#উষাকালে_ঊর্মিমালা
#পর্ব_১৯
#জিন্নাত_চৌধুরী_হাবিবা
নিস্তব্ধ নগরীতে শূন্যতার ছাপ। মাথার ভেতর একগাদা যন্ত্রণা আর হাজারও কৌতুহল। লিলি ‘আমার ছেলে’ বলে কী বোঝাতে চাইলো? রাহাতের বোধগম্য হলোনা। প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো।
লিলি তপ্ত শ্বাস নিয়ে বলল,
-“বেশ লম্বা, চওড়া কাহিনী। এতটুকু শোনার ধৈর্য হয়তো আপনার হবেনা।”
একটা ব্যাপার মস্তিস্কে আংশিক সেট হয়ে কৌতুহল জাগিয়ে দিলে, তা সম্পূর্ণ না জানা পর্যন্ত তৃপ্তি মেলে না। এটাই মনুষ্য জাতির স্বভাব। রাহাতও এই নিয়মের ব্যতিক্রম হলোনা। শরীরে ভর করা একরাশ ক্লান্তি, মনে জমা থাকা হাজারও বি*ষা*দ নিয়েও সে কৌতুহল মেটাতে চাইলো। লিলির উদ্দেশ্যে বলল,
-“তুমি দু’কাপ চা নিয়ে ছাদে এসো।”
ভারি অবাক হলো লিলি। চোখ দুটো ঈষৎ বড় করেই বলল,
-“এতরাতে, তার ওপর এত ঠান্ডার মাঝে ছাদে?”
-“হুম।”
ছোট্ট একটি শব্দে উত্তর দিয়ে সিঁড়ি ঘরের দিকে পা বাড়ালো রাহাত। ধীর গতিতে একটি একটি করে সিঁড়ি অতিক্রম করলো। ছাদে দাঁড়িয়ে আরও একবার ঊর্মির স্মৃতিচারণ করলো। এই ছাদ থেকে পড়ে যতটা না আ*ঘা*ত পেয়েছে, তারচেয়ে হাজার গুণ আ*ঘা*ত হয়তো তার কাছ থেকে পেয়েছে।
লিলি ছাদে আসলো প্রায় দশ মিনিট পর। তার শরীরে চাদর জড়ানো। চায়ের কাপের পাশাপাশি একটা চাদর রাহাতের দিকেও বাড়িয়ে ধরলো। চায়ের কাপ হাতে নিলেও লিলির একট্রা কেয়ার টুকু নিলোনা রাহাত। মনে পড়লো গতবছর ঠান্ডা যাই যাই করে তার আর ঊর্মির বিয়ে। রাতের বেলা একই চাদরের নিচে দুজনের কতটা ভালোবাসাবাসি। মনের চিঠি আদান-প্রদান। মধুর মুহুর্তগুলো এখন কেবল ভাসমান অতীত।
চাদর না নেওয়ায় অপমানিত বোধ করলো লিলি। তবে জোর করলোনা। হাতেই রেখে দিলো।
চায়ের কাপে চুমুক দিলো রাহাত। সারাদিনের অভুক্ত পেটে শুধু চা পড়ায় পেট গুলিয়ে উঠলো। তবুও নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে গম্ভীর স্বরে বলল,
-“তোমার ছেলের কথা বলছিলে বোধহয়। আমার জানামতে তোমার কোন সন্তান থাকার কথা নয়।”
লজ্জিত হয়ে মাথানিচু করে ফেললো লিলি। দ্বিধাদ্বন্দ কাটিয়ে বলা শুরু করলো তার গভীরতম অতীত।
-“আমি সবে কলেজে পা দিয়েছি। মনে নতুন নতুন লাল,নীল প্রজাপতির ঝাঁক। এলাকায় এক নতুন ভাড়াটিয়া এলো। প্রথমদিনই আমাদের সাক্ষাৎ হলো ঝগড়া দিয়ে। এর পর দেখা হলেই আমাদের ঝগড়া হতো। প্রতিদিন দেখা হতো এমন নয়, প্রায় বেশিরভাগ সময়ই দেখা হতো আমি কলেজ যাওয়ার পথে বা আসার পথে। এমন করে চার মাসের মতো সময় কা*ট*লো। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লাম আমি। অসুস্থতার কারণে টা*না এক সপ্তাহ কলেজ যাওয়া হয়নি আর না আমাদের দেখা হয়েছে।
সুস্থ হয়ে এক সপ্তাহ পর কলেজ যাওয়ার পথেই আমাদের দেখা হলো। মাথায় মৃ*দু আ*ঘা*ত পেয়ে পেছন ঘুরে তাকালাম আমি।
মৃন্ময় দাঁত বের করে হাসছে। বলল,
-“এই মেয়ে, এতদিন কোথায় ছিলে? আমার ভ*য়ে পালিয়ে ছিলে বুঝি?”
ভীষণ রা*গ হলো আমার। কর্কশ গলায় বললাম,
-“কী আমার বাঘ এসেছে, তার ভ*য়ে আমাকে পালিয়ে বেড়াতে হবে।”
ব্যাগ কাঁধে ঝুলিয়ে হাঁটা শুরু করলাম। পাশ থেকে মৃন্ময় বলল,
-“তোমায় খুঁজেছি আমি। আর এমন হুট করে উধাও হবেনা। আমাকে বলে তারপর উধাও হবে।”
-“আপনার পারমিশন নিয়ে চলতে হবে আমায়? আর একদিন আমার সাথে গু*ন্ডা*মি করতে এলে ঠ্যাং ভে*ঙে দেবো।”
মৃন্ময় প্রতিবাদ না করেই নিঃশব্দে হাসলো।
এরপর থেকেই আমি তার পা*গ*লা*মি লক্ষ করলাম। দিনরাত বাড়ির বাইরে বের হলেই সে আমায় বিরক্ত করতো। তবে বিরক্ত করার ধরণ পাল্টে গেলো। আগে দেখা হলে ঝা*মে*লা বাঁধতো, আর পরবর্তীতে তার পা*গ*লা*মি*তে বিরক্ত হতাম। আবেগের বয়স তো! বেশি সময় লাগলোনা। আমিও কয়েকমাসের মধ্যে গলে গেলাম। আমাদের মাঝে প্রণয়ের সূচনা ঘটলো। নতুন নতুন প্রেমে মজে এখানে ওখানে মৃন্ময়ের সাথে ঘুরে বেড়াতাম। বলতে গেলে পরিবার থেকে আমার ছিলো অপার স্বাধীনতা।
দুবছরের প্রেম। আমি সবে এইচএসসিতে কোনোভাবে পাশ করে বের হলাম। এডমিশনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। যদিও আমার রেজাল্ট দিয়ে কোন পাবলিকে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব ছিলোনা। রেজাল্ট খা*রা*প হওয়ায় হালকা বকা-ঝকা শুনেই নিজেকে পড়ালেখায় মনযোগী প্রমাণ করার চেষ্টা।
আমি সদ্য অনার্সে এডমিশন নেওয়া ছাত্রী, মৃন্ময় তখন অনার্স শেষ করে বের হলো।
আস্তেধীরে প্রেমের গভীরতা এতটাই বাড়লো যে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম বিয়ে করে নেবো।
সেভাবেই আমাদের প্রেমালাপ চললো। দুজন স্বামী-স্ত্রীর মতো। আমাদের মাঝে অনেক কিছু ঘটে গেলো। গভীর প্রেমের ছোঁয়ায় দুজনে সময় পেলেই একে অপরের উষ্ণতায় হারিয়ে যেতাম।
কয়েকমাস পর আমার মাঝে বেশ পরিবর্তন লক্ষ করলেন মা। খাওয়ায় অরুচি, যেখানে-সেখানে ঝিমিয়ে থাকা দেখে মা ডাক্তার দেখাতে নিয়ে গেলেন। অথচ আমি সূক্ষ্ম কারণ টুকু ধরতে পারলাম না।
ডাক্তার বলল,
-“আপনার মেয়ে প্রেগন্যান্ট।”
মা বিস্ফোরিত চোখে তাকালেন। তিনি খুবই বুদ্ধিমতী নারী। কোনরূপ প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে আমাকে নিয়ে বের হলেন। বারবার জিজ্ঞেস করলেন,
-“লিলি, ডাক্তার কী বলছে? তোমার কি কারও সাথে সম্পর্ক আছে? বা গোপনে বিয়ে করেছো?”
আমি কিছু বলতে পারলামনা। মা ভাবলেন এমন কিছু দেখে আমি হয়তো ঘাবড়ে গিয়েছি, তাই আমাকে ভরসা দিলেন। সত্যিই আমি ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। শুধু কারণটা মায়ের অজানা ছিলো। মা আমাকে বুকে টে*নে মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন,
-“ভ*য় পেওনা। মা’কে বলো কী হয়েছে? কলেজ থেকে আসা যাওয়ার পথে কোন দুর্ঘটনা ঘটেছে তোমার সাথে? যা তুমি সংশয়, লজ্জায় চেপে গিয়েছিলে?”
আমি কেঁদে কেঁদে মাথা নাড়ালাম। আমার সাথে এমন কিছুই ঘটেনি। তবে মৃন্ময় আর আমার ব্যাপারটাও চেপে গেলাম। মা থেমে থাকলোনা। আমাকে নিয়ে অন্য হসপিটাল গেলো। সেখানেও একই রিপোর্ট। রাস্তায় আর জিজ্ঞাসাবাদ হলোনা। বাইরে এসব জানাজানি হলে আমাদের মানসম্মত ধুলোয় মিশে যাবে। বলেছিলাম না মা বুদ্ধিমতী নারী। তাই বাইরে কোন ঝা*মে*লা করলেন না। বাসায় এসেও নানাভাবে আমার মুখ থেকে কথা বের করতে চাইলেন। কিছুতেই আমার মুখ থেকে মা কিছু বের করতে পারলেন না।
অনেকক্ষণ ধৈর্য ধরেও যখন কিছু করতে পারলেন না, তখন হাত চালালেন। মা*রে*র চোটে চিৎকার করে উঠলাম আমি। আপুর হাজবেন্ড ছিলো আমাদের বাসায়। তিনি সহ সবাই দৌঁড়ে এলেন। মায়ের হাত থেকে আমাকে ছাড়িয়ে জানতে চাইলেন এমন অমা*ন*বিক মা*র*ধ*রে*র কারণ।
রা*গে কাঁপতে কাঁপতে মা বললেন, “ও প্রেগন্যান্ট।”
উপস্থিত সবার মাথায় যেন বাজ পড়লো। আপু মায়ের কথাকে তুচ্ছ করে বলল,
-“কী যা-তা বলছো মা? লিলি কিভাবে প্রেগন্যান্ট হয়?”
মা সারাদিন আমাকে নিয়ে হসপিটালে কী কী করেছেন, সব বিস্তারিত জানাতেই বাবা এসে চ*ড় বসিয়ে দিলেন। কেউ যখন পারলোনা, আপু আমাকে অভয় দিলো। তাকে ধরে ঢুকরে কেঁদে ফে*ল*লা*ম। তাকে বিশ্বাস করে সব বললাম। আপু মুখ চেপে ধরে বললেন,
-“কিভাবে এমনটা করলি তুই?”
-“আমরা বিয়ে করবো, আপু।”
আপুও আমার গালে চ*ড় বসিয়ে দিলো। একটা ছেলে বিয়ের পর তোর কাছে যা পাবে, তা আগেই যদি পেয়ে যায় তাহলে বিয়ে করতে যাবে কেন? কোন সভ্য ছেলে-মেয়ে বিয়ের আগে এমন ব্যভি*চারে লিপ্ত হতে পারেনা। সেই ছেলেটা যতটা খা*রা*প, তুই তারচেয়ে বেশি খা*রা*প। নিজের ইজ্জত হেফাজত না করে বিলিয়ে দিয়েছিস। এতটাই উ*ন্মা*দ হয়ে গিয়েছিলি? তুই জানিস, স*স্তা মেয়েদের দিয়ে সবাই প্রয়োজন মেটায়। কিন্তু ভালোবাসেনা। তুইও নিজেকে স*স্তা বানিয়ে ফেলেছিস।
ফোন কর ছেলেটাকে। ফোন করে বল তুই প্রেগন্যান্ট।”
আপুর কথায় আমি মৃন্ময়কে ফোন করে জানালাম। সে প্রথমে ব্যাপারটা হেসে উড়িয়ে দিলেও পরবর্তীতে জানালো,
-“আমি কিছুই করতে পারবোনা।”
আমি হতবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
-”কিছু করতে পারবেনা মানে? মৃন্ময় সন্তানটাতো তোমারও।”
প্রত্যুত্তরে মৃন্ময় চেঁচিয়ে বলল,
-“ একদম চুপ। কিসের আমার সন্তান? কার না কার বাচ্চা পেটে ধরে আমার ওপর দো*ষ চাপাচ্ছো। একা কি আমার সাথেই থেকেছো?”
শ্বাসরুদ্ধ হয়ে এলো আমার। মৃন্ময়কে আমি চিনতে পারলামনা। এই মৃন্ময় আমার সম্পূর্ণ অচেনা।
এরপর যত ঝ*ড় বইলো, সব আমার উপর দিয়ে গেলো। মৃন্ময়য়ের বিরুদ্ধে কী নিয়ে অভিযোগ করবে সবাই? যেখানে সমান দো*ষী আমিও ছিলাম।
ম*র*তে গিয়েও পারলামনা। বাচ্চাটার জন্য বেঁচে গেলাম। কিন্তু সবাই বাচ্চাটাকে মা*রা*র জন্য উঠেপড়ে লাগলো। বাঁধা দিতে গিয়ে আমাকে প্রতিনিয়ত র*ক্তা*ক্ত হতে হয়েছে মায়ের কাছে। দুলাভাই ভালোমানুষ ছিলেন। আপুকে নিয়ে চাকরি সুবাধে কুমিল্লা থাকেন। তিনি সবাইকে বুঝিয়ে শুনিয়ে আমাকে তাদের সাথে নিয়ে গেলেন। কুমিল্লায় সবাই জানতো আমার বিয়ে হয়েছে। হাজবেন্ড প্রবাসী। শশুর শাশুড়ী কেউ নেই। তাই এই সময়টাতে আপুর কাছেই থাকছি। একটা ছেলে হলো আমার, নাম তন্ময়। যাকে সবাই এমনকি আপানারাও আপুর ছেলে হিসেবে চেনেন। দুলাভাই ট্রান্সপার হয়ে আপুকে নিয়ে চট্রগ্রাম চলে গেলেন। সাথে তন্ময়কে নিয়ে গেলেন। তাকে বড় করেছেও আপু। আমি বুকে পাথর চেপে আবারও পড়াশোনায় মন দিলাম। আমার ঘটনাটি যতই লুকিয়ে রাখতে চাইনা কেন, আশেপাশের মানুষ কিছুকিছু আন্দাজ করে আমাকে নিয়ে খা*রা*প ধারণা মনে পুষলেন। সরাসরি না বললেও পেছন থেকে সবাই বলতো “হ্যাঁ সেই মেয়েটাই”।
কোন বিয়ের সমন্ধ আসলেও বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই তারা রাস্তা থেকে বিদায় হতেন। এলাকার মানুষের মুখে মুখে সবটা শুনেই আর এগোতেন না।
হঠাৎ করেই আপনার মা মেজো ফুফির কাছে তার বড় ছেলের জন্য মেয়ে খুঁজলেন। ফুফিও স্বা*র্থ*প*র হয়ে আমাকে দেখালেন। যেহেতু দেখাশোনা ফুফির বাড়িতেই চললো। ঘরোয়া বিয়েটাও বাবা মা সেখানেই সারতে চাইলেন।
তারমাঝে আমার আর আপনার দেখা হলো। আপনার মুখে সবটা শোনার পর আমি বিয়েতে অমত পোষণ করি। বাবা রে*গে গিয়ে কারণ জানতে চাইলেন। আমি আপনার কথা বলে দিলাম।
আপনার মায়ের কানে আমার না করার কথা পৌঁছালো। তিনি সবাইকে কী কী বলে বোঝালেন। তাছাড়া আমার বাবা- মা নিজ থেকেই চাচ্ছিলেন আমি বিয়েটা করে নিই। একে একে সব বিয়েই তো বাড়ি আসার আগে ভে*ঙে যেত। তারা চা*প প্রয়োগ করলেন। এখনতো তন্ময়কে আপু নিজের ছেলে বলে বড় করছে, বিয়ে না করলে তাকে কোন এতিমখানায় দিয়ে আসবে।
মা আর আপু আমাকে বোঝালেন আপনার তো ডি*ভোর্স হয়েই গিয়েছে। নিজের অধিকার খাটালে সবটা ঠিক হয়ে যাবে। সবটা ভেবেচিন্তেই বিয়ে করলাম। নিজের অধিকারের জন্য লড়াই করলাম, কিন্তু আপনি?
সত্যিকারের ভালোবাসা বোধহয় এমনই হয়। এখনো ভুলতে পারলেন না স্ত্রীকে। তাকে পাওয়ার জন্য ম*রি*য়া হয়ে উঠলেন। ভালো থাকুন আপনারা, এই দোয়াই করি।”
দীর্ঘশ্বাস ফে*ল*লো রাহাত। রাশভারি গলায় বলল,
-“তোমার উচিত হয়নি বিয়ের আগেই একটা ছেলেকে এভাবে বিশ্বাস করা। বাবা-মা হিসেবে তোমাকে শা*স*ন করাতে আমি উনাদের ভুল কিছু দেখিনা। শুধু তুমি নও, বর্তমান যুগটাই এমন ক*লু*ষি*ত। নিজেদের দমিয়ে রাখতে না পেরে সস্তা প্রেমে গা ভাসিয়ে দেয়। ফলাফল যখন এমনটা হয়, তখন মেয়েটাকেই সবটা ভুগতে হয়।
যতটা মৃন্ময় তোমার শরীরটা উপভোগ করেছে, ততটা নিশ্চয়ই তুমিও করেছো! তফাৎ শুধু এতটুকুই, শা*স্তি তুমি পেলেও ছেলেটা বেঁচে গেলো।”
লজ্জায় অশ্রুসিক্ত চোখজোড়া নামিয়ে নিলো লিলি।
রাহাতের কথাগুলো মিথ্যা নয়। সে যদি সত্যিই চাইতো, তাহলে মৃন্ময়ের কাছ থেকে সরে আসতে পারতো। তার মতো এমন ব্যভি*চারে লিপ্ত হচ্ছে হাজার হাজার ছেলে-মেয়ে। আল্লাহকে ভ*য় না করে, কোন কিছুর পরোয়া না করেই ভালোবাসার মূল্যায়ন করে শুধু শরীর দিয়ে।
নেতিয়ে পড়তে চাইলো রাহাতের শরীরটা। আপাতত কিছু না বলেই সিঁড়ে বেয়ে নেমে গেলো। শরীরটাকে বিশ্রাম দেওয়া প্রয়োজন।
লিলি খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে জলকণায় গাল ভেজালো। একটা পা*প কিভাবে তার জীবন ধ্বং*স করে দিলো।
#চলবে…….
(রি-চেইক করা হয়নি।)