প্রিয় তুমি পর্ব ৭

#প্রিয়_তুমি❤
#মেঘা_আফরোজ

#পর্ব-৭
.
🍁
.
পরের দিন সকালেই আকাশ প্রিয়ন্তীকে নিয়ে বাড়িতে চলে আসে। প্রিয়ন্তী সব সময় আকাশের থেকে দূরে দূরে থাকে প্রয়োজনের বাইরে একটা কথাও বলে না। প্রিয়ন্তী চায় আকাশের আসে পাশে থাকতে মন খুলে কথা বলতে কিন্তু পারে না কোথাও একটা বাধা পড়ে যায়।

প্রিয়ন্তী আর আকাশের মা ড্রয়িংরুমে বসে গল্প করছিলো এমন সময় আকাশ এলো বাড়িতে ওর সাথে অল্প বয়সী দুইটা ছেলে এসেছে। ছেলেদের একজনের হাতে বড় বক্স এর মতো কিছু একটা অন্যজনের হাতে একটা ব্যাগ। আকাশের মা উঠে দাড়িয়ে বললো

__আকাশ ওরা কারা আর হাতে এগুলো কি?

__মা আমার রুমে একটু কাজ করাতে হবে তাই ওদের এনেছি। এই তোমরা এসো আমার সঙ্গে।

আকাশের মা প্রিয়ন্তীকে জিজ্ঞেস করলো
__প্রিয়ন্তী তোদের রুমের কিছু নষ্ট হয়েছে কি?

__কই না তো সবই তো ঠিকআছে।

__সব ঠিক থাকলে কি কাজ করাবে! ছেলেটার মাথায় কখন যে কি চাপে কে জানে। যা রুমে গিয়ে দেখ কি কাজ করাচ্ছে রুমে।

__হুম মা যাচ্ছি।

প্রিয়ন্তী রুমে এসে অবাক হয়ে বললো
__এসব কি করাচ্ছেন! এসি থাকতে ফ্যান কেনো?

__আজ থেকে এ রুমে এসি চলবে না ফ্যান চলবে।

__কিন্তু কেনো?

আকাশ প্রিয়ন্তীর পাশে এসে আস্তে করে বললো
__আমার বউয়ের নাকি এসির হাওয়া ভালোলাগে না তার ফ্যানের হাওয়াটাই পছন্দ। তাই তার জন্য সামান্য এই আয়োজন।

প্রিয়ন্তী আকাশের দিকে চোখ পাকিয়ে তাকিয়ে বললো
__আপনার কি হয়েছে বলুন তো প্রথমে তো বউ বলে মেনেই নেননি আর এখন বউয়ের জন্য এতো দরদ আসছে কোথা থেকে?

__এই কি করছো কি বাইরের লোকের সামনে আস্তে বলো। কি যেনো বললে দরদ কোথা থেকে আসে জানতে চাও?

__হুমম বলুন?

আকাশ বুকের বা পাশে হাত রেখে প্রিয়ন্তীর কানের কাছে মুখ এনে বললো
__এই যে এখান থেকে আসে দরদ,শুধু দরদ নয় ভালোবাসাটাও আছে এখানে। একটা সুযোগ দাও দেখবে তোমার কোনো অভিযোগ থাকবে না আমার ওপর। প্লিজ প্রিয়ন্তী আর অভিমান করে থেকো না,আমার ভুলটা সুধরে নিতে চাই সে সুযোগটা দাও আমাকে।

আকাশের প্রিতিটি নিশ্বাস পড়ছিলো প্রিয়ন্তী ঘারে মুখে ওর বলা কথাগুলো যেনো বিশ্বাস করতে পারছে না প্রিয়ন্তী। কেবলই মনে হচ্ছে হয়তো সবটা সপ্ন। কিন্তু না এ তো সপ্ন নয় বাস্তব, আকাশ এখনো পাশেই দাড়িয়ে তাকিয়ে আছে তার মায়াপরীর দিকে।
প্রিয়ন্তী সেখানে আর এক মুহুর্ত দাড়ালো না বেড়িয়ে গেলো রুম থেকে।

প্রিয়ন্তী আফিয়ার রুমে গিয়ে দরজা আটকে দরজায় হেলান দিয়ে দাড়িয়ে রইলো। ওর চোখ থেকে অঝরে পানি পড়ছে। ও চায় না এ কান্না কাউকে দেখাতে,ছোটবেলা থেকেই মেয়েটা নিজের কষ্টগুলো নিজের মধ্যে চাপা রাখতে রাখতে নিজেকে কঠিন বানিয়ে ফেলেছে। কষ্ট পেলে ও একাই পাবে কেনো শুধু শুধু অন্যেকে নিজের কষ্টের শামিল করবে। আফিয়া ভার্সিটি গেছে তাই প্রিয়ন্তী ওর রুমেই এসেছে একা থেকে নিজেকে হালকা করতে।

প্রিয়ন্তী আজ নিজেই বুঝতে পারছে না এ কান্না সুখের নাকি দুঃখের। ওদের বিয়ে হয়েছে বেশ কিছুদিন হয়েছে প্রিয়ন্তীর কাছে আকাশ ছিলো একদমই অচেনা। তবে এখন অনেকটাই চিনেছে আকাশকে। প্রিয়ন্তীর মনেও আস্তে আস্তে ভালোলাগা সৃষ্টি হয়েছে আকাশের প্রতি। এমনকি ভালোবেসে ফেলেছে ও আকাশকে। হ্যা প্রিয়ন্তী আকাশকে ভালোবাসে। প্রিয়ন্তী যদিও জানে না এর পরিণতি কি হবে তারপরেও ভালোবেসেছে। ভালোবাসা তো দোষের কিছু নয়। মনের অজান্তেই ভালোবেসেছে সে আকাশকে।
আকাশ রোজ রাতে ঘুমিয়ে পড়লে প্রিয়ন্তী উঠে আকাশের পাশে বসে একধ্যানে চেয়ে থাকে ওর মুখের দিকে কখনো কখনো মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়। প্রিয়ন্তী আকাশের কাছে গেলেই অদ্ভুত টান অনুভব করে কেমন যেনো মায়া কাজ করে মনে। হয়তো ওরা স্বামী স্ত্রী তাই সেই পবিত্র বন্ধনের মায়ায় পড়ে প্রিয়ন্তী ভালোবাসে আকাশকে।
প্রিয়ন্তী রোজ রাতে আকাশকে দেখে আর নিজে নিজে বিড়বিড় করে কথা বলে। তারপর যখন ঘুমাতে যায় তখন আকাশের মুখের দিকে তাকিয়ে বলে”””প্রিয় ভালোবাসি তোমাকে”””।
.
🍁
.
আকাশ প্রিয়ন্তীর বিয়ে হয়েছে ৫ মাস হলো এখনো ওদের সম্পর্ক সেই আগের মতোই আছে। তবে প্রিয়ন্তী বুঝে গেছে আকাশ তাকে ভালোবাসে এ কয়মাসে আকাশ তার প্রিতিটি ব্যবহারে তা বুঝিয়ে দিয়েছে। প্রিয়ন্তীর মনে কি আছে এটা আকাশ এখনো বুঝতে পারেনি প্রিয়ন্তী তা বুঝতেও দেয় নি। নিজেকে সব সময় দূরে রাখার চেষ্টা করে আকাশের থেকে।

আকাশের মা বাবা কয়েকদিনের জন্য দেশের বাহিরে গিয়েছে। এদিকে আফিয়া কিছুটা অসুস্থ তাই প্রিয়ন্তী ভার্সিটিতে যায় না আফিয়ার পাশেই থাকে। দুপুরের দিকে আফিয়া শুয়ে আছে আর প্রিয়ন্তী ওর পাশেই বসে আছে। আফিয়া বলে উঠলো

__ভাবি তোমার আর ভাইয়ার সম্পর্কে কি কোনো পরিবর্তন আনা যায় না? এভাবে আর কতো দিন? ভাইয়া সত্যি তোমাকে খুব ভালোবাসে তুমি কি বুঝতে পারো না?

__হুম আপু আমি বুঝতে পারি তোমার ভাইয়া আমাকে ভালোবাসে,আমিও চাই সম্পর্কটা স্বাভাবিক করতে অন্য সব মেয়েদের মতো আমিও সংসার গুছিয়ে নিতে চাই। আপু তোমাকে তো সবকিছু বলেছি তোমার ভাইয়া বিয়ের প্রথম দুদিন কি কি বলেছে আমাকে। তারপর থেকে হঠাৎ উনি চেঞ্জ হয়ে গেলো আমাকে গুরুত্ব দিতে শুরু করলো। আমার মাঝে মাঝে কি মনে হয় জানো,মনে হয় তোমার ভাইয়া আমাকে করুনা করছে আমি এতিম বলে।

__ভাবি এসব কি বলছো, মানছি ভাইয়ার প্রথমে ভুল ছিলো কিন্তু ভাইয়া এখন সত্যি তোমাকে ভালোবাসে।

__আমার ভয় হয় আপু যদি আবারো তোমার ভাইয়ার মনে হয় আমি তার অযোগ্য। তখন কি হবে? এখন যদিও বেঁচে আছি কিন্তু যদি এমন কিছু হয় তখন আমি মরেই যাবো।

আফিয়া সোয়া থেকে উঠে প্রিয়ন্তীর চোখের কোনের পানি মুছে দিয়ে মুচকি হেসে বললো
__ভয়কে জয় করতে শেখো। ভয় পেয়ে যদি নিজেকে পিছিয়ে রাখো তখন তো সব হারাবে। ভাইয়া তোমাকে ওসব বলে সত্যি ভুল করেছে আচ্ছা একটা কথা ভাবো ভুল তো মামুষেরই হয় তাইনা। সে ভুলটা ধরে বসে থাকলে তো নিজের ক্ষতি হবে কিছুর সমাধান হবে না।
আর একটা কথা ভাইয়া তোমাকে ভুল করেও আর কখনো তার অযোগ্য বলবে না। তার কারন হলো তুমি তার প্রথম ভালোলাগা এবং ভালোবাসা। ভাইয়া যে তার মায়াপরীর মায়াতে বিয়ের আগে থেকেই বাধা পড়ে গেছে আর সে মায়াতেই আটকে থাকতে চায় সারাজীবন।

__মায়াপরী! ওয়েট ওয়েট,আপু তুমি বলছো তোমার ভাইয়া আমাকে ভালোবাসে। তাহলে এই মায়াপরীটা কে?এই মায়াপরী নামটা তোমার ভাইয়ার মুখে কয়েকবার শুনেছি। এটা কে আমি জানতে চাইলে বলতো সময় হলেই বুঝতে পারবে। আবার এটাও বলেছে যেদিন সব অভিমান ভুলে উনার বউ হয়ে পাশে দাড়াবো সেদিন এই মায়াপরীর ব্যাপারে সব বলবে।

__ধেত আমি আরো ভাবলাম এই সিক্রেট কথাটা আমি তোমাকে বলবো কিন্তু তা আর হলো না। তুমি বরং ভাইয়ার থেকেই যেনে নিও। মায়াপরীটা কে তার উত্তর আমার থেকে ভাইয়া ভালো ভাবে দিতে পারবে।

__আপু তুমিই বলোনা প্লিজ?

__না গো ভাবি আমি এ বিষয়ে আর একটা কথাও বলবো না।আচ্ছা একটা কথা বলতে পারি তা হলো এই মায়াপরী কে সেটা জেনে তুমি খুশি হবে। আমি জানি তুমিও ভাইয়াকে ভালোবাসো তাই আর অভিমান নয় সব ভুলবুঝাবুঝি মিটিয়ে দুজন দুজনের পাশে থাকো।
.
🍁
.
প্রিয়ন্তী আফিয়ার বলা কথাগুলো ভেবে মনে মনে বলতো লাগলো
__আপু তো সব ঠিক বলেছে,ভুল তো মানুষেরই হয় সে ভুল ধরে বসে থাকলে কোনো কিছুর সমাধান হবে না। আর এটাও তো সত্যি ভয় পেয়ে পিছিয়ে থাকলে সব হারাতে হয়। নাহ আমি এ পরিবারকে হারাতে চাইনা আকাশও হারাতে চাইনা সারাজীবনের জন্য পাশে চাই উনাকে আমি। আমি যে খুব ভালোবাসি আকাশকে।
কিন্তু একটা কনফিউশন তো থেকেই গেলো কে এই মায়াপরী তার কথা জেনে আমি কেনো খুশি হবো!

সন্ধার পর পরই আকাশ বাড়িতে ফিরেছে। প্রিয়ন্তী আফিয়া একা আছে তাই তাড়াতাড়ি চলে এসেছে। আকাশ কলিংবেল বাজিয়ে চলেছে কেউ দরজা খুলছে না। মুহুর্তের ওর চোখে মুখে আতংক ছড়িয়ে পড়লো। আফিয়া তো অসুস্থ ছিলো আর প্রিয়ন্তী ওর পাশে একাই ছিলো বাড়িতে। ওদের কোনো প্রবলেম হয়নি তো? আকাশের গলা শুকিয়ে আসছে পকেট থেকে ফোন বের করে প্রিয়ন্তীর নাম্বারে কল দিলো ওপাশ থেকে রিসিভ হলোনা। টেনশনে আকাশের হাত কাঁপছে,আফিয়ার নাম্বারে কল দিতে গেলেই দরজা খুলে গেলো।
সামনে প্রিয়ন্তীকে দেখে আকাশ নিজেকে আর সামলাতে পারলো না একপা সামনে ফেলেই আচমকা জড়িয়ে ধরলো প্রিয়ন্তীকে।

প্রিয়ন্তীর চোখ দুটো যেনো কোটর থেকে বেড়িয়ে আসার উপক্রম হয়েছে। ফ্রিজড হয়ে একভাবে দাড়িয়ে আছে ওর সারা শরীরে শীতল হাওয়া বয়ে চলেছে। আকাশ এই নিয়ে দুবার ওর শরীরে হাত দিলো। সেবার তো শুধু গালে হাত রেখেছিলো আর আজ তো জড়িয়ে ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে নিয়েছে।

আকাশ প্রিয়ন্তীকে জড়িয়ে ধরে শান্তি অনুভব করছে। ওর প্রাণপাখীকে মনের খাঁচায় ফিরে পেয়েছে। আকাশ প্রিয়ন্তীকে জড়িয়ে ধরেই বলতে লাগলো

__প্রিয়ন্তী কোথায় ছিলে তুমি দরজা খুলছিলে না কেনো? আমি কতোটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম জানো তুমি? ফোন দিয়েছি সেটাও ধরছিলে না। আমি সন্ধার পর এসেছি বলে তুমি দরজা খুলছিলে না তাইনা? ঠিকআছে আমি কাল থেকে যেখানেই থাকি না কেনো সন্ধার আগেই বাড়িতে চলে আসবো। আই প্রমিজ। কি হলো তুমি কিছু বলছো না কেনো?

প্রিয়ন্তীর কোনো সাড়া না পেয়ে আকাশ ওকে ছেড়ে মুখের দিকে তাকালো। প্রিয়ন্তী সোজা হয়ে দাড়িয়ে তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে।

__এভাবে কেনো তাকিয়ে আছো? জড়িয়ে ধরেছি বলে রাগ করেছো? দেখো রাগ করলেও কিছু করার নেই,আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম তোমরা একা ছিলে কোনো প্রবলেম হয়েছে কিনা। তাই তোমাকে দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি। আমি কিন্ত সরি বলবো না নিজের বউকেই তো জড়িয়ে ধরেছি এতে দোষের কিছু নেই।

প্রিয়ন্তী আকাশের বলা কথাগুলো শুনে অবাক না হয়ে পারছে মা সামান্য দরজা খুলতে দেরি হয়েছে বলে এতো টেনশন! প্রিয়ন্তীর হাসি পাচ্ছে। এই মুহুর্তে আকাশকে পাগল বলে মনে হচ্ছে ওর কাছে। আকাশ যে এমন বিহেব ও করতে পারে এটা প্রিয়ন্তীর ধারনার বাইরে ছিলো।

প্রিয়ন্তী আকাশের চোখের দিকে তাকিয়ে বললো
__অনেক গুলো প্রশ্ন তো করে ফেলেছেন। সব আমি গুলিয়ে ফেলেছি আপনি প্রশ্ন গুলো আবার রিপিট করুন আমি উত্তর দিচ্ছি।

আকাশ মাথা চুলকে বললো
__মজা নিচ্ছো তুমি?

__আজব তো,মজা নিবো কেনো আপনার টেনশন দূর করতে হবে তো নাকি।

__তুমি এখন আমার সামনে আছো আর কোনো টেনশন নেই। আফিয়া কোথায়, ওর জ্বর কমেছে?

__আপু রুমেই আছে,দুপুর থেকেই জ্বর নেই শরীরে। আপনি যান রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিন।

আকাশ মাথা নাড়িয়ে চলে যেতে নিয়ে থেমে গেলো। চোখ বড় বড় করে ঘুরে বললো

__প্রিয়ন্তী?

প্রিয়ন্তী দরজা লাগিয়ে আকাশের সামনে এসে বললো
__হুম বলুন।

__তুমি সেই লাল শাড়িটা পড়েছো, সেজেছো! কই গত পাঁচ মাসে তো এভাবে সাজোনি কখনো! আবার আমার সাথে স্বাভাবিক ভাবেও কথা বললে,জড়িয়ে ধরলাম তাও কিছু বললে না?

__হুহ ঢং,এতক্ষণ আমার সামনে থেকে এখন আমার সাজ শাড়ি পড়া উনার চোখে পড়লো। কথাটা মনে মনে বলে। আকাশের দিকে তাকিয়ে বললো
__আমার ইচ্ছে হয়েছে তাই সেজেছি। আর আপনার সাথে তো তেমন বেশি কথাও বলিনি আমি। আর রইলো জড়িয়ে ধরা ওটা তো আপনি টেনশনে ছিলেন তাই ধরেছেন।

__বুঝলাম কিন্তু এই শাড়িটা,এটা পড়ার পেছনে তো একটা অপশন ছিলো। তাহলে কি ধরে নিবো তোমার অভিমান ভেঙেছে?

প্রিয়ন্তী মুচকি হেসে বললো
__সব কিছু তো বলে দিতে হয়না।

কথাটা বলে প্রিয়ন্তী চলে গেলো ওখান থেকে।
আকাশ একদিন প্রিয়ন্তীকে এই লাল শাড়িটা দিয়ে বলেছিলো। যেদিন তোমার মনে হবে আমাকে একটা সুযোগ দেওয়া দরকার,আমার বলা কথাগুলো ভুলতে পেরে আমাকে তুমি আপন করে নিতে পারবে সেদিন এই শাড়িটা পড়বে তুমি।

আকাশ ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে হেসে বললো
__ইয়েস,আমার মায়াপরীর মান ভেঙেছে। আজ আমি অনেক অনেক হ্যাপি।
.
🍁
.

#চলবে……..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here