#তোমার_জন্য_ফিরে_আসা
#লেখা_ইভানা
#পার্ট_৪
“জাদুকরী বিশাল আয়নার মধ্যে তোমাকে নিয়ে যাবো পূর্বপুরুষের বাড়ি যেটা তোমার বাগান বাড়ি নামে চিনো”
“ওই বাড়িতে কি আছে? আর আমি ওই বাড়ি যাবো না”
“যাবে না কেনো? ”
“আমার মা নিষেধ করে দিছে তাই ”
“তোমার মা তো জানে না তোমার সাথে আমি আছি তাই নিষেধ করে দিছে কিন্তু তোমাকে যে আমার সাথে যেতেই হবে নয়তো আমার বেশি সময় লাগবে কাজ শেষ করতে”
“আমি বাগান বাড়ি গিয়ে কি করবো তাও আবার রাতের বেলা? ”
“একটা পুকুরের মধ্যে অনেক পদ্মফুল আছে সেই পুকুর থেকে তোমাকে পদ্মফুল এনে রাখতে হবে আমাবস্যা রাত পর্যন্ত তারপর কি করতে হবে সেটা আমাবস্যা রাতে বলবো ”
“আচ্ছা বুঝলাম কিন্তু আমার বা আমার পরিবারের কারো কোনো ক্ষতি হবে না তো? প্লিজ আপনি আমাদের কারো ক্ষতি করবেন না ”
“আরে না আমি কারো ক্ষতি করবো না ”
“আচ্ছা চলুন ”
আলিব জাদুকরী আয়নার সাহায্যে ইভাকে নিয়ে বাগান বাড়ি গেলো। চারপাশে অনেক গাছ লতাপাতা, পরিত্যক্ত বাড়ি আর পুকুর আছে। ইভা সাহস করে আলিবের হাত ধরলো। আলিব পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে আয়না থেকে আলো তৈরি করলো। পুকুরে পদ্ম ফুলগুলো স্পর্শ দেখা যাচ্ছে। ইভা পুকুরে পাশ থেকে একটা পদ্ম ফুল তুলে নিয়ে বললো,
“একটা পদ্ম নিলেই কি হবে নাকি আরো লাগবে? ”
“নাহ্ ”
“আপনাকে এতো গম্ভীর দেখাচ্ছে কেনো? ”
“অনেক বছর পরে পুরনো স্মৃতি চোখের সামনে দেখে কষ্ট হচ্ছে ”
“আপনি এখানে থাকতেন? ”
“মাঝে মাঝে আসতাম। আমাদের মিথ্যে কথা বলে ধ্বংস সব করে দিছে ”
“কোনো ভাবে কি প্রতিশোধ নিয়ে জাদুকরীকে শেষ করা যায় না?”
“জাদুকরী শেষ হয়ে গেছে, নিজের স্বার্থ তাকে শেষ করছে ”
“ওহ্, চলুন আমরা বাসায় ফিরে যাই ”
“হ্যাঁ চলো ”
আলিব ইভাকে নিয়ে বাসায় ফিরে এলো।আলিব একটা রুপোর ছোট্টো কলসির পানিতে পদ্মফুল রেখে দিলো আর বললো,
“শুনো যত্ন করে ফুলটা রাখবে প্রতিদিন ফুলের পানি পরিবর্তন করবে ”
“হুম ”
“আমি ভাবতে পারি নি তুমি এতো ভালো হবে, তোমার জন্য ফিরে আসা হলেও তুমি ভালো ভাবে আমাকে মেনে নিবে তা জানা ছিলো না ”
“আপনি ভালো মানসিকতা দেখিয়েছন বলে আমি ভালো, খারাপ জ্বীন-ভূত হলে কবে আপনাকে তাড়িয়ে দিতাম ”
“হাহাহাহ্ খারাপ হলেও তাড়িয়ে দিতে পারতে না ”
“ইসসসহ্ বললেই হলো নাকি ঝাড়ুর বারি মেরে বিদায় করতাম ”
“থাক বাবা আমি ঝাড়ুর বারি খেতে চাই না, তুমি ঘুমাও। চলে গেলাম ”
“আচ্ছা যান ”
আলিব চলে গেলো আর ইভাও ঘুমিয়ে গেলো। সকালে ইভার ঘুম ভাঙ্গে চেচামেচি শুনে। কিসের জন্য এতো চেচামেচি তা দেখতে গিয়ে শুনে পাশের বাসায় একজনে রাতের বেলা দেখেছে ইভাকে হাওয়ায় উড়ে বাগান বাড়িতে যেতে তাই দেখতে এসেছে ইভা ঠিক আছে কি না? ইভাকে দেখে লোকটা বিশ্বাস করলো যে উনি ভুল দেখেছে। এসব শুনে ইভা রেগেমেগে হাতের আংটি খুলে রাখে দিলো। কলেজে যাওয়ার সময় সায়ন্ত সামনে পড়ে।
ইভা সায়ন্তকে দেখেও না দেখের ভান করে এড়িয়ে চলে যাচ্ছে। সায়ন্ত বার বার ইভাকে ডাকছে কিন্তু কোনো সাড়া দিচ্ছে না। ইভার সাথে আজকে লিমাও নেই একা আছে তাই সায়ন্তনের সাথে কথা বলতে চাইছে না। হঠাৎ করে ইভা অনুভব করে ওর ওড়না টেনে ধরা হয়েছে, পিছনে ফিরে দেখে সায়ন্ত ওর ওড়না টেনে ধরেছে। এরকম অসভ্যতামি দেখে ঠাসসসস্ ঠাসসস্ থাপ্পড় মেরে দিলো। সায়ন্ত অপমান সইয়ে না পেরে ইভাকে কোলে তুলে নিয়ে গাড়িতে উঠায়, সায়ন্ত গুন্ডা টাইপের তাই আশেপাশে কেউ কিছু বলছে না।
ইভা কি করবে কিছু বুঝতে পারছে না। হাতের আংটি থাকলে আলিব আসতো এখন তো আলিব আসবে না তাহলে কি সায়ন্ত ওর ক্ষতি করবে?
ইভার সামনে কি জানো এসপ্রে করা হলো। ইভা অজ্ঞান হয়ে গেছে। জ্ঞান ফিরে নিজেকে আবিষ্কার করলো একটা বাড়িতে ।
[আজকে গল্পের পার্ট ছোট করে দেওয়ার জন্য দুঃখিত। পরের পর্ব বড় করে দিবো ]
চলবে,,,,,