সীমাহীন পর্ব ৩

সীমাহীন
#Meherika_Ayat
Part 3
আরিয়ানদের পরিবারের সাথে আরাধ্যাদের পরিবারের অনেক ভালো সম্পর্ক আগে থেকেই ছিল।
.
.
.
সেদিন খুব বৃষ্টি হচ্ছিল।সকাল থেকে তো সব ঠিক ছিল। দুই পরিবার ঘুরতে বেরিয়ে ছিল এক সাথে।বিকেলে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়।
.
.
.
আফজালঃ আমাদের এখানে থাকা ঠিক হবে না মনে হয়? তোমরা কী বল?
(আরিয়ানের বাবা)
আবরারঃ তুই ঠিক বলছিস। বাড়িতে যাই সবাইকে নিয়ে এটাই ভালো হবে।এই ঝড় বৃষ্টিতে বাচ্চাদের অসুখও হতে পারে।(আরাধ্যার বাবা)
.
.
.
দুই গাড়ি নিয়ে এসেছিল সবাই।বাচ্চার বায়না ধরলো ওরা এক সাথে যাবে।
এক গাড়িতে আফজাল সাহেব ও ওনার স্ত্রী আর আবরার সাহেব ও ওনার স্ত্রী
আরেক গাড়িতে আরাধ্যা আরিয়ান, রিধিতা,রেশমী।
ভালোই যাচ্ছিল সবাই।হঠাৎ এক ট্রাকের সাথে ধাক্কা লাগে আফজাল সাহেবর গাড়ির।সামনের সিটে আবরার ও আফজাল ছিলেন। আফজালকে বাচাতে আবরার তার সামনে চলে আসে। আর গাড়ি কাচ আবরারের বুকে…….
দুদিন হাসপাতালে থাকেন সালেহা বেগম(আরাধ্যার মা)
স্বামীর শোকে তিনি ও চলে গেলেন দুদিন পর।
.
.
.
ছয় বছর কেটে গেল, আরাধ্যা এই পরিবারে থাকে।সবাই বেশ ভালোবাসে ওকে।
ফাতেমা বেগমকে মামণি বলে ডাকে (আরিয়ানের মা)
আরাধ্যা।
সবার বেশ আদর যত্ন পেলেও আরিয়ান উল্টো
এই ভালো, এই খারাপ।
আর আজ তো সীমার বাইরে চলে গেছে। এভাবে আর কত দিন বোঝা হয়ে থাকবে এ বাড়িতে। তাই ভাবছিল আরাধ্যা।
কেঁদে কেঁদে চোখ ফুলিয়ে ফেলেছে মেয়েটা। ফর্সা গাল লাল হয়ে গেছে একেবারে।
.
.
.
ভয়ংকর সুন্দরী আরাধ্যা।ঘন কালো চুলগুলো হাটুর নিচে পড়ে।ঠোঁট দুটো হালকা গোলাপি, আর চোখগুলো টানা টানা, সব মিলে কোনো পরির চেয়ে কম না সে। একটু কাঁদলেই লাল হয়ে যায় মুখটা। আজকে তো সারাদিন কেদেই চলেছে।
.
.
.
এদিকে আরিয়ান ভাবছে ,
আজকে বড্ড বেশি করে ফেলেছে সে।এমন টা না করলেও পারতো।বুঝিয়ে বলতো আরাধ্যা কে। রাগ টা একদম কন্ট্রোল করতে পারে না।কি যে করা যায়,
কি ভাবে কথা বলবে আরাধ্যার সাথে।
.
.
.
ফাতেমা বেগম রিধিকে বললেন। আরাধ্যার কাছে যেতে।
.
.
.
দরজায় কারো নক পেয়ে,
রুমে গেল আরাধ্যা।খুলে দেখলো।
চলবে……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here