#তোমাতে আসক্ত
#নাহিদা ইসলাম
#পর্ব ১৩
এক মুঠো রোদ এসে মুখের উপর পড়তে ই আড়মোড়া ভেঙে ঘুম থেকে উঠে বসি, মুহুর্তে ই চারদিকে চোখ যেতে বুঝতে পারি এটা অভ্রের রুম। কাল রাতের কথা মনে পড়লো,
আমি ভয় পেয়ে ই রুমে ডুকে লাইট অন করে চোখ বন্ধ করে,শুয়ে শুয়ে কান্না করতে করতে একপর্যায়ে ঘুমিয়ে পড়ি।তাহলে ঘুমানো পর কী অভ্র আমাকে এই রুমে নিয়ে এসেছে। কিছু কিছু অনুভূতি বলে প্রকাশ করার মতো না। কালকে রাতে যখন আমাকে একা ঘুমাতে বলেছিলো তখন খুব কষ্ট লাগেছিলো কিন্তু এখন সব কষ্ট নিমিষে ই উড়ে গিয়েছে।
অভ্রকে দেখলাম সোফায় ঘুমাচ্ছে। খুব সুন্দর লাগছিলো রোদের আলোয় ফর্সা গালে খোচা খোঁচ দাড়িগুলো আমাকে বার বার আকর্ষণ করছে। বার বার ছুয়ে দিতে ইচ্ছে করছে। আস্তে আস্তে অভ্রের পাশে গিয়ে দাড়ালাম।হালকা নিচু হয়ে, একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি। মনে মনে ভাবতে লাগলাম এভাবে তাকিয়ে থাকলে তো প্রেমে পড়ে যাবো নিজে ই।
হাত দিয়ে অভ্রের মুখে স্পর্শ করতে ই আচমকা আমাকে টান দিয়ে অভ্রের নিজের উপর ফেলে দেয় পড়ে যেতে নিলে দুহাত দিয়ে আগলে নিজের সাথে জড়িয়ে নেয়।
আমার আর অভ্রের মুখের মধ্যে দূরত্ব নেই বললে ই চলে।
–কী করছিলেন, আমাকে একা পেয়ে।
প্রত্যেকটা কথা অভ্র আমার ঠোট স্পর্শ করে বলতেছে।অভ্র কী বলছে আমার কান দিয়ে ডুকছেনা। অভ্রে এই স্পর্শে আমি অজানা অনুভূতি খুজে পাচ্ছি।অভ্র আমার দিকে না তাকিয়ে চোখ বন্ধ করে ই কথাগুলো বলছে। আমি শুধু তাকিয়ে দেখছি।
–কী হলো, কোনো কথার উওর নেই কেনো।
আমি এবার ও কোনো উওর না দিয়ে অভ্রে বুকে মুখ গুজি। আমার এমন কাজে অভ্র জিজ্ঞেস করে,
–এখনো কী ভয় পাচ্ছেন নাকি।
–হুম
–উঠুন, এমন আটার বস্তা আমার উপর শুয়ে থাকলে আমার হাড় ভেঙ্গে যাবে।
–এই আপনি আমাকে আটার বস্তা বলেন কেনো। আমি মাত্র পয়তাল্লিশ কেজি।
–মাত্র কোথায় একমন আবার পাঁচ কেজি, হয় আল্লাহ রক্ষা করো আমায়। এখন আমার উপরে ই শুয়ে আছে।
এবার আমি রেগে উঠে যেতে নিলে উনি আবার শক্ত করে জড়িয়ে ধরে,এটা দেখে আমি রাগি দৃষ্টিতে তাকাই
–এখন কে ধরে রাখছে
–নাহ, দেখলাম সত্যি ই পয়তাল্লিশে কেজি নাকি।
–এভাবে কেউ ওজন দেখে।
–রাগলে কিন্তু আপনাকে সুন্দর লাগে।
বলে ই নিজে আমকে নিয়ে শুয়া থেকে উঠে,আমাকে সোফায় বসিয়ে অভ্রের নাকের সাথে নাকটা হালকা লাগিয়ে ওয়াশরুম চলে যায়।
_________________
আমি আম্মুকে কল দিয়ে বলেছি, আজকে এসে আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
কথাটা শুনে ই অভ্র ভ্রু কুঁচকিয়ে আমার দিকে তাকায়,
–কেনো, এইখানে আপনার কী প্রবলেম।
–ভয় করে একা একা।
–নাস্তা বানিয়েছেন।
–হে,।রুটি আর ডিম আমি এটগুলো ছাড়া আর কিছু পারি না।
— ওহ্ আচ্ছা টেবিলে খাবার রেডি করুন আমি আসছি।
বাধ্য মেয়ের মতো আমি নিচে গিয়ে টেবিলে খাবার দিলাম। জীবনের প্রথম ইউটিউব দেখে দেখে বানিয়েছি আল্লাহ জানে কী রকম হয়। খেতে খারাপ হলে তো আজকে আমাকে আবার কোন শাস্তি দিবে আল্লাহ জানে।
উপরের দিকে তাকাতে ই দেখলাম মহারাজা উপর থেকে নিচে নামছে। ড্রেসআপ তো বেশ ভালো ই করেছে, সাদা শার্ট, কালো প্যান্ট হাতে হ্যান্ড ওয়াচ।
–এগুলো রুটি না দেশের মানচিত্র।
আমি অসহায় এর মতো এদিক অদিক তাকিয়ে দেখছি।
–ব্যাটারির মতো চোখ ঘুরাচ্ছেন কেনো।কোনো কাজ পারেন আপনি?
–আমি ফার্স্ট টাইম বানিয়েছি তাই এমন হয়েছে প্লিজ খেয়ে নিন।
আমার দিকে কতক্ষণ তাকিয়ে থেকে বললো,
–রেডি হয়ে নিন।
কিছুটা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
–কেনো?
–আপনার তো বাসায় একা থাকতে ভয় করে তাই আজকে অফিসে নিয়ে যাবো। আর অফিসে ই নাস্তা করে নিবো।
–আমি তো আম্মুকে আসতে বলেছি, আমাকে নেওয়ার জন্য।
–আমি আন্টিকে নিষেধ করেছি,দ্রুত রেডি হয়ে নিন না হয় বাসায় একা রেখে ই চলে যাবো।
–যাচ্ছি ওয়েট করুন।
–হুম দ্রুত করুন। আমার অফিসে কাজ আছে।
অভ্র সাদা ড্রেস পড়েছে তাই আমি কালো ড্রেস পড়েছি। এই লোকটা যা করবে আমি তার উল্টোটা করবো। বেয়াদ্দপ লোক একটা।
একটা গোলজামা, লেগিংস পড়ে নিলাম। সাথে মাথায় হিজাব। ঠোঁট হালকা করে বানানা লিপবাম, চোখে কাজল। হাতে ছেলেদের একটা ব্রেসলেট পড়লাম। ব্রেসলেট টা সকালে অভ্রের ড্রসিংটেবিল থেকে পেয়েছি। আগে কখনো এটা চোখে পড়েনি।
–এই জন্য ই মেয়েদের নিয়ে কোথাও যেতে নেই। এতোক্ষণ আমি পাঁচ বার অফিসে যেতে পারতাম।
—মেয়েদের রেডি হতে একটু টাইম লাগে, বুঝলেন।
বলে ই আমি গাড়িতে গিয়ে বসে পড়লাম। অভ্র গাড়িতে বসে আমার তাকিয়ে আছে। অভ্রের দিকে না তাকিয়ে আমি ফোন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম।
কিন্তু যতই ফোন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি কেউ নিজের দিকে তাকিয়ে থাকলে বুঝা যায়। তাই কিছুটা বিরক্তি ভাব মুখে ফুটিয়ে বললাম,
–এভাবে তাকিয়ে থাকলে ভালো লাগে না।
–এই সং সেজেছেন কেনো।
–আপনার সমস্যা কী আর কোথায় আমি সং সাজলাম। ভালো লাগলে গাড়ি স্টার্ট দেন নয়তো আমি বাসায় চলে যাই।
রাগি একটা ভাব নিয়ে কথাগুলো বললাম, তাই অভ্র আর কিছু বলেনি। আমি ফোন নিয়ে বসে থাকলে ও আর চোখে ঠিক ই দেখতে পাচ্ছি অভ্র একটু পর পর আমার দিকে তাকাচ্ছে।
–হাসি পাচ্ছে খুব নিজের বউকে ও লুকিয়ে দেখতে হয়।
–কে নিজের বউকে লুকিয়ে দেখে?
–যে এখন আমাকে প্রশ্ন করেছে সে।
হঠাৎ গাড়ির ব্রেক করতে ই আমি নিজের কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলি আরেকটু হলে ই গাড়ির সামনের অংশের সাথে মাথায় ভারি খেতাম। অভ্র হাত দিয়ে আমার মাথায় ধরে ফেলে তাই কিছু হয়নি।
–চলে এসেছি, নামুন।
আমি গাড়ি থেকে নেমে অভ্রের পিছনে হাটতে থাকি। অফিসে ডুকার সাথে সাথে সবাই আমার দিকে আছে। সবার মনে হয়তো বা এক প্রশ্ন যে, আমি কে।
অভ্র আমাকে নিয়ে ওর কেবিনে ডুকে। দেখলাম কেবিনের সাইডে একটা টেবিল আছে, যেটাতে নাস্তা সাজিয়ে রাখা হয়েছে।
অভ্র আমাকে নিয়ে নাস্তা করতে বসে যায়।
–মিহি আমার খাবার শেষ, একটা ইম্পরট্যান্ট মিটিং আছে আমি যাচ্ছি। আপনি আমার কেবিনে ই থাকেন বের হবেন না। কোনো কিছু প্রয়োজন হলে, সামিরকে বলে যাচ্ছি ওর কাছে বলবেন।
–সামির কে।
–একজন স্টাফ।
–ওহ আচ্ছা।
উনি চলে যাওয়ার পর আমি নাস্তা শেষ করে কেবিনে বসে বসে ভিন্ন জিনিস দেখছি, কেবিনটা অনেক সুন্দর করে গুছানো।
–ম্যাম আসবো।
তাকিয়ে দেখলাম একটা ছেলে, বয়স তেইশ হবে।
–জ্বি আসুন
–আমি সামির, কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে বলতে পারেন।
–জ্বি অবশ্যই।
–ম্যাম একটা কথা জিজ্ঞেস করবো।
–হে,অবশ্যই।
–স্যার আপনার কী হয়।
–এটা আপনার স্যার কে জিজ্ঞেস করবেন।
–ঠিক আছে ম্যাম।
___________
মিটিং শেষ করে কেবিনে এসেছে। আমাকে দেখে বললো,
–বিরক্ত লাগছে একা থাকতে।
–নাহ্
–স্যার আসবো।
–হ্যা, ম্যানেজার সাহেব আসুন। কতবার বললাম আমাকে স্যার ডাকবেন না।আমি আপনার ছেলের মতো।
–একটা কথা বলতে চেয়েছিলাম।
–হ্যা বলুন।
–মেয়েটাকে আমার খুব ভালো লেগেছে, যদি চান তাহলে আমার ছেলের সাথে বিয়ের পাকা কথা কিন্তু বলতে পারি। মেয়েটা কী হয় আপনার।
অভ্র আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি ও অভ্রের দিকে তাকিয়ে আছি। কী বলবে অভ্র, সবাইকে পরিচয় দিবে নাকি এই সম্পর্কটা সুপ্ত ই রয়ে যাবে।
#তোমাতে আসক্ত
#নাহিদা ইসলাম
#পর্ব ১৪
হঠাৎ ম্যানেজারের একটা কল আসে তাই চলে যায়। অভ্রের আর কিছু বলতে হয়নি। মিহি অভ্রকে বললো,
–ভালো ই হলো, এখন অযথায় আপনাকে মিথ্যা বলতে হতো বেচে গেলেন।
–আমার কথা আপনার না ভাবলে ও চলবে। এমন ড্রেস পড়েছে দেখে মনে হয় না আপনার বিয়ে হয়েছে তারউপর মুখের মধ্যে বাচ্চা একটা ভাব ফুটে ওঠেছে।
–আপনার সমস্যা কী। জ্বলে নাকি আপনার। দেখে আপনি বিয়ে না করলে ও কতো কিউট ছেলে সহ ছেলের বাবারা ও আমার পিছনে ঘুরে।
— হইছে বিয়ে করেছি তো আপনাকে আপনার ভাগ্য এটা।পরের বার আমার সাথে কোথাও যেতে হলে শাড়ি পড়ে নিবেন।
–আপনি আমাকে বিয়ে করতে পরেছেন এটা আপনার ভাগ্য মিস্টার অভ্র, মিহি চাইলে ও এখন দশটা ছেলে পিছনে লাইন ধরে।
–সব মেয়েদের সেইম ডায়লগ তা আপনি মেয়ে নাকি পাবলিক টয়লেট।
—কী বললেন আপনি।
–তাহলে দেখছি আপনি বয়রা ও।
–কী বললেন আপনি বয়রা আপনার চৌদ্দ গুষ্টি সব বয়রা।
–তাই নাকি,,
এটা বলে ই অভ্র বসা থেকে উঠে মিহির দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। মিহি ভয়ে অভ্রের থেকে অনেকটা দূরে চলে যায় কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। অভ্র যত সামনে যাচ্ছে মিহি তত পিছনে যাচ্ছে।।
–কেউ চলে আসবে কিন্তু, দেখতে পারলে আপনার ই খারাপ হবে।
–আমি তো বয়রা কী বলছো, শোনি নাই।
–সিরিয়াল মোডে নিয়ে এমন মজা করবেন না।
–আমি তো বয়রা কিছু শোনি না।
আস্তে আস্তে মিহি দেওয়া আটকে যায়।অভ্রের দুহাতের মাঝখানে মিহি বন্ধি হয়ে যায়।
–কাকে জানি কী বলেছিলেন
–আরশোলা
মিহি আরশোলা বলতে অভ্র ডান দিকেঘুরে তাকায় মিহি এই ফাকে হাতের নিচ দিয়ে কেবিন থেকে বের হয়ে যায়।
মিহি দিকে তাকাতে ই দেখে মিহি কেবিনে নাই। কবিন থেকে বের হয়ে গিয়েছে। অভ্র মেকি হাসি দিয়ে নিজের কাজ করার ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
মিহি কেবিন থেকে বের হয়ে সবার কাজ দেখছি। হঠাৎ পিছন থেকে সামির এসে বললো,
–ম্যাম কিছু লাগবে।
–নাহ্, এমনি দেখতে আসলাম।
–ম্যাম চলেন আমি আপনাকে ঘুরে দেখায়।
–চলেন
হঠাৎ একটা মেয়ে সামিরকে ডাকে।
–ম্যাম আমি একটু আসতেছি।
–অবশ্য ই।
কিছুক্ষন মেয়েটা সামিরের সাথে কথা বললো তারপর সামিরকে কিছু আনতে পাঠালো মনে হচ্ছে। আমি তাকিয়ে তাকিয়ে সামির আর মেয়েটা কী করলো এতোক্ষণ তা দেখলাম।
মেয়েটা আমার এদিকে এগিয়ে এসে কিছুটা বিরক্তি ভাব নিয়ে বললো,
–আপনি স্যারের কী হন।
আমি ভাবতেছি কী বলবো বউ বললে যদি অভ্র আবার রাগ করে। তাই বললাম
–উনার ছোট বোন।
মেয়েটা কোনো কিছু না বলে ই চলে গেলো। আমি আমার মতো আবার চারদিকে চোখ বুলাতে থাকলাম।
–ম্যাম আমি চলে এসেছি।
সামিরের ডাকে পিছনে ঘুরে তাকাই।
–ওহ্, চলুন তাহলে সবটা ঘুরে দেখি।
–ম্যাম আমাদের স্যার কিন্তু অনেক ভালো মানুষ।
–হে, (ভালো নাকি বজ্জাতের গুষ্টি উনি তা ভালো ই বুঝি আমি) মনে মনে বললাম।
হঠাৎ করে আবার ঐ মেয়েটাকে সামনে দেখলাম। সামির মেয়েটার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে,
–তুমি এইখানে তোমার কাজ নাই।
–আমি কাজ করলে কী আর তোমার এই রঙ্গলিলা দেখতে পারতাম।
–কী বলছো এসব।
–মেয়েটা আমার থেকে সুন্দর আর স্যারের বোন তাই কী তুমি এই মেয়েকে একবার দেখে ই ভালোবেসে ফেলেছো।
–অরণী, স্যার জানতে পারলে তোমার জবটা শেষ আজকে ই।
–তোমাকে আমার লাইফ নিয়ে ভাবতে বলিনি সামির।
–আরে তুমি ভুল বুঝতেছো অরণী। আমি তো..
এর আগে ই সামিরের গালে একটা থাপ্পড় পড়ে, মেয়েটা থাপ্পড় মেরে একমুহূর্তে জন্য ও না দাড়িয়ে চলে যায়।
–ম্যাম স্যরি।
আমি মেকি হাসি দিয়ে বললাম,
–চলে যান, আপনি আমি আপনার স্যারের কাছে যাচ্ছি।।
এটা বলে আমি অভ্রের কেবিনের দিকে পা বাড়ালাম। এতোক্ষণ যাবৎ শুধু অরণী আর সামিরের কাহিনী দেখলাম।চাইলে আমি কিছু বলতে পারতাম কিন্তু বলিনি। দেখলাম বিশ্বাসের জোর কতোটুকু। সামিরে গার্লফ্রেন্ড অরণী। ওদের সম্পর্কে ভালোবাসা আছে কিন্তু বিশ্বাস নাই, এমন ভালোবাসা ই টিকে কম।
–কী নিয়ে গবেষণা চলছে আপনার মাথায়।
অভ্রের এমন কথায় অভ্রের দিকে তাকালাম,
–আপনার মাথা নিয়ে।
–ওয়াও খুব সুন্দর, তা তখন পালাচ্ছিলেন কেনো।
–আমার আশেপাশে আসলে আবার পালাবো।
–চলো..
–কোথায়
আমার কথার কোনো উওর না দিয়ে অভ্র আমার হাত ধরে টানতে টানতে কেবিন থেকে বের হয়ে গেলো,
কেবিন থেকে বের হয়ে সকল স্টাফদের এক সাথে করলো,
–আপনাদের সবাইকে একটা কথা বলার জন্য এভাবে এক সাথে করা। সবার মনে ই হয়তো এক প্রশ্ন যে আমার সাথে এই মেয়েটা কে।
উনি হচ্ছে অভ্র চৌধুরীর স্ত্রী মিসেস মিহি চৌধুরী।
কথাটা শোনার সাথে সবাই হাত তালি দিতে থাকে। আমি অবাক হয়ে অভ্রের দিকে তাকিয়ে আছি। উনি আমাকে এক হাত দিয়ে নিজের সাথে জড়িয়ে নিয়েছে। আমি এক মনে তাকিয়ে আছি অভ্রের দিকে, এই মানুষ টা এমন কেনো। কী চায় উনি….
চলবে,
[ভুলগুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমার সাইলেন্ট রিডার্সদের অনেক ধন্যবাদ, এবং সকল পাঠকদের প্রতি ভালোবাসা অবিরাম]
চলবে
[আমাকে কেউ অযথা জ্ঞান দিতে আসবেন না। গল্প ভালো না লাগলে পড়বেন না, সাইলেন্ট রিডার্সরা কী একটু সারা দিতে পারবেন কষ্ট করে]