : আছেই তো বউ, বউকে ভালোবাসবো না তো কাকে ভালোবাসবো,বউ ছাড়া আমার চলেই না।

তিশা : তাই বুঝি,

ওসমান : হুম তাই ডেমো দেখাবো?

তিশা : না না কোনো দরকা….

ওর কথা শেষ হওয়ার পূর্বেই ওসমান ওরর মুখ বন্ধ করে দেয় 😉

আজ ওদের বিয়ের ২ মাস পুরোন হল।
খুব ভালো কেটেছে দিনগুলি।

ওসমান তিশা ছাদের দোলনায় বসে আছে,ওমর আয়েশা বাহিরে গিয়েছে।
ওসমানের কাঁধে মাথা রেখে আকাশের চাঁদের দিকে তাকিয়ে তিশা বলে,
মনে আছে সেদিন গাড়িতে বলেছিলে কোনো একদিন জোছনা বিলাস করতে করতে আমাকে সব কথা গুলো বলবে।

ওসমান : হুম।

তিশা : আজ বলোনা প্লিজ, আমি আর অপেক্ষা করতে পারছিনা।

ওসমান : আচ্ছা বলছি আমার বউটাকে আর অপেক্ষা করাবোনা।

তিশা : আমি কফি বানিয়ে নিয়ে আসি?

ওসমান : চলো একসাথে বানাই।

তিশা : তুমি বসো আমি যাবো আর আসবো।

ওসমান : আচ্ছা।

তিশা রান্নাঘরে যেয়ে এক কাপ কফি বানিয়ে নিয়ে আসে।

কফির মগটা বারিয়ে দিয়ে,
তিশা : নেও।

ওসমান : তোমারটা কোথায়?

তিশা : আমরা এক কাপে খাবো।

ওসমান : বাহ আমার বউ তো দেখি খুব রোমান্টিক।

তিশা : কফিটা খেয়ে বলো কেমন হয়েছে।

ওসমান : উমম…..টেস্টি একদম তোমার মতো।

তিশা : কি বললে😒

ওসমান : 😅

ওসমানের কাধে মাথা রেখে,
এবার বলো,

ওসমান : তুমি জানতে চেয়েছিলেনা আমি মামনির সাথে কেন মন খুলে কথা বলিনা,ছবিতে থাকা মেয়েটার সাথে আমার কি সম্পর্ক, তোমার প্রেমে পরলাম কিভাবে,সব প্রশ্নের উত্তর আজ দিব,৬ বছর আগে ঘটনার সাথে এই তিনটে বিষয়ই জড়িত। আমি এখন গম্ভীর হয়ে থাকলেও ৬ বছর আগে অনেক রসিক ছিলাম পুরো বাড়ি মাতিয়ে রাখতাম সবাইকে হাসি খুশি রাখতাম, কাজিনরা একসাথে হলে পুরো আড্ডায় সেরা থাকতাম আমি, খুব মজা করতাম কিন্তু ৬ বছরে সব পাল্টে যায় আমিও হয়ে যাই রাগি গম্ভীর প্রকৃতির।

তিশা : কি হয়েছিল ৬ বছর আগে?

ওসমান : শুন ৬ বছর আগে,

“৬ বছর আগে “,

#উপন্যাসের_শেষ_পাতায়_তুমি
#Writer_Tanisha_Akter_Tisha
#Part_28

কপি নিষিদ্ধ ❌

৬ বছর আগে,

ওসমান,ওমর,ওয়াহিদ, অবান্তিকা ডাইনিং টেবিলে বসে খাবার খাচ্ছে।

অবান্তিকা : বাবা তোমাকে একটু পরে এয়ারপোর্টে যেতে হবে।

ওসমান : কেনো মামনি?

অবান্তিকা : জেরিন,জেসমিন আর জাবেদ ভাই আজ আসবে আমাদের বাসায়।

ওয়াহিদ : মালেশিয়া থেকে সোজা আমাদের বাসায় আসবে?

অবান্তিকা : হুম আমি বলেছি,১৫ বছর ধরে আমার বেস্ট ফেন্ডকে দেখি না তাই বলেছি সোজা আমার বাসায় আসতে।

ওয়াহিদ : ভালোই করেছো অনেক বছর পর দেখা হবে।

ওমর : জেসমিন শাঁ’ক’চু’ন্নি টাও আসবে,

অবান্তিকা : বাবা এভাবে বলতে হয় না।

ওসমান : ঠিকই তো বলছে ছোট বেলায় আমাকে জা’লি’য়ে মা’রতো সারাদিন পেছন পেছন ঘুরতো, কি যে বি’র’ক্ত করতো, উফফ।

ওমর : তোমরা তো ছিলে টম এন্ড জেরি সারাদিনই ঝগড়া করতে,আর ও সবসময় আমার খেলনা ভে!ঙে ফেলতো।

ওসমান : জেসমিন সব সময় জেরিন আন্টির কাছে আমার নামে মিথ্যা না’লি’শ করতো।

ওমর : তুমি বুঝি ছেড়ে দিতে তুমি তো ওর চুল ছি’ড়ে ফেলতে।

ওসমান : হুম ওকে হাতের কাছে পেলেই ওর চুল ছি’ড়তাম।

ওমর : এবার আর বেচারির চুল ছিড়ো না।

অবান্তিকা : তোমরা ছোট বেলায় আমাদের অনেক জা’লি’য়ে’ছো।বাবা শুনো তুমি জেসমিনকে নিয়ে সবকিছু ঘুরে ঘুরে দেখাবে।

ওসমান : মামনি আমাকে কেন বলছো ওকে বলো ওতো এমনিতেও টোটো কোম্পানির মেনেজার হয়ে ঘুরে বেড়ায়।

অবান্তিকা : প্রয়োজন আছে তাই বলেছি,জেসমিন ১৫ বছর পর দেশে আসছে তাই ওকে সব কিছু ঘুরে ঘুরে দেখাবে।তোমরা খাবার শেষ করে এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে রওনা দিও।

ওসমান : ওকে আম্মিজান,আমার খাওয়া শেষ আমি উঠলাম।

ওসমান ওমর এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে রওনা দিল।

ওরা এয়ারপোর্টের সামনে দাঁড়িয়ে আছে,
একটুপর দু’জন মানুষকে ওদের দিকে আসতে দেখলো,

ওসমান ও ওমর : আসসালামু ওয়ালাইকুম আঙ্কেল, আন্টি।

জেরিন,জাবেদ : ওয়ালাইকুম আসসালাম বাবা।

ওমর : আন্টি জেসমিন কোথায়?

জেরিন : আসতেছে।

ওসমান : তুই আঙ্কেল আন্টিকে নিয়ে গাড়িতে যেয়ে বস।আমি জেসমিনকে নিয়ে আসছি।

ওমর : আচ্ছা,চলুন।

জেরিন, জাবেদ,ওমর গাড়িতে উঠে বসে।
ওসমান ওদের দিকে তাকিয়ে ছিল তখনই কেউ ওকে জড়িয়ে ধরে,
ওসমান পিছে ঘুরে দেখে খুব সুন্দর,স্টাইলিস মেয়ে ওর সামনে দাঁড়িয়ে আছে,মেয়ে টা ওর দিকে তাকিয়ে খুশি হয়ে বলে,
ওসমান।

ওসমান : জেসমিন।

জেসমিন : কেমন আছো ওসমান?

ওসমান : আলহামদুলিল্লাহ ভালো।চলো বাসায় যাওয়া যাক।

জেসমিন : চলো।

ওরা গাড়ির সামনে যায়,

ওমর : জেসমিন।

জেসমিন : কেমন আছো ওমর?

ওমর : এইতো ভালো।গাড়িতে উঠে বসো।

ওসমান ড্রাইভিং সিটে বসে,ওর পাশে ওমর বসতে নিলে জেসমিন বলে উঠে,
ওমর আমি সামনে বসি তুমি পেছনে যেয়ে বসোনা প্লিজ।

ওমর : আচ্ছা বসো।

জেসমিন : থ্যাঙ্ক ইউ।

ওরা গাড়িতে উঠে বসে ওসমান গাড়ি স্টার্ট দেয়।
ওরা খান বাড়িতে এসে পৌঁছায়।
কলিংবেলের আওয়াজ শুনে অবান্তিকা দরজা খুলে দেখে ওর সামনে জেসমিন দাঁড়িয়ে আছে।

জেসমিন : আন্টি।

জেসমিন অবান্তিকাকে জড়িয়ে ধরে,

অবান্তিকা : কেমন আছে আমার মামনি টা,

জেসমিন : খুব ভালো তোমাদের দেখে আরো ভালো হয়ে গেছি।

অবান্তিকা : আসো ভেতরে আসো নিলু ওদের রুমে নিয়ে যাও।

নিলু : আচ্ছা।

ওরা ফ্রেস হয়ে এসে ডিনার করতে বসে,

জেসমিন : আন্টি ওসমান কোথায়?

অবান্তিকা : ও আর ওমর বাহিরে গিয়েছে।

জেসমিন : ওহ।

ওরা একসাথে ডিনার করে,জেসমিন ওর রুমে চলে যায়।

অবান্তিকা,জেরিন লিভিং রুমে বসে আছে,

জেরিন : তুই তো জানিস আমরা কেন এসেছি।

অবান্তিকা : হুম জানি৷

জেরিন : ওসমানকে কখন বলবি?

অবান্তিকা : জানি না,কিছুদিন যাক তারপর বলবো।

জেরিন : ও যদি রাজি না হয় তখন?

অবান্তিকা : তুই চিন্তা করিস না তোকে আমি কথা দিয়েছি আর আমি আমার কথা রাখতে জানি।

জেরিন : হুম।

জেসমিনের রুমে,
জেসমিন ফোনে কল বলছে,
ওহ বেবি রাগ করছো কেনো, তুমি তো জানো আমি কেনো এখানে এসেছি,ওহহো আমি তো তোমারই, তুমি চিন্তা করো না আমি প্ল্যান মতোই কাজ করবো,
বলেই বাকা হাসি দিল।

পরদিন সকালে সবাই একসাথে বসে ব্রেকফাস্ট করছে,
জেসমিন : ওসমান।

ওসমান : হুম বলো।

জেসমিন : চলোনা কোথাও ঘুরে আসি।

ওসমান : কোথায় যাবে?

জেসমিন : তুমি যেখানে নিয়ে যাবে সেখানে।

অবান্তিকা : ওমর ওসমান তোমরা তিনজন ঘুরে আসো,জেসমিন কিছু চিনে না ওকে নিয়ে ঘুরতে গেলে ওর বোরিংনেস কেটে যাবে।

ওসমান : আচ্ছা মামনি।

নাস্তা শেষ করে ওরা তিনজন বেরিয়ে পরে,
সারাদিন অনেক জায়গায় ঘুরতে যায়,লাঞ্চ,ডিনার বাহিরে থেকে করে আসে।

দেখতে দেখতে সাতদিন হলো জেসমিনরা এসেছে, প্রতিদিন ওসমান জেসমিনকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছে,ওর সাথে আড্ডা দিয়েছে,ভালোই কেটেছে দিনগুলো।

রাতে ওসমান শুয়ে শুয়ে ভাবছে,
জেসমিনকে আমার একদম অ’স’হ্য লাগে,গায়ে পড়া স্বভাবের,এই ডি’জ’গা’স্টিং মেয়েকে মামনি কেন আমার গলায় ঝুলিয়ে দিল,উফফ।

জেসমিনের রুমে,
বেবি ওসমানকে কিছুতেই আমার প্রতি দুর্বল করতে পারছি না।

★: তুমি কাল আমার সাথে দেখা করো আমি তোমাকে সব প্ল্যান বুঝিয়ে দিবো।

জেসমিন : ওকে।

লিভিং রুমে,
জেরিন : তুই কি ওসমানকে কিছু বলবি না।

অবান্তিকা : বুঝতে পারছি না কিভাবে বলবো যদি রেগে যায়।

জেরিন : আরে কিছুই হবে না।

অবান্তিকা : তবুও।

জেরিন : দেখ আজ বলি আর কাল বলি কথাটা তো বলতেই হবে তাই না।

অবান্তিকা : হুম।

জেরিন : আচ্ছা তুই আরেকটু টাইম নে।

অবান্তিকা : হুম।

পরদিন জেসমিন একটা রেস্টুরেন্টে যায়,যেয়ে দেখে একটা ছেলে ওর জন্য অপেক্ষা করছে,জেসমিন যেয়ে ছেলেটাকে জড়িয়ে ধরে,

জেসমিন : সিহাব তোমাকে অনেক মিস করেছি।

সিহাব : আমিও।

জেসমিন : কি করবো বুঝতে পারছিনা ওসমান তো আমার দিকে ফিরেও তাকায় না।আমরা কিভাবে প্ল্যান মতো কাজ করবো?

সিহাব : ওকে তো আমরা বর’বাদ করবোই,শুনো আমার প্ল্যান।

সিহাব জেসমিনকে সব কিছু বুঝিয়ে দেয়।

সিহাব : বুঝেছো?

জেসমিন : হুম,এবার দেখো কিভাবে ওসমানকে বর’বাদ করি।

জেসমিনের ঠোঁটে বাঁকা হাসি ফুটে ওঠে।

এভাবে কেটে যায় আরো এক সপ্তাহ,
অবান্তিকা দ্বি’ধা দ’ন্ডে ভুগছে ও বুঝতে পারছেনা কিভাবে কথাটা ওসমানকে বলবে,জেরিন ওকে বারবার বলেতে বলছে।
জেসমিন সারাক্ষণ ওসমানের সাথে ঘুরে বেড়ায়, জেসমিনের গায়ে পরা স্বভাবের জন্য ওকে ওসমান, ওমর পছন্দ করে না।

ওমর ওসমানের রুমে বসে আছে,

ওমর : আমার জেসমিনকে একটুও পছন্দ না কেমন গায়ে পরা স্বভাবের মেয়ে।

ওসমান : হুম,আমারতো ওর ড্রেসআপ দেখলেই রাগ উঠে,আমি বুঝিনা মামনি কেনো ওকে এতো পছন্দ করে।

ওমর : আল্লাহ জানে ও মামনিকে কি জা’দু করেছে।

ওসমান : একটা উ’ট’কো ঝা’মেলা।

ওমর : আমি সেদিন আমার একবন্ধুর সাথে রেস্টুরেন্টে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম,তখন জেসমিনকে একটা ছেলেকে জড়িয়ে ধরতে দেখেছি ছেলেটাও ওকে জড়িয়ে ধরে,তারপর কি সব কথা বলে ওদের দেখে বোঝাই যাচ্ছে ওরা গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড।

ওসমান : আমি কয়েকদিন আগে জেসমিনকে একটা ছেলের সাথে দেখেছি খুব ক্লোজ ছিল ওরা,

ওমর : ওর রুম আমার রুমের পাশে হওয়ায় ওর বেলকনি থেকে প্রতিদিন কথার আওয়াজ পাই কথা শুনে বোঝা যায় ও ওর বয়ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলছে।

ওসমান : বলুক তাতে আমাদের কি।

ওমর : হুম আমাদের কি।

_________

জেরিন : অামি আর অপেক্ষা করতে পারবো না, তুই কি ওসমানকে বলবি নাকি না,

অবান্তিকা : জেরিন আমি কিভাবে কথা বলবো ও যদি না করে দেয়,

জেরিন : দেখ অবান্তিকা আমি আর অপেক্ষা করতে পারবো তুই কালই ওসমানকে এই ব্যাপারে বলবি।

অবান্তিকা : কিন্তু,

জেরিন : কোনো কিন্তু নয় ও যদি তোর কথা না মানতে চায় তবে ওকে তোর কসম দিবি আর ও তোকে অনেক ভালোবাসে তোর কথা ও অমান্য করবে না,

অবান্তিকা : আচ্ছা ঠিক আছে কালই ওসমানের সাথে কথা বলবো।

পরদিন সকালে জেরিন,জেসমিন,জাবেদ ঘুরতে বের হয়।

ওসমান,ওমর, অবান্তিকা,ওয়াহিদ লাঞ্চ করে সোফায় বসে আছে,

অবান্তিকা : আমি তোমাদের কিছু বলতে চাই,

ওয়াহিদ,ওসমান,ওমর : হুম বলো।

অবান্তিকা : জেসমিনকে ওসমানের বউ করতে চাই।

ওসমান ও ওমর : কি!

অবান্তিকা : হুম আমার আর জেরিনের অনেক আগে থেকেই ইচ্ছে ছিল তোমাদের বিয়ে নিয়ে,আমি চাই তুমি জেসমিনকে বিয়ে করো।

ওসমান : অসম্ভব,আমি ওকে বিয়ে করতে পারবো না।

অবান্তিকা : জেসমিনকে কেনো বিয়ে করতে চাচ্ছোনা।

ওসমান : কারণ আমি ওকে পছন্দ করি না।

অবান্তিকা : এতো সুন্দর স্টাইলিস মেয়েকে তোমার পছন্দ নয়?

ওসমান : ও গায়ে পরা স্বভাবের আর আমার এ রকম মেয়ে জাস্ট স’হ্য হয় না তুমি বিয়ে ক্যান্সাল করে দাও।

অবান্তিকা : তুমি কি কাউকে ভালোবাসো?

ওসমান : না।

অবান্তিকা : তাহলে আর কোনা কথা নয়,তোমার জেসমিনকেই বিয়ে করতে হবে,আমি জেরিনকে কথা দিয়েছি,তুমি যদি ওকে বিয়ে না করো তাহলে,

ওসমান : তাহলে কি?

অবান্তিকা : তাহলে আমার ম’রা মুখ দেখবে।

ওসমান : মামনি! তুমি কি পাগল হয়ে গেছো কি বলছো এইসব।

অবান্তিকা : হ্যাঁ আমি যা বলছি ঠিক বলছি,আমি জেরিনকে কথা দিয়েছি আর আমি আমার কথা রাখবোই।

ওসমান : আমার থেকে তোমার কাছে তোমার কথা বড়।

অবান্তিকা : হ্যাঁ আমার কাছে তোমার থেকে আমার কথাই অনেক বড়।

ওয়াহিদ : অবান্তিকা এবার খুব বারাবারি হচ্ছে।

অবান্তিকা : তোমার ছেলেকে বোঝাও ও কেন এরকম করছে জেসমিনের মধ্যে কি এমন সমস্যা যে ও জেসমিনকে বিয়ে করতে পারবে না।

ওসমান : ঠিক আছে।

ওসমানের কথা শুনে অবান্তিকার ঠোঁটে হাসি ফুটে ওঠে কিন্তু পরক্ষণেই তা মিলিয়ে যায়।

ওসমান : আমি যেমন তোমাকে ভালোবাসি ঠিক তেমনই নিজেকেও খুব ভালোবাসি,জেনে শুনে কোনো বাজে মেয়েকে নিজের জীবনসঙ্গীনী করবো না,বিয়ে করাতে চাইছো তো করো সব আয়োজন,তোমাকে কথা দিলাম বিয়ের দিনই তোমার আদরের জেসমিনের মুখোশ তুলে ফেলবো প্রমাণ করে দিব এবার তুমি ভুল আমি সঠিক, আর যদি প্রমাণ করতে পারি তবে তোমার থেকে অনেকদূরে চলে যাবো তুমি চাইলেও আমাকে আর কখনো ফিরে পাবেনা,যদি তোমার কাছে আসিও তবে তুমি আমার কাছে অচেনাই থাকবে।

ওসমান রেগে বাসা থেকে বের হয়ে গেল,ওমরও ওর পেছন পেছন গেল।

অবান্তিকা : এখন তো বুঝবেনা পরে বুঝবে আমার সিদ্ধান্তই ঠিক জেসমিনই তোমার যোগ্য আর সবচেয়ে বড় কথা আমি জেরিনকে কথা দিয়েছি তোমার আর জেসমিনের বিয়ে হবেই।

অবান্তিকাও রেগে রুমে চলে যায়।
________

জেরিন : জেসমিন আমার আর অবান্তিকার ইচ্ছে তোমার আর ওসমানের বিয়ে নিয়ে।

জেসমিন : মানে?

জেরিন : অবান্তিকা তোমাকে ওসমানের বউ বানাতে চায়।

জেসমিন : কি!

জেরিন : হুম।আমিও চাই তোমাকে খান বাড়ির বধু রুপে দেখতে।মা এতে তোমার কি মতামত?

জেসমিন : আমাকে একটু সময় দাও।

জেরিন : আচ্ছা ঠিক আছে ভেবেচিন্তে আমাকে তোমার মতামত জানাবে।

জেসমিন : আচ্ছা।
_________

জেসমিন : হ্যালো সিহাব।

সিহাব : হুম বেবি বলো।

জেসমিন ওকে জেরিনের বলা কথা গুলো বলে।

জেসমিন : এখন কি করবো?

সিহাব : বিয়ে করে নাও।

জেসমিন : তোমার কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে কি বলছো আমি তোমাকে ভালোবাসি ওকে কেনো বিয়ে করবো,

সিহাব : ওহহো বেবি তুমি ওকে বিয়ে করলে আমাদের কাজ সহজ হয়ে যাবে।

জেসমিন : মানে?

সিহাব : আমাদের আগের প্ল্যান বাদ,তুমি ওসমানকে বিয়ে করবে তারপর…………………… বুঝেছো?

জেসমিন : হুম বুঝেছি।
________________

ভাইয়া মাথাটা একটু ঠান্ডা করো।

ওসমান : রাগে আমার মাথা ফে’টে যাচ্ছে,মামনি ভাবলো কিভাবে আমি জেসমিনকে বিয়ে করবাে।আমি ওকে বিয়ে না করলে নাকি মামনির ম’রা মুখ দেখতে হবে,এই কথা গুলো ভেবে আমার বেশি রাগ হচ্ছে।

ওমর : বুঝলাম না মামনি কেন এমন করছে।আর জেসমিনের তো বয়ফ্রেন্ড আছে ও কেন এই বিয়েতে রাজি হবে।

ওসমান : এবার আমি প্রমাণ করে দিবো মামনির সিদ্ধান্ত ভুল,জেসমিন আমার জন্য ভুল সিদ্ধান্ত।

ওমর : তুমি চিন্তা করো না আমি জেসমিনের ওপর সারাক্ষণ নজর রাখবো,এমনেতেও ওকে আমার সুবিধার লাগে না,মনে হয় ও কিছু একটা করবে।

ওসমান : আমিও দেখবো ও কি করে, মামনি বিয়ের আয়োজন করতে চাইছেতো করুক আমিও বিয়ের দিনই প্রমাণ করে দিব জেসমিন আমার জন্য ভুল সিদ্ধান্ত।
_____________

জাবেদ, জেরিন,অবান্তিকা,ওয়াহিদ বসে কথা বলছে,

অবান্তিকা : জেসমিন কি বিয়ে তে মত দিয়েছে?

জেরিন : হ্যাঁ ও এই বিয়েতে রাজি।

অবান্তিকা : তাহলে বিয়ে ডেট ফিক্সড করা যাক।

জেরিন : হ্যাঁ এটাই ভালো হবে।আমি চাইছিলাম এখন না হয় ঘরোয়াভাবে বিয়েটা হোক পরে না হয় অনুষ্ঠান করবো।মানে তোর কাছের আত্মীয় আমার কিছু আত্মীয়রা থাকবে বাহিরের কেউ না,পরে না হয় ধুমধাম করে অনুষ্ঠান করবো।

অবান্তিকা : আচ্ছা ঠিক আছে।

জাবেদ : আজ তো বুধবার,তাহলে পরশুদিন ওদের এনগেজমেন্ট করবো, কি বলেন আপনারা?

অবান্তিকা ও ওয়াহিদ : হুম ঠিক আছে।

জেরিন : আর সামনে সপ্তাহ ওদের বিয়ে হবে।

অবান্তিকা ও ওয়াহিদ : আচ্ছা ঠিক আছে।

ওরা আরোকিছুক্ষণ কথা বলে নিজেদের রুমে চলে যায়।

ওয়াহিদ : অবান্তিকা এবার তোমার সিদ্ধান্তে আমি একমত হতে পারছি না।

অবান্তিকা : কেন?

ওয়াহিদ : কারণ এই বিয়েতে ওসমানের মত নেই আর তুমি কেন এই বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পরে লেগেছো।

অবান্তিকা : কারণ আমি জেরিনকে কথা দিয়েছি,ওরা যখন ছোটছিল তখনই জেরিন আমাকে ওদের বিয়ের কথা বলে আর আমিও ওকে কথা দেই।তাই ওসমানকে বিয়ে করতে হবে।

ওয়াহিদ : যা ইচ্ছে করো আমি এবার তোমার সিদ্ধান্তে একমত নই।
ওয়াহিদ রুম থেকে বেরিয়ে যায়।

অবান্তিকা : আমার কথাটাতো…
[মনে,মনে] : আমি কোনো ভুল করছি নাতো?

পরদিন সকালে ওসমান ঘুমিয়ে ছিল ঘুমের ঘোরে অনুভব করলো ওর চুলে কেউ হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।
ওসমান আস্তে আস্তে চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে জেসমিন ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে,ও জেসমিনকে দেখে উঠে পরে,
ওসমান : তুমি আমার রুমে কেন এসেছো?

জেসমিন : বিয়ের পর এই রুমতো আমারই হবে তাই আসলাম।

ওসমান : শুনো আমি তোমাকে বিয়ে করবো না।

জেসমিন : তুমি কি জানো না কাল আমাদের এনগেজমেন্ট।

ওসমান : হুম জানি,আর এটাও জানি তোমার বয়ফ্রেন্ড আছে।

ওসমানের কথা শুনে জেসমিন ঘাবড়ে যায়,
আমতা আমতা করে,
তোমাকে কে বলেছে?

ওসমান : সেটা তোমার না জানলেও চলবে।এনগেজমেন্ট হচ্ছে হোক বাট বিয়ে হবে না।

জেসমিন কিছু না বলে রুম থেকে বেরিয়ে যায়।

ওসমান : [মনে মনে]: যতই প্ল্যান করো না কেন তোমাদের সব প্ল্যান ভে’স্তে যাবে। তোমাকে দেখে এতটুকু বুঝতে পারছি তুমি আর তোমার বয়ফ্রেন্ড মিলে কিছু না কিছু করতে চাইছো,তোমরা কি করতে চাইছো তা আমাকে জানতেই হবে।

চলবে কি?

[

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here