#i_m_mafia_lover
#part_29
#sabiha_kh
ইমা – রোকসানা ইসমা কে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হইওনা ।। আমি এখনি আসছি।।।
বলে ইমা ফোন কেটে দিলো।। এবং চোখ মুছে দ্রুত সেখান থেকে চলে গেলো।।।।
”
”
”
”
১ ঘণ্টা পর,,,,,,
ঈশানের ফ্লাইট চলে আসে।। ইশান আকাশ এয়ারপোর্ট থেকে বের হলে জনি তাদের দেখতে পাই এবং দ্রুত এগিয়ে যায়।।।
জনি – hello স্যার।।। (মাথা নিচু করে সন্মান জানিয়ে)
ইশান – কি খবর??? ( জনির কাধে থপথপিয়ে মুচকি হেসে)
জনি – জি স্যার ভালো । চলুন।।। (হেসে)
জনি গাড়ির দরজা খুলে দিলে ইশান গাড়িতে উঠে বসলো।।। জনি তো মনে মনে মহা খুশি যে ইশান বাড়িতে গেলে এত বড় একটা সারপ্রইজ পাবে । আর ইশান মনে মনে খুব খুশি যে সে আজ ইমাকে ইসমাকে দেখতে পাবে ।। তার ছোট পরিবার কে দেখতে পাবে ।।
এদিকে আকাশ খেয়াল করলো জনি কেমন মুচকি মুচকি হাসছে ।। কিন্তু জনি কে কোনো প্রশ্ন করলো না। । তারা চলে আসলো বাড়িতে।। জনি তারা তারি গাড়ি থেকে বের হয়ে গাড়ির দরজা খুলে দিল । ইশান গাড়ি থেকে বের হয়ে জনি কে বললো –
ইশান – জনি আমি ইমার বাসায় যাবো তুমি কোথাও যেও না। আমি পোশাক বদলে আসছি ।।
জনি কোনো কথা বললো না শুধু মাথা ঝুকালো । ইশান ভিতরে যেতে লাগে আকাশ জনির কাছে এসে বলে –
আকাশ – ব্যাপার কি বল তো!!!
জনি – চল নিজে গিয়ে দেখবি।।
জনি আকাশ ইশান এর পিছনে পিছনে গেলো ।। ইশান ভিতরে ঢুকতেই দেখে খুব সুন্দর করে বাড়ি সাজানো।। সব কাজের লোকরা ইশান কে দেখে মাথা নামিয়ে সন্মান জানালো। করিম ইশান কে সালাম দিল।।
ইশান করিমের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললো- ব্যাপার কি মি: করিম??
জনি পিছন থেকে বলে উঠলো – Happy birthday স্যার।।।
ইশান হেসে পিছনে গুরে জনির দিকে তাকিয়ে বললো – আজ আমার জন্মদিন তুমি জানলে কি করে?? তার মানে ইমা তোমাকে বলেছে আর এগুলো সব ইমায় করেছে তাই না!!!
জনি আনন্দিত সুরে বললো – জি স্যার এগুলো সব ম্যাডাম করেছে।।।।
ইশান মুখে হাত দিয়ে লাজুক একটা হাসি দিল।।
ইশান করিমের দিকে তাকিয়ে বললো – কোথায় ইমা??
করিম – ম্যাডাম ,,,,,,,
বলতেই ইশান বললো – থাক বলতে হবে না আমি খুজে নিচ্ছি।।। বলে ইশান চলে গেলো ভিতরে।। জনি করিমের কাছে এসে বলে – ম্যাডাম কোথায়??
করিম মাথা নিচু করে থাকে কোনো কথা বলে না।। আকাশ করিমের মুখের ভাব দেখে বুঝল নিশ্চয় কিছু একটা হয়েছে।।
আকাশ – করিম ভাই কি হয়েছে বলুন তো??
করিম বলতে চাই না তারপর অনেক বলার পর বলে – ম্যাডাম হাত ধুতে স্যার এর রুমে গিয়েছিল।। তারপর যখন বের হয় দেখি উনি কাদেছে।। আমি কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই উনি বের হয়ে চলে যায়।।
এমন সময় ইশান হন্ত তন্ত হয়ে নিচে আসে। এবং কারো সাথে কোনো কথা না বলে নিজের গাড়ি নিয়ে চলে যায় । আকাশ জনি বুজলো নিশ্চয় খুব খারাপ কিছু একটা হতে চলেছে ।।
জনি আকাশ আর দেরি না করে তারাতারি গাড়ি নিয়ে ঈশানের গাড়ির পিছনে যায়।।।
ইশান খুব স্প্রিডে গাড়ি চালাচ্ছে। জনি আকাশ ইশান কে ধরতে পাড়ছে না ।।
জনি উত্তেজিত হয়ে বললো – কি হলো স্যারের??
আকাশ – আমি কি জানি ?? উফফ আল্লাহ স্যারের কিছু যেনো না হয়।
ঈশান দ্রুত ইমার বাসায় আসলো কোনো রকম গাড়ি থেকে বের হয়ে লিফটে করে ৭ তলায় আসলো।। লিফ্ট থেকে বের হয়ে ইমার ফ্ল্যাটের দরজা সামনে আসতেই দেখে দরজায় তালা দেওয়া।। ঈশানের মাথায় হাত ।। ইশান পাগলের মত করতে লাগলো এবং উত্তেজিত সুরে বললো –
ইশান – এটা হতে পারে না । ইমা চলে যেতে পারেনা। তুমি যেতে পারো না ইমা।। বলে দেওয়ালে দুই তিনটা ঘুসী মারতেই হাত ছিলে রক্ত বের হয়।।। এমন সময় আকাশ জনি আসে।।
জনি স্যার বলে এগিয়ে আসলে ইশান জনির শার্টের কলার ধরে রাগান্বিত সুরে বললো –
ইশান – ইমা কোথায় !!
জনি ঈশানের রাগান্বিত চেহারা চোখে পানি সাথে চোখ লাল বর্ণ দেখে ভয় পেয়ে গেলো ।।। জনি ভিত সুরে বললো –
জনি – স্যার আমি সত্যি জানি না।।। ম্যাডাম কাজ করছিল আমি ম্যাডাম কে রেখে আপনাকে নিতে গিয়েছিলাম।।।
ইসান কান্না করে দিলো এবং জনির শার্ট ছেড়ে দিয়ে কান্না সুরে বললো – আমার ইমা আমাকে ছেড়ে চলে গেছে।।।
আকাশ ইসানের কাছে এসে বললো – স্যার আপনি শান্ত হন ।। আমরা সবাই ম্যাডাম কে খুঁজব ম্যাডাম কোথায় যেতে পারে !!! নিজের বাড়ি যদি যেতে চাই তাহলে নিশ্চয় রেল স্টেশন , বাস টার্মিনাল, এগুলো জাগায় যাবে ।
ইশান – হম ঠিক বলেছো।।। এক কাজ করো তোমরা দুইজন রেল স্টেশন চলে যাও ।। আমি বাস টার্মিনাল চলে যায় ।
আকাশ – ok স্যার।।
ইশান জনি আকাশ গাড়ি নিয়ে চলে গেলো । আকাশ জনি রেল স্টেশন চলে আসে এবং খুঁজতে লাগে।।। ওদিকে ইশান বাস টার্মিনালে আসে।।। ইশান পাগলের মতো হয়ে খুঁজছে ইমা ইসমা কে। এই বাস ওই বাস কাউন্টার সব জাগায় খুঁজলো কিন্তু কোথাও পেলো না।। ঈশান দৌড়ে দৌড়ে এদিক ওদিক দেখতে লাগে কিন্তু কোথাও দেখে না।। এক সময় ইশান হাফিয়ে যায়। এবং রাস্তার পাশেই বসে পড়ে ।। একদম অসহায় বাচ্চাদের মত হয়ে বসে থাকে।। ঈশানের চোখে পানি টোল টোল করতে লাগে।। ঈশান মুখে হাত দিয়ে কান্না করতে লাগে এবং মনে মনে বলে কোথায় খুঁজব ইমা কে কোথায়।
হঠাৎ ঈশানের চোখ রাস্তার ওই পারে পরে।।দেখে রাস্তার পাশে একটা মোটা মেহেগুনির গাছের নিচে ইমা, ইসমা, রোকসানা বসে আছে।।l।। ইশান খুব খুশি হয় এবং এক্সাইটেড হয়ে পড়ে ।। ইশান আর কিছু না ভেবেই দ্রুত রাস্তার ওইপারে যায়।।এমন সময় ইসমা ইশান কে দেখতে পায় এবং বাবা বলে উঠে দৌড়ে যায়।। ইমা চমকে সামনে তাকায় দেখে ইশান আসছে।। ইসমা দৌড়ে ঈশানের কাছে গেলে ইশান ইসমা কে কলে তুলে নিয়ে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেই ।
ইশান – মা আমার ।। তুমি কেমন আছো??
বলে ইসমার গেলে চুমু দিতে লাগে ।। এমন সময় ইমা এসে ইসানের কোল থেকে ইসমা কে নিয়ে নেই। ইসমা বাবা বাবা বলে কান্না করতে লাগে।। ইসমার এমন কান্না দেখে ইশান ইমার কাছে মিনতি করে বলে এমন না করতে ।। ইমা ঈশানের কথার কোনো কর্ণপাত না করে ইসমা কে নিয়ে গিয়ে রোকসানার হতে দিয়ে বলে- ইসমাকে ওই দোকানে নিয়ে যাও আমি ঈশানের সাথে কথা বলবো।।।
ইসমা যেতে না চাইলেই রোকসানা এক রকম জোর করে ইসমাকে নিয়ে চলে যায়।। ইমা এসে ঈশানের সামনে দাঁড়ায়।।
ইশান – ইমা তুমি ,,,,,,
বলে কাছে আসতে লাগলে ইমা সামনে হাত বাড়িয়ে রাগান্বিত সুরে বললো-
ইমা – খবরদার কাছে আসবে না।। ওখানেই দাড়াও।।
ইশান – ইমা আমাকে এক্সপ্লেন করার সুযোগ দাও ।।
ইমা – না ইশান তুমি আর কোনো সুযোগ পাবে না ।এখন যেটাই বলবে সব মিথ্যা।। আমি সেগুলো শুনতে চাই না । আমি তোমাকে একটা প্রশ্ন করবো । তুমি অভিকে মেরেছো?? হ্যাঁ বা না এর ভিতর উত্তর দাও।।
ইশান কোনো কথা বলে না মাথা নিচু করে দাড়িয়ে থাকে ।।। ইমা ঈশানের এমন চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকা দেখে বুজতে পারল ।। ইমা জোরে শ্বাস নিয়ে কান্না করে উঠে।। ইমা ইশান কে কি বলবে বুঝতে পারছে না।।।
ইমা – আমি ভাবতেও পারিনি তুমি এমন কাজ ও করতে পারো!!! আমি যখন তোমার রুমে অভির ছবি দেখেলাম।।। আমি তখন বিশ্বাস করতে পারছিলাম না ।। আমার মাথা তখন কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল।। তুমি এতোটা নিষ্ঠুর কি ভাবে হতে পারলে ইশান । আমাকে পাওয়ার জন্য অভি কে মেরে ফেললে।।। তোমার একবারও দয়া হলো না ইশান!!!!
ইশান – ইমা আমি জানতাম না অভি তোমার হাসবেন্ড।।।
ইমা – চুপ করো।। আর কত মিথ্যা বলবে ।। ঠিকাছে আমি ধরলাম তুমি জানতে না।। তারপর তো জানতে পেরেছিলে ।। তাহলে তখন কেনো আমাদের জীবন থেকে চলে গেলে না??? ও আমাকে পাওয়ার লোভ সামলাতে পারনি তাই না!!
ইশান – ইমা!!! (জোরে)
ইমা – খবরদার চিৎকার করবে না।।। আমি পাগল যে তোমার ভালোবাসা দেখে সব ভুলে গিয়েছি নতুন করে বাচার সপ্ন দেখতে শুরু করেছি।। কেনো ইশান কেনো তুমি অভিকে মারলে ও তোমার কি ক্ষতি করেছিল কেনো কেনো করলে এমন।।। তুমি আমার জীবন থেকে সবাইকে কেরে নিলে।। আমার বাবা কে মা কে আর এখন আমার ভালো একজন বন্ধু কে।।।
ইশান অবাক হয়ে গেলো ইমার কথা শুনে ।
ইশান – আমি তোমার বাবা মাকে মেরেছি!!!( অবাক হয়ে)
ইমা – হম তুমি মেরেছো!!! তুমি।। ৭ বছর আগে যেই বারে গুলাগুলি করেছিলে সেই বারের সামনে আমার মা তোমার গুলিতে মারা গেছে।। আমার বাবা যখন জানলো আমি মা হতে চলেছি তাও তোমার বাচ্চার আমার বাবা হার্ড স্কক করে মারা গেলো।। বাবা আমাকে অভির হতে তুলে দিয়ে গিয়েছিল।। অভি কখনো আমার কাছ থেকে সামির অধিকার চাইনি।। আমার পাশে বন্ধু হয়েছিল।। তাকেও তুমি নিয়ে নিলে।। আর কিছুই রইলো না আমার।। চলে যাও ইশান চলে যাও তোমার মুখ আমাকে আর দেখিও ন।। চলে যাও।।।
বলে ইমা রাস্তার পাশে বসে মাথা ধরে কান্না করতে লাগে।।। ঈশান যেনো একদম বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে।। ঈশান একটা কথাও বললো না ধির পায়ে হেঁটে চলে গেলো।।। ঈশানের কানে শুধু একটা কথাই বাজছে।। তুমি আমার সব কেরে নিলে।।।
ইশান গিয়ে তার গাড়িতে উঠে বসলো । এবং মুখ চেপে ধরে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদতে লাগে।।।
Time Skip
পরের দিন,,,,,
গাড়ির হর্ন এর শব্দে ঈশানের ঘুম ভাঙ্গগে।।। ইশান চোখ খুলে দেখে ব্যাস্ত শহরের প্রতিদিনের কাজ শুরু হয়ে গেছে।।। ঈশান চোখ মুছে গাড়ি চালিয়ে বাড়িতে আসে।। সারা রাত জনি আকাশ করিম কেও ঘুমায়নি ।।ইসান বাড়িতে আসলে সবাই ঈশানের সামনে আসে।। কিন্তু ঈশান কারো সাথে কথা বলে না সোজা নিজের রুমে চলে যায় ।
ঈশান রুমে এসে বিছানাই ঠাস করে শুয়ে পড়ে।। হঠাৎ ঈশানের ইমার বলা কথা গুলো মনে পড়ে যায়।।। ঈশান উঠে বসে এবং দীর্ঘ একটা শ্বাস ছারে।। এমন সময় জহির চৌধুরী ইশান কে কল করে।।।
ঈশান ফোন রিসিভ করে কানে ধরে ।
জহির – কেমন আছ বাবা।।
ইশান কোনো কথার জবাব দেইনা।।
জহির – কি হয়েছে বাবার সাথে কথা বলবে না!! কাল তো তোমার সাথে কথা বলতে পারিনি খুব ব্যস্ত ছিলাম।।
ইশান – কেনো কল করেছো??
জহির – ইশান তোমার আজ একজন কে মারতে হবে। সে আমার শত্রু।।।।
ইশান রেগে উঠে দাড়িয়ে বললো – এনাফ বাবা অনেক হয়েছে।। তোমার কথা মেনে চলতে গিয়ে এই হাতে কতো খুন করেছি।।আজ তোমার জন্য আমার জীবন আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। আমি একা রয়ে গেলাম আবার।। আজ আমি ইশান চৌধুরী তোমাকে বলছি আজ থেকে আমি তোমার কেও না তুমি আমার কেও না বুঝেছ।।।
বলে ইশান ফোন কেটে দিলো ।।
জহির রেগে ফোন ছুঁড়ে ফেলে দিলো।।
জহির – এত বড় সাহস। আমার উপর চিৎকার করে।।। বুঝেছি আমার কি করতে হবে । ।। ইশান ভালোবাসা দেখাস না।। তোর সামনে যদি তোর ভালোবাসা কে মারতে না পারছি আমি জহির চৌধুরী না।। কে আছো।। (জোরে)
– জি স্যার ।
জহির – আমি যা বলব তা মন দিয়ে শুনো।। ,,,,,,, জহির তার লোক দের সব কিছু বুঝায় বললো ।।।
জহির – এই খেলা শেষ করবো এবার । যাও যা বললাম তাই করো । ।
জহির এর লোক জন চলে গেলো।।#i_m_mafia_lover
#part_30
#sabiha_kh
পরের দিন,,,,
ইমা রেডি হয়ে বের হলো হসপিটালে যাওয়ার জন্য।।।
ইমা- রোকসানা ইসমার মন খারপ ওকে নিয়ে কোথাও একটু হেঁটে আসো । আর আমি এখন হসপিটালে যাচ্ছি। ।। রিজাইন লেটার জমা দিয়ে আজ বিকেলের গাড়ি ধরে চলে যাবো ।
রোকসানা – ok ম্যাডাম।
ইমা বাইরে বের হওয়ার জন্য দরজা খুলতেই দেখে ৬ / ৭ জন লোক দাড়িয়ে আছে।। ইমা ঘাবড়ে যায়।।
ইমা – কে আপনারা ??( কপাল কুঁচকে)
বলতেই একজন লোক ইমার চুল ধরে দেওয়ালের সাথে জোরে মাথা বারি দেই।। ইমা সাথে সাথে সেখানেই জ্ঞান হারায়।।। রোকসানা সেটা দেখে ম্যাডাম বলে চিৎকার দিলে আরেকজন লোক ভিতরে এসে রোকসানার গালে উল্টা হতে থাপ্পড় মারে । রোকসানা গিয়ে সোফার কনার সাথে মাথা লেগে রক্ত বের হয়। এবং সেখানেই জ্ঞান হারায়।। এদিকে ইসমা রোকসানার কণ্ঠ শুনে। বাইরে এসে দেখে কয়েক জন লোক দাঁড়িয়ে আছে।। রোকসানা মাটিতে পড়ে আছে।।
ইসমা ভয়ে আম্মু বলে চিৎকার দিলে একজন লোক এসে ইসমার মুখ চেপে ধরে । ইসমা হাত পা ছড়াছড়ি করতে লাগলে আরেক জন লোক এসে রুমালে ক্লোরোফর্ম নিয়ে ইসমার মুখে চেপে ধরে।। ইসমা সাথে সাথে জ্ঞান হারায়।।
Time Skip,,,,,
ইশান মন মরা হয়ে বসে আছে গার্ডেন এ।।। ইমাকে ফোন দিবে কিনা ভাবছে। এমন সময় ইশানের ফোনে বেজে উঠলো ।। ইশান ফোন হাতে নিয়ে দেখে আননন নাম্বার । ইশান ফোন রিসিভ করে কানে ধরে ।
ইশান – hello !!
– কারা যেনো ইমা ইসমাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে।।। আপনি তারাতারি আসুন ।।।( উত্তেজিত সুরে)
এই কথা শুনে ঈশানের বুকের ভিতর কেপে উঠল।।। ইশান যেনো নিজের কান কে বিশ্বাস করতে পারছিল না ।।
ইশান কাপা সুরে বলল- আপনি কে বলছেন??
– আমি যেই হয় এখন ওদের বিপদ।। আপনি দ্রুত (,,,,,,) ঠিকানায় চলে আসুন।। (বলে ফোন কেটে দিলো)
ইশানের মাথা কাজ করছিলো না । ইশান বিষয় টা যাচাই করতে ইমাকে কল করে দেখে ইমা কল রিসিভ করছে না। ইশান আর এক মিনিট ও দেরি না করে দ্রুত গার্ডেন থেকে ভিতরে আসলো রুমে গিয়ে গাড়ির ছবি নিল কিন্তু রিভলবার পেলো না । ইশান রুমের এদিক ওদিক খুঁজলো কিন্তু রিভলবার কোথাও পেলো না।।
ইশান – না দেরি হয়ে যাচ্ছে ।
ইশান রিভলবার আর না খুজে দ্রুত গাড়ির চাবি নিয়ে বের হলো । ।।
জনি আকাশ বাইরে দাড়িয়ে ছিলো ।। তারা ইশান কে এমন হন্ততন্ত হয়ে আসতে দেখে বিস্মিত চোখে তাকিয়ে রইল। ঈশান আকাশ জনির দিকে খেয়ালই করলো না।। দ্রুত তার গাড়ির দিকে ছুটে গেলো।।।
ইশান গাড়িতে উঠে বসলে জনি আকাশ দ্রুত ঈশানের কাছে আসে ।
আকাশ – স্যার কোথায় যাচ্ছেন???
ইশান উত্তেজিত সুরে বলল – কথা বলার সময় নাই।।। তোমরা গাড়ি নিয়ে আমার গাড়ির পিছনে আসো।।
বলে ইশান গাড়ি টান দিয়ে চলে গেলো ।। আকাশ জনি দ্রুত গিয়ে গাড়িতে উঠতে যাবে এমন সময় আকাশ খেয়াল করলো গাড়ির চাকাই হাওয়া নেই।।।
আকাশ – জানি এখন কি হবে গাড়ির চাকায় তো হাওয়া নেই??
জনি- আমি কিছুই বুঝতে পারছিনা।।।। আচ্ছা গ্যারেজে আরো দুইটা গাড়ি আছে চল ।।
জানি আকাশ দ্রুত গ্যারেজে গেল।
আকাশ- তুই এখানে দাঁড়া আমি গাড়ির চাবিটা নিয়ে আসি করিম ভাইয়ের কাছ থেকে।।
আকাশ তাড়াতাড়ি এসে করিমের কাছ থেকে গাড়ি চাবি নিয়ে দ্রুত গ্যারেজে আসে এবং আকাশ জনি গাড়ি নিয়ে বের হয়ে যায়। জনি স্পিডে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিল কিন্তু সামনে ঈশানের গাড়ি দেখতে পাচ্ছিল না।।।
জনি – আকাশ স্যারের গাড়ি তো দেখতে পাচ্ছি না।। (কপাল কুচকে)
আকাশ – দ্বারা স্যার কে একটা কল করি।। আকাশ ইশান কে কল করলো ।। (রিং বেজে বেজে বন্ধ হয়ে গেল) স্যার তো ফোন ধরল না ।।। আচ্ছা একবকাজ করি স্যারের মোবাইলের নাম্বার ট্র্যাক করি তাহলে স্যার কোথায় আছে সেই লোকেশনটা আমরা দেখতে পাব।।। (আকাশ ঈশানের মোবাইল নাম্বার ট্র্যাক করল) জনি আমরা কাছাকাছি আছি।। আর একটু জোরে গাড়ি চালা।।।
জনি আকাশের কথা মত জোরে গাড়ি চালিয়ে চলে আসে।।
আকাশ – ওই তো স্যারের গাড়ি।।। ( উত্তেজিত সুরে)
জনি গাড়ি থামলো।। দুইজন দ্রুত গাড়ি থেকে বের হয়ে ঈশানের গাড়ির কাছে আসে। দেখে ইশান গাড়িতে নেই।।। জনি আকাশ এদিক ওদিক তাকালো দেখে রাস্তায় মানুষ সমাগম খুবই কম।।
জনি- আমার কেনো জানি কিছু ভালো ঠেকছে না । এই খানে তো তেমন কিছু নাই।। এই সুনসান রাস্তায় স্যার কি কাজে আসতে পারে ।
আকাশ – স্যার কোনো ঝামেলায় পড়ল নাতো?? চল এদিক ওদিক দেখি।।। (চিন্তিত সুরে)
আকাশ জনি এদিক ওদিক দেখল ঈশানকে কোথাও পেলো না।।
Time Skip,,,,,,,,
ইসমার জ্ঞান ফিরলে টিপ টিপ করে চোখ খুলে এদিক ওদিক তাকায় সব কেমন ঘোলাটে ইসমা আসতে করে উঠে বসে।। এবং চোখ মুছে সামনে তাকাতেই দেখে তার মা বেহুশ অবস্থায় পড়ে আছে।।। ইসমা আম্মু বলে তারাতারি ইমার কাছে আসে এবং ইমাকে ঠেলা দিয়ে ডাকতে লাগে এবং কাদতে থাকে।। ইমা হুশে আসলে ঘোলাটে চোখে ইজমার দিকে তাকাই । ইসমা তার মাকে তাকাতে দেখে খুব খুশি হয় এবং ইমাকে জড়িয়ে ধরে ।।। ইমা ও ইসমাকে জড়িয়ে ধরে।।
ইমা – মামুনি তোমার কোথাও লাগে নি তো!!! (উত্তেজিত সুরে কান্না করে বললো)
ইসমা- না আম্মু আমার কোথাও লাগেনি।। কিন্তু আমরা কোথায় এসেছি আম্মু!!! (এদিক ওদিক তাকিয়ে ভিত সুরে বলল)
বলতেই দরজা খুলার শব্দ।। ইমা ইসমা দরজার দিকে তাকায়।।। দেখে জহির চৌধুরী আসছে।।।
জহির ইমা ইসমাকে ভিত চোখে তাকাতে দেখে বাকা একটা হাসি দিয়ে সোফায় বসলো।। ইসমা ভয়ে ইমাকে চেপে জোড়িয়ে ধরে আছে।। ইমা ও ইসমাকে জড়িয়ে ধরে জহিরের দিকে ভিত চোখে তাকিয়ে আছে।।
জহির – আমাকে চিনো নিশ্চয়।। আমি জহির চৌধুরী DW কোম্পানির চেয়ারম্যান।।
ইমা কাপা সুরে বলল – হম আমি আপনাকে চিনি।। কিন্তু আপনি আমাদেরকে কেনো ধরে এনেছেন???
জহির – হম সেটাই বলবো। (বলে জোরে একটা শ্বাস ছাড়লো) তোমার মেয়ের বয়স কত । এই পিচ্ছি মেয়ে আমার দিকে তাকাও ।
ইসমা ভয়ে ভয়ে তাকাই জহির এর দিকে।।।
জহির – বয়স কত তোমার??
ইসমা ভয়ে ভয়ে বললো – ৭ ।।
জহির – তুমি খুব সুন্দর দেখতে।। ইশান ও ছোট বেলা এমনি সুন্দর ছিল।। যাইহোক ঈশানের বয়স যখন ১০ বছর তখন সে প্রথম স্কুলের এক ছেলে কে ধরে খুব মেরে ছিলো। তাও আমার জন্য।। ছেলে টা শুধু বলেছিল তোর বাবা আমার বাবার লেভেলে কখনো আসতে পারবে না । ইশান এই ছোট্ট কথা শুনে প্রচন্ড রেগে গিয়েছিল এবং ছেলেটাকে ধরে খুব মেরেছিল।। সেদিন আমি বুঝেতে পারি ইশান আমাকে কতো টা ভালোবাসে। এবং সে আমার জন্য সব করতে পারে ।। আমি ইশান কে সেই সব কিছু দিয়েছি টাকা পয়সা সব ও যা চেয়েছে আমি তাই দিয়েছি।। এখন তুমি বলো আমি ওকে এত কিছু দিয়েছি তাহলে ওর তো দায়িত্ব আমি যা চাইবো তা দেওয়ার বা সেই মোতাবেক কাজ করার।
ইমা – এগুলো কথা আমাকে কেনো বলছেন?? দেখুন আপনার ছেলের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই ।। আপনার ছেলে আমার,,,,,,,
বলতেই জহির বলে –
জহির – আমি জানি তোমার হাসবেন্ড কে মারছে।। তোমার হাসবেন্ড কে মেরেছে আমার কোথায়।। আমি বলেছি মারতে।।।
ইমা জহির এর কথা শুনে অবাক হয়ে যাই।।
ইমা – মানে??
জহির – মানে আমার ছেলে আমার কথা মত কাজ করেছে ।।।
বলতেই দরজা খুলার শব্দ ইমা জহির ইসমা দরজার দিকে তাকায় দেখে দুইটা লোক ইশান কে ধরে নিয়ে আসছে। ঈশানের কপাল মুখ থেকে রক্ত বের হচ্ছে।। ইশান আদো আদো চোখে ইমার দিকে তাকায় দেখে ইমার কপাল ফুলে আছে কলসিরার মত দাগ হয়ে গেছে।। ইসমা ঈশান কে দেখে বাবা বলে উঠে দৌড় দিল । ইশান লোকগুলো হাত থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে ইসমা কে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরলো ।।।
ইশান – তুমি ঠিক আছো তো মামুনি??
ইসমা- হম বাবা কিন্তু তোমাকে ওরা মেরেছে কেনো??
ইশান – ও কিছু না মা।।
ইশান রাগান্বিত চোখে জহির এর দিকে তাকিয়ে বললো – কি চাও তুমি?? এদের কেনো ধরে নিয়ে এসেছ??
জহির – তুমি বাধ্য করেছো বাবা।। ভেবেছিলাম তোমার প্রেমিকার হাসবেন্ড ছবি তোমার প্রেমিকা তোমার রুমে দেখলে তোমাকে ঘৃণা করে চলে যাবে। আর তুমি সেই কষ্ট সহ্য করতে না পেরে আবার আগের রূপে ফিরে আসবে। মাফিয়া ইশান চৌধুরী হবে।।
ইশান – তার মানে এগুলো সব তুমি করেছো??( হতবাক হয়ে)
বলতেই ইমা বিস্মিত চোখে ঈশানের দিকে তাকিয়ে বললো – মাফিয়া ইশান মানে!!!!
জহির বাকা হাসি দিয়ে বললো – তুমি জানো না।। ইশান তুমি তোমার gf কে বলনি তুমি কে??আচ্ছা আমি বলছি ।।। ইশান হলো অন্ধকার দুনিয়ার কিং। দিনে ভালো মানুষের মুখোশ পড়ে ঘুড়ে আর রাতে খুন করে।। অবশ্য আমার কথা অনুযায়ী খুন করে। আমি যাকে বলি তাকেই মেরে ফেলে।। ইশান যে কত গুলো খুন করেছে ত হয়তো ইশান ও জানেনা ।
ইমা ঈশানের দিকে তাকালো দেখে ইশান মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে।। তার চোখ থেকে টপ টপ করে পানি পড়ছে ।
এদিক রোকসানার জ্ঞেন ফিরলে সে জনি কে কল করে এবং সব খুলে বলে ।
জনি আকাশের বুঝতে আর দেরি হলো না যে ইশান কোনো ট্র্যাপে পড়েছে ।
আকাশ জনি কে রোকসানার কাছে যেতে বললো।। জনি রাজি হলো না। জনি রোকসানা কে ফোন করে বললো ঈশানের কথা । রোকসানা জনি কে তার কাছে আসতে মানা করলো এবং ইশান কে ইমাকে ইসমা কে খুঁজতে বললো।।
এমন সময় আকাশের ফোন কল করলো করিম।। আকাশ ফোন রিসিভ করে কানে ধরলে করিম জিজ্ঞাসা করলো ইশান ঠিক আছে কি না।।। আকাশ করিম কে সব খুলে বললো।।
করিম – আমিই ঠিক।। বুঝতে পেরেছিলাম আজ কিছু একটা হতে চলেছে!!
আকাশ – মানে?? (অবাক হয়ে)
করিম – আজ সকালে স্যার বের হয়ে যাওয়ার আগে জহির স্যার আমাকে ফোন করে বলেছে ইশান স্যারের রিভলভার স্যারের রুম থেকে সরিয়ে রাখতে।। আমি তাই করেছি।।
আকাশ একটু রেগে বললো- এটা আপনি কি করেছেন করিম ভাই । আল্লাহ জানে ওরা স্যার কে কি করছে । কেমন বাবা উনি ছেলে কে ভালো হতে দিতে চায়না । ছেলের ভালো দেখতে পারেন না ।
করিম – শান্ত হও আমার কথা শুনো।। ইশান স্যার কে যদি জহির স্যার ধরে নিয়ে যায় তাহলে নিশ্চয় জহির স্যারের কাছে নিয়ে যাবে ।। তোমরা এক কাজ করো তোমরা জহির স্যারের নাম্বার ট্র্যাক করে লোসেকশন টা বের করে চলে কাও সেখানে ।
আকাশ – ঠিক আমরা ত এটাও করতে পরি।। Ok করিম ভাই thank you এখন রাখি । (বলে ফোন কেটে দিলো)
জনি – কি বললো!!
আকাশ – এত কথা বলার সময় নাই চল গাড়িতে উঠ। স্যার বিপদে আছে ।। আমি আরো কিছু আমাদের লোক ডেকে নিই।।
(আকাশ জনি গাড়ি টান দিয়ে চলে গেলো)
ওদিকে,,,,,
জহির – ইশান আমি ঠিক করেছি তুমি যদি আমার কথা মতো চলো তাহলে আমি তোমার প্রেমিকা কে এবং তোমার ওই পিচ্ছি মেয়ে কে ছেড়ে দিবো।। আর যদি না শুনো তাহলে তোমার চোখের সামনে তোমার ওদের দুইজন কে এতো কষ্ট দিয়ে মারবো যে তোমার দেখে আত্মা কেপে উঠবে।।।
ইশান উত্তেজিত সুরে রেগে বলল – খবরদার বাবা ইমা ইসমাকে টাচ করার চিন্তা করেছ তো আমার থেকে খারাপ কেও হবে না।।।
জহির – ঠিকাছে কিছু করবো না । তুমি আমার কথা মতো কাজ করো আমি ওদের ছেড়ে দিবো ।।।
ইশান ইমা ইসমার দিকে তাকালো এবং আবেগী সুরে বলল -ঠিকাছে আমি রাজি।।
ইমা রেগে জহির এর দিকে তাকিয়ে বললো –
ইমা – আপনি কেমন বাবা হ্যাঁ। ছেলে কে মানুষ খুন করতে বলেন?? আপনার মত এমন জঘন্য মানুষ আমি আর একটা দেখিনি ।
বলতেই জহির রেগে উঠে দাড়িয়ে বললো – এই মেয়ে মুখ সামলে কথা বলো।। কিসের বাবা।। আমি ওর কোনো বাবা না। (ইশান ইমা জহিরের কথা শুনে রীতি মতো অবাক হয়ে গেলো) হম আমি ঠিকই বলছি আমি তোমার বাবা না ইশান।।
ইমা ঈশানের দিকে তাকালো দেখে ইশান হতবাক চোখে তাকিয়ে আছে জহির এর দিকে।
ইমা – আপনার মাথা ঠিক আছে?? কি বলছেন এগুলো।।
জহির – হম আমি ঠিকই বলছি ।।। ২৬ বছর আগে কি যেনো একটা কাজে আমি এক এতিম খানাই গিয়েছিলাম । কাজ শেষ করে আসতেই পিছন থেকে ইশান আমার প্যান্ট টেনে ধরে। পিছনে ঘুরে তাকাই দেখি ইশান ।।। তখন ওর বয়স ছিলো ৪ বছর।। মায়া ভরা চোখে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল।। আমি তখনই ঠিক করি আমি ইশান কে দত্তক নিবো এবং ওকে আমার কাজে ব্যাবহার করবো। তারপর আমি এতিম খানার প্রধানের সাথে কথা বলে ওকে নিয়ে বাড়িতে চলে আসি এবং সব আলিসানী দিয়ে ওকে বড় করি।। আর এখন দুইদিনের একটা মেয়ে এসে সব কিছু পাল্টে দিবে তা তো আমি মানব না।।
ইশান একটা কথাও বললো না শুধু চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে ।। ইমা ইশান এভাবে কষ্ট পেতে দেখে তার বুকের মধ্যে মোচড় দিয়ে উঠল।।।
ইমা ঈশানের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলে – কোনো দিক দিয়েও তো ঈশানের দোষ নাই।। আমি সত্যি আজও ওকে চিন্তে পারলাম না।। ও তো নিজের থেকে আর অভিকে মারেনি ওর বাবার হুকুমে অভিকে মেরেছে।। আজ ওর এই অধঃপতনের পিছে ঐ লোক টাই দায়ী।।। এমন মানুষও পৃথিবী তে আছে ভাবতেও অবাক লাগে ।।
জহির- তো বলো কি করবে আমার কথা মতো কাজ করবে নাকি ,,,,!!
ইমা – করবে না ইশান আপনার কথা মত কাজ করবে না । আপনি একটা জঘন্য লোক।। আপনাকে পুলিশে দেওয়া উচিত ।
জহির – এত বড় সাহস।। তোকে আজ মেরেই ফেলবো।। (রাগান্বিত সুরে)
বলে জহির রিভলবার নিয়ে ইমার দিকে সুট করে। ইমা ভয়ে চোখ বন্ধ করে ।। সেই সময় ইশান এসে সামনে দাঁড়ায় আর বুলেট ঈশানের কাধে গিয়ে লাগে।।
ইমা চোখ খুলে দেখে ইশান তার সামনে দাড়িয়ে ।। ইমা হতবাক চোখে ঈশানের দিকে তাকাই এবং ঈশানের কাধে হাত রাখতেই ইশান মেঝেতে বসে পড়ে। ।
ইমা – ইশান,,,,!!
ঈশানের চোখে পানি টোল টোল করছে। ইশান ইমার দিকে তাকাই এবং মুচকি একটা হাসি দেয়।।
ইমা উত্তেজিত সুরে বলল – কিছু হবে না তোমার ইশান ।। ।।
বলতেই বাইরে গুলির শব্দ ।।।।
জহির তার লোক দের দিকে তাকিয়ে রাগান্বিত সুরে বললো – এখানে দাড়িয়ে আছো কেনো যাও দেখো কি হচ্ছে বাইরে। (উত্তেজিত সুরে)
সবাই চলে গেলো ।
ইশান জোরে হেসে উঠে দাড়ালো এবং একপা দুপা করে জহির এর দিকে এগিয়ে আসতে অসতে বললো – আপনার সময় শেষ মিস্টার জহির চৌধুরী।।।
জহির রেগে আবার গুলি করতে যাবে সেই সময় ইশান জহিরের হতে লাথি মারতেই জহিরের হাত থেকে রিভলবার পড়ে যায়।।।
,,,,,,,, Continue,,,,,,,
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন ।।
,,,,,,,, Continue,,,,,,,,
ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন ।।।।।।