Love Treatment পর্ব -২৭+২৮

#Love_Treatment
Part- 27
Writer- Tanzin Islam Ishika


মিতু যাওয়ার পর তান্নাজ কিচেনে যায়,,, আজ সে অনেক বেশি খুশি,,, আর তান্নাজ যখনই খুশি হয় তখন পাস্তা বানায়,,,( আমার মত😁) তান্নাজ কিচেনে গিয়ে সব পেয়ে যায়,,, কিন্তু পাস্তা পায় না,,, তাই তান্নাজ নিশমকে ডাক দিতে নিবে,, কিন্তু বুঝে উঠতে পারছে না সে নিশমকে কি বলে ডাকবে,,, অনেক ভেবে চিন্তে সে ডাইনিং রুমে দিয়ে নিশমের সামনে এসে দাড়িয়ে নিশমকে বলে,,,

তান্নাজঃ এই যে শুনছো,,,,

নিশম এতখুন মোবাইলে গেম খেলছিল,,, এমন মিষ্টি ডাক শুনে সে উপরে তাকাতেই দেখে তান্নাজ,,, সে যেন তাকে দেখে আকাশ থেকে পরলো,,,, চোখ দুটো একদম ছানা বরা হয়ে গেছে,, তান্নাজ মনে হয় এই প্রথম তার সাথে এইভাবে কথা বলছে,,,, সে যেন কোন স্বপ্ন দেখছে,, সে অবাক চোখে তান্নাজের দিকে তাকিয়ে আছে,,,( বুঝি না এত শোক খাওয়ার কি আসে,,, বউই তহ,, এমনে ডাকতেই পারে,,,😒😒 ঢং যতসব,,,)

নিশমকে এইভাবে থাকতে দেখে তান্নাজ আবার বললো,,,

তান্নাজঃ এই যে শুনছো,,,

এইবার নিশম শুকনো গলায় বিষম খেল,,, তান্নাজ আর এত মধুর গলায় তাকে ডাকছে,,, এইটা সম্ভবই না,,, কোন মতেই না,,কোন না কোন ঘাবলা আসে,, নিরঘাত এইটা তান্নাজ রুপে কোন ভুত,,,নিশম অনাবরতো কেশেই চলেছে,, তান্নাজ তা দেখে তারাতারি নিশমকে পানি দেয়,,,

তান্নাজঃ কি হলো তোমার এইভাবে কাশছো কেন,,

নিশম এইবার নিজেকে সামলিয়ে তান্নাজকে বলে,,,

নিশমঃ এই তুমি কে,,, আমার বউ কই,,, কি করছো আমার বউরে তুমি,, আমার জান কই,,, জান ও জান কই তুমি,,,

তান্নাজঃ কি বলছো এইসব,, মাথা ঠিক আছে নাকি,,, আর তোমার বউ তহ আমি এইজে তোমার সামনে বসা,,,

নিশমঃ আমারে এখন বিলাই আইসা কইলেও আমি বিশ্বাস করুম না তুমি আমার বউ,,, আমার বউ তহ খালি আমার থেকে দুরে দুরে পালায়,,, সে কি আর তোমার মত মিষ্টি করে কথা বলে নাকি,,, একদম তেতো জ্ববান তার,,, আর এক নাম্বারের ঝগড়াইটা,,, আর খালি আমারে নির্যাতন করে,,, একটু ভালবাসেও না আমারে,,, অসহায় একটা লুক নিয়ে,, ( আহারে আমগো হিরোর কি কষ্ট গো,, 😢)

তান্নাজ এইসব শুনে জ্বলে পুরে বেগুন,,, তার সামনে বসেই তাকে এইসব বলা হচ্ছে,,, তান্নাজ এইবার অগ্নি দৃষ্টিতে কোমরে হাত দিয়ে বলে,,,

তান্নাজঃ কি আমি ঝগড়াইটা,, আমার জ্ববান তেতো,, আমি নির্যাতন করি,, সাদা বিলাই,,সাদা ভাল্লুক,, সাদা ইন্দুর,, লুংগি চোর,, আমি তোরে জ্বালাই না তুই জ্বালাস আমারে,,, শয়তান ইবলিস,,,

নিশম উঠে গিয়ে তান্নাজের গালে হাত দিয়ে বলে,,
নিশমঃ এই না আমার বউ,, আমার জান,,, কই ছিলা তুমি,,, আচ্ছা তোমার উপর কি আবার কোন ভুত আছোর করলো না তহ,,,

তান্নাজঃ তোবে রেএএএ,,,

নিশমঃ আরেহ আরেহ মজা করতাসি,,,, তুমি যে এত সুন্দর করে ডাকতে পারো আমার তহ জানাই ছিল না,,,

তান্নাজঃ যতসব,,,

নিশমঃ আরে রাগ করতাসো কেন,,,তুমি তহ আমার জান পাখি,, ময়না পাখি,, টিয়া পাখি,,, মুরগি পাখি,, হাস পাখি,,, কাক পাখি,,, পেংগুয়েন পাখি,, রাগ করে না পাখি আমার,,
( আল্লাহ রে আর কত পাখি আসে😵😵এই পোলা তহ দেখি পুরা পাখির গুষ্টি নিয়া আইলো,,😶😶)

তান্নাজ অবাক চোখে নিশমের দিকে তাকিয়ে ছিল,,, কি যা তা না তাই বলে যাচ্ছে,,, এই পোলা নিরঘাত আমারে পাগল কইরা ছাড়বো,,, উফফফ আমারেই যত জ্বালা,,,

তান্নাজঃ আমারে কি পাখির ফ্যাক্টেরি মনে হয় নাকি,, যে একটার পর একটা পাখির নাম কইয়াই জাইতাসো,, আরেকবার যদি এইসব পাখির নাম শুনছি,,, খবর আছে,,,

নিশমঃ আচ্ছা,, আর বলুম না,, তা তুমি আজকে আমারে এত সুন্দর করে ডাকলা,, কি মতলব কি,,, আমার আদর খেতে ইচ্ছে করছে বুঝি,,, ভ্রু নাচিয়ে,,

তাতে তান্নাজের গা জ্বলে যায়,,,

তান্নাজঃ জ্বী না,,, বাসায় পাস্তা নাই নিয়ে আসতে বলতে চাইতাছিলাম,,,,

নিশমঃ কি আমার জানের পাস্তা খেতে ইচ্ছে করতাসে আগে বলবা না,,, আমি এখনই পুরা পাস্তার ফ্যাক্টরির হাজির করতাসি,,,,

তান্নাজঃ আরেহ গাধারাম,,, রান্না ছাড়া পাস্তা আনতে বলছি,,, আমি পাস্তা রান্না করবো,,

নিশমঃ হঠাৎ,,,

তান্নাজঃ যখন বেশি খুশি হই তখন পাস্তা রান্না করি,,

নিশমঃ কই এত দিনে তহ একবার ও রান্না করলা না,,,

তান্নাজঃ তোমার সাথে থাইকা আমি আবার খুশি কেমনে থাকুম,,, আজকে মিতুর সাথে আবার পেচ আপ হইসে তাই অনেক হ্যপি তাই রান্না করবো,,,

নিশমঃ আমার সাথে তুমি খুশি না,,, এইটা বলতে পারলা,,, কি না করি তোমার জন্য,,, কাদো কাদো ভাবে,,

তান্নাজঃ হুম খালি জ্বালানো ছাড়া আর কি করো,,, এখন যাও পাস্তা নিয়ে আসো,,,

নিশমঃ আচ্ছা,,,

নিশম দরজার দিকে যেয়ে আবার তান্নাজের সামনে আসে,,, আর তান্নাজের হাতের ভাজে নিজের হাত রেখে বলে,,,

নিশমঃ আজ না তোমাকে পুরাই আমার বউ বউ লাগছে,,,, প্লিজ এমনই থেকো,,, আমি আর কিছু চাই না,,, ছলছল চোখে,,


এই কথা শুনে তান্নাজের হুস হলো ওই এতখুন কি করছিল,,, যে তান্নাজকে সে ৫ বছর আগে মেরে ফেলেছে,,, সে তান্নাজ আজ আবার উঁকি দিচ্ছে তার মাঝে,,,যাকে নিজের থেকে দুরে রাখতে চায়,, সে না চাওয়া সত্তে তার দিকে ছুটে যাচ্ছে,,, আজ সে তার বউ হওয়ার অধিকার দেখিছে,,কেন কেন এমন হচ্ছে,,,

তান্নাজ এইসব ভেবে তারাতারি নিজের হাত ছাড়িয়ে নেয়,,, নিশম তা দেখে বুঝে যায়,, তান্নাজ এতখুন না বুঝেই এইসব করেছে,,, কিন্তু এই ভেবে খুশি হলো যে সে তার আগের তান্নাজকে কিছুটা হলেও ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে,,, আজ তান্নাজ তার উপর বুউয়ের জোর দেখিয়েছে,,, সে তহ এইটাই চায়,,, নিশম আর কিছু না বলে পাস্তা আনতে চলে যায়,,, কিছুখুন পরেই সে পাস্তার পেকেট নিয়ে আসে,, তান্নাজ তা নিয়ে কিচেনে চলে যায়,, আর পাস্তা রান্না করতে থাকে,,, নিশম কিচেনে এসে দেয়ালের সাথে গা ঘেষে দাড়িয়ে আছে,,, তান্নাজ কোমরে আচল বেধে খোপা করে কাজ করছে,, এতে তার পেট আর কোমর দেখা যাচ্ছে,, সাথে তার পিঠ,, নিশম তা দেখে তান্নাজের কাছে গিয়ে পিছন দিক দিয়ে তার কোমর জরিয়ে ধরে,,, আর তার পিঠে একটা কিস করে,,তান্নাজ কেপে উঠে,, কিন্তু নিজেকে সামলিয়ে রেগে বলে,,,

তান্নাজঃ প্রবলেম কি তোমার,,, এখন কি শান্তি মত রান্নাও করতে পারবো না নাকি,,,

নিশমঃ হুসসসস,,,তোমাকে না আজ পুরা গিন্নি গিন্নি মনে হচ্ছে,, তোমাকে এইভাবে দেখে কি আর থাকা যায়,, বলো,, আমার কত শোক যে রান্নাঘরে বউয়ের সাথে এইভাবে দুষ্টুমি করবো,, তাকে জ্বালাবো,,

তান্নাজ নিজের পা দিয়ে নিশমের পায়ে জোরে একটা বারি পারে,, তাতে নিশম তান্নাজকে ছেড়ে লাফাতে থাকে,,,

তান্নাজঃ কি শোক মিটছে,,, নাকি আরও বাকি আছে,,

নিশমঃ ধ্যাত,,, পুরা মুডের পনেরোটা বাজাইলো,,
এই বলে নিশম গটগট করতে করতে ডাইনিংয়ে চলে যায়,,, আর তান্নাজ রান্না করতে থাকে,,তান্নাজ শেষে নিশমের সামনে পাস্তা নিয়ে গেল,, আর নিশমকে পাস্তা দিল,,, নিশম তা দেখে বলে,,

নিশমঃ তুমি খাইয়ে দাও,,, নাইলে খাবো না,,,

তান্নাজঃ তা না খাও আমার কি,,,

নিশমঃ এই তুমি না আমার বউ,,, জামাই না খাইলে বউ কেমনে খায় শুনি,,,

তান্নাজঃ আমি ওই আদি কালের বউ না বুঝলা,,, যে স্বামী না খেলে আমিও খাব না,,, নিজে খাইলে খাও নাইলে না,,

নিশমঃ আমার কথা গুলো ভুলে গেছ,, তোমাকেই আমাকে খায়িয়ে দিতে হবে তাও,আবার কোলে বসে,,,

তান্নাজঃ পারব না,,

নিশমঃ বুঝে বলতাসো তহ,, আমার কথা না মানলে কিন্তু,,

তান্নাজঃ খাওয়াইতাসি তহ,,, কথায় কথায় থ্রেড দাও কেন,,

তারপর তান্নাজ নিশমের কোলে বসে তাকে খায়িয়ে দেয়,,, নিশম খেয়ে বলে,,,

নিশমঃ বাহ জান,, আমি এত মজার পাস্তা আগে কখনই খাইনি,, এইটা ওয়ার্ল্ডের বেস্ট পাস্তা,, এখন থেকে যখন আমার পাস্তা খেতে ইচ্ছে করবে তুমিই আমাকে রেধে খাওয়াবে ওকে,,,

তান্নাজঃ যতসব আজাইরা পাম,,,

নিশমঃ না সত্যি,, আচ্ছা তোমাকে না একটা কথা বলা হয় নি,, কালকে এ.আর কোম্পানির সাথে আমাদের মিটিং আছে সকাল দশটায়,, সো বি রেডি,, সব ফাইল আছে না তোমার কাছে,,

তান্নাজঃ হা,,

নিশমঃ আর প্রেজেন্টেশন কিন্তু তোমাকেই করতে হবে,,,

তান্নাজঃ হুম ঠিক আছে,,,

তারপর নিশম আর তান্নাজ খেয়ে কাজ করতে থাকে,,, কারন প্রোজেক্ট টা অনেক বড় এন্ড ইম্পোরটেন্ট,,, পরে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরে,,, সকাল এ রীতি মত তান্নাজ কিস করেই নিশমের ঘুম ভাংগালো,, কারন সে জানে এইটা না করলে নিশম কি করতে পারে,,, তারপর দুইজন ফ্রেশ হয়ে,, রেডি হয়,, তান্নাজ আর শাড়ি পরে নি,, কারন আজকে অনেক কাজ তাই সে কামিজ পরেছে,,, নিশমের টাই বেধে তাকে কফি খায়িয়ে নাস্তা করে এক সাথে অফিসে চলে যায়,,, অফিসে গিয়ে যে যার কাজে ব্যস্ত হয়ে পরে,,, মিটিং শুরু হয়ে গিয়েছে,, তান্নাজ ফাইল ঠিক করতে করতে একটু লেট হয়ে যায়,, তান্নাজ ভিতরে দিয়ে সবাইকে সরি বলতে গিয়ে সামনের মানুষটার দিকে চোখ দিয়ে থমকে যায়,,, সে কি আদো স্বপ্ন দেখছে নাকি সত্য জানে না,,,

তান্নাজঃ তুমি,,,,,

।#Love_Treatment
Part- 28
Writer- Tanzin Islam Ishika


মিটিং শুরু হয়ে গিয়েছে,, তান্নাজ ফাইল ঠিক করতে করতে একটু লেট হয়ে যায়,, তান্নাজ ভিতরে দিয়ে সবাইকে সরি বলতে গিয়ে সামনের মানুষটার দিকে চোখ দিয়ে থমকে যায়,,, সে কি আদো স্বপ্ন দেখছে নাকি সত্য জানে না,,,

তান্নাজঃ তুই,,,,,

লোকটি তান্নাজকে দেখে জরিয়ে ধরে,,, লোকটি আর কেউ না হৃদয়,,

হৃদয়ঃ কিরে,, বান্দরনী,, তুই এইখানে,,

তান্নাজঃ আগে বল তুই এইখানে কিভাবে,,

হৃদয়ঃ এইত রাস্তা দিয়া যাইতাছিলাম,, অফিসটা দেখলাম সুন্দর তাই এসির হাওয়া খেতে আসলাম,,

তান্নাজঃ হৃদয় এইটা মজা করার টাইম না,,,

হৃদয়ঃ আমি এ আর কোম্পানির মালিক,,,এখন বল তুই এইখানে কিভাবে,,

তান্নাজঃ আমি মি. নিশমের পিএ

হৃদয়ঃ তাইলে তহ হইসেই,, তুই যেখানে আছিস সেখানে আর মিটিং করে লাভ কি,,,

নিশম নিরবাক দর্শকের মত এতখুন সব দেখছিল,,সে বুঝতে পারছিল না আসহলে সে কে,,( এই পোলার জন্য তান্নাজের সাথে কত বাজে বিহেভ করলো এখন চিনেই না বাহ😒)
আসহলে সেই দিন সে ছেলেটার চেহেরা ভাল মত দেখেনি,, সে তহ এইটা দেখেই হাইপার হয়ে গিয়েছিল যে তান্নাজ অন্য কোন ছেকের সাথে ঘুরছে,, আচ্ছা যাই হোক,,
কিন্তু লাস্ট কথায় তার জিদ উঠে যায়,,,

নিশমঃ মি. হৃদয় আমরা কাউরো দয়া বা পরিচিত বলে কাজ নেই না প্লাস দেই ও না,, যোগ্যতার উপর আমরা কাজ করি,,

তান্নাজঃ হা তিনি ঠিকই বলছেন,, তুই আগে দেখ তারপর ডিসাইড কর,,

হৃদয়ঃ ওকে,,, এস ইউ উইস,,

তারপর মিটিং সার্ট হয়,, তান্নাজ অনেক সুন্দর ভাবে প্রেজেন্টেশন করে,,,প্রেজেন্টেশন শেষ করতে করতে দুপুর হয়ে যায়,, এ আর কোম্পানির সাথে তাদের ডিল ফাইনাল হয়,, দেন নিশম হ্যান্ডশেক করে বলে,,,

নিশমঃ চলুন আমার কেবিনে গিয়ে এক কাপ কফি খেয়ে আসি,,,

হৃদয়ঃ ইয়াহ সিউর,,

তারপর তারা নিশমের কেবিনে গিয়ে বসে,, আর হৃদয়ের সাথে শুধু তার পিএ এসে ছিল তার কাজ থাকায় সে চলে যায়,, নিশম নিজের চেয়ারে বসতে বসতে বলে,,,

নিশমঃ বাট আমি না একটা কথা বুঝতাসি না,, তান্নাজ তুমি মি. হৃদয়কে কিভাবে চিন,,,

তান্নাজঃ ওই হৃদয় আমার বেস্টফ্রেন্ড,, নিচের দিকে তাকিয়ে,,

এইবার নিশম বুঝে যে এই হৃদয়টা কে,,
নিশমঃ ওও আচ্ছা,,,

হৃদয়ঃ তান্নাজ তোর হাসবেন্ড কই রে,,, দেখা করাবি না তার সাথে,, বিয়ে তহ আর আসতে পারলাম না,,, এখন কি এর জন্য তার সাথে সাক্ষাৎ ও করাবি নাকি,,

তান্নাজঃ ইয়ে মানেএএএএ,,,

হৃদয়ঃ কিরে এইভাবে কথা বলছিস কেন,,, কি লুকাচ্ছিস আমার থেকে বল,,,

তান্নাজঃ না মানেএএ,,

হৃদয়ঃ আরেহ কি বলবি তহ,, কোথায় তোর হাসবেন্ড,,

তান্নাজঃ এইজে,, মানে,, তোর সামনেই বসে আছে,,

হৃদয় অবাক চোখে একবার সামনে তাকাচ্ছে আর আরেকবার তান্নাজ দিকে,,,

হৃদয়ঃ মানে কি,,

নিশম এতখুন চুপ ছিল এই দেখার জন্য তান্নাজ কি বলে, এখন যখন সে বলেই দিয়েছে সে কে,,, তাহলে তহ আর কোন কথায় নেই,,

নিশমঃ মানে তান্নাজ আমার ওয়াইফ,,

হৃদয়ঃ কেমনে কি,,, তোর বিয়ে না অন্য কাউরো সাথে ঠিক হয়েছিল,,,( হৃদয় ওই ছেলের ছবি দেখেছিল,, তাই সে একটু শোকড আর কি)

নিশমঃ হয়েছিল বাট বিয়েটা আমার সাথে হয়েছে,,,

হৃদয়ঃ বাট কিভাবে,,

তান্নাজ তারপর সব খুলে বলে,,,তা শুনে হৃদয় বলে,,

হৃদয়ঃ যাক ভালই হইসে এই ঠোকবাজের সাথে তোএ বিয়ে হয়নি,, মি. নিশম আপনার ভাগ্য ভাল যে বিয়েতে আমি ছিলাম না,, তা না হলে তান্নাজ আজ আমার বউ হতো,, কিরে ঠিক বলছি না,,

তান্নাজঃ হৃদয় চুপ,,,

এমন কথায় যেন নিশমে গা জ্বলে যাচ্ছে,,, সে দাতে দাত চেপে বললো,,

নিশমঃ তা তহ আর হলো না,,, তান্নাজ এখন আমার বউ,,, আর সে আমরাই থাকবে,,,

হৃদয়ঃ বাহ এই কয়দিনে এত ভালবাসা,,, তা তান্নাজ ইউ আর লাকি,,

নিশমঃ লাকি তহ বটেই,, কিন্তু ও না আমি,, কেন না আমি ওকে পেয়ে নিজেকে লাকি মনে করি,,,

হৃদয়ঃ যাহ ভালই হলো,,, তা মি. নিশম তান্নাজকে সামলে রাখবেন, নাইলে কখন আমি নিয়ে যাই বলা তহ যায় না,,,

নিশমঃ কি,,,

হৃদয়ঃ আরেহ আপনি দেখি হাইপার হচ্ছেন৷ আই এম জাস্ট কিডিং,,,

নিশমঃ আই ডোন্ট লাইক দিস কাইন্ড অফ জোক,,,

তান্নাজঃ হৃদয় মজা করিস না তহ,,

হৃদয়ঃ হুম এখন তুইও আমায় চুপ করা,,, বিয়ে করে আমাকে ভুলে গেলি তাই না,,,

তান্নাজঃ আমি কি তা বলেছি,,,

হৃদয়ঃ তা নয়তো কি,, এত কিছু হয়ে গেল আর তুই আমাকে জানানো জরুরিও মনে করলি না,,

তান্নাজঃ তুই বিজি ছিলি,, আর আমিও সব কিছুর সাথে নিজেকে এডজাস্ট করছিলাম,, তাই আর বলা হয়ে উঠে নি,,,

হৃদয়ঃ হইসে এত কিছু শুনতে চাই না ট্রিট দে,,,( হাইয়ে এই গো কাছে মইরা গেলেও খালি ট্রিটই চাইবো😩)

নিশমঃ হা অবশ্যই,,, আর ট্রিট আমার পক্ষ থেকে,,, সামনেই রেস্টুরেন্টে আছে চলেন,,

হৃদয়ঃ ওকে,,,

এই বলে হৃদয় আগেই দরজার সামনে চলে যায়,, আর তখনই কোন মেয়ের সাথে ঢাক্কা খায়,,, মেয়েটি পরে যেতে নিলে হৃদয় তাকে ধরে সামলে নেয়,, মেয়েটি তখন চোখ বন্ধ করে ছিল,,, হৃদয় এক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে,,, মেয়েটি আর কেউ নয় মিতু৷
মিতু মিটিমিটি চোখ খুলে হৃদয়কে দেখে তারাতারি সরে আসে,,,

মিতুঃ সরি সরি,, আমি খেয়াল করি নি,,,

হৃদয়ঃ মিতু না তুমি,

মিতুঃ আর তুমি হৃদয়,, তাই না,,

হৃদয়ঃ যাহ চিনলা তহ,,, বাই দ্যা ওয়ে,, তুমি এইখানে কিভাবে,,

মিতুঃ আমি এইখানেই কাজ করি,,আর তুমি,,

হৃদয়ঃ প্রজেক্ট সাইন করতে আসছিলাম,,

মিতুঃ ওওও

নিশমঃ মিতু আমি ট্রিট দিচ্ছি চলো আমাদের সাথে,,,

মিতুঃ কিন্তু,,

নিশমঃ কোন কিন্তু না,, চল,,

তান্নাজঃ এত করে বলছে চল না,,,

মিতুঃ আচ্ছা চল,,,

তারপর তারা মিলে একটা রেস্টুরেন্টে যায়,, নিশম তান্নাজ এক সাথে আর হৃদয় মিতু এক সাথে,, তারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গল্প করছে আর হাসাহাসি করছে,,, এইভাবে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে যায়,, তাই তারা রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে আসে,, নিশম মিতু কে বলে তাদের সাথে যেতে কিন্তু সে মানা করে দেয়,,, তাই নিশম ও তান্নাজ চলে যায়,,, মিতু যেতে নিবে তখন হৃদয় বলে উঠে,,

হৃদয়ঃ মিতু তুমি যদি কিছু মনে না করো আমি তোমাকে ড্রপ করে দেই,,,

মিতুঃ না না আমি যেতে পারবো,,

হৃদয়ঃ প্লিজ,,, না কর না,, আমারও এখন একা যেতে হবে,, এর চেয়ে ভাল একটা কোম্পানি পাই,,

মিতুঃ আচ্ছা ঠিক আছে চলো,,

তারপর মিতু আর হৃদয়ও এক সাথে চলে যায়,, হৃদয় এইটা ওইটা নিয়ে মিতুর সাথে কথা বলছে,,, আর মিতু ও তাল মিলাচ্ছে,, পরে মিতুকে নামিয়ে সেও চলে যায়,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here