#i_m_mafia_lover
#Part_20
#sabiha_kh
আজ গল্প দিতে দেরি হলো আসলে একটু কাজের চাপ পরে গেছে গল্প লিখার সময় পাইনি।। 😑😑😑
আকাশ- তোর আবার কথা!!! এটা একটা কমনসেন্সের বিষয় স্বামী স্ত্রী সম্পর্ক কি আর কারো সামনে দেখাবে।।
জনি- কিন্তু,,,,
বলতেই ইসান রেগে বললো- চুপ করো দুইজন।। চলো যাওয়া যাক।।।
”
”
”
আকাশ- স্যার আপনি যান আমরা এখানে থাকি।।
ইসান – ঠিকাছে।।
ইসান চলে গেলো।।।
জনি ইসানের যাওয়া দেখে আর বলে- স্যার কে এমন দেখতে পারছি না!!
আকাশ- আমিও।। জানিনা আবার কবে সব স্বাভাবিক হবে।। ( গভীর শ্বাস ছেড়ে)
ইসান দরজায় নক করলে রোকসানা দরজা খুলে দেয়৷
ইসান- ইমা,আছে??
রোকসানা- আছে স্যার!!! ম্যাডাম রুমে আছে।। আপনি ভিতরে আসুন স্যার।। আমি ম্যাডাম কে ডেকে দিচ্ছি।।
ইসান গিয়ে ড্রইং রুমে বসলো।।। রোকসানা ইমার রুমে নক করলে ইমা ভিতরে আসতে বলে।।
রোকসানা- ম্যাডাম ইসান স্যার এসেছে।।
ইমা- হমম যাও আসছি।।।
রোকসানা চলে গেলো।। ইমা রুম থেকে বের হয়ে ড্রইং রুমে আসে।। ইসান ইমাকে দেখে উঠে দাড়ালো ইসান দেখে ইমার চোখে নিচে হালকা কালি পরেছে।।। মুখটাও খুব শুকনো দেখাচ্ছে।।
ইমা- বসো ইসান৷ (ইসান বসলো) কেমন আছো এখন??
ইসান- ভালো।। তুমি কেমন আছো???
ইমা- আছি ভালো।।
ইসান- তোমার হাসবেন্ড এর কথা শুনে খারাপ লাগলো।। আচ্ছা পুলিশরা কিছু জানতে পেরেছে??
ইমা – না এখনো কিছু জানতে পারেনি।। যাই হোক কবে এসেছো??
ইসান- আজ কেই এসেছি। ।। ইসমাকে দেখছি না!!! (এদিক ওদিক তাকিয়ে)
ইমা- ইসমা নিচতালায় ওর ক্লাস মেট এর সাথে খেলতে গেছে।।
ইমা কিছুখন চুপ করে থেকে বললো- ইসান,,,, (ইসান ইমার দিকে তাকায়) তোমাকে thank you আমাকে নির্দোষ প্রমান করার জন্য।।৷
ইসান মুচকি হেসে বললো- thank you বলতে হবে না।।।
বলতেই ইসমা বলে উঠে- আম্মু আমি এসেছি।।। ইসান, ইমা ইসমার কন্ঠ পেয়ে দরজার দিকে তাকায়।।
ইসমা ভিতরে ঢুকে দেখে ইসান।। ইসমা ইসানকে দেখে খুব খুশি হয় এবং দৌড়ে ইসানের কাছে আসে। ইসান ইসমাকে কোলে তুলে নিয়ে গালে চুমু দিয়ে হেসে বলে-
ইসান- কেমন আছে মামুনি টা!!!
ইসমা- ভালো আছি বন্ধু ।। তুমি কেমন আছো আর এতো দিন আসোনি কেন?? (একটু অভিমান নিয়ে) তুমি জানো আমার বাবা আল্লাহর কাছে চলে গেছে।।। আম্মু বলেছে বাবা আর কনো দিনো ফিরবে না।।। ( মুখ ভার করে)
ইসান ইমার দিকে তাকায় দেখে ইমা চোখ মুছছে। ।
ইসান ইসমার গালে হাত দিয়ে বললো- মন খারাপ করো না মামুনি।।। তুমি মন খারাপ করলে তোমার আম্মুর ও মন খারাপ হয়ে যাবে।।।
ইসমা ইমার দিকে তাকায় দেখে তার মায়ের চোখে পানি।। ইসমা ইসানের কোল থেকে নেমে ইমার কাছে গিয়ে ইমার চোখ মুছে ছোট ছোট দুই হাত দিয়ে ইমার গালে ধরে বলে- আম্মু তুমি কাঁদলে আমার খুব কষ্ট হয় তুমিতো জানো।। ঠিকাছে আল্লাহ বাবা কে নিয়ে গেছে কিন্তু আমি তো আছি। বন্ধু আছে।। তুমি কান্না,করো না আম্মু।।( মন খারাপ করে বলল)
ইমা ইসমাকে জোরিয়ে ধরে বললো-
ইমা- কলিজার টুকরা টা কতো বড় হয়ে গেছে।। ঠিকাছে আমি আর কাদবো না।।
ইসান অপলক দৃষ্টিতে মা মেয়ের আদর মাখা ভালোবাসা দেখে খুশি হয়।।।
তারপর ইসান ইসমার সাথে কিছুখন সময় কাটায়।। এবং ইমার দিকেও খেয়াল করে দেখে কেমন আনমনে চিন্তায় ডুবে আছে।।। ইসান কিছু বলে না।। ইমার থেকে বিদায় নিয়ে চলে যাই।।। ইসান এসে গাড়িতে উঠে বসে।
আকাশ- স্যার ম্যাডাম ভালো আছে???
ইসান- ভালো আছে তবে জনি যা বললো মানষিক ভাবে একটু ভেঙে পরেছে।।। যাইহোক ইমার উপর নজর রেখো তোমরা৷। ও কথায় যাই না যাই। সব নজরে রাখবে।।।
জনি, আকাশ- ওকে স্যার।।।
ইসান হোটেলে ফিরে নিজের রুমে এসে ফ্রেস হয়ে আয়নার সামনে দাড়িয়ে চুল ঠিক করতেই বুকে বাম পাশে বুলেট ঢুকে যাওয়ার দাগটা চোখে পরে। ইসান দাগটাই হাত দিতেই খেয়াল দেখে – (মেরান উঠে রিভলবার নিতেই ইসান মাথা তুলে কান্না ভড়া চোখে ইমার দিকে তাকানোর আগেই মেরানের দিকে চোখ যাই। দেখে মেরান রিভলবার নিয়ে ইমার দিকে তাক করেছে।। ইসান ইমাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিতেই মেরান শুট করে। বুলেট গিয়ে ইসানের লাগে ইসান পরে যাই মাটিতে।।)
ইসান বুকের থেকে হাত সরিয়ে আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজের প্রতিবিম্বর দেখতে দেখতে ভাবে ইমা হসপিটালে তাকে কি বলেছিলো৷ (ইমা- সব কিছুর জন্য ক্ষমা চায়ছি।। আমি তোমাকে বিশ্বাস করিনি আমার ভুল।।)
তারপর ফোনে – (ইমা- (,,,,,,,,) শহরে একটা বেওয়ারিস লাশ পাওয়া গেছে।।ওই শহরে আমার হাসবেন্ড ব্যাংকের কাজে গিয়েছিলো।। পুলিশ লাশ আইডেন্টিটি করানোর জন্য আমাকে যেতে বলেছে।।)
এমন সময় ইসানের ফোন বেজে উঠে।। ইসান চমকে উঠে পিছনে ফোনের দিকে তাকায়।। ইসান গিয়ে ফোন হাতে নিতেই দেখে সিম কম্পানি থেকে কল দিয়েছে।।
ইসান মুখ ভেংচিয়ে বললো- এদের সত্যি মনে হয় কনো কাজ নেই।।( বলে কল কেটে দিলো)
Time skip
ইসান বসে ল্যাপটপে কাজ করছে এমন সময় হঠাৎ তার চোখের সামনে সকালে দেখা ইমার শুকনো চেহারা টা ভেসে উঠে।। ইসান ল্যাপটপ বন্ধ করে মনে মনে ভাবে- মানষিক ভাবে ভেঙে পরেছে ইমা৷ এখন কেও ওর পাশে থাকাটা খুব জরুরি।।। হমম বুঝেছি কি করতে হবে।। (মুচকি হেসে)
ইসান টেবিলের উপর থেকে ফোন নিয়ে আকাশ কে কল করলো।।।
আকাশ- হ্যালো স্যার!!
ইসান- আকাশ এই শহরের বেস্ট ভিআইপি রেস্টুরেন্টে টেবিল বুকিং দাও কালকের সন্ধ্যার জন্য।।।
আকাশ- ওকে স্যার।।।
ইসান কল কেটে দিয়ে দীর্ঘ একটা সস্থির শ্বাস ছেড়ে হেসে শরীর আরি মুরি দিয়ে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পরলো। এবং বললো- গুড নাইট ইমা কাল আমাদের দেখা হচ্ছে তাহলে।।।
Time skip
পরের দিন সকালে ইসান একদম gentleman এর মতো তৈরি হয়ে বের হয়।। ইসান আকাশ কে কল করে।।
আকাশ ঘুমিয়ে ছিলো। ইসানের কল পেয়ে চমকে উঠে। আকাশ তারাতারি ফোন রিসিভ করে কানে ধরে।।
ইসান- কি করছো??
আকাশ- গাড়িতেই বসে আছি স্যার।।। (একটু ভীত সুরে)
ইসান- জনি কথায়???
বলতেই আকাশ পা দিয়ে জনিকে লাথি মারে জনি চমকে চোখ খুলে আকাশের দিকে তাকায়।।।
আকাশ- জনি এখানেই আছে স্যার আমার পাশে বসে আছে ম্যাডামের বিল্ডিং এর দিকে তাকিয়ে আছে।। ( জনি তারাতারি সোজা হয়ে বসে)
ইসান- আমি আসছি।।।
আকাশ- এখন!! কেবল তো সকাল ৭ টা বাজে।।। (হতবাক সুরে)
ইসান- সেটা নিয়ে তোমাদের ভাবতে হবে না।। (একটু জোরে)
বলে ইসান ফোন কেটে দিলো।
কিছুখন পর,,,,
ইসানের গাড়ি এসে থামতেই আকাশ জনি ইসানের গাড়ির সামনে এসে দাড়ালো।।।
ইসান গাড়ি থেকে বের হলে আকাশ জনি ইসানকে দেখে হা হয়ে তাকিয়ে থাকে।।।
আকাশ- স্যার আপনাকে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে।। (হেসে)
ইসান হেসে বললো- thank you thank you… এখন বলো গত কাল ইমা বের হয়েছিলে বাসা থেকে???
জনি- না স্যার তবে ম্যাডামের বান্ধবী রুহি,, উনি এসেছিলো।।।
ইসান- হমম।। শুনো আমি একটা বুদ্ধি করেছি।।৷ (মুচকি হেসে)
আকাশ- কি বুদ্ধি স্যার??
ইসান- তোমরা তো জানো এখন ইমা এবং ইসমা কিসের ভিতর দিয়ে সময় পার করছে।। আর ইমা তো মানষিক ভাবে ভেঙে পরেছে। ওদেরকে একটু হাসি খুশি রাখতে হবে।। তাই আমি ভেবেছি আজকের সারা দিনটা আমরা ওদের সাথে কাটাবো।। তো আজ সকালের নাস্তা আমরা ইমার বাড়িতে গিয়ে বানিয়ে খাবো এবং খাওয়াবো বুঝেছো।।। ( আনন্দিত সুরে বললো)
জনি- আমি রাজি।।।( আনন্দিত সুরে)
আকাশ জনির দিকে তাকিয়ে বললো- হমম আমি জানি তো তুমি কেন রাজি।।।
ইসান আকাশের কথা শুনে মুখ চিপে চিপে হাসতে লাগে।।।
জনি- আকাশ তুই সব সময় বেশি বেশি।। (একটু রেগে)
ইসান- হয়েছে হয়েছে!!! চলো এখন।।।
তিনজন চলে গেলো ইমার ফ্লাটে।। আকাশ দরজায় নক করতে যাবে খেয়াল করে দরজায় তালা ঝুলানো।
ইসান- কি হলো??
আকাশ- স্যার দরজায় তালা দেওয়া।। ( ভীত সুরে)
ইসান আকাশ জনির দিকে তাকিয়ে বললো-
ইসান- তোমরা কি বলবে এখন??? তোমাদের বলেছিলাম নজর রাখতে।।।
জনি- স্যার আমরা তো,,,,,,,
বলতেই ইসান বললো- কনো অজুহাত দেখাবে না।।।। (রেগে জোরে বললো)
ইসান পকেট থেকে ফোন বের করে ইমাকে কল দিলো।। দেখে ইমার ফোন বন্ধ।।। ইসান একটু অবাক হয়।।। ইসান আবার কল করে বন্ধ পায়।।।
আকাশ- কি হয়েছে স্যার???
ইসান- ইমার ফোন বন্ধ।।। তোমাদের দুইজনকে একটা সামান্য কাজ দিয়েছিলাম সেটাই করতে পারলে না।।
বলে ইসান রেগে চলে গেলো।।
আকাশ দেখে জনি মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে।
আকাশ জনির কাঁধে হাত রেখে বলে – জানিসতো স্যার ইমা ম্যাডামের বিষয়ে কতোটা সেনসিটিভ। আমাদের ভুল হয়েছে ভাই।। ঘুমিয়ে পড়াটা সত্যি ঠিক হয়নি।।। এখন চল।।। (আকাশ জনি নিচে আসতেই দেখে ইসান এজটা বয়স্ক মহিলার সাথে কথা বলছে।।)
ইসান- ম্যাডাম আপনি বলতে পারবেন ডাঃ ইমা কথায় গেছে???
– হ্যা ইমা কে তো আজ খুব ভোরেব দিকে জিনিস পত্র নিয়ে চলে যেতে দেখেছি।।।।
ইসান- কি???? (হতবাক হয়ে) (আকাশ জনি মহিলা টির কথা শুনে অবাক হয়ে গেলো)
– হ্যা বাবা বেচারা মেয়ে এতো কম বয়সে বিধবা হয়ে গেলো।। আর পিচ্ছি মেয়েটা বাপ হারা।। মনে হলেই খারাপ লাগে।।।
ইসান উত্তেজিত সুরে বললো- ম্যাডাম আপনি কি বলতে পারবেন ইমা কথায় গেছে???
– না বাবা,বলতে পারবো না।।। আমি সেই সময় ফরজরের নামাজ পরতে উঠে ছিলাম বারান্দা থেকে তোয়ালা নিতে এসে দেখি চলে যাচ্ছে।।
ইসানের মাথা কেমন চক্কর দিয়ে উঠে। ইসান দেওয়াল ধরে দাড়ায় এবং জোরে জোরে শ্বাস ফেলতে ফেলতে বলে – ইমা চলে যেতে পারেনা।।।,,,,,,৷ পারেনা।।।
ইসান এই কথা বলতে বলতে দৌড়ে গাড়িতে উঠে বসে এবং গাড়ি টান দিয়ে চলে যাই।।। আকাশ জনি দৌড়ে যেতেই দেখে ইসান গাড়ি নিয়ে চলে যাচ্ছে।। আকাশ জনি একদম হতবাক হয়ে দাড়িয়ে ইসানের চলে যাওয়া দেখে।।।।
আকাশ উত্তেজিত সুরে বললো- জনি তারাতারি স্যারকে ধরতে হবে।। আল্লাহ না করুক কিছু হয়ে গেলে!!! তারাতারি গাড়িতে উঠ।। (জনি আকাশ গাড়িতে উঠে ইসানে পিছে গেলো।।)
এদিকে ইসান প্রচন্ড উত্তেজিত হয়ে যায় এবং রেগে ও যাই।।।
ইসান- তুমি এটা করতে পারো না ইমা!!! তুমি পারো না।।। তুমি আমাকে না বলে যেতে পারো না।। ( বলে ইসান জোরে জোরে গাড়ির স্টিয়ারিং এর উপর বারি মারলো।।।) কথায় খুজবো ওকে!!!! আমি কোথায় খুজবো????( ভাবতেই ইসানের রুহির কথা মনে পরে।। জনি- ম্যাডামের বান্ধবী রুহি এসেছিলো।)
ইসান আর কনো কিছু না ভেবে তারাতারি গাড়ি ইউট্রান নিয়ে রুহির বাড়িতে চলে যাই।। জনি আকাশ ইসানের পিছে যাই।।
ইসান রুহির বাড়ির সামনে এসে জোরে গাড়ি ব্রেক করে থামালো এবং নেমে দৌড়ে রুহির বাড়ির দরজার এসে নক করে।। রুহি দরজা খুলতেই দেখে ইসান।।
রুহি – স্যার আপনি!!! আসুন ভিতরে আসুন।।
ইসান উত্তেজিত সুরে বললো- না ভিতরে যাবো না।। ইমা,কথায় রুহি!!!!
রুহি – ইমা!!!! চলে গেছে স্যার!!! ( মাথা নিচু করে)
ইসান রেগে স্ব জোরে দেওয়ালে বারি মারে।।। রুহি একটু ভয় পেয়ে যাই।। ইসান রুহিকে ভয় পেতে দেখে বলল-
ইসান- সরি সরি রুহি।। রুহি কথায় গেছে ইমা।। তুমি তুমি জানো??
রুহি- না স্যার।। তবে আপনার জন্য একটা জিনিস আছে আপনি দাড়ান আমি নিয়ে আসছি।।
রুহি নিজের রুমে গিয়ে ইমার দেওয়া চিঠি নিয়ে বাইরে আসলো।। রুহি ইসানের দিকে চিঠিটা ধরে বললো- এটা নিন স্যার।
ইসান- কি এটা!!!
রুহি- আপনার চিঠি ইমা গতকাল আমার হাতে এই চিঠি দিয়ে বলেছে,,,,,,,,
অতীত,,,,,
ইমা- রুহি আমি এই শহরে থাকতে পারছি না। এই বাড়িতেও থাকতে পারছিনা দম বন্ধ হয়ে আসছে।। আমি কাল চলে যাবো এখান থেকে তুমি আমার একটা কাজ করবে??
রুহি- কি কাজ!!!
ইমা- এই চিঠিটা ইসানকে দিয়ে দিয়ো।। যদি ওর সাথে তোমার দেখা হয় তাহলে ।।
রুহি- ইমা না গেলে হয় না।৷ তুমি আমার বাসায় চলো।।
ইমা- না রুহি।।
রুহি- কিন্তু তুমি কথায় যাচ্ছো??
ইমা- এটা নাহয় নাই বলি চিন্তা করোনা তোমাকে ইমেইল পাঠাবো।।
বর্তমান,,,,,,,,,
রুহি – তারপর আমি চলে আসি।।
ইসান চিঠিটা হাতের ভিতর মুঠ করে ধরলো।
ইসান – আসি রুহি।। (গম্ভীর সুরে)
বলে চলে গেলো।। ইসান গাড়ির কাছে আসতেই দেখে জনি আকাশ দাড়িয়ে আছে।।
ইসান জনি আকাশের কাছে গিয়ে রাগান্বিত সুরে বললো- এখানে দাড়িয়ে না থেকে যাও ইমাকে খুজে বের করো কোথা থেকে খুজে নিয়ে আসবে আমি জানিনা।। কিন্তু আজ সন্ধ্যার আগে ইমাকে আমার সামনে চায়।।
বলে ইসান চলে গেলো।। আকাশ জনি তারাতারি গাড়িতে উঠে বসে। এবং আরো লোকজন কে কল করে বিষয়টা বলে।। এবং সবাই মিলে খুজতে বের হয়।। ইসান সেই গাড়ি একটা ফাঁকা জায়গা থামিয়ে চিঠিটা পকেট থেকে বের করে খুলে পরতে লাগে।।।
ইমা- ইসান তোমাকে সব কিছুর জন্য thank you … আমি জানি তুমি এখন হয়তো রেগে আছো এই ভেবে যে কেন তোমাকে বলে গেলাম না।। ইসান আমি একা পথ চলতে চায়।। তোমাকে বললে হয়তো তুমি মানা করতে বা যেতে দিতে না।।। ইসান ৬ বছরে অনেক কিছু বদলে গেছে। তবুও কিছু জিনিস ভুলার না।।। আমি সব হারিয়েছি। বাবা, মা, আর এখন একটা ভালো মানুষ। আপন বলতে এখন আমার মেয়ে আছে।।। ওকে নিয়ে সামনের পথ টুকু চলতে চায়।।। যাইহোক তোমাকে না বলে চলে যাওয়ার জন্য Sorry….
ইতি- ইমা,,,,,,,,,,,,,,,
ইসান চিঠি পরে কান্না করে দিলো এবং বললো- কেন ইমা,কেন চলে গেলে।।। (বলে ইসান গাড়ির স্টিয়ারিং এর সাথে মাথা ঠেকিয়ে কান্না করতে লাগে।।)
ইসান মাথা তুলে চোখ মুছে বলে- না এটা হয় না আমি তোমাকে খুজে বের করবো ইমা আমি তোমাকে খুজবো।। (ইসান আর দেরি না করে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে বেরিয়ে পরলো ইমাকে খুজতে)
,,,,,,,,,,, continue,,,,,,,,,,,,
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।।।।