#তোলপাড়💓
#সিজন২
#পর্বঃ১৭
#শান্তনা_আক্তার(Writer)
(কোনো ক্রমেই কপি করবেন না কেউ)
স্রুতি রুমে এসে উবুড় হয়ে বালিশে মুখ লুকিয়ে কাঁদছে। সহসা কারো হাত স্রুতির পিঠে পড়তেই লাফ দিয়ে উঠে বসে। তাকিয়ে দেখে জান্নাতকে। জান্নাত স্রুতির চোখের পানি মুছে দিয়ে বলল,
‘কেঁদো না আপু। ভাইয়া একদিন ঠিক মেনে নেবে তোমায়। আসলে ওতো তোমার সাথে সেভাবে মেশেনি, তাই সেরকম কোনো ফিলিংস জন্ম নেয়নি ভাইয়ার মনে।’
‘আমি কি মিশতে মানা করেছি? ওর সাথে আলাদা কথা বলতে চেয়েছি কতবার। বলেছে কি কখনো? সবসময় কাজের অজুহাত নইলে অন্য কোনো অজুহাত দেখিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছে আমায়। কখনো কি আমার প্রশংসা করেছে? কিভাবেই বা করবে? আমার দিকে তাকালে তো করবে। একটা মেয়ে হ্যাংলার মতো আর কত বোঝাবে? বলতে পারিস কি তুই?’ একনাগাড়ে বলে দিল স্রুতি।
‘ঠিক বলেছো। ভাইয়া বেশি বেশি করছে। ওর কি সমস্যা জানি না আমি।’
‘সমস্যা আমার মধ্যে। তোর ভাইয়ার মধ্যে না।’
‘এভাবে বলো না। তুমি খুব সুন্দর দেখতে।’
‘কথাটা সুন্দর অসুন্দরের না। তুই বারবার সুন্দর বলিস আমাকে। হয়তো তোর চোখে আমি সুন্দর। কিন্তু তাই বলে সবার চোখে সুন্দর, তা কিন্তু নয়। সবার দেখার ধরণ আলাদা।’
‘এটাও ঠিক বলেছো। কিন্তু আমাদের যেভাবেই হোক ভাইয়াকে কনভিন্স করাতে হবে। এভাবে কান্নাকাটি করে কোনো লাভ নেই।’
‘কি করার আছে?’
‘তুমি দাদিয়াকেই বশ করো। উনিই গোড়া সবকিছুর। তাই ওনাকেই হাত করতে হবে তোমাকে।’
‘তুই কি পাগল হয়ে গিয়েছিস জান্নাত!’
‘পাগলের কি দেখলে?’
‘নানু সাফ সাফ বলে দিয়েছে আহসান যা বলেছে সেটাই হবে। আর এ নিয়ে কেউ যেন একটা টু শব্দও না করে। তাহলে নানু কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না। তুইতো জানিস উনি যা বলে তাই হয়।’
‘হুম, কিন্তু উপায় কি এখন?’
‘আমি চলে যাব এখান থেকে। তোদের বাড়িতে আর কখনো আসবো না।’
‘এটা কোনো ডিসিশন হলো!’
‘এছাড়া আর কি করবো বল?’
‘তুমি এখান থেকে এক পাও নড়তে পারবে না। তাহলে কিছুই লাভ হবে না। বরং ভাইয়া আরও ভুলে যাবে তোমাকে। মানে একটা আকর্ষণ তৈরি হওয়ার আগেই সব শেষ।’
‘তুই কি বলতে চাচ্ছিস?’
‘আমি বলতে চাচ্ছি,তুমি এখানেই থেকে যাও এখন থেকে।’
‘কিভাবে? মাতো বাড়ি যাওয়ার জন্য তাড়া দিচ্ছে।’
‘সেটা আমি ভাবি নাহয়। তারপর বলছি কিছু একটা ভেবে।’
‘ভালো কিছু ভাবিস। তোর মাথার মতো কাঁচা যেন নাহয়।’
‘উফ কন্সেন্ট্রেশন করতে দাও।’ জান্নাত কিছুক্ষণ ভেবে বলল, আইডিয়া!’
‘কি! বল।’
‘তুমি না জব করবে বলেছিলে?’
‘হুম করবো। এপ্লাই করেছি দু একদিনের মধ্যে রেজাল্ট আসবে।’
‘কোথায় এপ্লাই করেছো?’
‘ব্যাংকে।’
‘আহা তা না, কোন জায়গায় এপ্লাই করেছো?’
‘আমাদের ওখানে।’
‘ক্যান্সেল করে ফেলো জলদি।’
‘কেন? আমি জব করতে চাই।’
‘হুম করবে তো। তবে আমাদের এখানের কোনো এক ব্যাংকে।’
‘ও,বুঝেছি। তুই চাস আমি এখানে জব করি। যাতে তোদের আশে পাশে থাকতে পারি।’
‘হুম, তবে আমাদের কথাটা ভুল। বলবে ভাইয়ার আশে পাশে যেন থাকতে পারো। কারণ এটাই মূল লক্ষ্য তোমার।’
‘তবে মা-বাবা কি বলবে?’
‘ম্যানেজ করো।’
‘করলাম নাহয়। তবে তোদের বাসার সবাইকে কিভাবে রাজি করাবি?’
‘আমাদের বাড়ির কারো কোনো আপত্তি থাকবে না আমি সিওর।’
‘আচ্ছা তাহলে তাই করি।’
‘হুম ঝটপট করো।’
********★********
আহসান অধীর আগ্রহে বসে আছে রিমির ফোন কলের জন্য। নিজ থেকে কল দেবে দেবে কি নিজেকে আটকে ফেলে সে। ঘন্টার পর ঘন্টা অতিবাহিত হয়ে গেল। এখনো অবধি আহসান সাহস জোগাতে পারেনি। আহসান ভাবে হয়তো রিমি বিজি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর আর নিজেকে সংযত করে রাখতে পারলো না। অতিষ্ঠ হয়ে ফোন করেই দিল। কিন্তু রিসিভ হলো না। বরং রিং বাজলো কি কেটে যায় ওপাশ থেকে। কেটে দিলে তো কাটবেই। আহসানের মন খারাপ হয়ে গেল নিমিষেই। ও ভাবছে রিমি হয়তো কথা বলতে চায়না। আহসানের ভাবনা পাল্টে ১০ মিনিট পরই রিমির কল আসলো।
‘আপনি কি বোকা? বারবার ফোন কেটে দেওয়ার পরও কল দেন কেন? আমি ফোন ধরার অবস্থায় নাও থাকতে পারি।’ রিসিভ হতেই রিমির গর্জন শুনতে পেল আহসান।
‘সরি, আমি ভুল করেছি।’
‘এখন সরি বলা হচ্ছে! আচ্ছা মাফ করলাম। পরবর্তীতে এমন করবেন না। আমি কল কেটে দিলে ভাববেন বিজি আছি। বা আপত্তিকর সিচুয়েশনে আছি।’
‘মনে থাকবে। তবে পরবর্তীতে বলতে কি বোঝালেন? আপনি কি রোজ আমাকে সময় দেবেন ফোনে?’
রিমি হতভম্ব হয়ে বলল, ‘আমি তো এমনি কথার কথা বললাম।’
আহসান বাঁকা হেসে বলল, ‘ওকে মানলাম। আপনি কি চুড়ি গুলো পড়েছিলেন?’
‘হুম পড়েছিলাম। তবে সব না।’
‘কেন?’
‘ওতো ধৈর্য নেই আমার।’
‘ওহ, তাও ঠিক। আর আপনি কিন্তু সেখান থেকে কিছু চুড়ি তিয়াসাকেও দিয়েন।’
‘কেন? ওকে কেন দেব?’
‘এটা কেমন প্রশ্ন? ছোট বোনকে দেবেন না তো কাকে দেবেন?’
‘কাউকে না। এগুলো শুধু আমার। আমি ওকে বলেছি দেব না মানে দেব না। তাই মন খারাপ করে ঘুমিয়ে গিয়েছে।’
‘এটা খুব খারাপ করলেন। এতো কিউট একটা ছোট বোন। তাকে না দিয়ে পারবেন?’
‘কিউট না ছাই! বদের হাড্ডি।’
‘এভাবে বলতে নেই।’
‘আপনার ভাই বোন নেই কি?’
‘আছে ছোট বোন। তবে আপনার বোনের থেকে একটু বড়।’
‘সে কেমন আপনার কাছে? নিশ্চয়ই খারাপ। এরকম সবার ঘরে ঘরেই চলছে। নিজের ভাই বোনের প্যারা কেউ নিতে চায়না। অন্যের ভাইবোনকেই ভালো লাগে।’
‘আপনার উক্তিটা মেনে নিতে পারলাম না। আমার কাছে আমার ছোট বোন অনেক প্রিয়। ওর সব কিছুই আমার ভালো লাগে। কখনো ঝগড়া হয়নি আমাদের। আমি মারিনি কখনো তাকে। আপনি যেভাবে তিয়াসাকে এটা ওটা ছুড়ে মারেন, তা দেখে আমারই খারাপ লাগে। ছোটদের স্নেহ না করলে তারাও সম্মান দেয়না। এমনকি অন্যদেরও না। এরকম করলে ছোটরা ভাববে ছোট মানেই মারধর করা। এসবই। আপনি যেমন আপনার বোনের সাথে করেন, ভবিষ্যতে আপনার বোনও ছোটদের সাথে তেমনটা করতে একটুও ভাববে না।’
‘আপনি আব্বু আম্মুর মতো কথা বলছেন? আপনার অবগতির জন্য বলছি, আমিও আমার বোনকে অনেক ভালবাসি। কিন্তু ওর কাজকাম আমার পছন্দ না বলেই লেগে যাই।’
‘একটু সহ্য করবেন।’
‘চেষ্টা করবো। এখন আপনি কি এসবই বলবেন নাকি?’
‘আপনি কি শুনবেন? তাই বলি দেখি পারি কিনা।’
‘আপনার কি কাজ নেই? বাবার পয়সায় ঘুরে বেড়ান?’
‘এই কোয়েশ্চন কেন?’
‘যখনই দেখা করার কথা হয়, আপনি বলেন যেকোনো সময় আপনি আসতে পারবেন। এই জন্যই জিজ্ঞেস করা।’
‘আসলে হসপিটালের কাজ কাল থেকে শুরু তাই সময় ছিল।’
‘ওপ্স আপনি তো ডক্টর। তো ডক্টর সাহেব আপনি আমাকে একটা টিপস দিন তো?’
‘কিসের।’
‘এইতো কি খেলে সুন্দর থাকা যায়। আম্মু বলে খাবার সৌন্দর্যকে টিকিয়ে রাখে। আপনি যেহেতু ডক্টর সেহেতু ভালো জানবেন।’
‘এটা ভুল কথা। আপনার আম্মু হয়তো খাবার খাওয়ানোর জন্য এসব বলে। তবে ঠিক সময়ে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেলে যেকেউই সুন্দর থাকে। মানে সুস্থ থাকে। আর সুস্থ থাকলে মন ভালো থাকে। মন ভালো থাকলে চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে না। সেহেতু একদিক দিয়ে সুন্দরই হয়।’
‘ওওও,বুঝলাম।’
‘গুড,তবে আপনি তো এমনিতেই সুন্দর। চাঁদ কখনো সুন্দরের বর্ণনা চাইবে না আমি মনে করি। কারণ সে জানে সে কতটা সুন্দর।’
‘আপনি চাঁদ বললেন আমাকে?’
‘না আপনি চাঁদ নন। তবে চাঁদ আপনি।’
‘মানে?’
‘মানে চাঁদ নিজেই আপনার সাথে তুলনা করবে। আপনি নন।’
‘তাই?’
‘হুম, তাই৷’
‘আপনি আমাকে এতোটা চিনে ফেলেছেন?’
‘সুযোগ দিলেন কোথায়?’
‘সুযোগ কিভাবে দেয়?’
‘পাশাপাশি হাত ধরে হেঁটে, সুখ-দুঃখ ভাগ করে, একে অপরের বন্ধু হয়ে। আর,,,’
‘আর কি?’ রিমি জিজ্ঞেস করল।
‘বুঝে নেন। তবে একটা ক্লু মানে ধাঁধা দিতে পারি। সেটা সলভ করে বুঝতে পারেন।’
‘বলুন আমি চেষ্টা করতে চাই।’
‘যখনই করিবে আখি বন্ধ, কেউ একজন হবে ঘুমের ছন্দ। তাকে নিয়ে করো হাজারো প্রশ্ন মনে, দেখবে পেয়ে যাবে উত্তর আনমনে। এবার ভেবে উত্তরটা বের করুন। কাল এই সময়ে উত্তর চাই আমার।’
‘ঠিক আছে। তবে আমি ফোন কেটে দিলে পরে আর কল দিবেন না বলে দিলাম। তিয়াসা না ঘুমালে কথা হবে না।’
‘বুঝেছি। অপেক্ষাই থাকবো।’
#তোলপাড়💓
#সিজন২
#পর্বঃ১৮
#শান্তনা_আক্তার(Writer)
(কোনো ক্রমেই কপি করবেন না কেউ)
রিমি সারাদিন লাগিয়ে দিল আহসানের ধাঁধার সমাধান বের করতে।ক্লাসেও তেমন মনোযোগ দিতে পারেনি সে। পুরো ক্লাস চিন্তার ঘোরেই কেটেছে। আর মাত্র কয়েক ঘন্টা আছে রিমির হাতে। এখনো কিছু মিলিয়ে উঠতে পারছে না রিমি। মুখশ্রী চিন্তিত তার। তিয়াসা কলেজ থেকে আসা অবধি রিমির নিস্তব্ধতা ও চিন্তার কারণ খুঁজে খুন। বারবার জিজ্ঞেস করেও উত্তরহীন ফিরতে হয়েছে তাকে। সাথে ধমক ফ্রি। তিয়াসা পড়া শেষ করে টেবিল ছেড়ে উঠে দাঁড়াতেই রিমি নিজ থেকে তিয়াসাকে ডাকলো।
‘তিয়াসা শোন তো বোন।’
তিয়াসার মন নিমিষেই ভালো হয়ে গেল রিমির ডাকে। রিমি ডাক দিতে দেড়ি,তিয়াসা পৌঁছাতে দেড়ি করলো না।
‘বল আপু।’ বিরাট হাসি দিয়ে।
‘তুই ধাঁধা পারিস?’
‘হুম কিছু কিছু পারি। যেমনঃএকটা গাছে পাঁচটা ফল। উত্তর আমাদের হাত আর আঙুল। হাত গাছ আর আঙুল ফল। তারপর,আল্লাহর কুদরত লাঠির ভেতর শরবত। উত্তর হবে আখ। মামা বাড়ি গিয়েছিলাম,রক্ত দিয়ে ভাত খেয়েছিলাম। মানে লালশাক। আরও আছে।’
তিয়াসার কথার মাঝে রিমি গরম চোখে বলে ওঠে, ‘চুপ কর। আর একটাও বাড়তি কথা বলবি না।’
তিয়াসা মন খারাপ করে বলল, ‘আমি কি এসেছি, নাকি তুই ডাকলি আমায়?’
‘পুরো কথা না শুনেই শুরু হয়ে যাস তুই। আগে শোন কি বলি, তারপর নাহয় বলিস।’
‘আচ্ছা বল তাহলে।’
‘তোকে একটা ধাঁধা বলবো তুই তার উত্তর দিবি।’
‘ইয়াহু কি মজা। ওকে বল।’
‘যখনি করিবে আখি বন্ধ, কেউ হবে ঘুমের ছন্দ। তাকে নিয়ে করো হাজারো প্রশ্ন মনে,উত্তর পেয়ে যাবে আনমনে। এটার উত্তর কি হবে?’
‘এটা তো মনে হচ্ছে বালিশ হবে।’
‘কি যা তা বললি!’
‘হুম এটাই হবে।’
‘কিভাবে?’
‘আখি বন্ধ করতে বলেছে। আর কি ঘুমের ছন্দ না কি বললি? সব মিলিয়ে বালিশ হবে। বালিশ মানে ঘুম। ঘুম মানে বালিশ।’
‘আমার ভুল। আমি ভুলে গিয়েছিলাম তুই আব্বু আম্মুর কোলের মেয়ে।’
‘উত্তর বললাম তাও এমন করিস। আচ্ছা তো কি মনে হচ্ছে কি হতে পারে?’
‘আমার তো মনে হচ্ছে কেউ ঘুমালে যদি তার স্বপ্নে এমন কেউ আসে। যার আসার কারণটা খুঁজলেই উত্তর পাওয়া যাবে।’
‘বুঝিনি। তবে হতে পারে। তুই কাকে দেখিস আপু?’
‘আমি কাকে দেখবো? এই ধাঁধাটা এক বান্ধবীর বয়ফ্রেন্ড তাকে দিয়েছে। আর ও আমাকে বলেছে উত্তর বের করে দিতে।’
‘হুম বুঝলাম। তাই বল। বয়ফ্রেন্ড বলেছে যখন,তখন এটা ভালবাসা নিয়ে কিছু হবে।’
‘তবে ছেলেটি তো আমার বয়ফ্রেন্ড নয়।’ বলেই জিভে কামড় বসায় রিমি।
‘তোর বয়ফ্রেন্ড নয় সেটা তো জানি। তোর ফ্রেন্ডের তো বয়ফ্রেন্ড। সিম্পল একটা জিনিস নিয়ে এতো ভাবিস না। যার বয়ফ্রেন্ড সে বুঝে নেবে। আমার ঘুম পাচ্ছে। আমি ঘুমাই তুই ভাব নইলে ঘুমা। তারপর সকালে বলিস আন্সার টা। গুড নাইট আপু।’
‘ওকে ঘুমা তাহলে। আমিই ভাবি।’
তিয়াসা ঘুমে আচ্ছন্ন। রিমি রুমের পাইচারি করছে আর ভাবছে কি হতে পারে উত্তর। আবার রিমি শেষ বারের মতো বলল,
‘এটা তো ভালবাসাকেই ইন্ডিকেট করছে। আমি তো গতকাল রাতেই বুঝে গিয়েছিলাম এটা ভালবাসা। কিন্তু কথা তো তা না। কথা হচ্ছে ভালবাসা কিভাবে হবে? এটা সত্যি যে উনি কদিন ধরে আমার স্বপ্নে আসছে। এটা আগেও হয়েছে। যখন আমি ওনাকে দেখিনি তখনও উনি আমার স্বপ্নে আসতেন। পার্থক্য হচ্ছে সেই ঘোড়ায় চড়া প্রিন্সের মুখ স্পষ্ট ছিলনা তখন। তবে এখন স্পষ্ট। কারণ আগে আমি আহসানকে কল্পনায় দেখতাম। এখন বাস্তবে দেখেছি। আর আগে আমি আহসানকে বিয়ে করতে চাইতাম। শুধুই তার বাড়ির লোভে। কিন্তু এখন তো সেই লোভ আর নেই। তাহলে এখন কেন উনি আমার ঘুমের ছন্দ হন? কেন তার সাথে থাকতে আমার এতো ভালো লাগে? কেন তার মুখোমুখি হলে হার্টবিট বেড়ে যায়? এটা কিসের অনুভূতি? স্বাভাবিক ভাবে দেখতে গেলে একটা ছেলে মেয়ে এমনি এমনি একে অপরকে আকর্ষণ করেনা। এর পেছনে অবশ্যই ভালবাসা নামক শব্দ জড়িয়ে থাকে। কিন্তু আমি কি আহসানকে ভালবাসি? এই প্রশ্নের উত্তর টাই যে মেলাতে পারছি সারাদিন ধরে। ভালবাসলে তার কারণ টা তো জানতে হবে। আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। শুধু হ্যাঁ বা নায়ের মায়াজালে আটকে আছি। যেকোনো একটা ফয়সালা করতে হবেই আমায়। আচ্ছা আমি আহসানকে না বলবো কি? না,না। না বললে তো আহসান আর কথা বলবে আমার সাথে। আর উনি যদি কথা না বলে তাহলে শূন্যতার সৃষ্টি হবে আমার মনে। আচ্ছা! তাহলে কি হ্যাঁ বলবো? না বাবা না। আমি হ্যাঁ বললে উনি ভাববে আমি লোভে পড়ে হ্যাঁ বলেছি। আচ্ছা তাহলে শেষ মেষ আমি বুঝতে তো পারলাম আমি ওনাকে ভালবাসি। তবে আমি প্রকাশ করবো না আগে থেকে। উনি যদি আমাকে ভাল না বাসেন তখন? ধুর ব্যাটা তারখাম্বা কি একটা জ্বালায় ফেলে দিল। না পারবো হ্যাঁ বলতে,আর না পারবো না বলতে। কি যে করি? হুম একটা কাজ করি। আমি ওনাকে বলি যে আমি উত্তর খুঁজে পাইনি। তাহলেই হলো। হ্যাঁ বা না কোনটাই বলতে হবে না। সাবাস রিমি,সাবাস! তুই এখানে কি করছিস? তোকে তো সরকার হওয়ার দরকার ছিল। এখন কল করাই যায় আহসানকে।’
রিমি একা একাই নিজের সাথে বকবক করার পর আহসানকে কল দিল। আহসান ফোন ধরলো না। তা দেখে রিমির কপালে ভাজ পড়লো। রিমি বলল, ‘আরে! আমার কল ধরলো না? সাহস তো কম না।’ ২মিনিট পরই আহসানের কল।
‘সরি সরি। আমি ফোন চার্জে রেখে ডিনারে গিয়েছিলাম।’
রিমির রাগ সব ফুস হয়ে গেল আহসানের কথায়।
‘ওহ, সমস্যা নেই। আমি সরি। আসলে জানতাম নাতো।’
‘খেয়েছেন আপনি?’
‘হুম, আপনি?’
‘বললাম তো।’
‘ও হ্যাঁ।’
‘তো কি ভাবলেন? আন্সার পেয়েছেন কি?’
‘কি যে বলি? আমার রাত দিন ওলট পালট হয়ে গেল। তাও পেলাম না উত্তর খুঁজে। কি আফসোস।’
‘তাই?’
‘হুম। আপনিই বলে দেন। আমি হেরে গিয়েছি।’
‘এতো সহজে হেরে গেলেন? আচ্ছা আরও একদিন নিন। পারলে সপ্তাহ খানেক সময় নিতে পারেন।’
‘কিহ! আমার কি এতো সময় আছে নাকি? এক রাতেই আমি ভাবতে ভাবতে ২কেজি ওজন লস হয়ে গেল। আমি আর সময় নিতে পারবো না। আপনি উত্তর বলুন ঝটপট। আমার পরীক্ষা আছে কাল থেকে।’ ডাহা মিথ্যা কথা বলে দিল রিমি।
‘ওহ বুঝলাম। ঠিক আছে। আপনাকে একটা খুশির খবর দেওয়ার ছিল।’
‘জ্বি বলুন। আমার খুশির খবর শুনতে খুব ভালো লাগে।’
‘এটা শুনলে হয়তো আপনি খুশিতে আত্মহারা হয়ে যেতে পারেন।’
‘আমি শুনবো বলুন। খুব খুশি হয়ে বলল রিমি।
‘আমার কাজিন স্রুতি।’
‘হুম তো? কি হয়েছে তার?’
‘তার বিয়ে।’
‘বাহ। দাওয়াত দিবেন তাইনা?’
‘অবশ্যই। কিন্তু কার সাথে বিয়ে হচ্ছে বা ছেলে কে সেটা শুনবেন না?’
‘বলুন শুনি। শুনতে কি? শুনতে কোনো সমস্যা নেই। আমি সবার কথা শুনি।’
‘আমার একমাত্র ফুপির মেয়ে হচ্ছে স্রুতি। তার একমাত্র মামুর ছেলের সাথে বিয়ে হচ্ছে। বুঝলেন?’
‘ও, ওই দাঁড়ান। আপনি কি বললেন? একমাত্র ফুপি আর একমাত্র মামু?’
‘জ্বি ম্যাম।’
‘তার মানে আপনার সাথে?’
‘আমি আমার বাপির একমাত্র ছেলে।’ দাঁত কেলিয়ে বলল আহসান।
‘ওহ, এতো কিছু হয়ে গেল? আর আপনি কিছু বললেনই না?’
‘কি বলবো? আজই কথা হয়েছে।’
‘ভালো তো। তাহলে আর কি বিয়ের আয়োজন করেন। দাওয়াত দিতে হবে না। আমি যাচ্ছি না কোথাও।’
‘কেন কেন?’
‘বিয়ে বাড়িতে এলার্জি আছে আমার।’
‘বিয়ে বাড়িতে এলার্জি থাকে নাকি?’
‘হুম থাকে। ক্যামেরাম্যান গুলো খেতে দেয়না। ভিডিও করে সারাক্ষণ। তাই শুধু শুধু গিফট দিব কেন না খেয়ে? এই জন্য যাই না। সরি। আপনার বিয়ে আপনিই খান।’
‘বুঝলাম কিন্তু আপনি কথাগুলো রেগে কেন বলছেন? মনে হচ্ছে দাঁত ভেঙে যাচ্ছে আপনার?’
‘আমি ভালো ভাবেই বলছি। হেসে হেসে। আপনি আর ফোন টোন দিয়েন না আমার ঘুম পাচ্ছে।’
‘এভাবে বললেন কেন?’
‘তো কিভাবে বলবো?’
রিমির রাগ হচ্ছে সাথে কান্নাও পাচ্ছে খুব। আর ওইদিকে আহসান পেট চেপে হাসছে। আহসান হাসি থামিয়ে গম্ভীর কণ্ঠে বলে,
‘আচ্ছা তাই হোক। আমারও ভালো লাগেনা আপনার সাথে কথা বলতে। ভালো থেক,,, আহসানের পুরো কথা শোনার আগেই রিমি কল কেটে দিল। আহসান আর কল দিল না। আহসান ভাবলেশহীন ভাবে বলল, ‘আমার সাথে চালাকি তাইনা? পেট থেকে কথা বের করার টোটকা খুব ভালো করে শিখেছি দাদিয়ার থেকে। দেখি কিভাবে উত্তর না বলে থাকতে পারো। আজ নয়তো কাল ঠিকই বলবে,আহসান আই লাভ ইউ। আমি অপেক্ষায় থাকলাম। হা হা হা।’
#তোলপাড়💓
#সিজন২
#পর্বঃ১৯
#শান্তনা_আক্তার(Writer)
(কোনো ক্রমেই কপি করবেন না কেউ)
রিমি নাকের পানি চোখের পানি এক করে ফেলেছে কাঁদতে কাঁদতে। আজ শুক্রবার। সরকারি ছুটি। রিমি বাসায় আছে তাই। পুরো রাতে ছটফট করেছে শুধু ও। এক রাতেই আহসানের প্রতি রিমির ভালবাসার অনুভূতিটা আরও গাঢ় হয়ে গেল। সুযোগ পেলেই ভ্যা ভ্যা করে কেঁদে উঠছে কিছুক্ষণ পর পর। তবে সকলের দৃষ্টিগোচরে। তিয়াসাকে রুম থেকে বের হতে দেখে আবার শুরু হয়ে গেল রিমি,
‘অ্যায়ায়া তারখাম্বা আমার সাথে এমন কিভাবে করতে পারলো? আমি যে কিছুতেই ওই স্রুতি নামক অপরাধী টাকে মেনে নিতে পারছি না। বোইন স্রুতি, বোইন স্রুতি রে তুই অপরাধী রে। আমার ভালবাসার তারখাম্বারে দে ফিরাইয়া দে। এতো পোলা থাকতে ক্যান পড়লো আমার তারখাম্বার উপর নজর? আমি এখন পাগল হবো, কেউ পাইবে না খবর!’
রিমি কান্না করছে আর গাইছে। আচমকাই তিয়াসা চলে আসে আর রিমির গান শুনে ফেলে। তার পর পরই তিয়াসা বলে ওঠে,
‘আপু এই তারখাম্বা টা কেরে?’
তিয়াসাকে দেখে রিমি সোজা হয়ে বসে বিছানায়। তারপর বৃথা হাসার চেষ্টা করে বলে, ‘কে তারখাম্বা? আমি কি জানি।’
তিয়াসা কয়েক কদম এগিয়ে গিয়ে বলে, ‘আমি স্পষ্ট শুনেছি। তুই তারখাম্বা নিয়ে গান গাচ্ছিলি সাথে কান্না কান্না গলায়।’
‘ও হ্যাঁ,আসলে একটা ওয়েব সিরিজ দেখেছিলাম। সেখানে নায়কটার নাম তারখাম্বা। খুবই পঁচা। নায়িকাকে রেখে অন্য একটা মেয়েকে বিয়ে করবে বলেছে।’
‘হোয়াট এ জোক? তারখাম্বা কেমন ওয়েব সিরিজ? দেখা তো আমায়।’
‘কিহ! আ আ আসলে কি বলতো,এখন ফোনে নেট নেই। অন্যসময় দেখাবো।’
‘আচ্ছা চলবে। এখন একটা শাড়ি পড়তো। আর একি চেহারার হাল? লাল ভূত দেখা যাচ্ছে।’
‘শাড়ি! কেন?’
‘তুই পড় তারপর বলছি। একটা সারপ্রাইজ আছে।’
‘কি সারপ্রাইজ?’
‘পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণী সারপ্রাইজ নামক শব্দটা শুনে কেন যে বলে কি সারপ্রাইজ? সারপ্রাইজ তো সারপ্রাইজ ই। বলে দিলে আর কি বাকি থাকে সারপ্রাইজ এর?’
‘মানে শাড়ি পড়া আবার কেমন সারপ্রাইজ?’
‘সেটা সারপ্রাইজ না। তুই শাড়ি পড়লে তোকে একটা সারপ্রাইজ দেব।’
‘বল না কি সারপ্রাইজ।’
‘আগে পড় তারপর বলছি।’
‘আমার মন ভালো নেইরে। খুব কষ্টে আছি। আব্বু একটা গান গাইতো না, কি যেন গানটা?’
‘আব্বু তো অনেক গানই গায় মনির খানের।’
‘ওইযে একটা ছ্যাঁকা খাওয়ার গান।’
‘কোনটা?’
‘বুকের জমানো ব্যথা,কান্নার নোনা জলে,ঢেউ ভাঙ্গে চোখের নদীতে। অন্যের হাত ধরে চলে গেলে দূরে,পারিনা তোমায় ভুলে যেতে। ও প্রিয়া থুক্কু। ও তারখাম্বা,ও তারখাম্বা তুমি কোথায়?’ রিমি গানটা গেয়ে ঠোঁট উল্টে কান্না করে দিল।
‘আবারও তারখাম্বা? আমার মনে হচ্ছে ওয়েব সিরিজের তারখাম্বা নায়িকাকে না,বরং তোকে রেখে অন্য কাউকে বিয়ে করছে।’
‘কিভাবে বুঝলি?’
‘মানে?’
‘সরি, কি বলতো আমার খুব খারাপ লাগছে তাইতো নায়িকার জায়গায় নিজেকে রেখে অনুভব করছি। কি যে বেদনা! কি আর বলি?’
‘থাক আপু। তুই এতো উদার হোস না আর। তোর ইমোশন দেখে এখন আমারই কষ্ট লাগছে। এখন আমার আপুটাকে দেখে আমার মন চাচ্ছে ধাক্কা দিয়ে পঁচা খালে ফেলে দেই। দয়া করে শাড়ি পড়। হাত জোর করছি।’
তিয়াসার রাগে গা হিনহিন করছে। রিমি তা দেখে বাধ্য মেয়ের মতো শাড়ি পড়ে নিল। তিয়াসা কুচি ঠিক করছে তখন রিমি বলল, ‘বল না কি করছিস তুই?’
‘চুপ কর আপু। চল বাহিরে যাই এখন। কিন্তু তার আগে একটু মুখটা ধুয়ে আয়। মানে কেমন যেন লাগছে। চোখের পানি শুকিয়ে খসখস হয়ে গেছে তোর মুখটা।’
রিমি তাই করলো। মুখটা ধুয়ে আসলে তিয়াসা তোয়ালে দিয়ে রিমির মুখ মুছে দিয়ে চুলগুলো হাত দিয়ে ঠিক করে দিল।
‘আচ্ছা তুই এতো যত্ন কেন করছিস বলতো?’ রিমি জিজ্ঞেস করল।
‘বাইরে চল বুঝতে পারবি।’
রিমি কোন উপায় না পেয়ে তিয়াসার সাথে হাঁটা দিল। কিন্তু দরজার বাহিরে আসতেই থেমে গেল। রিমি আবারও জিজ্ঞেস করে, ‘ওও, আমি এখন বুঝেছি। নিশ্চয়ই তুই আমাকে ছেলে পক্ষের সামনে নিয়ে যাচ্ছিস? আমাকে দেখতে এসেছে তাইনা?’
‘বাহ ভালোই বুঝেছিস। চল ছেলের পাশে গিয়ে বসবি।’
‘আমি যাব না। জানের দুশমন। সৎ না হয়েও সৎ বোন তুই আমার। আজ থেকে তোকে আমি চিনি না।’ এই বলে আবারও রুমের ভেতর যেতে নেই। কিন্তু সাথে সাথে তিয়াসা দিল এক ধাক্কা রিমিকে। রিমি চিল্লিয়ে ওঠে। উষ্ঠা খাবে কি খুব চেষ্টায় নিজেকে সামলে নিল। ওইদিকে সোফায় বসে থাকা সবাই সোফা ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়। রিমি সামনে তাকাতেই চরম পর্যায়ের বৈদ্যুতিক শক খেল। একেবারে চোখের সাইজ না চাইতেও বড় হয়ে গেল রিমির। শক খাওয়ার ই কথা। কারণ রিমি ওর সামনে আহসানকে দেখতে পেল। সাথে একজন বয়স্ক মহিলা। মহিলাটি চিন্তিত মুখে রিমির দিকে চেয়ে আছে। সেই মহিলাটি আর কেউ নয় মুনতাহা। তবে রিমির কাছে অচেনা। তাই সব কিছু রিমির মাথার উপর দিয়ে গেল। নাজমুল তিয়াসাকে গরম চোখে বললেন, ‘এটা কোন ধরনের ফাজলামো তিয়াসা? বড় বোনের সাথে কেউ এমন ব্যবহার করে?’
তিয়াসা মাথা নিঁচু করে বলে,’সরি আব্বু। আমি করবো বলো তো? আপুই তো আসতে চাচ্ছিলো না।’
আম্বিয়া মুনতাহার দিকে চেয়ে বললেন, ‘কিছু মনে করবেন না। আসলে ওরা দুজন এমনই।’
মুনতাহা চওড়া হাসি দিয়ে বললেন, ‘কোন সমস্যা নেই। তুমি এদিকে এসো রিমি।’
রিমি ইতস্তত মনে মুনতাহার সামনে গেল। আম্বিয়া গলা খাঁকারি দেওয়ায় রিমি বুঝতে পেরে মুনতাহাকে সালাম দিল। মুনতাহা নিজের গলার মোটা স্বর্ণের চেইনটি খুলে রিমির গলায় পড়িয়ে দিয়ে বলল,’খুব সুন্দর মুখখানা। একেবারে জোছনা রাতের চাঁদ। মাশাআল্লাহ।’ মুনতাহা থেমে না গিয়ে আরো কিছু কথা যোগ করল,’আমার খুব পছন্দ হয়েছে আপনাদের মেয়েকে। আমার একমাত্র নাতির বউ এমনই হওয়া দরকার। রিমির মতো।’ বলে রিমির মুখ ছুঁয়ে চুমু খেল। রিমি মুনতাহার কথায় মুচকি হাসি দিল।
মুনতাহা আবারও বলল,’আহসানের পাশে গিয়ে বসো। দেখি কেমন দেখায় দুটিকে।’ রিমি এবার খুব ভালো করে আহসানের দিকে তাকালো। দুজনের চোখাচোখি হতেই আহসান ঠোঁট কামড়ে হাসলো। রিমি ভ্রু কুচকে ভেংচি কেটে আহসানের পাশে গিয়ে বসলো।
তারপর পরপরই নাজমুল বলল,’খালা আপনি একা আসলেন? ছেলের বাবা মা আসলো না?’
‘আমি রিমিকে দেখতে এসেছি মাত্র। যখন বিয়ের পাকাকথা বলবো,তখন তাদের নিয়ে আসবো।’ মুনতাহা বললেন।
আম্বিয়া মুখ ভাড় করে বললেন, ‘আহসানের বাবা মা জানে তো এসব?’
মুনতাহা বললেন,’না জানে না। তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই। আমার সিদ্ধান্তই সবার সিদ্ধান্ত। আমি গত রাতে আহসানের মুখে রিমির বর্ণনা শুনেই রিমিকে সামনাসামনি দেখার পরিকল্পনা বানিয়ে ফেলি। নাতবউকে খুব পছন্দ হয়েছে আমার। সবারই হবে আশা করি। চিন্তা করবেন না,আমি সব সামলে নেব। আজই কথা বলবো আহসানের বাবা মায়ের সাথে। যদিও আমি জানি তারা মেনে নেবে রিমিকে।’
মুনতাহার কথায় আম্বিয়া ও নাজমুল স্বস্তি পেল। এদিকে রিমি আড়চোখে আহসানকে দেখছে আর রাগে ফুসছে। এখন শুধু আহসানের খবর নেওয়ার অপেক্ষায় রিমি।
চলবে,