সীমাহীন
#Meherika_Ayat (আরাধ্যা)
পর্ব ৪
আরাধ্যা দরজা খুলে দেখলো,
আরিয়ান বাইরে দাড়িয়ে আছে।
আরিয়ান কে দেখে সে দরজা টা বন্ধ করে দিতে চাইলেই,
আরিয়ান জোর করে রুমে ডুকে দরজা টা লক করে দেয়।
আরিয়ানঃ Im really very sorry….. আমার ভুল হয়ে গেছে খুব। আমাকে ক্ষমা করা যায় না? প্লিইইইজজ।
তুমি যা বলবে আমি তাই করবো আরু,
এটা বলেই হাতের প্যাকেট টা খাটের উপরে রেখে, কান ধরে উঠ বস করতে থাকলো আরিয়ান।
আরুউউউ তুমি না বলা পর্যন্ত আজ আমি থামবো না, আরাধ্যার দিকে তাকিয়ে কথা টা বলল আরিয়ান।
চুপ করে আছে আরাধ্যা। কি বলবে ভেবেই পাচ্ছে না।মানুষ টা এমন কেন?
কিছুক্ষণ আগেই এতো কথা শুনিছে। আর এখন ওর কাছে ক্ষমা চাচ্ছে।
দশ মিনিট পর আরাধ্যা বলল, হইছে আর লাগবে না উঠেন এবার।
আরিয়ানঃ খুব সরিইইইইইইই। দেখো তোমার জন্য কি এনেছি।
আরাধ্যাঃ এক বক্স কিটকাট চকোলেট? আমার জন্য?
আরিয়ানঃ হুম,
শুধু তোমারি জন্য।
আরাধ্যা একটা চকোলেট নিয়ে খেতে শুরু করে।
আরিয়ান ভাবতে একটু আগেই যে এতো কিছু হয়েছিল সব ভুলে গেল মেয়েটা।
ও এমন কেন?কখনও কি বুঝবে না আমার মনের কথা টা।
আরাধ্যার ডাকে ঘোর কাটে আরিয়ানের।
আরাধ্যাঃ স্যার কি ভাবছেন এতো?
আরিয়ানঃ কই কিছু না তো।
আরাধ্যার দিকে তাকিয়ে হাসতে থাকে আরিয়ান।
আরাধ্যাঃ কি হইছে? হাসতেছেন কেন?রাগী লুক দিয়ে আরিয়ান এর দিকে তাকিয়ে বলে।
আরিয়ানঃ নিজের দিকে দেখ একবার।কি করছ মুখের, হাতের।মনে হচ্ছে কোনো বাচ্চা চকোলেট খাইছে।আবারও হাসতে থাকে আরিয়ান।
আরাধ্যা হাত দিয়ে মুখ মোছার চেষ্টা করে, উল্টো আরও চকোলেট ওর হাত থেকে মুখে লেগে যায়।
আরিয়ানঃ এদিকে আসো।
তোমার দ্বারা সম্ভব হবে ।
আরিয়ান আলতো করে আরাধ্যার ঠোঁট মুছে দেয়।
ওর ঠোঁটে লেগে থাকা চকোলেট টুকু নিজের মুখে দেয়।
আরাধ্যাঃ কি করছেন কি?
আরিয়ানঃ উফফফফ সরি,
আমি হাত ধুয়ে আসি।
ওয়াসরুমে গিয়ে আরিয়ান নিজের মাথা নিজে এক বাড়ি দিয়ে বলে, কি যে করছিলাম আমি?
ইসসসসস।
কি করছিল স্যার?
যাই করুক আমার কি?আমাকে এক বক্স কিটকাট তো দিছে।মনে মনে বলতে থাকে আরু।
আরিয়ান ওয়াসরুম থেকে বের হল।
আরিয়ানঃ তোমার জন্য আরেকটা জিনিস আছে।
আরুঃ কি?
আরিয়ান একটা বক্স সামনে দিয়ে বলে এটা।
.
.
.
আরাধ্যা বক্স টা খুলে চমকে যায়।
এটা? তাহলে তখন এমন করলেন কেন স্যার?
চলবে……..
(