“এখনো_ভালোবাসি”
|ইয়াসমিন তানিয়া|
|পর্ব-৩|
উফ!লাগছে,আয়নদা,আস্তে করো।সব চুলতো ছিড়ে ফেলবে।
-আজ মনে হয় নতুন করছি,যেভাবে বলছিস।চুপচাপ বসে থাক।
তাহলে এতো লাগছে কেনো।
-লাগবে না,কি অবস্থা করে রেখেছিস চুলের।সারাদিন এতো কি করিস বলতো,সামান্য চুলটারও যত্ন নিতে পারিস না।
‘ও আয়নদা লেকচার মেরো নাতো। স্কুলে লেকচার, বাসায় লেকচার, কচিংএ গিয়েও লেকচার, এতো লেকচার শুনতে কিন্তু ভালো লাগে না।আর এই বালের কধুর তেল কোথা থেকে আনছো বলতো।চুলে দিলেই কি বিশ্রী গন্ধ আসে।ছিঃ প্রিয়ু মুখটা বেকিয়ে।’
–প্রিয়ু,মুখ সামলিয়ে কথা বল,আমার সামনে এসব কি ধরনের লেঙ্গুয়েজ ইউস করছিস।
“আয়নের কথা শুনে প্রিয়ু জিব্বাহ কামড় দিয়ে বলে,সরি আয়নদা।মুখ ফসলিয়ে বের হয়ে গিয়েছে।”
-আমি নেক্সট টাইম এমন কোনও বাজে ওয়ার্ড তোর মুখে জাতে শুনতে না পাই।ওকে।
“প্রিয়ু মাথা নাড়িয়ে হ্যা বলে।”
-এবার বল এই তেলে কি সমস্যা।প্রিয়ুর চুলের ঘ্রান নিয়ে বলে,স্ম্যাইলতো গুড।তাহলে সমস্যা কি।
“প্রিয়ু ঘুরে আয়নের দিকে তাকায়।কি সমস্যা জানতে চাও,তাহলে শুনো।তুমি প্রতিদিন এমন চিপচিপে করে তেল কেনো দিয়ে দেও আমায়।স্কুলে সবাই বলে,আমাকে নাকি ১২মাসের রুগীর মতো লাগে।বলতো আজকাল এভাবে তেল দিয়ে কেউ স্কুলে যায়।”
–আয়ন প্রিয়ুকে ঘুরিয়ে আবার তেল দেওয়ার কাজে ব্যস্ত হয়ে পরে।তুই কি স্কুলে পড়তে জাস।নাকি ফ্যাশেন করতে।
“আয়নদা আর দিওনা প্লিজ।”
–স্টোপ প্রিয়ু।তেল দিলে চুল ভালো থাকে।আমি চাই তোর চুলগুলো আরো বড় ও ঘন হোক।আর ওই ঘন চুলের মাঝে একদিন ডুবে অদূর সমুদ্রে পারি দিতে চাই।
“চুলের মাঝে আবার ডুব দেয় কিভাবে আয়নদা।”
–একটু বড় হো।তারপর দেখিয়ে দেবোনি।দেখ তেল দেওয়াও শেষ।
“তুমি যে কি ছাতার মাথা বলো,মাঝে মাঝে কিছুই বুঝিনা।প্রিয়ু উঠেই ফ্রিজ থেকে ঠাণ্ডা পানি বের করে খেতে নিলে,আয়ন টান দিয়ে বোতলটা নিয়ে নেয়।”
–কি হলো আয়নদা!
“এই তুই এসময় ঠাণ্ডা পানি কেনো খাচ্ছিস।আমি তকে বলেছিলাম না মাসের এ কয়দিন তুই ঠাণ্ডা কিছু মুখে দিবিনা।ভবিষ্যৎএ এসবের জন্য তোর কোনও সমস্যা হক আমি চাই না।”
–কি গরম পরছে,দেখেছো। একটু দেওনা।খুব তৃষ্ণা পেয়েছে।প্রিয়ুর এতো আকুতিমিনতি করেও লাভ হয়নি। আয়ন ফ্রিজের সব পানি ফেলে দিলো।আর পারুলকে বলে দিলো, এ কয়েকদিন ফ্রিজে কোনও পানি না রাখতে।
“প্রিয়ু মুখ ফুলিয়ে সোফায় গিয়ে বসে পড়লো,আয়নদা তোমার এই হিটলারগিরি বিয়ে করে তোমার বউকে দেখাও।আমার সাথে করো কেনো।একদিন দেখো তোমার জ্বালায় পালিয়ে যাবো আমি।”
_________
হঠাৎ কিছুর শব্দে আয়নের ঘুম ভেঙ্গে যায়।কাল কখন যে সোফায় বসেই ঘুমিয়ে পরেছে,টেরও পায়নি।কি সুন্দর স্বপ্ন দেখছিলো আয়ন।প্রিয়ু আর ওর অতিতের এমন হাজারো মিস্টি গল্প আছে,যা আয়ন চোখ বন্ধ করলেই অনুভোব করতে পারে।
আবার শব্দ শুনতে পেয়ে আয়ন সামনে তাকায়।প্রিয়ু জেগে গিয়েছে।আর দরজা খুলার ট্রাই করছে।আয়ন থেকে আবার পালাবার ধান্দা।
–কি হলো খুলছে না,আর খুলবেও না আমার অনুমতি ছাড়া।
“আয়নের কথায় প্রিয়ু পেছনে তাকায়।একটু সামনে তেরে গিয়ে চিল্লিয়ে জিঙ্গেস করে,আমাকে এখানে কেনো এনেছেন।আর কি চাই আপনার।সব তো কেড়ে নিয়েছেন।এখনো শান্তি পাননি।আরো কিছু কি বাকি আছে।নাকি একদিন ভোগ করেও আপনার জালা মিটেনি।আরো মিটাতে চা…..প্রিয়ু আর কোনও কথা বলতে পারলো না।আয়ন এসেই ওর গলাটা ধরে দেয়ালের সাথে চেপে ধরলো।প্রিয়ুর নিশ্বাস নিতে কিছুটা কস্ট হচ্ছে।”
–আর একটা উল্টাপাল্টা কথা বলবিতো,তোর জিব্বাহ টেনে আমি ছিড়ে ফেলবো।আর আওয়াজ একদম নিচে।সাহস কি করে হলো তোর আমার সাথে উঁচু গলায় কথা বলার।আমি কে?আর কি করতে পারি তাতো জানিস, ঠিক।
“প্রিয়ু ভয়ে মাথা নাড়ালো।”
–গুড…!!
“আর কি যেনো বললি..ও ভোগ!আমি তোকে ভোগ করেছি।প্রিয়ুর গলা থেকে হাতটা সরিয়ে,প্রিয়ুর গালে স্লাইড করে,ভোগ করার উদ্দেশ্য থাকলে,আরো আগে করতে পারতাম।কতো রাত তুই আর আমি এক ঘরে থেকেছি।কতোবার তুই আমার সামনে অচেতন হয়ে পরেছিলি।তখন যদি তোকে ভোগ করতাম, তাহলে একটি বারও বুঝতে পারতি না।আর কাল যা হয়েছে,এসবের জন্য তুই দায়ী ছিলি,সম্পূর্ণ তুই।
আমার ভেতরের পশুটাকে জাগিয়ে চলে যাওয়ার সময় মনে ছিলোনা,এই পশুর শিকার একদিন তোকেও হতে হবে।তাই একদম বাজে বলবি না।এখনি এই ওয়ার্ড ফিরিয়ে নে, রাইট নাউ।চিল্লিয়ে”
–ইবলিশ শয়তান ওয়ার্ড আবার ফিরিয়ে নেয় কিভাবে।নাকি পাগল হয়ে গিয়েছে।প্রিয়ু মনেই বলতে পারলো এসব,কিন্তু আয়নের সামনে বলার সাহস পেলো না আর।তাই আয়নের কথায় মাথা নাড়িয়ে ওয়ার্ড ফিরিয়ে নিলো।কি আশ্চর্য!ওয়ার্ড আবার ফিরিয়েও নেওয়া যায় নাকি।
__________
প্রিয়ু পা ঝুলিয়ে খাটে বসে আছে।আর ভাবছে কিভাবে আয়ন নামক প্যারা থেকে মুক্ত হওয়া যায়।দরজাটাও লক করে রেখেছে শয়তানটা।পালাবার কোনও উপায় নেই।ঠিক তখনিই আয়ন শাওয়ার নিয়ে বের হলো,পরনে তার শুধু একটা টাওজার।
প্রিয়ু আয়নকে এভাবে দেখেই সাথে সাথে চোখ সরিয়ে ফেললো।আয়নও একটু মুচকি হেসে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল মুছতে মুছতে প্রিয়ুর দিকে খেয়াল করলো।সার্ভেন্ট নাস্তা দিয়ে গিয়েছে,সে কখন।অথচ প্রিয়ু কিছু মুখে দেয়নি।আয়ন প্রিয়ুর সামনে এসে,নাস্তা নিয়ে বসলো।প্রিয়ুর মুখের সামনে খাবার নিলে,প্রিয়ু মুখ ঘুড়িয়ে ফেলে।আয়ন প্রিয়ুর গালটা চেপে মুখটা খুলে খাবার খাওয়াতে লাগলো।কিন্তু প্রিয়ু খাবার মুখে নিয়েই বসে আছে বলে,আয়নের ধমকে তারাতারি গিলতে নিলে গলায় খাবার আটকে যায়।আয়ন তারাতারি পানি খাইয়ে প্রিয়ুকে শান্ত করে।
–আমি বাড়ী যাবো।
“তো এখন কি তুই রাস্তায় আছিস”
–।আমি আমার বাড়ী যাবো।
“এটা আপনারি বাড়ী ম্যাডাম,আজ থেকে এখানেই থাকতে হবে।”
–কেনো,আমি এখানে কেনো থাকবো।কি হন আপনি আমার।আমি আপনার বাড়ীতে তো দূরে থাক আপনার সাথেও থাকতে চাইনা।আপনাকে আমার সহ্য হয়না।
“তাহলে ওই বাড়ীর কথাও ভুলে যা।আয়ন নাস্তা করতে করতে বলে।কারণ আমি বাড়ীওয়ালা কে বলে দিয়েছি।তুই রুমটা ছেড়ে দিয়েছিস।”
–ওয়াট!কেনো এমন করলেন।বসা থেকে উঠে পড়লো প্রিয়ু।আপনি জানেন এই শহরে রুম পাওয়া কতো কস্ট।আপনি কিভাবে জানবেন।আপনার মতো বড় লোকের তো জানারও কথা না।আর কে আপনাকে এতো অধিকার দিয়েছে,আমার ব্যাপারে এতো নাক গলানোর।একটা সাহায্যের দরকার ছিলো করেছেন,আর তার ঋনও আমি শোধ করে দিয়েছি।তাহলে কেনো আবার আমার লাইফে ইনটেফেয়ার করছেন।ছেড়ে দিন আমাকে আমার মতো।যেমন আগে দিয়েছিলেন।
“প্রিয়ুর প্রতিটি কথা আয়নের শরীরে যেনো কাটার মতো বিধছে।অগ্নি চোখে প্রিয়ুর দিকে তাকায়।মনে হয় প্রিয়ুকে এখনি জালিয়ে দেবে। ”
–আয়নের চোখের দিকে তাকিয়ে প্রিয়ুও ভয় পেয়ে যায়।প্রিয়ু এখন মনে মনে ভাবছে,এতো কথা বলার কি দরকার ছিলো ডাফার।বাগের খাঁচায় এসে তারই সাথে পাঙ্গা নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ না।প্রিয়ু ভয়ে একটা ঢোক গিললো।
“আয়ন প্রিয়ুর দিকে আসতেই নিবে,আর তখনি আয়নের ফোনটা বেজে উঠে।ফোনের স্কিনে নামটা দেখে,কিছু একটা ভেবে আয়ন ফোনটা রিসিভ করে।
হ্যালো__
-আয়ন হানি! কোথায় তুমি।শুনলাম রাতে বাসায়ও যাওনি।ইজ দেট ট্রু।
“ইয়া,নিলিমা।আমি এখন একটু ব্যস্ত তোমার সাথে পরে কথা বলবো।”
–প্রিয়ু আড় চোখে আয়নের দিকে তাকিয়ে আছে,নিজের ফ্রিয়োন্সে থাকা সত্যেও আমার সাথে এতো কিছু করেছে,শালা গণ্ডার কোথাকার।আর মনে মনে কয়েকটা গালিও দিলো আয়নকে।
“অফিসেও কি আসবে না আজ,তুমি।”
–ইয়া,বেবস্,আই এম কামিং।
“প্রিয়ুর দিকে তাকিয়ে,কোটটা হাতে নিয়ে দাঁতমুখ খিঁচে বললো,একমাত্র হসপিটাল ছাড়া এই বাড়ীর বাহিরে এক পাও রাখার চেস্টা করবি না।পরিণাম কিন্তু ভয়ানক হবে তোর জন্য, বলেই আয়ন হন হন করে চলে গেলো।
আর প্রিয়ু হাত পা ছড়িয়ে বিছানার মাঝখানে শুয়ে উপরের ফ্যানটার দিকে তাকিয়ে রইলো।
জীবনটা এমন কেনো হলো,আয়নদা।কতো হেপি ছিলাম আমরা।বাবা,আমি,আরভিন আর তুমি।কিন্তু দেখো একটা ঝড় এসে সব উলোটপালট করে দিলো।বাবা চলে গেলো,আমাকে একা ফেলে না ফেরার দেশে।তোমাকেও হারাতে হলো।এতো কিছুর পরও যখন একা নিজেকে সামলিয়ে ফেলেছিলাম।এখন কেনো আবার ঝড় হাওয়ার মতো এলে আমার জীবনে।দেখও এবারও আমাকেই হারাতে হলো।কেনো করো তুমি আমার সাথে এমন আয়নদা।নিষ্ঠুর তুমি,আয়নদা।বড়ই নিষ্ঠুর।”
____________
প্রিয়ু হাসপাতালে এসে পারুলকে দেখেই কিছুটা অবাক হলো।
-পারুল আপু তুমি!তুমি এখানে কিভাবে।
“আয়ন ভাইজান কাল রাতেই আমারে ফোন কইরা চইলা আইতে কইছে।আমিতো গ্রামের বাড়ী ছইলা গেছিলাম।কিন্তু ভাইজানের ফোনে ভোরবেলাই রওনা দিলাম।আর সোজা এহানে আইয়া পরছি।আইয়া দেখি আরভিন ভাইজান এইহানে।আমার আর বুঝতে বাকি নাই,ভাইজান কেনো আইতে কইছে।কই আছিলা ছোট আপা তুমি।জানো ভাইজান তোমারে মেলা জায়গায় খুঁজছে। পরে না পাইয়া,আমারে গ্রামে আমার নানীর কাছে পাঠাইয়া দিছে।কইছে তোমারে পাইলে আবার আমারে আইতে।তুমি এডা কেমনে করলা।”
–বাদ দেওতো,এসব আমার শুনতে এখন আর ভালো লাগে না।কিছুক্ষণ হাসপাতালে থেকে প্রিয়ুকে আবার আয়নের বাসাই যেতে হলো।কারণ আয়নের গার্ডরাও এসেছিলো প্রিয়ুর সাথে।আয়নের বাসা যাওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই প্রিয়ুর এই মুহুর্তে।আয়ন সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।
“অফিসে বসে আয়ন তার নেক্সট মিটিং এর জন্য সব ফাইল গুলো চেক করছিলো।পাশে দাঁড়িয়ে আছে রবিন।তোমাকে একটা কাজ দিয়েছিলাম রবিন,কিন্তু এর রেজাল্ট এখনো পাইনি আমি।আমি কি মনে করবো,তুমি কাজটি করতে পারবে না।”
–স্যার আমি আমার সব সোর্স লাগিয়ে দিয়েছি।এখন শুধু এতেটুকু জানতে পারছি আজগর এই দেশে নেই।আর যতোক্ষন পর্যন্ত ও দেশে না ফিরবে,আমরা কিছুই করতে পারবো না।
“হুম,কতোদিন আর পালিয়ে থাকবে একদিনতো ধরা দিতেই হবে।ওর ফ্যামিলি তো এখানেই।ওদের উপর নযর রাখো।ওকে না পাওয়া পর্যন্ত জানা যাবে না রবিন,এই গেম এর মেইন ভিলেন কে?জাস্ট একবার!জাস্ট একবার যদি জানতে পারি,সেদিনই হবে দুনিয়াতে তার শেষ দিন।”
–আয়নের কেবিনের দরজা খুলে,ভেতরে ডুকে আয়নের বেস্ট ফ্রেন্ড দিনেশ।দিনেশ এর পুরো নাম দিনেশ রয়।তার পুরো পরিবার ইন্ডিয়া থাকে।তবে দিনেশকে ব্যবসার ক্ষাতিরে বাংলাদেশে থাকতে হয়।আর এদেশে ওর আপন বলতে যদি কেউ থাকে সে হলো আয়ন।আয়নের এক কথায় কারো জান নিতেও দিনেশ চিন্তা করেনা।এতোটাই ওরা ঘনিষ্ঠ। বলাবহুল্য আয়ন আর দিনেশ যখন এক সাথে কোনও প্রজেক্টে হাত দেয় তখন অন্য কোম্পানি গুলো তাদের রাস্তা থেকে এমনেই সরে যায়।এদেরকে নয় এদের জুটিটাকে সবাই ভয় পায়।
“আর আয়ন মাহবুব সেতো পিতার অসুস্থতার কারণে খুব কম বয়সে বিজনেস সামলাতে মাঠে নামতে হয়েছে তাকে।একহাতে বিজনেস, পড়ালেখা, নিজের ফ্যামিলি সহ প্রিয়ুদের দায়িত্ব সব আয়ন একাই সামলিয়েছে।পরিবারের বড় ছেলের দায়িত্বও খুব ভালো করে পালন করেছে।আয়নরা দুই ভাই,এক বোন।বোনটা অবশ্য আয়নের থেকে এক বছরের বড়।দুবছর হলো বিয়ে হয়েছে।আর ভাইটা পড়াশুনা শেষ করে এখন আয়নের সাথেই বিজনেস এ জয়েন করেছে।খুব অল্প বয়সে আয়ন নিজের টেলেন্ড আর জিদ এর কারণে বিজনেস জগতে খুব তারাতারি নিজের একটা পাকা স্থান করে ফেলে।বড় বড় মাগুর মাছরাও আয়নের সাথে টক্কর দিতে একটু ভয় পায়।”
–কবে আসলি দেশে।
“কাল আসছিরে দোস্ত।তোর খবর কি বল,তোর প্রিয়ুসী কে পেয়েছিস।”
–মন থেকে খুঁজলে সবই পাওয়া যায়,তাহলে ওকে কেনো পাবো না।কিন্তু মজার বিষয় কি জানিস,শিকার নিজেই শিকারীর কাছে ধরা দিয়েছে।
“আরে বাহ তাই নাকি।দিনেশ কফিতে চুমুক দিতে দিতে বললো,তো আমার শের শিকার করেছিস নাকি ছেড়ে দিয়েছিস।”
–আয়ন চেয়ারে আড়ামে হেলান দিয়ে বসে,এতো দিন পর ক্ষু্ধার্ত বাঘের সামনে খাবার রেখে যদি বলিস,খাবার খেতে না,তাহলে কি হবে বল।বাঘ যতোই দূর্বল হোকনা কেনো,শিকার করতে ভুলে না এটা মনে রাখিস।আয়ন একটা বাকা হেসে।
“তো এখন কোথায় ও।”
–আমার খাঁচায়…..এবার আর কোনও পথ আমি খোলা রাখবো না ওর পালানোর জন্য।
চলবে……।
[গল্প কনফিউশন লাগছে।ধৈর্য ধরুন পাঠক।আস্তে আস্তে সব ক্লিয়ার করা হবে।গল্পটিতে অতিত আর বর্তমান একসাথে তুলে ধরা হবে।তাই জটলাও আস্তে আস্তে খুলবে।ধন্যবাদ। ]
❌গল্প কপি করা নিষিদ্ধ।