#অন্তর্লীন_প্রণয়
#সাদিয়া_মেহরুজ_দোলা
|পর্ব-০৬| (বোনাস পার্ট)
আয়ন্তিকার গ্রামে আগে কখনো বাল্য বিবাহ হয়নি কারো। একমাত্র তার পরিবারেই ১৮ বছরের নিচে ১৪ বা ১৫ বছর বয়সে মেয়েদের বিয়ে হয়ে যায়। আয়ন্তিকার গ্রামে ১৮ বছরের নিচে কারো বিয়ে হয়নি বলে সে ভেবে নিয়েছিলো হয়তোবা কখনো কারো ১৮ বছরের নিচে বিয়ে হয়না। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সে সেদিন মাহিন স্যারকে বলছিলো ১৫ বছর বয়সে কারো বিয়ে হয় শুনেছে কিনা?
কিন্তু ক্ষন মাত্র আর্নিয়ার কথা শুনে সে স্তম্ভিত। ১৫ বছর তো দূর এখন ৯-১০ বছর বয়সে অহরহ বিয়ে হচ্ছে। বাল্যবিবাহ অনেক আগে থেকেই হয়ে আসছে এই সমাজে! এতে আয়ন্তিকা চোয়াল ঝুলিয়ে ‘ হা ‘ করে তাকিয়ে আছে আর্নিয়ার দিকে দৃষ্টি দিয়ে।
আর্নিয়া আলত হাসে! ও জিজ্ঞেস করলো,
-‘কি হয়েছে এভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো?’
-‘ এতো অল্প বয়সে কেনো বিয়ে হয় আপু?’
-‘ অনেকে নিজেদের মেয়ের ভরণপোষণ চালাতে পারেনা বলে। তো অনেকে মনে করে মেয়েদের ১০, ১২ বছর মানেই বিয়ের বয়স! তারা এখনো আগের যুগের রীতি নিয়ে পড়ে আছে। আমাদেরই দেখ! আমাড তো ১৪ বছর বয়সে বিয়ে হলো। কত চেষ্টা করলাম বিয়ে ঠেকানোর কোনো কিছুই কাজে লাগলো না। বাবাও তো কম চেষ্টা করেনি। কিন্তু ঐ যে নানুর ওপর কেও কথা বলতে পারেনা! তাই কিছু করার ছিলো না। ‘
আর্নিয়া বলতে বলতে অন্যমনষ্ক হয়ে পড়ে। আয়ন্তিকা দেখে আর্নিয়ার মলিন চাহনি! তা দেখে কষ্ট লাগে তার। একই কষ্ট ও তো সে পাচ্ছে। তিলে তিলে!
আয়ন্তিকা নিজেকে সামলে নিয়ে বলল,
-‘ আপু?’
আর্নিয়া নড়েচড়ে বসে বলল,
-‘ হ্যা বল! ‘
-‘ আমি না বিয়েটা মেনে নিতে পারছি না। ‘
নিম্নকন্ঠে বলল আয়ন্তিকা। নতজানু হয় সে!
আর্নিয়া স্নান হেঁসে বলল,
-‘ আমিও তো প্রথম প্রথম মেনে নিতে পারছিলাম না। তারপর তো যা হওয়ার হলোই! সংসার নরমাল হলো। বাচ্চা হলো! তবে মাঝখানে কিছু ভুলের কারণে আমাদের পথ আলাদা হয়ে গেলো। সেটা তো আর তোদের ক্ষেত্রে হচ্ছে না। অহর্নিশ তেমন ছেলেই না! আমার ভাই লাখে একটা। ‘
আয়ন্তিকা মিনমিন সুরে বলল,
-‘ বুঝলাম! কিন্তু আপু, তোমার ভাই একটা বুড়ো! বুড়োর সাথে শেষে আমার বিয়ে হলো এটা ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে বেশি। ‘
আর্নিয়া খিলখিল করে হেঁসে দেয়। সাহির ছাঁদে লাগানো গাছগুলো হাত দিয়ে ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখছিলো। মায়ের হাসির শব্দ শুনে সে সেদিকে তাকায়। এত দিন পর মাকে হাসতে দেখে সাহিরও হটাৎ হাসতে শুরু করে অযথাই! আর্নিয়া একবার ছেলের দিকে তাকিয়ে আয়ন্তিকার দিকে চাহনি নিক্ষেপ করে বলল,
-‘ অহর্নিশ যদি তোর কথা একবার শুনতো রে.. আয়ন্তিকা! তাহলে নিশ্চিত তোকে তুলে একটা আছাড় মারতো। ‘
-‘ আজব! আছাড় দিবে কেন? যা বলেছি তা কি মিথ্যা নাকি? আমার বয়স পনেরো আর তার সাতাশ। ১২ বছরের বড় তিনি। ‘
-‘ হ্যা, এটা ঠিক যে তোদের বয়সের ব্যাবধান খুব বেশিই। কিন্তু আমার ভাই বুড়ো না কিন্তু! কত্তো হ্যান্ডসাম দেখেছিস? ‘
আয়ন্তিকা চুপ মেরে রইল। প্রসঙ্গ পাল্টে অন্য কথা বলা শুরু করাতে আর্নিয়া মৃদু হাসি দেয়। পরবর্তীতে মাগরিবের আজান দিলে তারা দুজন উঠে দাঁড়ায়।আর্নিয়া সাহিরকে ডাক দিয়ে কোলে তুলে নেয়! পরিশেষে ছাঁদ থেকে নেমে যায় তারা। বিকেলের দিকে ফ্রেশ হাওয়া গ্রহণ করতে ছাঁদে এসেছিলো আয়ন্তিকা আর আর্নিয়া! অহর্নিশ এক ঘন্টার মতো ঘুমিয়েই চলে গিয়েছে বাহিরে। এতে অভিমানের শেষ নেই অহনা ইফ্রাতের ছেলের প্রতি! অহর্নিশ চলে যেতেই আর্নিয়া প্রস্তাব দেয় ছাঁদে যাওয়ার জন্য। তদ্রুফ তাতে বিনাবাক্যে রাজি হয়ে যায় আয়ন্তিকা!
সিঁড়ি দিয়ে নিচে এসে পড়ে তারা। এটা ডুপ্লেক্স বাড়ি! যার কারণবশত এখানে অহর্নিশের পরিবার ছাড়া আর কেও থাকেনা। তাদের নিজস্ব বাড়ি এটা। অহর্নিশের বাবা তার জমানো সব টাকা এবং জমি বিক্রি করে এই বাড়িটা তৈরি করেছেন! সাথে অহর্নিশ কেও ফ্লাট কিনে দিয়েছেন।
_____________________
সাহিরকে খাওয়ানোর জন্য আর্নিয়া ওকে নিয়ে রুমে চলে যায়। আয়ন্তিকা তখন ছিলো অহনার রুমে! কিছুক্ষন সে বসে থেকে মামীর সাথে কথা বলে হুট করে তার কোলে মাথা এলিয়ে দেয়। বিষন্ন কন্ঠে সে বলল,
-‘ মামী তোমরা এখানে কেনো থাকো? ঐ বাসায় কেনো থাকোনা?তোমাদের ছাড়া থাকতে একটুও ভালো লাগেনা। ‘
অহনা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়লো! সে মলিন কন্ঠে বলল,
-‘ তো আর কি করবো?অহর্নিশ তো ওর সাথে আমাদের থাকতেই দেয়না। ‘
-‘ কেনো?’
-‘ অহর্নিশ যে পলিটিক্স করে এটা ও তোকে বলেছে?’
-‘ হ্যা। ‘
-‘ এই কারণেই থাকতে দেয়না! সবসময় বলে বেড়ায় আমার কতো শত্রু। তোমরা ওখানে থাকলে তারা তোমাদের ক্ষতি করবে! মেরে ফেলতেও পারে।আমি আমার জন্য তোমাদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলতে পারি না। এ কারণেই ও আমাদের থেকে আলাদা থাকে! ‘
অহনার কন্ঠে স্পষ্টত মলিনতা মিশ্রিত। আয়ন্তিকা চমকে যায় একটু! কারণ অহর্নিশ তাকে অন্য কথা বলেছিলো। পরিবার থেকে দূরে থাকার। তারমানে এই ভয়ংকর মানব তাকে মিথ্যা বলেছে! খানিক রাগ জন্মে অহর্নিশের প্রতি আয়ন্তির। মিথ্যা বলার কি ছিলো? সত্যি বললে এমন কি হতো? অন্যায় হয়ে যেতো? হুট করে প্রশ্ন জাগে মনে আয়ন্তির। পরিবার কে যদি অহর্নিশ দূরে রাখে তাহলে তাকে কেনো সঙ্গে রাখছে? অহর্নিশের কি তার জীবনের প্রতি চিন্তা নেই?মায়া দরদ নেই?
মনটা কেমন বিষিয়ে যায় ক্ষনের মাঝে আয়ন্তিকার,
………
-‘ মা আমাকে একটু কফি দিয়ে যাও তো ওপরে! ‘
অহর্নিশের কন্ঠ! আয়ন্তিকা উঠে বসলো চটজলদি। অহনা বললেন,
-‘ ঐ যে এসেছে! আয়ু যা তো। ওর জন্য এককাফ কফি বানা! আজকে যাবোনা আমি ঐ ছেলের সামনে। সারাদিন মায়ের খোঁজ খবর নেই। এখন কফি চাইছে! ‘
আয়ন্তিকা প্রথমে চাইছিলো না করে দিবে। কিন্তু মুখের ওপর না করাটা কেমন বেখাপ্পা লাগলো তার কাছে। তাই অনিচ্ছা সত্বেও সে উঠে দাঁড়ালো! কিচেনে গিয়ে কফি বানিয়ে সিঁড়ি বেয়ে উঠে এলো অহর্নিশের রুমের সামনে। কিছু সময় দাঁড়িয়ে থেকে দরজা ধাক্কা দিয়ে সে ভিতরে ঢুকলো। সেই সময়টাতে অহর্নিশ শার্ট খুলছিলো। বোতামে হাত তার। ওপরে চার পাচটা বোতাম খোলা শেষ প্রায়।
দরজা খোলার শব্দে সে পিছন ফিরে। আয়ন্তিকা কে দেখে একটু খানি বোধহয় অপ্রস্তুত হয়ে পড়লো।আয়ন্তিকার ক্ষেত্রেও তাই। অহর্নিশ গম্ভীর কন্ঠস্বরে বলল,
-‘ তুমি? ‘
আয়ন্তিকা শুকনো গলায় বলল,
-‘ আপনার কফি! ‘
আয়ন্তির হাতের দিকে দৃষ্টিপাত দেয় অহর্নিশ। পরবর্তী তে সে বলল,
-‘ মা কোথায়?’
-‘ রুমে! ‘
-‘ অহ! কফি টেবিলে রাখো। ‘
আয়ন্তিকা মাথা নেড়ে টি- টেবিলের কাছে গিয়ে কফি মগটা সন্তপর্ণে রেখে দেয়। রুম থেকে বের হতে নিলে তাকে আঁটকে দেয় কয়েক ফালি গম্ভীর কন্ঠস্বর! অহর্নিশ ফের বলল,
-‘ কই যাচ্ছো?’
-‘ নিচে! মামীর রুমে।’
-‘ আমি যেতে বলেছি?’
আয়ন্তিকা এবার সামনে ফিরলো। থতমত চাহনি নিক্ষেপ করে দেয় সে অহর্নিশের দিকে। মিনমিন সুরে বলল,
-‘ নাহ তো।’
-‘ কাছে এসো! ‘
আয়ন্তিকা শুকনো ঢোক গিললো। তার কখনোই অহর্নিশের সামনে থাকতে বিন্দুমাত্র ভালো লাগেনা।শুধুমাত্র সর্বক্ষণ তার অস্বস্তি কাজ করে! লজ্জা, ভয় গ্রাস করে তাকে। সাথে অতীতের এক বিরল ঘটনা। এতে করে তার ঘৃণা কাজ করে অহর্নিশের প্রতি। উজমা আপুর কথা হটাৎ করেই মনে পড়লো তার। কে জানে কেমন আছে সে?
আয়ন্তিকা হেঁটে সামনে আগায়। অহর্নিশের সামনে এসে দুই ফিট ব্যাবধান রেখে দাঁড়ালো।চোখমুখে সর্বদার মতো ফুটিয়ে রেখেছে অস্বস্তি, ভীতু ভাবটি! দুহাত ওড়নায় পেঁচিয়ে নিজ মতানুসারে নাড়াচাড়া করছে। অহর্নিশ তার দুইহাত পকেটের ভেতর প্রবেশ করিয়ে নেয়। আয়ন্তিকার বর্তমান অবস্থা দেখে সে ঠোঁট বাকিয়ে হাসলো! গলা ঝেড়ে বলল,
-‘ আমার শার্টের বাকি বোতাম গুলো খুলো! ‘
বিষ্ফোরিত চাহনি আয়ন্তিকার। ঠোঁট যুগল হালকা প্রসারিত করে সে কিছু বলার জন্য। কিন্তু শব্দগুচ্ছো আঁটকে যায় তার গলার মধ্যিখানে। কি বলবে সে?অহর্নিশের বলা কথার পরিপ্রেক্ষিতে এ সময়ে ঠিক কি বলা দরকার তা বুঝতে পারলো না আয়ন্তিকা। তবুও কোনোরকম নিজেকে সামলে নিয়ে বলল,
-‘ ক..কি? মানে কি?’
-‘ যা শুনেছো তাই! শার্টের বোতামগুলো খুলো।’
-‘ আর তো মাত্র অল্প কয়েকটা বাকি। আপনি নিজে খুলুন। ‘
-‘ উঁহু! তুমি আমার ওয়াইফ! তার দায়িত্ব পালন করবে না? স্বামীর সেবা করা সুন্নত ইউ নো? এখন এই সুন্নত থেকে তোমাকে তো দূরে সরাতে পারি না।এটলিষ্ট আমি তো অতো খারাপ না যে কারো সুন্নত পাওয়া থেকে তাকে দূরে সরাবো। নাউ ডু ইট ফাষ্ট! ‘
অহর্নিশের যুক্তি শুনে আয়ন্তিকার মুখ ‘ হা ‘ হয়ে যায়। এবার কি বলবে? তা বোধগম্য হলো না। মাথা নুইয়ে সে কাঁপা কাঁপা হাত এগিয়ে দেয় অহর্নিশের শার্টের দিকে। বাকি বোতামগুলো কোনোরকম দ্রুত খুলে দিয়ে সে পিছন দিকে চলে যায় দু কদম! সামলে বলল,
-‘ হয়ে গিয়েছে। ‘
-‘ কাবার্ড থেকে আমার ড্রেস বের করো সাওয়ার নিবো। ‘
আয়ন্তিকা ঘাড় নেড়ে এগিয়ে যায় কাবার্ড থেকে। অহর্নিশের ড্রেস বের করে নিয়ে সে এগিয়ে যায় বেডের দিকে যেখানে অহর্নিশ দাঁড়িয়ে ছিলো। ড্রেস গুলো এগিয়ে দেয় সে। অহর্নিশ ওয়াশরুমের দিকে যেতে যেতে বলল,
-‘ রুম থেকে বের হলে খবর আছে। বসো! আমি আসছি। ‘
আয়ন্তিকা বসে পড়ে সোফায়। লম্বা শ্বাস টেনে নিয়ে সে চারপাশে তাকায়। আঁটকে যায় দৃষ্টি তার এক কর্ণারে! সেখানে ক্যানভাসের মাঝ থেকে উঁকি দিচ্ছে কারো স্কেচ। স্কেচটা কারো মেয়ের তা বুঝতে পারে আয়ন্তিকা! কৌতূহল দমিয়ে রাখতে পারলো না সে। এগিয়ে গিয়ে স্কেচ এর ওপরে দেয়া নীল রঙের কাপড়টা সরিয়ে দিয়ে দেখে একজন মেয়ের মাথার অর্ধ ছবি! শুধুমাত্র নাক পর্যন্ত স্কেচ করা। বাকিটুকুর হদিস নেই! চোখ, চুল, কান, নাক এতটুকুই স্কেচ করেছে। আয়ন্তিকার বেহায়া মন এক মূর্হতের জন্য মেয়েটার চেহারায় নিজেকে বসাতে শুরু করলো। কিন্তু মিললো না।
কারণটা মেয়েটার কপালের ডান সাইডে ছোট্ট করে কেটে যাওয়ার দাগ এবং বাম পাশের ভ্রু এর ওপর ছোট্ট করে একটা তিল! স্কেচটা ছিলো অনেকটা জীবন্ত। তাই সে কাটা দাগ এবং ভ্রু এর পাশের তিলটা স্পষ্টভাবে বুঝতে পেরেছে! কিন্তু এটা আয়ন্তির স্কেচ হতেই পারেনা। কারণ তার কপালে কোনো কাটা দাগ নেই আর না ছিলো! আর না আছে তার বাম ভ্রু এর পাশে কোনো তিল।
আয়ন্তিকা বিড়বিড় করে বলল,
-‘ মেয়েটা কে? অহর্নিশ ভাই এই মেয়ের ছবি অর্ধেকই বা কেনো স্কেচ করলো? ‘
নীল কাপড়টা দিয়ে স্কেচটা ঢেকে রেখে নিজ জায়গায় এসে স্থির হয়ে বসলো সে। অহর্নিশ এসে পড়ে তখন! ওয়াশরুমের দরজা খুলে এসে সে দিক বেদিক না দেখে আয়ন্তিকার পাশে একদম মিশে বসে তার সাথে! আয়ন্তি আর দূরে সরতে পারলো না। কারণ সোফার একদম কর্ণারে মিশে বসেছিলো সে। আয়ন্তিকা হাস ফাঁস করে বলল,
-‘ একটু দূরে সরে বসুন! ‘
-‘ কেনো?’
-‘ আমার সমস্যা হচ্ছে! ‘
-‘ কি সমস্যা? ‘
অহর্নিশ আয়ন্তিকার সাথে আরে চেপে বসে বলল।আয়ন্তি ফিচেল কন্ঠে বলল,
-‘ আমি ঠিকঠাক বসতে পারছি না। ‘
অহর্নিশ নড়লো না। যেখানে বসেছিলো সেখানেই রইলো। ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে সে বলল,
-‘ সো হোয়াট? আমার তো কোনো প্রবলেম হচ্ছে না।আমি সরছি না! ‘
এই বলে পাশ হতে সে একটা কাগজ কলম এগিয়ে দেয় আয়ন্তিকার দিকে। আয়ন্তি একবার সেদিকে তাকিয়ে কাগজটা হাতে তুলে নেয়!
-‘ এটা কি?’
অহর্নিশ প্রতুত্তরে বলল, ‘ পড়ে দেখো! ‘
আয়ন্তিকা কাগজটা চোখের সামনে ধরে পড়া শুরু করলো। নিস্তব্ধ সে! স্পষ্ট ভাবে টের পেলো তার চোখের কার্নিশ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়লো। অবিশ্বাস্য চাহনি নিয়ে সে তাকালো অহর্নিশের পানে। কম্পিত কণ্ঠে বলল,
-‘ আ…আপনি? ‘
চলবে…