“এখনো_ভালোবাসি”
|ইয়াসমিন তানিয়া|
| পর্ব-৬|
আসমা বেগম মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে।খুব টেনশনের মধ্যে আছে উনি,কি করবে এখন।
একটু আগে নীলিমার মায়ের সাথে কথা বলে জানতে পারলো,নীলিমা নাকি বিয়ের কথা জানতে পেরেই নূর ভিলার দিকে রওয়া দিয়েছে।যে কোনও সময় মেয়েটি এসে পড়বে।
–আর আসলেই প্রশ্নের জুড়ি চুড়ে মারবে আমার দিকে।কি করবো।কি বলবো।কেনো যে ছেলেকে জোড় করলাম,এখন নিজের কপাল নিজেই চাপড়াচ্ছে আসমা বেগম।
“আয়ন ঘুম থেকে জেগে দেখে প্রিয়ু বিছানায় নেই।এদিক ওদিক তাকিয়েও পেলো না।কোথায় গেলো এই মেয়ে?
-হঠাৎ ওয়াসরুমের দরজা খুলার শব্দে আয়ন সেদিকে তাকালো।প্রিয়ু মাত্রই শাওয়ার নিয়ে বের হলো।মাথার ভেজা চুলগুলো তোয়াল দিয়ে পেছিয়ে রেখেছে।
-প্রিয়ুকে দেখে আয়নের মনে হলো সদ্ম ফোটা কোন পদ্ম ফুল।যা আজ ওর জন্যই ফুটে সুবাশ ছড়াচ্ছে আয়নের মনের বাগানে।”
–প্রিয়ু আয়নকে দেখেও না দেখার ভান করে বারান্দায় চলে গেলো।
-প্রিয়ুর এই অভিমানে চাওনিটাও, আয়নের লাগছে আজ বেশ।
-প্রিয়ু মাথার তোয়ালটা খুলে চুলগুলো ভালো করে ঝেড়ে নিলো।
” হঠাৎ প্রিয়ুর মনে হলো পিছনে কেউ দাঁড়িয়ে আছে।
প্রিয়ু ঘুড়ে তাকালে ভূত দেখার মতো চমকে যায়।কারন সত্যি আয়ন দরজায় হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে প্রিয়ুকে দেখছে।
আ আআপনি এখানে কি করেন।”
–আয়ন কিছু না বলে,প্রিয়ুর দিকে আগাতে লাগলো।
“আয়নের আগানো দেখে প্রিয়ু পিছনে যেতে নিলে বারান্দার গ্রিলে সাথে বাধা খায়।”
–আয়ন প্রিয়ুর দুপাশে হাত রেখে প্রিয়ুর দিকে ঝুকে,প্রিয়ুর ভেজাচুলের মিস্টি ঘ্রান টা নিতে লাগলো।
আবেশে প্রিয়ুও চোখদুটো বন্ধ করে ফেললো।কেনো জানি আয়ন এখন কাছে আসলে,প্রিয়ুর শরীরে আলাদা একটা কোম্পন হয়,যা আগে কখনো হয়নি।
কিন্তু কেনো?
‘প্রিয়ু বুঝতে পারছে না।অথচ এই আয়নকে কতোবার প্রিয়ু জরিয়ে ধরেছে।কতোবার পাশাপাশি বসে ঘন্টার পর ঘন্টা গল্প করেছে আগে।হাত ধরে হেটেছে।
অথচ এখন এই আয়নের স্পর্শেই না চাইতেও কেনো জানি পুরো শরীরে শিহরণ জেগে উঠে।কেনো এমন হয়, প্রিয়ু কিছুই বুঝতে পারছে না।’
–প্রিয়ুর ধ্যান ভাঙ্গে আয়নের প্রশ্নে,
“এতো সকাল সকাল উঠে গোসল কেনো করেছিস।আমাদের মাঝে কি রাতে গোসল করার মতো কিছু হয়েছে।প্রিয়ুকে টোন মারছে আয়ন।একটু জ্বালাবার জন্য।”
–আয়নের এমন প্রশ্নে প্রিয়ু একটু হচকিয়ে উঠে।এটা কেমন কথা।আমি প্রতিদিনই সকালে গোসল করি।এটা আমার অভ্যাস।
‘-আয়ন মুচকি হেসে,প্রিয়ুর গালে একটা কিস করে।তাহলে তো আমার চান্দ কপাল।তোকে প্রতিদিন আদর করতে পারবো।কি বলিস।’
–প্রিয়ু সাথে সাথে আয়নকে ধাক্কা দিয়ে সরাতে নিলে,আয়ন প্রিয়ুর হাত দুটো পেছনের দিকে বেকিয়ে প্রিয়ুকে নিজের কাছে টেনে আনে।
আরেক হাতে প্রিয়ুর চুলগুলো আঁকড়ে ধরে,ঠোঁট দুটোও নিজের দখলে নিয়ে নেয়।
“প্রিয়ুতো অবাকের চরম সীমায়।এই লোক ব্রাশ ছাড়াই আমাকে কিস করছে।ছিঃ প্রিয়ুর মনে শুধু এই একটি প্রশ্নই বাজছে।”
–আয়ন যখন দেখলো প্রিয়ুর নিশ্বাস নিতে কস্ট হচ্ছে তখনি ছেড়ে দিলো।
প্রিয়ু ছাড়া পেয়ে জোড়ে জোড়ে নিশ্বাস নিতে লাগলো।
“অসভ্য লোক,হাত ছাড়ুন আমার।সাহস কি করে হলো আমাকে কিস করার।আমি না বলেছি আমার থেকে দূরে থাকতে।তাও আবার আমার কাছে আসেন কেনো।”
–প্রিয়ুর এমন ত্যাড়া কথায় আয়ন একটু চটে গেলো,তাই প্রিয়ুর চুলটা আবার আঁকড়ে ধরে আবার সেকেন্ড রাউন্ড শুরু করলো।
তবে এবার খুব রুডলি ভাবে কিস করছে।
“প্রিয়ু বুঝে গেলো,সে আয়নকে রাগিয়ে দিয়েছে।
প্রিয়ুতো ভুলেই গিয়েছিলো আয়ন রাগলে তারই উপর সব রাগ ঝাড়বে।সইতে না পেরে প্রিয়ু এবার কেঁদেই দিলো।”
–আয়ন প্রিয়ুকে ছেড়ে,এক ধমক মারলো।দাঁতেদাঁত চেপে বললো,চোখ দিয়ে একফোটা পানি যদি আর বের হতে দেখি,তাহলে আদরের ডোজ কিন্তু আরো বাড়িয়ে দেবো।
“প্রিয়ু ভয়ে নিজের ঠোঁট কামড়িয়ে ধরলো,কান্না থামানোর জন্য।”
–আর আয়ন প্রিয়ুর কাধে রাখা তোয়ালটা নিয়ে,ওয়াসরুমে চলে গেলো।
“আয়নকে ওয়াসরুমে ডুকতে দেখে,প্রিয়ু মনের মধ্যে যতোগালি আছে সব আয়নকে করতে লাগলো।কিন্তু আফসোস প্রিয়ুর গালির ভান্ডারে খুব কম সংখ্যক গালি স্টোক ছিলো।”
____________
প্রিয়ু ড্রয়িংরুম এ আসমা বেগমের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।এই মহিলাটিকে প্রিয়ু এমনেই ভয় পায়।তার উপর এখন তারই সামনে স্ট্যাচু হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা খুবই যন্ত্রনা দায়ক।
“আসমা বেগম আড় চোখে প্রিয়ুর দিকে একবার তাকালো।আর প্রিয়ুকে এভাবে দেখেই কিছুটা ভড়কে যায় উনি।
-এসব কি পরেছো তুমি।”
–আসমা বেগমের কথা শুনে প্রিয়ু নিজের দিকে একবার তাকালো,কালো রং এর একটা থ্রীপিস পরে আছে প্রিয়ু।মনে মনে ভাবছে সব তো ঠিকই আছে।
তাহলে!
“আসমা বেগম প্রিয়ুর সামনে এসে,বাড়ীর বউ তুমি,তা আবার যার তার না।আয়ন মাহবুব এর।মানে বুঝো এটার।সোসাইটিতে ওর একটা নামধাম আছে,আমি চাই না তোমার কারনে তা নষ্ট হোক।স্বামীর সম্মানের দিকেও তোমার খেয়াল রাখতে হবে।
আর তুমি বিয়ের পরের দিনই কালো পোশাক পরে এভাবে ঘুড়ছো।দেখে তো মনে হচ্ছে শোক পালন করছো।”
–প্রিয়ু নিশ্চুপ।
“আগে কিভাবে চলেছো,সেটা এখন আর দেখার বিষয় না।এখন এই বাড়ীতে থাকতে হলে তোমাকে এই বাড়ীর কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে।তোমারতো আবার আদেশ নিশেধ এ এলার্জি আছে।
যেটা তোমাকে মানা করা হয় ওটাই ভালো করে করতে পারো।আল্লাহই জানে কি দেখে আমার ছেলে তোমার এতো দিবানা হয়েছে।আসমা বেগম দীর্ঘ একটা শ্বাস ছেড়ে..
যাই হোক এসব বলে এখন আর লাভ নেই।আমি কি বলেছি নিশ্চয়ই মগজে ডুকিয়ে নিয়েছো।দ্বিতীয় বার আর জাতে আমার বলতে না হয়।মনে রাখবে।”
–প্রিয়ু শুধু মাথা নাড়ায়।
“মায়াকে ড্রয়িংরুমে আসতে দেখে আসমা বেগম, মায়াকে বললো মায়া তুই ওকে নিয়ে গিয়ে একটা শাড়ী পড়িয়ে আমার ঘরে নিয়ে আসতো।”
–মায়ের কথামত মায়া প্রিয়ুকে নিজের ঘরে নিয়ে,একটা জাম কালারের শাড়ী পড়িয়ে আসমা বেগমের রুমে নিয়ে গেলো।
“আসমা খাটের উপর বসে ছিলো,হাতে একটা বাক্স নিয়ে।”
–প্রিয়ুকে আসতে দেখে নিজের কাছে বসতে বললো।
প্রিয়ুও ভদ্র মেয়ের মতো আসমা বেগমের কাছে এসে বসলো।
বক্স থেকে একজোড়া স্বর্ণের চুড়ি,চেইন, কানের দুল বের করে পড়িয়ে দেয় প্রিয়ুকে।
“প্রিয়ু ব্যাচারী তো শোকড!তার ফুফুর এমন রুপ দেখে।কারন প্রিয়ুর এই বাসায় আসাও যে পছন্দ করতো না,আজ সেই প্রিয়ুকে এসব দিচ্ছে।
–এসব খুলবে না।এই বাড়ীর বউ এমন ফকিরের মতো গুড়লে,মান সম্মান সব শেষ হয়ে যাবে আমাদের।
আমাদের একটা স্ট্যাটাস আছে,তোমাকেও এখন সেটা ম্যাইন্টেন করে চলতে হবে।বুঝলে।
“প্রিয়ু এবারও কিছুই বললো,না।শুধু মাথা নাড়ালো।”
–হঠাৎ ড্রয়িং রুম থেকে চিল্লাচিল্লির শব্দ শুনতে পেলো ওরা।আসমা বেগমের বুঝতে কস্ট হলো না,কে চিৎকার করছে।তাই দ্রুতো পায়ে সে ড্রয়িংরুমের দিকে পা বাড়ালো।
“আয়ন, আন্টি কোথায় তোমরা।আন্টি ইইই।”
–আসমা বেগম নীলিমাকে দেখেই জরিয়ে ধরতে নিলো,কিন্তু নীলিমা সরে দাঁড়ালো।
“স্টোপ আন্টি।এসব ঢং এখন আর করতে হবে না।আয়ন কোথায়? ওকে ডাকুন।ও কিভাবে পারলো আমার সাথে এমন করতে।আই সোয়ার আন্টি,এর পরিণাম কিন্তু ভালো হবে না।”
–প্রিয়ু ও মায়াও ড্রয়িংরুমে এসে দাঁড়ালো।প্রিয়ু মেয়েটির দিকে তাকিয়ে দেখছে,কারন নীলিমা দেখতে কম সুন্দর না,যেমন সুন্দর তেমন তার এটিটিউড। আয়নদার সাথে একদম পার্ফেক্ট মানাতো।এতো সুন্দর হুল পরী ছেড়ে আমার মতো কামের ছেড়ি কে কেনো যে পছন্দ করে আমি এটাই বুঝি না।হিসেব করে দেখতে গেলে আমি আয়নদার কোনও দিক দিয়েও যোগ্য না।
“নীলিমার চোখ গেলো,মায়ার সাথে দাঁড়িয়ে থাকা প্রিয়ুর দিকে।প্রিয়ুকে প্রথম দেখাতেই নীলিমা চিনে ফেললো।”
হে ইউ,তুমি!
–প্রিয়ু বিস্ময় চোখে চেয়ে বললো,আমি!
“ইয়া তুমি!তুমিই নিশ্চয়ই প্রিয়ু।প্রিয়ুকে খুটিয়ে দেখে নিলো একবার নীলিমা।”
–প্রিয়ু মাথা নাড়িয়ে হ্যা বললো।
“ও তাহলে তোমার জন্যই আয়ন আমাকে রিজেক্ট করেছে।আমিতো ভেবে ছিলাম আয়নের পছন্দ অত্যন্ত হাই ক্লাশ হবে।কিন্তু তোমাকে তো এই বাড়ীর কাজে……
–নীলিমা স্টোপ!নীলিমাকে আর বলতে দিলো না মায়া।কি বলছো এসব।আর ইউ লস্ট অফ ইউর মাইন্ড।আয়ন জানতে পারলে জানো কি হবে।
“জানার জন্য আপনার ভাইকে আমার সামনে আসতে তো হবে।বাট এখনো দেখতে পেলাম না,কোথায় লুকিয়ে আছে।”
–লুকিয়ে কিছু করার স্বভাব আয়নের নেই নীলিমা।আয়ন সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে বলছে।
কি সমস্যা নীলিমা। সকাল সকাল বাড়ীতে এসেই এমন চিৎকার শুরু করেছো কেনো।এনি প্রোবলেম।
বাই দা ওয়ে তোমার মিটিং কেমন হলো।আই হোপ তোমাকে ভরসা করে মিটিং এ পাঠানোর কিছু সুফল পাবো আমরা।তুমি কি বলো।
“আয়ন কথা গুড়াবার চেস্টা করবে না,তুমি আমার সাথে এমন কিভাবে করলে।আমার সাথে এংগেজমেন্ট করে তুমি অবশেষে এই মেয়েকেই বিয়ে করলে।এটা সম্পূর্ণ চিটারি করা হলো আমার সাথে।”
–আয়ন মুচকি হেসে,দেখো নীলিমা আমি তোমাকে কূয়াতে ঝাপ দিতে বলিনি।মানা করা সত্যেও তুমি নিজেই ঝাপ দিয়েছো।এখন নিজের কর্মের ফল তুমি নিজেই পাবে এতে আমার কি করার আছে বলো।তুমি শুরু থেকেই জানতে আমি প্রিয়ুকে ভালোবাসি।তবুও আমার সাথে এংগেজমেন্ট করার জন্য পাগল হয়ে গিয়েছো।আমি তখন তোমার আর আমার মায়ের জন্য সেই নাটকটা করতে বাধ্য হয়েছি।আমাদের মধ্যে কিছু হওয়ার সম্ভাবনা কখনই ছিলো না।তাই এখানে সিনক্রিয়েট না করে বাসায় যাও।রেস্ট নেও কাল অফিসে কথা হবে।
“নীলিমা জানে আয়নের সাথে পারবে না,তাই আসমা বেগমকে গিয়ে ধরলো।
কি হলো আন্টি এখন কি মুখে খই ভরে রেখেছেন।কিছু বলছেন না কেনো।আপনে আমাকে কথা দিয়ে ছিলেন। আয়নের বউ আমিই হবো।কিন্তু আজ দেখি আপনে কিছুই বলছেন না।কেনো?”
–দেখ মা,আমি মানছি সব দোষ আমার।কিন্তু বিয়ে যখন হয়ে গিয়েছে তখন আর কি করার আছে।সংসার আয়ন করবে,ও যখন খুশি আমার কিছুই করার নেই নীলিমা।তুমিও মেনে নেও।আমরা সবাই বিয়েটা মেনে নিয়েছি।
“বাহ!আপনে দেখি অনেক ফাস্ট। মুহুর্তেই রং বদলিয়ে ফেললেন।নীলিমা প্রিয়ুর দিকে একবার তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রাগে সেখান থেকে চলে গেলো।”
_________
প্রিয়ু রুমে বসে সেই কখন ধরে কিছু একটা নিয়ে ভাবছে।আর আয়নও তখন কিছু জরুরি ফাইল নিতে আসে রুমে।প্রিয়ুকে এভাবে চিন্তায় মগ্ন দেখে আয়নও ভাবতে লাগলো,এখন জানি কি শায়তানি বুদ্ধি আঁকছে এই মেয়ে আল্লাহই জানে।
–ফাইলগুলো ব্যাগে ভরতে ভরতে প্রিয়ুকে উদ্দেশ্য করে বলে,আমি অফিসে যাচ্ছি প্রিয়ু।তুই প্লিজ ভালো মতো থাকিস।আর উল্টাপাল্টা সব চিন্তা মাথা থেকে জেরে ফেল।আমি জানি তোর মাথায় সব আজগুবি চিন্তা ছাড়া কিছুই আসে না।
“প্রিয়ু আয়নের কথার জবাব না দিয়ে,উল্টো আয়নকে প্রশ্ন করলো।নীলিমা মেয়েটা অনেক সুন্দর।একদম দেখতে হিরোয়নদের মতো।তুমি ওকে বিয়ে করলেই তো পারতে।তোমার সাথে খুব মানাতো আয়নদা।”
–আয়ন এতোক্ষন দাঁড়িয়ে প্রিয়ুর কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনছিলো।
এবার প্রিয়ুর সামনে এসে দুহাতে প্রিয়ুর মুখটা ধরে বললো,ওকে কিভাবে বিয়ে করি বলতো।মন তো আমি তোকে দিয়ে দিয়েছি।আর মন ছাড়া মানুষের দেহের কোনও মূল্য নেই।
আমার সারাবেলা যখন তোকে নিয়ে,তখন আমার অবেলার সাথী আমি নীলিমা কে কিভাবে বানাবো।
-আমার কথাগুলো তুই আজ বুঝবি না,হয়তো আমার কোনও কথাই তোর এখন ভালো লাগবে না।কিন্তু আমার বিশ্বাস একদিন তুইও আমাকে ভালোবাসবি আমার থেকেও বেশি।
আয়ন প্রিয়ুর কপালে একটা চুমো দিয়ে চলে গেলো।
আর প্রিয়ু এখনো আগের মতোই বসে আছে।
চলবে……।
❌গল্পটি কপি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।