এক খণ্ড কালো মেঘ পর্ব -১৮

#এক_খণ্ড_কালো_মেঘ
#পর্ব_১৮
#নিশাত_জাহান_নিশি

“কে বলেছে ওয়ান সাউডেড লাভ ছিল হ্যাঁ? কে বলেছে? রাদিফ ভাইয়াও আমাকে ভালোবাসত! আমি তার চোখে-মুখে আমার জন্য সেই অসম্ভব ভালোবাসা দেখেছিলাম। মাঝখান থেকে প্রিয়া এসে সব ঘেঁটে দিয়েছিল! জানিনা কেন রাদিফ ভাইয়া আমাকে ছেড়ে তখন প্রিয়ার কাছে চলে গিয়েছিল।”

অয়ন্তীর কঠোর হাতের অসম্ভব ভারী ঘু’ষি’টা যদিও রাফায়াতের বুকে তীব্র ব্যথার ঝড় তুলেছিল তবে এই মুহূর্তে রাফায়াতের কাছে তা পানি-ভাত মনে হলো! এরচেয়েও কঠিন ব্যথা সে অয়ন্তীকে হারানোর পর পেয়েছিল। এখনো সেই ব্যথার রেশ তার বুকে বাঁধে। কেমন খচখচ করে। শান্তি খুঁজে পায়না যেন কোনো কিছুতেই। যদি ভেতরটা চিঁড়ে দেখানো যেত তবে হয়ত অয়ন্তী বুঝতে পারত তার না থাকায় রাফায়াতের কতটা নিঠুর হাল হয়েছিল। ভেতর থেকে কতটা ভেঙে পড়েছিল সে। যদিও মাঝখানে খুবই অযাচিত একটা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল সে! তবে নিতান্ত বাধ্য হয়েই সেই সম্পর্কে জড়ানো তার। সেই সম্পর্কে না ছিল কোনো টান, না ছিল কোনো ভালোবাসা, না ছিল কোনো মিছে মায়া। শুধু ছিল বাধ্যবাধকতা! যা তার পরিবার থেকেই ছিল ঠিক করা! জোরপূর্বক ঠিক করা।

আচমকা-ই রাফায়াত হু হা শব্দে হেসে উঠল। অয়ন্তীর দিকে ঈষৎ ঝুঁকে তার বিবর্ণ মুখমণ্ডলে হেয়ালি দৃষ্টি নিক্ষেপ করল। বিদ্রুপের স্বরে বলল,,

“সিরিয়াসলি অয়ন্তী তোমার মত বোকা মেয়েমানুষ আমি পৃথিবীতে দুইটা দেখি নাই! যে ছেলেটা একটা থার্ড পার্সনের জন্য তোমাকে এত ইজিলি ছেড়ে চলে গেছে আর তুমি কীনা আজও তাকে একইভাবে বিশ্বাস করে আসছ? ছেলেটা যে তোমার সাথে চিট করেছে তার কোনো আইডিয়া আছে তোমার? একটা বিশ্বাসঘা’ত’ক, চি’টা’র, ল’ম্প’ট ছেলের জন্য তুমি আজও কেঁদে যাচ্ছ অয়ন্তী? এত আবেগ কোত্থেকে আসে তোমার বলো তো?”

দম নেওয়ারও কিঞ্চিৎ সময় পেলোনা রাফায়াত। ইতোমধ্যেই অয়ন্তী এসে রাফায়াতের গলার টু’টি চে’পে ধরল! চোখদুটো অসম্ভব লাল করে সে কঠিন গলায় রাফায়াতকে শাসিয়ে বলল,,

“জিভ কেটে নিব আপনার বুঝেছেন? রাদিফ ভাইয়া সম্পর্কে যদি আর একটা বাজে কথা বলেছেন তো! উনি চি’টার হোক ল’ম্প’ট হোক কিংবা লা’য়ার হোক এতে আপনার কী হ্যাঁ? উনার কোনো খোঁজ আপনি দিতে পারবেন না আমাকে ডিরেক্টলি বলে দিয়েছেন তো। তো আর কী? এভাবে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে উনার সম্পর্কে বাজে কথা বলার তো কোনো মানে হয়না তাইনা?”

এক ঝটকায় রাফায়াত তার গলা থেকে অয়ন্তীর শক্ত হাতটা সরিয়ে নিলো। অয়ন্তীর সেই হাতটা পুনরায় সে প্যাঁচিয়ে ধরল! চোঁয়াল উঁচিয়ে বলল,,

“তাহলে অনিক সম্পর্কে কিছু বাজে কথা বলি হ্যাঁ? শুনবে তো তুমি? বলো শুনবে?”

হাতটা ছাড়ানোর নূন্যতম বৃথা চেষ্টা করল না অয়ন্তী! মুখ চেপে ব্যথা সহ্য করল। অকপটে বলল,,

“আমি জানি অনিক ভাই বাজে! কথাবার্তার ছাঁট ভালো না তার। খুবই উগ্র মেজাজের আর ডানপিটে স্বভাবের উনি। তবে আপনার সাথে উনি কী বাজে কাজ করেছে আমি জানিনা। এক্ষেত্রে কিন্তু আপনিও কম যান না! দুজনই সমান। হয়ত কোনো ব্যাপার নিয়ে আপনাদের মধ্যে কোনো ঝগড়া হয়েছে। যেহেতু অনিক ভাইয়াও চট্টগ্রাম থাকে।”

অয়ন্তীকে থামিয়ে দিলো রাফায়াত। হাতটাও ঝট করে ছেড়ে দিলো। মুখশ্রীতে তেজী ভাব ফুটিয়ে তটস্থ গলায় প্রশ্ন ছুড়ল,,

“অনিক তোমাকে ঠকাচ্ছে তুমি জানো?”

“মানে?”

“অন্য কারোর উডবির সাথে অনিকের ফিজিক্যাল রিলেশন ছিল! শুধু তাই নয়, রিলেশন চলাকালীন সময়ে মেয়েটা প্রেগনেন্ট অবধি হয়েছিল! দিনের পর দিন তারা দুজন মিলে মনের দিক থেকে ভেঙে যাওয়া ঐ ছেলেটিকে আরও নিগূঢ়ভাবে ভেঙে দিচ্ছিল। এমনকি তার পরিবারকেও ইকুয়েলি ঠকাচ্ছিল!”

বিছানায় ধপ করে বসে পড়ল অয়ন্তী! মাথায় হাত চলে গেল তার। চোখে-মুখে প্রখর উৎকণ্ঠা ভাব। গলা শুকিয়ে পুরো কাঠ। অবিন্যস্ত দৃষ্টি ফেলে সে রাফায়াতের দিকে তাকালো। শুষ্ক গলায় প্রশ্ন ছুড়ল,,

“যা বলছেন আপনি সব সত্যি বলছেন তো?”

“হ্যাঁ সত্যি। আমি চাইলে মেয়েটির মেডিকেল রিপোর্টও তোমাকে দেখাতে পারি।”

“মেমেমেয়েটি কে?”

“এসব তোমাকে জানতে হবেনা! শুধু জেনে রাখো অনিক তোমার জন্য পার্ফেক্ট নয়৷ তাকে বিয়ে করার মত বোকামী তুমি করো না প্লিজ। আর তাকে যেভাবে অন্ধের মত বিশ্বাস করো না? সেই বিশ্বাস করাটাও আজকের পর থেকে ছেড়ে দাও! টাকা-পয়সা, সম্পত্তি, ব্যাংক-ব্যালেন্স, বিজনেস নিজেদেরটা এবার থেকে নিজেরাই বুঝে নাও।”

“তাহলে কী আমি ধরে নিব সেই ছেলেটা আপনি? আপনার উডবির সাথে এমন কিছু হয়েছিল?”

“হ্যাঁ ধরতেই পারো! আমি তো নিষেধ করছিনা তাইনা?”

“এমনি এমনি তো আমি সবকিছু বিশ্বাস করতে পারিনা মিস্টার রাফায়াত। কারণ, আপনাকে তো আমি চিনিই না! প্রুফ লাগবে আমার। আপনার উডবির সাথে আমি দেখা করতে চাই!”

অয়ন্তীর দিকে আরও দু’কদম হেঁটে এলো রাফায়াত। বিভৎস চাহনিতে অয়ন্তীর কান্না সিক্ত মুখমণ্ডলে তাকালো। কিছুক্ষণ সেই একই দৃষ্টিতেই তাকিয়ে রইল। অতঃপর অয়ন্তীর থেকে দৃষ্টি সরিয়ে সে ক্ষীণ কণ্ঠে বলল,,

“আমার গার্লফ্রেন্ডকে দেখলে তুমি সহ্য করতে পারবেনা! ম’রে যাওয়ার মত অনুভূতি হবে তোমার! তাই দেখা না করাটাই ভালো।”

“মানে? বুঝলাম না আপনার কথা?”

অয়ন্তীকে ডিঙিয়ে ব্যাগ থেকে খাবারের বক্সগুলো বের করল রাফায়াত। প্রসঙ্গ পাল্টে মলিন স্বরে বলল,,

“খাবারগুলো ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে খেয়ে নাও।”

জায়গা থেকে ওঠে এলো অয়ন্তী। খাবারের বক্সে থাকা রাফায়াতের হাতটা সে শক্তভাবে চেপে ধরল। রাফায়াত চোখ উঠিয়ে অয়ন্তীর দিকে তাকাতেই অয়ন্তী একরোঁখা গলায় বলল,,

“আপনার গার্লফ্রেন্ডকে আমি দেখতে চাই মিস্টার রাফায়াত। তার সাথে কথা না বললে আমি শিওর হতে পারবনা অনিক সম্পর্কে আপনি যা বলেছেন আদোতে সব সত্যি বলেছেন নাকি মিথ্যে বলেছেন।”

রাফায়াত তার রাগ শান্ত করল। অয়ন্তী যেভাবে জেদ ধরে বসে আছে তার শর্ত মেনে না নিলে এই মুহূর্তে সে কিছুই মুখে তুলতে চাইবেনা। এমনিতেও মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছেনা অয়ন্তীর। ক্ষুধায় তাড়নায় মুখটা কেমন নেতিয়ে পড়েছে। তাকানো যাচ্ছেনা এই চুপসে যাওয়ার মুখের দিকে। তাই রাফায়াত নরম স্বরে অয়ন্তীকে বলল,,

“ওকে। দেখা করাব নে। এখন খেয়ে নাও।”

রাফায়াতের মুখের কথা বিশ্বাস করে নিলো অয়ন্তী। ফ্রেশ হওয়ার জন্য ওয়াশরুমে চলে গেল সে। পিছু ঘুরে পুনরায় সে কেমন যেন মন খারাপের দৃষ্টিতে রাফায়াতের দিকে তাকালো। ভরাট গলায় বলল,,

“আপনার কপালটাও হয়ত আমার মতই মিস্টার রাফায়াত। যাকে আমরা মন থেকে ভালোবেসেছি তারা প্রত্যেকে আমাদের মন থেকে ভেঙে দিয়েছে! ঠকিয়েছে তারা আমাদের। অন্য কারোর মিছে মায়ায় পরে তারা সত্যিকারের ভালোবাসাদের পায়ের তলায় পি’ষে দিয়েছে!”

চোখের কোণে রাশি রাশি জল নিয়ে অয়ন্তী ওয়াশরুমে ঢুকে পড়ল। অয়ন্তীর যাওয়ার পথে রাফায়াত করুন দৃষ্টি নিক্ষেপ করল। ভেতর থেকে কেমন যেন ফুঁপানোর আওয়াজ বের হয়ে এলো তার! নিচু গলায় সে বলল,,

“প্রিয়া আমার জন্য বাজি ছিল অয়ন্তী! মোটেও ভালোবাসা ছিলনা। আমি তখনও বুঝতে পারিনি অনিক কেন সেদিন এই অদ্ভুত বাজিটা আমার সাথে ধরেছিল! তোমার থেকে আমাকে আলাদা করার জন্যই অনিক সেদিন সিক্রেটলি বাজিটা ধরেছিল অয়ন্তী। যা কেউ কখনো জানতেও পারেনি! বিলিভ মি অয়ন্তী, আমি বুঝতে পারিনি শেষ অবধি যে এই বাজিতে আমি-ই দুদিক থেকে হেরে যাব! অনিকের সাথে আমার কীসের শত্রুতা ছিল তা আমি আজও ধরতে পারিনি অয়ন্তী। তবে কী বন্ধুদের বিশ্বাস করাটাই বোকামী?”

,
,

বাড়ির ড্রয়িংরুমে মাথা নুইয়ে বসে আছে প্রিয়া। তার আশেপাশে রাফায়াতের গোটা পরিবার এবং রাফায়াতের সব বন্ধুরাও রয়েছে। চঞ্চল আগে থেকেই সবাইকে বারণ করে রেখেছে রাফায়াত যে তার সাথে করে অয়ন্তীকে নিয়ে এসেছে এই খবরটা যেন প্রিয়ার কানে কোনোভাবেই না যায়! এতে রাফায়াতের ক্ষতি হতে পারে। চঞ্চলের কথা কোনো উজোড় ছাড়াই মেনে নিলো সবাই। এমন ভান ধরল যেন তারা এই বিষয়ে কিছুই জানেনা।

রাফায়াতকে খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত হয়ে উঠল প্রিয়ার চটপটা চোখ গুলো! এদিক-ওদিক সূক্ষ্মদৃষ্টি ফেলে প্রিয়া অবশেষে শায়লা মির্জার দিকে তাকিয়ে জোরপূর্বক হাসল। সন্দিহান গলায় প্রশ্ন ছুড়ল,,

“খালামনি? রাফায়াত না এসেছিল? কোথায় সে?”

গলা ঝেড়ে কাশলেন শায়লা মির্জা। পায়ের উপর থেকে পা তুলে তিনি সোজা হয়ে বসলেন। কোনো রকম ভনিতা ছাড়াই তিনি সাধাসিধা গলায় বললেন,,

“আর বলিস না প্রিয়া। ছেলেটা এসেই যেন কোথায় একটা বের হয়ে গেল। কিছু বলেও গেলনা। হয়ত কোনো কাজে বের হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসবে।”

“আমি আর হোস্টেলে থাকব না খালামনি! ভাবছি আবারও এই বাড়িতে শিফট হয়ে যাব। কিছুদিন বাদেই তো রাফায়াতের সাথে আমার বিয়ে! তাই ভাবছি এখন থেকেই এই বাড়িতে থাকি। কী বলো তুমি?”

ক্ষণিকের মধ্যেই যেন খুশি হয়ে গেলেন শায়লা মির্জা! আহ্লাদে আটখানা হয়ে বললেন,,

“আমিতো সেই কবে থেকেই এটাই চাইছিলাম প্রিয়া। তুই-ই তো সেদিন জোর করে হোস্টেলে শিফট হয়ে গেলি। ভালোই হলো বল? এবার থেকে তুই আবারও আমাদের সাথে থাকবি। আর কোনো এক্সট্রা টেনশান থাকবেনা আমার তোকে নিয়ে।”

সাপের পাঁচ পা যেন দেখে গেল প্রিয়া! চিন্তিত চঞ্চলের দিকে সে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করল। অট্ট হেসে ইশারায় বুঝালো,,

“রাফায়াতের থেকে কেউ তাকে আলাদা করতে পারবেনা!”

শুকনো ঢোঁক গিলল চঞ্চল। কখন সে রাফায়াতকে খবরটা জানাবে সেই চিন্তায় ব্যাকুল হয়ে উঠল। চঞ্চলের সংকুচিত মুখমণ্ডলের তাকিয়ে প্রিয়া বেশ বুঝতে পারল চঞ্চল ঠিক কোন দুঃশ্চিন্তায় এতটা উদগ্রীব হয়ে আছে! মিসেস শায়লা মির্জা তো এতদিন পর উনার ছোটো বোনের মেয়েকে কাছে পেয়ে খুশিতে প্রায় আত্নহারা হয়ে গেছেন! প্রিয়া হলো মিসেস শায়লা মির্জার ছোটো বোনের মেয়ে। প্রিয়ার যখন পাঁচ বছর বয়স তখন তার বাবা একটি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। সেই খবরটা শোনার সাথে সাথেই প্রিয়ার মা হার্ট স্ট্রোক করেন! সেই থেকেই প্রিয়া মিসেস শায়লা মির্জার কাছে কোলে-পিঠে হয়ে মানুষ হয়েছে। প্রিয়ার থাকা, খাওয়া, পড়ালেখার যাবতীয় খরচ এমন কী ভরণ পোষণের দায়িত্বও তিনি একা সামলাচ্ছেন।

কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়ির সবার সাথে খাবার দাবার খেয়ে প্রিয়া দ্রুত পায়ে হেঁটে তার রুমের দিকে রওনা হলো। মূলত খাবার খাওয়ার মাঝখানেই তার ফোনে একই নাম্বার থেকে প্রায় অনেকগুলো কল চলে এসেছিল। সবার সামনে সেই কলটি কোনোভাবেই তুলতে পারছিলনা প্রিয়া! সে কারণেই বস্তুত এত দ্রুত কদমে তার রুমের দিকে হেঁটে যাওয়া। রুমে ঢুকেই দরজাটা ভেতর থেকে বন্ধ করে দিলো প্রিয়া। পাগল পাগল হয়ে সামনের ছোটো ছোটো চুলগুলো পেছনের দিকে ঠেলে দিলো। মুখশ্রীতে কেমন যেন রাগী ভাব ফুটিয়ে তুলল। তটস্থ গলায় কলটা তুলে বলল,,

“হ্যাঁ বলো? কী সমস্যা তোমার হ্যাঁ? এতবার কল করছিলে কেন?”

ফোনের ঐ প্রান্ত থেকে অনিক রাগে ফোঁস করে উঠল! হিং’স্র বা’ঘের ন্যায় আ’ক্রমনাত্নক অবস্থা তার। হাতে থাকা বি’য়া’রের বোতলটি সে টেবিলের উপর আছাড় মে’রে ভাঙল! তেজস্ক্রিয় গলায় প্রশ্ন ছুড়ল,,

“রাফায়াত কোথায় বল?”

“একবার বলেছি না? রাফায়াতের কোনো খোঁজ আমি তোমাকে দিতে পারব না? কানে যায়নি কথাটা? নতুন করে আবার বলতে হবে?”

“ফর দ্যা গড সেইক প্রিয়া। আমার মাথাটা আর গরম করিসনা। এমনিতেই আমি অয়ন্তীর কোনো খোঁজ-খবর পাচ্ছিনা। মেয়েটা কোথায় আছে, কী করছে, কার সাথে আছে কিছুই জানিনা। টোটালী পাগল পাগল লাগছে আমার। টেনশানে মাথাটা ফেটে যাচ্ছে। এখন যদি অয়ন্তীর বদলে তোকে বা রাফায়াতকে সামনে পাইনা? তবে কিন্তু ডিরেক্ট তোদের আমি খু”ন করে ফেলব!”

#চলবে…?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here