#অপেক্ষার_শেষে
#পর্ব_২৭_সমাপ্ত
#লেখিকা_কে_এ_শিমলা
বিকেল প্রায় চার টা!””
আরিয়ান,আরিশা, আফরা বাসার সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে রওনা দেয় আরিশাদের বাসার উদ্দেশ্যে।”
এইবার সিলেট যাওয়ার কারণ হলো!””
ইরিন এবং নিহান পারি জমাবে কানাডা।” দীর্ঘ ছুটি কাটিয়ে,জীবন সঙ্গীনি কে নিয়ে নিহান পারি জমাবে সুদূর কানাডা।”
রাত প্রায় আটটা পঁচিশ মিনিট।”
আরিশা আরিয়া আফরা আরিয়ান আরাফ বাসার সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে রওনা দেয় স্টেশনের উদ্দেশ্যে।”
সময় অনুযায়ী সবাই ট্রেনে চড়ে বসে।”
ধীর গতিতে চলতে লাগে ট্রেন শব্দ তুলে। ওদের কামরায় শুধু ওরা পাঁচজন আছে।”
একসময় আরিয়া,আরাফ, এবং আফরা ঘুমিয়ে পড়ে!”
জেগে রয় শুধু আরিয়ান এবং আরিশা।”
আরিশার অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল ট্রেনে করে ভ্রমণের সময় রাতের প্রকৃতি উপভোগ করবে।”
আরিশা সিট থেকে উঠে দরজার পাশে দাঁড়ায়।” ওর পেছনে আরিয়ান ও আশে।
আরিশার পাশে দাঁড়িয়ে ওর একহাত আঁকড়ে ধরে।”
দু’জনের দৃষ্টিই বাহিরের দিকে নিবদ্ধ।”
পূর্বাকাশে সূর্য্যি মামা উঁকি দিয়েছেন কিছুক্ষন আগে।”
আরো কিছুক্ষণ পর চলন্ত ট্রেন তার গন্তব্যে পৌঁছে থেমে গিয়ে স্থীর হবে।”
আরিয়া,আরাফ, জেগে আছে সাথে আফরা।”
আরিশা, আরিয়ান ঘুমিয়ে আছে! রাতে লেট করে ঘুমানোর কারণ।”
আফরা শুয়ে শুয়ে ফোন টিপছে, আরিয়া বাহিরের দৃশ্য দেখছে।”
কুয়াশাচ্ছ’ন্ন ভোরের প্রকৃতি কতই না সুন্দর।”
সৌন্দর্যে ঘেরা আর মনোরম একটা প্রকৃতি থাকে শীতের সকালে।”
এই মনোরম শীতের সকালে, গায়ে একটা চাদর জড়িয়ে শুধু হাঁটতেই মন চায়।
যতদূর যাওয়া যায় ততটাই দূরে যেতে চায় মন।”
সবুজ ঘাসের উপর শিশির বিন্দু নজর কা’ড়ে।”
দেখতে দেখতে প্রায় নয়টার দিকে ট্রেন গিয়ে স্টেশনে পৌঁছায়।”
আরিশা আরিয়ান ওরা সবাই একটা হোটেলে যায়। পাশে কোনো রেস্টুরেন্ট দেখতে পায়নি ওরা।”
হোটেলে তেমন মানুষ নেই, শুধু দুজন বৃদ্ধ লোক।”
দুজন কর্মচারী এবং একজন হোটেলের মালিক হয়তো।”
ওরা হালকা পাতলা নাস্তা সেরে নেয় হোটেলে।”
হোটেল থেকে বের হয়ে একটা গাড়িতে উঠে ওরা। তারপর গাড়ির ড্রাইবার কে ঠিকানা দেয় ইরফানের বাসার।”
গাড়ি এসে ইরফানের বাসার সামনে থামে, একজন একজন করে সবাই নামে গাড়ি থেকে।”
ভাড়া মিটিয়ে গেইটের পাশে যেতেই দারোয়ান কাকা গেট খুলে দেন।”
ভেতরে ইরফান হাঁটছিল, মূলত ওদের জন্যই অপেক্ষা করছিল।”
ওদের কে দেখে হাসি মুখে এগিয়ে আসে ও।”
কুশল বিনিময় করে সবাই ভেতরে চলে যায়।”
~~~~~~~~ ~~~~~~~ ~~~~~~
দুপুর দু’টোর দিকে ওরা রওনা দেয় ইরিনের শশুরবাড়ি’র উদ্দেশ্যে।”
আজ রাত এগারোটায় ইরিন এবং নিহানের ফ্লাইট।”
সবাই যথা সময়ে নিহানের বাসায় পৌঁছায়।”
হাসিখুশি আর খোশগল্পের মধ্য দিয়ে কেটে যায় বেশ খানিকটা সময়।”
রাতে সবাই একসাথে খাওয়া দাওয়া করেন।”
রাত প্রায় দশটার দিকে ইরিন এবং নিহান তৈরি হতে শুরু করে।”
ওদের সবকিছু গুছানো শেষ তবুও আবার সবকিছু ভালো করে দেখলেন ইরিনের শাশুড়ি নিলীমা এহসান।” যদি কোনো কিছু বাদ পরে যায়!”
দশটা ছাব্বিশ মিনিটের দিকে সবাই এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।” ইরিন মা এবং শাশুড়ি’র মধ্যখানে বসে আছে।
ঈশিকা খানম ইরিন কে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলেন।”
দশটা পঞ্চান্ন মিনিটের দিকে ওদের গাড়ি এয়ারপোর্টে এসে পৌঁছায়।”
সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে যায় ইরিন এবং নিহান।”
এগারোটা বারো মিনিটে ইরিন এবং নিহানের বিমান উড়াল দেয় আকাশে।”
ঈশিকা খানম এখনো কান্না করছেন।
এতো দিন মেয়েটা বাসায় ছিল না, বুকটা কেমন যেন খালি খালি লাগতো।
আর এখন সে দেশের বাহিরে চলে যাচ্ছে, আর কবে ফিরে আসবে সে মায়ের বুকে?”
এখন সবার একটাই চাওয়া ওরা যেন ঠিকঠাক ভাবে নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে।” আল্লাহ ভরসা।”
সবাই নিজেদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হোন আবার এয়ারপোর্ট থেকে।”
ইরফান নিজেদের বাসার দিকে যায়।”
যদিও নিলীমা এহসান বলেছিলেন উনাদের বাসায় যাওয়ার জন্য তবে উনারা যেতে চাইলেন না।”
সবাই বাড়িতে পৌঁছে নিজেদের রুমে চলে যায়।
ফ্রেশ হয়ে ঘুমের দেশে পারি জমায়।”
~~~~~~~~~~~~~~~ ~~~~~~~~
ভোর ছয়টায় সবাই ঘুমে থেকে উঠে একসাথে হাঁটতে বের হয়।”
আরিশা আরিয়ান আরিয়া আরাফ আফরা, ইরফান, দিশা, দিয়ান।
সবাই একসাথে অনেক জায়গায় হাঁটে, এই কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরের রাস্তায়।”
ওদের অন্য রকম ভাবেই ভালো লাগছিল।”
দুপুর দু’টোর দিকে ওরা আবার রওনা দেয় স্টেশনের উদ্দেশ্যে।”
ঢাকায় ফিরে যাওয়ার জন্য।”
ইরফান ওদের কে এগিয়ে দেওয়ার জন্য আসলো,সাথে দিশা দিয়ান।”
ওরা ট্রেনে চড়ে বসে ওদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে। ট্রেন চলতে শুরু করে ধীর গতিতে।”
ইরফান অসহায় টলমল দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে চলন্ত ট্রেনের পানে!”
ওর মন চাচ্ছে এই চলন্ত ট্রেনে উঠে ওর মিষ্টি পরি টিকে বুকে জড়িয়ে বলবে- মিষ্টি মেয়ে তুই সারাজীবনের জন্য থেকে যা না আমার কাছে!”
তোকে ছাড়া যে নিজেকে খুব শুন্য মনে হয়।”
বার বার ছোটে যেতে চায় এই অবাধ্য মন তোর সান্নিধ্যে।” তোকে ছাড়া যে নিজেকে ছ’ন্নছাড়া লাগে।”
কিন্তু না ইরফানের সাহসে কুলোয়নি এইসব না বলা কথা বলতে।” নিরবে প্রেয়সী কে বিদায় জানায়।”
ভাগ্যে থাকলে পাওয়া হবে তার মিষ্টি পরী কে না হলে তো এটাই ছিল কাটানো শেষ সময়।”
বিষন্ন মন নিয়ে ইরফান বাসায় ফিরে আসে! দিশা দিয়ান আর আসেনি এখানে ওরাও নিজেদের বাসায় চলে গিয়েছে।”
কেটে যায় আরো দুটো দিন।”
আরিয়ানের লন্ডনে ফিরে যাওয়ার সময় ঘনিয়ে আসে।” তাহলে কী এইবার ইরিনের মতো আযিশার ও প্রিয়তমের সাথে উড়াল দেওয়ার সময় চলে এসেছে!””
~~~~~~~~ ~~~~~ ~~~~~
মায়ের কক্ষ থেকে বের হয়ে নিজের কক্ষের দিকে যাচ্ছিল আরাফ।” কিছুটা এগিয়ে আসতেই বাচ্চার কান্নার আওয়াজ কর্ণকু’হুরে পৌছাতেই! সে দ্রুত চরণ ফেলে তিন-চার কদমে নিজের কক্ষে প্রবেশ করে।”
বিছানায় তার একমাত্র সন্তান এবং বিছানার নিচে মেঝেতে সহধর্মিণী’র দিকে তার দৃষ্টি যায়।”
বাচ্চাটার হাতে ও মুখে চকলেট লেগে আছে!” কিন্তু এখন সে তার মায়ের কাছ থেকে চকলেট নেওয়ার জন্য হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে, কিন্তু তার মা জননী চকলেট মুখে পড়ে হাত সরিয়ে নিচ্ছে।”
আরাফের ভ্রু কুঁচ’কে যায় নিজ গতিতে। এমন একটা দৃশ্য দর্শন করে আরাফ কী করবে বোধগম্য হলো না তার।” বিস্মিত চোখে এখনো তাকিয়ে আছে প্রিয়তমার দিকে!” মানে! নিজের ছেলের চকলেট মা খেয়ে নেবে এটা কেমন!” আরাফ এগিয়ে যায় আরিয়া এবং আহিয়ানের নিকট। বিছানায় বসে আহিয়ান কে কোলে নেয়। সেন্টার টেবিল থেকে টিস্যু নিয়ে আহিয়ানের হাত এবং মুখ মুছে দেয়।”
তারপর হাত দিয়ে বালিশ সরিয়ে সেখান থেকে একটা চকলেট আহিয়ানকে দেয়। আহিয়ান হেঁসে দেয় বাবার দিকে তাকিয়ে।” চারটা দাঁত বের হয় আহিয়ানের হাসার ফলে।”
আহিয়ান কে বিছানার মধ্যখানে বসিয়ে আরিয়ার দিকে তাকায় আরাফ।
আরিয়া বাবা ছেলের দিকে তাকিয়ে আছে, হাতে চকলেটের খালি প্যাকেট। তবে আরিয়া একবার আহিয়ানের দিকে তাকায় এতোক্ষণ ও চকলেট দিল, ছেলেটা নেয়নি এখন বাবা দিতেই কী সুন্দর নিল।”
আরাফ আরিয়ার তাকানো দেখে হেঁসে দেয়। আরিয়ার উদ্দেশ্যে বলে উঠে- আরিয়া এসব কী তুই নিজের ছেলের চকলেট নিজে খাচ্ছিস! লজ্জা করে না তোর বাচ্চার চকলেট যে খাচ্ছিস?”
আরিয়া মুখ ফু’লি’য়ে উঠে দাঁড়ায়! তারপর বললো- আমি তো ওর ভালোর জন্যই চকলেট দেই না!” তুমি কেন দাও?” ওর দাঁতে পোকা ধরবে না?” ওর কী চকলেট খাওয়ার সময় এখন!” কথা গুলো বলে জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়ায়।”
আরাফ ছেলের দিকে তাকায়, সে চকলেট নিয়ে খেলছে। আরাফ আরো একটা চকলেট নিয়ে আরিয়ার নিকট এগিয়ে আসে।”
আরিয়া কে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে ওর সামনে চকলেট ধরে। তারপর বললো- ওর তো এখনো দাঁত উঠে নাই সব গুলো। আর আমি কী ওকে চকলেটের প্যাকেট খুলে দেই, ও তো খেলা করে এগুলো নিয়ে তুই নিজেই তো খুলে দিস।”
আর যখন দিলি তাহলে ওর কাছ থেকে নিয়ে তুই খাচ্ছিস কেন?”
আরিয়া আরাফের দিকে ফিরে তাকায়- তারপর ঠোঁট ফুলিয়ে বললো- তোমার ছেলে কী চালাক সে তো পুরো চকলেট খেয়েছে না খায়নি এদিক সেদিক ছড়িয়ে ফেলেছে মুখ থেকে!” আমি ওগুলো পরিষ্কার করেছি তাঁরপর এইটুকু চকলেট ছিল আমি খেয়েছি। ওকে খাওয়াতে চেয়েছিলাম সে তো খায়নি তারপর তো খেলাম।”
আরাফ ঠোঁট টিপে হেঁসে বললো- তুই আসলেই গাধি ও কী খেতে চায়, খেলতে চায় চকলেট নিয়ে।”
থাক বাদ দে এই নে তোর জন্য স্পেশাল চকলেট এনেছিলাম।”
আরিয়া আরাফের দিকে তাকায় তারপর চকলেটের দিকে। হাতে তুলে নেয় চকলেটটা।”
আরাফ বললো- কাল আরিশা আরিয়ান দেশে আসছে জানিস?”
আরিয়া: হুম বড় আম্মু কাল বলেছেন!”
আরাফ: তাহলে তো ভালো তৈরি থাকিস কাল এয়ারপোর্টে যাবো।”
আরিয়া: যামু না আমি তোমরা যাও।””
দেখতে দেখতে কেটে গেছে পাঁচটি বছর।”
আরিয়া আরাফের ছেলে আহিয়ান দুই বছরে পা রাখবে ও। এভাবেই ছেলে আর ছেলের মা কে সামলাতে হয় আরাফের!” আরাফ আরিয়া সবকিছুর পর সুখী।”
~~~~~ ~~~~~ ~~
বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছে আরিশা, ওর পার্শ্ব ঘেসে দাঁড়ায় আরিয়ান।” নিজের প্রিয়তমা স্ত্রী কে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে কাঁধে থুতনি রেখে জিজ্ঞেস করলো- সবকিছু গোছানো শেষ?”
আরিশা আরিয়ানের হাত জড়িয়ে ধরে বললো- হুম শেষ?”
আরিয়ান বললো- সন্ধ্যা সাতটায় তো আমাদের ফ্লাইট।
আরিশা: হুম! আজ কতদিন পর আমরা দেশে যাচ্ছি তাই না?”
আরিয়ান: হুম অনেকদিন! আয়ুশী কী ঘুমুচ্ছে?”
আরিশা: হ্যাঁ মাত্রই ঘুমালো! তোমার মেয়ে কী দুষ্টু একদম ঘুমাতে চায় না!”
আরিয়ান মুচকি হেঁসে হাতের বাঁধন আরো একটু গভীর করে বললো- ছোটবেলায় হয়তো তুমি এমন ছিলে!
আরিশা: হ্যাঁ তুমি জানো, সরো এখান থেকে মেয়ে কিছু করলেই আমি এমন। তোমার মেয়ে তোমার মতো হুহ!””
আবারো দুজনের এভাবে কথা শুরু হলো। আরিশা আরিয়ান লন্ডনে এসেছে আজ পাঁচ বছর। আয়ুশী ওদের মেয়ে,ওর এক বছর পূর্ণ হবে আরো চারপাচদিন পর!”
আজ সন্ধ্যা সাতটায় ওদের ফ্লাইট বাংলাদেশে আসবে।”
ওখানে যাওয়ার আরো একটা কারণ আছে তা হলো ইরফানের ছেলে মেয়েকে দেখা।
ইরফান এবং আফরার ছেলে এবং মেয়ে হয়েছে জমজ সন্তানের মা বাবা হয়েছে দুজন।
আফরাই ছিল ইরফানের মিষ্টি প’রী।” আফরা অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষা শেষ করার পর ইরফান এবং আফরার বিয়ে সম্পন্ন হয়। ওদের বিয়েতে কেউ অমত প্রকাশ করেননি, তারপর যখন শুনলেন ওরা একে অপরকে পছন্দ করে তখন সবাই খুশি মনেই রাজি হয়ে ওদের বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন।
ইরফান আফরা ইরফানে’র মা বাবা এখন ঢাকাতেই থাকে।”
~~~~~ ~~~~~ ~~~~~~~~
কিছুক্ষণ পূর্বেই আরিশা আরিয়ান বাংলাদেশে পৌঁছেছে।” সবাই ওদের কে এয়ারপোর্ট থেকে এগিয়ে নিয়ে এসেছে।” সবার সাথে কথা শেষ করে ওরা রুমে চলে যায়।”
কেটে যায় দু’দিন, সকাল বেলা প্রায় দশটা। আরিয়া, আরাফ, আরিশা আরিয়ান সবাই তৈরি হচ্ছে ইরফানে’র বাসায় যাওয়ার জন্য।”
ইরফানের বাসায় পৌঁছায় ওরা বারোটার দিকে। ইরফান ওদের কে সাদরে গ্রহণ করে।”
আরিয়া, আরিশা দুজন মিলে ওদের ছেলে মেয়েকে কোলে নেয়। দুজনেই মাশাআল্লাহ বলে অনেক সুন্দর দু’জন।”
আজ অনেকেই ইরফানের বাসায় উপস্থিত হয়েছেন।” আরিয়ান, আরিশা, আরাফ,আরিয়া, দিয়ান,দিশা, মাহিন,সোহা। ওদের মধ্যে নেই হৃদি মিতু দুজন, শশুড় বাড়ি থেকে আসতে পারেনি ওরা।”
দিয়ান দিশা এই টম এন্ড জেরি কে এক করে দিয়েছে ওদের পরিবার।”
আগের মতোই দুষ্টু মিষ্টি ঝগড়া হয় দুজনের মধ্যে।”
সবকিছুর পর সুখেই আছে ওরা।
মাহিন সোহা ওদেরও বিয়ে হয়েছে প্রায় কয়েকদিন হলো।”
আজ সবাই উপস্থিত থাকলেও ওদের মধ্যে উপস্থিত নেই ইরিন নিহান। ওরা আসতে পারেনি নিহানের অফিসের জন্য।
তবে খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে ওরাও।
ইরিন কানাডা যাওয়ার পর পড়ালেখা কমপ্লিট করে। এখন ও দুই সন্তানের জননী, দুইটা রাজপুত্র ওর। ইশান, নিশান এই দুজনও জমজ।
ইরিন বাংলাদেশে আসবে তারপর আবার যাওয়ার পর চাকরীতে জয়েন করবে। ছোট বেলার স্বপ্ন তার দেশের বাহিরে গিয়ে একটা চাকরী করবে। নিহান এটা জানার পর বলেছিল চাকরীতে জয়েন করতে পারবে। তখন ইরিন মা হয়ে যায়। তারপরে ভাবলো সন্তান দু’টো কে নিজ হাতে বড় করুক তারপর চাকরীতে জয়েন করবে।
নিলীমা এহসানও ছিলেন বছর দুয়েকের মতো ওদের কাছে। দুটো সন্তান কে দেখা ইরিনের জন্য কিছু টা কঠিন হয়েছিল।”
~~~~~~ ~~~~~~ ~~~~~~
সবকিছুর পর প্রত্যকটা মানুষই নিজেদের জীবন নিয়ে সুখী। প্রিয় মানুষদের নিয়ে পরিপূর্ণ প্রত্যকেটা জোড়া। #অপেক্ষার_শেষে সবকিছুই সুন্দর,সব কিছুই পূর্ণ।”
ভালোবাসার মধ্যে অপেক্ষা বড় একটা অংশ। ভালো তো সবাই বাসতে পারে কিন্তু ভালোবাসার জন্য অপেক্ষা কয়জন করতে পারে।”
হারামে জড়িয়ে প্রশান্তি খোঁজার চেয়ে হালালের অপেক্ষায় চোখের একফোঁটা জল জড়ানোও ভালো।” অপেক্ষার সব ভালোবাসা পরিপূর্ণ হোক #অপেক্ষার_শেষে। প্রত্যেকটি অপেক্ষার ভালোবাসা পূর্ণতা পাক। পূর্ণতা দিয়েই প্রত্যেকটি অপেক্ষার সম্পর্ক ইতি টানুক।
সমাপ্ত!