প্রেমের মরা জলে ডুবে পর্ব -০৮

#প্রেমের_মরা_জলে_ডুবে

#তানিয়া

পর্ব:৮

জেসমিন প্রিন্সিপাল স্যারের সামনে কান্না করছে।প্রিন্সিপাল স্যার তিমিরকে ডেকে পাঠিয়েছেন।তিমির রুমে ঢুকেই জেসমিনকে দেখতে পায়।তেমন কোনো রিয়েকশন হলো না তিমিরের।প্রিন্সিপাল স্যার চোখের ওপর থেকে চশমাটা খুলে টেবিলে রাখলো।

“তিমির তুমি জেসমিনের সাথে এমনটা কেনো করলে?”

তিমির জেসমিনের দিকে আড়চোখে চেয়ে খুবই বিনয়ী সুরে বললো,

“স্যার আমি কি করলাম জেসমিনকে?”

“তুমি দেখতে পারছোনা কি করেছো?ওর চুলে চুইংগাম লাগিয়ে জিজ্ঞেস করছো কি করেছো?”

“আমি তো স্যার চুইংগামি খাই না তাহলে ওর চুলে লাগাবো কি করে?”

“স্যার মিথ্যা বলছে তিমির,ওই আমার চুলে চুইংগাম লাগিয়েছে। ”

“কীভাবে বুঝলি তুই আমি লাগিয়েছি?”

“কীভাবে আবার,তুই যখন আমার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলি তখন আমার মাথায় কি পোকা বলে হাত দিলি।এরপর মাথায় হাত দিতেই আঠালো কিছু হাতে লাগে তখনি বুঝেছি এটা তোর কাজ?”

“তোর সাথে আমার এমন কি শত্রু*তা আছে যে আমি এমন করবো?অযথা মানুষের পেছনে লাগা বন্ধ কর।”

“কেনো আবার,শুভ্র স্যারকে তোদের বিষয় নালিশ করাতে সেটার শোধ তুললি।স্যার শুভা আর তিমির দুজনে ক্লাসে একসাথে বসে ডিস্টার্ব করে তাই শুভ্র স্যার আমাকে বলেছে যাতে ওরা একসাথে না বসে।আর আমি নিষেধ করলে তিমির অমান্য করে।আমি সেটা শুভ্র স্যারকে জানায় এরজন্য তিমির আমার চুলে চুইংগাম লাগিয়ে দিয়েছে। ”

জেসমিন কান্না জুরে দিলো।চুলে চুইংগাম লাগানো তো আর সহজ বিষয় না।যদি না উঠে তাহলে চুল কাটতে হবে এটা ভেবেই সে আরো কেঁদে দিলো।প্রিন্সিপাল স্যার রেগে গিয়ে তিমিরকে একঝাঁক কথা শুনালো।সেসব শুনার পরও তার মনে ক্ষোভ রইলো না কারণ জেসমিনকে উপযুক্ত শাস্তি সে দিতে পেরেছে।ভুলেও সে আর তিমিরের পেছনে লাগবে না।

কথাটা ঘুরে ফিরে শুভ্রর কানে গেলো।আর তাতেই শুভ্রর মেজাজ গেলো বিগড়ে।এ মেয়ে দেখি তাকে শান্তিতে থাকতে দিবে না।আজই এ মেয়েকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে।শুভা আর তিমির ক্লাস শেষ করে অন্য স্যারের সাথে দেখা করলো যাকে সে টিউশনের কথা বলে রেখেছিল।স্যার তার জন্য একসাথে দুটো টিউশন জোগাড় করেছে।দুজনে একি ঘরের এবং সেলারিও ভালো।তিমির তো সেই খুশি,কোচিং খরচ চালিয়ে তার হাতে বেশ কিছু টাকা থাকবে।

তিমির বাসায় ফিরতেই শুভা তিমিরের আগে গোসলে ঢুকলো।তিমির চিৎকার শুরু করে দিলো,

“এই হারা*মী তুই এমনটা করলি কেনো,আমার গরম লাগছে বের হো না ননদী প্লিজ?”

“না আমি এখন বের হবো না।তোর জ্বালায় আমার সবকিছু হাফ হয়ে গেছে। ভাইয়ার বউ হয়ে তুই আমার জিনিসে ভাগ বসাতে এসেছিস?এটা কোন সংবিধানের নিয়ম?তোর জন্য শান্তিতে গোসলটাও করতে পারি না আজ আমি ভালোমতো গোসল করবো তুই চলে যা ভাইয়ার রুমে?”

“আরে বাঁদরী তোর মা আর তোর ভাই যদি দেখে না, আমি গোসলে তার ঘরে ঢুকেছি এ দুপুরের পাশের গাছে যত কাক বসেছে সবাই দৌড়ে পালাবে।আমি তাদের আশ্রয়হারা করতে চাই না, বের হো বলছি?”

শুভা ফুল স্পিডে শাওয়ার,ঝর্না কল যা যা পানির বস্তু ছিল সব ছেড়ে দিয়েছে। বেশ কয়েকবার ডাকার পর যখন শুভা রেসপন্স করলো না ঠিক তখনি তিমির হাল ছেড়ে দিয়ে নিজের কাপড় নিয়ে শুভ্রর রুমে চলে গেলো।

শুভ্র কিছু ফাইল নিয়ে এসেছে।সেগুলো ঠিক করে রাখতেই কানে পানির আওয়াজ আসলো।তখনি খেয়াল করলো তার ওয়াশরুমের দরজা বন্ধ। এ রুমে সচরাচর কেউ আসে না।সবার রুমে আলাদা আলাদা বাথরুম থাকায় কেউ কারোটা ব্যবহার করে না।হঠাৎ কে ঢুকলো তার ওয়াশরুমে?শুভ্র দরজায় টোকা দিতে তিমিরের আত্মাপাখি নাচানাচি শুরু করলো।বুঝতে পারলো শুভ্র এসে গেছে। সে কোনোরকমে গায়ের ওর পানিটা ঢেলে কাপড়টা পরে নিলো।এরমাঝে শুভ্র কয়েকবার কে কে করে প্রশ্ন ছুড়লো কিন্তু তিমির উত্তর দিলো না।শুভ্র এবার গলাটা উচু করতে তিমির দরজা খুলে দিলো আর তিমিরকে দেখেই ফেটে পড়লো শুভ্র।

“তুমি?তুমি আমার ওয়াশরুমে কি করছো,কতবার নিষেধ করেছি আমার রুমে না আসতে এখন সরাসরি ওয়াশরুমের দখল নিতে চলে এলে?”

শুভ্রর রুক্ষ গলার স্বরে তিমির তো ভয়ে তটস্থ তবুও মনের জোর নিয়ে বললো,

“এভাবে রেগে যাচ্ছেন কেনো,যা গরম পড়ছিল, শুভা তার ওয়াশরুমে থাকায় আমি কূল না পেয়ে এখানে চলে এসেছি।বলতে গেলে বাধ্য হয়ে এসেছি নাহলে আপনার কথা শুনার ইচ্ছে আমার ছিল না।”

তিমির টাওয়াল দিয়ে চুল বাঁধতে বাঁধতে কথা গুলো বললো।শুভ্র মুষ্টিবদ্ধ করে তিমিরকে দেখছে।তিমির বুঝতে পারছে শনির দশা কপালে কিন্তু মুখের ওপর সরাসরি তার কোনো প্রভাব দেখালো না।কিন্তু মনের ভেতর ভয় তাকে গ্রাস করছে।ঠোঁটটা শুকিয়ে গেছে তবুও সামান্য ভিজে নিয়ে বললো,

“মানুষের সাথে সবসময় এত কঠিন হয়ে কথা বললে পাপ হয়।তাছাড়া আমি আজ আপনার গোসলখানা ব্যবহার করে নিজেকে ঠান্ডা করতে পেরেছি গরমকে বিদায় জানাতে পেরেছি তাই আপনাকে আল্লাহ এর সওয়াব দিবে।কোনোদিন আপনার গরম লাগলে আমিও আপনাকে আমার গোসলখানা ব্যবহার করতে দিব ঠিক আছে? সবসময় এত হাইলি বিহেভ করবে না। আমি যাই।”

কথা শেষ করে তিমির দ্রুত পা আগালো।শুভ্র পেছন থেকে ডাক দিলো,

“তা এত যে জ্ঞানীমূলক কথা বলছো আমার ওয়াশরুম থেকে তোমার জিনিসগুলো নিয়ে যাও সেটাও কি আমার জন্য দোয়া স্বরূপ রেখে গেছো?”

তিমির দেখলো তার সব ধোয়া কাপড় তার হাতেই আছে কিন্তু শুভ্র তাকে কীসের কথা বললো?সে এগিয়ে ওয়াশরুমে উঁকি দিতেই চোখ গুলো বড় করে ফেললো।শুভ্র তখনো তার দিকে চেয়ে আছে আর তিমির আড়চোখে শুভ্রকে খেয়াল করে চোখ সরিয়ে নিলো।লজ্জায় সে লাল হয়ে গেলো।এমন বিশ্রী ব্যাপারও তার সাথে হওয়ার কথা ছিলো।তিমির তাড়াতাড়ি তার গুরুত্বপূর্ণ ছোট কাপড়াটা তুলে নিয়ে সোজা দৌড় মারলো।শুভ্র নাকমুখ কুঁচকে ড্রয়ার থেকে কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে গেল।

তিমির শুভার রুমে এসে দেখলো শুভা ড্রাই মেশিন দিয়ে সাই সাই করে চুল শুকাচ্ছে।তিমির দেরী করলো না সোজা শুভার চুলগুলো টেনে ধরলো।আচানক তিমিরের এহেন কাজে শুভা হতভম্ব হয়ে গেলো তাড়াতাড়ি বুঝতে পেরে সে চুলগুলো ছাড়ার চেষ্টা করলো।

“কিরে কু*ত্তী তুই এভাবে চুল টানাটানি করছিস কেনো,ছাড় আমার স্বাদের চুল, ও মা গো চুল ছাড়।”

“না ছাড়বো না। তোর জন্য আজ আমাকে এমন লজ্জায় পড়তে হলো,বেয়াদপ কোথাকার?”

“আরে চুল ছাড় না,ছেড়ে বল ঘটনা কি?”

তিমির চুল ছেড়ে দিয়ে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লো।শুভা চুল ঠিক করে এসে তিমিরের মাথায় গাট্টা মেরে জিজ্ঞেস করলো ঘটনা কি?

তিমির সবটা গুছিয়ে বললো আর সেটা শুনে শুভা হা হয়ে চেয়ে রইলো।সে হাসবে নাকি কাঁদবে বুঝতে পারছে না।এমন কান্ডও মানুষ করে?অনেক্ক্ষণ নিজের বিস্ময়টাকে ধরে রেখে হাসা আরম্ভ করলো।শুভার হাসি দেখে তিমির তো আগুন।

“বান্দরনী তোর জন্য আমাকে এ লজ্জায় পড়তে হলো,কত করে বললাম আমাকে ঢুকতে দে তা তো করলি না আর এখন কিনা হাসছিস?”

“আরে তুই ধৈর্য ধরতে পারলি না তো আমার কি দোষ? তাছাড়া তোর বা আক্কেল কেমন,যে নিজের গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটা এভাবে রেখে এলি?বোকামির ও তো একটা সীমা পরিসীমা থাকে তাই না?”

“হু,হয়েছে আর হাসিস না।আমার তো যা লজ্জা লাগছিল।”

“আচ্ছা বাদ দে চল খেতে যাই। খিদে লেগেছে। ”

শুভা তিমির নিচে এসে চেয়ারে বসলো।শুভ্র এখনো আসেনি।দুজনে চেয়ার পেতে বসতেই নিপা মুখ বেজার করে তিমিরকে দেখলো যেন,একটা উটকো মানুষ তার ঘরে এসে অধিকার খাটাচ্ছে।শুভ্র একটু পর এসে বসলো।নিপা খাবার বাড়তে শুরু করলো।নিপা মাছের বড় অংশ গুলো শুভা আর শুভ্রকে দিতেই তিমির নিজের প্লেটটা এগিয়ে দিলো।তখনি নিপা গতরাত্রের খাবারটা ঢেলে দিলো তিমিরের পাতে।তিমিরের মুখটা কালো হয়ে গেলো,সেই সাথে শুভারও।নিপা চেয়ে আছে তিমির কিছু বলে কিনা সেটার জন্য যাতে মুখে ঝামটা ঘষে দিতে পারে কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে তিমির কিছু না বলে খাওয়া শুরু করলো।শুভা নিজের খাবারটা নিয়ে বসে তিমিরের দিকে তাকিয়ে রইলো।
তিমির নিঃশব্দে খাচ্ছে, শুভা বুঝলো তিমিরের ভেতর বয়ে যাওয়া কষ্টটা কিন্তু সেটা কীভাবে কমাতে পারবে সে?শুভ্রর দিকে তাকালো শুভা, শুভ্রও নিরবে খাচ্ছে। শুভার কান্না পেলো,তার এ ভাই টা তো এমন না তাহলে তিমিরের সাথে হওয়া অন্যায় দেখেও সে কিছু বলছে না কেনো?

“কিরে তুই কি খাবি না,এভাবে ভাত পাতে বসে আছিস?”

“মা তুমি হয়তো তিমিরকে মাছ দিতে ভুলে গেছো, দেখো ও শুধু তরকারি দিয়ে ভাত খাচ্ছে। ”

“খাক তুই তোরটা খা,আরেকজনের পাতের দিকে নজর দিতে হবে না।বাপের বাসায় তো এরচেয়ে ভালো খাবার খেতো না আর এখানে এসে এতো সাহেবিখানা না খেলেও চলবে।”

শুভা হাত শক্ত করে বসে রইলো।তা দেখে নিপা বেগম চোখ রাঙালেন।

“শুভা তুই কি খাবি যদি না খাস তো সারাদিন আর খাবার পাবি না।তাছাড়া খাবার নষ্ট করা আমি পছন্দ করিনা।নে খেয়ে নে।”

অপারগ শুভা পানি দিয়ে ভাতটা গলাধঃকরণ করলো।শুভ্র খাওয়াটা শেষ করে চলে গেলো।খাবার টেবিলে যা হলো সেসব যেন তার চোখেই পড়লো না।শুভা খাবারটা শেষ করেই শুভ্রর রুমে গেলো,শুভ্র একটা বই নিতে বিছানায় বসতেই শুভাকে দেখলো।

“কিরে কিছু বলবি?”

“ভাইয়া তুমি মাকে কিছু বললে না কেনো,তুমি দেখো নি মা তিমিরের সাথে কেমন আচরণ করলো?”

“তাতে কি আমার কিছু করার আছে।এটা মা আর তিমিরের বিষয় তাছাড়া তুই তো বলেছিস মা তো কানে নিলো না?”

“ভাই য়া আমার বলা আর তোমার বলা এক হলো।আজ যদি তুরফা আপুর সাথে মা এমন করতো তুমি চুপ থাকতে?”

“শুভা,তুই কার সাথে কার তুলনা করছিস?”

“ভাই য়া মানুষের সাথে মানুষের যেখানে একজনকে মাছ না দেওয়ার জবাব হিসেবে তুলনার কথা আসে?ভাই য়া তোমার কাছ থেকে এমনটাও আশা আমি করিনা, তুমি এতটা নিষ্ঠুর কীভাবে হলে,তিমির এখন তোমার স্ত্রী সেই অধিকারে তো এক টুকরা মাছের দাবিদার সে হতে পারতো।ভাই য়া এতটা কঠোর তোমাকে মানায় না, তুমি এক টেবিলে এমন বৈষম্য মানতে পারো আমি না।আজকে আমার খুব খারাপ লাগলো তোমার এ নিরব সম্মতি। ”

শুভা কিছু না বলে কান্না মাখা বদনে রুম ছাড়লো।শুভ্র হাতের বইটা পাশের টুলে রেখে গা এলালো।এ মুহুর্তে তার কিছু ভালো লাগছে না।সে বুঝতে পারছেনা আধো তার করা এমন কাজ ঠিক নাকি ভুল?

শুভা রুমে এসে দেখে তিমির বেড ঝাড়ু দিয়ে বিছানা ঝাড়ছে।শুভার দিকে তাকাতে তিমির বুঝলো শুভা কাঁদছে। এটা তিমিরের প্রতি করা মায়ার কান্না। তিমির হেসে শুভাকে কাছে ডাকলো,

“এদিকে আয়,কাদছিলি কেনো?”

“তিমির তুই এমন কেনো, তোকে সবাই আঘাত করে আর তুই এত সহজে কীভাবে সেটা মেনে নিস,তোর কষ্ট হয় না?”

“গাধী কষ্ট হয় না কে বললো,আঘাত পেলে সবাই কষ্ট পায় কেউ কম কেউ বেশি।আমি তো ছোট থেকে এসব সয়ে এসেছি তাই এখন আর কষ্ট লাগে না।আর শোন আমার বিষয় নিয়ে তুই কখনো কারো সাথে তর্ক করবি না।এমনিতেই আমার জন্য তোকে অনেক কথা শুনতে হয়, তাই আর কখনো আমার কথা নিয়ে কথা বলিস না ঠিক আছে?”

শুভা কেঁ*দে তিমিরকে জড়িয়ে ধরলো।তিমির হেসে জিজ্ঞেস করলো,

“কিরে কোন শোকে কাঁদ*ছিস, আমি তোর সবকিছুতে ভাগ বসিয়েছি বলে,ঠিক আছে আমি আজই রুম ছাড়বো!”

শুভা মাথা তুলে একটা চড় দিলো তিমিরকে।

“চুল সব টেনে ছিড়ব রুম ছাড়ার কথা বললে,তুই এ রুমে আমার সাথে থাকবি।তুই শুধু বান্ধবী নোস আমার বোন।তোর সাথে ভাগ করলে আমার সম্পদ কমে না বরং আল্লাহ বরকত দেন।তাছাড়া তুই তো আর পর নোস,আমার ভাইয়ের বউ লাগিস, একমাত্র ভাবি আমার। অতএব এখন এ বাড়িতে তোর সবকিছুর ওপর দাবি বেশি আমার চেয়েও বেশি বুঝলি?”

তিমির হেসে শুভাকে গাল টেনে দিলো।

“বুঝলাম ননদী।এভাবে সব হাত ছাড়া করিস না তাহলে তো একদিন তোকে আমি রান্নাঘরে পাঠিয়ে দিব এ ঘরের দখল নিয়ে। ”

‘উহ্ কি কথা!বরং এ ঘর ছেড়ে তোর বরের ঘরের দখল নে তাতে লাভ বেশি হবে বুঝলি।”

খাদে গলা নামিয়ে শুভা তিমিরকে কথাটা বললো।সাথে সাথে দুজনে হো হো করে হেঁসে উঠলো।শুভার হাসি দেখে তিমির হাসিকে সংকুচিত করলো।এ মেয়েটা বড্ড ভালো,শুধু ভালো না তার জীবনে আসা কিছু ভালো মানুষের মধ্যে সেরা একজন।ভাগ্যিস শুভাকে পেয়েছিলো নাহলে তার পুরো জীবন ্টা বিষাদময় হয়ে যেত।আল্লাহ এ মেয়েকে দীর্ঘায়ু করুক মনে মনে এ প্রার্থনা করলো তিমির!
,
,
,
চলবে……..

(

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here