#কল্পনায়_হলেও_শুধু_আমারি_থেকো💖
#লেখিকা-লামিয়া রহমান মেঘলা
#পর্ব_১১
মেঘ বিপদে,
–বাট স্যার ম্যাম কে ত,
–বাসার দিকে অগ্রসর হও জলদি।
ওরা আমার স্ত্রী কে মেরে ফেলবে।
আমান চিৎকার করে বলে সবাই আমানের কথায় দ্রুত নিজেদের অবস্থান ঠিক করে।
আমান এর গাঠি তার একটা গার্ড চালায়,
আমান পেছনে বসে,
ড্রাইভ করার মতো অবস্থা নেই তার,
,
,
এদিকে,
মাথায় হাত দিয়ে চোখ খেলার চেষ্টা করছে মেঘ।
কেউ হয়ত তার মাথায় তিব্র আঘাত করেছে এমন বোধ হচ্ছে মেঘের,
–আল্লাহ।
মেঘ পাশের দেয়াল ধরে ওঠার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না বার বার ব্যার্থ হয়ে পরে যাচ্ছে।
চোখ দুটো কোন মতে খুলতে দেখতে পায় অন্ধকার এক রুম।
আশেপাশে ঝিঝিপোকার ডাক,
ঝিনঝিন শব্দ হচ্ছে,
মাথায় প্রচন্ড ব্যাথা হচ্ছে।
কি করে কি করবে তা বুঝতে পারছে না মেঘ।
হটাৎ কি দিয়ে কি হয়ে গেল।
,
আমান তাদের পাঠানো ঠিকানায় চলে আসে,
আমান গাড়ি থকে নামতে আমানের ফোনে ফোন আসে,
–স্যার আপনি ওখানে দাঁড়ান আমরা আসছি আপনাকে দেখতে পেয়েছি আমরা।
–তোমরা চাও টা কি আমার থেকে।
তোমরা যা চাও আমি সব দিতে রাজি।
কতো টাকা চাও আমার স্ত্রী কে ছেড়ে দেও।। –স্যার টাকা চাইলে ত সমস্যা ছিল না আপনি ওখানে দাঁড়ান আমরা আসছি,
লোকগুলো মেঘকে ধরে নিয়ে বাইরে আসে,
মেঘ হাঁটতে পারছে না লোকগুল মেঘকে ধরে নিয়ে আসছে,
আমান মেঘকে দেখে হাত মুষ্টিবদ্ধ করে নেয়,
–স্যার প্লিজ কনট্রোল ম্যাম এখনো আমাদের কাছে আসে নি।
আমান নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করছে মাত্র
মেঘকে নিয়ে লেকগুলো আমান থেকে কিছু দুরত্বে দাঁড়ায়,
–মিস্টার খান,
আপনার স্ত্রী এখানে,
লোকগুলো মেঘকে ছেড়ে দেয়,
মেঘ সামনে আমান কে দেখে হেঁটে আসতে যায়,
কিন্তু হটাৎ করেই পেছন থেকে কিছু একটার শব্দ শুনতে পায় সবাই,
আমানের লোক পুরো যায়গা ঘিরে ফেলেছে,
আর মেঘ মাঝ রাস্তায় হোটচ খেয়েছে,
আমন দৌড়ে মেঘের কাছে আসে,
আর অপর দিকের লোক গুলো সবাই বন্দি হয়।
মেঘ আমান কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে,
আর কেঁদে দেয়,
–কেঁদো না আমি আছি ত কিছু হবে না।
মেঘ কাঁদতে আছে আর আমান মেঘকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রেখেছে,
আমান মেঘকে কোলে তুলে নেয় হটাৎ মেঘ আমানের কাধ থেকে হাত সরিয়ে সামনে থেকে জড়িয়ে নেয়,
আরেকটা গুলির শব্দ,
–আ…..
মেঘ আমান কে খামচে ধরে,
আমান বুঝতে পারে আমানের দিকে আশা গুলিটা মেঘের লেগেছে,
আমানের হাত রক্তে ভরে যায়।
সময় যেন হটাৎ থমকে গেল।
শব্দ গুলো থেমে গেল,
মেঘের যন্ত্রণা বাড়তে থাকলো।
চোখ দুটো বুজে এলো,
আমানের পৃথিবী থমকে যাচ্ছিল।
পায়ে ভর দিয়ে মাটিতে দাঁড়ানোর শক্তি টাও নেই।
–মেঘ…..
পাশ থেকে গার্ডা রা আসে আমানের কাছে,
–স্যার গাড়ির ভেতরে চলুন।
আমানের ধ্যান আসে,
আমান মেঘকে গিয়ে গাড়ির ভেতরে উঠে,
আমান মেঘকে শক্ত করে জড়িয়ে রেখেছে।
মেঘের রক্ত আমানকে পাগল করে দিচ্ছে।
মাথায় কিছু আসছে না আমনের।
ভিশন কষ্ট হচ্ছে মেঘকে এভাবে দেখে,
–চোখ খোল মেঘ।
আমার কষ্ট হচ্ছে তোমায় এভাবে দেখতে।
প্লিজ তুমি এভাবে চুপ করে থেকো না।
আমি এখনো তোমায় ভালোবাসি বলি নি।
কখনো বলি নি তোমায় কতোটা ভালোবাসি।
মেঘ প্লিজ তুমি এমনটা করো ন চোখ খুলো।
আমায় ক্ষমা করো সব কিছুর জন্য।
আমি আর তোমার থেকে কিছু লুকাবো না।
মেঘ আমি ভালোবাসি তোমায় ভিশন ভালোবাসি।
থাকতে পারবো না তোমায় ছাড়া কাটাতে পারবো ন একটা মুহুর্ত ও।
সত্যি বলছি আমায় ক্ষমা করে দেও যদি কিছু ভুল করে থাকি তবুও এভাবে চুপ করে থেকো না।
চোখ খোল মেঘ,
আমান বাচ্চাদের মতো কাঁদছে,
আমানকে দেখে সবাই অবাক হচ্ছে।
এতো বছরে আমানকে কখনো কাঁদতে দেখে নি কেউ।
কিন্তু আজ সে শুধু কাঁদছে না বরং চিল্লিয়ে উঠছে বার বার।
আমানের অবস্থা তার কষ্ট প্রকাশ করে দিচ্ছে।
ওর ভেতরে কি হচ্ছে তা সবাই বুঝতে পারছে।
ওর অবস্থা দেখে,
অনেকটা রাস্তা ফুল ফোর্স এ গাড়ি চালিয়ে ও প্রায় ১ ঘন্টা লেগে যায় শহরে আসতে,
শহরে এসেই মেঘকে সোজা হসপিটালে নিয়ে যায়।
মেঘকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয় আমান বাইরে থেকে যায়।
ভেতরটা ভেঙে যাচ্ছে।
মেঘকে সত্যি এভাবে দেখা সহ্য হচ্ছে না আমানের,
কষ্টে হুহু করে কেঁদে উঠছে বার বার।
এটাই কি ভালোবাসা।
এটাই কি মায়া।
সত্যি কি মায়া নাকি ভালোবাসা।
১ ঘন্টা পার হয়ে গেছে।
আমান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে চলেছে।
ভেতর থেকে ডক্টর রা এখনো আসে নি,
এদিকে চারিদিকে মেঘের এক্সিডেন্ট এর কথা জানাজানি হয়ে গেছে
আমানের জন্য প্রেস হসপিটাল ঘিরে রেখেছে।
আমানের বডিগার্ড রা তাদের কে বলেছে সে এখন কথা বলার মতো অবস্থায় নেই।
তাই কেউ সাহস করে ভেতরে আসতে পারছে না।
,
,
বাংলাদেশ,
টিভিতে সংবাদ দেখে রিমি সমানে কেদে চলেছে,
–ইয়া আল্লাহ এটা কি হলো।
আমি কি করবো আপু তোকে ছাড়া।
রিমি সমানে আমানের ফোনে ফোন করে যাচ্ছে কিন্তু সেটা আন রিচেবেল দেখাচ্ছে
রিমির চিন্তা আর কষ্ট উভয় বেড়ে চলেছে।
রিমি বাবাকে কিছু বলতে পারছে না।
বাবা অসুস্থ হয়ে পড়বে।
এগুলো শুনলে।
নিজের ভেতর চাপা কষ্ট রেখেছে,
কিন্তু রিমি অবাক হচ্ছে মাহিমা বেগম কে দেখে।
ওনার ভেতর কোন প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করতে পারছে না রিমি।
যে মা মেয়ের জন্য পাগল হয়ে যেত।
মেয়ে চোখের আড়াল হলে কি করবে তা ভেবে পারতো না আজ মেয়ের এতো বড়ো ক্ষতি হয়েছে শুনেও কোন হুস নেই তার।
যেন কিছুই হয় নি।
রিমি রুমে এসে ব্যাগ প্যাক করে রওনা হয়,
–রিমি কোথায় যাচ্ছিস? (মাহিমা বেগম)
–কোরিয়া।
–কোরিয়া যাচ্ছিস কেন?
–তুমি কি আদও এক জন মা।
আমার কেমন সন্দেহ হয় মা।
রিমির কথায় মাহিমা বেগম ক্রোধানিত্ব হয়ে যায়,
–বাবার খেয়াল রেখো।
কথাটা বলে রিমি চলে আসে,
নাইট ফ্লাইট বুক করে,
এদিকে,
কোরিয়া,
বেশ কিছু সময় পর ডক্টর বেরিয়ে আসে,
ডক্টর কে দেখে আমান দৌড়ে যায়,
–doctor my wife.
ডক্টর তার মুখ টা গোমড়া করে রেখেছে।। দেখে বোঝা যাচ্ছে কিছু হয়েছে,
–ডক্টর হাউ ইজ সি নাউ প্লিজ টেল মি,
–কাম ডাউন মিস্টার খান,
সি ইজ সিরিয়াস লেটস যাস্ট প্রে।
–ওয়াট ডু উ মিন বাই জাস্ট প্রে,
আই উইল ফিনিসড অল অফ দিস ওয়ার্ড ইভেন সি ইজ নট অলরাইট।। —
–মিস্টার খান প্লিজ কাম ডাউন আই understand your pain but we are just a doctor not god,.
ডক্টর কথাগুলো বলে চলে যায়।
আমান সেখানে বসে পড়ে,
পায়ের তলার মাটি যেন সরে যাচ্ছে।
কিছুই বুঝতে পারছে না কি হচ্ছে।
–মেঘ……. (চিৎকার দিয়ে)
চলবে,