#কল্পনায়_হলেও_শুধু_আমারি_থেকো💖
#লেখিকা-লামিয়া রহমান মেঘলা
#পর্ব_১৯
আমান ডক্টর কে কল করে,
মেঘের জ্বর বাড়তে আছে,
ডক্টর কিছু সময় পর এসে দেখে চলে যায়,
ঔষধ দিয়ে যায়,
মেঘকে ঔষধ দিয়ে ওর মাথায় লবন পটি দেওয়া শুরু করে,
যদি জ্বর টা একটু কমে,
রাত ১ টা,
মেঘের জ্বর ত কমছে না উল্টে বাড়ছে,
আমানের ভিশন চিন্তা হচ্ছে এবার,
জ্বরের জন্য কি কি আবল তাবল বলছে মেঘ আমান আদো আদো শুনতে পাচ্ছে,
এভাবেই রাত কাটে,
আমান ঘুমায় নি রাতে,
সকালে মেঘের হাতের কাছে মাথা ঠেকিয়ে আধশোয়া হয়ে শুয়ে আছে আমান।
হয়ত একটু আগেই চোখটা লেগে এসেছে,
ফোমটা বেজে উঠতে আমান চোখ খুলে
মেঘ এখনো ঘুম,
আমান ফোনটা জলদি পিক করে,
ওপাশ থেকে কিছু কথা শোনার পরেই আমানের চেহারার ভাব পরিবর্তন হয়ে যায়,
–আমি দ্বিতীয় কোন অশান্তি চাই না।
ওই মহিলাকে কোরিয়া নিয়ে এসো ওর করা অন্যায় এর হিসাব ত আমি নিবো।
আমান ফোনটা কেটে দেয়,
মেঘের কপালে হাত দেয়,
রাতের মতো প্রচুর জ্বর না থাকলেও জ্বর মেঘের আছে
আমান মেঘের কপালে চুমু দিয়ে ওয়াসরুমে চলে যায়
তারপর কিচেনে গিয়ে খাবার রান্না করে নিয়ে আসে
মেঘ এখনো ঘুম,
আমান মেঘের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে,
মেয়েটার ত কোন দোষ নেই তাহলে কিসের শাস্তি পাচ্ছে ও।
কিসের উপর ভিত্তি করে ওকে এভাবে মানুষিক প্রেশারে রেখেছে আমান।
সত্যি এগুলো ভাবলে নিজেকে বড্ড ছোট মনে হয় নিজের বউ আর বাচ্চার সঠিক খেয়াল রাখতে পারে নি সে এমনটা মনে হয়।
আমান খাবার টা দেখে মেঘের কপালে হাত দেয়,
— মেঘ মেঘ উঠো
মেঘ হালকা চোখ টা খুলে,
–উঠো খেতে হবে
–ভালো লাগছে না৷
কথাটা বলে আবারো চোখ বুজে নেয়,
আমান মেঘের কপালে হাত দেয়
–কিছু খেয়ে আবার ঘুমিয়ে যেও মেঘ৷
মেঘ নিশ্বাস ফেলে,
আমান মেঘকে হেলায় দিয়ে আদশোয়া করে বসায়,
মেঘকে খাইয়ে ফ্রেশ করে দেয়,
আজ আমান অফিস জাবে না।
মেঘকে রেখে যাওয়া সম্ভব না।
মেঘ অবাক হচ্ছে
আমানকে এতো খেয়াল নিতে দেখে,
কিছু দিন আগের আমান আর আজকের আমানের মধ্যে জেন আকাশ পাতাল তফাত।
কিছুতেই দু’জন কে মিলাতে পারছে না মেঘ।
বড্ড ঘোলাটে লাগছে সব কিছু।
কিন্তু এই মুহুর্তে তার মাথায় যন্ত্রণা কে বেশি প্রাধান্য দেওয়া উচিত।
মনে হচ্ছে মাথা টা কেটেই ফেলি,
মেঘ আধশোয়া থেকে নেমে বালিশে শুয়ে পরে,
সহ্য হচ্ছে না আর৷
কোন ভাবেই ভালো লাগছে না জ্বর জিনিসটাই এমন হলে আর কমতে চায় না।। হবার পরে যে যন্ত্রণা তা সহ্য করাও জায় না।
,
,
,
বাংলাদেশে
রিমি খাবার রান্না করছিল,
কাল মেঘের জ্বর এসেছে এ কথা আমান তাকে বলে নি,
বাবার আর নিজের জন্য খাবার গুছিয়ে রিমি মেঘকে ফোন করে
,
পাশে মেঘের ফোন বাজতে দেখে আমান সেটা তুলে
— হ্যালো আসসালামু আলাইকুম আপু
— ওয়ালাইকুম সালাম আপু না ভাইয়া।
— ও ভাইয়া আপনি কেমন আছেন।
— এই ত আলহামদুলিল্লাহ আপনি কেমম আছেন ?
— ভালো না তোমার আপুর জ্বর আসছে।
— কি বলেন। কখন থেকে।
— কাল রাত থেকে,
— ওহ আল্লাহ ওর সমস্যা আছে।
– -কি সমস্যা,
— ওর জ্বর হলে অনেে বেশি হয় আর সহজে কমে না ছোট থেকেই এটা হয়।
ওর জ্বর কখনো নর্মাল হয় নি সব সময় ভয়াবহ রুপে হয়।
— হুম ডক্টর ঔষধ দিয়ে গেছে তাও কমছে না।
— খেয়াল রাখেন।
ও ত আর এখন একা না।
— হুমম
বাবা কেমন আছেন?
— বাবা আছেন আলহামদুলিল্লাহ।
— ওকে ঠিক আছে রাখছি–
— আল্লাহ হাফেজ।
রিমি ফেন কেটে বাবাকে খেতে দেয়,
— মেঘের কিছু হয়েছে রিমি।
— না বাবা কি হবে তুমি ত জানো তোমার নাতি বা নাতনি আসতে চলেছে,
তার জন্য কিছুটা অসুস্থ,
— ওর সাথে একটু কথা বলিয়ে দিস।
— হ্যাঁ বাবা টিউশন থেকে এসে বলিয়ে দিবো
— আচ্ছা,
রিমি বেরিয়ে যায়,
,
,
মাহিমা রহমান ঘরের মাঝে পায়চারি করছে,
— মেঘ প্রেগন্যান্ট এই বাচ্চা টা ভূপৃষ্ঠ হলে আমার সব প্লান ভেস্তে যাবে,
যে উইল আমার বাপ করে গিয়েছে তা সব সত্যি হয়ে যাবে না।
নাহ কোন মতেই এই উইল কে মানা যাবে না।
কেন মতে না এটা সম্ভব না কোন মতে না।
আমি ত মেঘকে মারার জন্য মোরিয়া হয়ে আছি এখন দেখি ওর বাচ্চা ও আছে সাথে,
ড্যাম আমি পাগল হয়ে যাবো।
আমান ভিশন চালাক।
আচ্ছা ও কি শুধু দেখাচ্ছে যে ও মেঘকে ভালোবাসে না নাকি সত্যি ও ভালোবাসে না।
শুধু মাত্র সম্পত্তি আত্মসাত করার জন্য এসব করছে,
আমান যদি সত্যি এমন করে তাহলে পস্তাবে।
ওর সামনে ওর বউ সন্তান কে মারবো আমি
— ম্যাম সে সুযোগ পাচ্ছেন কই আমাদের সব গার্ড মারা পরেছে।
আপনাকে ধরতে এসেছে মানুষ,
— কি বলছিস বাই মারা পরেছে মানে কিভাবে আর সবাই জানত কিভাবে এই যায়গার কথা,
— ম্যাম এতো কথা বলার সময় নেই পালান পেছনের গেট দিয়ে,
মাহিমা বেগম গর্ড এর কথা শুনে বাড়ির পেছন থেকে ছুটে আসে,
,
,
কোরিয়া,
আমান মেঘের কাছে বসে আছে,
মেয়েটা চোখ বন্ধ করেই শুয়ে আছে আমান মেঘের পেটে হাত বুলায়,
পেটে ছোট্ট একটা কিস দেয়,
— বাবু মাকে বেশি কষ্ট দিবা না জলদি চলে আসে,
বাবা অপেক্ষা করছে তোমার জন্য,
তুমি আসবা তোমার হাত ধরে খেলবো।
তুমি আমি মা আমাদের ছোট সুন্দর পরিবার হবে।
বাবা তোমায় ভিশন ভালোবাসে।
,, , , , , ,
এভাবে কেটে যায় ৪ দিন,
মেঘ এখন সুস্থ,
আমান এই কয়দিন মেঘকে ছেড়ে এক দিনও অফিসেও যায় নি,
আমানকে দেখে মেঘ অবাক হচ্ছে
এতো করছে ছেলেটা আমার জন্য অথচ।
সবি মিথ্যে।
শুধু মাত্র বাচ্চা টার জন্য ।
মেঘ একটা নিশ্বাস ফেলে,
আমান বুঝতে পারে মেঘ কি ভাবছে।
মুচকি হেসে মেঘের কোমড় জড়িয়ে ধরে,
মেঘ কেপে ওঠে,
— কি করছো ( মেঘের চুল সরিয়ে কাঁধে কিস করে )
মেঘ কেঁপে ওঠে,
আমান মুচকি হাসে ,
— কিছু না ।
— আমি ত দেখতে পাচ্ছি কিছু করছো ।
— কিছু করছি না ৷।
চুল শুখাচ্ছি
–, ভালো ত আমি শুখিয়ে দি ।
— না লাগবে না
— কেন লাগবে না ।
— আপনার সমস্যা কি আমান । –
— আমার আবার কিসের সমস্যা ।
— আপনার মতিগতি সব আমি বুঝি না।
— বুঝবে এক দিন
— নাহ আমি আজি বুঝতে চাই ।
— মেঘ ।
— বলুন । ++
— শোনার পর তুমি শন্ত থাকতে পারবে ।
— হ্যাঁ পারবো আমায় বলেন ।
— শুন তবে,
অতিত,
চলবে?
(আসসালামু আলাইকুম
আমার মা এখনো অসুস্থ।
তিনি এখনো হসপিটালে আছেন।
দয়া করে তার জন্য দোয়া করবেন।
গল্পে কোন ভুল ত্রুটি হলে আমায় ক্ষমা করবন।
আমার গল্প লিখা মতো অবস্থা নেই কিন্তু অনেক দিন হয়ে গেছে বিধায় লিখতে হলে।
ভালো থাকবেন।
সুস্থ থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ💖)