তুমি থেকে যাও আমি রেখে দিব পর্ব -২৫+২৬

#তুমি_থেকে_যাও_আমি_রেখে_দিব
#পর্ব_২৫
#লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu

আহান অধরা’র সামনে ফোন’টা ধরে-ই বলল।এসব কি অধরা।তুমি আমাদের পরিবারে’র ক্ষতি করার জন্য আসছো।সত্যি করে বলো,তুমি কে”?তোমার আসল পরিচয় কি”!কে তোমাকে পাঠিয়েছে।আমাদের বাসায়।চুপ করে থেকো না অধরা।আমার ধৈর্যের পরীক্ষা নিও না।আমি রেগে গেলে সত্যি অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যাবে।

মেসেজ’টা পড়ে অধরা’র পুরো শরীর কাপাকাপি শুরু হয়ে গেছে।তার মা তাকে এই এসএমএস পাঠিয়েছে।অধরা’র কেমন জানি বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে।তার নিজে’র মা তার সংসার ভাঙার চেষ্টা করছে।অধরা কাঁপা কাঁপা গলায় উত্তর দিলো।

–বিশ্বাস করুন,আমি কিছু জানি না।আমার কোনো উদ্দেশ্য নেই।আমি আপনা’কে বিয়ে করে ছিলাম,আমার বাবা’কে বাঁচানো’র জন্য।আপনার বাবা আমাকে দশ লক্ষ টাকা দিয়েছিলো।আর আমাকে বলেছিলো,আপনা’কে বিয়ে করতে হবে।বাবা’কে সুস্থ করার জন্য আমি আপনাকে বিয়ে করে ছিলাম।কিন্তু আমি আপনাদের কোনো ক্ষতি করতে আসি নাই।

–তাহলে এই এসএমএস টা কোথায় থেকে আসলো।তোমার মায়ের নাম স্পষ্ট ফুটেছে।সত্যি কথা বলো বলছি।

–বিশ্বাস করুন আমার কোনো উদ্দেশ্য নেই।ফোনটা দেন।আমি মা’কে ফোন দিচ্ছি।দেখি মা এমন মেসেজ কেনো দিলো।অধরা তড়িঘড়ি করে।আহানের হাতে থেকে ফোন’টা নিয়ে নিলো।তারপরে কয়েক বার ফোন দিলো।কিন্তু অধরা’র মায়ের ফোন বন্ধ।

–কি সুন্দর অভিনয় করতে পারো তুমি অধরা।তাই তো বলি আমাকে তুমি বিয়ে করতে কেনো রাজি হলে,যাকে দু’চোখে দেখতে পারো না।এক কোথায় রাজি হলে কি করে।এই হিসেব টা কিছুতে-ই মেলাতে পারতাম না।আজ মিলে গেলো।আজ এই মুহূর্তে এখনি আমার বাসা থেকে বের হয়ে যাবে।আগে তুমি আমাকে রেখে চলে যেতে না।তুমি কি রেখে যাবে।আজ আমি নিজেই তোমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিব।যাও বের হও।

এই কথা শুনে অধরা আহান’কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।

–প্লিজ আমাকে তাড়িয়ে দিবেন না।আমি আপনাকে ছাড়া কোথা’ও যাব না।আমাকে তাড়িয়ে দিবেন না।আপনাকে ছাড়া আমার ভালো লাগে না।আপনাকে ছাড়া আমি ভালো থাকতে পারবো না।আমার কোনো উদ্দেশ্য নেই।আমি আপনাকে ছেড়ে কোথা’ও যাব না।আপনি যদি আমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিলে-ও যাব না।

–বিশ্বাসঘাতকদের কোনো জায়গা আমাদের বাসায় নেই।বলে-ই নিজের থেকে অধরা’কে সরাতে লাগলো।অধরা আরো শক্ত করে আহান’কে জড়িয়ে ধরলো।আহান নিজের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে,অধরা’কে সরিয়ে দিলো।অধরা’র হাত ধরে টানতে টানতে নিচে নিয়ে আসলো।সবার দৃষ্টি তাদের দিকে।অধরা’র চোখ লাল হয়ে গেছে।নীরবে কান্না করে-ই যাচ্ছে।

–কি রে ভাই কি হয়েছে।তুই অধরাকে এভাবে টানছিস কেনো।বলল তিতির।

–কোনো বেইমানে’র জায়গা আমাদের বাসায় নেই।বেড়িয়ে যাও,আমি ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার আগে বেড়িয়ে যা-ও।

–আমি যাব না।আমি কোথা’ও যাব না।আমাকে বিশ্বাস করুন আমার কোনো উদ্দেশ্য নেই।বাবা আপনার ছেলেকে একটু বুঝান না।আমি আপনাদের কোনো ক্ষতি করতে আসি নাই।আপনার ছেলে আমাকে ভুল বুঝছে।

–আমি তোমাকে ভুল বুঝছি তাই না।তাহলে তোমার ফোনের মেসেজ টা সবাইকে দেখাবো।তুমি আমার মুখের সামনে থেকে সরে যা-ও।কোনোদিন তোমার মুখ দেখতে চাই না।

–আহান কি হয়েছে।তুমি মেয়েটার সাথে এমন করছো কেনো।বললেন আশরাফুল চৌধুরী।তখনি আহান অধরা’র হাত থেকে ফোন কেঁড়ে নিয়ে,তার বাবাকে মেসেজ টা দেখালো।মেসেজ টা পরে স্থীর দৃষ্টিতে অধরা’র দিকে তাকালো।

–দেখলে তো আমি আগে-ই বলে ছিলাম।মেয়েটা ভালো না।যেদিন থেকে আমার ছেলের জীবনে এসেছে।আমার ছেলের জীবন টা শেষ করে দিচ্ছে।বাসা থেকে বিদায় হ কালনাগিনী।বললেন আফরোজা চৌধুরী।

–মা বিশ্বাস করুন আমি আপনাদের কোনো ক্ষতি করতে আসি নাই।আমাকে বিশ্বাস করুন।

–একদম আমাকে তোর ঐ মুখে মা ডাকবি না।কে তোর মা আমি কি তোকে জন্ম দিয়েছি নাকি।যে,তুই আমাকে মা ডাকছিস।

–সবাই ওর কথা এত শুনছে কেনো।আমি ওর মুখ আর দেখতে চাই না।অধরা আমি তোমার গায়ে হাত তুলতে চাই না।গায়ে হাত তোলার আগে বাসা থেকে বের হয়ে যা-ও।

–আহান আমার মনে হচ্ছে তুই ভুল করছিস।এভাবে সবকিছু যাচাই না করে।একটা মেয়েকে এভাবে ভুল বুঝতে পারিস না।অধরা আমার সাথে যাবে।ওকে আমি আমার সাথে নিয়ে যাব।থাকলো না তোর কাছে কিহবে।যে,স্বামীর তার স্ত্রী ওপরে বিশ্বাস নাই।সে,কেমন স্বামী’রে।তোর তো কারো স্বামী হবার যোগ্যতাই নাই।বলল তিতির।

–আপু ওনাকে কিছু বলো না।উনি তো উনার জায়গা থেকে ঠিক আছেন।অন্য কেউ হলে’ও আমাকে ভুল বুঝতো।তাই বলে যে,তাকে ছেড়ে যেতে হবে।এর কোনো মানে হয় না।আমি ওনাকে ছেড়ে কোথা’ও যাব না।

–অধরা তোমার মাথা খারাপ হয়ে গেছে।যে,তোমাকে বিশ্বাস করে না।তুমি তার কাছে থাকবে।বলল তিতির।

–তুমি যদি এখনি আমার বাসা থেকে যদি চলে না যা-ও।তাহলে আমার মরা মুখ দেখবে।আমি তোমার মুখ দেখতে চাই না।বেঁচে থাকতে তোমার সাথে যেনো আমার কোনোদিন দেখা না হয়।বলল আহান।

–আহান।এসব কি বলছেন আপনি।এসব কথা বলবেন না।কথা ফিরিয়ে নেন।আমি আপনাকে ছেড়ে কোথা’ও যাব না।আহান কোনো কথা না বলে সেখানে থেকে বেড়িয়ে গেলো।অধরা ফ্যাল ফ্যাল করে আহানের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।তবে কি সত্যি আহান তার মুখ দেখতে চাই না।আসলে দেখবেই বা কি করে।ভালো তো আমি ওনাকে বাসছি।উনি আমাকে ভালো বাসে নাই।আমি কষ্ট পেলে ওনার কোনো কিছু যায় আসে না।অধরা আশরাফুল চৌধুরীর কাছে গিয়ে বলল।

–বাবা আপনি আমার অনেক উপকার করেছেন।আর একটা করুন।আমার ভাইটাকে আমার নানির বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসবেন।

–তুমি কোথায় যাবে।তোমার কোথা’ও যাওয়া লাগবে না মা।তুমি বাসায় থাকো।ছেলেটার রাগ হয়েছে।তাই বলেছে তুমি কিছু মনে করো না।

–যে,আমার মুখ দেখতে চায় না।আমি’ও আর তার সামনে থাকতে চাই না বাবা।নিজেকে এতটা নিচে নামাতে পারবো না।বলে-ই অধরা বাসা থেকে বের হয়ে চলে গেল।কোথায় যাবে,কার কাছে থাকবে।কিছু জানা নেই অধরা’র।সে,এতটুকু চায় আহান ভালো থাকুক।আহানের ভালোর জন্য হলে-ও তাকে আহানের থেকে দূরে থাকতে হবে।আজ আমি কথা দিচ্ছি।আমি নিজে থেকে কখনো আপনার সামনে আসবো না আহান।একদিন আপনি আমাকে দেখার জন্য পাগল হয়ে যাবেন।পুরো শহর জুরে আমাকে খুঁজবেন।কিন্তু আমাকে খুঁজে পাবেন না।তখন বুঝতে পারবেন।দেখার তৃষ্ণা পেলে দেখতে না পেলে কোথায় লাগে।একদিন আপনি-ই নিজেই আমার সাথে কথা বলার জন্য পাগলামি করবেন।কিন্তু কথা বলার জন্য আমাকে পাবেন না।আমি অধরা আপনাকে কথা দিলাম।আপনি নিজে থেকে যেদিন আমার সাথে বলবেন।আপনি নিজে যেদিন আমার সামনে আসবেন।আমি’ও সেদিন আপনার সাথে কথা বলবো।আপনার সামনে আসবো।বলতে বলতে রৌদ্র তপ্ত রাস্তায় একা একা হেঁটে যাচ্ছে অধরা।

–বাবা তোমার ছেলে কি ভাত মাছ খায় না।না জেনে শুনে মেয়েটা-কে তাড়িয়ে দিলো।তোমাদের প্রশ্রয় পেয়ে পেয়ে দিন দিন এত বেয়াদব হচ্ছে।থাকো তোমরা তোমাদের ছেলে নিয়ে।আর কোনোদিন আসবো না তোমাদের বাড়িতে।একদম আমাকে নিতে যাবে না।বলে-ই তিতির রাগ দেখিয়ে চলে গেলো।

আশরাফুল চৌধুরী ডাকলেন তবু্’ও শুনলো না তিতির।অধরা রোদের মধ্যে হেঁটে যাচ্ছে।যতবেলা বাড়ছে,রৌদ্রের তাপ ততই বেড়ে চলেছে।এভাবে আর হাঁটা যাবে না।অধরা সামনের দিকে এগোতে যাবে।তখনি একটা সাদা গাড়ি এসে,অধরার সামনে দাঁড়ালো।

–তুমি”?

–কথা কম বলো।চুপচাপ গাড়িতে এসে বসে পড়।

–না আমি যাব না।

–বেয়াদবের মতো তর্ক করছো।আমি যা বলছি তাই শুনো।অধরা আর কোনো কিছু না বলে চুপচাপ গাড়িতে উঠে বসলো।গাড়িটি নিজের মতো চলতে শুরু করলো।

–আসবো।

–আসুন।আপনাকে তো ঠিক চিনলাম না।বলল আহানের বড় ভাই।

–আমাকে তুমি চিনবে না।তুমি আমাকে তোমার শুভাকাঙ্ক্ষী মনে করবে পারো।

–আমি আপনাকে কিভাবে সাহায্য করতে পারি।

–তুমি তো বাড়ির বড় ছেলে।সে হিসেবে তোমার তো তোমার বাবার বড় কম্পানি’টা সামলানো উচিৎ।কিন্তু তুমি তা-না করে এই ছোট ব্যবসা সামলাচ্ছ কেনো।আর তোমার ছোট ভাই সে,বড় কম্পানি চালাচ্ছে।তোমার তো কোনো মূল্যই নেই।তোমার পরিবারের কাছে,সব মূল তোমার ছোট ভাইকে দেয় সবাই।

–আপনি এসব কি বলছেন।আমার ছোট ব্যবসায় কাজ করতে ভালো লাগে।বাবা আমাকে বলেছিলো।আমি নিজে থেকে ছোট ব্যবসার দায়িত্ব নিয়েছি।আর কাজের ছোট-বড় কোনো কিছুই নেই।কাজ তো কাজই হয়। আমার সব রকম কাজ করতে ভালো লাগে।আমার ছোট ভাই-ই তো ও কাজ করলে যা হবে।আমি কাজ করলে-ও তাই হবে।

–তুমি আমার বিষয়-টা বুঝলে না।তুমি বড় সন্তান হয়ে তুমি কেনো ছোট কাজ করবে।আর বাড়ির ছোট সন্তান হয়ে বড় কাজ করছে।সবাই তো তাকে-ই ভালোবাসে তাই না।

–আপনি কে আর এসব উল্টা পাল্টা কথা কেনো বলছেন।এখনি আমার অফিস থেকে বেড়িয়ে যান।

–চলে যাচ্ছি।আমার কথা ভেবে দেখো।তোমারও সন্তান আছে।এভাবে চলতে থাকলে,সব তোমার ভাই আহানের হয়ে যাবে।তোমার সন্তানের ভবিষ্যৎ কি হবে,একবারো ভেবে দেখেছো।বলে-ই উনি চলে গেলেন।আহানের বড় ভাই খুব রেগে গেলেন।

–কই থেকে যে,সব চলে আসে।আহান আমার-ই ছোট ভাই।আমার যদি কিছু হয়ে যায়।তাহলে আমার ছেলেকে দেখবে না।উনি তো খারাপ কিছু বলে নাই।আজকে বাসায় গিয়ে সবাইকে একটু বাজিয়ে দেখবো।বলেই কাজে মন দিলেন।

দুপুরে বেলা আহান আর আহানের বড় ভাই দু’জনে একসাথে বাসায় ফিরে আসলো।অফিসে গিয়ে।কাজে কিছুতে-ই মন বাসাতে পারছে না আহান।তাই কাজ শেষ হবার আগেই বাসায় চলে আসলো।

–কিরে তো কাজ কেমন হচ্ছে।আজকাল প্রায়ই দেখছি তুই তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আসছিস।এভাবে কাজ করলে হবে।

–তুমি নিজে দায়িত্ব নিলেই তো পারো।তুমি বাড়ির বড় ছেলে।আর অফিসের দায়িত্ব তো তোমারি সামলানোর কথা তাই না।তা-না করে ছোট অফিসে কাজ কেনো করো।

–আমাকে কি কখনো কেউ নিজে যেচে বলছে বড় অফিসের দায়িত্ব নিতে।সবাই আহান আহান করে পাগল।সবাই তোকে ভালোবাসে।তোকে বেশি গুরুত্ব দেয়।আমার তো কোনো মূল্যই নেই কারো কাছে।দুই ভাইয়ের চিৎকার শুনে সবাই এগিয়ে আসলো।যে,দুই ভাই জোরে কখনো কথা বলে না।তারা চিৎকার করে কথা বলছে।

–থাপরে তোমার দাঁত ফেলে দিব।তোমাকে হাজার বার বলছি অফিসে বসো।কিন্তু তোমাকে মেরেও বাসাতে পারতাম না।আজ তুমি কি কথা বললে।

–সামান্য অফিসে বাসার জন্য এতগুলো কথা বললে ভাইয়া।আমাকে বললে আমি আমার জীবন টাও তোমাকে দিয়ে দিতাম।বলে-ই চলে গেলো আহান।আহানের বড় ভাইয়ের মনটা খারাপ হয়ে গেলো।সবাই তাকে কতটা ভালোবাসে আর সে একটা বাহিরের মানুষের কথা শুনে,তাঁদের কষ্ট দিলো।

–তোমার কি হয়েছে সবার সাথে এভাবে কথা বলছো কেনো।বলল আশা।

তোমরা সবাই আমাকে মাফ করে দাও।আমি শুধু দেখতে চেয়ে ছিলাম।তোমরা সবাই আমাকে কতটা ভালোবাসো।আমি তার প্রমাণ পেয়ে গেছি।

–বাহিরের মানুষের কথা শুনে তুমি আমাদের ভালোবাসা নিয়ে প্রশ্ন তুললে।তোমার থেকে এটা আশা করি নাই।

–বাবা তুমি জানো।

–শুধু তোর বাবা না আমরা সবাই জানি।

–তোমরা আমাকে মাফ করে দাও।আমার ভাইয়ের থেকে আমি মাফ চেয়ে নিব।বলে-ই উনি নিজের রুমের দিকে গেলো।
#তুমি_থেকে_যাও_আমি_রেখে_দিব
#পর্ব_২৬
#লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu

দেখতে দেখতে কেটে গেলো,পনেরো’টা দিন।আহান আবার আগের মতো হয়ে যাচ্ছে।অফিসে গেলে দুপুরে’র মধ্যে-ই বাসায় ফিরে আসে।এভাবে কাজ করলে তো অফিসে’র বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।শেষে আশরাফুল চৌধুরী নিজেই আবার অফিসের হাল ধরলেন।আহান নিজের রুমে মধ্যে বসে থাকে।সারারাত জেগে থাকে।অধরা যাওয়া পরে রাতে ঘুমিয়েছে কি না।তা আহানের জানা নেই।নিজেকে খুব শূন্য শূন্য লাগে আহানের।বাঁচতে ইচ্ছে করে না।বুকের মাঝখানে ফাঁকা ফাঁক লাগে।এখন বুঝতে পারছে।ও না জেনে বুঝে জীবন থেকে কি হারিয়েছে।থাকতে মূল্য দেয় নাই।হারিয়ে যাওয়ার পরে খুঁজে’ও পেলো না।শহরের এমন কোনো জায়গা আছে,যেখানে আহান অধরা’কে খুঁজে নাই।অধরা তার নানির বাসা’ও যায় নাই।তাহলে মেয়েটা গেলো কোথায়।আজ পনেরো দিন হলো,অধরা’র কোনো খোঁজ নেই।অধরা যে,এই বাসায় নেই।এটা নিয়ে কারো কোনো মাথা ব্যাথা নেই।অধরা থাকলেই কি আর না থাকলেই কি কারো কোনো যায় আসে না।অধরাকে দেখার প্রবল ইচ্ছে জেগেছে মনে।এক পলক দেখলে হয়তো অশান্ত মন’টা একটু শান্তি পেতো।কতদিন হলো কথা হয় না।আহানের দম বন্ধ হয়ে আসে আজকাল।আহান রুম থেকে ভয়ে ভয়ে বেড়িয়ে তার বাবার কাছে গেলো।

–বাবা আসবো”?

–আসো,তুমি হঠাৎ কি মনে করে আমার কাছে আসলে।কোনো দরকার আবার কাকে তাড়াতে হবে বলো।আমি তাকে তাড়িয়ে দিচ্ছি।

–এভাবে কথা বলছো কেনো।

–তাহলে কিভাবে কথা বলবো তুমি বলো।

–বাবা একটা কথা বলবো।

–বলো।

আহান বেশ কিছুক্ষণ ধরে চুপ করে আছে।ভেতরে ভেতরে ভয় কাজ করছে।সে,কি করে তার বাবা’কে তার মনের কথা বলবে।বাবা যদি রেগে যায়।তাকে অনেক কথা শুনিয়ে দেয়।তখন সে কি করবে।আমতা আমতা করে বলল।

–বাবা”!

–বলো।কি তখন থেকে বাবা বাবা করছো।যা বলতে এসেছো।সোজাসাপটা বলো।এতো প্যাচানোর কি আছে।

–তুমি ছেলেটা’র সাথে এমন করছো কেনো।সারাক্ষণ একা একা থাকে।তোমার সাথে দু’কথা বলতে এসেছে।তুমি একটু ভালো ব্যবহার করতে পারো না।একাকিত্ব আমার ছেলেকে শেষ করে দিচ্ছে।আমরা বাবা-মা হয়ে,যদি ওর সাথে এমন ব্যবহার করি।তাহলে আহান কোথায় যাবে বলো তো।বললেন আফরোজা চৌধুরী।

–আমি কি তোমার ছেলেকে একটা থাকতে বলেছিলাম।তার ভালো থাকার ব্যবস্থা’ও করে দিয়ে ছিলাম।সে,যখন নিজের ভালো বুঝে না।তাহলে তার ভালো আমি কি করে করবো।কতটা আশা নিয়ে কতো কাঠকয়লা পুড়িয়ে,মেয়েটাকে এই বাসায় নিয়ে আসছিলাম।তোমার ছেলে অধরাকে পেয়ে তো বেশ ভালো-ই ছিলো।এখন তোমার ছেলেকে জিগা’ও অধরাকে ছাড়া,তোমার ছেলে ভালো আছে নাকি।

আহান এবার তার বাবার পায়ের কাছে বসে পড়ল।কান্না মিশ্রিত কণ্ঠে বলল।

–বাবা অধরা কোথায়।

–আমি জানি না।

–আমি জানি তুমি সব জানো।বাবা আমি আর থাকতে পারছি না ওকে ছাড়া।আর কিছুদিন এভাবে থাকলে হয়তো।আমি মরে-ই যাব।বলো না বাবা অধরা কোথায়।আমি নিজে গিয়ে অধরাকে বাসায় নিয়ে আসবো।

–আমি জানি না অধরা কোথায়।আমাকে বিরক্ত করো না।নিজরে রুমে যা-ও।

মিসেস আফরোজা চৌধুরী অসহায় দৃষ্টিতে স্বামীর দিকে তাকিয়ে আছেন।আফরোজা চৌধুরী’ও এটা বুঝে গেছেন।তার ছেলে মেয়েটা’কে ঠিক কতটা ভালোবাসে।একটা মুহূর্ত ভালো থাকতে পারছে না মেয়েটা’কে ছাড়া।আহানের ভালো থাকার কারণ হয়ে গেছে মেয়েটা।মা হয়ে ছেলের কষ্ট কি সয্য করা যায়।আগে ছোট বেলায় আহান এমন করে বায়না ধরতো গাড়ি কেনার জন্য।আজ আবারো ছোট বাচ্চাদের মতো বায়না ধরেছে।ছোট বেলায় খেলনা গাড়ি কিনে দিতে পরালেও।এখন তার বউকে এনে দিতে পারছে না।আফরোজা চৌধুরী কিছু বলতে যাবে।তখনি আশরাফুল চৌধুরী বলল।

–ছেলের হয়ে সাফাই গাইতে এসো না।তোমার ছেলেকে সকালে উঠতে বলবে।কালকে তিতির’কে আনতে যাব।মেয়েটা রাগ করে চলে গেছে।সামনে তিতলি’র বিয়ে।এখন যদি ও রাগ করে থাকে।বিষয়’টা সত্যি খুব খারাপ দেখায়।

আহান আর কোনো কথা বলল না।চুপচাপ রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো।আশরাফুল চৌধুরী ভালো করে-ই জানেন ছেলেটা রুমে গিয়ে কান্না করবে।বড্ড চাপা স্বভাবের ছেলে তার।খুব সহজে কাউকে কিছু বলে না।আবার বললে সে,জিনিস টা তার চাই-ই চাই।এতটুকু শাস্তি হওয়া দরকার আহানে’র।এই জন্যই বলে “ভাবি’ও করি’ও কাজ।করিয়া ভাবি’ও না।

পরের দিন সকাল বেলা সবাই মিলে তিতিরে’র বাসার উদ্দেশ্য রওনা দিলো।কলিং বেলে চাপ দিতে-ই তিতির এসে দরজা খুলে দিলো।তার বাবা-মা ভাই-বোনকে দেখে খুশিতে লাফিয়ে উঠে এমন অবস্থা হয়েছিল তিতিরে’র।কিন্তু পরক্ষনে তার বাসা থেকে চলে আসার কথা মনে পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেলো।সবাইকে ভেতরে আসতে বলল।তিতির সবার সাথে কথা বললে’ও আহানের সাথে কথা বলছে না।আহান চুপচাপ মাথা নিচু করে বসে আছে।একবার আহানের দিকে তাকিয়ে চলে গেলো নাস্তা তৈরি করতে।তিতরের শশুর শাশুড়ি এগিয়ে আসলো।ড্রয়িং রুমে সবাই মিলে গল্প করছে।হাসাহাসি করছে,এর মাঝে তিতির এসে নাস্তা দিলো সবাইকে।

–বেয়াইন এবার কিন্তু একমাস থেকে যতে হবে।না হলে খুব রাগ করবো।বহুদিন পরে আসছেন।কয়টা দিন না থাকলে যেতে দিব না।বলল তিতিরের শশুড়।

–আমার তিতলির বিয়ে।তাই জন্য আপনাদের সবাই’কে নিয়ে যেতে এসেছি।বহুদিন পর যখন এসেছি,আপনাদের একটু না জ্বালিয়ে বাসায় ফিরছি না।বললেন আশরাফুল চৌধুরী।

আশরাফুল চৌধুরীর কোথায় সবাই হেঁসে উঠলেন।আহানের কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে তিতির নিজেই আহানের পাশে বসলো।তারপরে বলল।

–কি রে কেমন আছিস।চোখ এত লাল হয়ে আছে কেনো।সারারাত ঘুমাস নাই নাকি।চেহারার কি হাল করেছিস।একদম বকের মতো দেখতে হয়ে গিয়েছিস।আহান আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলো না।তিতির’কে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলো।আহান একটু দূরে বসে ছিলো তাই সবাই বুঝতে পারলো না।ভেবেছে অনেক দিন পরে বোন’কে পেয়েছে তাই এমন করছে।

–আপু অধরাকে এনে দাও।আমি আর পারছি না।ওকে ছাড়া আমার কিছু ভালো লাগে না।আমার মাথা কাজ করে না।আমি আর ওকে ভুল বুঝবো না।তুমি অধরাকে এনে দাও।

তিতির আহানের এমন ছেলে মানুষি দেখে হেঁসে দিলো।খালি বড়-ই হয়েছে।ছোট বেলার স্বভাব টা এখনো যায় নাই।তিতির মুখে রাগি ভাব এনে বলল।

–কেনো ভুল বোঝার আগে মনে ছিলো না।তাড়িয়ে দেওয়ার আগে মনে ছিলো না।

আহান আর কোনো কথা বলল না।চুপ হয়ে গেলো।চোখের কোণে জমে থাকা পানিটুকু মুছে নিলো।ছেলেদের চোখে পানি আসাটা বড্ড বেমানান।আহানের অবস্থা দেখে তিতিরের’ও কষ্ট হতে লাগলো।তার কত আদরের ভাই এভাবে কষ্ট পাচ্ছে।

–মন খারাপ করিস না।সময় হলে পেয়ে যাবি।তবে তোকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে।মহারাণীর রাগ ভাঙাতে।বলে-ই চলে গেলো তিতির।আহান তিতিরের কথা আগামাথা কিছু বুঝলো না।তার এখন ঘুমের দরকার।ঘুম না হলে পাগল হয়ে যাবে।লজ্জায় বলতে’ও পারছে না।বেলা বাজে দশ-টা তিতির আহানের কাছে এসে বলল।

–ঝিমাচ্ছিস কেনো।তোর কি ঘুম পেয়েছে।ঘুম পেলে আয় খেয়ে নিবি।খেয়ে ঘুমিয়ে পড়বি।বলে-ই ডাইনিং টেবিলে খাবার সাজাতে লাগলো।

আহান ডাইনিং টেবিল বসে আছে।তিতির ভাত বেড়ে দিচ্ছে আহানের প্লেটে।তখনি অধরা চোখ ডলতে ডলতে এসে ডাইনিং টেবিল বসে।চোখে প্রচুর ঘুম।এখনো ঘুমের রেশ কাটে নাই।ঘুম ঘুম কণ্ঠে বলল আপু তাড়াতাড়ি খেতে দাও।খেয়ে আবার ঘুমাবো।কাল সারারাত রোহান আমাকে যা জ্বালিয়েছে না।খালি ওর পরীক্ষা ছিলো তাই বেঁচে গেছে।না হলে দিতাম কয়টা লাগিয়ে।ম্যাডাম হিসেবে আমি কিন্তু খুব খারাপ।বলে-ই সামনে তাকলো।আহান সহ বাকি সবার দৃষ্টি অধরার দিকে।নিমিষেই অধরার চোখের ঘুম উধাও হয়ে গেলো।দু’জন একদম সামনাসামনি বসে আছে।আহান’কে দেখে অধরা দৌড়ে রুমে চলে গেলো।আহান’ও উঠে দৌড় দিতে যাবে।তখনি তিতির এসে আহান’কে ধরে ফেলে।

–আপু অধরা তোমার কাছে তুমি আমাকে বলো নাই কেনো।আমাকে ছাড়ো ওর কাছে যেতে যাও।ও যদি আমার চলে যায়।

–বাপ রে তোর বউ কোথা’ও পালিয়ে যাচ্ছে না।এখানেই আছে।এত অস্থির হবার কোনো দরকার নেই।বউকে তাড়িয়ে দেওয়ার সময় মনে ছিলো না।এখন এত পাগল হচ্ছিস কেনো।আগে খেয়ে নিবি।তারপরে অধরার কাছে যাবি।আহান চুপচাপ বসে পড়লো।বুকের ভেতর অস্থিরতা কাজ করছে।একদম অধৈর্য হয়ে পড়েছে।তবু্ও চুপচাপ জোরে জোরে খেতে শুরু করলো।

আসলে সেদিন তিতির অধরাকে গাড়িতে তুলে নিয়েছিল।অধরা প্রথম রাজি হয় নাই আসতে।কিন্তু তার কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।তাই তিতিরের সাথে-ই আসছে।এই কয়টাদিন তিতিরের কাছে-ই ছিলো অধরা।আশরাফুল চৌধুরী সবটা জানেন,বাবার বয়স হয়েছে।যদি চিন্তা করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে।তাই আগে-ই জানিয়েছে তিতির।আশরাফুল চৌধুরী তিতির’কে কাল রাতে আহানের কথা বলছিলো।তিতির বলছে বাবা তুমি নিয়ে আসো।আমি দেখছি ওদের বিষয়’টা।

–কি রে তিতির অধরা যে, তোর কাছে আসলো কি করে।

–তোমরা যখন অধরা’কে বাসা থেকে বের করে দিয়েছিলে,মেয়েটা রোদের মধ্যে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল।আমি সেদিন ওকে আমার সাথে নিয়ে আসি।

–আস্তে আস্তে খা তোর খাবার কেউ নিয়ে যাচ্ছে না।এত জোরে জোরে খাচ্ছিস কেনো।বলল তিতলি।

আহান কোনো না বলে খেয়ে-ই যাচ্ছে।খুব দ্রুত নিজের খাবার শেষ করলো।তিতির অধরা’র খাবার রুমে পাঠিয়ে দিয়েছে।অধরা খেয়ে চুপ করে রুমে মধ্যে বসে আছে।বুকের ভেতরটায় ভয়ে ধকধক করছে।আহান সামনে আসলেই অধরা’র হার্টবিট ক্রমশো বেড়ে যায়।মানুষ’টা সামনে আসলে,সমস্ত রাগ,অভিমান নিমিষেই হাওয়া হয়ে যায়।ইচ্ছে করে দৌড়ে গিয়ে মানুষটাকে মন ভরে দেখে আসি।কিন্তু তার উপায় কি আছে।মানুষ টা তো আমার মুখ-ই দেখতে চায় না।যখনি নিজেকে ঠিক করে নিতে লাগি।তখনি এই মানুষটা আমার সামনে এসে আমার সবকিছু এলোমেলো করে দেয়।এসব ভাবছিলো অধরা।তখনি দরজার ওপাশ থেকে তিতির ডাকলো।তিতিরের কণ্ঠ পেয়ে অধরা দরজা খুলে দিলো।তিতিরের পাশে-ই আহান দাঁড়িয়ে আছে।

–শুনো অধরা আহান তোমার রুমে থাকবে।আমাদের বাসায় যে,কয়টা রুম ছিলো সব গুলো’তে মানুষ হয়ে গেছে।আহানের ঘুমোনোর জায়গা হচ্ছে না।কয়টা দিনের-ই তো ব্যাপার পাঁচটা দিন থেকে চলে যাবে।এই পাঁচটা দিন তোমার রুমে থাকবে।

–কিন্তু আপু।

–কোনো কিন্তু না।আমার অনেক কাজ আছে।দুপুরের রান্না বাসতে হবে।আমি আসছি বরং।

–আমি যাই তোমার সাথে কাজে সাহায্য করবো।

–তোমার এত আসা লাগবে না।যদি পারো বাবা মায়ের সাথে দেখা করে আসতে পারো।বলে-ই তিতির চলে গেলো।তিতির যতক্ষণ ছিলো।আহান ভদ্রছেলের মতো দাঁড়িয়ে ছিলো।তিতির চলে গেছে।অধরা তিতিরের পেছনে পেছনে যাবে।তখনি আহান অধরা হাতে টেনে নিয়ে রুমে এসে দরজা বন্ধ করে দিলো।কারো মুখে কোনো কথা নেই।অধরা নিজের হাত ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।কিন্তু আহান এত জোরে অধরার হাত চেপে ধরেছে আর একটু হলে ভেঙেই যাবে।আরে ভাই ছাড় আমাকে আমি পালিয়ে যাচ্ছি না।এত জোরে আমার হাত ধরে রেখেছে।মনে হয় ছেড়ে দিলে-ই আমি পালিয়ে যাব।অধরা নিচের তাকিয়ে ছিলো।আহানের দিকে তাকিয়ে দেখলো আহানর তার দিকে পলকহীনভাবে তাকিয়ে আছে।মনে হচ্ছে কত বছর তাদরে দেখা হয় না।চোখে হাজারো তৃষ্ণা দেখার।আহান হয়তো নিজের চোখের তৃষ্ণা মিটাচ্ছে।এভাবে একটা মানুষ তার দিকে তাকিয়ে আছে লজ্জা লাগে না।অধরা এক হাত দিয়ে তার মুখ ঢেকে ফেললো।আহান এতে বেশ বিরক্ত হয়ে গেলো।অধরার দু-হাত শক্ত করে ধরে আছে।অধরা যেনো তার কাজে বাঁধা দিতে না পারে।

আল্লাহ আমাকে কি চোখ দিয়ে-ই গিলে খেয়ে ফেলবে নাকি।আমি চুপচাপ সবকিছু সয্য করছি কেনো।মানুষকে অপমান করে তাড়িয়ে দিলে,মানুষ তার সাথে মারামারি শুরু করে দেয়।আর আমি বকার মতো চুপ করে আছি।সমস্যা টা আমার না।সমস্যা টা ওনার উনি সামনে আসলেই আমার সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়।হঠাৎ কোনো কথা ছাড়া-ই আহান অধরাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।অধরা ছোটাছুটি করবে তার উপায় নেই।আহান এতটা শক্ত করে তাকে ধরে আছে।নড়াচড়া করলে শরীরের হাড়গুলো ভেঙে’ও যেতে পারে।দু’জন মাঝে পিনপিন নীরবতা কাজ করছে।কেউ কারো সাথে কথা বলছে না।বুকের ভেতরের ধুকপুক আওয়াজ স্পষ্টভাবে শোনা যাচ্ছে।বেশ কিছুক্ষন পরে আহানের হাত আলগা হয়ে আসলো।অধরা বুঝতে পারলো না কিছু।অধরার কাঁধে মাথা রেখেই আহান ঘুমিয়ে গেলো।মনে হচ্ছে বহুবছর পরে সে, শান্তিতে ঘুমোচ্ছে।আহানের কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে আহান’কে তোলার চেষ্টা করলো।কিন্তু পারলো না আহান ঘুমিয়ে গেছে।

–আল্লাহ এই হাতি’টা ঘুমিয়ে গেছে।এখন আমি কিভাবে বিছানা পর্যন্ত নিয়ে যাব।অধরা কোনোরকম ভাবে আহান’কে বিছানায় শুইয়ে দিলো।অধরার কাছে মনে হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ জয় করলো।আহানের পায়ে থেকে জুতা খুলে দিয়ে বাহিরে চলে গেলো।

চলবে…..
চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here