তুই আমার প্রতিশোধের মোহর পর্ব ৮

#অবাদ্ধ_যন্ত্রণা
#তুই_আমার_প্রতিশোধের_মোহর
#Megh_La
#Part_08
(কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা। গল্পে নিজের মনের মতো ভাষার ব্যাবহার না পেলে প্রেমের দৃশ্য ফুটে উঠেছে এমন মনে হলে গল্পটা ইগনোর করুন৷ ধন্যবাদ)
কিছু সময় পর মাংস এনে হাজির আমান৷
করুন অবস্থা তার৷ ও যে রান্নার কাছে যায় না এটা ভালো করে বুঝতে পারছি৷ কাউকে দিয়ে করায় নি কারন আমি ওর কাছে খেতে চেয়েছি।
কখনো কখনো মনেই হয় না এই মানুষ টা আমাকে এতোটা কষ্ট দেয়।
–হা করো ।
ওনার কথা শুনে হাতে থাকা মাংস টুকু খেয়ে নিলাম৷
অনেক টা খাবার পর,
–আর খাবো না৷ আপনি খান একটু৷
–না আর একটু খাউ৷
— না
বলেই আমার হাতে কিছু মাংস নিয়ে ওনার মুখে ধরলাম৷
আমান তাকিয়ে আছে আমার দিকে।
–কি হলো নিন৷
উনি খেয়ে নিলো আমার হাতে।
তার পর হাত ধুয়ে পরিস্কার হয়ে আমানকে বললাম,
–এদিকে আসুন তো৷
–কেন৷
–আসুন না৷
আমান আমার কাছে এসে বসলেন।
–এখানে টুপ দিন আমি আপনার বুকের উপর শুবো।
–বিছনায় এতো জায়গা থাকতে তোমাকে আমার বুকের উপর শুতে হবে কেন৷
–ইচ্ছে হইছে আপনি শুন জলদি৷
উনি পাশে শুয়ে পড়লেন।
আমিও ওনার বুকে মাথা দিলাম৷
–একটা কথা বলবো।
–বলো৷
–সত্যি কি ভালোবাসো না। আমি সত্যি বলছি আমি কিছু করি নি৷
–ঘুমোউ।
–বলুন না৷
–জানো মেঘ প্রথম তোমাকে কোথায় দেখেছিলাম৷
–না। ।
–পদ্মা বিলে৷ তুমি পদ্ম তুলিয়েছিলে৷ একটা সাদা জামা পরা মেয়ে পাশে কিছু দেহরক্ষী। মাঝে ফুটফুটে একটা মেয়ে পদ্ম হাতে দাড়িয়ে আছে৷ ওখানে থেমে গেছিলো আমার হৃৎস্পন্দন। ছোট মেঘকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন বুনেছিলাম৷
–বাবা কি সত্যি আর নেই৷
–আছে।
–কোথায়৷
–বলা যাবে না৷
–(আমি আসাও করি না আমান আমাকে বিশ্বাস করে বলবে বাবা কোথায় 🙂)
আমি ওনার বুক থেকে নেমে শুয়ে পরলাম৷
বাবাকে আমি অনেক ভালোবাসি৷ হতে পারে বাবা অপরাধী কিন্তু আমার কাছে তো আমার বাবা।
চোখের পানি গুলো মুছে ঘুমিয়ে পড়লাম৷

ঘুম ভাঙলো বাবার ডাকে,
–মেঘ মা তুই নাকি আবর অসুস্থ হইছিস৷ ডক্টর বললো।
আমি চোখ খুলে বাবাকে দেখে একটু উঠে বসার চেষ্টা করলাম৷
–থাক তুই শুয়ে থাক৷
–না বাবা এই সামান্য জ্বর।
–সামান্য বলিস না এখন কেমন আছিস৷
–ভালো তোমরা কখন এলে।
–এই মাত্র৷
–যা-ও গিয়ে রেস্ট নেও আমাকে নিয়ে চিন্তা করো না ঠিক আছি৷
–ভাবি আপনি খেয়াল রাখবেন আর দরকার হলে বলবেন আমরা তো আছি৷
–আচ্ছা ভাই 😊

এভাবে কেটে গেল ১ মাস,
এই ১ মাসে আমান কখনো আমাকে কষ্ট দেয় নি৷ সব সময় আগলে রাখে৷
উনি মনে হয় নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে। অনেকটা অনুতপ্ত।
কিন্তু এর মাঝে আমার শরীর টা ভালো যাচ্ছে না৷ কেমন ঝিম ঝিম মাথা ঘুরায়।
বাবা আজ ডক্টর ডেকেছে।
আমি মানা করেছিলাম তাও ডেকেছে,।
ডক্টর চেকাপ শেষে বললেন,
–মি.খান খুশির খবর আপনার স্ত্রী মা হতে চলেছে।
এটা শুনে ভাইরা চিল্লিয়ে ওঠে।
ববা এসে আমার কপালে চুমু দেয়।
আমান ও খুশিতে আত্মহারা।
বাবা ভাই দের পাঠিয়েছে সারা দেশে মিস্টি দোকান এক দিন ফ্রি করে দিতে৷
সত্যি এরা এতো খুশি এদের খুশি দেখে আমি অর্ধেক সুস্থ হয়ে গেছি৷
অবশ্য আমিও খুশি 🤗
–মি.খান একটু বাইরে আসুন।
আমান আর বাবা ডক্টর কে নিয়ে বাইরে গেল।

বাইরে,
–দেখুন মি.খান ওনার পেশার লো৷ ওনার কান্ডিসন কিন্তু ভালো না যথা সম্ভব চেষ্টা করবেন ভালো খাবার খাইয়ে সুস্থ রাখতে।
নাহলে নিশ্বাস এর বিশ্বাস নাই৷
ওনার পুরো খেয়াল রাখবেন। এমনি তে এসব কাজ বাসার মেয়েরা করে আপনার যেহেতু স্ত্রী বেঁচে নাই। সেহেতু আপনাকে নিজের বৌমায়ের খেয়াল রাখতে হবে৷
ডক্টর এগুলা বলে চলে গেলেন।
আমান তার বাবার দিকে তাকিয়ে আছে,
–চিন্তা করিস নাতো৷ এখন তোর মায়ের থেকে বেশি খেয়াল রাখবো বৌমার। দেখিস৷
–জী বাবা কোথাও না কোথাও আজ ওর এই অবস্থার জন্য আমি দায়ি।
–জাক বাদ দে।
এখন কিছু ফল খাইয়ে দে ওকে আমি আসি৷
আবির খান চলে গেলেন৷

আমান রুমে এসে আমার কপালে গভীর চুমু দিলেন৷
–সত্যি আমি আজ অনেক খুশি রে মেঘ৷
–আমিও৷
–হুম এখন খেতে হবে ওঠো।
–কি খাবো।
–চুপচাপ ওঠো।
আমান উঠিয়ে নিলো আমাকে তার পর ফল খাইয়ে দিলো৷

এভাবে কাটলো ৭ মাস।
আমান খুব কেয়ারিং বর আমার এই কয় দিনে হয়েছে।
চলবে,
(

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here