#বর্ষণের সেই রাতে ❤
#লেখিকা: অনিমা কোতয়াল
#পর্ব: ২৪
.
আদ্রিয়ানের কথা শুনে চরম মাত্রায় অবাক হলো অনিমা। কাজী অফিস? কিন্তু কেনো? অনিমা অবাক হয়েই বলল
— “কিন্তু কেনো?”
এটা শুনে আদ্রিয়ান ভ্রু কুচকে অনিমার দিকে তাকিয়ে বলল
— ” কাজী অফিসে মানুষ কেনো যায়?”
অনিমা সরল ভাবে জবাব দিলো
—” বিয়ে করথে নয়তো বিয়ে দেখতে।”
— ” এক্সাক্টলি! আমরাও সেইজন্যেই যাচ্ছি।”
অনিমা ভ্রু কুচকে ফেলল, কার বিয়ে দেখতে নিয়ে যাচ্ছে ওকে? তাও এইভাবে বেধে? অনিমা চিন্তিত কন্ঠেই বলল
— ” কারা বিয়ে করছে কার বিয়ে দেখতে যাচ্ছি আমরা? আর আমাকেই কেনো নিয়ে যাচ্ছে?”
আদ্রিয়ান অনিমার কথায় বিরক্ত হয়ে বলল
— ” তোমাকে কে বলল যে আমরা কারো বিয়ে দেখতে যাচ্ছি?”
অনিমার এবার একটু ভয় লাগছে তাই তুতলিয়ে বলল
— ” তাহলে কেনো যাচ্ছি ?
আদ্রিয়ান সামনে তাকিয়ে ড্রাইভ করতে করতে বাকা হেসে স্পষ্টভাবে বলল
— ” আমাদের বিয়ে হবে।”
অনিমা বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে আদ্রিয়ানের কথা শুনে। কী বলছে কী আদ্রিয়ান? পাগল টাগল হয়ে গেলো না তো? এরকম মজার মানে কী? আদ্রিয়ান তো একমনে ড্রাইভ করেই চলেছে। অনিমা কিছুক্ষণ অবাক হয়ে আদ্রিয়ানের দিকে তাকিয়ে থেকে বলল
— ” মানে?”
আদ্রিয়ান অনিমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলল
— ” আমিতো যথেষ্ট স্পষ্ট ভাষায় বললাম। তবুও তুমি যেহেতু বুঝতে পারছোনা আরেকটু ক্লিয়ার করে বলি। তোমাকে আর আমার মানে আমাদের দুজনের বিয়ে হবে।”
এবার অনিমা পুরো হ্যাং হয়ে গেলো। আদ্রিয়ান হেসে ড্রাইভিং এ মনোযোগ দিলো। অনিমা আর কী বলবে আদ্রিয়ানের কথা শুনেই অনিমার মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। হঠাৎ এই ছেলের কী হলো? এসব উদ্ভট কথাবার্তার মানে কী? কিছুক্ষণ বোকার মতো বসে রইল। হঠাৎ রিকের বলা কথা মনে পরতেই অনিমা নিজেকে সামলে নিলো, তারপর রেগে গিয়ে বলল
— ” মজা করছেন আপনি আমার সাথে?”
আদ্রিয়ান অনিমার এরকম প্রশ্নে আরো বিরক্ত হয়ে বলল
— ” তোমার মনে হয় আমি মজা করার মুডে আছি?”
— ” একদমি না আমার মনে হচ্ছে আপনি পাগল হয়ে গেছেন।”
— ” রিয়েলি? এমন কী বলে ফেললাম?”
অনিমার এবার রাগ মাথায় চরে যাচ্ছে। এই ছেলেটা এতো কুল কীকরে? কী করতে চাইছে ও? অনিমা নিজের হতের বাধন ছড়ানোর চেষ্টা করতে করতে বলল
— ” কী করেছন মানে?একেতো আমাকে বেধে রেখে দিয়েছেন তারওপর কীসব ভূলভাল বকেই যাচ্ছেন? সমস্যা কী আপনার?”
আদ্রিয়ান মুচকি হেসে বলল
— ” দোষটা তো তোমারই। তুমি যদি এভাবে এই ছয়টা আমাকে ইগনোর না করতে, আমার সাথে কথা বলতে তাহলে এসব করতাম না আমি।”
অনিমা কিছু বলবে তার আগেই ওর ফোন বেজে উঠল। অনিমার হাত বাধা আছে তাই ও ফোন রিসিভ করতে পারছেনা। আদ্রিয়ান গাড়িটা সাইড করে ব্রেক করল। অনিমা ভীত চোখে তাকিয়ে আছে আদ্রিয়ানের দিকে, কারণ যদি রিক ফোন করে থাকে তাহলে? অনিমা আদ্রিয়ানের দিকে তাকিয়ে বলল
— ” আমার হাত খুলুন ফোন রিসিভ করব। অাদ্রিয়ান অনিমার কথায় কান না দিয়ে ব্যাগ থেকে ফোনটা বের করে বলল
— ” আমি থাকতে তুমি কষ্ট কেনো করবে?”
অনিমাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই অাদ্রিয়ান অনিমার ফোনটা রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে আওয়াজ এলো
— ” ফোন রিসিভ করতে এতোক্ষণ লাগে নাকি? যাই হোক খুব ভালো কাজ করেছো। ঠিক আমি যেভাবে বলেছি সেভাবেই। কালকে তৈরী থেকো আমি কালকেই তোমাকে আমার কাছে নিয়ে আসবো। আর হ্যাঁ কোনো চালাকি করার চেষ্টা করোনা বেবি। তুমি সেটা করলে আমি কী করবো ইউ নো এস ওয়েল।”
আদ্রিয়ান ফোনটা কানে ধরেই রাগী চোখে তাকালো অনিমার দিকে। অনিমা ভয় পেয়ে চোখ সরিয়ে নিলো। তারপর ফোনটা সুইচড অফ করে জানালা সোজা বাইরে ফেলে দিলো। সেটা দেখে অনিমা উত্তেজিত হয়ে বলল
— ” আরে? আমার ফোন ছিলো ওটা।”
আদ্রিয়ান গাড়ি স্টার্ট করে সামনে তাকিয়েই বলল
— ” ফাটা স্ক্রিনের ফোন ইউস করার কোনো দরকার নেই। তাই ফেলে দিলো।”
অনিমা এবার চেচিয়ে বলল
— ” দেখুন আপনি এরকম নিজের খেয়ালখুশি মতো কাজ করতে পারেন না।”
আদ্রিয়ান এবার জোরে ধমকে বলল
— ” চুপ। একদম চুপচাপ বসে থাকো নইলে কীকরে চুপ করাতে হয় আমি জানি।”
অনিমা মাথা নিচু করে চুপ করে বসে রইলো আর আদ্রিয়ান ড্রাইভ করার কনসেনট্রেট করলো। রাগে রগ ফুলে উঠেছে ওর, ইচ্ছে করছে সব ভেঙ্গে গুড়িয়ে ফেলতে।
আর ওদিকে কথা শেষ হবার আগেই ফোন কেটে দেওয়ায় রিকের রাগ মাথায় চড়ে আছে আর তারপর ট্রায় করে ফোনটা বন্ধ পেয়ে সেই রাগ কয়েকগুন বেড়ে গেছে। বিয়ারের বোতলটা আছাড় মেরে ফেলে বলল
— ” খুব সাহস হয়ে গেছে মেয়েটাল। ওয়েট, কালকে একবার নিয়ে আসি তোমাকে তারপর দেখে নেবো তোমাকে কতো সাহস।”
গাড়ি থামতেই মাথা তুলে তাকালো অনিমা, আশেপাশে তাকিয়ে দেখলো এটা একটা বিশাল বিল্ডিং এর সামনে থেমেছে। আদ্রিয়ান অনিমাকে নামাতে গেলেই অনিমা অবাক হয়ে বলল
— ” আপনি তো বলেছিলেন কাজী অফিস যাবেন কিন্তু এখানে তো..”
আদ্রিয়ান দুষ্টু হেসে অনিমার দিকে ঝুকে বলল
— ” কেনো কাজী অফিসে গেলেই বেশি খুশি হতে বুঝি? তাহলে বলো আমি গাড়ি ঘোরাচ্ছি।”
অনিমা রেগে বলল
— ” আপনি নিয়ে গেলেও আমি বিয়ে করতাম না আপনাকে।”
আদ্রিয়ান হেসে অনিমাকে কোলে তুলে নিয়ে বলল
— ” আমি জানি তুমি সোজা কথার মেয়ে নও। তাই আগে তোমাকে সোজা করি তারপর বিয়ের কথা ভাবব।”
অনিমা ছটফট করতে করতে বলল
— ” আমাকে বাসায় যেতে দিন ।”
— ” বাসাতেই নিয়ে যাচ্ছি চলো।”
বলে অনিমাকে কোলে নিয়েই হাটতে শুরু করলো। অনিমা ছটফট করে চলছে নামার জন্যে কিন্তু অাদ্রিয়ান তো আদ্রিয়ানই। অনিমার ছটফটানিটা ও বেশ ইনজয় করছে। অনিমাকে নিয়ে ও বিল্ডিং এর সেভেনথ ফ্লোরের একটা এপার্টমেন্টে নিয়ে গেলো। অনিমা চিৎকার চেচামেচি করেই যাচ্ছে। আদ্রিয়ান অনিমাকে নিয়ে ওর বেডে বসিয়ে দিলো। তারপর হাতের বাধন খুলে দিয়ে বলল
— ” তুমি বসো আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি। আর হ্যা দরজা লক করা চাবি আমার কাছে। সো তোমার কোনো চেষ্টাই কাজে লাগবেনা।”
এটুকু বলেই আদ্রিয়ান ওয়াসরুমে চলে গেলো। অনিমা কিছুই বুঝতে পারছেনা যে ওর সাথে হচ্ছেটা কী? দরজা দিয়ে পালাতে চাওয়াটাও বোকামী হবে, একতো দরজা লক করা আর দুই ওর গার্ডরাও ওর পারমিশন ছাড়া অনিমাকে বেড়োতে দেবেনা। নিজে নিজেই বিরবির করে বলল
— “কী করতে চাইছে আদ্রিয়ান? উনি তো বুঝতেই পারছেনা ওর জন্যে কতো বড় বিপদ। আমার সাথে থাকলে ওরা ওনাকে ছেড়ে দেবে না। রিক যদি এটা জানতে পারে তাহলে তো আদ্রিয়ানকে মেরেই ফেলবে।”
— ” কে কাকে মেরে ফেলবে?”
কারো আওয়াজ শুনে চমকে তাকালো অনিমা আদ্রিয়ান মুচকি হেসে তাকিয়ে আছে অনিমার দিকে। অনিমা কিছু না বলে চোখ সরিয়ে নিলো। আদ্রিয়ান অনিমার সামনে বসে অনিমার দিকে তাকিয়ে বলল
— ” বাই এনি চান্স তুমি আমাকে মার্ডার করার প্লান করছোনা তো?”
অনিমা ভ্রু কুচকে তাকালো আদ্রিয়ানের দিকে। আদ্রিয়ান হেসে দিয়ে বলল
— ” জাস্ট কিডিং। খিদে পেয়েছে নিশ্চয়ই? কী খাবে বলো?”
— ” আমাকে যেতে দিন প্লিজ।”
এবার আদ্রিয়ান আর রাগটা কন্ট্রোল করতে পারলোনা। অনিমার হাত ধরে হ্যাচকা টানে ওকে দাড় করিয়ে দুই বাহু ধরে নিজের কাছে এনে বলল
— ” ছেড়ে দিন, যেতে দিন হোয়াটস ইউর প্রবলেম ড্যাম ইট। আমি আগেই বলেছি আমি কাউকে ছেড়ে দেইনা। তোমাকে তো নাই। তোমার সবচেয়ে বড় ভুল ছিলো আমাকে ইগনোর করার চেষ্টা করাটা। এবার তোমাকে আমার সাথেই থাকতে হবে, দেখি কতো ইগনোর করতে পারো।”
— ” আপনি বুঝতে পারছেন না..”
আদ্রিয়ান জোরে চেচিয়ে বলল
— ” আমি বুঝতে চাইও না ওকে? যদি সত্যি কিছু বলতে চাও তাহলে নিজের সমস্যাটা বলো নইলো জাস্ট কিপ ইউর মাউথ সাট।”
অনিমা এবার করুণ চোখে আদ্রিয়ানের দিকে। আদ্রিয়ান অনিমার উত্তরের অপেক্ষা না করেই, কাউকে ফোন করে মাটান পরোটা আনতে বলে দিলো। অনিমা মাথা নিচু করে বসে রইলো, এ ছাড়া আপাদত কিছুই করার নেই ওর। খাবার আসতেই আদ্রিয়ান অনিমার সামনে প্লেট নিয়ে বসে বলল
— ” হা করো।”
অনিমা মাথা তুলে তাকিয়ে দেখলো আদ্রিয়ান খাবারের লোকমা ওর দিকে এগিয়ে রেখেছে। অনিমা মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে বলল
— ” খিদে নেই আমার।”
আদ্রিয়ান জোর করেই এক লোকমা অনিমার মুখে পুরে দিয়ে বলল
— ” ঠিকভাবে খাবে নাকি এভাবে নাকে মুখে ভরিয়ে খাবে সেটা তোমার ব্যাপার। ”
অনিমা আর ঝামেলা না করে চুপচাপ খেয়ে নিলো। খাওয়ার শেষ করে যেই আদ্রিয়ান প্লেট রাখতে যাবে তখন অনিমা নিচু কন্ঠে বলল
— ” আপনি খেয়ছেন?”
আদ্রিয়ান পেছন ঘুরে হেসে দিয়ে বলল
— ” আমি আটটার মধ্যেই ডিনার কম্প্লিট করে ফেলি।”
বলে আদ্রিয়ান চলে গেলো। কিছুক্ষণ পর এসে দেখে অনিমা বেডে এলোমেলোভাবে পরে আছে। আদ্রিয়ান মুচকি হাসলো কারণ ও জানতো এরকম কিছুই হবে। কারণ পানিতে ঘুমেল ঔষধ ছিলো। নইলে আজ গোটা রাত জালিয়ে মারতো ওকে। আদ্রিয়ান অনিমাকে কোলে নিয়ে ঠিক ভাবে শুইয়ে দিলো, তারপর কপালের এলোমেলো চুলগুলোকে সরিয়ে দিয়ে অনিমার কপালে একটা কিস করল তারপর মুচকি হেসে বলল
— ” একবার সত্যিই মনে হয়েছিলো তোমাকে কালকেই বিয়ে করে নেবো। পরে ভেবে দেখলাম জোর করে কী বিয়ে হয়? কবুল কী শুধুই একটা শব্দ? যেটা জোর মুখ থেকে বের করে নিলেই বিয়ে হয়ে যাবে? এতে সমাজ হয়তো স্বীকৃতি দিয়ে দিতো কিন্তু মন কী স্বীকৃতি দিতো? আমি জানি তোমার মনেও আমার জন্যে অনুভূতি আছে। কিন্তু কোনো কারণে সেটা প্রকাশ করতে পারছোনা। আগে আমি সেই কারণটা জানবো তারপর কী করতে হবে সেটা ঠিক করব। আর ঐ কলটা কার ছিলো সেটাও ওকে জানতে হবে। অনিমার এই ব্যবহারের কারণ যে ঐ কলটাই সেটা আমি সিউর। কিন্তু অনিকে জিজ্ঞেস করলে ও বলবেনা তাই আমাকেই খুজে বার করতে হবে।”
এরপর আদ্রিয়ান সোফায় গিয়ে শুয়ে পরলো। কিন্তু ওর চোখে ঘুম নেই ও তো ওর ঘুমন্ত মায়াপরীকেই দেখে চলেছে একদৃষ্টিতে।
________________
মাথা খানিক ভার ভার অনুভব করে আস্তে চোখ খুলে তাকালো অনিমা। মাথা চেপে ধরে কোনোরকমে উঠে বসলো ও। আশেপাশে তাকিয়ে কোথায় আছে বোঝার চেষ্টা করতে লাগল। এরপর ধীরে ধীরে কালকে রাতের কথা মনে পরলো ওর। হঠাৎ এভাবে ঘুমিয়ে কেনো পরেছিলো সেটাই বুঝতে পারছেনা ওও। এসব ভেবে খাটে হেলান দিয়ে বসল। ওয়াসরুমের দরজা খোলার আওয়াজে চোখ খুলে তাকাতেই আদ্রিয়ানকে সাথে সাথে চোখ বন্ধ ফেলল অনিমা। কারণ আদ্রিয়ান জাস্ট নীল একটা হাফ প্যান্ট পরে কাধে টাওয়েল ঝুলিয়োএ চুল নাড়তে নাড়তে বেরিয়ে এসছে। অনিমা চোখ বন্ধ করেই রাগে গজগজ করে বলল
— ” সিট। এভাবে কেউ বেরোয়?”
আদ্রিয়ান ভ্রু কুচকে একবার অনিমার দিকে একবার নিজের দিকে তাকালো। অনিমার এই আচরণের কারণটা বুঝতে পেরে আদ্রিয়ান টাওয়েল টা রেখে অনিমা সামনে গিয়ে বসে বলল
— ” ইটস মাই বেডরুম। আর আমি যেভাবে ইচ্ছে থাকতে পারি। রাইট?”
অনিমা চোখ খুলে আদ্রিয়ানকে ওর সামনে দেখে একটু পিছিয়ে গেলো কিন্তু পেছনোর জায়গাই নেই। অনিমা লজ্জা পেয়ে চোখ নামিয়ে নিলো। কারণ আদ্রিয়ানের লোমহীণ বুকেও বিন্দু বিন্দু পানি জমে আছে, চুল দেকে পানি বেয়ে সারা গায়ে পরছে। এইভাবে আদ্রিয়ানকে দেখে ওর দিকে তাকিয়ে থাকতে পারছেনা ও। তাই বিরবিল করে বলল
— ” অসভ্য লোক একটা।”
আদ্রিয়ান ভ্রু কুচকে বলল
— ” কিছু বললে?”
— ” আমাকে এখানে কেনো নিয়ে এসছেন। আর কাল এসব বিয়ে, কাজী অফিস কী সব বকছিলেন হ্যাঁ?”
অাদ্রিয়ান অনিমার পাশ দিয়ে হাত রেখে ওর দিকে একটু ঝুকলো অনিমা হকচকিয়ে একটু গুটিয়ে যেতেই আদ্রিয়ান হেসে বলল
— ” ভেবেছিলাম তো বিয়েই করবো পরে ভাবলাম ব্যাপারটা বোরিং হয়ে যাবে। আর তুমিও রাজী নও বিয়েতে তাই ভাবছি যতদিন তুমি রাজি না হবে। আমরা দুজন বিয়ে ছাড়াই একসাথে থাকবো। ”
অনিমা অবাক বলল
— ” মানে?”
আদ্রিয়ান অনিমার আরেকটু কাছে গিয়ে বলল
— ” মানে লিভ ইন রিলেশনসিপ ইউ নো। দারুণ হবেনা ব্যাপারটা? নতুন ইক্সপেরিয়েন্স হবে কী বলো?”
এটুকু বলেই আদ্রিয়ান চোখ টিপ মারলো। অনিমার চোখ দুটো বড়বড় হয়ে গেলো। হার্ট বিট করতে করতে বেরিয়ে আসার উপক্রম। ও বোকাল মত তাকিয়ে আছে আদ্রিয়ানের দিকে। লিভ ইন রিলেশনসিপ? লাইক সিরিয়াসলি?
.
#চলবে…
.