আমি সেই তনু পর্ব -১৮ ও শেষ

#আমি_সেই_তনু
#১৮পর্ব এবং শেষ পর্ব
#জান্নাত_উল_ফেরদৌস

আকাশ জোরে চিৎকার করে জলি কে মারতে যাবে তখনই কয়েকজন আকাশকে আটকে ধরল ……

এদিকে প্রীতি আকাশের মা বাবা আর ডাক্তার সাহেব একসাথে তনুকে যেখানে ধরে নিয়ে গেছে সেখানে যাচ্ছে।
সবার চোখে মুখে চিন্তার প্রলেপ। লতিফা রোহিতকে ধরে সমানে কেঁদে যাচ্ছে আর বলছে তাড়াতাড়ি চলো আমার তনুকে বাঁচাতে হবে, রোহিত লতিফাকে সান্ত্বনা দিয়ে যাচ্ছে বলছে শান্ত হও কিছু হবে না তরুণ তুমি চিন্তা করো না। প্রীতি বারবার লতিফাকে সান্ত্বনা দিচ্ছে আন্টি চিন্তা করবেন না সব ঠিক হয়ে যাবে।

আকাশ ছেলেগুলোর সাথে মারপিট করছে একাই, জলি এর সেই পালিত বাবা ও এসেছে আকাশকে মারছে আকাশ সমানে লড়াই করে যাচ্ছে…
জলি বুঝতে পারল আকাশ যে করেই হোক তনুকে এখান থেকে নিয়ে যাবে। তাই আর সময় নষ্ট করা যাবে না এখনই তনুকে শেষ করতে হবে।

ডাক্তার বাবু আসার সময় পুলিশকে ইনফর্ম করে এসেছে। ওরা বিল্ডিংয়ে প্রবেশ করেছে, একটা রুমে চিৎকার চেঁচামেচি শোনা যাচ্ছে।

আকাশ এতগুলো মানুষের সাথে মারপিট করতে ব্যস্ত এমন অবস্থায় জলি নিজের হাতের চা*কুটা দিয়ে তনু কে আঘাত করে তনু আঁতকে ওঠে!! আকাশ ভাইয়া!!

আকাশ তনুর এমন অবস্থা দেখে পাগলের মত এলোপাথারি অবস্থায় সবাইকে মারতে থাকে… তনুকে গিয়ে জড়িয়ে ধরে, জলিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়, জলি দেওয়ালের সাথে ধাক্কা খেয়ে কপাল দিয়ে র*ক্ত পড়তে থাকে!

জলির বাবা আকাশের মাথায় একটা লোহার হাতুড়ি দিয়ে বাড়ি দিবে এমন সময় সবাই চলে আসে পুলিশও চলে আসে তারপর সবাইকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়!!

তনু মাটিতে লেপ্টে পড়ে গেছে, আকাশের কোলে তনুর মাথা,,,,, আকাশ কাঁদছে ভীষণ কাঁদছে। আই এম সরি তনু !! আই এম রিয়েলি সরি আই ক্যান নট সেভ ইউ….
কথাটা বলেই তনুকে কোলে তুলে নিয়ে পাগলের মত ছুটতে থাকে গাড়ির দিকে,,,, সবাই আকাশের পিছু পিছু যাচ্ছে তনু কি গাড়িতে বসিয়ে দিয়েছে আকাশ। ডাক্তার গাড়ি চালাচ্ছে, তনুর মাথা আকাশের বুকে। আকাশ বার বার তনুকে সান্ত্বনা দিচ্ছে কিছু হবে না !! আমি আছি কিছু হতে দেবো না আমি তোর।

তনুর নিঃশ্বাস ভারী হয়ে আসছে বুকের ডান পাশ দিয়ে র*ক্ত পড়ছে, আকাশ এক হাত দিয়ে চেপে ধরে রক্ত বন্ধ করার চেষ্টা করছে। প্রাণ বোধহয় এখনই যাবে… কোন কিছু বলার চেষ্টা করছে।
আকাশ জিজ্ঞাসা দৃষ্টিতে তাকিয়ে তনুকে বলল কিছু বলবি?
তনু কষ্ট করে কথাগুলো বলছে,,,,, আপনি জানতে চেয়েছিলেন না, আমি আপনাকে ভালোবাসি কিনা? উত্তরটা হল হ্যাঁ আপনাকে আমি ভীষণ ভালোবাসি….

কথা টা শুনে আকাশ তনু কে আরো শক্ত করে বুকের মধ্যে চেপে ধরে , সামনেই একটা হাসপাতাল ; দ্রুত তনুকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। ততক্ষণে তনু জ্ঞান হারিয়েছে।

৪-৫ ঘন্টা পর তনুর পালিত বাবা এবং একটা ডাক্তার আর দুজন নার্স বেরিয়ে এল চোখে মুখে চিন্তার ছাপ, আকাশ দৌড়ে গিয়ে জিজ্ঞাসা করল , আমার তনু কেমন আছে?
তনুর বাবা: আঘাতটা আরেকটুর জন্য ফুসফুস পর্যন্ত যায়নি তবে অনেক রক্ত যাওয়াতে এখনো আশঙ্কা কাটেনি এখনো তনুর গান ফেরেনি অপেক্ষা করো বাবা জ্ঞান না ফেরা পর্যন্ত কিছু বলতে পারছিনা!! আকাশে যেন সব শক্তিটুকু হারিয়েছে গিয়ে ধপ করে সিটে বসে পড়েছে, লতিফা সমান কেটে যাচ্ছে সবার চোখে মুখে চিন্তার ছাপ!! নির্ভীক ও এসেছে ছোট বাচ্চাটাকে কোলে নিয়ে। প্রীতি আকাশকে সান্ত্বনা দিচ্ছে।

রাত পেরিয়ে সকাল হয়ে আসছে সবাই চিন্তিত, হঠাৎ একটা নার্স এসে ডাক্তারকে ডাকতে ডাকতে বলল জ্ঞান ফিরেছে!! রোগীর জ্ঞান ফিরেছে। সবার মনে খুশির রেখা, আকাশ দৌড়ে গিয়ে ডাক্তার কে জিজ্ঞাসা করল আমি দেখা করতে চাই, ডাক্তার এই মুহূর্তে দেখা করতে নিষেধ করল আকাশকে আকাশ আবার গিয়ে বসলো কিছুক্ষণ পর ডাক্তার বাবু রোগীকে দেখে বেরিয়ে আসলো।

ডাক্তার বাবু জিজ্ঞাসা করলেন এখানে আকাশ কে? আকাশ উঠে দাঁড়ালো আমি আকাশ। রোগী বারবার আপনার কথা বলছে আপনি আসুন। আকাশ গেল, তনুর মুখে অক্সিজেন চোখগুলো বন্ধ করে শুয়ে আছে। আকাশের চোখ বেয়ে পানি পড়ছে, আকাশ তনুর পাশে গিয়ে বসলো। নিজের হাত দিয়ে তনুর হাতটা মুষ্টিবদ্ধ করে ধরল, চোখ বন্ধ অবস্থায় তনু বলে উঠলো আকাশ ভাইয়া!
আকাশ আঙুল দিয়ে তনুকে চুপ করিয়ে দিল, এখন কিছু বলিস না তুই অসুস্থ!! বলতে দিন কোন সমস্যা হবে না।
তারপর তনু বলা বলা শুরু করলো, আপনাকে অনেক মনে পড়েছে, এই দুই বছরে এমন একটা দিন ছিল না যেদিন আপনাকে না ভেবে কাটিয়েছি। আমি হয়তো আপনাকে ভালোবাসি এটা আপনার থেকে দূরে না গেলে বুঝতে পারতাম না। আজ বুঝতে পারছি আপনাকে ছাড়া আমার চলবে না।
কতগুলো বলে তনু আকাশের হাত আরেকটা হাত দিয়ে মুষ্টিবদ্ধ করে ধরল। আকাশ তোমার দিকে তাকিয়ে আছে, চোখ বন্ধ করেই গড়গড় করে কথাগুলো বলে যাচ্ছে। আকাশ মনে ভাবছে, মেয়েটা বড় হয়েছে বুদ্ধিও হয়েছে কিন্তু এখনো চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে পারে না…

তনুর কয়েকদিন এভাবেই হসপিটালে কেটে গেল একটু একটু করে সুস্থ হচ্ছে তনু একদিন ডাক্তার তনুকে রিলিজ করে দিল তনুকে বাসায় নিয়ে আসা হলো তনু এখনো একটু একটু অসুস্থ পুরোপুরি সুস্থ হয়নি।

নারী পাচার ও বিভিন্ন সময় হ*ত্যা কান্ডের কারণে জলির পালিত বাবার ফাঁসির আদেশ হয়েছে জলি কে ও যাবত জীবন দন্ড দেওয়া হয়েছে। মরিয়মের ও তিন বছরের সাজা হয়েছে।

এভাবেই এক মাস কেটেছে তনু এবার পুরোপুরি সুস্থ। এখনো লতিফার হাতে খাওয়ার অভ্যাসটা তনুর যায়নি যেন আরো বেড়ে গেছে।

প্রীতি আর নির্ভীক নিজেদের মেয়ে নিয়ে খুব সুখে সংসার করছে।

তনু অসুস্থ থাকায় এত দিন আকাশ আর তনু নিজেদের কাছাকাছি আসেনি। আকাশ সব সময় তনুর সেবা করেছে।
সকালে আকাশ অফিসে যাওয়ার জন্য বের হচ্ছে, আকাশের মন ভীষণ ভালো আজ আকাশ মন ভরে তনুর জন্য কেনাকাটা করবে ধনুকে উপহার দিবে কারণ তনু আজ পুরোপুরি সুস্থ।

হঠাৎ লতিফা আকাশ কে ডাকলো, আকাশ শোন বাবা কথা আছে।
আকাশ: কি কথা মা?
লতিফা: জীবন দিয়ে তো ঝড়ঝাপটা কম গেল না তাই আমি তনু সুস্থ হওয়ার কারণে বাসায় কিছু মেহমান আমন্ত্রণ করেছি আজ সন্ধ্যায় প্রীতিদেরকেও বলেছি এর ছোটখাটো একটু খাবারের আয়োজন আর কি।

আকাশ: এ আর বলার কি আছে মা তোমার যাদের খুশি সবাইকে ইনভাইট কর কোন সমস্যা নেই।
লতিফা খুশি হয়ে বল আচ্ছা তাহলে।
আকাশ অফিসে বেরিয়ে গেল আজ মন দিয়ে কাজ করছে আকাশ , যেন সেই আগের আকাশ।
অফিস থেকে বেরিয়ে, আকাশ তনুর জন্য একটা খয়রি রঙের শাড়ি চুরি আরো অনেক কিছু কিনলো আরেকটা গোলাপ নিল।
বাসায় এতো আয়োজন দেখে তনু লতিফকে জিজ্ঞাসা করল হঠাৎ এত আয়োজন কেন মা?
লতিফা তনুর মুখে মা ডাক শুনে চোখ ছল ছল করে উঠলো। তুই আমাকে মা বলে ডাকলি?
তনু লতিফাকে জড়িয়ে ধরে লতিফার বুকে মাথা রেখে বলল, ছোটবেলা মাকে হারিয়ে ফেলার পর আমি তোমাকেই আমার মা হিসেবে পেয়েছি তুমি তো আমার মা ই বরং আমি ভুল করেছি তোমাকে মা না ডেকে খালামণি ডেকেছি, মা।
লতিফা তনুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলল পাগলি মেয়ে একটা।
লতিফা সবজি কাটছে, তনু লতিফার হাত থেকে চা*কু নিয়ে, আজ থেকে তোমার ছুটি। তোমার তনু এখন বড় হয়েছে। আজ থেকে আমি রান্না করবো আর তুমি খাবে, তোমাকে আর কাজ করতে হবে না।
লতিফা: তুই পারবি না আমি করি।
তনু: উহঃ যাউ তো বাবা ছাদে আছে তুমি বাবার সাথে গিয়ে প্রেম করো আমি এখানে রান্না করি। কথাটা বলে বাঁকা হাসলো তনু।
লতিফা তনুর মাথায় একটা আলতো থাপ্পড় দিয়ে বলে উঠলো খুব পাকনা হয়ে গেছিস তাই না।
তনু বকা হেসে উত্তর দিল তাতো একটু হয়েছি। লতিফা তনুর কথার সাথে না পেরে রান্নাঘর ত্যাগ করল, মনে মনে বেশ খুশি আজ লতিফা এমন একটা পুত্রবধূই তো নিজের ছেলের সঙ্গে দেখতে চেয়েছে। আজ তার স্বপ্ন সত্যি হলো।

তনু রান্নাবান্না সব একা হাতেই শেষ করল, এতেই যেন শান্তি তনুর।
রান্নাবান্না শেষ করে ফ্রেশ হতে রুমে গেল, আকাশ আর তনুর ছবি আকাশের বেডের পাশে টেবিলটার উপরে রাখা, ছবিটার দিকে চোখ পড়তেই তর মুচকি হেসে ছবিটা হাতে নিল, এই গম্ভীর আকাশকে এত ভয় পায় তনু তবুও কেন এত ভালবাসে ! এসব ভাবতে ভাবতেই ফ্রেশ হতে চলে যায়।

আকাশ ফিরে এসে হাতের শাড়িটা আর উপহার গুলো টেবিলের উপর রাখে, হাতার ভাঁজ খুলে শার্টের বোতাম গুলো খুলতে থাকে আর আনমনে ভাবছে এইতনো টা কোথায় গেল এখন। হঠাৎ বাথরুম থেকে আওয়াজ আসে খালামণি আমার টাওয়াল টা দাও খালামণি শুনতে পাচ্ছ?
আকাশের খুব হাসি পাচ্ছে সেই একই রকম রয়েছে মেয়েটা অগোছালো তাতে কি এই অগোছালো মেয়েটাকেই তো আকাশ এতো ভালোবাসে… আকাশ টাওয়ালটা নিয়ে বাথরুমের দরজা টোকা দেয় তনু হাত বাড়ায়, তনুর ফর্সা হাত গুলো ভেজা পানিতে আরো ফর্সা লাগছে। আকাশ এবার ইচ্ছা করেই বাথরুমের মধ্যে টাওয়ারটা নিয়ে ঢুকে গেল,,,, তনু আকাশকে দেখে চোখ বন্ধ করে চিৎকার দিবে আকাশ মুখ চেপে ধরল তারপর বলল। এখনো তুই আমাকে দেখে চিৎকার করবি? আমি তোর হাজবেন্ড ভুলে গেছিস? তুই চিৎকার করলে কেউ আসবে এখানে? তনু লজ্জায় লাল হয়ে গেছে।

তনুর খোলা ভেজা চুলগুলো আকাশ কি শিহরিত করে তুলছে, দুই হাত দিয়ে আলতো করে তনুর কাজ চেপে ধরেছে আকাশ, তনু বরাবরই মাথা নিচু করে চোখ বন্ধ করে আছে। আর বলছে, ভা ভাইয়া মা ডাকছে যেতে হবে…
আকাশ আঙ্গুল দিয়ে তনুর ঠোঁট স্পর্শ করে কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিস ফিস করে বললো, কেউ আসবে না… তনুর মধ্যে দিয়ে যেনো একটা শিহরণ বয়ে যাচ্ছে। তনু পেছনে যেতে যেতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে ,আকাশ তনুর ঠোটে আলতো করে একটা চুমু একে দেয়…

হঠাৎ আকাশের মামাতো ভাই বোন গুলো আকাশকে ডাকতে ডাকতে উপরের দিকে আসছে। তনু বুঝতে পেরে আকাশকে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দেয়, আরে ওরা আসছে। আকাশে বুঝতে পেরে ভেজা অবস্থায় বাইরে চলে আসে।

মুহিব আর ইকরা আকাশকে ভেজা অবস্থায় দেখেই বুঝতে পারে ঘটনা, তখনই শুরু করে শুরু করে দেয় লজ্জা দেওয়া।
আচ্ছা আচ্ছা এখানে তাহলে রোমান্স হচ্ছিল এই তোরা চল আমরা ভুল সময় এসে পড়েছি।
আকাশ: আরে না না তোরা কখন আসলি চল নিচে যাই আড্ডা হবে। চলো ভাইয়া অনেকদিন পর আজ মজা হবে। সবাই মিলে নিচে চলে গেল সবাই আড্ডা দিচ্ছে।
বেশ অনেকক্ষণ গল্প করার পর তনুকে না দেখে আকাশ ওর মামাতো ভাইদের উদ্দেশ্যে বলল,, আচ্ছা দাঁড়া আমি উপর থেকে ঘুরে আসি তনু এখনো আসছে না কেন, আবার কোন ঝামেলায় জড়িয়েছে কিনা দেখে আসি।
মুহিব বলে উঠলো, আকাশ ভাইয়া তো দেখছি তনুকে চোখে হারাও যাও বউ পাগল।
আকাশ মুহিবের কথার কোন উত্তর না দিয়ে উপরে গেল দেখল আকাশে যে শাড়িটা এনেছে ওটা পেঁচিয়ে পড়ে গেছে। আকাশ মুচকি মুচকি হাসতে হাসতে বলল এখনো তাহলে শাড়ি পড়া শিখিস নি।
তনু আর কিছু বলতে পারল না…
আকাশ এগিয়ে এসে তনুকে উঠিয়ে বললো এখাকে সোজা হয়ে দাড়া, আকাশের কথা শুনে তনু বেশ ভয় পাচ্ছে এভাবে কিভাবে আকাশ ভাইয়া তাকে শাড়ি পরাবে তাহলে তো আকাশ ভাইয়া দেখে ফেলবে।
তনু চালাকির সাথে উত্তর দিল, আচ্ছা একটা গেম খেলি ভাইয়া?
আকাশ: কি গেম বল?
তনু: দেখব তুমি চোখ বন্ধ করে শাড়ি পড়াতে পারো কিনা যদি পারো তুমি যা বলবে সেটাই মেনে নিব।
আকাশ তনুর বোকা বোকা কথা শুনে মনে মনে হাসছে লজ্জা পাচ্ছে সেটা মুখে বললেই হত এত ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বলার কি হলো, আকাশ বুঝেও কিছু না বলে তনুর কথা মেনে নিল, মনে রাখিস আমি যদি পারি তাহলে যা চাইবো তাই দিতে হবে কিন্তু?
তনু সাত পাঁচ না ভেবে বলল আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে।
আকাশ চোখ বন্ধ করেই তোমাকে শাড়ি পরিয়ে দিল আর বেশ সুন্দর করেই পরালো। তনু আয়নায় নিজেকে দেখে বেশ অবাক হল আসলেই খুব সুন্দর করে পড়িয়েছে। অতঃপর গোলাপটা তোর খোপায় গুঁজে দিল আকাশ।

আকাশ: তুই জানিস এখন আমার ঘরে আকাশের চাঁদ দাঁড়িয়ে আছে!!
তনু বেশ লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে বলল কি যে বলেন আপনি।
আকাশ আচ্ছা নিচে চল সবাই অপেক্ষা করছে।
তনু আর আকাশ নিচে নামলো, সবাই তনুকে দেখে অবাক এত সুন্দর লাগছে তোমাকে, তারপর সবাই অনেক আনন্দ করল একসাথে খাওয়া দাওয়া ক্লান্ত হয়ে যে যার মত ঘুমাতে চলে গেল, আর কিছু রহমান নিজ বাসায় চলে গেল। লতিফা এবার তোমার আকাশ কি বলল অনেক রাত হয়েছে তো তোরাও যা আমি বসার ঘরের লাইট বন্ধ করে দিচ্ছি।
তনু আর আকাশ ওপরে যাওয়ার পর লতিফা বছর ঘরে লাইট বন্ধ করে দিয়ে সবকিছু গুছিয়ে নিজেও ঘুমাতে চলে গেল।
তনু ড্রেসিং টেবিল এর সামনে নিজের গয়না গুলো ঘুলে রাখছে , হঠাৎ আকাশ দরজা বন্ধ করে দেয় তনু ভয়ে চোখ বড় বড় করে পেছন ফিরে দাড়িয়ে আছে…

আকাশ এসে আলতো করে তনুর কোমর স্পর্শ করে, তনু চোখ বন্ধ করে মৃদু সুরে বলে , কি করছেন ছাড়ুন প্লিজ।

আকাশ: তুই জানিস আজ আমার বাসর রাত কথা টা বলে বাকা হাসে । তনু কে কোলে তুলে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দেয়, তার পর নিজের শার্ট এর বোতাম খুলতে থাকে…

তনু : কি করছেন ভ ভ ভাইয়া!!?

আকাশ তনুর কাছে গিয়ে তনুর ঠোঁটে আঙ্গুল ছুঁয়ে দিয়ে চুপ করিয়ে দেয়।

তনু বুঝতে পারে আজ আর রেহাই নেই…

সমাপ্ত

(এটা একটা রোমান্টিক গল্পঃ আসা করি আপনাদের ভালো লেগেছে ❤️)

জান্নাত উল ফেরদৌস

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here