October Darkness
পর্ব পাঁচ
তৃধা মোহিনী(মৃন্ময়ী)
🍁
আয়রার ড্যাবড্যাব করে লোকটার দিকে তাকিয়ে আছে সে এইটা লক্ষ্য করছে লোকটা কিছুক্ষন পরপর তার নাক মুছছে,তার চোখে স্থিরতা নেই..কেমন মনে হচ্ছে অস্থির হয়ে আছে চোখ,কি কনভারসন হচ্ছে এখান থেকে বুঝা যাচ্ছে না…হুট করে কথার মাঝখান থেকে লোকটি বেরিয়ে গেলো,মনে হচ্ছে তার জরুরী ডাক পরেছে কিন্তু আয়রা বুঝলো উনি কথা না শেষ না করে চলে গিয়েছেন।।
চারপাশে হট্টগোলের আওয়াজে সে এতোটুকু ত বুঝলো যে,এই ভার্সিটির সবকিছু তার আন্ডারে হয়..আবারো ক্লাসে মনোযোগ দিলো,১ঘন্টার ক্লাস শেষে আয়রা বেরিয়ে পরলো একটু ঘুরে দেখতে বাহিরটা।।
ভার্সিটির ভিতর দেখে মনে হলো অনেক পুরোনো ভার্সিটির তবে নতুনরুপে,কি থেকে কি দেখবে সেটাও বুঝে উঠতে পারছে না..ভাস্কর্যগুলো অনেক সুন্দর..দূর থেকে থাই গ্লাসের পর্দা ভেদ করে আয়রার দিকে শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে এডউইন,চাহনী শীতল তার..আয়রার চলাফেরা কথা বলার স্টাইল সবথেকে বেশি যা আকৃষ্ট করেছে তা হলো তার গায়ের ঘ্রান..উফফ,রক্তের ঘ্রান।।
আয়রার ভার্সিটির চারপাশ দেখতে দেখতে লাইব্রেরীর কাছে যেয়ে উপস্থিত হলো,লাইব্রেরিটা কেমন যেন মরা মরা লাগছে..লাইব্রেরি শান্ত থাকে তাই বলে এতো??সবাই মাথাকে বইয়ের সাথে গিট্টু মেরে পড়ছে এক ধ্যানে,আয়রা একটা শ্বাস ফেলে ভিতরে গেলো..কত রকমের বই,কত লেখকের লেখনী উপস্থিত দেখে মাথা চক্কর দিচ্ছে তার..তারপরেও সে খুশি..লাইব্রেরি বিশাল লম্বা হওয়াই সেল্ফ অনেকগুলো..আয়রা সব সেল্ফের ভিতর খুজতে খুজতে লাস্ট প্রান্তে চলে গিয়েছে..এইখানে আলো সেট করা হয় নি,কারন চারপাশে ঘুটঘুটে অন্ধকার আর দূর থেকে যতদূর অব্দি লাইট ছিলো ওতটুক দেখা যাচ্ছে।।
আয়রা ওই জায়গা প্রস্থান করার জন্য পা বাড়ালে,কেও ঝট করে আয়রার গলা চিপে সেল্ফে এটে ধরলো..আয়রার জান গলার কাছে এসে হাজির হয়ে গেছে,গলা দিয়ে কোন শব্দ বের হচ্ছে না..নিঃশ্বাস দ্রুত চলাচল করছে।।
“ইফ ইউ ওয়ান্ট টু লিভ?দ্যান লিভ আমেরিকা” কড়া গলার আওয়াজে আয়রার জান বেশ জোরে বিট করছে,তাড়াতাড়ি বের হয়ে আলোতে গেলো সে।।
সম্পূর্ণ শরীর তার ভিজে একাকার হয়ে গেছে সে..কিভাবে কি হলো??কে এমন কথা বললো??প্রশ্নের ঝুলি মাথায় ঘুরছে..ভাবতে পারছে না আর মিলিকে কল দিলো দ্রুত ভাবে,তাকে যেন ভার্সিটি থেকে নিয়ে যায় সে।।
দূর থেকে অন্ধকারে থাকা অবয়বটি বাকা হাসি দিয়ে বলছে,
“আমি চাই তুমি এইভাবে ভয় পাও??ভয়ে কুড়ে কুড়ে শেষ হও তুমি”
রাতেরবেলা,
আয়রার চোখ মুখ শুকনো দেখে অনেকে জিজ্ঞেস করেছে কিছু হয়েছে কিনা??ভার্সিটি কেমন লাগলো??কিন্তু কেও কোনভাবে উত্তর দিচ্ছে না..সে শুধু খেয়ে ঘুমাতে গেলো,ওই অন্ধকারে থাকা মানুষটির কথা এখনো তার কানে বাজছে..জানে বাচতে হলে আমেরিকা ছাড়তে হবে??এই ভিনদেশে আমি কার বা কি ক্ষতি করলাম??
সবকিছু ভেবেই তার মাথা ফেটে যাচ্ছে,কম্বল মুড়ি দিলো সে..আর ভাল্লাগছে না..আয়রা যখন আয়রা কম্বল মুড়ি দিলো আয়রা..সেই অবয়বটি অন্ধকারের মধ্যে এসে আয়রার কাছে ঘেষলো,খুব ভালোভাবে তাকে দেখছে..মনে হচ্ছে অনেক রেগে আছে।।
“আমার কথা না শুনার ফল তুমি পাবে এখন” এই বলেই এডউইন আয়রার ঘাড়ে অনেক জোরে কামড় দিয়ে তার সম্পূর্ণ রক্তটুকু শুষে নিলো”
২০২০ সাল ১৯অক্টোবর,
এইভাবে প্রতি ১০০ বছর মধ্যে এই তারিখে জন্ম নেয়া এই মাসের প্রতিটা নারীর রক্ত খায় সে,যেমনটা সে এরকম শিকার হয়েছিলো অন্য কারো হাতে।।
ব্রেকিং নিউজ,
আজ আবারো কোন এশিয়ান নারী ফ্লোরিডা শহরে এসে মৃত্যুর শিকার হলো..কেন হলো কিভাবে হলো কিছু জানা যায় নি!!শুধু এতোটুকু দেখা গেছে তার ঘাড়ে দুইটা চিহ্ন।।
এডউইন রহস্যময় বাকা হাসি দিয়ে রৌদ্র উত্তাপে সে নিজেকে বিসর্জন দিলো..রহস্য?? সেটা রহস্য ই থেকে গেলো,কেও কিছু জানতে পারলো না।।
সমাপ্ত।।
কেন শেষ করলাম,সেটা জানতে চাইবেন না..ভুল ত্রুটি ক্ষমার নজরে দেখবেন।।