অরূপ জ্যোৎস্না পর্ব -০৭

#অরূপ_জ্যোৎস্না
পর্ব-৭
লেখনীতে-তানিয়া শেখ

সুনসান রাস্তা। নিজের পায়ের শব্দ নিজের কানেই কেমন ভীতিকর লাগে। তার ওপর রাত দুপুরে নিরুপমা কবরস্থানের পাশ দিয়ে এগোচ্ছে। কলিজায় যেটুকু পানি ছিল তাও বুঝি শুকিয়ে এলো।

মাথার ওপরের চাঁদটা আজ বড্ড বিষণ্ণ। নিরুপমার সাথে তালে তালে সামনে অগ্রসর হচ্ছে যেন ওটা৷ ও অনুসরণ করছে ওই পাষাণ মানুষটাকে। পাষাণ মানুষ! না, হয়তো এরচেয়েও খারাপ সে৷ একজন খু/নীকে আর কী বিশেষণে বিশেষায়িত করবে? খু/ন করা যদিও নিরুপমা নিজের চোখে দেখেনি, কিন্তু আজ ওর সাথে যা করেছে লোকটা তা তো নিষ্ঠুরই পারে।

নিরুপমার চোখ জ্বলছে। এই জ্বলুনি শুধু রাগে বা ক্ষোভে না। ওর শরীরেরও। এই যুবতি বয়সে গাছ বেয়ে নামা কি চাট্টিখানি কথা? কোনোদিন স্বপ্নে ভেবেছিল নিরুপমা? কিন্তু এই লোক দুঃস্বপ্নের ডানায় ভর করে হাজির হয়েছে ওর জীবনে। যা ভাবেনি তাই করতে বাধ্য করেছে।
বুক, পেট, বা’হাত ও পায়ের চামড়াতে মনে হয় কেউ যেন মরিচ পিষে দিয়েছে। অত বড়ো গাছ বেয়ে নামতে গিয়ে শরীর কী অক্ষত থাকবে? হাতটা চাঁদের নিষ্প্রভ আলোতে দেখল। ডালের খোঁচা লেগে কেটে গেছে। খুব বেশি না। বিন্দু বিন্দু রক্ত ভেসে উঠেছে। লালচে বর্ণ ধারণ করেছে ওইটুকু অংশ। বাকি স্থানগুলোতেও যে একই অবস্থা নিরুপমা তা বুঝে নেয়। চেপে যাওয়া ব্যথা অশ্রু হয়ে গড়িয়ে পড়ে গাল বেয়ে। থেমে যায়।

ঠোঁট থেকে জ্বলন্ত সিগারেট দুআঙুলে নিয়ে মৃদু নাড়া দিলো এহসাস। সিগারেটের পোড়া ছাই অন্ধকারে মিলিয়ে যায়। সিগারেট ফের ঠোঁটে গুঁজলো ও। ডান হাতে মুখের ওপর নেমে আসা চুলগুলোকে আবার পেছনে ঠেলে দেয়। চুল কাটানো দরকার। একটু বেশিই বড়ো হয়ে গেছে। স্টাইলের সৌন্দর্য নষ্ট হয়েছে। দাঁড়ি ও গোঁফেরও একই অবস্থা। চোয়ালে হাত বুলাতে বুলাতে ভাবল, শেষ কবে সেলুনে গিয়েছিল? রাহাত বেঁচে থাকতে! মুহূর্তে নির্জীব হয়ে যায় যেন। ঠোঁট দু’টো সজোরে সিগারেট চেপে ধরে। ওটা জ্বলতে জ্বলতে এহসাসের ঠোঁট পর্যন্ত জ্বালায় তবুও ছাড়ে না। সমস্ত শরীরে কী এক আগুন ছড়িয়ে পড়ে। হাঁটার গতি দ্রুত হয়। ঠোঁটটা বেশিক্ষণ যন্ত্রণা নিতে পারে না। ঠোঁট আলগা হয়ে পোড়া সিগারেটের অংশটুকু খসে পড়ে পায়ের কাছে। এহসাস থেমে দাঁড়ায়। শ্বাস নেয় শব্দ করে। খুব জোরে কিন্তু হাঁটেনি। তবুও ও হাঁপাচ্ছে কিংবা কাঁপছে।

একটুখানি শান্ত হতে নিরুপমার কথা মনে পড়ে। অনেকক্ষণ ওকে খেয়াল করেনি। চকিতে ঘুরে তাকায়। বেশ অনেকটা দূরে ভূতের মতো ঠাঁই দাঁড়িয়ে রয়েছে মেয়েটা। অন্ধকারে অমন করে দাঁড়িয়ে থাকার অর্থ কী? এহসাসকে ভয় দেখাবে? মনে মনে হাসে এহসাস। বোকা মেয়ে! একটু সময় নিয়ে হেঁটে ওর সামনে দাঁড়ায় এহসাস। ভুরু কুঁচকে তাকায়। নাক টানছে নিরুপমা। ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে দাঁড়ায়নি তবে।

“সমস্যা কী?”

নিরুপমা মুখ তোলে না। ডান হাতে বা’কব্জি ধরে চুপ করে আছে।

“চুপ করে থাকবে না। অশুভ আত্মার মতো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদার অর্থ কী?” মৃদু ধমকে বলে এহসাস

নিরুপমা এবার আগুন চোখে তাকায়৷

“আমি অশুভ আত্মা হলে আপনি কী? পিশাচ?”

“যদি বলি হ্যাঁ তবে খুশি হবে? কান্না থামাবে?”

এহসাসের গলা নরম শোনায়। তাতে নিরুপমার রাগ কমে না। অনেক কিছু বলতে ইচ্ছে করল। কিন্তু দাঁত কামড়ে চুপ করে আছে। এই লোকের সাথে কথা বলতেও ইচ্ছে করছে না। বিড়াল হলে এই মুহূর্তে ঝাঁপিয়ে পড়ত। খামচে, কামড়ে রক্তাক্ত করে ফেলত ওকে। আফসোস আজ ও বিড়াল নয়! আক্রোশ চেপে পাশ কেটে আগে আগে চলল নিরুপমা।

এহসাস এলো পিছু পিছু। হঠাৎ ওর খেয়াল হলো নিরুপমা খুঁড়িয়ে হাঁটছে।

“পায়ে কী হয়েছে তোমার?” লম্বা পা ফেলে ওর পাশে এসে বলল। নিরুপমা নিরুত্তর হাঁটছে।

“জবাব দাও নিরুপমা। নিরুপমা!”

ঘুরে প্রচন্ড জোরে এক চড় বসিয়ে দিলো ওর গালে নিরুপমা। এহসাস কিছুক্ষণ থম ধরে রইল। নিরুপমাও অবিশ্বাস্য চোখে তাকিয়ে। চড়টা ওর ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। ধৈর্যের ভাঙন। তবুও কাজটা ঠিক হয়নি। নিরুপমা নিরাপদ দুরত্বে পিছিয়ে যায়। এহসাস রেগে তাকায়। যে গালে চড় দিয়েছে সেখানে হাত বুলাতে লাগল। তারপর হনহন করে সামনে হাঁটে।

নিরুপমা স্বস্তির নিঃশ্বাস নেয়। ভয় পেয়েছিল। চড় খেয়েও খু/নীটা কিছু বলল না? অবাকই হলো ও। মনে মনে পৈশাচিক আনন্দও পেল চড়টা দিয়ে৷ ঠোঁটের কোণে ক্ষীণ হাসি জেগে ওঠে। এত জুলুমের একটা শিক্ষা তো দিতে পেরেছে।

কবরস্থানের শেষ মাথায় গিয়ে রাস্তা পরিবর্তন করল এহসাস। নেমে গেল ঢালু জমির কাঁচা রাস্তা ধরে৷ হাতে মোবাইলের আলো। ঝোপঝাড় সরিয়ে সামনের জঙ্গলে ঢুকে গেল। এইটুকু পথে একটা কথাও আর বলল না নিরুপমার সাথে। জীবনে এই প্রথম মেয়ে লোকের চড় খেয়েছে গালে। শক এখনও কাটেনি। মেয়েদের হাত নরম হয় কিন্তু নিরুপমার হাত বড্ড শক্ত। অজান্তেই আবার গালে হাত রাখে এহসাস। এই জন্যই কারো কেয়ার করে না। রাগ হচ্ছে। নিরুপমাকে এর মূল্য দিতে হবে। এমনি এমনি ছেড়ে দেবে ভেবেছে।

একটু ভেতরে পরিত্যক্ত একটা ইটের গাঁথুনি করা হাফ ওয়াল টিনের ছাপড়া বাড়ি৷ লোহার দরজা। এহসাস দরজায় কড়া নাড়তে ভেতর থেকে মোটা গলার একজন পুরুষ বলে উঠল,

“কে?”

“ছোটো বাবা।”

বিব্রত হয়েই যেন বলল এহসাস। নিরুপমা মনে মনে ভেংচি কাটল,”ছোটো বাবা! আধ দামড়া ছেলে কোথাকার!”

একটু পর দরজা খুলে সাদা সেন্ডো গেঞ্জি ও চেকের লুঙ্গি পরিহিত হাট্টাখাট্টা একজন লোক হ্যারিকেন হাতে বেরিয়ে এলো। চোখে বিস্ময়।

“ছোটো বাবা! আপনি আইছেন?”

এহসাস জবাব না দিয়ে পাশ কেটে ভেতরে ঢুকল। লোকটা আরও কিছু বলতে যাচ্ছিল। তার বিস্মিত চোখের ভুরু কুঁচকে গেল নিরুপমাকে দেখে৷ ভেতর থেকে এহসাসের গলা শোনা যায়,
“ওকে ভেতরে আসতে দাও আজমল কাকা।”

আজমল দরজা থেকে সরে দাঁড়াতে নিরুপমা ভেতরে ঢুকলো। ঘরের মেঝে মাটির। অনেকদিন হয় লেপা হয়েছে। নিয়মিত না ঝাড়ার কারণে ধুলো জমেছে। ঘরের এককোণে দড়ি টানানো। তাতে এলোমেলো কাপড় টাঙানো। বোধহয় এই লোকটার। মাঝে একটা চৌকি পাতা। মাথার কাছে মশারী গুঁজে রাখা। ময়লা চিটচিটে তোশক আর বালিশ তার ওপর। এহসাস সেই বালিশে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে। আজমল নিরুপমার দিকে কৌতুহলে তাকিয়ে এহসাসের কাছে গিয়ে নিচে হ্যারিকেন রাখল।

“কই আছিলেন ছোটো বাবা? সকলে আপনের চিন্তায় পেরেশান। সিদ্দিক সাব তো অসুস্থ হয়ে গেছেন।”

“গিয়েছিলে ও বাড়ি?” এহসাস তেমনভাবে শুয়েই জানতে চাইল। আজমল মাথা নাড়ায়।

“না, আধ ঘন্টা আগে মনসুর ভাই আইছিল। এখনও বাজারেই আছে মনে হয়। তারে কি একটা খবর দিমু বাবা?”

“দাও।”

আজমল ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগে ফের একবার নিরুপমার দিকে তাকালো। বড্ড অস্বস্তি হলো তার চাহনিতে নিরুপমার। লোকটা দরজা ভিজিয়ে অন্ধকারে মিলিয়ে গেল। নিরুপমা আশেপাশে আবার দেখে৷ পাশে একটা টিনের দরজা। ওদিকে আরও একটা রুম আছে হয়তো।

“এখানে এসে বসো।” নিরুপমা অন্যমনষ্ক হয়ে যাওয়ায় এহসাসের গলা শুনে চমকে ওঠে। এহসাস আধশোয়া হয়ে ওকেই দেখছে। হাত ইশারা করে সামনে বসতে বলল। নিরুপমা ইতস্তত করল কিন্তু অবাধ্য হলো না। চুপচাপ বসল ওর সামনে। কয়েক মিনিট ঘরটাতে ভূতুড়ে নিস্তব্ধতা নেমে আসে। নিরুপমা বুঝতে পারে এহসাসের নজর স্থির ওর দিকে। অস্বস্তি হয়। কিন্তু সাড়াশব্দ করে না বা ফিরে তাকায় না।

“খুব বেশি লেগেছে?”

“হু?” সপ্রশ্নে তাকায় নিরুপমা। এহসাস ওর পায়ের দিকে ইশারা করে,

“পায়ে কি খুব বেশি লেগেছে?”

“লাগলেই বা আপনার তাতে কী।” কটমট করে বলে মুখ ঘুরিয়ে নেয় নিরুপমা। এহসাসের হাঁপ ছাড়ার শব্দ শুনতে পায়। একটু পর উঠে দাঁড়ায় এহসাস। বিড়বিড় করে,

“তুমি এত জটিল কেন নীড়?”

পরক্ষণেই গলার স্বর কর্কশ করে বলে,

“চুপচাপ বসে থাকবে এখানে৷ এক পা নড়েছ তো মরেছ। আমি পাশের ঘর থেকে ফ্রেশ হয়ে আসছি।”

জবাব পাবে না এহসাস জানে। সামনের টিনের দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকে গেল। নিরুপমা বাধ্য মেয়ের মতো বসে আছে চৌকির ওপর। একটু পর ভাবে এইতো পালানোর মোক্ষম সুযোগ। ভেতরে পানি পড়ার শব্দ আসতে নিরুপমা উঠে দাঁড়ায়।

“নড়েছ তো মরেছ” কথাটা কয়েকবার ওর পা কাঁপিয়ে দেয়। কিন্তু সাহস করে সদর দরজা নিঃশব্দে খুলে বাইরে বেরিয়ে আসে৷

“কে তুমি?”

প্রায় চিৎকার করে উঠতে উঠতে ঘুরে সামনের লোকটাকে দেখে মুখে হাত রাখে। আজমল মনসুরের কানে কানে কিছু বলতে নিরুপমার আপাদমস্তক ভালো করে দেখল সে।

“নেমে এসো।” দরজা থেকে আরও খানিক সরে আসে ওরা৷ মনসুর বলল,

“ছোটো বাবাকে কী করে চেনো?”

“আমি তাকে চিনি না।…”
নিরুপমা ভয়ে দোনোমোনো করে লোকটাকে সব খুলে বলল। বলতে বলতে কাঁদো কাঁদো হয়ে যায়। মনসুরকে আরও গম্ভীর দেখালো।

“তোমাকে ছেড়ে দিলে যে তুমি ছোটো বাবার বিরুদ্ধে সাক্ষী দেবে না তার কী গ্যারান্টি? ”

“কী গ্যারান্টি চান বলুন? আমি সব করব। তবুও আমাকে নিস্তার দিন। আমার অসুস্থ পঙ্গু মা একলা বাসায়। আমি নিরীহ মানুষ। আপনার ছোটো বাবার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়ে নিজের বিপদ বাড়াতে যাব কেন। আমাকে বিশ্বাস করুন।”

মনসুর কিছুক্ষণ ভাবলো। মেয়েটার চোখের পানিতে ওর মন নরম হয়। প্রশ্ন করে ওর পরিবার সম্পর্কে। যেমনভাবে বললে মনসুরের করুণা হবে, মায়া হবে তেমনভাবে নিজের ও নিজের পরিবার সম্পর্কে বলল। কাজও হলো। মনসুর আজমলকে একটু দূরে নিয়ে চাপা গলায় কিছু বলে আবার ফিরে এলো।

“ঠিক আছে। তোমাকে বিশ্বাস করে যেতে দেবো। কিন্তু মেয়ে, ভুলেও যদি কিছু করেছ বা বলেছ তোমার জন্য ভালো হবে না। আমার লোক তোমার আশেপাশেই নজরদারিতে থাকবে। আজমল যা মেয়েটাকে নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আয়।”

নিরুপমা সভয়ে আজমলের দিকে তাকাতে মনসুর বলে,

“ভয় নেই। ও তোমার ছায়াও স্পর্শ করবে না। নির্ভয়ে যাও।”

লোকটা যেন ফেরেশতা হয়ে এসেছে। কৃতজ্ঞতায় ধন্যবাদ জানানোর ভাষা হারিয়ে বসে নিরুপমা। আনন্দে চিকচিক করে ওঠে চোখ। সময় নষ্ট না করে তাড়াতাড়ি আজমলের সাথে বাড়ির পথে রওয়ানা হয়। যত দ্রুত এহসাসের কাছ থেকে দূরে যাবে ততই মঙ্গল। মনে মনে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে।

এহসাস গোসল সেরে এসে দেখে ঘরে মনসুর একা। আতঙ্কিত হয়ে এদিকে ওদিক তাকিয়ে বলে,

“নিরুপমা কই?”

“চলে গেছে।”

“কার অনুমতি নিয়ে ওকে যেতে দিয়েছ তুমি?” চিৎকার করে হাতের গামছা মাটিতে ফেলে দরজার দিকে পা বাড়ায় এহসাস। মনসুর ওর সামনে গিয়ে থামায়। বলে,

“ভয় নেই। ও তোমার বিরুদ্ধে সাক্ষী দেবে না।”

“আমি জানি।”

“তাহলে ওকে আঁটকে রেখে দরকার কী তোমার?”

এহসাস জবাব খুঁজে পায় না। ভেজা চুলে আঙুল চালাতে চালাতে অস্থির হয়ে বিছানায় বসে৷

“একা যেতে দিয়েছ?”

“আজমল গেছে সাথে।”

এহসাস যেন কিছুটা শান্ত হয়। মনসুর কিছুক্ষণ চুপ থেকে ওর পাশে বসল।

“মেয়েটা বড়ো ভালো। তার হৃদয় ভেঙো না বাবা।”

“তোমার ধারণা আমি মেয়েদের হৃদয় ভেঙে বেড়াই?”

“মাস তিনেক আগে কমিশনারের মেয়েটা সুইসাইড করতে গিয়েছিল। তিনদিন আইসিইউতে ছিল বেচারি। মনে হয় ভুলে গেছো তুমি।”

“অপ্রয়োজনীয় মানুষ ও স্মৃতি আমি মনে রাখি না৷ ও কোনো বেচারি টেচারি না। আমি ওকে বলিনি সুইসাইড করতে। বলেছি?”

মনসুর সে কথার জবাব না দিয়ে ওর দিকে ফিরে বলে,

“এই মেয়েটি মধ্যবিত্ত ঘরের অতি সাধারণ মেয়ে। এদের মন আর সম্মানই বড়ো সম্বল বাবা। ও ভাঙলে বা গেলে বাঁচা দায় হয়ে যায় ওদের। অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে ওর সাথে যা করেছ ঠিক করোনি। তাছাড়া ও তো তোমার টাইপও না।”

এহসাস বিরক্তি ঝেড়ে উঠে দাঁড়ায়।

“আমার টাইপ না! তোমার টাইপ?”

“এহসাস!”

“চোখ রাঙিয়ো না মনসুর চাচা। দুধ-ভাত খাওয়া বাচ্চা ছেলে না যে ভয় পেয়ে যাব। আমার কোনো ব্যাপারে নাক গলাবে না। কোন মেয়ের সাথে কী করেছি, করব তার কৈফিয়ত এহসাস কাওকে দেবে না।”

“কৈফিয়ত তো তোমাকে দিতেই হবে বাবা। শুধু এই ব্যাপারে না সব ব্যাপারেই। তবে আমাকে নয় সৈয়দ সাহেবকে। এ থেকে তো তোমার রেহায় নেই।”

চলবে,,,

অনেকদিন পর গল্পটা দিলাম। একটু রেসপন্স করবেন। নয়তো সকল পাঠকের কাছে পৌছাবে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here