I’m Mafia lover পর্ব -০৩

#i_m_mafia_lover
#part_3
#sabiha_kh

১ দিন দিন পর,,,,

ইসান কনফারেন্স এর জন্য তৈরি হয়ে বের হলো। আকাশ গাড়ির দরজা খুলে দিলে ইসান গাড়িতে উঠে বসে।।
তিনটা গাড়ি রওনা দিলো কনফারেন্স এর উদ্দেশ্য সামনের এবং পিছনের গাড়িতে বডিগার্ড মাঝখানের গাড়িতে ইসান।।। তারা চলে আসে কনফারেন্সে বডিগার্ডরা আগে বের হলো আকাশ বের হয়ে গাড়ির দরজা খুলে দেয়।। ইসান গাড়ি থেকে বের হওয়ার আগেই সাংবাদিক দের ছবি তুলা তাকে প্রশ্ন করা শুরু করে দেয়।।। বডিগার্ডরা সবাইকে সরিয়ে দিতে লাগে।। ইসান গাড়ি থেকে বের হয়ে জনি, আকাশের সাথে কনফারেন্স রুমের ভিতরে গেলো।। RK হসপিটালের চেয়ারম্যান রাজিব খন্দকার , সিও মিঃ আবরার হোসেন, এবং আরো অনেকের সাথেই ইসান হাত মিলালো।।

কনফারেন্স শুরু হলো।। RK হসপিটালের চেয়ারম্যান “রাজিব খন্দকার” বন্ধুত্ব পূর্ণ সু সম্পর্ক রাখতে চায় সব সময়.।।এই জন্য DW কম্পানির এগ্রিমেন্টে শোই করলো। এবং RK হসপিটালের এগ্রিমেন্টে ইসান শোই করলো।।এভাবেই বন্ধুসুলভ আচরণের মধ্য দিয়ে কনফারেন্স শেষ হয়।।। সিও মিঃ আবরার হোসেন ইসান কে RK হসপিটাল ভিজিট করতে নিয়ে আসে।।।

সব ডাক্তার নার্স রা হাজির রয়েছে হসপিটালে।। শুধু একজন ডাক্তার বাদে।।। সবাই সাড়ি হয়ে দাড়িয়ে আছে মনে একটা আনন্দ নিয়ে।। কারণ DW কম্পানি সাধারণ কনো কম্পানি না।। সেই কম্পানির সিও আসছে তাদের হসপিটালে এটা তাদের জন্য অনেক বড় ব্যাপার বলে তারা মনে করে।।। সবার মধ্যে আনন্দ ভাবটা থাকলেও রুহির মধ্যে একটু অশান্তি কাজ করছিলো।।( রুহি জুনিয়ার ডাক্তার) কারণ যেই ডাক্তার এখনো হসপিটালে পৌঁছাতে পারেনি সেই ডাক্তার রুহির ফ্রেন্ড হয়।।।
মিঃ আবরার সবাইকে বারবার করে বলে গেছে DW কম্পানির সিও ভিজিট করতে আসবে সবাইকে হসপিটালে থাকতে হবে।।।।

রুহি কল করলো তার ফ্রন্ড কে।।

রুহি- কথায় তুমি আরে DW কম্পানির সিও চলে এসেছে।।

ফোনের ওপাশ থেকে একটু উত্তেজিত সুরে বললো- কি করবো বলো ট্রাফিক জ্যামে আটকা পড়েছি।।

রুহি সামনে তাকালো দেখলো সবাই আসতে আসতে ভিতরে আসছে।।

রুহি- তারাতারি আসো।। আমি ফোন রাখছি।।

বলে কেটে দিলো।।।

ট্যাক্সি তে বসে গাড়ির জানালা দিয়ে বাইরে দেখছে ট্রাফিক জ্যাম ছাড়লো কিনা। উত্তেজিত হয়ে এদিকে ওদিক তাকাতে লাগে।। তারপর ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে প্রায় ৩৫ মিনিটের মতো ট্রাফিক জ্যামে আটকে আছে।। বিরক্তি হয়ে ড্রাইভার কে বললো- আর কতোখন ভাই। আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে।

ড্রাইভার- ম্যাডাম ট্রাফিক জ্যামটা আরেকটু পরেই ছারবে। একটু ধর্য রাখেন।।

রাগান্বিত হয়ে হাত দিয়ে নিজের পোশাক মুঠ করে ধরে মনে মনে বললো- আজি আমার গাড়িটা নষ্ট হওয়ার খুব দরকার ছিলো।। মিঃ আবরার আমাকে বারবার করে বলেছিলো মিস ইমা দয়া করে কাল দেরি করে আসবেন না।।। উফফ ভালো লাগেনা।।। নাহ্ এভাবে হবে না।। কখন ট্রাফিক জ্যাম ছারবে আল্লাহ জানে।। দেখি হেটেই যেতে হবে।।

বলে ইমা ট্যাক্সি আলাকে ভাড়া দিয়ে গাড়ি থেকে নেমে হাটা ধরলো।।।




হমম আপনারা ঠিকি ধরেছেন। এটা সেই ইমা যাকে ইসান আজো পাগলের মতো ভালোবাসে।। ইমা একজন ডাক্তার।। সে জানেই না আজ তাকে কার সামনে দাড়াতে হবে।। চলুন গল্পে ফিরা যাক।।



বডিগার্ড, মিঃ আবরার এবং আরো কিছু লোকের সাথে ইসান হসপিটালের ভিতরে ঢুকলো।। সবাই অবাক হয়ে ইসানকে দেখছিলো। এযেন এক রাজপুত্র আসছে। সাদা রং এর কোর্ট প্যান্ট, চোখে কালো সানগ্লাস চুলগুলো জেল দিয়ে ইসপাইক করা, হাতে কালো চেনের দামি ঘড়ি। পায়ে কালো রং এর জুতা৷ সবাই এক রকম মুগ্ধ হয়ে ইসানকে দেখছিলো।।

মিঃ আবরার- আসুন মিঃ ইসান আপনাকে আমাদের হসপিটালের ডাক্তার দের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়।।

রুহি – আমি মিঃ ইসানকে কে দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।। ( মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আসতে আসতে বললো)

বলতেই পাশ থেকে আরেকজন জুনিয়ার ডাক্তার মেরিও আসতে আসতে বললো-
মেরি- আমিও।। মনে হচ্ছে সে এঞ্জেল ওয়াল্ড থেকে নেমে এসেছে।। কি সুর্দশন দেখতে।৷ এমন একটা বয়ফ্রেন্ড যদি আমার হতো।। আমি সারাদিন আমার সামনে বসিয়ে রাখতাম।আর মন ভরে দেখতাম।।

মেরেরির কথা শুনে রুহি মেরির দিকে তাকিয়ে মুখ ভেংচি দিয়ে বললো- তোর কথা শুনলে মাঝে মাঝে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়।।

মেরি- হমম।। তুই এলিয়েন এটা অবশ্য সত্যি।। (হেসে)

সব ডাক্তারা একজন একজন করে নিজেদের পরিচয় দিলো।।। মেরিও নিজের পরিচয় দিলো।

রুহি- এর পরি আমার পালা ডাক্তার ইমা এখনো আসলো না কেন???( মনে মনে বললো)
রুহির সময় আসলো রুহি একরকম চিন্তিত হয়ে হসপিটালের দরজার দিকে তাকাতে তাকাতে ইসানের সামনে এসে দারায়।। ইসান রুহিকে একটু বিচলিত দেখে জিজ্ঞেস করলো-

ইসান- আপনি ঠিকাছে???

রুহি চমকে উঠে বলে- জি আমি ঠিকাছি।।
রুহি হাত বাড়িয়ে দিয়ে মুচকি হেসে বললো- আমি রুহি ইসলাম হসপিটালের জুনিয়ার ডাক্তার।।।

এদিকে মিঃ আবরার খেয়াল করলো সবাই আছে শুধু ইমা নেই।।

আবরার- মিস ইমা সত্যি!!! ( একটু রাগ হয়ে মনে মনে বললো এবং পকেট থেকে ফোন বের করে কল দিলো।)

এমন সময় ফোন বাজার শব্দ।।

ইমা হাপাতে হাপাতে জোরে বললো- স্যার আমি এসেছি।।।

ইমার কন্ঠ ইসানের কানে আসা মাত্রই ইসানের বুকের ভিতর ধাক করে উঠে।৷ রুহি ইমাকে দেখে খুব খুশি হয়।। ইমা আসতে আসতে এগিয়ে আসতে লাগে।। সবাই ইমার দিকে তাকিয়ে আছে শুধু ইসান বাদে।। ইমার পায়ের শব্দ ইসানের হার্ডবিটকে দ্রুত করে দিচ্ছিলো।। ইমা ইসানের পিছনে এসে দাড়িয়ে বললো-

ইমা- সরি স্যার আমার একটু লেট হয়ে গেছে।। (মুচকি হেসে)

ইসান ঘুরে ইমার দিকে তাকালো।। ইসান যতটা না অবাক হলো তার থেকেও বেশি অবাক হয় ইমা।।। কারণ ৬ টা বছর যার থেকে সে নিজেকে আড়ালে রেখেছিলো আজ সেই মানুষ আবার তার সামনে।।

ইসানের চোখে জল চলে আসে এই ভেবে যে- ৬ বছর পর তার ভালোবাসার মানুষটা আজ তার সামনে দাড়িয়ে আছে। যাকে সে আজো পাগলের মতো ভালোবাসে।। যার সৃতি গুলো নিজের মনের ভিতর আগলে রেখেছে আজো।। ইসান ইমা দুজন দুজনার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে।। সবাই এটা দেখে একটু অবাক হয়।।। ইসান নিজের আবেগ কে আটকে রেখে ইমার দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়। সবাই দেখে হা হয়ে যায়।।।।

রুহি – ব্যাপার টা বুঝলাম না।। (হতবাক হয়ে)

মেরি- আমিও বুঝলাম না।।।

ইসান- হ্যালো ইমা।।। (ইমা কনো কথা বলে না শুধু অবাক দৃষ্টি তে ইসানের দিকে তাকিয়ে থাকে)

মিঃ আবরার এসে ইমার পাশে দাড়িয়ে অবাক হয়ে বললো-

আবরার- মিঃ ইসান আপনি ডাক্তার ইমাকে চেনেন???

ইসান – হমম খুব ভালো করে চিনি।। মানে,,,, আমরা পুরনো বন্ধু ছিলাম।।। তাই না ডাক্তার ইমা।। (মুচকি হেসে)

ইমা- হমম আমরা পুরনো বন্ধু।।( মুচকি হেসে বলে ইসানের সাথে হাত মিলালো)

সবাই এই কথা শুনে নিজেদের মধ্যে গুন গুন করতে লাগে।।

ইসান- দেখা হয়ে ভালোলাগলো ডাক্তার ইমা।।

ইমা- আমারো।।

বলে ইমা ইসানের হাত ছেড়ে দিলো।।।

আবরার আনন্দিত সুরে বললো- সত্যিই ভাবা যায় না।।। আপনি আর ডাক্তার ইমা পুরনো বন্ধু ওয়াও।। ডাক্তার ইমা আপনি আমাদের এই কথা কখনো বলেন নি কেন!! মিঃ ইসান আপনার বন্ধু হয়??

ইমা ইসানের দিকে তাকিয়ে বললো- আমি জানতাম না।।। মানে,,, DW কম্পানি মিঃ ইসানের এটা জানতামনা।। আসলে দেখা সাক্ষাৎ নেই তো তাই আরকি।।। (আবরার এর দিকে তাকিয়ে সৌজন্য মুলক হাসি দিয়ে বললো)

ইসান- হমম ঠিক।।

আবরার- ও আচ্ছা।। আসুন মিঃ ইসান।।

ইসান গিয়ে আবরারের সাথে দাড়ালো। ইমা গিয়ে রুহির পাশে দাড়ালো।। রুহি ফিস ফিস করে বললো-

রুহি- ব্যাপার টা কি হলো বুঝলাম না।।।

ইমা রুহির দিকে তাকিয়ে আসতে বললো- কম বুঝায় ভালো এখন চুপ থাকো।।। দেখো মিঃ আবরার কি বলে।।

আবরার – doctors ইনি হচ্ছেন DW কম্পানির সিও এবং জহির চৌধুরী DW কম্পানির চেয়ারম্যান উনার এক মাত্র ছেলে ইসান চৌধুরী।।। DW কম্পানির কথা নতুন করে কি বলোবো আপনারা সবাই জানেন। আমাদের দেশে টপে আছে DW কম্পানি। এবং বিশ্বের ৬ নাম্বারে জায়গা দখল করে আছে।। আপনারা সবাই জানেন উনাদের কম্পানির শাখা বিভিন্ন শহরে রয়েছে। এবং আমাদের শহরেও রয়েছে।। এখন উনারা নতুন হসপিটাল তৈরি করছেন আমাদের শহরে।। এটা আমাদের জন্য কিন্তু অনেক বড় ব্যাপার।।।

সবাই হাত তালি দিতে লাগলো। ইসান একটু পর পর ইমার দিকে তাকিয়ে দেখছিলো। ইমা ইসানের দিকে তাকাচ্ছিলো কিন্তু কম।। ইমা মনে মনে বললো-

ইমা- যাকে ৬ টা বছর ধরে ভুলে থাকার চেষ্টা করেছি। আজ আবারো সে আমার সামনে এসে দাড়ালো।। এ কেমন খেলা তোমার বিধাতা! আমাকে তুমি কি কখনো শান্তি দিবে না!!

ভাবতেই ইসান বললো-
ইসান- মিঃ আবরার আমি চায় আমাদের সাথে ডাক্তার ইমা আসুক।৷

ইমা তার নাম শুনে চমকে উঠে তাকায় রুহি এবং অন্যান্য সবাই ইমার দিকে তাকায়। ইমা একটু লজ্জায় পরে যাই।।।।।

ইসান- ইমা আমরা পুরনো বন্ধু তুমি আমার সাথে গেলে আমার খুব ভালো লাগবে।।।।

আবরার- ডাক্তার ইমা চলুন আমাদের সাথে।।

ইমা এদিক ওদিক তাকায় দেখে সবাই তার দিকে তাকিয়ে আছে।। ইমার অনিচ্ছা সত্ত্বেও রাজি হতে হলো মিঃ আবরারের কথায়।।

ইমা তাদের সাথে গেলো ইসানকে হসপিটাল ঘুরিয়ে দেখাতে।।

ইমা ইসানের থেকে একটু দুরে দুরে হাটছিলো।। মিঃ আবরার ইসানকে সব কিছু ঘুরে দেখালেও ইসানের চোখ টা বারবার ইমার দিকে যাচ্ছিলো।।।

ইসান- ৬ বছর পর তোমাকে দেখছি ইমা।। তুমি অনেকটা বদলে গেছো।।। তবে তুমিযে ডাক্তার হতে চেয়ে ছিলে এই কথাটা আমার মাথায় ছিলো না।। যাই হোক তোমাকে ডাক্তার কোর্টে বেশ মানিয়েছে।।। ( মুচকি হেসে মনে মনে বললো)

আবরার ইসানকে হসপিটালের বাহির সাইডে নিয়ে আসলো।।। চার পাশ ফুলের বাগান। বেশ সুন্দর লাগছিলো।।।

ইসান – মিঃ আবরার সত্যি অনেক সুন্দর আপনাদের হসপিটাল টা।।।

আবরার- thank you মিঃ ইসান।।।

ইসান আবরারের একটু কাছে এসে বললো- মিঃ আবরার আমি ডাক্তার ইমার সাথে একটু আলাদা কথা বলতে পারি। বুঝেনি তো পুরানো বন্ধু আমরা।।

আবরার- জি অবশ্যই।।। (খুশি হয়ে)

বলে আবরার সবাইকে নিয়ে সেখান থেকে যেতে লাগলো। ইমা আবরার এবং অন্যান সবাইকে যেতে দেখে শুধু ইসান এবং তার দুই বডিগার্ড বাদে।। ইমা কিছু না বেভেই সেখান থেকে চলে যেতে লাগলে ইসান ইমাকে দাড়াতে বলে।।। ইমার বুকের ভেতর ধাক করে উঠে।। ইমা দাড়িয়ে যায়।। ইসান এসে ইমার সামনে এসে দাড়ায়।। ইমার মনে একটু আজব ভয় কাজ করতে লাগে না জানি ইসান তাকে আজ কি বলে বসে।।। ইসান কনো কথা বলে না চোখ থেকে সান গ্লাস খুলে ইমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।। ৩ মিনিট এমন নিরব ভাবে ইমাকে দেখার পর ইসান বললো-

ইসান- কেমন আছো তুমি???

ইসানের কথা শুনে ইমার বুকের ভিতর কেপে উঠলো।। ইমা ইসানের দিকে তাকিয়ে এবং মাথা ঝুকিয়ে বললো- ভালো।। ভালো আছি।। তুমি???

ইসান- আমিও ভালো।। তুমি ডাক্তার হয়েছো দেখে সত্যি ভালো লাগছে।।

ইমা- হমম এই আরকি নিজের সপ্ন পুরন করেছি।। আর তুমিও তো বড় বিজনেস ম্যান হয়েছো।।।।।

ইসান- না এখনো বড় বিজনেস ম্যান হতে পারিনি। বাবার সাথে আছি এই আরকি।।।

ইমা- ভালোলাগলো তুমি পরিবর্তন হয়েছো দেখে।।

ইসান মাথা ঝুকিয়ে মুচকি হাসতে লাগলো।।। ইমা অবাক হয়ে ইসানের হাসি দেখে মনে মনে বললো- তোমার হাসিটা আগের মতোই,,,,,,, ভাবতেি অন্য দিকে তাকিয়ে বললো- না না এগুলো কি ভাবছি আমি।।

ইমা আর কিছু না ভেবে নিজের হাতের ঘড়ির দিকে তাকালো।। দেখলো তার রুগী দেখার সময় হয়ে গিয়েছে।।

ইমা- আ,,,, আমার রুগী দেখতে হবে।। এখন আসি।। (একটু গম্ভীর সুরে)

ইসান – আহ্ ওকে,,,, ওকে,,,,!!! ( আসতে)

ইমা আর কনো কথা না বলে হসপিটালের ভিতরে যেতে লাগে এবং মনে মনে বলে- তুমি যতোই ভালো হও। তবুও তুমি আমার কাছে একজন খুনি।।। আর আমি এটা কনো দিনো ভুলবো না ইসান।।।

,,,,,,,,,,,continue,,,,,,,,,,

ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।।।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here