Part 1
https://www.facebook.com/2369805116611512/posts/2434780850113938/
প্রতিশোধ
দ্বিতীয় পর্ব
Sagor Islam Raj(ভালোবাসার কবি)
আমি মারিয়াকে ডাক দেই।কিন্তু মারিয়া কোন সাড়া দেয়না।আমি মারিয়ার শরীর ঝাকাই তাও আমার কথায় সে সাড়া দিচ্ছেনা।হঠাৎ মারিয়ার শরীর মচড়াতে শুরু করে।মৃদু শব্দ করতে থাকে।সে চোখ বুজে আছে।মারিয়া জিহ্বা দিয়ে ঠোটের বাহিরে চাটতে লাগে।দাত দিয়ে ঠোট কামড়ে ধরে।আর কিছুখন পর তার শরীর মচড়ানো থেমে যায়।তার অর্গাজম হয়ে যায়।
আমি এটার কিছুই বুঝলাম না।মারিয়ার স্বপ্ন দোষ কেন হলো?তাহলে কি প্রতিদিন রাতে গোসল করার কারন এটা?কিন্তু তার অর্গাজম হবার কারন কি?আমি তাকে ডাকছি সে আমার কথার উত্তর দিচ্ছেনা কেন?কি হচ্ছে এসব আমি কিছু বুঝতে পারছিনা।পুরো ঘর ঘুটঘুটে গন্ধতে ভরে গেছে।আমি জানালা খুলে দেই।আর মারিয়ার শরীর জরে জরে ঝাকি দিতে থাকি।
হঠাৎ মারিয়া চোখ খুলে।আমাকে দেখেই সে উঠে বসে।
–সাগর তুমি কখন এলে?আর ভেতরে কি করে ঢুকলে?
–আমি অনেক আগে এসেছি।কলিং বেল দিয়ে দিয়ে যখন খুলছিলেনা তখন দরজা ভেঙে ঢুকেছি।
মারিয়া তার শরীরের দিকে তাকায়।আর বেশ অবাক চোখে আমাকে জিগ্যেস করে।
–এসব কি করে হলো সাগর?
–সেটা আমার থেকে তুমি ভালো জানো।এসব কি করে হলো।
–সত্যি বলছি আমার কিছু মনে নেই।আমি এমন কেন করবো?
–ঠিক আছে।তুমি যাও গোসল করো।কেমন গন্ধ বের হচ্ছে।
মারিয়া গোসল করতে যায়।তার চোখে তখন অনেকটা ভয় ছিলো।আমার দিকে বারবার তাকাচ্ছিলো।হয়তো আমি তাকে কিছু বলবো ভেবে ভয় পাচ্ছিলো।আমি একটা জিনিস বুঝতে পারছিনা মারিয়ার যদি স্বপ্ন দোষ হয় তাহলে বিছানায় কাপড় পড়া অবস্থায় হবে।কিন্তু সে বিছানায় না থেকে ফ্লোড়ে পড়ে থেকে। সত্যিকারের সঙ্গম করার মতো করে তার স্বপ্ন দোষ হলো যেটা আমার চোখের সামনে।আমার কেমন সন্দেহ হচ্ছে।
কিছুখন পরে মারিয়া গোসল করে বেড়িয়ে আসে।তার চোখে তখনো ভয় বিরাজ করছে।আমি মারিয়াকে ডাক দেই।তাকে আমার পাশে বসাই।
–আচ্ছা মারিয়া তুমি প্রতিদিন উলঙ্গ হ্ও কেন?
মারিয়া কান্না করতে লাগে।আমি তার চোখের পানি মুছে দেই।
–বিশ্বাস করো আমি এটার কিছু জানিনা।কেন উলঙ্গ হয়ে থাকি।যখন বুঝতে পারি আমার শরীরে কাপড় নেই তখন আমি অনেক মনে করার চেষ্টা করি।কিন্তু কিছু মনে করতে পারিনা।
আমি বুঝতে পারলাম মারিয়া নিজে থেকে তার কাপড় খুলে উলঙ্গ হয়ে থাকেনা।সে যখন এমনটা করে তখন তার হিতাহিত জ্ঞ্যান থাকেনা।
–ঠিক আছে।এসব হয়তো মনের ভুল।
–সাগর আমি একটা জিনিস দেখেছি আর তা মনে আছে।
–কি দেখেছো?
–এই বিছানায় একটা বয়স্ক লোক আর একটা মেয়ে সঙ্গম করছিলো।
–এটা কিভাবে সম্ভব?বাড়িতে অন্য মানুষ কি করে ঢুকবে।
–আমি জানিনা।তারা আমাকে দেখে ফেলে আর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়।
–তুমি এই কথাটা আমাকে আগে বলবেনা?আর যা দেখেছো তা সত্যি না মনের ভুল?
–তুমি যদি রাগ করো তাই বলিনি।জানিনা সত্যি কি মনের ভুল।
–আচ্ছা ঠিক আছে।সামনে যদি এমন কিছু দেখো তাহলে অবশ্যই আমাকে বলবে।
মারিয়া নিশ্চয় স্বপ্ন দেখেছে।নয়তো এমন অপরিচিত মানুষের বাসায় অন্যকোনো মানুষ মেয়ের সাথে সঙ্গম করবেনা।তার মনের ভুল।
মারিয়া আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে শুরু করে।ফুফিয়ে কান্না করতে থাকে।আমি তাকে কান্না থামাতে বলি।কিন্তু কে শোনে কার কথা।
–সাগর আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি তোমাকে ছাড়া কখনো অন্য কাওকে কল্পনাও করতে পারিনা।এসব আমি নিজ থেকে কখনো করিনি।
–আরে পাগলি আমি জানি তো আমার বউটা কেমন।এসব আর ভাবতে হবেনা তোমাকে।
–তুমি আমাকে বিশ্বাস করতো?আমাকে ছেড়ে যাবেনা তো কখনো?
মারিয়া আমাকে এই কথা আগে কখনো জিগ্যেস করেনি।যদি কখনো বলতাম তোমাকে ভালোবাসিনা অন্য মেয়েকে ভালোবাসি তাকে বিয়ে করবো।তখন মারিয়া বলতো করো আমার কি।আমার জামাই আমার কাছে ঠিক চলে আসবে।আমি তখন তার কথা শুনে হাসতাম।সে জানতো আমি তাকে কতটা ভালোবাসি।তাকে ছেড়ে অন্য কারো কাছে কখনোই যাবনা।
কিন্তু এবার এই কথাটা বলেছে।তার মানে সে অনেকটা ভয় পেয়ে গেছে।তার এমন কাজে সত্যি যদি তাকে আমি অবিশ্বাস করি।তাই এই কথাটা মারিয়া বলেছে।মারিয়ার ভয়টা কমাতে হবে।তাকে আবার বুঝাতে হবে তাকে ছেড়ে আমি কোথাও যাবনা।
–মারিয়া রাতে খেয়েছো তুমি?
–না খাইনি।তুমি সকালে রাগ করে না খেয়ে চলেগেলে তাই সকাল থেকেই খাইনি।
–তুমি কি পাগল।না খেয়ে থাকতে হবে কেন?চলো খাবে এখন।
আমি মারিয়ার হাত ধরে খাবার টেবিলে নিয়ে যাই।তারপর খাবার প্লেটে বেড়ে তাকে খাইয়ে দেই।মারিয়া খাবার খাচ্ছে আর আমার দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে।একবারো চোখের পলক পড়ছেনা।আমি মারিয়কে ডাক দেই।
–তুমি খাওয়া বাদ দিয়ে হা করে তাকিয়ে আছো কেন।
–আমার বরকে আমি দেখবোনা তো কে দেখবে?
–আচ্ছা দেখার অনেক সময় আছে।তুমি আগে খাও তারপর দেখো।
মারিয়ার খাওয়া হলে সে আমাকে জোর করে খাওয়ায় দেই।অনেকটা ভালোবাসে।আসি জানি মারিয়া তার নিজে থেকে কাজ গুলো করছেনা।তার রহস্য আমাকে বের করতেই হবে।অনেক রাত হয়েছিলো আমরা গিয়ে শুয়ে পড়ি।মারিয়া প্রতিদিনের মতো আজো আমার বুকে মাথা রেখে আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমায়।আমি তার লস্বা চুলে বিলি কেটে দিতে দিতে ঘুমিয়ে পড়ি।
কলিং বেল বেজে উঠে।আমি দরজা খুলে দেই।দেখি একটা ২০ ২১ বছরের মেয়ে।মর্ডান পোশাক পড়া।আমি তাকে চিন্তে পারিনা।আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে।
–আরে কে আপনি এভাবে ভিতরে ঢুকছেন কেন?
মেয়েটা আমার দিকে ভ্রু কুচকে তাকায়।
–তুমি আমাকে বলছো কে আমি?তুমি তো ফোন করে আসতে বললে।
–আমি আপনাকে কখন ফোন দিয়ে আসতে বললাম?আমি আপনাকে চিনিনা।
–জানু তোমার মজা ছাড়ো।আজকে পুরা রাত মজা করবো।আজকে আমি শুধু তোমার।
–কি সব ফালতু কথা বলছেন?আমার বউ ঘরে আঝে দেখলে আমাকে ভুল বুঝবে।
–আহ জানু রাখো তো তোমার মজা।তোমার বউ তো অন্য বাড়িতে।এবাড়িতে শুধু তুমি আর আমি।
মেয়েটা বলে কি।আমার আবার ডাবল বাড়ি কোথা থেকে আসলো?আমি রুমের ভেতরে যাই।সত্যি রুমের মধ্যে কেউ নেই।পুরো বাড়ি তে মারিয়ার কোন খোজ নাই।কি হচ্ছে এসব।
আমি আবার বাহিরে আসি।দেখি মেয়েটা নেই।বাথরুম থেকে পানি পড়ার আওয়াজ আসছে।আসি বাথরুমের কাছে যাই।বাথরুমের দরজা খোলাই আছে।মেয়েটা পুরো উলঙ্গ হয়ে গোসল করছে। আমাকে দেখে সে আয়নার দিকে তাকায় আর বলে
–তোমার কথা মতো জিম করে কত সুন্দর বডি বানিয়েছি।
–আপনার মাথা খারাপ হয়েছে।আপনাকে আমি চিনিনা আর জীম করতে বলবো?
মেয়েটা তখন আমার দিকে তাকায় আর কামনার ভঙ্গিতে সাবান দিতে থাকে শরীরে।
–কাছে এসোনা আমার শরীরে সাবান দিয়ে দেও।
-কি ফালতু কথা বলছেন।
হঠাৎ দেখি মেয়েটার পাশে আরেকটা মেয়ে ফ্লোড়ে পড়ে আছে।তার গলা কাটা। দুজন একি রকম মেয়ে একজন মরা আনেকজন জীবিত।জীবিত মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে হাসতে থাকে তার মুখ দিয়ে কোনো শব্দ বের হচ্ছেনা।গলার নিচ থেকে ফিকনি দিয়ে রক্ত আমার মুখে এসে পড়ে।
আমি ধড়ফড় করে বিছানাতে উঠে বসি।তার মানে এতখন স্বপ্ন দেখছিলাম।কিন্তু এমন স্বপ্ন কেন দেখলাম হঠাৎ করে।আমি বিছানা থেকে উঠতে যাবো ঠিক তখন দেখি বিছানাতে মারিয়া নেই।ঘরের আলো বন্ধ।জানালাটা খুলে যায়।চাঁদের আলো বিছানাতে পড়ছে।ঠিক তখন পানি পড়ার শব্দ পাই।জানালা দিয়ে হুহু করে ঘরের মধ্যে বাতাস ঢুকছে।
পানি পড়ার টিপটিপ টিপটিপ শব্দ হচ্ছে।দরজা ক্যাচক্যাচ করছে।অনেক ভয়ানক পরিবেশ তৈরি হয়েছে।আমি উঠে সুইচে টিপ দেই কিন্তু আলো জ্বলছেনা।আমি আমার ফোনটা হাতে নেই।ফ্ল্যাশ লাইটের আলোতে আমি বাথরুমের দিকে এগিয়ে যাই।বাথরুমের দরজা খোলা।ফ্ল্যাশের আলো বাথরুমের মধ্যে পড়তেই আমি চমকে উঠি।স্বপ্নে দেখা মেয়ের মতো করে মারিয়া তার শরীরে সাবান মাখাচ্ছে।
আমি বাথরুমের ভিতরে প্রবেশ করতে যাই ঠিক তখন মারিয়া আমার দিকে তাকায় তার চোখ তখন লাল টুকটুক করছে।হঠাৎ তার গলা থেকে ফিকনি দিয়ে রক্ত এসে আমার মুখে পড়ে।আমি অনেকটা ভয় পেয়ে যাই।মারিয়ার কিছু হলোনা তো।
আমি বাথরুমে ঢুকে মারিয়ার দুই কাধে হাত দিয়ে ঝাকি দেই।মারিয়া সেন্সলেস হয়ে যায়।তার গলাতে হাত দেই। তার গলাতে কোনো ক্ষত নেই।তার মানে যা দেখেছি সব চোখের ভুল।আমি মারিয়ার শরীরে পানি দিয়ে ধুয়ে দেই তারপর তাকে একটা কাপড় পড়াই।মারিয়াকে বিছানাতে শুইয়ে দেই।তারপর আমি অনেক ভাবতে থাকি কি হচ্ছে এসব।যার কোনো আগা মাথা কিছু বুঝতে পারছিনা যেমন স্বপ্ন দেখলাম ঠিক তেমন মারিয়া করলো।এটা কি কোনো আত্মার কাজ?আমাকে সব কিছু খুব তাগাতাড়ি জানতে হবে।
পরের দিন সকালে মারিয়া সম্পুর্ন স্বাভাবিক ছিলো।গতকাল রাতে তার সাথে কি হয়েছে সে কিছু বলতে পারবেনা।যখন তার সাথে এমন কিছু হয় তখন তার হিতাহিত জ্ঞ্যান থাকেনা।সে বলতে পারেনা তখন কি হয়েছে।
আমি সকালে অফিসে চলে যাই।অফিসে যেতে এখন মন চায়না।বাড়িতে এমন পরিস্থিতির সময় কার ভালো লাগে।মারিয়ার কিছু হলে তখন কি হবে?আমাকে সব কিছু খুব তাড়াতাড়ি জানতে হবে।বাড়িতে কোনো সমস্যা আছে কি।বাড়িটা অসিফ থেকে আমাকে দিয়েছে।৩মাসের মতো আছি কোনো সমস্যা হয়নি।কিন্তু হঠাৎ করে কিছুদিন থেকে সমস্যা তৈরি হয়েছে।
আমি এমডির কাছে যাই
–স্যার আসতে পারি?
–আরে সাগর এসো এসো।
আমি ভেতরে প্রবেশ করি।
–স্যার আপনাকে কিছু জিগ্যেস করতাম।
–হ্যা করো কি জিগ্যেস করবে।
–আপনি আমাকে স্পেশালি যে বাড়িটা দিয়েছেন সে বাড়িতে কোনো ভৌতিক সমস্যা আছে কি?
–ভৌতিক সমস্যা??কি বলো এসব ভুত প্রেত বলে কিছু নেই।
–না স্যারর কয়দিন থেকে কিছু প্যারানরমাল সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি।
–তোমার মনের ভুল হবে।েমন কোনো সমস্যা নেই বাড়িতে।
–ঠিক আছে স্যার এজন্যই।আমি তাহলে আসি।
–ঠিক আছে।আর হ্যা সামনে সপ্তাহে অফিসের সবাইকে নিয়ে ফ্যামিলি পার্টি দেব।তোমাকে দায়িত্ব নিতে হবে।
–ঠিক আছে স্যার। কোন চিন্তা করবেননা।
–আর হ্যা তোমার বউকে নিয়ে এসো কিন্তু।তুমি তো আবার বউকে নিয়ে পার্টিতে আসোনা।
আমি কোনো কথা না বলে চলে আসি।স্যারের কথা শুনে তখন অনেকটা রাগ হচ্ছিলো।কিন্তু কিছু না বলে বেরিয়ে আসি।
আমি কেবিনে ঢুকে ভাবতে থাকি।আমাকে এ বিষয়ে কে সাহায্য করতে পারে।আমি কার কাছে সাহায্য চাইবো?আমার মাথায় কিছু ঢুকছেনা।ঠিক তখন মনে পড়ে স্যারের ড্রাইভার আমাকে কেমন রহস্য জনক ভাবে জিগ্যেস করেছিলো বাড়িটা আমার নাকি।তার চোখে কেমন রহস্য লুকিয়ে ছিলে।সে হয়তো আমাকে সাহায্য করতে পারে।
আমি কেবিন থেকে বেরিয়ে অফিসের বাইরে যাই।সেখানে স্যারের ড্রাইভার টিপুকে পাই।তাকে আমি ডাক দেই।
–জি স্যার বলেন।
–আচ্ছা টিপু আমি তোমাকে কিছু জিগ্যেস করবো সব সঠিক উত্তর দিবে।
–ঠিক আছে স্যার বলেন।
–তুমি আমার বাড়ি সম্পর্কে কি জানো যেটা আমি জানিনা?
টিপু তখন কেমন চমকে উঠে।এক পা পিছিয়ে যায়।অনেকটা ভয় পাবার মতো হয়ে যায় তার চেহারা।সে আমতা আমতা করতে থাকে।আমি তার হাতে ১হাজার নোট ধরিয়ে দেই।
–তোমাকে আরো টাকা দেবো।যত চাও দেবো।শুধু বলো বাড়িটা সম্পর্কে।
এবার টিপু যা বলে তা শুনে আমি অনেকটা অবাক হই।
–এমডি স্যারের দ্বিতীয় বাড়ি ছিলো এটা।আর এখানে এমডি স্যার মেয়ে এনে ফুর্তি করতো।
টিপুর মুখ দেখে মনে হচ্ছে সে আরো কিছু লুকাচ্ছে।আমি টিপুকে চিপে ধরি।
–টিপু তোমাকে টাকা দিয়ে ভরিয়ে দেবো সব কিছু খুলে বলে বাড়িটা সম্পর্কে।
–আমি যে আপনাকে কথাটা বলছি এটা যেন কেউ না জানে।
–কেউ জানবেনা তুমি বলো।
টিপু এবার যা বলে তা শুনে আমার বুকটা হুহু করে কেপে উঠে
চলবে………….