#মায়ায়_জড়ানো_সেই_তুমি
#পার্ট_১০
জাওয়াদ জামী
দিন পেরিয়ে মাস যায়। সবাই যে যার জীবনে ব্যস্ত হয়ে গেছে। সবকিছুই স্বাভাবিক নিয়মে চলছে। শুধু স্বাভাবিকতা নেই দুটি পুরুষের জীবনে।
সাদিফ সে তো ডায়েরির বুকে কলমের আঁচড় কেটে দিনক্ষণের হিসাব রাখতেই ব্যস্ত। তার সুখের জায়গা এখন ডায়েরির বুকে। প্রতিটা দিন নতুন আশার আলো দেখে নতুন করে। বুকের ভিতর সদা আঁকুপাঁকু করে সেই রমনীকে একনজর দেখতে।
যেদিন সাদামাটা এক কিশোরীকে প্রথম দেখেছিল র*ক্তজবার মত লাল বেনারসিতে।
ভীতু চোখে এদিকসেদিক তাকাচ্ছিল। ভাবটা এমন ছিল যেন এত বড় বাড়িতে সে হারিয়ে যাবে। সেই চোখের চাহনী আজও ভুলতে পারেনি সাদিফ। টানাটানা চোখের বাদামী মনিগুলো যেন টানতো সাদিফকে। সাদিফের বড় ইচ্ছে হত সেই চাহনীতে ধরা দিতে। কিন্তু তখনই মনে হতো সে অন্য কারো কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, তার জীবনে আরেকজনের অস্তিত্ব আছে। ওর মন ধরা দিতে চাইলেও মস্তিস্ক বাঁধা দিয়েছে। ফলে দিনের পর দিন বঞ্চিত করেছে তার মায়াবিনীকে। প্রথম দিকে সাদিফ ওকে যতই এড়িয়ে চলেছে সেই কিশোরী ততই ওর আশেপাশে ঘুরঘুর করেছে। এটা সেটা জানতে চেয়েছে সাদিফের কাছে। কখনো সাদিফ বিরক্ত হয়ে উত্তর দিয়েছে, কখনোবা চুপচাপ থেকেছে। আজ তার সাথে কাটানো প্রতিটা স্মৃতি সাদিফকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরেছে।
বারবার মনে পরে সেই প্রথম ছোঁয়ার অনুভূতি। সে কেঁপে কেঁপে উঠছিল! কেন যে কাঁপছিল! ভয়ে না আবেশে তা আজো বুঝে পায়না সাদিফ।
পরদিন সকালে তার লজ্জা রাঙ্গানো মুখ, তাও কি ভোলা যায়! সে যখন বারান্দায় দাঁড়িয়ে রাতের আকাশে নিজেকে উজার করে দিত, তার অবাধ্য চুলগুলো এদিকসেদিক ছুটোছুটি করত। সে কি জানত, কাজের ফাঁকে তাকে কেউ মুগ্ধ নয়নে দেখত! কখনো তার চোখেই পরেনি এসব। সে তো তখন ব্যস্ত থাকত রাতের আকাশের মুগ্ধতার খোঁজে। সাদিফ চাইলেই তার রমনীকে নিয়ে সুখী হতে পারত। কিন্তু তার মস্তিষ্কে বাসা বেঁধেছিল সোহা নামক মরিচীকা। মন যাকে চাইত, মস্তিষ্ক তাকে মনের আশেপাশে ভীড়তে দিতনা! আহা! কি এক দোটানায় কেটেছে সাদিফের প্রতি মুহূর্ত তা কেবল সে-ই জানে।
আরেক পুরুষ যে তার ভীতু হরিণীকে প্রথমবার দেখেই টুপ করে প্রেমে পড়েছিল। তারপর নানা ছলচুতোয় তার আশেপাশে থাকা। হুটহাট তার সামনে যেয়ে, তাকে চমকে দেয়া। আবোলতাবোল কথা বলে তাকে ভড়কে দেয়া, এসব কি নিছকই কাকতালীয় ছিল! তার ভীরু চাহনি, একটুতেই বিরক্ত হওয়া, কাছে আসলেই পালাইপালাই স্বভাবকেই তো ভালোবেসেছিল ইশান। কিন্তু সে কি ঘুনাক্ষরেও টেরটি পেয়েছিল, তার হরিণী আগে থেকেই অন্য কারো। সে প্রতিরাতে অন্যকারো বুকে মাথা রেখে স্বপ্ন বুনে! তাকে জড়িয়ে অন্য একপুরুষ সুখের ওম খুঁজে! তার চোখ, তার ঠোঁট, তার হাসি তার ভালোবাসায় অন্য আরেকজন সিক্ত হয়!
ভালোবাসায় এত কষ্ট কেন! বুকের পাড় ভেঙে, কলিজায় তোলপাড় হয়। কিন্তু এই ভাঙ্গনের আওয়াজ কারো কানে পৌঁছায়না। তবুও এতদিন সামনেই ছিল তার না পাওয়া হরিণী। নাইবা হলো তাকে পাওয়া। তবুও ভালোবাসতে ক্ষতি কি! কিন্তু আজ সে কোথায় হারালো!
যাকে ঘিরে দুটি প্রেমিকসত্বার এত স্মৃতিচারন, এত প্রেমের জোয়ার। তাদের এই উথলিত প্রেম কি আদৌ ছুঁতে পারছে সেই রমণীর মন! সে তো জানতেই পারলনা তার জন্য দুটি পুরুষের হৃদয় ব্যাকুল। একজন তাকে পেলে আজীবন বুকের খাঁচায় বন্দী করবে। আরেকজন দূর থেকে না পাওয়া ভালোবাসা আঁকড়ে ধরে বাঁচবে।
শায়লা চৌধুরী তার বড় ছেলের দিকে তাকিয়ে চোখের পানি ফেলেন। তার সেই সুদর্শন ছেলেটার এ কি অবস্থা! ছেলেটা ঠিকমতো খায়না, নিজের যত্ন নেয়না। শুধু ওর বাবা ছাড়া কারো সাথে কথা বলেনা। আজকাল তিনি আশেপাশে থাকলে ছেলেটা সেদিকে ভিড়েনা। কথা বলা দূরের বিষয়। অথচ একদিন এই ছেলেটা মা অন্তপ্রান ছিল।
শায়লা চৌধুরীর এক মন বলে, তিনি ভুল করেছেন। কিন্তু পরক্ষণেই আরেক মন বলে উঠে, কখনোই না, আমি আমার ছেলের ভালো চাই।
কিন্তু আদৌ তিনি যদি জানতেন তার ছেলে কিসে ভালো থাকবে!
সেই চিরপরিচিত হালকা গড়নের তানিশার শরীরে আজকাল একটু মাংস লেগেছে। সাতমাসের পেটও বেশ বেড়েছে। ভারী শরীর নিয়ে একটু হাঁটতেই হাঁসফাঁস ধরে যায়। ওর যত্নের কোন ত্রুটি করেনা রিশার নানিমনি। নিয়মিতভাবে চেক-আপ, খাওয়াদাওয়া সবকিছুই বৃদ্ধা মহিলাটি নিজের হাতে নিয়েছেন।
এমনকি রাতে তানিশাকে একা ঘুমাতে পর্যন্ত দেয়না।
তানিশা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যতদিন সুস্থ থাকবে ততদিন ছুটি নিবেনা। কিন্তু নানিমনির একটাই কথা, তুই ছুটি নে। তার বড় ছেলের সাথেও কথা বলতে চেয়েছেন কিন্তু তানিশার জোড়াজুড়িতে থামতে হয়েছে তাকে।
সাইফ কানাডার একটা ভার্সিটিতে ভর্তির আবেদন করেছিল। সেখানে টিকে গেছে। তার খুশি দেখে কে। বাসায় এসে শায়লা চৌধুরীকে জানালে শায়লা চৌধুরী আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান। সাইরাও ছোট ভাইয়ের খবরে ভিষন খুশি। এখন শুধু জামিল চৌধুরীর সম্মতির অপেক্ষা।
আর সাদিফকে নিয়ে কোন চিন্তাই নেই। সে চায় তার ভাই-বোন জীবনে অনেক বড় হোক।
সন্ধ্যায় জামিল চৌধুরী বাসায় আসলে সাইফ তার কাছে যায় কথা বলতে।
” ড্যাড, একটু কথা ছিল। ”
” বলো, আমি শুনছি। ” খবরের কাগজ উল্টাতে উল্টাতে জবাব দেয় জামিল চৌধুরী।
” আমি কানাডার একটা ভার্সিটিতে আবেদন করেছিলাম। সেখান থেকে আমাকে ডেকেছে। মম রাজি হয়েছে। এখন তুমি রাজি হলেই আমি সেখানে পড়তে যেতে পারি। ”
” ওহ, তাহলে তোমার ড্যাড ডাকের ফল পেলে। তা কবে যেতে চাইছো? টাকার চিন্তা করোনা। যেখানে যা প্রয়োজন আমাকে বলো। ” আসলে সন্তানের সাথে মতামতের যতই অমিল হোক কোন বাবা-মা ‘ ই কখনো চায়না তাদের সন্তান পিছিয়ে থাকুক। ঠিক তেমনি জামিল চৌধুরীরও সন্তানদের সাথে মতের মিল হয়নি, তিনি সন্তানদের শাসন করেছেন তারমানে এই নয় যে তিনি ওদের ভালো চাননা।
বেশ কিছুদিন দৌড়াদৌড়ি, অ্যাম্বালসি থেকে ভার্সিটি, ভার্সিটি থেকে অ্যাম্বালসি আবার অ্যাম্বালসি থেকে বাড়ি এসব করতে করতে কাঙ্ক্ষিত দিন এসে পড়ে। সাইফ সবার কাছে থেকে বিদায় নিয়ে পাড়ি জমায় কানাডা।
চৌধুরী বাড়িতে আর আগেকার সেই হৈ-হুল্লোড় নেই। বাড়িটা কেমন ঝিমিয়ে গেছে। রহিমা খালার মন আর এখানে টিকেনা। সাদিফ, জামিল চৌধুরী যে যার মত চলে। সাইরাও ভার্সিটি বন্ধুবান্ধব নিয়ে ব্যস্ত। শুধু শায়লা চৌধুরী ঝিম মেরে ঘরে পরে থাকে। স্বামী, সন্তানের অবহেলা তিনি আর নিতে পারছেননা। আজ কতদিন হয়ে গেল জামিল চৌধুরী তার সাথে এক ঘরে থাকেনা। এমনকি কোন কথাও বলেনা। এমনকি মাস শেষে বেতনেরগুলোও সাইরার হাতে দেন। অনুশোচনায় দগ্ধ হতে থাকেন তিনি। কিন্তু ইগোর কাছে হার মানেননা। চিরকাল মাথা উঁচু করে বেঁচেছেন তিনি। তাই এখনও মাথা নোয়াতে কিছুতেই রাজি নন।
সাইরার বিয়ের বয়স হয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে ভাল সম্বন্ধ আসছে। শায়লা চৌধুরীর ইচ্ছে তার একমাত্র মেয়েকে ভালো ঘর দেখে বিয়ে দিবেন। এজন্য অনেক সম্বন্ধই তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন। জামিল চৌধুরী এসব বিষয়ে কিছুই জানেননা। এবার ছেলের বাড়ি থেকে প্রস্তাব আসে। ছুটির দিন হওয়ায় জামিল চৌধুরী বাড়িতেই ছিলেন। ছেলের বাবা জামিল চৌধুরীকে চেনেন তাই তিনি ঘটক পাঠিয়েছেন।
জামিল চৌধুরীও সব শোনার পর চিনতে পারেন।শায়লা চৌধুরী ছেলের পরিবার ও ছেলের যোগ্যতা দেখে না করেননা। ঘটকের মাধ্যমে কথা বলতে থাকেন।
অনেক দেখাশোনা, বোঝাপড়ার পর সিদ্ধান্ত হয় এখানেই বিয়ে হবে। কিন্তু দুইমাস পর হবে। এরমধ্যে সাইরার পরিক্ষা শেষ হবে তারপর বিয়ে।
জামিল চৌধুরীর মন সকাল থেকেই উচাটন করছে। গতকাল তানিশা ফোন দেয়নি। আবার আজ দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলো তবুও ফোন আসলনা! বাধ্য হয়ে তিনি ফোন করলেন। কিন্তু তিনি জানতেন ফলাফল কি হতে পারে। তার ধারনাকে সত্যি প্রমানিত করে ফোন সুইচড অফ দেখায়। কারন তানিশার যে নম্বর থেকে ফোন করে সেটা সব সময়ই বন্ধ থাকে। শুধু কথা বলার সময়টু অন থাকে।
চিন্তায় অস্থির হয়ে জামিল চৌধুরী তানিশার বাবার কাছে ফোন দেয়। এবং জানতে পারেন তিনিও জানেননা তানিশার খবর। গতকাল থেকে তাদের সাথেও যোগাযোগ করেনি তানিশা।
এদিকে তালিব শেখ বারবার মেয়ের কাছে সিলেট যেতে চাচ্ছেন। কিন্তু তারা জানেননা তানিশা সিলেট কোথায় থাকে, কোন অফিসে চাকরি করে। জামিল চৌধুরীও এ ব্যাপারে কোন সাহায্য করতো পারেনা। কারন তিনিও তালিব শেখের মতই এতটুকু জানেন তানিশা সিলেট থাকে।
সাদিফের মন কিছুতেই অফিসের কাজে বসছেনা। সব ফাইল স্তুপ করে রেখে কিছুক্ষণ রিভলভিং চেয়ারে হেলান দিয়ে থাকে। নানা চিন্তা ওর মাথায় উঁকি দিচ্ছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী তানিশার ডেলিভারি ডেট আজ থেকে সাতদিন আগে অথবা সাতদিন পরে। সাদিফ সেই রিপোর্ট নিয়ে একজন গাইনীকোলোজিষ্ট এর সাথে দেখা করেছে। তিনি জানিয়েছেন ডেইটের সাতদিন আগুপিছু হতে পারে। যদি সাতদিন আগেই হয় তবে তো সে এসেছে! সে কি ছেলে না মেয়ে! কত দুর্ভাগা পিতা সে নিজের সন্তানকে ছুঁয়ে দেখার সৌভাগ্য তার নেই। আর তানিশা সে ভালো আছে? না জানি কোথায় আছে সে। অভিভাবকহীন সম্পূর্ণ একা অবস্থায় একটা মেয়ে এই অবস্থায় কি করছে ভাবতেই ওর শরীর হিম হয়ে আসছে। মনে মনে আল্লাহকে ডাকছে সাদিফ তার স্ত্রী-সন্তানের জন্য।
অফিস থেকে ফিরেই সাদিফ বাবার কাছে যায়।
জামিল চৌধুরী কপালে হাত রেখে টানটান হয়ে শুয়ে আছে। সাদিফ হুড়মুড়িয়ে রুমে ঢুকেই বাবার মাথার কাছে বসে। জামিল চৌধুরী কারো উপস্থিতি বুঝে চোখ খুলে। সাদিফের চোখ-মুখ উদভ্রান্তের ন্যায়।
” বাবা, তানিশা কেমন আছে? তুমি ওর কোন খবর জানো? এই অবস্থায় একা একা ও কিভাবে কি করছে! ” সাদিফ পাগলের ন্যায় আচরণ করছে।
জামিল চৌধুরী কি জবাব দিবে ভেবে পায়না। তার নিজেরই যেখানে জানা নেই সেখানে সাদিফকে কিভাবে বুঝাবেন। এদিকে সাদিফ অস্থির হয়ে গেছে।
” সাদিফ শান্ত হও। আমিও বউমার কোন খবর জানিনা। গতকাল এবং আজকে তার কোন ফোন পাইনি আমি। বাধ্য হয়ে আমিই ফোন করেছিলাম কিন্তু তাকে পাইনি। ”
” বাবা ওই নম্বর আমাকে দিবে প্লিজ। “অনুনয় করে সাদিফ।
” বুঝতে চেষ্টা করো সাদিফ। বউমার নিষেধ আছে। আমি তোমাকে ফোন নম্বর দিলে এবং তুমি তার সাথে যোগাযোগ করলে বউমা যেখানে আছে সেখান থেকে অন্য কোথাও চলে যাবে। এবং এরপর আমার সাথে যেটুকু যোগাযোগ আছে সেটুকুও রাখবেনা। ”
সাদিফ ভাবতেও পারেনি ওর কাছ থেকে পালিয়ে বেড়ানোর সব আয়োজন করে রেখেছে। যে নিজ থেকে হারিয়ে যায় তাকে খুঁজে বের করার কোন পন্থা জানা নেই সাদিফের।
আজ এক বিধ্বস্ত বাবা, এক পরাজিত স্বামী নিজের বিবেকের কাছে জবাবদিহির জন্য দাঁড়িয়েছে। কিন্তু নিজের কাছে নিজের প্রশ্নেরই কোন উত্তর নেই। সে চরমভাবে ব্যর্থ। আজ বেঁচে থাকার সকল ইচ্ছাই তার লুপ্ত হয়েছে। কতটা নির্মম সে ছিল, যার দরুন স্ত্রী চায়না তার অবস্থান জানুক স্বামী। কতটা পাষান হলে একজন স্ত্রীকে নিজের থেকে দূরে ঠেলতে দ্বিধা হয়না। কতটা জঘন্য হলে স্ত্রীর সাথে অ*মা*নু*ষে*র ন্যায় আচরন করা যায়। আজ নিজের বিকেক তার সামনে প্রশ্নগুলো রেখেছে। যার ফলশ্রুতিতে নিজের সন্তানকে ছুঁয়ে দেখার অধিকার হারিয়েছে।
গুনেগুনে দশদিন পর তানিশার ফোন আসে। এ কয়দিন জামিল চৌধুরী ও সাদিফের অসহনীয় কেটেছে। এতটা অসহায়বোধ তারা জীবনেও করেনি। সাদিফের অফিস লাটে উঠেছে। সে শুধু পাগলের মত এখানে সেখানে ঘুরে বেরিয়েছে।
জামিল চৌধুরীর ফোন পেয়ে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আসে বাসায়।
” বাবা আমাকে ডেকেছো কেন? সব ঠিক আছে বাবা? ”
” তুমি হাইপার হয়োনা। এভ্রিথিং ইজ অলরাইট।
কংগ্রাচুলেশন তুমি কন্যা সন্তানের বাবা হয়েছো দশদিন আগেই। একয়দিন বউমা অসুস্থ ছিল তাই ফোন করতে পারেনি। আজ একটু সুস্থ বোধ করায় ফোন দিয়েছিল। ”
” কি হয়েছিল বাবা তানিশার? ও এখন কেমন আছে? ”
” ইন্টারনাল কিছু প্রবলেম ছিল। ব্লিডিং নিয়ন্ত্রণে আসছিলনা। তবে এখন ভালো আছে। তা মেয়ের বাবা মিষ্টি খাওয়াবেনা? সন্তানের জন্য চিন্তা, দ্বায়িত্ব বোধ আর ভালোবাসার জগতে তোমাকে স্বাগত সাদিফ চৌধুরী। আজ থেকে তুমিও বুঝবে আমি ভুল ছিলাম নাকি ঠিক ছিলাম। ”
সাদিফ আনন্দে বাবাকে জড়িয়ে ধরে। ওর চোখে সুখের অশ্রু। নাইবা পেল সন্তানকে ছুঁয়ে দেখার অধিকার তবুওতো সে বাবা হয়েছে।
” তুমিই ঠিক বাবা। এবং সব সময়ই সঠিক ছিলে।আমাদেরই শুধু বোঝার ভুল ছিল। ”
চলবে…..