উপন্যাসের শেষ পাতায় তুমি পর্ব -২৫+২৬

#উপন্যাসের_শেষ_পাতায়_তুমি
#Writer_Tanisha_Akter_Tisha
#Part_25

কপি নিষিদ্ধ ❌

ওসমান দরজা খুলে দেখে তিশা রুমে নেই,ওর কপাল কুচকে আসে হঠাৎ দেখলো বারান্দা থেকে তিশার মাথার ওড়নাটার একটু অংশ দেখা যাচ্ছে, তা দেখে ওসমান দরজা লক করে বারান্দায় যেয়ে তিশাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে ঘাড় ঠোঁট ছোঁয়ায়,কিন্তু তিশার কোনো হেলদোল নেই ও আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে,

তিশার ঘাড়ে মুখ ডুবিয়ে,
এই ভারী জামা গহনা পরে এখানে দাঁড়িয়ে আছো কেনো চেঞ্জ করে নাও।

তিশা পেছন ঘুরে ওসমানের মুখ মুখি দাঁড়ায়,
এখন বলুন কে ঐ মেয়ে, কেনো সে নিজেকে আপনার স্ত্রী দাবি করছে,আপনি তার সাথে ঐ বেশে কেনো ছবি তুলেছেন,আমার উওর চাই।

ওসমান : এখন বলা যাবেনা সময় হলে ঠিক জানতে পারবে।

তিশা : ঠিক আছে, আমি কে হই আপনার, আমার কি কোনো কিছু জানার অধিকার আছে নাকি।

ওসমান : এভাবে বলছো কেন তুমি আমার ভালোবাসা,আমার সহধর্মিণী, আমার জীবন,
তুমি আমার সব দাড়ি কমা ফুলস্টপ।

তিশা ওর দিকে তাকিয়ে কিছু না বলে বারান্দা ছেড়ে রুমে চলে আসে,ওসমান ওর পিছু পিছু আসে।

তিশা ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে মাথার ওড়না খোলার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছেনা,

ওসমান ওড়নাটা খুলে দিচ্ছে,
এভাবে টানাটানি করলে তো চুল ছিঁড়বে।

তিশা কিছু বলেনা।

ওসমান একে একে সব অর্নামেন্ট খুলে দিচ্ছে, ওর ছোঁয়া বার বার তিশার পুরো শরীর কেঁপে উঠছে তিশা চোখ খিঁচে বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছে।

ওসমান : যাও শাওয়ার নিয়ে ওযু করে আসো একসাথে নামাজ পরবো।

তিশা গোসল করে ওযু করে আসে ওসমানও ফ্রেস হয়ে ওযু করে আসে ওরা একসাথে নামাজ পরে নেয়,
নামাজ শেষে ওসমান ওকে কোরআন তেলাওয়াত করে শুনায় তিশাও চোখ বন্ধ করে মনোযোগ দিয়ে শুনে কোরআন তেলাওয়াত শুনে ও অশান্ত মন নিমেষেই শান্ত হয়ে গেল।কোরআন তেলাওয়াত শেষে কোরআন শরিফ সঠিক স্থানে রেখে দেয়।

তিশা ওসমানের বুকের উপর মাথা দিয়ে শুয়ে আছে ওর ঘুম আসছেনা বারবার চোখের সামনে ওই ছবি,এসএমএস আর ভিডিও টা ভেসে উঠছে,ও আর চোখে পানি আটকে রাখতে পারছে না নিঃশব্দে চোখের পানি ফেলছে।
ওসমান তিশার কান্না অনুভব করতে পারছে,
ওর চোখেও ঘুম নেই,
ওসমান : প্লিজ কেঁদোনা।
তিশা ওর বুক থেকে সরতে নিলেই ওসমান হালকা ভাবে মাথাটা বুকের সাথে চেপে ধরে,
উহুম উঠবেনা তোমার কাছে আবদার করে ছিলামনা আমার বুকে মাথা দিয়ে ঘুমাবে তো এখন উঠছো কেনো, এভাবেই শুয়ে থাকো।
তিশাও আর উঠলো,ও যতোযাই বলুক ওসমানকে ভীষণ ভালোবাসে,ওর কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছেনা ওসমান ওকে চিট করবে,কিন্তু চোখের দেখা কিভাবে অবিশ্বাস করবে।
তিশা : [মনে মনে] : আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে চাইলেও আমি তা অস্বীকার করতে পারবো না, না তো এই সম্পর্ক ভা!ঙতে পারবো, হয়তো এটাই আল্লাহর ইচ্ছে ছিল,আচ্ছা ওসমান তখন ঐ মেয়েকে স্ত্রী মানতে অস্বীকার করলো আমি ঘরেও কিছু পেলাম না, তাহলে কি ওসমানের কথাই ঠিক ঐ মেয়েটা ওনার স্ত্রী না?
হ্যাঁ অনেক সময় চোখের দেখা কানের শোনাও ভুল হয় আর ঐ ভিডিওতে তো ওসমানের ফেসও দেখা যায়নি শরীরের গঠন তো অনেকেরই এক হতে পারে আর ঐ মেয়েটাই বা কে? না আমাকে সব জানতে হবে, শুধু শুধু বোকার মতো চোখের দেখা বিশ্বাস করবোনা আমাকে সবকিছু যাচাই করতে হবে আর এটাও জানতে হবে এমনকি হয়েছে যার জন্য ওসমান আর মামনির মধ্যে দুরত্ব সৃষ্টি হয়েছে আচ্ছা এই বিষয়ে ঐ মেয়েটি জড়িত নয়তো?

ওসমান তিশার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর মনে
মনে ভাবছে,
নাহ পারলাম না তোমার সামনে কঠোর হতো, কিভাবেই বা পারবো তোমার মায়াভরা চেহারা দেখলেই তো আমার রাগ অভিমান কেটে যায়,সবার সামনে কঠোর হলেও একমাএ তুমিটার কাছেই আমি হে’ড়ে যাই তোমার এককথায় জীবন দিতেও দ্বি!ধা বোধ করবোনা,এখন তুমি মেন্টালি ডিস্টার্ব। আমি জানি ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখলে তুমি সব বুঝতে পারবে।তোমাকে ভালোবাসি কখনো আ”ঘা”ত করবোও না আর পেতেও দিবো না সব সময় আগলে রাখার চেষ্টা করবো।
ওসমান তিশার মাথায় ঠোঁট ছোঁয়ায়।
একটা সময় দু’জনই ঘুমিয়ে পরে,

পরদিন সকাল ৮টায় তিশার ঘুম ভেঙে যায় চোখ মেলে দেখে ওসমান ওকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে,তিশা আস্তে করে নিজের উপর থেকে ওসমানের হাত সরিয়ে উঠে পরে।কাবার্ড থেকে জামা নিয়ে ওয়াশরুমে যেয়ে গোসল করে বের হয়।
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল মুছছে,
তিশার চুড়ির রিনিঝিনি আওয়াজে ওসমানের ঘুম ভে”ঙে যায়। চোখ মেলে সামনে তাকাতেই দেখতে পায় তার হৃদয় “হরন”কা”রী” রমনী নীল শাড়ী পরে ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে চুল মুছছে,
চুল মোছা শেষে চুল টা আঁচড়িয়ে পিছনে ফিরে বেডের দিকে তাকায়,তিশাকে ঘুড়তে দেখেই ওসমান চোখ বন্ধ করে ফেলে,ওসমানকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখে তিশা বেডে বসে ওসমানের দিকে একমনে তাকিয়ে থাকে আলতো ভাবে ওর গালে হাত রেখে ভাবে,
আচ্ছা সত্যি কি আপনি আমাকে চিট করেছেন?
উহুম আমার বিশ্বাস আপনি আমাকে চিট করেননি, কেউ হয়তো ষড়!যন্ত্র করছে আপনাকে আমাকে আলাদা করার জন্য। আমাকে জানতেই হবে কে সেই ব্যাক্তি,এত সহজে আপনাকে অন্য কারো হতে দিব না।
তিশা আলতোভাবে ওসমানের কপালে ভালোবাসার পরশ একে দিয়ে উঠে যেতে নিলেই ওসমান ওর হাত ধরে টান দিয়ে বেডে ফেলে ওর উপর ঝুঁকে হেসে বলে,
কি নিজে তো দিয়ে চলে যাচ্ছো,আমার মর্নিং কিস টা তো বাকি।
তিশা গাল ফুলিয়ে,
আপনি ঘুমিয়ে থাকার ভান ধরেছিলেন কেন।

ওসমান : ঘুমানোর ভান না করলেতো বুঝতেই পারতামনা আমার বউটা এতো রোমান্টিক। উঠেই মর্নিং কিস দিলে বাহ বউ।

তিশা : ওহহো ছাড়ুন তো।

ওসমান : এখন কোনো ছাড়াছাড়ি নেই, রাতে ছেড়ে দিয়েছি বলেকি এখনো ছেড়ে দিবো নাকি।

তিশা : ওমর ভাইয়া।

ওসমান : দরজা লাগানো আজ আর এই ট্রিক চলছেনা।

তিশার ঠোঁটের মাঝে ঠোঁট ডুবাতে নিলেই ওসমানের ফোন বেজে উঠে,

ওসমান : উফফ দিল মুডটা খারাপ করে কল করার আর সময় পেলনা।

ওর কথা শুনে তিশা ফিক করে হেসে ফেলে।

ওসমান : আমার রোমান্টিক মুডটার বারোটা বেজে গেছে আর তুমি হাসছো।

তিশা : এই জন্যই ডক্টরদের বিয়ে করা উচিত না রোমান্স করতে আসলেই ফোন বেজে উঠে।

ওসমান : তুম..

ফোন আবারও বেজে উঠল।

ওসমান : ধ্যাত তেরি।

তিশা ওসমানের কথা শুনে হাসতে হাসতে রুম থেকে বেরিয়ে যায়, হেটে রান্না ঘরের সামনে যেয়ে দেখে অবান্তিকা রান্না করছে আর নিলু ওনাকে হেল্প করছে।রান্না ঘরে প্রবেশ করে,
মামনি আমিও তোমাদের হেল্প করি।

অবান্তিকা : না মামনি কিছু করতে হবে না। কাল থেকে নিজের সংসারের হাল ধরো।

তিশা অবান্তিকাকে জড়িয়ে,
ভীষণ মিস করবো তোমায়।

অবান্তিকা : আমার তো তোমাদের যেতে দিতেই মন চাচ্ছে না কিন্তু কি করবো বলো।

তিশা : হুম।

অবান্তিকা : এটা খেয়ে বলোতো কেমন হয়েছে।

তিশা : উমমম দারুণ হয়েছে। আমাকে এই রান্নাটা একটু শেখাও না।

অবান্তিকা ওকে রান্না শেখাতে আর ও শিখতে ব্যস্ত হয়ে পরে।

ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে আয়েশা অসহায় দৃষ্টিতে ওমরের দিকে তাকিয়ে আছে।
আয়েশা : দেখেছো বাই’টের দাগ বসে গেছে।

ওমর : অয়েন্টমেন্ট লাগিয়ে দিয়েছি দ্রুত দাগ চলে যাবো।

আয়েশা : সে নাহয় যাবে কিন্তু এখন কি করবো সবাই দেখলে কি ভাববে।

ওমর : যা ভাববার তাই ভাববে।

আয়েশা : সহজে তো বলে দিলে পরে যে আমাকে লজ্জায় পরতে হবে তখন।

আয়েশা পায়চারি করছে আর ভাবছে কি করবে কিভাবে দাগগুলো লুকানো যায়।
আয়েশা : পেয়েছি,
ও ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে দাগের স্থানে ফাউন্ডেশন এপ্লাই করে কম্পেক্ট পাউডার দিয়ে সেট করে নেয়।
আয়েশা : দাগ বুঝা যাচ্ছে?

ওমর : একদম না, বাহ আমার বউটার তো অনেক বুদ্ধি।

আয়েশা : দেখতে হবে না বউটা কার।

ওরা সবাই একসাথে ব্রেকফাস্ট করছে,

অবান্তিকা : রাবেয়া সায়েফ কোথায় ওকে তো হলুদের অনুষ্ঠান থেকে দেখতে পাচ্ছি না।

সায়েফের কথা শুনে ওসমান বাঁকা হাসি দিল।

রাবেয়া : আর বলো না ভাবি ও এসএমএস করে পাঠিয়েছে ও নাকি বন্ধুদের সাথে সাজেক ট্রুরে গিয়েছে।

অবান্তিকা : ভাইয়ের বিয়ে বাদ দিয়ে ট্রুরে যেতে হলো।

রাবেয়া : ওর তরফ থেকে আমি সরি বলছি।

অবান্তিকা : থাক সমস্যা নেই সরি বলতে হবে না।

অবান্তিকা : মামনি এগারোটায় পার্লার থেকে লোক আসবে তোমাদের সাজাতে।

তিশা ও আয়েশা : আচ্ছা মামনি।

ওয়াহিদ : ওসমান সবার সব পেপারস রেডিতো?

ওসমান : হ্যাঁ।

ওয়াহিদ : বের হবে কয়টায়।

ওসমান : রাত এগারো টায় এয়ারপোর্টে থাকতে হবে।

ওয়াহিদ : আচ্ছা ঠিক আছে।

ওরা নাস্তা শেষে যার যার রুমে চলে যায়।

তিশা : আচ্ছা সায়েফ ভাইয়া কোথায়?

ওসমান : আমি স্পর্শকে বলেছি ওর হাত পা ভে!ঙে দিতে।

তিশা : কি! কেন বলেছেন।

ওসমান তিশার কোমড় জড়িয়ে ধরে নিজের কাছে টেনে গালে আলতো হাতে স্লাইড করতে করতে বলে,
আমার জানপাখির দিকে যে হাত বারাবে তার হাত আমি ভে!ঙে গু!রো!গু!রো করে দিবো।

তিশা : যদি উনি আপনার কথা সবাইকে বলে দেয় তখন?

ওসমান : স্পর্শ খুব সাবধানে কাজটা করেছে সায়েফ ওর মুখ দেখেনি।

তিশা : আন্টি তো বললো উনি নাকি টুরে গিয়েছে,উনি এখন কোথায়?

ওসমান : হসপিটালে।আমি ওর ফোন দিয়ে ছোটমাকে এসএমএস দিয়েছিলাম।

ওসমান তিশার গলায় মুখ গুজতেই তিশা খিঁচে চোখ বন্ধ করে ফেলে।দরজার করাঘাতের আওয়াজে ওদের ধ্যান ভাঙে,
বুঝলামনা সবাই কেনো আমার রোমান্সের টাইমে আসে।

তিশা : আপনার জন্য এক বালতি সমবেদনা।

তিশা দরজা খুলে দেখে ওমর দাঁড়িয়ে আছে,
ওসমান : তুই আসার আর টাইম পেলিনা।

ওমর : কেন কি হয়েছে?

তিশা : কিছুই হয়নি দেবরজ্বী তোমার ভাইয়ের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে।

ওমর : ভাবিজ্বী আমার রুমে মেকআপ আর্টিসরা তোমার জন্য ওয়েট করছে।

তিশা : আচ্ছা আমি যাচ্ছি।
তিশা ওমরের রুমের দিকে যায়।

ওমর : হসপিটালে কি হয়েছে কিছু জানতে পেরেছো।

ওসমান : না আমাদের ঐখানে যেয়েই সব কিছু ম্যানেজ করতে হবে।

ওমর : আচ্ছা।আর ঐ ব্যাপারে?

ওসমান : ঐটাও জানি না।

ওমর : টেনশন করো না খুব দ্রুত জানতে পারবো।

ওসমান : হুম।

বাড়ির ছাদে স্টেজ তৈরি করা হয়েছে,
তিশা ও আয়েশা স্টেজে বসে আছে অবান্তিকা সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে।
তিশা, আয়েশা বেবি পিংক কালার শাড়ী পরেছে সাথে ব্রাইডাল মেকআপ করা, গায়ে ভারী অলংকার জড়ানো, মাথায় ওড়না দেওয়া।

ওরা সবাই একসাথে খাওয়া দাওয়া করে,
অবশেষে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

তিশা রুমে ড্রসিং টেবিলের সামনে বসে আছে আর ওসমান ওর গহনা গুলো খুলে দিচ্ছে।
তিশা ফ্রেস হয়ে ঘুমিয়ে আছে,ওসমান ওর হসপিটালের ডকিউমেন্ট গুলো চেক করছে।

আয়েশা : আচ্ছা আমরা ঐখানে কতদিন থাকবো,

ওমর : সেটা এখন বলতে পারছিনা আগে যেয়ে ঝা’মেলাটা মেটাতে হবে।

আয়েশা : আচ্ছা কি হয়েছে তা জানো না।

ওমর : না এখনো জানতে পারিনি।

আয়েশা : আচ্ছা টেনশন করোনা সব ঠিক হয়ে যাবে, আল্লাহ ভরসা।

ওমর : হুম আল্লাহ ভরসা।

ওরা সবাই লিভিং রুমে বসে আছে,

শেফা (ওয়াহিদের খালাতো বোন) : শুনো বাবা তোমরা কাজ মিটিয়ে দ্রুত বাংলাদেশে ব্যাক করে বউমাদের নিয়ে আমার বাসায় বেড়াতে যাবে।

ওসমান : অবশ্যই ফুপ্পি।

ওমর : আমরা দ্রুত আসার চেষ্টা করবো।

রায়হান (ওয়াহিদের চাচাতো ভাই): মা তো অসুস্থ তাই বিয়েতে আসতে পারেনি তোমরা দেশে এসে মার সাথে করো।

ওসমান : হ্যাঁ চাচ্চু সবার মাঝে দাদিকে মিস করছিলাম, খুব দ্রুতই দাদির সাথে দেখা করতে যাবো।

সবাই একসাথে ডিনার করে।

তিশা,আয়েশা নিজেদের রুমে যেয়ে গোছগাছ শুরু করে দেয়।
সবার থেকে বিদায় নিয়ে এয়ারপোর্টে উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পরে,অবান্তিকাতো ওদের যেতে দিতেই চায়নি কিন্তু কি করবে ওদের তো যেতেই হবে।

এয়ারপোর্টে পৌঁছে সব কিছু ঝা’মেলা মিটিয়ে প্লেনে উঠে পরে,

একটুপর প্লেনে,
ওসমান ফোন চালাচ্ছিল তখন তিশা মুখ ফুলিয়ে বলে,
#উপন্যাসের_শেষ_পাতায়_তুমি
#Writer_Tanisha_Akter_Tisha
#Part_26

কপি নিষিদ্ধ ❌

তিশা মুখ ফুলিয়ে বলে,
কই ভাবলাম ২ মাস বাবা মামনির সাথে থাকবো কিন্তু হলো কি।
তিশার কথা শুনে তিশার গাল হালকা ভাবে টেনে,
ওলে আমার কিউট বউটা রাগ করেছে,রাগ করেনা জানপাখি আমরা খুব দ্রুত বাবা মামনির কাছে আসবো ৩/৪ মাসের মধ্যেই বাবা মার কাছে যাওয়ার চেষ্টা করবো।
গাল ফুলিয়েই,
সত্যি তো?

ওসমান : তিন সত্যি।

তিশা : আচ্ছা বলুন না ঐ মেয়েটা কে,

ওসমান : তুমি আবার শুরু করলে,বললাম তো সময় হলেই জানতে পারবে।

তিশা : হুহ্ যান কিছু বলতে হবে না,
তিশা গাল ফুলিয়ে বসে রইল।

আয়েশা : প্লিজ প্লিজ ও যেনো বেঁ’চে যায়।

ওমর : ওহহো মায়াবতী রোমান্টিক মুভি রেখে
“Train To Busan” মু়ভি দেখছো কেন,

আয়েশা : যাক বেঁ’চে গেল,আমার এই মুভিটা ভালো লাগে, যখনই জো”ম্বি গুলো সামনে আসে তখন মনে হয়ে লোকটা বাঁ’চবে তো। মনের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়।

ওমর : ওহ্ আচ্ছা,
ও ম্যাগাজিন পড়তে নিলেই আয়েশা ম্যাগাজিনটা কেড়ে নেয়,
কোন ম্যাগাজিন পড়া হবেনা আমার সাথে মুভি দেখো।

ওসমান সিটে হেলান দিয়ে বসে আছে আর ওর কাঁধে মাথা দিয়ে তিশা বসে আছে,ওরা “Titanic” মুভি দেখছে,
তিশা : জ্যাক পরে যাওয়ার সিন টা দেখলেই কষ্ট লাগে।

ওসমান : হুম।

তিশা : পৃথিবীর সব ভালোবাসা পূর্নতা পায় না।

ওসমান : হুম।

দীর্ঘ ২২ ঘন্টা পর ওরা লন্ডনের মাটিতে পা রাখলো।ওদের বাসায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে রাত হয়ে যায়। ওরা ওদের রুমে চলে যায়।
তিশা আয়েশা ভীষণ টায়ার্ড থাকায় ওরা ঘুমিয়ে পরে।
ঘুম নেই ওমর ওসমানের চোখে ওরা লিভিং রুমে বসে হসপিটালের সব ডকিউমেন্ট বার বার চেক করছে ওরা বুঝতে পারছেনা হঠাৎ হসপিটালে হলো টা কি।

পরদিন খুব সকালে উঠেই ওসমান ওমর হসপিটালের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পরে, তিশা আয়েশা ঘুমিয়ে ছিল তাই ওদের ডাকেনি।
১০ টার দিকে তিশার ঘুম ভাঙে, উঠে পাশে তাকিয়ে ওসমানকে পেলনা,টেবিলের উপর থেকে ফোন নেওয়ার জন্য হাত বারাতেই ফোনের নিচে একটা চিরকুট পেল।

চিরকুটে লেখা,
উঠেছো হৃদয়হরণী, আমি হসপিটালে যাচ্ছি, ঘুমিয়ে ছিলে তাই ডাকিনি,খাবার অর্ডার করেছিলাম,গরম করে খেয়ে নিও, ১ টায় সব সার্ভেন্টরা চলে আসবে।আমাদের আস্তে লেট হবে,
সাবধানে থেকো,ভালোবাসি।

চিরকুট টা নিজের ডায়েরিতে রেখে দিয়ে, ওয়াশরুমে চলে যায়।ফ্রেস হয়ে নিচে যেয়ে দেখে আয়েশা ওভেনে খাবার গরম করছে।
তিশা ওকে জড়িয়ে ধরে।আয়েশা নিজের কাঁধে তরল জাতীয় কিছু অনুভব করে।
আয়েশা : কাঁদছিস কেনো?

তিশা : ডক্টর সাহেব খুব খা!রা!প, আমাকে বিয়ে করার জন্য তোমার মাথায় ব’ন্দু’ক ধরতেও দ্বি!ধা বোধ করেনি।

আয়েশা : ওহ এর জন্য কাঁদছিস,বস নাস্তা খেয়ে নে তারপর তোকে সব বলছি।

ওরা টেবিলে বসে, আয়েশা খাবার সার্ভ করে দেয়।

তিশা : পরে খাবো আগে বল কি বলবি।

আয়েশা : উহুম আগে নাস্তা শেষ কর।

তিশা অল্প কিছু খেয়ে উঠে হাত ধুয়ে ফেলে।

ওরা সোফায় বসে আছে,

আয়েশা : দেখ তুই সেদিন পালিয়ে ভুল করে ছিলি, তুই বুদ্ধিমতি হয়ে কিভাবে এই বোকামিটা করলি তুই অন্তত আমাকে বলতে পারতি,
বলবি কেন আমি তো আর তোর কেউ হইনা।
কথাটা অভিমানের স্বরে বলে,

তিশা : প্লিজ রাগ করিস না, তখন আমার মাথা কাজ করছিলোনা,নিজেকে পাগল পাগল লাগছিল।

আয়েশা : তুইকি ঐ মেয়েটার কথা বিশ্বাস করেছিস?

তিশা : না তখন মাথা কাজ করেনি তাই ওরকমটা করেছি, কিন্তু ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখলাম না এসএমএস টা ওসমান করেনি কারণ ও আমার কল রিসিভ বা এসএমএস করে কখনো তিশা বলেনি সব সময় হয়তো হৃদয়হরনী বলেছে নয়তো জানপাখি। আমাদের আলাদা করার জন্য কেউ ষড়!যন্ত্র করছে।

আয়েশা : এক্সজেক্টলি,আর আমার মাথায় ব’ন্দু’ক ধরার কথা বলছিস,সেদিন কি হয়েছিল শুন,

বিয়ের দিন,
পেছনের দরজা দিয়ে ওসমান তিশাকে কোলে করে নিয়ে এসে বেডে শুয়ে দেয়।সাজ্জাত,হৃদিকা,ওমর, আয়েশা রুমে এসে দেখে ওসমান তিশার হাত বা’ধছে,

আয়েশা : ভাইয়া ওর হাত বা’ধছেন কেন?

ওসমান : ওকে বুঝানোর জন্য।

ওমর : মানে?

হৃদিকা : ও অজ্ঞান হলো কিভাবে,

ওসমান : আমি করেছি।

ওমর : ভাইয়া একটু বুঝিয়ে বলো কি করতে চাইছো তুমি,

ওসমান তিশার হাত পা বাঁ’ধা শেষ করে, ও বিছানায় বসে আয়েশার দিকে তাকায়,
আয়েশা তোমার হেল্প লাগবে।

আয়েশা : কেমন হেল্প?

ওসমান : তিশা আমাকে ভুল বুঝে পালাতে চেয়েছে, আমি ওকে নিয়ে তো এসেছি কিন্তু ও আপোষে বিয়েতে রাজি হবেনা, আর আজ বিয়ে না হলে সবাই আজে বাজে কথা বলবে জার্নালিস্টরা আজে বাজে নিউজ বানাবে, ও তো আমায় ভুল বুঝছেই, ওর সামনে তো খারাপ হয়েইছি,এবার নাহয় বিয়ে করার জন্য আরেকটু খারাপ হবো।

ওর কথা শুনে সবার ব্রু কুচকে আসে।
ওসমান : আয়েশা তোমার মাথায় আমার গার্ড ব’ন্দু’ক ধরে রাখবে আমি সেটার ভিডিও করে তিশাকে ভয় দেখাবো।

আয়েশা : কিন্তু ভাইয়া তাহলে তো তিশা আপনার উপর রাগ করবে।

ওসমান : করুক।

আয়েশা : আচ্ছা ঠিক আছে করবো হেল্প।

আয়েশার রুমে আয়েশা চেয়ার বসেছিল,গার্ড ওর মাথায় ব’ন্দু’ক ধরে আর ওসমান তা ভিডিও করে।

আয়েশা : বুঝছিস তোকে পাওয়ার জন্যেই ভাইয়া এই নাটকটা করেছে।

তিশা : ছি আমি দু’বার তাকে কষ্ট দিয়েছি, কেন আমি এরকম বোকামী করলাম,ধ্যাত।

আয়েশা : আচ্ছা ঠিক আছে,যা হওয়ার তা তো হয়েছে, তুই এখন এটা ভাব ভাইয়াকে কিভাবে মানাবি,সে যতই তোর সাথে নরমাল ব্যবহার করুক না কেন তোর কাজে অনেক কষ্ট পেয়েছে।

আয়েশার কথা শুনে তিশার মন খারাপ হয়ে গেল।

আয়েশা : যতোদ্রুত সম্ভব নিজেদের মধ্যে সব সমস্যা দূর করে ফেল।

তিশা : হুম।

তিশা সারাদিন ভেবেছে কিভাবে ওসমানের মন ভালো করা যায় ও বুঝতে পারছে ওসমান ওর ব্যবহারে কষ্ট পেয়েছে।

রাত ৮ টায় ওসমান ওমর বাসায় ফেরে, ওরা ফ্রেস হয়ে এসে সোফায় বসে,
তিশা : কি সমস্যা হয়েছে জানতে পেরেছেন,

ওসমান : হুম,ক্রা’ই’ম ইন’ভে’স্টি’গে’শন টী’ম আমাদের হসপিটালে এসে তদন্ত করেছে কেউ তাদের কাছে আমাদের নামে কম’প্লেইন করেছে আমরা নাকি পেশেন্টদের ন’ক’ল মেডিসিন দিচ্ছি তাই তারা আমাদের সাথে মিট করতে চেয়েছিলেন।

আয়েশা : এখন কি সমস্যা মিটেছে?

ওমর : হ্যাঁ আমাদের সব মেডিসিন তারা পরীক্ষা করেছে, আমাদের হসপিটালের সব ডকিউমেন্ট তারা চেক করেছে। পরে আমাদের বি”রু”দ্ধে কিছু না পেয়ে আমাদের সরি বলে চলে যান।

তিশা : ওহ।

ওসমান : বুঝলাম না কে আমাদের বি”রু”দ্ধে কে’স করলো।

ওমর : চিন্তা করো না খুব দ্রুত জেনে যাবো।

ওসমান : হুম।

ওরা একসাথে ডিনার করে রুমে চলে যায়।

____________________________________________

In USA,

সীট আমাদের এই প্ল্যান টাও ফ্লপ হলো।
ছেলেটা টেবিলে রাখা ওয়া”ইনের বোতল ও গ্লাস সব ফেলে দেয়।
মেয়েটা ওর কাঁধে হাত রেখে নিজের দিকে ঘুরায়,
☆‌‌‌:ওহ বেবি এতো রাগ করছো কেন,

★:তো কি করবো আমাদের দুটো প্ল্যানই ফ্লপ হলো না, তো ওর ভালোবাসাকে মা*রতে পারলাম না তো ওর হসপিটাল সি!ল করাতে পারলাম, সিট..

☆‌‌‌:হবে বেবি সব হবে আমরা ওর ওয়াইফকেও মা*রবো ওর হসপিটালও সি!ল করাবো ওকে সবার সামনে অপমানও করবো।

★: আমাদের অপমানের প্রতি!শোধ নিবোই।

☆‌‌‌:ইয়াহ বেবি।

____________________________________________

কি হলো ঘুমাবেন না?

ওসমান : তুমি ঘুমিয়ে পরো আমার একটু কাজ বাকি আছে কাজ শেষ করেই ঘুমাবো।

তিশা : আচ্ছা।

ওসমান ল্যপটপে কাজ করছে আর তিশা ফোন চালাচ্ছে,

ওসমানের কাজ শেষ করে একসাথে নামায পড়ে, ঘুমিয়ে পরে।

৪ দিন হল ওরা এখানে এসেছে,

তিশা বিরিয়ানি আর আয়েশা পায়েশ রান্না করছে সার্ভেন্টরা ওদের হেল্প করতে চাইলে ওরা না করে দেয়।রান্না শেষ করে,যোহরের নামায আদায় করে।

তিশা : আজ ডক্টর সাহেবের জন্য শার্ট বের করার সময় দেখলাম একটা ড্রয়ার, পরে খোলার চেষ্টা করে দেখি লক করা চাবি খুঁজেছি কিন্তু পাইনি।

আয়েশা : তুই ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করে দেখ কি বলে।

তিশা : হুম বাসায় আসুক জিজ্ঞেস করবোনে।

২ টায় ওসমান ওমর বাসায় আসে,ফ্রেস হয়ে একসাথে খাবার খেতে বসে,

ওমর : উমমমমম ইয়াম্মি বিরিয়ানি টা দারুন হয়েছে ,কে রান্না করছে?

ওসমান : হুম খুব মজা হয়েছে।

তিশা : আমি বিরিয়ানি রান্না করেছি আর আয়েশা পায়েশ রান্না করছে।

ওমর : ভাবিজ্বী বিরিয়ানি টা অনেক মজা হয়েছে আমাকে প্রায়ই বিরিয়ানি রান্না করে খাওয়াবে।

তিশা : ওকে দেবরজ্বী। এবার আমার জা এর পায়েশ টা খেয়ে বলো কেমন হয়েছে।

ওমর : উমমম পায়েশটাও খুব ইয়াম্মি।

ওসমান : হুম অনেক মজা হয়েছে,পায়েশ আর বিরিয়ানি দুটোই আমাদের ফেবারিট।

ওমর ও ওসমান : আমাদের জন্য কষ্ট করে রান্না করার জন্য থ্যাঙ্ক ইউ।

তিশা আয়েশা বিনিময়ে মুচকি হাসলো।

আরো চারদিন কেটে যায়,তিশা এই কয়দিন ওসমানের সাথে আগের মতো কথা বলে, আড্ডা দেয়, গান গায়,ওসমানের সাথে কোনো প্রকার রাগা”রাগি করেনা ঐ মেয়েটার সম্পর্কে আর কিছু জিজ্ঞেসও করেনি কারণ সময় হলে ওসমান নিজ থেকেই বলবে।ওরা প্রতিদিন তাহাজ্জুদ নামাজ পরেছে,ওসমান তিশাকে কোরআন শরীফ তিলাওয়াত করে শুনিয়েছে।ওরা অনেক জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিল।
ওমর আয়েশা ওরাতো ভালোবাসার সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে।

২ টা বাজে ওসমান ওমর এখনো বাসায় আসেনি,আজ ওটি ছিল তাই আসতে লেট হবে।
৪ টায় তিশা শুয়ে ফেসবুক স্কোল করছিল তখন ওসমান রুম আসে ওর সাথে কোন কথা না বলেই কাবার্ড থেকে জামাকাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়, ওসমানকে দেখে ও পুনরায় স্কোল করায় মন দিল।ওসমান ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে ওর পাশে শুয়ে হাত থেকে ফোন নিয়ে টেবিলে উপর রেখে ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে গলায় মুখ গুজে শুয়ে রয়ে।তিশা ও দু হাত দিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরে। অনেকক্ষণ কেটে যাওয়ার পর ওসমান ওকে ছেড়ে দিয়ে পাশে শুয়ে ওর দিকে তাকায়,

তিশা : এইযে হাসবেন্ডজ্বী এভাবে কি দেখছেন?

ওসমান : আমার বউকে দেখি।

তিশা : আপনি কি কোন ব্যাপার নিয়ে টেনশনে আছেন?

ওসমান : তুমি কি ভাবে বুঝলে,

তিশা : আপনার মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে। বলুন কি নিয়ে টেনশনে করছেন।

ওসমান : টেনশন না আমার মন খারাপ।

তিশা : মন খারাপ কেন।

ওসমান : আজ যার অপারেশন করেছি আমরা তাকে বাঁ”চাতে পারিনি,সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি কিন্তু পারিনি,আমার ডক্টর লাইফে ফাস্ট টাইম কোনো অপারেশনে ব্যার্থ হলাম।

তিশা : দেখুন যার যতোদিন হায়াত থাকবে সে ততোদিনই বাঁ”চবে হায়াত ফুরিয়ে গেলে তাকে কেউ
বাঁ”চাতে পারবেনা, আল্লাহর বান্দা আল্লাহ নিয়ে গেছে এখানে আপনাদের কোন হাত নেই,সবই তো আল্লাহর মর্জি।

ওসমান : হুম।

তিশা : আপনার মন ভালো করার একটা উপায় আছে,এক মিনিট ওয়েট করেন আমি পাঁচ মিনিটে আসছি।

ওসমান : ওকে।

তিশা রান্না ঘরে যেয়ে হাতে করে পুডিং নিয়ে রুমে চলে আসে।

তিশা : খেয়ে বলুন তো কেমন হয়েছে,

ওসমান : উমম…….ইয়াম্মি অসাধারণ, সব কিছুই পারফেক্ট ভাবে দেওয়া আছে,মুখে দেওয়া মাএই সব কয়টা উপকরণের স্বাদ পাচ্ছি।

তিশা : বাহ ফুড রিভিউ দিচ্ছেন।

ওসমান : এত মজার পুডিং খেয়ে রিভিউ দিবনা তা কি হয়।

তিশা : দুপুরে কিছু খেয়েছিলেন?

ওসমান : হুম আসার সময় লাঞ্চ করে এসেছি,তোমরা খেয়েছো?

তিশা : হুম।

ওসমান : ঘুরতে যাবে?

তিশা : সন্ধ্যার পর বের হবো।

ওসমান : আচ্ছা চলো সবাই একসাথে আড্ডা দেই।

তিশা : চলুন।

ওরা নিচে যেয়ে সোফায় বসে,

এখান থেকেই তিশা “আয়েশা ” বলে জোরে ডাক দেয়।

আয়েশার রুম থেকে, “হ্যাঁ বল “।

তিশা : নিচে আয় একসাথে বসে আড্ডা দেই।

আয়েশা : আসছি।

আয়েশা ওমর নিচে এসে ওদের সাথে বসে।

ওসমান : U N O খেলবে তোমরা।

ওমর,আয়েশা,তিশা : হুম।

ওসমান : আচ্ছা আমি রুম থেকে U N O কা’র্ড নিয়ে আসি।
ওরা একসাথে U N O খেলে,ওসমান ফাস্ট, ওমর সেকেন্ড আর তিশা থার্ড হয়।খেলা শেষে ওরা ঘুরতে বের হয়।

আজ বন্ধের দিন হওয়ায় ওসমান, ওমর বাসায় আছে সকাল থেকেই আকাশে ঘন কালো মেঘ জমেছে।
লাঞ্চ শেষে তিশা,ওসমান রুমে আসে,কিছুক্ষণ পর আছরের আযান দেয় ওসমান ওমর মসজিদে যায়,আয়েশা তিশা একসাথে আছরের নামায আদায় করে। ওসমান ওমর নামাজ পড়ে বাসায় আসে।
ওসমানের রুমে,

তিশা : আচ্ছা একটা কথা জিজ্ঞেস করবো,

ওসমান : হুম করো।

তিশা : আপনার কাবার্ডে একটা ড্রয়ার দেখেছি ওটা লক করা চাবি খুঁজে পাইনি,আচ্ছা কি আছে ঐ ড্রয়ারে,

ওসমান ওর মানিব্যাগ থেকে একটা ছোট চাবি বের করে তিশার হাতে দেয়।
ওসমান : নেও লক খুলে দেখো।

তিশা চাবিটা নিয়ে ড্রয়ারের লক খুলে দেখে একটা বড় বক্স। বক্স টা বের করে খাটের পর রেখে পুনরায় ড্রয়ার লক করে।

তিশা : এই বক্সে কি আছে,

ওসমান : খুলে দেখো।

তিশা বক্স খুলতেই দেখতে পেলো,

চলবে কি?

[ কেমন হয়েছে কমেন্টে জানাবেন, কোনো প্রকার ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন, ধন্যবাদ। ]
চলবে কি?

[ কেমন হয়েছে কমেন্টে জানাবেন,কোনো প্রকার ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন, ধন্যবাদ। ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here