#Addiction
Part: 2
Writer : Megh La
সকালে,
মা……………………ও মা শুন না আমি সাদা ওরনা টা পাচ্ছি না।(মায়া)
– আরে বাবা কাবার্ডে খুজে দেখ মা পেয়ে জাবি আমার হতে রান্না।
– আরে বাবা পেলে কি তোমাকে বলি নাকি। 😤
– এই মেয়েকে নিয়ে উফ।
এখন জদি আমি পায় তাহলে তোকে কি করি দেখ। 🤬
– পাবা না আমি অনেক খুঁজেছি। 😏
মায়ার মা কাবার্ডে হাত দিতেই পেয়ে যায়।
– এটা কি। 🤨
– ইয়ে মানে তুমিতো মা তই পাইছো। 😘
– এখন তোমাকে আমি কি করবো বলো। 🤨 চার চোখ দিয়েও পাও না। (মায়া চসমা পরে)
– ভয় দেখাও কেন। আব্বুকে বলে দিবো কিন্তু। 🥺
– হ্যা মা তুমি তো সুধু পারো তোমার আব্বুকে বলতে। এখন খাবারটা খেয়ে কলেজে যাও।
-কি হলো মা এতো সকাল সকাল চিল্লাতে আছো কেন মা মেয়ে। দেখো বাড়ি ওলা আজই আমাদের নামিয়ে দিবে। (আমায়রা মায়ার বড়ো আপু)
– দেখ তোর বোন সকাল সকাল কি শুরু করছে। আয় হায় রুটিটা মনে হয় পুরে গেল। বলতে বলতে মায়ার মা চলে গেল কিচেনে।
– কিরে মাউ চিল্লাস কেন এতো। ( আমায়রা আদর করে মায়াকে মাউ বলে ডাকে)
– আরে আপু ওড়না পাচ্ছিলামনা। 🙄
– হাম বুঝলাম। আচ্ছা শোন আজ তোর কলেজে প্রথম দিন সাবধানে জাবি আর সব ক্লাস কিছু সুন্দর ভাবে করবি বুঝলি।
– আচ্ছা আপু।😊
কিরে আজকি কলেজ যাবিনা নাকি জলদি খেয়ে নে। (রান্না ঘর থেকে মায়ার মা বললো)
এইতো আসছি। বলে দুই বোন মিলে খাবা টেবিলে এসে খাবার খেয়ে নিল।
মায়া মা, আর আপুকে বলে কলেজের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলো।
কলেজের সামনে এসে মায়া দেখে তার বেস্ট ফ্রেন্ড গেটে দারিয়ে আছে।
-কিরে রিচি ভেতরে জাসনি।
– যেতে যেয়ে তোকে দেখে থামলাম।
– আচ্ছা চল যায়।
( মায়া রিচি ক্লাস ৫ থেকে এক সাথে আছে। দুই জনই ভালো স্টুডেন্ট ssc তে ভালো রেজাল্ট করে প্লান করে এক কালেজে এসেছে। )
দুই জোন মিলে সব ক্লাস ভালো ভাবে করে ছুটির সময় বাইরে এলে হটাৎ সমনে আবিদ এসে দারায়। আবিদ মায়াদের সাথে একই স্কুলে পরেছে। কিন্তু মায়া তেনম একটা ছেলে দের সাথে কথা বলে না। কিন্তু দরকার পরলে বলে। আবিদ মায়াকে পছন্দ করে কিন্তু সেটা মনে মনে রেখে ওদের দুই জনকে ফুচকা খাবার ওফার দেয়। মায়া প্রথম রাজি না হলেও রিচির জোরা জুরিতে রাজি হয়। তার পর সবাই ফুচকা খেতে যায়।
-হ্যালো স্যার ম্যাম আবার সেই ছেলেটার সাথে ফুচকা খাচ্ছে। (নীলের গুপ্ত চর মায়াকে প্রথম দেখেই নীল তার সাথে সব সময় গুপ্ত চর রেখেছে। মায়ার মাঝে মাঝে সন্দেহ হলেও পরে মনের ভুল মনে করতো)
– কি ওকে আমি মানা করা সত্ত্বেও ও ছেলেদের সাথে ফুচকা খাচ্ছে। 🤬🤬
তুমি খেয়াল রাখ বলে ফোন কেটে দিল। একটা লাথি দিয়ে সামনে থাকা কাঁচের টেবিলটা ভেঙে দিয়ে কোর্টটা নিয়ে বেরিয়ে পরে।
মায়া বিল দিতে গেলে আবিদ মায়ার হতটা ধরে বসে। এমন সময় নীল পৌছে যায়,এটা দেখে নীলের রাগ জেন একদম বাদ ছেরে দেয় পেছন থেকে মায়ার ঘার ধরে টানতে টানতে গাড়িতে বসিয়ে সিট বেল্ট মায়াকে পরিয়ে ডোর লক করে দেয়। মায়া হতোভাগ কে লোকটা কেন বা তাকে ধরে নিয়ে এসেছে। (মায়া আজ নীলকে প্রথম দেখছে জদিও নীল মায়ার উপর এই ১ মাস লক্ষ্য রাখছে কিন্ত মায়া কখোনো জানতে পারে নি) মায়া সমান তালে চিল্লায়ে যাচ্ছে নামান নামান করে পাসে থাকা লোকটি জেন কিছু সুনছে না।
নীলের বাসায় এসে গাড়ি থামে। মায়াকে টানতে টানতে একটা বেড রুমে নিয়ে ঠাস করে চড় বসিয়ে দেয় মায়ার গালে নীল৷ মায়া টোল সমলাতে না পেরে পড়ে যায় মাটিতে।
-কে আপনি কেন আমাকে এখানে নিয়ে এসে মারলেন।
– আমি কে সেটা না জানলেও চলবে আপাততো এই ঘর েথকে বেরবার কথা ভাব্বি না।
বলে দরজা বাইরে থেকে দিয়ে নীল চলে যায় । এবার মায়া কি করবে কিছু ভেবে পাচ্ছে না।
হটাৎ কি মনে হলো মায়া পালানোর কথা ভাবলো । সাত পাচ না ভেবে পালাতে চায় ৭ বার প্রতি বারই ধরা খেয়ে জায় এবং ৭ম বার এই আবস্থা 🥴
হটাৎ দরজায় শব্দ হতে ঘোর কাটলো মায়ার ।
নীল এসেছে।
– আমি বাড়ি যাবো মা আপু হয়তো চিন্তা করছে আপনি কে আমাকে জেতে দিন প্লিজ।
– তুমি আজ থেকে আমার সাথে এই বাসায় থাকবে। তোমার মা আপুকে বলা হয়েছে তুমি কোথায় কাল সকালে ওনারা এসে তোমাকে দেখে জাবে। (নীল মায়ার মা আর আপুকে ফোন দিয়ে এটা বলে মায়া রাস্তায় ছোট একটা এক্সিডেন্ট করেছে। ওদিকে রিচিকেও সেম কথা বলতে বলা হয়। রিচি ভয়ে মিথ্যা বলে ফলে তারা সত্যি ভাবে। কিন্তু মায়া কোন হসপিটালে আছে এটা বলে না নীল। কাল সকালে গড়ি পেয়ে জাবেন দেন চলে আসবেন বলে ফোনটা কেটে দেয়।)
– আপনি কে আমি থাকবোনা আপনার সাথে ( চিল্লিয়ে) ।
নীল মায়ার গাল টিপে ধরে আমার উপোর চিল্লনোর সাহস করোনা জান।
এতেটা জোরে গাল টিপে ধরেছে জেন দম নিতে কষ্ট হচ্ছে মায়ার এটা দেখে নীল ওকে ছেড়ে বলে,।
জান তোমাকে আমি ভালোবাসি। কেন আমাকে রাগিয়ে দেও বলো। তোমার মনে আছে একদিন রাতে তোমার বাসায় এসে তোমাকে বলেছিলাম ওই ছেলের সাথে না মিসতে। কেন আবার তার সাথে মিসলে।
– ওটা আপনি ছিলেন।
(১৫ দিন আগে মায়া আপুর সাথে হাটতে বার হয়। সেখানে আবিদ এর সাথে দেখা হলে আবিদ মায়ার সাথে কথা বলে। এটা নীলের গুপ্ত চর নীলকে ছবি সহ দেখায়।নীল এই প্রথম মায়াকে কোন ছেলের সাথে কথা বলতে দেখলো। নী চয়না ওর মায়া ও বাদে আন্য ছেলের সাথে কথা বলুক। নীল সেই দিন রাতে মায়ার বাসায় গিয়ে ওকে ঘুমন্ত অবস্থায় গলাটা ধরে বলে আসে আর কোন ছেলের সাথে না মিসতে মায়া চিল্লাতে সবাই মায়ার রুমে এসে কউকে পায় না। মায়ার মা বলে হয়তো ভয়ের স্বপ্ন)
-হ্যা ওটা আমি ছিলাম । কেন আমার কথা শুন না তুমি।
– আমি ভালোবসিনা আপনাকে। বাসায় জাবো আমি। (কেঁদে কেঁদে)
– ভালে তোমাকে বাসতেই হবে তুমি চাইলেও নাচাইলেও। ( দাঁতে দাঁত চেপে)
মায়াকে কছু বলার সুযোগ না দিয়ে নীল মায়াকে কোলে নিয়ে বার হয় রুম থেকে। ছাড়েন আমাকে কই নিচ্ছেন।
মায়া শান্ত হয়ে না থাকলে এখনি ফেলে দিবো। মায়া বেচারি ভয়ে নীলের সার্ট চেপে ধরে। নীল মনে মনে হাসে…
চলবে.
( কেমন হচ্ছে জানাবেন। আমার বাংলা তে টাইপ এক দম বাজে আনেক ভুল হচ্ছে লিখার মঝে তাই ক্ষমা করবেন
। ধন্যবাদ)