দুষ্টু_বউয়ের_ডেভিল_বর part:14
writer: #Nurzahan akter allo
.
সাদনান রুমে এসে দেখছে নুর ওয়াশরুমের দরজা খুলে উঁকিঝুকি মারছে,সাদনান নুরের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো আর নুর ঠাস করে দরজা আটকে দিল।আর কিছুক্ষন পরে আবার নুর উঁকি দিলো তখন সাদনান ওয়াশরুমে দরজার পাশে দাড়িয়ে ছিল,নুর সাদনানকে রুমে না দেখে খুব দ্রুত পায়ে শুধু টাওয়াল পেচিয়ে বের হয়ে, আলমারী খুলে ড্রেস বের করলো নাচতে নাচতে, নুর মনে করছে সাদনান বের হয়ে গেছে কিন্ত সাদনান দেওয়ালের সাথে হেলান দিয়ে,পকেটে এক হাত ঢুকিয়ে নুরের দিকেই তাকিয়ে ছিল।নুর পেছনে ঘুরেই দেখে সাদনানকে দেখে যে দেওয়াল ঘেষে দাড়িয়ে আছে,নুর একবার নিজের দিকে তাকিয়ে চোখ বন্ধ করে চিৎকার দিসে,আর সাদনান দৌড় দিয়ে ওর মুখ চেপে ধরছে,কারন নুরের বাপি আছে বাসায় না জানি কি না কি ভাবে?সাদনান নুরের দিকে তাকিয়ে দেখে নুর এখনো চোখ বন্ধ করে আছে,,.সাদনান নুরের কানে কানে ফিসফিস করে বললো,,
–
সাদনানঃআর কত রুপে আমাকে পাগল করবে গো দুষ্টু রাণী, তবে এই লুকে তোমাকে দারুন হট লাগছে,,,,
নুরঃউমমম উমমম[কথা বলতে পারছে না কারন সাদনান ওর মুখ চেপে ধরে আছে এখনো]
সাদনানঃউমমম উমম এটা আবার কেমন ভাষা,,, উফফ নুর সত্যি এখন তোমাকে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে,,
নুরঃ
সাদনানঃতোমার মুখ আমি ছেড়ে দিচ্ছি একটা সাউন্ড যদি করো তবে এবার হাত দিয়ে তোমার মুখ বন্ধ করবো না।এবার ঠোঁটে ঠোঁট দিয়ে তোমার মুখ বন্ধ করবো,,মাইন্ড ইট
নুরঃ হুমম
সাদনানঃআমি কি তোমাকে কোন সাহায্য করতে পারি?
নুরঃঅসভ্য ছেলে তুই একটা কথাও বলবি না,লুচু, ডেভিল একটা [ড্রেস নিয়ে ওয়াশরুমের দিকে দৌড় দিয়ে]
সাদনানঃঅসভ্যতামির আর কি দেখলে?তোমার জন্যই তো আমি ডেবিল সেজেছি গো দুষ্টু রাণী, তবে এবার থেকে রোমান্টিক ডেভিল রূপে তোমার সামনে হাজির হবো
–
সাদনান বসে বসে নুরের কথা ভেবে হাসছে,নুর এসে সাদনানের মুখের উপর টাওয়ার ছুড়ে মারলো,সাদনান নুরকে খুব সিরিয়াস ভাবে ডাকলো ফোনের দিকে তাকিয়ে, নুরও কিছু না ভেবে সাদনানের পাশে বসতেই সাদনান নুরকে বিছানার সাথে চেপে ধরে,,।নুর এমন বোকামির জন্য নিজেই নিজেকে গালি দেওয়া শুরু করলো,সাদনান দুষ্টু হাসি নিয়ে নুর দিকে তাকিয়ে আছে,,,
–“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
সাদনানঃআমি বলেছিলাম না আমার মুখে টাওয়াল এভাবে ছুড়ে মারবে না,তোমার শরীরের সেই মাদকতায় আমি যে কনট্রোল হারিয়ে ফেলি,এসব কি মুখে বলে বোঝাতে হবে,নাকি আমাকে এভাবে কাছে টানতে চাও আরে গাধী মুখে বললেই হয় আদর লাগবে,,
নুরঃএকদম ফালতু কথা বলবেন না,আপনি লুচু তাই সবাইকে লুচু ভাবেন,, আমাকে ছাড়ুন এত ওজন কেন আপনার?আপনি আসলেই জলহস্তী’ একটা,উফফ রে উঠুন আমার লাগছে,,
সাদনানঃআমার খুব ইয়ে পাচ্ছে,,
নুরঃইয়ে পাচ্ছে তো ওয়াশরুমে যান,এখানে করবেন নাকি,,,
সাদনানঃআরে বোকা আমার খুব আদর আদর পাচ্ছে,,,
নুরঃআমার খুধা লাগছে আর এখন আপনার এসব ন্যাকামি বন্ধ করুন,,
সাদনানঃতোমাকে তো এখনো ভালো করে ধরি নি,,,তাহলে এত ছটপট করছো কেন?এত কথা না বলে একটু আদর দিলেই হয়,,
–
সাদনান নুরের গলায় মুখ ডুবায় আর নুর চোখ বন্ধ করে নেই,সাদনান নুরের গলার দিকে তাকায় একটা চিকন চেইন ওর গলাতে চিকচিক করছে,ফর্সা গলায় একটা ভাজ পড়ছে খুব মোহনীয় লাগছে দেখতে,সাদনান ডিপকিস করে আর ঠোঁটের দিকে এগোতেই
(আপনারা এভাবে হা করে তাকিয়ে আছেন কেন?ওদের রোমাঞ্চ করতে দিন,,,,,ওদের এভাবে ডিসটাব করবেন না,, ইসসস কেমনড্যব ড্যাব করে তাকিয়ে ওদের রোমাঞ্চ দেখছে,
এবার অামার কথা হাসছেন,,
এখন এটা নিয়েই কমেন্ট করবেন বলে ঠিক করছেন তাই না,, ,
এবার খিলখিল করে হাসছেন, আস্তে হাসুন দাঁত খুলে যাবে, ,,
যা বাবা এবার ভাবছেন লেখিকাটা আসলেই দুষ্টু,, ,
আরে হাসি চাপিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন কেন? আপনি আমার কথায় আবারো হেসে ফেলছেন ,, )
নুরের বাপি নুরকে ডেকে ওঠে,সাদনান নুরের চোখের পাতায় কিস করে,আর নুরের কানে কানে বলে,,,
সাদনানঃআর কত পালিয়ে বেড়াবে ম্যম,তুমি যত আমাকে দুরে সরিয়ে রাখবে,আমি তোমাকে তত কাছে টানবো,,
নুরঃবা বা বাপি ডাকছে,,, [লজ্জায় লাল হয়ে]
–
সাদনান নুরকে ছেড়ে দেই,সাদনানও সাওয়ার নিয়ে নেই আর সবাই একসাথে ব্রেক ফাস্ট করে নেই,সাদনান আর নুর আজ ওদের বাসায় চলে যাবে,নুরের বাপি জামাই আদর করা শুরু করে,একটা মাএ জামাই বলে কথা,বিভিন্ন ধরনের মাছ, মাংস, ফল, শাক সবজি উনি নিজে হাতে বাজার করে এনেছেন,সাথে সাদনানের বাসায় পাঠানোর জন্যও,কে না চাই এসব দিতে,তবে উনি ভারবেসে দিচ্ছে যদিও সাদনান এসবের কিছু জানে না এখনো,,,
–
নুরের মনটা খারাপ ওর যেতে ইচ্ছে করছে না,নুর ওর বাপির রুমে গিয়ে দেখে, নুরের বাপির রকিং চেয়ারে বসে আছে কপালের উপর এক হাত রেখে চোখ বন্ধ করে,,,নুর গিয়ে ওর বাপির পায়ের কাছে বসে পড়ে আর কোলে মাথা দেই,নুরের বাপির চোখ খুলে দেখে নুর,,উনি বুকের কষ্টটা চাপা দিয়ে, মুখে হাসি এনে চোখ ছলছল দৃষ্টিতে নুরের দিকে তাকিয়ে আছে,নুর ওর বাবার দিকে তাকিয়ে ভ্য ভ্য করে কেঁদে দিল,,,একটা বাবা জানে তার কলিজা টুকরো যখন বাড়ি ফাঁকা করে দিয়ে চলে যাই,তখন তার কেমন লাগে,,,
–
একটা মেয়ে যখন বাসায় থাকে,তার নুপূরের শব্দ, হাসির আওয়াজ, বাবার কাছে হাজারোও আবদার,দুষ্টুমি,রাগ,অভিমান সব মিলিয়ে বাড়িটা পরিপূর্ণ হয়ে থাকে,কিন্ত যখন বাড়িটা ফাকা করে চলে যাই,তখন বাড়িও মনে হয় কেঁদে ওঠে,,।
নুরের বাপি নুরকে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর কত কি বুঝাচ্ছে, ওদিকে সাদনান নুরকে না দেখে পেয়ে খোঁজা শুরু করলো,,,,।
সাদনান খুঁজতে খুঁজতে দেখে নুর আর ওর বাপি কথা বলছে,এজন্য সাদনান চলে আসতে গেলে নুরের বাপি সাদনানকে ডাক দেয়,সাদনান গিয়ে ওখানে দাড়ায় দেখে নুর কাঁদছে,সাদনানের খুব রাগ হলো নুরের চোখে পানি দেখে,,,,
–
বাপিঃসাদনান বসো বাবা,নুরের মনটা খারাপ এজন্য ওকে বোঝাচ্ছি,,,। মাথাতেই বড় হয়েছে একদম বুদ্ধি হয়নি, ওকে একটু দেখে রেখো বাবা,,
সাদনানঃবাপি আপনি একদম এসব নিয়ে ভাববেন না,আমি ওর পাশে আছি আর সারাজীবন থাকবো,,।আপনার পরের যদি ওর ছায়া হয়ে দাড়াই সে হচ্ছি আমি,আমি আপনার মত পারবো না ওকে সামলাতে তবে আমি আপনাকে কথা দিচ্ছি ওকে আমি আমার বেষ্টটা দিয়েই আগলে রাখবো,,,
বাপিঃআমি জানি বাবা আর তোমার উপর আমার সেই বিশ্বাস আছে,,,।নুর চল লাঞ্চের সময় হয়ে গেছে,(ঘড়ির দিকে তাকিয়ে)
নুরঃবাপি আমার খেতে ইচ্ছে করছে না,
সাদনানঃআমাদের তো বের হতে হবে তাই না,,,,
বাপিঃহুমম আমি দেখি ওদের খাবার দিতে বলি,তোমরা এসো কেমন,,
সাদনানঃজি আচ্ছা,,,
নুরঃ (মাথা নিচু করে বসে আছে)
সাদনানঃতুমি কি আমাকে ভয় পাচ্ছো?না মানে সকালে যেটা বললাম তার জন্য,,,
(নুরকে হাসানোর জন্য)
নুরঃআপনাকে ভয় পাবো কেন?আমার ভাল লাগছে না এসব,,
সাদনানঃআমার তো তাই মনে হচ্ছে সেজন্যই তুমি এখন কাঁদছো,হাজবেন্ডের ভয়ে বউ কেঁদে দিছে যাতে যেতে না হয়,,
নুরঃ আচ্ছা ফালতু না বকলে আপনার হয় না,আপনাকে আমার ভয় পেতে বয়েই গেছে,,
সাদনানঃওহহ তাই বুঝি,তাহলে এভাবে কাঁদছো কেন?আচ্ছা মন খারাপ করো না আদর দিয়ে সব পুষিয়ে দিবে কেমন,আর আমি তো আছি তোমার পাশে তাহলে এত মন খারাপ করছো কেন?তোমার এই পেচি মুখ আমার দেখতে ভাল লাগছে না,,
নুরঃচলুন খেতে চলুন,,
–
সাদনান আর নুর ওরা লাঞ্চ সেরে কিছু সময় বিশ্রাম নিয়ে বেরিয়ে গেল,
চলবে,,,