I’m Mafia lover পর্ব -১৬

#i_m_mafia_lover
#part_16
#sabiha_kh

ইসান- বলতো ঘটনা টা কি ছিলো।। ওদের এতো ঝগড়ার কারণ টা কি???




আকাশ- আমি, জনি, রোকসানা এক ক্লাসেই পরতাম।। আমরা ছিলাম এসএসসি এর ক্যানডিডেট।।৷ ক্লাস নাইনে রোকসানা আমাদের স্কুলে ভর্তি হয়।।তখন ওর সাথে আমাদের পরিচয়।। রোকসানা ছিলো একটু শান্ত সভাবের।। জনি যেদিন প্রথম রোকসানাকে দেখে সেই দিনই রোকসানাকে মনে ধরে যাই জনির।।। জনি সব সময় রেকসানাকে দেখতো বিষয়টা আমি খেয়াল করতাম।। একদিন স্কুলের একটা ছেলে আমার আর জনির সামনে রোকসানাকে উত্ত্যক্ত করে।। আমি দাড়িয়ে দেখছিলাম কিছু বলতে যাবো তার আগেই জনি গিয়ে ছেলেটার মুখে এক ঘুসি মারে ছেলেটা মাটিতে পরে যাই। আমি গিয়ে জনিকে আটকায়।। সেই ছেলের বন্ধু বান্ধব রা আসে এবং ভালোই একটা ঝামেলা হয়।। পরে আমাদের স্কুলের হেড ম্যাডাম বিষয়টা সামলিয়ে নেই।। পরের দিন রোকসানা জনিকে thank you বলতে আসে।। জনি আমার সাথেই ছিলো। রোকসানা জনি কে thank you বলে এবং বন্ধুত্বও করতে চায়।। জনি এতো বেশি এক্সইটেড হয়ে পরে যে এক্সাইটেড এর কারণে ও আমার হাত এমন জোরে চাপ দেয় আমার ব্যাথায় চোখে পানি চলে আসে।। জনি পরে অবশ্য আমাকে সরি বলছে।।( হেসে)তারপর এভাবেই বন্ধুত্ব পূর্ণ সম্পর্ক চলতে থাকে রোকসানার সাথে। আমি জনি রোকসানা যেখানেই যেতাম এক সাথে যেতাম।।
ক্লাস নাইন পার করে ক্লাস টেনে উঠলাম।। জনি রোকসানা নিজের মনের কথা তখনো দুইজন দুইজনাকে বলেনি।।। কিন্তু অলরেডি দুইজন দুইজনাকে পছন্দ করে।। কিন্তু কেও কাওকে বলে না।। তো একদিন আমি আর রোকসানা একসাথে বসে গল্প করছিলাম।। সেদিন জনির স্কুলে আসতে লেট হয়। আমি কথায় কথায় রোকসানাকে বলি যে তুমি কি জনিকে পছন্দ করো?? রোকসানা আমার কথা শুনে লজ্জা পাই।। আমি বলি- বলো সমস্যা নাই। আমিও তো তোমার বন্ধু হয়।।
তখন রোকসানা বলে যে – হম আমি জনিকে পছন্দ করি কিন্তু বলার সাহস পাচ্ছি না।। তবে চিন্তা করেছি সামনে আমাদের স্কুলে যেই বিদায় অনুষ্ঠান হবে সেই সময় ওকে আমার মনের কথা জানাবো।। কিন্তু তুমি এই কথা জনিকে বলবে না।। আসলে আমি ওর রিয়্যাকশান টা দেখতে চায়।।

আমি বলি- জনি কিন্তু তোমাকে পছন্দ করে।। রোকসানা বলে – আমি জানি।। ওর চোখ দেখে আমি বুঝতে পারি। আমি আশায় ছিলাম ও আমাকে আগে বলবে কিন্তু দেখছি ওর কনো খবর নাই তাই ঠিক করেছি আমিই আগে বলবো।

স্কুলের বিদায় অনুষ্ঠানের তিন/ চার দিন আগে মোবাইলে আমাদেরই স্কুলের একটা মেয়ের সাথে পরিচয় হয় জনির।।

ইসান- মোবাইলে!!! (বিস্মিত চোখে)

আকাশ- জি।। আসলে জনি ব্রেঞ্চের উপর ওর ফোন নাম্বার লিখছিলো।। আর নাম্বারের নিচে ছোট্ট দুই লাইনের কবিতা। যাই হোক এই কথা সেই মেয়েটাই বলে। মেয়েটার নাম ছিলো তমা।।। তমা তখন পরতো ক্লাস নাইনে।। তমার জনির লিখা কবিতা খুব পছন্দ হয়েছিলো তাই নাম্বার নিয়ে জনিকে কল করে কথা বলে।।। জনিও ভালো মনে কথা বলে তমার সাথে।।। আমি বিষয়টা খেয়াল করি। আমি জনিকে বলি যে তুই কি রোকসানাকে পছন্দ করিস???

জনি বলে – হ্যা করি। সেটা তো প্রথম থেকেই।।

আমি বলি- তুই ওকে পছন্দ করিস তো বলে দিস না কেন??

জনি বলে- না আমি ওর মুখ থেকে শুনতে চায় আমি জানি ও আমাকে পছন্দ করে।।।

আমি বলি- তাহলে তুই এই মেয়েটার সাথে কেন কথা বলিস??? এটা তো ঠিক না।।

জনি,বলে- কথা বললে কি হবে।। ও আমাকে ভাইয়ের মতো দেখে ভাইয়া বলে ডাকে।। তুই একটু বেশিই ভাবছিস।। মেয়েটা ভালো।।

আমি আর কিছু বলিনা।। বিদায় অনুষ্ঠানের দিনে রোকসানা খুব সুন্দর করে সেজে আসে।।। রোকসানা এসে আমাকে বলে আমি জনির জন্য একটা ছোট্ট গিফট কিনেছি। দেখতো কেমন হয়ছে।। বলে প্যাকেট থেকে সপিস বের করে আমাকে দেখায়।। সঁপিসটা পুরাটাই কাচের ছিলো। একটা ছেলে আর মেয়ের জোরিয়ে ধোরে আছে খুব সুন্দর ছিলো সঁপিস টা।। তো,,,,
তারপর আমাকে রোকসানা জিজ্ঞেস করে জনি কথায়। আমি বলি ওর একটা ফোন আসছে কথা বলতে বলতে ওই দিকে গেছে।।

রোকসানা বলে- ঠিকাছে আমি ওর কাছে যাই তাহলে।। বলে রোকসানা হাসতে হাসতে দৌড়ে চলে যাই এমন সময় অনেক জোরে বৃষ্টি আসে।। তো আমি বৃষ্টির পানি যেন মাথায় না পরে তাই দৌড়ে একটা ক্লাসের ভিতরে গিয়ে দাড়ায়।। পিছনে ঘুরে দেখি তমা ব্রেঞ্চে বসে আছে জনি নিচে বসে তমার পা নিজের পায়ের উরুর উপর নিয়ে তমার পায়ের পাতা ডোলে দিচ্ছে।।। আমি দেখে পুরা বেকুব হয়ে যাই।। আমি তখন রোকসানার কথায় ভাবছিলাম। আমি তারাতারি ক্লাস রুম থেকে বের হয়ে রোকসানাকে কে খুজতে যাই। আমি একটা কথায় আমার মাথা মধ্যে ঘুরছিলো যে এই পরিস্থিতিতে রোকসানা যেন জনি কে না দেখে তাহলে মনে অনেক কষ্ট পাবে।। । আমি ক্লাস পার হতে দেখি ওই ক্লাসের জানালর সামনে রোকসানা দাড়িয়ে ওদের দেখছে।। আমার তো মাথায় হাত।।।,,,,,, আমি কি করবো বুঝতে পারছিলাম না আসতে আসতে রোকসানার কাছে আসি এবং জানালা দিয়ে ভিতরে তাকায় দেখি তমা জনির ঠোঁটে কিস করছে।। রোকসানা দেখে ঘুরতেই আমার সাথে ধাক্কা লাগে।।। আমি কিছু বলার আগেই রোকসানা হাত থেকে সপিস টা মেঝের উপর আছাড় মেরে ভেঙে ফেলে এবং চলে যাই।। আমি একটা কথাও বলিনা।। ঠিক সেই সময় জনি শব্দ শুনে বের হয়ে আসে।। আমার তখন জনির উপর এতো রাগ উঠছিলো।। জনি আমার মাত্রই আমি জনিকে একটা ঘুসি মারি।।।

জনি বলে- আমি কিছু করিনি তমা আমাকে কিস করবে আমি বুঝতেও পারিনি। আমি কি জানতাম ওর মনে এমন ছিলো।।

আমি বললাম- রোকসানা তোকে প্রোপস করতে এসেছিলো। ভালো হয়ছে।। চলে গেছে।।। বলে আমিও রেগে চলে যাই।।।

তারপর জনি রোকসানাকে সত্যি বলতে যাই অনেক বার কিন্তু রোকসানা শুনে না।। একদিন জনি দেখে রোকসানা একটা ছেলের হাত ধরে হাসতে হাসতে যাচ্ছে।। জনির রাগ হয় জনি সরাসরি গিয়ে রোকসানাকে থাপ্পড় মারে।। রোকসানাও জনিকে থাপ্পড় মারে।। তারপর থেকে দুইজন দুইজনাকে সহ্য করতে পারেনা।। দেখতেও পারেনা।। প্রায় ৭ বছর পর রোকসানার সাথে আমাদের আবার দেখা হলো।।। এইতো হলো ঘটনা।।

ইসান- হম বুঝলাম।। কিন্তু এটা তো পুরাই একটা ভুলবোঝাবুঝি হয়েছে।।।

আকাশ- জি স্যার।। প্রেম শুরু হওয়ার আগেই শেষ।।।

ইসান- আমার মতে ওদের ভুল বুঝা বুঝিটা ভাঙানো উচিত কি বলো??

আকাশ- কি ভাবে স্যার??? (বিস্মিত চোখে)

ইসান- সেটা তুমি আমার হাতে ছেড়ে দাও। তুমি শুধু একটা কাজ করবে দুইজনার কাছে গিয়ে কিছু কথা বুঝিয়ে বলবে। ভুল ভাঙানোর সুত্রপাত যেটাকে বলে।।

আকাশ- ওকে স্যার।।। (মুচকি হেসে)

Time skip

পরের দিন বিকালে,,,

সবাই ইসানের কথা মতো তৈরি হয়ে বের হয়।।। এবং সবাই মিলে চলে যাই সমুদ্র সৈকতে।। সমুদ্র সৈকতে এসে সবাই অবাক হয়ে যায়।। ইমা রিতিমতো হতোবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। সমুদ্র থেকে একটু দুরে খুব সুন্দর করে অরকিট ফুল হলুদ গোলাপ ফুল লাইট সব কিছু দিয়ে ডেকোরেশন করিয়েছে সাজিয়েছে।।

ইমা- এগুলো কি?? ( হতবাক হয়ে)

ইসান- সারপ্রাইজ সবার জন্য।।। আজ কি বলতো???

জনি- কি স্যার!!! (বিস্মিত চোখে)

আকাশ জনির মাথায় মেরে বলে – আজ ভালোবাসা দিবস।।

ইসান- আমি তোমাদের সবাইকে খুব ভালোবাসি তাই ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে আমার পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য এই সারপ্রাইজ।।।। (মুচকি হেসে)

ইমা বিরক্তি চোখে ইসানের দিকে তাকায়।।। কিন্তু কিছু বলে না।।। জনি রোকসানার দিকে তাকায় রোকসানা জনির দিকে তাকায়।।। তারপর সবাই বসে।।। রোকসানা জনি আকাশ একটেবিলে বসে। আর ইসমা ইসান ইমা একটেবিলে।। ইসমা ইসানের দিকে তাকিয়ে বলে-

ইসমা- বন্ধু আমরা ওই সমুদ্রের কাছে যাবো না?? (সমুদ্রের সৈকতের দিকে তাকিয়ে)

ইসান ইসমার গালে হাত দিয়ে মুচকি হেসে বললো- হমম যাবতো মামুনি।। আগে কিছু খেয়ে নিই তারপর যাবো।।

Time skip

সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করলো। ইসান আকাশের দিকে তাকিয়ে ইসারা করলে আকাশ উঠে ইসানের কাছে আসে।। ইসান আকাশের কানে ফিস ফিস করে বলে- কথা বলেছো ওদের সাথে??

আকাশ- জি স্যার।।। বলেছি।।

ইসান- ওকে।।।

ইসান উঠে দাড়ায় এবং ইসমাকে বলে- চলো ইসমা আমরা সমুদ্রের কাছে যাই।।।

ইসমা খুব খুশি হয় এবং ইসানের সাথে যাই।। আকাশ ও ইসানের পিছে যাই।। ইমা ওখানেই বসে থাকে।। ইমা জনি রোকসানাকে বসে থাকতে দেখে কি মন হয় উঠে চলে যাই সেখান থেকে।।।

এদিকে ইসান ইসমা সমুদ্রের পানির সাথে খেলছে।। মজা করছে।।।। আকাশ পিছে জনি রোকসানার দিকে তাকাবে তার চগেই ইমার দিকে চোখ যায়।। দেখে ইমা দাড়িয়ে ইসান ইসমাকেই দেখছে।।। আকাশের কি মনে হয় সে গিয়ে ইসান কে বলে-

আকাশ- স্যার আমি ইসমার সাথে খেলি । আপনি গিয়ে ম্যাডামের সাথে কথা বলুন। ম্যাডাম একা দাড়িয়ে আছে৷ ৷ (ইসান মাথা ঘুরিয়ে পিছনে ইমার দিকে তাকায়।। দেখে ইমা তাদের দেখছে।।। ইমা চোখ সরিয়ে নিয়ে অন্য দিকে তাকায়।।)

ইসান মুচকি হেসে বলে- ওকে।।। ইসমার খেয়াল রাখো।।

আকাশ – ইসমা আমি তোমার সাথে খেলবো।। আসো।।। (বলে আকাশ ইসমাকে নিয়ে যাই।। ইসান ইমার কাছে আসে)

ইসান ইমার সামনে দাড়িয়ে বলে – আ,,,,, হাই।।।

ইমা- হাই।।

ইসান- বোর হচ্ছো??

ইমা- না বোর হবো কেন???

ইসান- চলো সামনে যাই।।

ইমা- কিন্তু ইসমা!!!!

ইসান- আকাশ ইসমাকে সামলে নিবে চলো।।।

এদিকে জনি রোকসানা বসে আছে।। কেও এখনো একটা কথাও বলেনি।। জনি রোকসানার হাতের দিকে তাকায় এবং আসতে করে রোকসানার হাতের উপর হাত রাখে। রোকসানা চমকে জনির দিকে তাকায়।।।

জনি নরম সুরে বলে- রোকসানা আমি সব কিছুর জন্য তোমার কাছে ক্ষমা চায়।। দেখো তুমি সেদিন যা দেখেছিলে সব কিছুই মিথ্যা ।। আমি সেই প্রথম থেকে তোমাকে ভালোবাসি।।। রোকসানা আমি আসলে তমার সাথে কথা বলতাম ভালো মনে ।। আমি বুঝতে পেরিনি যে ও আমাকে পছন্দ করে।।।

বলতেই রোকসানা বললো-

রোকসানা- জনি এগুলো বলে এখন কি হবে?? তুমি তোমার জীবনে এগিয়ে গেছো আমি আমার জীবনে।।

জনি- আমি এগিয়েছি কিন্তু আমি আজো তোমাকে মনে করি।।। রোকসানা আজো কাওকে ভালোবাসতে পারিনি। কারণ তোমার চেহারা চোখে ভেসে উঠে।। রোকসানা আমরা কি আবার নতুন করে শুরু করতে পারিনা???

রোকসানা- এটা কি আর সম্ভব জনি???

এদিকে ইসান জনি রোকসানাকে কথা বলতে দেখে মুচকি মুচকি হাসতে লাগে।। ইমা খেয়াল করে যে ইসান জনি রোকসানার দিকে তাকিয়ে হাসছে।।।

ইমা- কি হয়েছে?? তুমি ওদের দেখে কেন হাসছো??? (কৌতুহল নিয়ে জিজ্ঞেস করলো)

ইসান- কাল আকাশের কাছ থেকে ওদের লাভ স্টোরি শুনলাম।। আসলে ওদের সম্পর্ক হওয়ার আগে শেষ হয়ে গেছে।। একটা ভুল বুঝা বুঝিতে।। এই যে আমরা এখানে এসেছি।। আমি এতো কিছু প্ল্যান করেছি। শুধু ওদের দুইজনের জন্য। আমি চায় ওদের ভুল ভুলবুঝাবুঝিটা শেষ হোক৷ ( ইমা ইসানের দিকে অবাক দৃষ্টি তে তাকায়) ভুল বুঝাবুঝি টা যে কতো কষ্টদেয় সেটা আমি জানি।। (একটু গম্ভীর সুরে)

ইমা- তুমি কি বলতে চাচ্ছো ইসান???

ইসান ইমার দিকে ঘুরে দাড়িয়ে বললো- তুমি বুঝোনা ইমা!!!! ইমা তুমিও আমাকে ভুল বুঝে চলে গেছো??

ইমা- আমি ভুল বুঝিনি বুঝেছো।।। ( একটু রেগে বলে ইমা চলে যেতে লাগে)

ইসান- একদিন এই ভুল তোমার ভাঙবে ইমা।।। অবশ্যই ভাঙবে।। ( ইমার দিকে তাকিয়ে মনে মনে বললো)

ইমা গিয়ে গাড়িতে উঠে বসে।।। ইসান সমুদ্রের দিকে মুখ করে একটা গভীর শ্বাস ছাড়ে।।

Time skip

ইসান জনি রোকসানার কাছে আসলে রোকসানা জনি ইসানকে দেখে উঠে দাড়ায়।।

ইসান- বসো তোমরা।।। (জনি রোকসানা বসে ইসান ও বসে) রোকসানা, জনি মানুষের জীবনে অনেক কিছু ঘটে।। আমরা যা চোখে দেখি তা যে সত্যি হবে এমন কনো কথা নেই।। তোমরা এক ভুল বুঝাবুঝিতে প্রায় ৭ বছর এমন ভুল বুঝেয় কাটিয়ে দিলে আজ যখন সত্যিটা জানতে পারলে নিশ্চয় একবার হলেও তোমাদের আফসোস হচ্ছে!!! আসলে কি জানো, ভুল বুঝাবুঝি হয়ে আলাদা হওয়ার আগে বিষয়টা একটু খুটিয়ে দেখবে যে তুমি যে কারণে ভুলবুঝলে আজো সেটা ঠিক কিনা।।। তাহলে হয়তো সঠিক সিদ্ধান্তটা নিতে পারবে।।। যাইহোক এখন কি তোমাদের মধ্যে সব ঠিক হলো??

জনি- জানিনা স্যার রোকসানা কিছুই বলছে না।। স্যার আমি রোকসানা কে এখনো চায়।।। (রোকসানার দিকে তাকিয়ে বললো)

রোকসানা- স্যার প্রায় ৭ বছর পার হয়ে গেছে এখন এগুলো বলে কনো কি লাভ আছে???

ইসান- হমম আছে।। (রোকসানা ইসানের দিকে তাকালো) যদি মন থেকে জনিকে ভালোবেসে থাকো তাহলে কখনো তুমি তাকে ভুলতে পারবে না। এবং অন্য কারো জীবনে প্রবেশ ও করতে পারবে না তোমার বিবেক বাধা দিবে।।। আমি বলবো তুমি ভাবো রোকসানা।। তারপর তুমি জনিকে তোমার উত্তর জানিয়ো।। জনি অপেক্ষা করবে!! কি তাইতো জনি!!!

জনি- জি স্যার।। আমি অপেক্ষা করবো তোমার উত্তরের রোকসানা।৷ (রোকসানার দিকে তাকিয়ে)

Time skip

সবাই গাড়িতে উঠে বসে বাড়ি ফিরার জন্য।।। ইসান ইমার দিকে তাকায় দেখে ইমার চোখ ফুলে আছে।। ইসান বুঝতে পারলো ইমা কান্না করেছে।।। ইসান কনো কথা বললো না।। ইমা ও একবারের জন্যও ইসানের দিকে তাকাল না।।।। তারা চলে আসে বাড়িতে।।। ইসমা ঘুমিয়ে গিয়েছে ইমা ইসমাকে কোলে নিতে গেলে ইসান বলে- আমি নিচ্ছি। ( ইমা ইসানের দিকে তাকায়)

ইসান ইসমাকে কোলে নিয়ে গাড়ি থেকে বের হয় এবং ইসমাকে নিয়ে ইমার রুমে গিয়ে শুইয়ে দেয়।।

ইমা- thank you… ( আসতে)

ইসান ইমার দিকে তাকিয়ে বললো- thank you বলতে হবে না।। আ,,, Im sorry. যদি তোমাকে কষ্ট দিয়ে কথা বলে থাকি।।( ধীর সুরে বললো,)

ইমা- It’s ok এখন তুমি আসতে পারো।।। (ইসান আর কনো কথা বললো না রুমে থেকে বের হয়ে চলে গেলো।। ইমা বিছানায় বসে মাথা নিচু করে গভীর একটা শ্বাস ছাড়ে৷)

Time skip

মিঃ মাইকি- ম্যাডাম আপনি ইনজেকশন টা নিয়ে আসতে বলে ছিলেন।।

ইমা- Thank you মিঃ মাইকি।। ( মাইকি চলে যেতে লাগলে ইমা মাইকি কে দাড়াতে বলে)

মাইকি- জি ম্যাডাম।।।

ইমা- আপনাকে একটা প্রশ্ন করতে চায়।।

মাইকি- জি বলুন??

ইমা- আপনি প্রথম দিন আমার নাম ধরে ডেকেছিলেন। আমার যতো দুর মনে আছে আমি আপনাকে আমার নাম বলিনি।।। তাহলে আপনি আমার নাম জানলেন কি করে???

মাইকি হেসে বললো- ৬ বছর আগে ইসান স্যার এখানে এসে প্রায় দুই বছর ছিলো।। স্যার প্রতি রাতে নেশা করতো এবং আপনার নাম জবতো।। আর বাচ্চাদের মতো কাদতো।। আমি একদিন স্যার কে জিজ্ঞেস করি,,,,,,,,,

অতীত,,,,

সকাল বেলা নাস্তার টেবিলে ইসান বসে নাস্তা করছে।। মাইকি ইসানের পাশে দাড়িয়ে আছে।। মাইকি একটু সাহস নিয়ে ইসান কে জিজ্ঞেস করে- স্যার ছোট মুখে বড় কথা।। আপনি যেদিন থেকে এখানে এসেছেন প্রায় প্রতিদিন রাতেই নেশা করে জোরে জোরে কান্না করেন এবং ইমা ইমা বলে ডাকেন।।। স্যার কে এই ইমা???

ইসান – ইমা,,,, ইমা আমার ভালোবাসা।।। আপনি দেখবেন ওকে!! ও অনেক সুন্দর দেখতে।। (বলে ইসান মানিব্যাগ বের করে ইমার ছবি দেখালো মাইকি কে) এই মেয়েটাকে আমি খুব ভালোবাসি মিঃ মাইকি।। কিন্তু একটা ভুল বুঝাবুঝিতে ওকে হারিয়ে ফেলেছি।। ও ছেড়ে চলে গেছে আমাকে।।।।( বলতেি ইসানের চোখে পানি চলে আসে)

মাইকি- স্যার কাদবেন না!! সব ঠিক হয়ে যাবে।। কিন্তু আপনি যে এভাবে মদ্যপান করেন আপনার শরীর অসুস্থ হয়ে পরবে তখন কি করবেন?? স্যার ম্যাডাম আপনাকে ভুল বুঝেছে।। দেখেন আপনি যখন এখান থেকে দেশে ফিরে যাবেন তখন ঠিক ম্যাডাম নিজের ভুল বুঝে আবার আপনার কাছে ফিরে আসবে।।। চিন্তা করবেন না সব ঠিক হয়ে যাবে।।

বর্তমান,,,,,

মাইকি- স্যার আমার কথায় একটু প্রশান্তি পায়।। এবং ঠিক করে উনি আর নেশা করবেন না।। স্যার এই রুমে থাকতো।।। স্যার আমাকে বলে এই রুমের রং চেঞ্জ করে আপনার পছন্দের গোলাপি রং দেওয়ালে করতে।। আমি স্যারের কথা মতো দেওয়ালে এই গোলাপি রং দিয়।।। স্যার যেই দুইবছর ছিলো এখানে প্রায় প্রত্যেক দিনই আপনার গল্প করতো আমার সাথে।।। আপনি যেদিন আসলেন সেদিন আমি আপমাকে দেখেই চিন্তে পেরেছিলাম৷ (হেসে)

বলতেই একজন মেড এসে বললো- স্যার আপনাকে ইসান স্যার ডেকেছেন।।

মাইকি- হমম চলো।। আমি আসি ম্যাডাম।।।

ইমা- হমম।।। (মাইকি চলে যাই। ইমা মাইকির কথায় একদম হতবাক হয়ে যায়)

,,,,,,,,,,,,,continue,,,,,,,,,,

ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।।।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here