#তুমি_নামক_প্রশান্তি
#লেখনীতে_জেনিফা_চৌধুরী
#পর্ব_পঁচিশ
হুট করে বেলীকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরল নীলাভ্র। থুঁতনি রাখলো, বেলীর কাঁধে। বেলী লজ্জায় আয়নার দিকে তাকাতে পারছে না। তা দেখে নীলাভ্র একটু হাসলো। বলল,
“একদম বউ বউ লাগছে, এবার।”
এবার যেন বেলী লজ্জায় কুঁকড়ে গেলো। মেয়েরা স্বভাবগত একটু বেশিই লজ্জা পায়। আর কেউ যখন তার প্রসংশা করে, তখন সে তার থেকেও দ্বিগুণ লজ্জা পায়। বেলীর লজ্জা মাখা মুখটা দেখে, নীলাভ্র পুনরায় বলল,
“বেলীপ্রিয়া, তোকে আর কষ্ট পেতে দিব না। সারাজীবন এভাবেই আগলে রাখব।”
এবার বেলী চোখ তুলে তাকালো। আয়নায় নীলাভ্রর প্রতিবিম্বটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে৷ সেদিকে নজর দিয়ে বেলী শান্ত স্বরে বলল,
“আপনি আমার পাশে থাকলেই হবে। আমি সব কিছু হাসিমুখে মেনে নিতে পারব, নীলাভ্র ভাই।”
বেলীর কথা শেষ হতেই, নীলাভ্র হাসলো। বেলীর খোঁপা করা চুলগুলো ছেড়ে দিলো। মুখ ডুবালো চুলের ভাঁজে। হুট করে কিছু মনে আসতেই, ছেড়ে দিলো বেলীকে। আচমকা দূরে সরে আসলো। হঠাৎ নীলাভ্রর এমন আচরণে বেলী অবাক স্বরে প্রশ্ন করল,
“কি হয়েছে?”
নীলাভ্র চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। মুখশ্রীতে লেগে আছে অভিমান বা রাগের ছাপ। তা খেয়াল করে বেলী বলল,
“নীলাভ্র ভাই, কিছু হয়েছে?”
এবার নীলাভ্র বেলীর দিকে তাকালো। ভয়ংকর চাহনীতে তাকালো। দাঁতে দাঁত চে-পে বলল,
“তোকে না বলেছিলাম, চুল বড় না করে আমার সামনে আসবি না।”
এবার বেলীর মুখটা চুপসে গেলো। অসহায় ভঙ্গিতে নিজে নিজেই বিড়বিড় করে বলল,
“হাঁ’দারা’মটা এখনো সেই চুল নিয়ে পড়ে আছে। এখন আমি কী করি?”
বেলীর বিড়বিড় করা শব্দগুলো নীলাভ্রর কানে পৌঁছালো না। বেলীকে বিড়বিড় করতে দেখে ধমকের স্বরে বলল,
“যা বলার জোরে বল। বিড়বিড় করছিস কেন?”
বেলী কিছুসময়ের জন্য আনমনে হয়ে গেছিলো। নীলাভ্রর ধমক শুনে হকচকালো। ভীতু ভীতু চাহনী দিয়ে বলল,
“আসলে হয়েছে কী? নীলাভ্র ভাই, জানেন…?”
বেলী কথাটা শেষ করতে পারলো না৷ নীলাভ্র ‘ওর’ মুখের কথা কেড়ে নিলো। জোরে বলল,
“তোর কোন জনমের ভাই লাগি?”
“এই জনমের।”
বেলীর ঝটপট উত্তর শুনে, নীলাভ্রর রাগটা বাড়লো বই কমলো না। আর বেলী কথাটা বলেই মুখ হাত দিয়ে চে*পে ধরলো। চোখ বড় বড় করে তাকালো নীলাভ্রর দিকে। মুখ ফস্কে কথাটা বের হয়ে গেছে। এবার যে ‘ওর’ গালে একটা থা*প্পড় পড়বে, তা নিশ্চিত। নীলাভ্র প্রখর তেজযুক্ত কন্ঠে বলে উঠলো,
“তোর সাথে বিয়ে ক্যান্সেল। আমি তো তোর ভাই লাগি, তাইনা। তাহলে, আমাকে বিয়ে করবি কেন? আর এমনিতেও আমি চুল ছোট মেয়েকে বিয়ে করব না। আমার একটা কেশবতী চাই। তাই কেশবতী দেখে বিয়ে করব। তোকে করব না।”
কথাগুলো বলেই বেরিয়ে গেলো। বেলী আহা’ম্মকের মতো ঠাঁই দাঁড়িয়ে রইলো। নীলাভ্র কী বলে গেলো? সামান্য চার ইঞ্চি চুল কা’টার অপরাধে বিয়ে ক্যান্সেল! বেলীর মন চাচ্ছে হাত-পা ছড়িয়ে কান্না করতে। কে বলেছিলো ‘ওকে’ চুল কা’টতে। বেলীর নিজের গালে নিজেরেই থা*প্পড় মা*রতে ইচ্ছে করছে। বেচারি মাথায় হাত দিয়ে ধপ করে খাটের উপর বসে পড়ল। অসহায় ভঙ্গিতে বলল,
“এ আমি কার পাল্লায় পড়লাম? সামান্য চুলের জন্য বিয়ে ক্যান্সেল, বলে চলে গেল। এই ছেলেকে তো আমি গলা টি*পেই মে*রে ফেলব। ব*দমাইশ ছেলে একটা। করব না বিয়ে। অন্য একজনকে বিয়ে করব। তার মতো রা*ক্ষসকে বিয়ে করতে আমার বিয়ে গেছে।”
বলে মুখ বাঁকালো। তখনি শুনতে পেলো,
“আমি কি ছেলে খুঁজে দিব?”
নীলাভ্রর কন্ঠস্বর শুনে বেলী ভড়কালো। ভয় পেয়ে উঠে দাঁড়ালো। দরজার দিকে তাকাতেই নীলাভ্রকে চোখে পড়লো। বুকে হাত গুঁজে বেশ আয়েশ ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে। মুখে রয়েছে গম্ভীরতা। ঠোঁটের কোনে রহস্যময় হাসি। এই হাসির মানে বেলী বুঝতে পারলো না। অবাক স্বরে জিজ্ঞেস করল,
“আপনি না চলে গেলেন! তাহলে…।”
নীলাভ্র উত্তর দিলো না। এগিয়ে আসলো বেলীর দিকে। নীলাভ্রকে কাছে আসতে দেখে, বেলী ভয় পেয়ে পেছনে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই, ধপাস করে খাটের উপর পড়ে গেলো। কোমরে হালকা ব্যাথা পেলেও শব্দ করলো না। চোখ-মুখ খিচে রইলো। বেলী ভেবেছিলো নীলাভ্র ওর কাছেই আসছে। কিন্তু ওর ভাবনা সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণ করে দিয়ে, নীলাভ্র ড্রেসিং টেবিলের সামনে চলে গেলো। কিছুসময় নিরব দেখে বেলী পিটপিট করে চোখ খুলে তাকালো। সামনে নীলাভ্রকে দেখতে না পেয়ে তড়িঘড়ি করে উঠে বসলো। দেখলো, নীলাভ্র ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে ‘ওর’ দিকে অবাক চাহনী নিক্ষেপ করে আছে। বেলী উঠে বসতেই, নীলাভ্র প্রশ্ন করল,
“ভূ’তে ধরছে নাকি?”
বেলী জোরে জোরে মাথা নাড়িয়ে বলল,
“নাহ! ভূ’তে ধরবে কেন?”
“তাহলে?”
নীলাভ্রর প্রশ্নত্তুর চোখের দিকে তাকিয়ে বেলী মাথা চুলকাতে লাগলো। আমতা আমতা করে বলল,
“আমি ভেবেছিলাম, আপনি আমার কাছে আসছেন।”
বেলীর কথা শুনে নীলাভ্র কপাল কুঁচকালো। হতাশাগ্রস্ত কন্ঠে বলল,
“নাহ! তোর সাথে বিয়ে ক্যান্সেল করে বড় ভালো কাজ করেছি। তুই তো দেখছি পা”গল। মাথার মধ্যে গন্ডগোল আছে।”
এইটুকু বলে নীলাভ্র গুনগুনিয়ে গাইতে শুরু করল,
“বাবা তোমার দরবারে সব পা’গলের খেলা। হরক রকম পা’গল দিয়ে মিলাইছো মেলা।”
গাইতে গাইতে চলে গেলো। আর বেলী হা হয়ে সেদিকে চেয়ে রইল। অবাক হয়ে চোখ ঝাপটালো। বিস্ময়ের ঘোর কা’টছে না। ঠান্ডা মাথায় অপমান করে চলে গেল। বেলীর এখন কান্না পাচ্ছে। প্রচন্ড কান্না।
—
নীলাভ্র পাশের রুমে এসে শব্দ করে হেসে দিলো। নীলাভ্রর সাথে তাল মিলিয়ে রিতাও হেসে দিলো। হাসতে হাসতে নীলাভ্র খাটের উপর বসে পড়ল। রিতাকে জড়িয়ে ধরল। রিতা আদুরে হাতে নীলাভ্রর মাথায় হাত বুলাতে শুরু করল। বলল,
“আমার মেয়েটাকে শুধু শুধু রাগিয়ে দিয়ে, এখন আমার সাথে ঢঙ করা হচ্ছে?”
নীলাভ্র প্রফুল্ল মনে বলে উঠল,
“ফুপ্পি, তুমি জানো না? আজ আমি কতটা খুশি! এত সহজে আমি বেলীপ্রিয়াকে পেয়ে যাব। ভাবতে পারিনি!”
রিতা ম্লান হাসলো। বিষাদ পূর্ণ স্বরে বলতে লাগল,
“সহজে আর পেয়ে গেলি কই? আমি তো অনেক আগের থেকেই জানতাম। তুই বেলীকে পছন্দ করিস। তবুও দেখ মেয়েটাকে তোর থেকে কেড়ে নিয়েছিলাম। সরিয়ে দিয়েছিলাম। আমার করা অপরাধের শাস্তি হিসেবে আজ আমার মেয়েটা ‘ডির্ভোসি’।
বলে বড় করে নিঃশ্বাস ছাড়ল। একটু সময় থেমে বলল,
“সবটা জেনেও তুই যে এখনো আমার মেয়েটাকে ভালোবাসিস, এটাই তো ভাগ্যের ব্যাপার।”
নীলাভ্র এবার রিতার কথার মাঝে বাঁধা দিলো। একটু রাগ দেখিয়ে বলল,
“আহা! ফুপ্পি, তুমি পুরনো কাহিনী নিয়ে পড়লে কেন? অতীত মনে রাখতে নেই। অতীত ভুলে সবটা নতুন করে সাজাতে হয়। জানো না?”
রিতা এবার হাসলো। হাস্যজ্বল মুখে বলে উঠল,
“আমার বেলী খুব ভাগ্যবতী। জানিস তো? তোর মতো একটা ভালোবাসার মানুষ পেয়েছে। আর কি চাই?”
কথাটা শুনে নীলাভ্র একটু লজ্জা পাওয়া ভঙ্গিতে হাসলো। তারপর রিতার আঁচলে মুখ ঢেকে, অভিনয় করে বলল,
“লজ্জা লাগছে তো?”
নীলাভ্রর কান্ডে রিতা হা হা করে হেসে দিলো। পুরো রুম কাঁপিয়ে হাসলো। এবার নীলাভ্রও হেসে দিলো। রিতা হাসতে হাসতে নীলাভ্রর কান মুলে ধরে বলল,
“ফুপ্পির সাথে মজা নেওয়া হচ্ছে বুঝি?”
নীলাভ্র অসহায় স্বরে বলতে লাগল,
“ফুপ্পি, ব্যাথা পাচ্ছি তো?”
“ঠিক হয়েছে। মা, একটু জোরে কান মুলে দাও। আমাকে পা’গল বলা? একদম ঠিক হয়েছে। বেশ হয়েছে!”
দরজার সামনের থেকে বেলীর কন্ঠস্বরে কথাগুলো কানে আসলো নীলাভ্রর। দেখল বেলী কোমরে হাত দিয়ে রাগান্বিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে নীলাভ্রর দিকে। বেলীকে দেখেই নীলাভ্র বলে উঠল,
“তুই এখানে কি করছিস? পা*গল মহিলা।”
বেলী এবার গর্জে উঠলো। রাগে চোখ দুটো ছোট ছোট করে তাকালো, নীলাভ্রর দিকে। কোমরে হাত দিয়েই এগিয়ে গেল৷ মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বলল,
“আপনি পা”গল, আপনার চৌদ্দ গুষ্টি পা’গল।”
“আমার চৌদ্দ গুষ্টির মাঝে ফুপ্পি আছে। তার মানে তুই ফুপ্পিকে পা’গল বললি? ”
নীলাভ্রর কথায় বেলী এবার থেমে গেলো। ভাবলো, সত্যিই তো? হায়! হায়! মেকি হাসি দিয়ে তাকালো রিতার দিকে। রিতার রাগী ফেসিটা দেখে ঢোক গিলে বলল,
“ইয়ে মানে? মানে? মা, আসলে আমি তোমাকে বলিনি। বিশ্বাস করো?”
নীলাভ্র জোর দিয়ে বলল,
“দেখলে ফুপ্পি আবার মিথ্যা বলছে তোমার মেয়ে?”
বেলী এবার নীলাভ্রর দিকে তর্জনী আঙ্গুল উঠিয়ে বলল,
“এই চুপ। বেশি বকবক করেন তো আপনি? মেয়ে মানুষের মতো।”
নীলাভ্রও কম না! চোখ গরম করে ধমকে উঠল,
“তুই চুপ।”
বেলীও পাল্টা ধমকে বলল,
“আপনি চুপ। খা’রুশ একটা।”
এবার বেলীর মাথায় গাট্টি মে*রে বসলো নীলাভ্র। বলে উঠল,
“পা*গল ছা*গল বেডি। যা ভাগ।”
বেলী জোর খাটিয়ে বলে উঠল,
“ভাগব না। কি করবেন? বিয়ে করবেন? আমি রাজি।”
নীলাভ্র মুখ বাঁকালো। মাছি তাড়ানো ভঙ্গি করে বলল,
“হুঁশ! তোর মতো পা*গলকে বিয়ে করতে বয়ে গেছে আমার। ফুপ্পি তুমি আমার জন্য মেয়ে দেখা শুরু করো। আমি বিয়ে করব। সুন্দর, কেশবতী একটা মেয়ে খুঁজে দিবা। বুঝলে? এখন আমি যাই। অনেক কাজ আমার। মেয়ে দেখতে হবে। অনেক মেয়ে দেখতে হবে।”
বলে পকেটে হাত গুঁজলো। শিস বাজাতে বাজাতে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। নীলাভ্র চলে যেতেই রিতা ঠোঁট টিপে হাসলো। তা দেখে বেলী কাঁদো কাঁদো ভঙ্গিতে বলল,
“তোমার সামনে তোমার মেয়েকে অপমান করে চলে গেলো। আর তুমি হাসছো?”
রিতা এবার জোরেই হেসে দিলো। তা দেখে বেলী রাগ করে রুম ত্যাগ করলো। বেলী চলে যেতেই রিতা হাসতে হাসতে বলে উঠল,
“দুইটাই পা”গল।”
—
নীলাভ্র বাসায় ফিরতে রাত দশটা বেজে গেলো। কলিং বেল দিতেই সীমা এসে দরজা খুলে দিলো। তার মুখশ্রীতে স্পষ্ট রাগ দেখতে পেলো নীলাভ্র। মায়ের এমন চেহারা দেখে একটু ভড়কে গেলো। কিছু কী হয়েছে! প্রশ্নটা দমিয়ে রাখতে পারলো না। জিজ্ঞেস করল,
“কী হয়েছে মা?”
সীমা তৎক্ষনাৎ উত্তর দিলো,
“তুই কোথায় ছিলি সারাদিন?”
নীলাভ্র বেশ হাসি মুখেই বলল,
“বাইরে ছিলাম। কাজ ছিলো একটু। কেন, বলো তো? কিছু কী হয়েছে?”
সীমা বেশ ভাড় মুখেই বলল,
“ভেতরে আয়। তোর সাথে আমার কথা আছে।”
নীলাভ্র ড্রয়িং রুমের সোফায় গা হেলিয়ে দিলো। আদেশ বাক্যে বলল,
“খাবার দাও। ক্ষুদা লাগছে। আমি একটু ফ্রেশ হয়ে আসি।”
বলে উপরে চলে গেলো। মস্তিষ্ক বার বার প্রশ্ন করছে, ‘মা কি বলবে?’। কোনো গুরুত্বপূর্ণ কিছু? নাকি বেলীর ব্যাপারে কিছু? কেন যেন টেনশন হতে শুরু করলো। তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে, জামা কাপড় গুলো পাল্টে নিলো। তড়িঘড়ি করে নিচে নেমে আসলো। ড্রাইনিং টেবিলে সামনে এগিয়ে যেতেই দেখলো, সীমা খাবার রেডি করে চেয়ারে বসে আছে। দেখতে বেশ মনম*রা লাগছে। নীলাভ্র চেয়ার টেনে বসতে বসতে বলল,
“কী কথা আছে, মা?”
সীমার তড়িৎ গতিতে বলল,
“তুই বেলীদের বাসায় গিয়েছিলি?”
নীলাভ্র মাথা নাড়ালো। অর্থাৎ ‘হ্যাঁ’। সীমা নড়ে চড়ে বসল একটু। কিছুক্ষণ থামলো। নীলাভ্র চেয়ে আছে তার মুখের দিকে। সীমা হুট করে বলে উঠল,
“তুই বেলীকে বিয়ে করবি?”
নীলাভ্র একটু সময় নিয়ে জবাব দিলো,
“হ্যাঁ, মা। এমন প্রশ্ন কেন হঠাৎ? ”
সীমার মুখটা ভীতিগ্রস্ত দেখাল। কিছু বলতে চাচ্ছে হয়তো? কিন্তু পারছে না। হয়তো ভয় পাচ্ছে? নীলাভ্র ওর মায়ের চেহারাপানে তাকিয়ে বলল,
“বলো, মা? কি বলবে?”
সীমা কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে ফট করে বলল,
“তুই বেলীকে বিয়ে করবি না।”
কথাটা নীলাভ্রর কানে পৌঁছালো না৷ মনে হলো, ওর মাথায় বাজ ভেঙে পড়লো। আবার কোন ঝড়ের মুখোমুখি হতে চলেছে…?
#চলবে
(ভুল গুলো আজ ক্ষমা করবেন। রি-চেক করিনি৷ অনেক তাড়াহুড়ো করে লিখেছি। একটু অগোছালো হয়েছে)