প্রণয়ের জলসাঘরে পর্ব -১৯

#প্রণয়ের_জলসাঘরে
#পর্বঃ১৯ #লেখিকা_রেহানা_পুতুল
আয়মান তেজী কণ্ঠে বলল, যার জন্য চারদিকে হাজারো প্রেমিক প্রেমের ঢালি সাজিয়ে অপেক্ষা করে। তার আমাকে না হলেও চলবে!

শুনে পিয়াসা স্তব্দ হয়ে গেল। দুচোখ ভিজে গেল প্রবল অশ্রুবর্ষণে।

হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে দু চোখের কোণ ঢলে মুছে নিল। আদ্র কন্ঠে দৃঢ়তার সাথে বলল,
এই হলো পুরুষ মানুষের স্বভাব। কোন কিছু পাওয়ার আগে এক দরিয়া প্রেম। আর পেয়ে গেলে সন্দেহ, ভুল বোঝা, অনাদর শুরু হয়।

আয়মান পিয়াসার মুখের দিকে চেয়ে বলল,
আমি বানিয়ে কিছুই বলিনি। তোমার মেসেঞ্জার দেখলাম মাত্র।

পিয়াসার কলিজা ধক করে উঠল। বুঝল অনেক ছেলের মেসেজ রয়েছে তার মেসেঞ্জারে । তা দেখে গেল আয়মান। কিন্তু পাপ না শরীরে যমেরে কিসের ভয়, বাক্যটি নিজ মনে একবার আওড়ে নিল। আয়মানের হাত থেকে মোবাইল নিয়ে নিল। পাশে বসে দেখালো। কোন রিপ্লাই আছে? চোখের পাতা উল্টিয়ে জিজ্ঞেস করলো।

আয়মান রুষ্ট কন্ঠে বলল, তা থাকলে কি এতক্ষণ তুমি আস্ত দাঁড়িয়ে থাকতে পারতে?

পিয়াসা আয়মানের পাশ থেকে নিজের বালিশ নিয়ে নিল।

আয়মান বালিশ টেনে ধরলো। বালিশ নিচ্ছ কেন?

আমি আলাদা ঘুমাব। কোন ভুল বোঝা মানুষের সাথে আমি ঘুমাইনা।

আয়মান নিজের উপর বিরক্ত হলো বেশ। চিন্তা করলো,
কেন যে পিয়াসার সাথে শুরু থেকেই উল্টো কাহিনী ঘটে। চেয়েছিলাম মেসেঞ্জারের প্রসঙ্গ তুলে একটু জব্দ করতে পারলে লাভবান হবো। আমাকে মানাতে আসবে। আর সেই সুযোগে সৎ ব্যবহার করে বসবো। নিজ থেকে উদার হস্তে কিছু হিরে জহরত দান করতে বলব আমাকে। এখন দেখি দূরেই চলে চেতে যাচ্ছে৷ কিসের হিরে কিসের ডায়মন্ড। হাহ! আফসোসের তবে তপ্ত নিঃস্বাস ছাড়লো আয়মান।

আজ বিয়ের দ্বিতীয় নিশি। বাসর তো হলোইনা মোদের। কি করে আলাদা ঘুমাবে তুমি?

পিয়াসা চনচনিয়ে উঠল। তাহলে আমায় ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা করতে হবে,
কখনো উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া অহেতুক ভুল বুঝা যাবেনা আমাকে। আমি একদম সহ্য করতে পারিনা এসব।

ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা করতে হলেতো আমার কাছে আসতে হবে।

পিয়াসা বালিশ ছেড়ে দিল হাত ধরা থেকে। খাটের সামনে দাঁড়িয়ে রইলো। আয়মান নিজের পা দুটোকে খাট থেকে নামিয়ে দিয়ে বসল। পিয়াসাকে এক টানেই নিজের কোলের উপর বসিয়ে নিল। পাতলা শাড়ির নিচ দিয়ে হাত ঢুকিয়ে দিল। কোমরের দুপাশ দুহাত দিয়ে চেপে ধরলো। পিয়াসার কানের লতিকে আলতো করে কামড়ে ধরলো। পিয়াসা উঃ করে উঠলে, কামড় সরিয়ে নিল আয়মান ।

কন্ঠে দুষ্টমির ছাপ এনে বলল, এই তোমার পেট ছুঁয়ে বলছি, কান ছুঁয়ে বলছি, গাল ছুঁয়ে বলছি,তোমার রঙচটা শাড়িটা ছুঁয়ে বলছি। আর ভুল করেও ভুল বুঝবনা। লেখিকা রেহানা পুতুল।

পিয়াসা ত্যাড়ামো সুরে,
এটা কি নমুনার প্রতিজ্ঞা হলো? ভালো লাগেনি শুনতে।

আয়মান পিয়াসাকে কোল থেকে সরিয়ে দিল। নিজে বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো। পিয়াসার কাঁধে হাত দিয়ে বারান্দায় নিয়ে গেল। গ্রীলের ফাঁক দিয়ে বাইরে আকাশ দেখতে বলল আবদারের সুরে।

পিয়াসা মুখ তুলে আকাশের দিকে চাইলো একবার। আয়মানকে চাইলো একবার।

আয়মান উদাসী পথিকের ন্যায় আবেগাপ্লুত কন্ঠে বলল,
এই রাতের নির্জনতার নামে শপথ করে বলছি। ওই দূর আকাশের তারাদের নামে শপথ করে বলছি। খলবল করে হেসে উঠা নিষ্পাপ শিশুটির নামে শপথ করে বলছি। মৌন পাহাড়ের নামে শপথ করে বলছি। কোনদিন তোমাকে আর ভুল বুঝবোনা। বকাও দিবনা পিয়াসা। কতটা ভালোবেসেছি, কতটা ভালোবাসি আর কতটা ভালোবেসে যাবো জনমভর। তা শুধু আমি জানি আর আমার রব জানে।

আয়মান দরদ মেশা কন্ঠে আরও বলল,
তুমি ছাড়া আমি বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো। তুমি ছাড়া আমি একলা নিঃশ্ব পাখিটির মতো। তুমি ছাড়া আমি শূন্য বিরানভূমি। বলতে বলতে আয়মানের গলা ধরে এলো। পিয়াসা ঘাড় তুলে আয়মানের চোখে তাকালো। আয়মান সজল দুটি চোখে পিয়াসার দিকে চেয়ে আছে অসহায়ের মতো।

আয়মানের নিবেদিত স্বরে ভালোবাসার কথাগুলো শোনার পর, পিয়াসার হৃদয় পাড়ে একটা শীতল শ্রোত বয়ে গেল সর্পিল গতিতে । অফুরন্ত ভালোলাগায় ভরে গেল তার আকুলিবিকুলি করা অন্তরখানি।

একি! আপনার চোখে পানি কেন? বলে পিয়াসা তার শাড়ির আঁচল দিয়ে আয়মানের দুচোখ মুছে দিল। আমি কি কম ভালোবাসি নাকি আপনাকে?

আয়মান অভিমান নিয়ে বলল, সেটা কি আজো বুঝিয়েছ ঠিক আমারি মতো?

পিয়াসা বলল,লজ্জা নারীর ভূষণ। জানেন না?

” আর কত ঠকাবে, এভাবে আমাকে।
আরো বেশী ঠকালে উড়াল দিব আকাশে।”

গানের চরণ দুটি গানের মতো করেই গুনগুনিয়ে গাইল আয়মান।

পিয়াসা নিঃশব্দে হেসে ফেলল। বলল, শুনতে ভালোই লাগছে। আরেকটা বলেন শুনি।

আয়মান পিয়াসার চিবুক ধরে,

” নায়ায়া…যেওনা সজনী, রজনী এখনো বাকিইই..।
বলে রাতজাগা পাখি, আরো কিছু দিতে বাকীইই..। ”

আপনি যে এতটা রোমান্টিক উপর দিয়ে দেখলে আন্দাজ করাই যায়না। চলুন ঘুমাব। ঠাণ্ডা লাগছে।

দুজন ভিতরে চলে গেল। বিছানায় শুয়ে গেল। আয়মান পিয়াসাকে বলল,
বুকে আসো পাখি। উষ্ণতা দিই।

পিয়াসা লাজুক হেসে দিল।

ওহ হো! বলে আয়মান বেড সাইড টেবিলের ড্র‍য়ার টেনে একটি ছোট কাগজের প্যাকেট বের করে আনল।

কিইই এখানে?

ধরো। বিকেলেই এনেছি তোমার জন্য। কিন্তু তোমাকেতো পাইনি দেওয়ার জন্য।

পিয়াসা চিনিগুড়া হাসি দিয়ে, আমি বাদাম পছন্দ করি কিভাবে জানলেন?

প্রেমিকের সব খবর রাখতে হয় প্রেমিকার। তুমি স্কুলে, কলেজে যে মাঝে মাঝে বাদাম খেতে বন্ধুরাসহ তা আমি দেখেছি। তখনই বুঝলাম বাদাম তোমার পছন্দ।

থ্যাংক ইউ স্যার। তার মানে আমার পিছনে গোয়েন্দাগিরি চলছে সেই প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই?

জি মহারানী আমার। তোমাকে যেদিন বেত দিয়ে মেরেছি তার আগে থেকেই তোমাকে আমার ভালোলাগতো। পরে তোমার বিভিন্ন সময়ের আচার আচরণ,ব্যক্তিত্ব, আত্মসম্মানবোধ আমার নজর কাড়ে। এবং তার ফলশ্রুতি হিসেবে আমার ভালোলাগা শাণিত হয়ে একক প্রেমে রূপ নেয়। প্রণয়ের জলসাঘরে তোমাকে যে কত রূপে, কত ঢঙে দেখেছি। পান করেছি তোমার আকন্ঠ সুধা।

হইছে থামেন। স্মৃতিচারণ করতে হবেনা। বলল পিয়াসা।
পিয়াসা বিট লবন দিয়ে কুটকুট করে বাদাম খেয়েই যাচ্ছে।

শুধুই নিজেই খাবে। আর কেউ নেই সামনে খাওয়ার? বলল আয়মান।

ওহ সরি! বলে পিয়াসা নিজের ঠোঁট কামড়ে ধরলো। মনে মনে, কি বেকুব আমি। শুধু নিজেই খেয়ে যাচ্ছি। একবার সাধলাম ও না।

নেন। খোসা ছাড়িয়ে খান। আমি নিজে খাচ্ছিনা?

আমি পারবোনা। খাইয়ে দাও।

পিয়াসা কয়েকটি বাদাম খোসা ছাড়িয়ে বিট লবন মিশিয়ে হাতের তালুতে রাখল। আয়মানের ঠোঁটের সামনে হাতের তালুটি তুলে ধরল।

আয়মান সুখ চিত্তে পিয়াসার হাতটি ধরলো। তালুতে থাকা সব বাদাম মাথা ঝুঁকিয়ে নিজের মুখে তুলে নিল। তালুতে লেগে থাকা বিট লবন জিভ দিয়ে চেটে খেয়ে নিল। বাদাম খাওয়া শেষে আয়মান বালিশের নিচ থেকে একটা চুইংগাম বের করলো।

আবার চুইংগাম ও। এটা তেমন লাইক করিনা। এক্কেবারে স্বামী হয়ে উঠলেন যে। আমার এক খালার কাছে শুনেছি, আগে গ্রামে মেয়েদের বিয়ে হলে স্বামী নাকি সন্ধ্যায় ঘরে ফিরতে এটা ওটা লুকিয়ে বউর জন্য আনতো। রাতে বউ বিছানায় গেলে একটা একটা করে বের করতো আর দুজন গল্প করতে করতে খেত। বলল পিয়াসা।

তুমি ঠিক শুনছ। নাও চুইংগাম খাও। ব্যানানা ও ম্যাংগো ফ্লেবারের আছে। কোনটা খাবে?

এখন খাবনা। এমনিতেই বাদাম বেশী খেয়ে ফেলছি। পরে পেট ব্যথা করবে। নাকি নাকি সুরে ঢং করে বলল পিয়াসা।

প্লিজ খাও বাবু । করবেনা। আর করলে আমি আছি। তোমার সকল ব্যথা উপশম করবে এই বান্দা। একটা রোমান্স করার উদ্দেশ্য নিয়েই চুইংগাম এনেছি।

পিয়াসা পিটপিট চোখে চেয়ে সেটা আবার কেমন?

দেখাচ্ছি বলে আয়মান ম্যাংগো ফ্লেবারের চুইংগামটা প্যাকেট ছিঁড়ে উম্মুক্ত করল। পিয়াসার দুই অধরের ফাঁকে ঢুকিয়ে দিয়ে বলল,
একটু মুখের ভিতরে নাও প্লিজ। দেখবে কত মজা লাগছে।

পিয়াসা নাক কুঁচকে অর্ধেক চুইংগাম কামড়ে নিল মুখের ভিতরে। আয়মান পিয়াসার ঠোঁটের কাছে গিয়ে বের হয়ে থাকা বাকি অর্ধেক চুইংগাম নিজের ঠোঁটের ভিতর পুরে নিল। দুজনের চুইংগাম শেষ হয়ে এলে দুজোড়া ঠোঁট মিশে এক হয়ে গেল। আয়মান ঠোঁট ডুবিয়ে দিল পিয়াসার দুই ঠোঁটের ভিতরে। এভাবে বেশ সময় পার হয়ে গেলে পিয়াসা ঠোঁট ছাড়িয়ে নেয়। এই প্রথম আয়মান অন্যরকম স্বর্গসুখে মেতে উঠলো।

পিয়াসা দুই ঠোঁটের উপর হাত দিয়ে আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো । দেখে রক্ত লাল হয়ে গেল তার তুলতুলে দুটি ঠোঁট।

আয়মানের সামনে গিয়ে লাজুক কন্ঠে দৃষ্টি অন্য দিকে দিয়ে বলল,

সকালে যদি মা আর আলিশা আমাকে জিজ্ঞেস করে,
তোমার ঠোঁট এত লাল কেন? কি বলব? বেশরম পুরুষ কোথাকার।

যাহা সত্য তাহাই বলিবে। বলিবে আপনার ছেলে আমার অধর করেছে রাঙা।

অসভ্য আপনি। বলে পিয়াসা আয়মানের চুল টেনে ধরলো খামচি দিয়ে।

আয়মান গুড়িগুড়ি হেসে বলল, ওহ বেশ আরামদায়ক তো বিষয়টা।
টানো বউ আরো টানো, যত পারো চুল টানো।

পিয়াসা মুহুর্তেই চুল টানা ছেড়ে দিয়ে কম্বলের নিচে লুকিয়ে গেল। আয়মান ও কম্বল দিয়ে নিজেকে ঢেকে ফেলল।
পিয়াসার মাথা টেনে নিজের বাহুর উপর শোয়ালো। পিয়াসা বিড়াল ছানার মতো আয়মানের বুকে মুখ ঘষতে লাগলো।

আয়মান বলল,আচ্ছা আমরা ফাইনাল ম্যাচ কবে খেলব? আমি স্বেচ্ছাচারী হতে চাইনা। প্রণয়ের গভীর আবেশে হারিয়ে গিয়ে উম্মাতাল সুখে ভেসে চাই তোমার পূর্ণ সাড়া পেলেই। বলনা কবে দিবে?

পিয়াসা আয়মানের মুখ চেপে ধরলো। বলল রাত এখন গভীর। তন্দ্রাঘোরে ডুবে যাব দুজন। আর পটপট করবেন না প্লিজ।

আয়মান মুখে আর কিছুই বললনা। পিয়াসার পিঠের উপর হাত বুলাতে বুলাতে এক পা দিয়ে পেঁচিয়ে ধরলো তাকে । নিজের বুকের সাথে লেপ্টে নিল যতটা সম্ভব। আয়মানের ভারী নিঃশ্বাসের উষ্ণতা পিয়াসার ঘাড়ে গিয়ে পড়ছে। পিয়াসার সমস্ত অনুভূতি তিরতির করে দুলতে লাগল গাছের কচি শাখার মতো। একসময় দুজনে ঘুমিয়ে পড়লো অঙ্গে অঙ্গে জড়াজড়ি করে।

বিকেলে শুভ পড়াতে এলো। আলিশা আজ আর কোন কিছুই খাতায় লিখলনা৷ মুখেও কিছুই বললনা। চুপচাপ শান্ত বালিকাটি হয়ে অংক করা শেষে শুভ’ র সামনে খাতা ঠেলে দিল।

শুভ রোজকার অভ্যেসের মতো লুকানো চোখে আলিশার লেখা খুঁজল। হঠাৎ ব্যত্যয় ঘটল বলে কিঞ্চিৎ অবাক হলো। আলিশা রোজ তার সাথে কলমের ভাষায় হৃদয়ের আদান-প্রদান করতো। ছোট ছোট কালো কালির শব্দে ফুটিয়ে তুলতো তার অব্যক্ত প্রণয়ের পংক্তিমালা।

শুভ’র অনিচ্ছাকৃতভাবে তা পড়তে পড়তে অভ্যাসে পরিণত হলো। এ অভ্যাস আর আলিশার গাল ভরা দুষ্টমি এক সময় তার ভিতরে ভালোলাগা সঞ্চিত করল। কিন্তু আজ আলিশাকে কেমন মনমরা দেখাচ্ছে। আনমনা দেখাচ্ছে। যেন শান্ত দিঘির গভীর জল। আলিশা স্বভাবে দুরন্ত। চপল হরিনীর মতো। কিন্তু আজ কেমন যেন আঁধার রাতের চিরবিরহী ডাহুকীর মতো দেখাচ্ছে আলিশাকে।

শুভ তৃতীয় নয়নে আলিশাকে পরখ করে দেখল। আলিশা তা টের পেয়েও না পারার ভান করে রইলো। শুভ ও কম যায়না। কিছুই জিজ্ঞেস করলোনা আলিশাকে। পড়ানো শেষ হলে বরাবরের মতো নাস্তা খেয়ে উঠে চলে গেল। আলিশা দাঁড়কাকের ন্যায় বসা থেকে শুভর চলে যাওয়া দেখল।

শুভর নাস্তা কিছুটা রয়ে গেল। আলিশা নেড়েচেড়ে রেখে দিল নাস্তা। দুধে ভেজা লাচ্ছা সেমাই রয়ে গিয়েছে। আর মিক্সড ফ্রুটস সালাদ ও রয়ে গিয়েছে কিছুটা।

অন্যদিন হলে শুভর খেয়ে থেকে যাওয়া নাস্তা আলিশা খেয়ে নিতো টুপ করেই। আজ খেলনা। যদিও এই নাস্তা খাওয়া ও আলিশার ভারী অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। তবুও খেলনা। প্রচন্ড আক্রোশে ফুঁসে উঠছে সে শুভর উপর।

রাতে আলিশার ফোনে টুং করে আওয়াজ হলো। শুভ’র নাম্বার থেকে মেসেজ এলো।

‘” তুমি চাইলে আমার কলাবতীকে তোমার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পারি। ইচ্ছে আছে কলাবতীকেই বিয়ে করব। টাকা পয়সা কম খরচ হবে তাকে বিয়ে করলে। কারণ সে বেশিরভাগ সময় নাস্তা সেরে নেয় পাকা কলা দিয়ে। আর কাঁচা কলার বিভিন্ন রেসিপি দিয়ে লাঞ্চ ডিনার সেরে নেয়। ”
আলিশা খুক করে হেসে ফেলল শুভ’র কলাবতীকে চিনে ফেলায়।

চলবে ঃ ১৯

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here