#তুই_আমারই_থাকবি💜
#Esrat_Jahan💜
#Part_2_3
!
আর আমার দম যায় যায় অবস্থা।ঠোঁট কেটে পুরো রক্ত বের হচ্ছে।উনি কিছুতেই ছাড়ছেন না।আমি আর না পেরে সেন্সলেস হয়ে গেলাম।কিছুই আর মনে থাকলো না।
!
-ভোরবেলা, পাখির কিচিরমিচির আওয়াজে চোখ মেলে তাকালাম।কিন্তু একি?এটা কীভাবে পসিবল? আমি ছাদে আসলাম কীভাবে? আকাশ-পাতাল ভাবতে ভাবতে ছাদের ফ্লোরে বসে আছি।এমন সময় পাশ থেকে কিছু একটা আওয়াজে চমকে উঠলাম।তাকিয়ে দেখি….
!
-তাকিয়ে দেখি,ছাদের অন্যপাশে আবরার আগুন চৌধুরী। উনি এক্সারসাইজ করছেন।পরণে হাফ-প্যান্ট আর গায়ে টাওয়াল জড়ানো,হাতে ডাম্বল।বয়স চব্বিশ -পঁচিশ হবে!
ইচ্ছেমত এক্সারসাইজ করছেন, কিন্তু উল্টোদিকে থাকায় পেছনে থাকা আমাকে উনি লক্ষ্য করেননি। আমিও ফ্যালফ্যাল করে উনার দিকে তাকিয়ে রইলাম।দেখতে তো খুব ভালোই,ইংরেজদের মতো ফর্সা বিলাই,লাল লাল ঠোঁট, কালো-সোনালী সিল্কি চুল,হাইট তো আল্লাহ্ দিলে জানেনই!
হায়!এই ইংরেজের পাশে দাঁড়ালে লোকে বলবে আমি গন্ডগ্রামের গাইয়া এক মেয়ে….অথচ এই ইংরেজ নাকি আমার হাজব্যান্ড?ভাবতে কষ্ট হয়….।
ভাবনাতে হাবুডুবু খাচ্ছি,ঘোর কাটলো গায়ে পানি পড়ার পর।ইয়া আল্লাহ…কে আমায় ভিজিয়ে দিলো?(রেগে)
!
-আমি!আমি ভিজিয়ে দিয়েছি।
!
-কিন্তু কেন?(রেগে)
!
-আমার ইচ্ছে হয়েছে।তোকে বলবো নাকি? ড্যাম ইট!আর তুই এখানে বসে আমাকে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছিলি কেন?
!
-থতমত খেয়ে বললাম,মোটেও না।আপনি কি এমন হিরো যে চোখ দিয়ে গিলে খাবো?হোয়াই?
!
-ডাফার!তুই আমায় প্রশ্ন করছিস?বলেই রেগে আমাকে ফ্লোর থেকে তুলে ঠাস করে চড় মারলো….
!
-আমি গালে হাত দিয়ে বললাম,ওকে স্যরি।আচ্ছা,আমি এখানে এলাম কি করে?মানে ছাদে!ভাববেন না যে আমি আপনাকে প্রশ্ন করছি,আমি জাস্ট জানতে চাচ্ছি!
!
-আমি এনেছি। শুনে রাখ,তুই কালকে সেন্সলেস হয়ে গেছিলি, তাই ফেলে দিয়েছি তোকে ছাদে…
!
-কিহ….আমি সেন্সলেস হয়ে গিয়েছি আর আপনি আমার ট্রিটমেন্ট না করে ছাদে ফেলে দিলেন?অসুস্থ ছিলাম কাল রাতে আর…..ভাববেন না যে প্রশ্ন করেছি,জাস্ট জানার কৌতূহল!(বারবার বলছি যাতে চড় খেতে না হয়)
!
-তবে শুনে রাখ! অসুস্থ রোগীদের এই আবরার চৌধুরী তার ঘরে রাখে না।বলেই উনি গা থেকে টাওয়াল খুলে ফেললেন!
!
-আর আমি এক চিৎকার করে ছাদ থেকে নেমে আসলাম।ছি ছি কেমন মানুষ উনি!আমার সামনেই গা থেকে টাওয়াল খুলে ফেললেন।ইয়া মাবুদ…..
!
-ছাদ থেকে নেমে সোজা রুমে চলে এলাম।কাল সারাদিন তো উনি আমায় একটা ঘরে আটকে রেখেছিলেন। আর রাতে সেন্সলেস হয়ে গিয়েছিলাম।কিন্ত একবারও রুম থেকে বের হওয়ার চান্স পাইনি।এখন সব ভালো করে দেখতে লাগলাম।কিন্ত কালকের রুমটা আর আজকের রুমটা এক না তো…..এটা তো রাজকীয় ভাবে সাজানো আর খুব বড়ও।আর একপাশের দেয়ালের পুরো অংশটাতে ইংরেজটার বিশাল হিরো মার্কা ছবি লাগানো। দেখে ক্রাশ খেলাম….জীবনেও এমন ক্রাশ খাইনি……
!
-কী?উনার কথায় পেছনে তাকালাম। গায়ে শার্ট জড়ানো।
!
-কিছুনা!
!
-শোনো….তুমি
!
-উনার কথায় অবাক হয়ে তাকালাম,এই প্রথম তুমি বলাতে…আই মিন অবাকের সপ্তম আকাশে!মতলব নেই তো কোনো!!
!
-ভয়ে ভয়ে বললাম,জ্বি বলুন…
!
-এটা আমার বাসা।এখানে আমার আব্বু-আম্মু,দাদী,ভাইয়া আছে, বুঝলে?আমরা সবাই তিনদিন হলো সিডনি থেকে ফিরেছি।তো কালই আমি আম্মুকে জানালাম যে,আমি বিয়ে করেছি। তো সবাই মহাখুশি।রাতে তোমায় এখানে নিয়ে এসেছি যে সেটা কেউ জানে না।সো আমি আম্মুকে একটু আগে সবটা বলেছি।আর সবাই একটু পর এখানে আসবে। সো ডাফার… আই মিন তুমি, তুমি এসব কিছুই বলবে না।ভালো সেজে থাকবে,নইলে তুমি তো জানই কি হবে?আর তুমি যে ডেয়ারিং মেয়ে!সো গট ইট….
!
-উনার এত্তবড় ডায়লগ শুনে আমার মাথা হ্যাং হয়ে গেছে।উনার বাকি কথা শুনতে পাচ্ছি না।কানে তালা লেগে গেছে।আচ্ছা, আমি তো মাত্রই ইন্টারমিডিয়েট শেষ করে ভার্সিটি ভর্তি হলাম,বয়স কত হবে,,ঊনিশ-কুড়ি।আমি কী এত্ত ছোট্ট বয়সে এত চাপ নিতে পারি?
!
-আর উনি আমার সামনে ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।
!
-আমি ধাতস্থ হয়ে বললাম,ওকে ঠিক আছে।
!
-তো যাও এসব নোংরা ড্রেসআপ চেঞ্জ করো গিয়ে। তোমার জামা-কাপড় সব রাখা আছে…..
!
-উনার এসব ভালোমানুষি কথা শুনে আমি গলে গেলাম।ফট করে চুমু দিয়ে দিলাম ইংরেজটার গালে….
!
-উনি অবাক হয়ে বললেন,লিসেন ডোন্ট টাচ মি!আমার ভার্জিনিটি একদম নষ্ট করার চেষ্টা করবা না।
!
-আর আমি বেআক্কেলের মতো তাকিয়ে রইলাম।ব্যাটা ইংরেজ বলে কী?কাল রাতে কী করেছিলো আমায়?আমিও বললাম,তাহলে আপনি আমার ভার্জিনিটি নষ্ট করলেন কেন?
!
-ড্যাম ইট!আমি কারো ভার্জিনিটি নষ্ট করিনি।কাল রাতে তোমায় আমি পানিশমেন্ট দিয়েছিলাম। শুধু তোমায় কামড় দিয়েছিলাম,তাও ঠোঁটে। এর বেশি আর কিছুই করিনি,আর এসব করার কোনো ইচ্ছেও আমার নেই।আমার থেকে অলওয়েজ ডিসটেন্স মেইনটেইন করে চলবে….আবরার চৌধুরী কারো কাছে হার মানে না।গট ইট…….বলেই রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।।
!
-আমি আবারো হ্যাং মেরে বসে রইলাম…..উনি যা বলেছেন সব তো সত্যিই।উনি সেরকম কিছুই করেননি।আর আমি কী ভাবছিলাম………
চলবে…..
(চুলকানি পাবলিক এসব গল্প থেকে দূরে থাকুন।ভালো লাগলে নেক্সট পার্ট দেবো!)
হ্যাপি রিডিং 💜💜
#তুই_আমারই_থাকবি💜
#Esrat_Jahan💜
#Part_2
!
আর আমার দম যায় যায় অবস্থা।ঠোঁট কেটে পুরো রক্ত বের হচ্ছে।উনি কিছুতেই ছাড়ছেন না।আমি আর না পেরে সেন্সলেস হয়ে গেলাম।কিছুই আর মনে থাকলো না।
!
-ভোরবেলা, পাখির কিচিরমিচির আওয়াজে চোখ মেলে তাকালাম।কিন্তু একি?এটা কীভাবে পসিবল? আমি ছাদে আসলাম কীভাবে? আকাশ-পাতাল ভাবতে ভাবতে ছাদের ফ্লোরে বসে আছি।এমন সময় পাশ থেকে কিছু একটা আওয়াজে চমকে উঠলাম।তাকিয়ে দেখি….
!
-তাকিয়ে দেখি,ছাদের অন্যপাশে আবরার আগুন চৌধুরী। উনি এক্সারসাইজ করছেন।পরণে হাফ-প্যান্ট আর গায়ে টাওয়াল জড়ানো,হাতে ডাম্বল।বয়স চব্বিশ -পঁচিশ হবে!
ইচ্ছেমত এক্সারসাইজ করছেন, কিন্তু উল্টোদিকে থাকায় পেছনে থাকা আমাকে উনি লক্ষ্য করেননি। আমিও ফ্যালফ্যাল করে উনার দিকে তাকিয়ে রইলাম।দেখতে তো খুব ভালোই,ইংরেজদের মতো ফর্সা বিলাই,লাল লাল ঠোঁট, কালো-সোনালী সিল্কি চুল,হাইট তো আল্লাহ্ দিলে জানেনই!
হায়!এই ইংরেজের পাশে দাঁড়ালে লোকে বলবে আমি গন্ডগ্রামের গাইয়া এক মেয়ে….অথচ এই ইংরেজ নাকি আমার হাজব্যান্ড?ভাবতে কষ্ট হয়….।
ভাবনাতে হাবুডুবু খাচ্ছি,ঘোর কাটলো গায়ে পানি পড়ার পর।ইয়া আল্লাহ…কে আমায় ভিজিয়ে দিলো?(রেগে)
!
-আমি!আমি ভিজিয়ে দিয়েছি।
!
-কিন্তু কেন?(রেগে)
!
-আমার ইচ্ছে হয়েছে।তোকে বলবো নাকি? ড্যাম ইট!আর তুই এখানে বসে আমাকে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছিলি কেন?
!
-থতমত খেয়ে বললাম,মোটেও না।আপনি কি এমন হিরো যে চোখ দিয়ে গিলে খাবো?হোয়াই?
!
-ডাফার!তুই আমায় প্রশ্ন করছিস?বলেই রেগে আমাকে ফ্লোর থেকে তুলে ঠাস করে চড় মারলো….
!
-আমি গালে হাত দিয়ে বললাম,ওকে স্যরি।আচ্ছা,আমি এখানে এলাম কি করে?মানে ছাদে!ভাববেন না যে আমি আপনাকে প্রশ্ন করছি,আমি জাস্ট জানতে চাচ্ছি!
!
-আমি এনেছি। শুনে রাখ,তুই কালকে সেন্সলেস হয়ে গেছিলি, তাই ফেলে দিয়েছি তোকে ছাদে…
!
-কিহ….আমি সেন্সলেস হয়ে গিয়েছি আর আপনি আমার ট্রিটমেন্ট না করে ছাদে ফেলে দিলেন?অসুস্থ ছিলাম কাল রাতে আর…..ভাববেন না যে প্রশ্ন করেছি,জাস্ট জানার কৌতূহল!(বারবার বলছি যাতে চড় খেতে না হয়)
!
-তবে শুনে রাখ! অসুস্থ রোগীদের এই আবরার চৌধুরী তার ঘরে রাখে না।বলেই উনি গা থেকে টাওয়াল খুলে ফেললেন!
!
-আর আমি এক চিৎকার করে ছাদ থেকে নেমে আসলাম।ছি ছি কেমন মানুষ উনি!আমার সামনেই গা থেকে টাওয়াল খুলে ফেললেন।ইয়া মাবুদ…..
!
-ছাদ থেকে নেমে সোজা রুমে চলে এলাম।কাল সারাদিন তো উনি আমায় একটা ঘরে আটকে রেখেছিলেন। আর রাতে সেন্সলেস হয়ে গিয়েছিলাম।কিন্ত একবারও রুম থেকে বের হওয়ার চান্স পাইনি।এখন সব ভালো করে দেখতে লাগলাম।কিন্ত কালকের রুমটা আর আজকের রুমটা এক না তো…..এটা তো রাজকীয় ভাবে সাজানো আর খুব বড়ও।আর একপাশের দেয়ালের পুরো অংশটাতে ইংরেজটার বিশাল হিরো মার্কা ছবি লাগানো। দেখে ক্রাশ খেলাম….জীবনেও এমন ক্রাশ খাইনি……
!
-কী?উনার কথায় পেছনে তাকালাম। গায়ে শার্ট জড়ানো।
!
-কিছুনা!
!
-শোনো….তুমি
!
-উনার কথায় অবাক হয়ে তাকালাম,এই প্রথম তুমি বলাতে…আই মিন অবাকের সপ্তম আকাশে!মতলব নেই তো কোনো!!
!
-ভয়ে ভয়ে বললাম,জ্বি বলুন…
!
-এটা আমার বাসা।এখানে আমার আব্বু-আম্মু,দাদী,ভাইয়া আছে, বুঝলে?আমরা সবাই তিনদিন হলো সিডনি থেকে ফিরেছি।তো কালই আমি আম্মুকে জানালাম যে,আমি বিয়ে করেছি। তো সবাই মহাখুশি।রাতে তোমায় এখানে নিয়ে এসেছি যে সেটা কেউ জানে না।সো আমি আম্মুকে একটু আগে সবটা বলেছি।আর সবাই একটু পর এখানে আসবে। সো ডাফার… আই মিন তুমি, তুমি এসব কিছুই বলবে না।ভালো সেজে থাকবে,নইলে তুমি তো জানই কি হবে?আর তুমি যে ডেয়ারিং মেয়ে!সো গট ইট….
!
-উনার এত্তবড় ডায়লগ শুনে আমার মাথা হ্যাং হয়ে গেছে।উনার বাকি কথা শুনতে পাচ্ছি না।কানে তালা লেগে গেছে।আচ্ছা, আমি তো মাত্রই ইন্টারমিডিয়েট শেষ করে ভার্সিটি ভর্তি হলাম,বয়স কত হবে,,ঊনিশ-কুড়ি।আমি কী এত্ত ছোট্ট বয়সে এত চাপ নিতে পারি?
!
-আর উনি আমার সামনে ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।
!
-আমি ধাতস্থ হয়ে বললাম,ওকে ঠিক আছে।
!
-তো যাও এসব নোংরা ড্রেসআপ চেঞ্জ করো গিয়ে। তোমার জামা-কাপড় সব রাখা আছে…..
!
-উনার এসব ভালোমানুষি কথা শুনে আমি গলে গেলাম।ফট করে চুমু দিয়ে দিলাম ইংরেজটার গালে….
!
-উনি অবাক হয়ে বললেন,লিসেন ডোন্ট টাচ মি!আমার ভার্জিনিটি একদম নষ্ট করার চেষ্টা করবা না।
!
-আর আমি বেআক্কেলের মতো তাকিয়ে রইলাম।ব্যাটা ইংরেজ বলে কী?কাল রাতে কী করেছিলো আমায়?আমিও বললাম,তাহলে আপনি আমার ভার্জিনিটি নষ্ট করলেন কেন?
!
-ড্যাম ইট!আমি কারো ভার্জিনিটি নষ্ট করিনি।কাল রাতে তোমায় আমি পানিশমেন্ট দিয়েছিলাম। শুধু তোমায় কামড় দিয়েছিলাম,তাও ঠোঁটে। এর বেশি আর কিছুই করিনি,আর এসব করার কোনো ইচ্ছেও আমার নেই।আমার থেকে অলওয়েজ ডিসটেন্স মেইনটেইন করে চলবে….আবরার চৌধুরী কারো কাছে হার মানে না।গট ইট…….বলেই রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।।
!
-আমি আবারো হ্যাং মেরে বসে রইলাম…..উনি যা বলেছেন সব তো সত্যিই।উনি সেরকম কিছুই করেননি।আর আমি কী ভাবছিলাম………
চলবে…..
(
হ্যাপি রিডিং 💜💜