#জনৈক_প্রেমিক
পর্ব- ১০
সেদিন বিকেলেই আমার নামে একটা চিঠি এলো। রিহার মাধ্যমে। চিঠিটা দেখে আমি স্মৃতিবেদনাতুর হয়ে পড়লাম। একটা সময় এমন কত-শত চিঠি আসতো আমার নামে! সেই চিঠির জন্যে সবসময় মুখিয়ে থাকতাম আমি। আজ সব শুধুই স্মৃতি!
অতীতে যার চিঠির অপেক্ষায় প্রহর গুনতাম এই চিঠি সে পাঠায়নি। শ্রাবণ পাঠিয়েছে। হঠাৎ চিঠি পাঠালেন কেন উনি?
নিজের ঘরে গিয়ে চিঠিটা খুলে পড়তে শুরু করলাম।
প্রিয় বহ্নিশিখা,
তোমার ওই বুদ্ধিদীপ্ত চোখের প্রেমে পড়েই তো তোমার নাম দিয়েছিলাম বহ্নিশিখা! আগুনের মতোই যেন জ্বলজ্বল করছিল সেদিন তোমার চোখের তারাগুলো। তোমার ওই অগ্নিমূর্তি ধারণ করার কারন কী ছিল সেদিন, মনে আছে?
বৃহস্পতিবার। তুমি শ্রান্ত হয়ে স্কুল থেকে ফিরছিলে। আমিও ছোট খালার বাসা থেকে ফিরছি। কাকতালীয়ভাবে দুজনেই একসঙ্গে বাসে উঠে দেখি একটামাত্র সিট! সেটাও আমি দখল করে নেই। তুমি না পারছিলে কিছু বলতে আর না পারছিলে সহ্য করতে! তাই হয়তো খানিক বাদে বাদে আমার দিকে চেয়ে অগ্নি দৃষ্টি ছুড়ছিলে। সেটা কিন্তু আমার নজর এড়ায়নি! পুরোটা রাস্তা তুমি তোমার বান্ধবীর সঙ্গে দাঁড়িয়ে রইলে। আমি চাইলেই কিন্তু তোমাকে সিটটা অফার করে নিজে দাঁড়িয়ে আসতে পারতাম। কিন্তু করিনি। কেন করিনি জানো? ওই যে তোমার দৃষ্টি! তোমার দৃষ্টির লোভে। তুমি হয়তো খেয়াল করোনি যার ওপর তুমি অগ্নিদৃষ্টি বর্ষন করছো সেও লুকিয়ে চুরিয়ে তোমাকে দেখছিল!
অবশেষে তোমার গন্তব্যস্থান এল। তুমি নেমে গেলে। আমি কিন্তু সে জায়গাটার ছবি আমার মস্তিষ্কে ভালোমতো গেঁথে নিয়েছিলাম। কারণ ওখানেই যে আমার বহ্নিশিখার পুনরায় দেখা মিলবে!
বাসায় ফেরার পর আমার আর কোনোকিছুতেই ঠিকমতোন মন বসছিল না। সারাটাক্ষন শুধু তোমার ওই দৃষ্টি আমার চোখে চোখে ভাসছিল। তোমার সেই বাঁকা, জ্বলজ্বলে চোখদুটো!
সারারাত ঘুমোতেও পারলাম না। ভোরের দিকে একটুখানি চোখ লেগে এসেছিল। সেখানেও অস্থিরতা। স্বপ্নে তোমার সঙ্গে আবার দেখা হলো। আগের দিনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল।
রাতের স্বপ্নকে সত্যি করার প্রচেষ্টায় আমি পরদিনই আবার ছোটো খালার বাসায় যাই। রোজ তোমার অপেক্ষায় সেই একই বাস-স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকি। তোমার সঙ্গে রোজ একই বাসে উঠি। তুমি নেমে গেলে আমিও নেমে যাই। অথচ কিছুই তোমার চোখে পড়ে না। তুমি আর কখনো দ্বিতীয়বার আমার দিকে দৃষ্টি ফেললে না। আমি আহত হই। পরের দিন আবার নতুন উদ্দ্যমে তোমাকে দেখার উদ্দেশ্যে নিয়ে পুনরায় বেরিয়ে পড়ি। পড়াশোনা ফেলে কল্পনায় তোমাকে নিয়েই পড়ে থাকি দিন রাত। ফলাফল, এক বছর পিছিয়ে পড়া। তাতে অবশ্য আমার কিছুই যায় আসেনি। আমি যে তখনো তোমাতে মগ্ন! কিন্তু মা’র অনেক কিছুই গেল, আসলো। মা অকস্মাৎ আমার এই করুন দশার কারণ বুঝতে পারেন না। আমাকে জিজ্ঞাসা করলেও আমি বলি না। মা ভীষণ চিন্তিত হয়ে পড়েন। তার ছেলেটার কী হয়ে গেল হঠাৎ!
ততদিনে মনে সাহস সঞ্চয় করে তোমাকে চিঠি লিখতে আরম্ভ করে দিয়েছি। পাঁচ -ছয়টা চিঠি পাবার পর একসময় হয়তো দয়া করে তুমি আমাকে চিঠির উত্তর দাও! তোমার চিঠি পেয়ে খুশিতে আমি আমার সব বন্ধুদের মিষ্টি খাওয়াই। ওদের ভাবি এই প্রথম আমাকে চিঠি লিখেছে কি-না!
চিঠিতে তুমি আমার পরিচয় জানতে চাও। আমি দেইনি। তোমার সঙ্গে আমার বাসে ঘটে যাওয়া ঘটনার কথাও জানাইনা। শুধু বলি, আমি হৃদি নামক লাইলির মজনু!
তুমি কি হাসছো হৃদি? চিঠি পড়ে?
এরপর তোমার সঙ্গে আমার নিয়মিত চিঠি আদান-প্রদান হতে থাকে। প্রথম প্রথম তুমি খুব সহজে উত্তর দিতে না। একটাসময় নিয়মিত দিতে শুরু করলে। আমি বুঝতে পারলাম তোমারো হয়তো আমার প্রতি একটা অদৃশ্য টান জন্মাতে শুরু করেছে!
একদিন চিঠিতে জানালে তুমি আমার সঙ্গে দেখা করতে চাও। আমি বলি, একেবারে মা’কে সঙ্গে করে তোমার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে হাজির হয়ে তোমাকে চমকে দেবো! ব্যাপারটা নিয়ে তুমিও অনেক এক্সাইটেড ছিলে। দুজনেরই প্রথম প্রেম কি-না!
করেছিলামও কিন্তু তা-ই! তুমি নিশ্চয়ই সেদিন আমাকে দেখে চিনতেই পারোনি তাইনা?
তোমার আমার প্রেম ধীরে ধীরে গভীর হতে থাকে। চিঠিতেই। রহস্যময়ভাবে। আমাদের দেখা সাক্ষাৎ কিছুই হয় না। অথচ ভালোবাসার কোনো কমতি ছিল না। তোমার কিশোরী মনের সবটুকু ভালোবাসা তুমি উজার করে দিয়েছিলে। কিন্তু আমার ভালোবাসার পরিমাণের কাছে তা ছিল অতি ক্ষুদ্র এবং থাকবে। বিশ্বাস হয় না? প্রমান দেবো?
হঠাৎ একদিন তুমি আমাকে চিঠিতে জানাও তুমি আমার সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে ফেলবে। আমি যেন আর তোমাকে চিঠি না দেই। আমি কিন্তু তোমার কথা শুনিনি! আমি রোজ নিয়মকরে তোমাকে চিঠি লিখতাম। কিন্তু তুমি উত্তর দিতে না। আমি বুক ভরা কষ্ট নিয়ে আবারও চিঠি লিখতাম। তুমি এবারো উত্তর দিলে না। এমনি করেই চলতে থাকে তিনটে মাস! আমি রাতে ঘুমোতে পারি না। পড়াশোনায়, চাকরিতে কিছুতেই মনোযোগ দিতে পারি না। তোমার কথা ভুলতে পারি না এক মুহুর্তের জন্যেও।
তুমি কলেজ পেরিয়ে ভার্সিটিতে উঠে গেলে। ভার্সিটিতে যাবার জন্যে যখন সেই একই স্টেশনে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে, আমি দূরে দাঁড়িয়ে তোমাকে দেখতাম। সামনে আসার সাহস হতো না কখনো। পুরো দুনিয়ার সামনে আমি ছিলাম অতি বদরাগী, জেদি, ভয়ানক একজন মানুষ। অথচ তোমার সামনে এসে দাঁড়াতেই আমার বুক কাঁপত। এর কারণ আমি আজও উপলব্ধি করতে পারিনি!
একদিন জানতে পারলাম, আমারই চাচাতো ভাই প্রত্নর সঙ্গে তোমার প্রেমের সম্পর্ক। আমি মেনে নিতে পারি না। আমার চাচাতো ভাই বলে নয়। আমার প্রথম ভালোবাসা অন্য কারো হয়ে যাচ্ছিল বলে।
আমার ভীষণ অভিমান হয়। দেড়টা বছর যাবৎ আমি পাগলের মতো তোমাকে রোজ চিঠি লিখে গিয়েছি তুমি উত্তর না দেওয়া স্বত্তেও। তুমি আমার সঙ্গে আর কোনোরকম সম্পর্ক রাখতে চাও না জানা স্বত্তেও। আজীবনই হয়তো এমনটা করতাম। যদি না তুমি আমাকে ওভাবে ধোঁকা দিতে। তুমি কীভাবে পারলে নিজের প্রেমিককে অবহেলা করে অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে? তোমার কি একটাবারও আমার কথা মনে পড়েনি? একটাবারও মনে হয়নি আমি জানতে পারলে আমার কি অবস্থা হবে? চিঠিতে তুমি যে আমাকে এত এত ভালোবাসার কথা বলতে সব কি তবে মিথ্যে ছিল? সব কি তবে অভিনয়? শুধুই নাটক?
আচ্ছা হৃদি, প্রত্নর মাঝে কী এমন আছে যা আমার মাঝে নেই?
এরপর আমি আর কখনো তোমাকে চিঠি লেখিনি। তোমাকে ভুলতে নতুন কাজে নিয়োজিত হই। চাকরি ছেড়ে বাবার ফেলে যাওয়া ব্যাবসা নতুনভাবে দাঁড় করাই। নিজের সম্পূর্ণ সময়, সম্পূর্ণ মনোযোগ সেখানে দেই। ব্যাবসায় লাভবান হয়েছি ঠিকি কিন্তু তোমাকে ভুলতে পারিনি। এ জীবনে পারার চান্সও নেই। মাঝখানে আরো কয়েকবছর পেরিয়ে যায়। তুমি আমাকে ভুলে গেলেও আমি কিন্তু তোমার খোঁজ ঠিকই রাখি।
প্রত্নর সাথে তোমার প্রেমের সম্পর্ক জানা স্বত্তেও মা’কে সঙ্গে নিয়ে তোমার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে হাজির হই। তুমি কি আমাকে দেখে চমকেছিলে? তুমি নিশ্চয়ই চিনতেই পারোনি এ-ই সেই তোমার পত্র প্রেমিক!
সেদিন তোমাকে আমাকে কিছুক্ষণ একা কথা বলতে দেওয়া হয়েছিল। আমি ইচ্ছে করেই সারাটাক্ষন চুপ হয়ে ছিলাম। কারন তোমার মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল তুমি কী বলবে। তুমি নিশ্চয়ই বলতে, আমি অন্য একজনকে ভালোবাসি। আপনাকে বিয়ে করতে পারব না। তাইনা?
কিন্তু সেই ভালোবাসায় তো প্রত্নর কোনো অধিকার নেই! সম্পূর্ণটাই আমার। তুমিই তো চিঠিতে বলতে, তোমার সমস্ত ভালোবাসা আমার জন্য। তাহলে? তাহলে সে ভালোবাসার ভাগ আমি অন্য কাউকে কেন দেবো?
তাই সেদিন তোমাকেও কোনো কথা বলতে দেই না আমি। তুমি কিছু বলতে নিলে উঠে চলে আসি। তুমি নিশ্চয়ই ভেবেছো, ছেলেটা কি অসভ্য!
ভাগ্য ভালো থাকায় হয়তো সেদিন তোমার বাবা-মা রাজি হয়ে যায়। তোমার সঙ্গে আমার বিয়ের দিন-তারিখ ঠিক হয় ঠিক এক সপ্তাহের মাথায়।
বিয়ের পূর্বের সাতদিনে আমি আর তোমাকে ফোন দেই না। যদিও মা আমাকে তোমার নাম্বার দিয়েছিল তবুও। এই ফোন না করার কারন একটাই। ফোন করলেই তুমি বলতে, আমি আপনাকে বিয়ে করতে পারব না। এই ভয়ে আমি আর তোমাকে ফোন করার সাহস করে উঠতে পারিনি।
প্রত্ন হয়তো আগে থেকে জানতো না তোমার সঙ্গে আমার বিয়ে ঠিক করা হয়েছে। বিয়ের দিন তোমাকে দেখা মাত্রই তোমার নামে কিছু বাজে কথা আমার কানের কাছে এসে উল্লেখ করে। ও ভেবেছিল এগুলো করলে আমি রেগে বিয়ের আসর থেকে উঠে পালিয়ে যাব। পুরোপুরি সফল না হলেও কিছুটা সফল হয়ে যায় ওর পরিকল্পনা। রেগে বিয়ে ভেঙে না দিলেও তোমার গায়ে হাত তুলে বসি সবার সামনেই। রাগে তখন আমার হিতাহিত জ্ঞান না থাকলেও পরক্ষণে রাগ কমলে আমি বুঝতে পারি কী ভুল করেছি! তৎক্ষনাৎই আমি ক্ষমা চাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। বিয়ের রাতে তুমি যখন মায়ের ঘরে বসেছিলে আমি তোমাকে খুঁজতে ও ঘরে যাই। উদ্দেশ্য একটাই, ক্ষমা চাওয়া! কিন্তু তখন আচমকা মা এসে পড়েন। তখন যদি মা’র সামনে ক্ষমা চাইতাম তাহলে মেহমানদের সবার সামনেই মা আমাকে চড় মেরে বসতেন নিজের বউকে অসম্মান করেছি বলে। তখন বিষয়টা বুঝতে পারিনি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে ওটাই ঠিক হত। তাহলেই হয়তো তোমার আর আমার মাঝে এতটা দূরত্বের সৃষ্টি হতো না।
মা চলে যাবার পর আমি পুনরায় ও ঘরে গিয়েছিলাম তোমাকে খুঁজতে। তখনই প্রত্নকে ও ঘর থেকে বেরোতে দেখি। সে মূহুর্তে আমার কতটা রাগ হয়েছিল তোমাকে বলে বোঝাতে পারব না। ও কোন সাহসে আমারই বউয়ের সঙ্গে লুকিয়ে দেখা করে?
সে রাতে রাগ করে আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাই না। আমার ভয় ছিল প্রত্ন হয়তো ভুলিয়ে-ভালিয়ে তোমাকে নিয়ে পালিয়ে যাবে। তাই সে রাতেই ইঙ্গিতে তোমাকে বোঝাই এমন কিছু না করতে। কিন্তু তুমি আমাকে ভুল বোঝো রেগে যাও।
এরপরের দিন আমার ধারণাকে সত্যি প্রমাণ করে প্রত্ন তোমাকে চিরকুট দেয়। নিজের মতো করে ভুজুংভাজুং বুঝিয়ে পালিয়ে যেতে চায় তোমাকে নিয়ে।
তুমি ভাবতে পারছো ওর কত বড় দুঃসাহস! আমারই সামনেই আমার বউকে চিরকুট দেয় আর ভাবে আমি বুঝতেই পারব না! ওকে মেরেছি বলে তোমার কষ্ট হয়েছিল হৃদি? আমার বউকে ওর সাথে পালাবার প্রস্তাব দেবে, আমারই বউকে নিয়ে পালানোর প্ল্যান করবে ওকে আমি মারতাম না তো কী করতাম! বলো!
যেদিন তোমাকে-আমাকে ফিরতি তোমার বাবার বাড়ি নিয়ে যাওয়া হল সেদিন তুমি আমাকে একা ছেড়ে দিলে। আমার সঙ্গে ঘুমোতে এলে না। আচ্ছা, মানলাম। তোমার ইচ্ছে হয়নি তাই আসোনি। কিন্তু আমার অনেক কথা বলার ছিল তোমাকে। ক্ষমা চাওয়ারও বাকি ছিল। তোমাকে ডাকতে গেলে তুমি এলে না। আমাকে অবহেলা করলে বরাবরের মতো।
পরদিনও আমার সঙ্গে বাসায় ফিরতে চাইলে না। হয়তো অন্যায় করেও ক্ষমা চাইনি এজন্যে! কিন্তু আমি অনেকবারই চেয়েছিলাম। সুযোগটাই আসেনি। তুমিও দাওনি!
তুমি কিছুতেই আমার সঙ্গে ফিরবেনা জানার পর আমি নিজের মাথা ঠিক রাখতে পারিনি। সেদিন বাবার সামনে ওমন বেয়াদবি কীভাবে করতে পারলাম তা আমি নিজেও ভেবে কূলকিনারা করতে পারছি না।
বিয়ের পর থেকেই নানান ঘটনায় আমার অতো রিয়েক্ট করার কারনও হয়তো তুমি অনুমান করতে পারছো। এতকিছুর পর তোমাকে পেয়েছিলাম। কীভাবে হারাতে দেই আমি?
আমি আবারও সবকিছুর জন্য ক্ষমা চাইছি হৃদি। প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও! আমার কাছে ফিরে এসো প্লিজ!
মানুষ ভুল করে। কিন্তু সে ভুলের জন্য সে যদি সত্যিই অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চায় তাকে কি একটাবার সুযোগ দেওয়া উচিৎ নয় হৃদি! তাকে কী সারাজীবনের জন্য এভাবে ছেড়ে চলে যেতে হয়!
আমার ভুলের জন্য তুমি আমাকে যে শাস্তি দিতে চাও আমি মাথা পেতে নেবো। তবুও প্লিজ আমার কাছে ফিরে এসো তুমি। আমার মনে হয় তুমি আমার কাছে না ফিরলে আমি পাগল হয়ে যাব! আমি নিজের সবকিছুর ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছি। আমার রাগ, জেদ সবকিছু একমাত্র তুমি ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোনো মানুষ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। প্লিজ তুমি আমাকে আর একটাবার সুযোগ দাও! আরেকটাবার ভালোবাসো আমাকে! সেই আগের মতো! চিঠিতে যেমন করে বাসতে!
ইতি তোমার,
স্বামী কিংবা প্রেমিক।
চলবে…
লেখা: #ত্রয়ী_আনআমতা