পর্ব ৩২+৩৩
#তুই_আমারই_থাকবি💜
#Esrat_Jahan💜
#Part_32
!
‘আপনাকে এতো বোঝতে হবে না।দেখতে চেয়েছিলেন দেখিয়েছি।এখন এতো রাতে আপনার গবেষণা বন্ধ করুন।আর বাসায় ফিরে গিয়ে ধন্য করুন!
।
কেন?
।
আরে আজব তো!ঢ্যাঙ্গার মতো লম্বা শরীর নিয়ে সারারাত কি কচুবাগানে বসে থাকবেন? যত্তসব।
।
এই পকপক বন্ধ করো তো।এত সুন্দর একটা রাতে হাওয়া খেতে বেরুলাম আর তুমি পকপক শুরু করলে?বিরক্তিকর।
।
ওহহ…আমি তো বিরক্তিকরই।থাক,আমি হাওয়া খান একা একা,স্যরি গার্লফ্রেন্ডকে ফোন করে দেখাতে ভুলবেননা কিন্তু।
।
বাট গার্লফ্রেন্ড তো অলরেডি দেখে ফেলেছে!
।
আমি উনার কথাটা ধরতে পারলাম না।আস্তে করে কিছু বলার আগেই আকাশে ঝিলিক দিলো বিদ্যুৎ!
আমরা কিছু বুঝে উঠার আগেই আকাশ ঘন কালো মেঘে ছেয়ে গেলো। আমি উনাকে বললাম, আসুন বৃষ্টি হবে মনে হচ্ছে!!
।
বৃষ্টি হলে আমি কি করবো?
।
মানে?বৃষ্টি হলে কি রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভিজবেন নাকি?
।
ভিজলে কি হবে?
।
মানে?
।
ভিজলে কি হবে?কিছু তো হবে না?তাহলে বাসায় গিয়ে কি করবো?এমনিতেই তোমাদের বাসায় একগাদা মানুষ! আমার তো দমবন্ধ হয়ে আসছিলো,মাই গড!
উনি জোরে জোরে নিঃশ্বাস ফেলে বললেন।
।
উনার অবস্থা দেখে আমার হাসি পেয়ে গেলো।আমি মিটিমিটি করে হাসছি।আর উনি তাকিয়ে আছেন।হঠাৎ করেই কচু পাতার সবচেয়ে বড় একটা পাতা নিয়ে আসলেন।
।
আমি ভ্রু কুঁচকে সন্দেহী গলায় বললাম, কি?এতে কি হবে?
।
কাজ হবে।
।
কিসের কাজ?
।
বৃষ্টি হলে ছাতার কাজ করবে,তুমিই তো বলেছিলে।এখন এক্সপেরিমেন্টটা করে ফেলি।
।
অসহ্য। এত রাতে ঢ্যাঙ্গা শরীর নিয়ে করবে নাকি এক্সপেরিমেন্ট। বলি,রাস্তাঘাট কি আপনার এসব ফালতু এক্সপেরিমেন্ট করার জন্য তৈরি করা হয়েছে?
।
মোটেও আমায় ঢ্যাঙ্গা বলবে না।আমি যথেষ্ট ফিট।
জানি জানি।লম্বায় দশহাত,দেখলে মনে হয় বাঁশগাছের বাঁশ!
।
তুমি কিন্তু আমায় ইনসাল্ট করছো।রেগে বললেন!
।
ওকে বাদ দেন।এখন যাবেন কিনা বাসায়, বলুন।
।
উনি রেগে কটমট করে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, না যাবো না।তোমাকেও যেতে দেব না।বৃষ্টি আসলে আসুক না আসলে নাই।এখানেই থাকবো।
।
আরে কি মুশকিল।
।
এই,পকপক বন্ধ না করলে এক থাপ্পড় দেব।
।
কচু!
।
উনার এসব আবালের মতো কাজকর্মে আমি ভীষণ বিরক্ত হলাম,কথা না বলে চুপ করে বসে আছি একটা বেঞ্চিতে।আর উনি পাশে বসে তাকিয়ে তাকিয়ে এদিক ওদিক দেখছেন।
।
হঠাৎ করে বাতাস বেশ জোরে বইতে লাগলো। গাছের পাতা উড়ছে অবিরাম।আমি বিরক্তি নিয়ে মাঠের সেই বেঞ্চিতেই বসে আছি।উনি খুশি খুশি গলায় বললেন,ওয়াও!কি সুন্দর ওয়েদার।ফ্যান্টাসটিক।
।
এমন করছেন কেন?জীবনেও দেখেননি নাকি?আজব!
।
আবার পকপক? বলতে বলতে আমার মুখের দিকে তাকালেন।একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন। বাতাসে উনার চুল উড়ছে অবিরাম।আমি মাথা নিচু করে চুটকি বাজিয়ে বললাম, কি মিয়া?ভ্যাবলার মতো তাকিয়ে আছেন কেন?
।
উনি কিছু না বলে আবারও তাকিয়ে রইলেন।
।
ভূতে ধরলো নাকি?আমি মনেমনে আয়াতুল কুরসি পড়তে লাগলাম।ভয়ে চোখ বন্ধ করে বসে আছি।ভাবছি উনাকে রেখেই সুযোগ বুঝে এক দৌড়ে বাসায় চলে যাবো।নইলে উনার ভূতটা আমার ঘাড়েও চাপবে!
।
আড়চোখে তাকিয়ে দেখি সেই, উনি তাকিয়েই আছেন।
।
আয়াতুল কুরসি পড়ে ভাবলাম দৌড় শুরু করি।যাই ভাবা সেই কাজ।চোখ খুলে দেখি উনি আমার মুখের কাছে এসে বসেছেন,আমার পাশে।আমি ভাবলাম এইবার শেষ!
।
উনি ধীরে ধীরে আমার চুলে হাত দিলেন।ভাবলাম শেষ, ঘাড় মটকে রক্ত খাবেন এবার।কিন্ত না, তা না করে হাতটা নিয়ে আসলেন সামনে।তাকিয়ে দেখি একটা পাতা,তাও শুকনো।হয়তো উড়ে এসে মাথায় লেগে গিয়েছিলো।
।
উনি হু হা করে হেসে বললেন,ভয় পেয়েছিলে বউ??
।
আমি মুখ কালো করে উনার চুল টেনে ধরে বললাম,এই ছিলো তোর মনে? আর আমি কি ভয়ই না পেয়েছিলাম।
।
কিহ বললে তুমি?তুইতুকারি করছো কেন?
।
ভয় দেখালি কেন?
।
আমি কাউকে ভয় দেখাইনি।তুমি নিজেই ভয় পেয়েছ।এখন তার দায় আমার উপর চাপাতে চাইছো।
।
তাহলে এভাবে তাকিয়ে থাকার মানে কি?
।
আমার বউ!আমার যখন ইচ্ছা তাকাবো। তুমি বলার কে?চুল ছাড়ো আমার।
।
তাহলে শুনে রাখ!আমিও আমার বিলেতি বরের চুল ধরেছি।ছাড়বো না।
।
তুইতুকারি করছো কেন?
।
আমার ইচ্ছা।প্রথমদিন তুইও তো আমাকে তুইতোকারি করেছিলি।ভুলে গেলি?
।
না, অবশ্য তুইতোকারি করলেও প্রবলেম নেই।ইচ্ছে করলে তুমিও বলতে পারো!
।
আমি উনার চুল ছেড়ে দিয়ে রিল্যাক্স হয়ে বসলাম। বললাম, এই পাতাটার জন্য এতক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে ছিলেন আর আমি ভেবেছিলাম কি না কি,আপনাকে বোধহয় ভূতে পেয়েছে। বাবারে বাবা।
।
আর তুমি ভয় পেয়ে আমার থেকে পালাতে চেয়েছিলে।বলেই হা হা করে হাসতে লাগলেন।
।
আমি উনার হাসি দেখছি একমনে।এমন সময় আকাশ ভেঙ্গে নেমে এলো জল।উনি তাড়াতাড়ি কচুপাতা দিয়ে উনার মাথা আমার মাথা ঢাকলেন।কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হলো না।উল্টো একটা দমকা হাওয়ায় কচু পাতা যে কোথায় উড়ে গেলো তার ইয়াত্তা পাওয়া গেলো না।
।
আমি রেগে কটমট করে তাকালাম।উনি অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে।ততক্ষণে দুজনেই ভিজে চুপচুপ।আমার সালোয়ার কামিজ,ওড়না সব ভিজে গিয়েছে।আর উনার পরণের পোলো শার্ট,হাফ প্যান্ট আর বিখ্যাত লুপার ভিজে চুপসে গিয়েছে।
।
কি হলো এটা?আপনার এসব ফালতু এক্সপেরিমেন্ট এর কবলে পড়ে সব হয়েছে।যত্তসব।
।
এখন তো সব আমারই দোষ, তাই না?আমি কি আটকে রেখেছিলাম তোমাকে?
।
আমি হা করে তাকিয়ে রইলাম। গিরগিটি বলে কি?এমন মিথ্যুক, নিজেই জোর করে আমায় বাসায় যেতে দেয়নি এখন বলে উনি নাকি আমায় আটকে রাখেননি।
।
আমি কটমট করে তাকানোর আগেই উনি তুলে নিলেন আমাকে উনার কোলে।তারপর হেঁটে চললেন বাসার দিকে।
।
আমি হাত পা ছুড়ে নামাতে বলছি,কিন্তু উনি নাছোড়বান্দা। মুখ কালো করে বললেন, এত পাতলা কেন তুমি?আমার ডাম্বেলের ওজন ও তোমার থেকে বেশি।ইশ জুতো গুলো ভিজে পা কেমন করছে।ধুর….জুতো গুলো নষ্ট!
।
আমি হেসে বললাম, উচিৎ শিক্ষা হয়েছে।
।
দেখো…..’
#part_33
!
‘দেখো,মেজাজ খারাপ করাবানা।যত্তসব।
।
আমি কি বলেছি আমাকে কোলে নেন?
।
না,বলোনি।
।
তাহলে এত মেজাজ আমাকে দেখাচ্ছেন কেন?
।
দেখছ না আমার জুতো ভিজে গিয়েছে?আমি হাঁটতে পারছি না।
।
সারাদিন এইসব সু’জুতো পড়ে রাখেন তার ফল এটা,বুঝলেন?
।
মানে? আমি কি জুতো ছাড়া খালি পা নিয়ে ঘুরবো নাকি?
।
এইটাকে বুঝাই কিভাবে? বললাম, সারাদিন জুতা পড়ে রাখার কোনো দরকার আছে? বাইরে গেলে বা কোনো দরকারে পড়তে পারেন।কিন্তু আপনি সারাদিন রাত জুতা পড়ে ঘুরাঘুরি করেন,তাই এটা আপনার বদ অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
।
উনি কিছু বলতে যাবে তার আগেই একটা পাথরের উপর উষ্ঠা খেয়ে আমাকে নিয়ে পড়ে গেলেন মাটিতে।
।
আমি বেশি ব্যথা না পেলেও উনার হাত একটু ছিলে গেলো। উনি আহ করে চেঁচাতে লাগলেন।
।
এই অবস্থায় আমি হা হা করে হেসে উঠলাম।
।
উনি চেঁচানো থামিয়ে ধীরেধীরে উঠে দাঁড়ালেন,আমার দিকে অগ্নিদৃষ্টিতে নিক্ষেপ করে গমগম করে বললেন, খুব হাসি পাচ্ছে তাই না?
।
হুম,পাচ্ছে তো!
।
তোমার হাজব্যান্ড এর হাত কেটে রক্তারক্তি হয়ে গেছে।আর তুমি মজা নিচ্ছো?
।
আমি হতভম্ব হয়ে বললাম, রক্তারক্তি কোথায় হলো?সামান্য হাত ছিলে যাওয়ায় আপনি এটাকে রক্তারক্তি বলছেন?আজব!
।
উনি মুখ ফুলিয়ে বললেন,ওহহ!এটা সামান্য?হাত দিয়ে রক্ত বের হয়েছে আর তুমি এসব বলছো?কতটা ব্যথা হচ্ছে জানো তুমি?
।
কেন?এখন কি করবো তাহলে আমি?
।
তুমি মুভিতে দেখো না?কারো হাত কেটে গেলে ওড়নার আঁচল ছিঁড়ে বেঁধে দিতে হয়?
।
কি সব যাতা বলছেন?বাংলা সিনেমার কাহিনী যত্তসব!
।
তুমি আমার সেবা না করে এসব বলছো?থাক লাগবে না….!
।
আরে আপনি ভুল বুঝছেন।আপনার তেমন কিছুই হয়নি,সামান্য ছিলে গিয়েছে শুধু।
।
উনি চোখ লাল করে বললো,এখনো এসব বলছো?বলবেই তো…!
।
ধুর!আপনি শুধু শুধু ভুল বুঝছেন।আর আপনি না জিম করেন,আর এটুকু কষ্ট সহ্য করতে পারছেন না?চলুন বাসায় চলুন।
।
।
।
আমি উঠে দাঁড়িয়ে দেখি,উনি সেই মুখ গোমড়া করে দাঁড়িয়ে আছেন। আমি জোর করে উনাকে নিয়ে বাসায় ফিরে এলাম।মেহমান থাকায় দরজা খোলা ছিলো,সামনে কেউ না থাকায় আমি চুপিচুপি উনাকে নিয়ে সোজা আমার রুমে চলে এলাম।
।
দরজা লাগিয়ে উনাকে ফ্রেশ হয়ে আসতে বললাম,উনি চুপচাপ ফ্রেশ হয়ে এসে ব্যলকুনিতে দাঁড়িয়ে রইলো।
।
আমি ওনার হাতের ছিলে যাওয়া জায়গাটাতে এন্টিসেপটিক লাগিয়ে দিলাম। উনি কিছু বললেন না।মুখ ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো।
।
উনার এইসব ন্যাকামি দেখে আমার খুব হাসি পেলো।তারপর আমি কাপড় নিয়ে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম।
।
লম্বা একটা শাওয়ার নিলাম,বেশ ঠান্ডা পড়েছে আজ।একটু আগে বৃষ্টি পড়ায় এমন ঠান্ডা পড়েছে!
।
।
।
শাওয়ার নিয়ে বের হয়ে দেখি উনি মোবাইল টিপছেন।মুখচোখ আগের মতোই।আমি ডোন্ট কেয়ার ভাব দেখিয়ে রুম থেকে বাইরে বেরিয়ে এলাম।আম্মু আমাকে দেখে বাংলা সিনেমা টাইপ ভাষণ শুরু করলো, যে আমি নাকি উনার খেয়াল রাখিনা,উনার খাওয়ার খোঁজ নেই না ইত্যাদি ইত্যাদি হ্যান-ত্যান!
।
একগাদা কথা শুনিয়ে হাতে বিরিয়ানির প্লেট ধরিয়ে দিলেন।উনি নাকি খাননি।তাই আমি যাতে খাবারটা রুমে নিয়ে যাই সেজন্যই।
।
আমিও বিরক্ত হয়ে গেলাম রুমে।গিয়ে দেখি মোবাইল টিপাটিপিই করছেন।আমি গিয়ে বললাম,নেন খান।
।
উনি তাকিয়ে বললো, কি?
।
খাবার।
।
কিসের?
।
আজব!রাতের খাবার।
।
ওহহ!এতক্ষণে মনে পড়লো যে আমি খাইনি?
।
জ্বি না।আমার মনে পড়ে নাই।আমার আম্মু মানে আপনার ফুপি মনে রেখেছে যে উনার মেয়ের জামাই খায়নি।
।
তাই নাকি?
।
জ্বি,খেয়ে নিন।
।
খাবো না।নিয়ে যাও।
।
কেন?
।
ইচ্ছে।
।
বললেই তো হবে না।খেতে হবেই।আমি কষ্ট করে বয়ে নিয়ে আসলাম আর আপনি খাবেন না, তা হয় না।
।
উনি ভ্রু কুঁচকে বাঁকা হাসি দিয়ে বললেন,তুমি খাইয়ে দাও।
।
আমি হতভম্ব হয়ে বললাম,মানে?
।
মানে সিম্পল। তুমি খাইয়ে দাও।নইলে ভাগো।ডিস্টার্ব করবা না।
।
ভাবলাম সারারাত না খেয়ে থাকবে!এর চেয়ে ভালো খাইয়েই দেই।
।
যেই ভাবা সেই কাজ। আমি বিরিয়ানি এক চামচ নিয়ে উনার মুখে পুরে দিলাম।উনি হা করে তাকিয়ে রইলেন। তারপর চিবিয়ে চিবিয়ে খেতে লাগলেন।
।
আমি বাতাস গিললাম লজ্জায়। উনি মুচকি হেসে সোজা হয়ে বসলেন।আমি যাইহোক, যেমন যেমন করে উনাকে খাইয়ে দিলাম।একপ্লেট শেষ করে আমি হাফ ছাড়লাম।ভাবলাম যাই রেখে আসি প্লেট।
।
পিছন ঘুরতেই উনি বলে উঠলেন বিরিয়ানিটা জাস্ট ওয়াও।আরো একপ্লেট নিয়ে আসো যাও।
।
কিহ?আরও? আমি আর পারবো না।
।
ছিহ খুশবু! তোমার বাসার গেস্ট আমি,আর তুমি এসব কি বলছো?মিনিমাম সেলফ-রেসপেক্ট ও নেই তোমার!ছিহ!ফুপি কিছু শিখাইনি তোমাকে?আমাদের বাসায় তো সারাদিন খাই খাই-ই করো!
।
উনার গা জ্বালানো কথায় আমি রেগে গেলাম।সাথে লজ্জাও পেলাম।ঠিকই তো, উনি গেস্ট আমাদের বাসার।কিন্তু মোটেও আমি উনাদের বাসায় খাই খাই করি না।যাইহোক, আমি আরও একপ্লেট বিরিয়ানি নিয়ে উনাকে খাইয়ে দিলাম।আর উনি সুযোগ পেয়ে আমাকে জ্বালিয়ে খেলেন।
।
প্রায় দুইঘন্টা পরিশ্রম করে উনার এসব ন্যাকামি সহ্য করলাম। তারপর সবকিছু গুছিয়ে ফ্রেশ হয়ে শুতে গেলাম।
।
এখানেও উনার আবালের মতো নাটক আমি সহ্য করলাম।তারপর লম্বা এক ঘুমে রাত কাটিয়ে দিলাম।
।
পরদিন বেশ বেলা করে ঘুম ভাঙ্গলো।বিয়ে বাড়ির হৈচৈ শেষে ঠিক হলো আমরা সবাই বাইরে ঘুরাঘুরি করে আসি।তাই আমি আনিকা আর সাদাফ ভাইয়াকেও ফোন করে আসতে বললাম।উদ্দেশ্য সবাই মিলে সময় কাটাবো।’
।
।
।
চলবে….
ভালো লাগলে নেক্সট দেবো ইনশাল্লাহ ❤
গল্প পড়তে ভালো না লাগলে এভয়েড করুন। প্লিজ বাজে মন্তব্য হতে দূরে থাকুন।