#বাসন্তীগন্ধা
|০৬|
লাবিবা ওয়াহিদ
———————-
রোজা লিফটের সামনে বিষণ্ণ মনে দাঁড়িয়ে আছে। মুখটা তাঁর ভার। চোখের সামনে আহত ভাইটার বর্তমান চিত্র ভেসে উঠছে। রোজা তপ্তশ্বাস ফেলে পুণরায় লিফটের বাটন চাপলো। কিছু মুহূর্ত পর হঠাৎ নিস্তব্ধ সিঁড়িতে পরিচিত কন্ঠস্বর শুনতে পেলো। হ্যাঁ, সাইয়ানের-ই কন্ঠ। মনে হচ্ছে কারো সাথে কলে কথা বলতে বলতে নামছে। রোজা উঁকি দিয়ে উপরে তাকালো। ভুল শুনেনি সে। সাইয়ান-ই নামছে। কানে তাঁর ফোন। ফোনে ব্যস্ত থাকায় সাইয়ান রোজা খেয়াল করেনি। সে নেমে গেটের দিকে চলে যাচ্ছে। রোজাও দ্রুত সাইয়ানের পিছু ছুটলো। সাইয়ান রোজাকে খেয়াল করলে কানে ফোন নিয়ে সৌজন্যমূলক হাসি দিলো এবং সামনে এগোতে থাকলো। রোজা তাঁর পেছন পেছন-ই গেলো। গেটের বাহিরে আসলে সাইয়ান কথা শেষ করে রোজাকে জিজ্ঞেস করলো,
–“কোথাও যাচ্ছিলেন মিস রোজা?”
–“উম.. জি স্যার। কিছু কেনাকাটা ছিলো। আপনি এই অসময়ে বের হয়েছেন যে?”
–“একচুয়ালি আজ ফুপ্পি খাবার পাঠাতে পারেনি তাই রেস্টুরেন্টে যেতে হচ্ছে!”
রোজা জিজ্ঞাসু নজরে চাইলো সাইয়ানের দিকে৷ সাইয়ান বুঝলো রোজা তাঁর কথা বুঝতে পারেনি। তাই সাইয়ান আলতো হেসে হাঁটতে হাঁটতে বলে,
–“বাইরের খাবারে আমার ফুড পয়জনিং হয়। এজন্যে ছোট মা আম্মায় পইপই করে বারণ করে দিয়েছে যেন বাইরের খাবার না খাই। আমার ফুপ্পিও চট্টগ্রামে থাকে। তিনি-ই আমায় দুইবেলা খাবার পাঠায়। বাবাও ফুপ্পিকে বেশ জোরালো ভাবে অনুরোধ করেছে তাই ফুপ্পি পাঠায়!”
–“আপনার পরিবার আপনাকে খুব ভালোবাসে তাই না স্যার?”
সাইয়ান খোলা আকাশের দিকে চেয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে,
–“ভালোবাসা আমরা তখনই বুঝি যখন প্রিয় মানুষের থেকে আমাদের দূরত্ব তৈরি হয়। বুঝলেন মিস রোজা?”
রোজা ইতিবাচক মাথা নাড়ায়। সাইয়ান তা দেখে আলতো হাসলো। রোজা কী মনে করে বললো,
–“তাহলে তো আজ বাইরের খাবার খেলে আপনার ফুড পয়জনিং হবে স্যার!”
–“ইট’স ওকে মিস রোজা। আই উইল ম্যানেজ!”
রোজার মন মানলো না। সে আবার বলে ওঠে,
–“আপনি যদি কিছু মনে না করেন আমি রান্না করে দেই আপনাকে?”
সাইয়ান এবার বেশ অবাক হলো। চমকে চাইলো রোজার দিকে। রোজা চোখে-মুখে একরাশ আশা নিয়ে চেয়ে আছে সাইয়ানের দিকে। সাইয়ানের চোখ-মুখ দেখে রোজা মাথা নিচু করে আলতো স্বরে বলে,
–“চিন্তা করবেন না। অখাদ্য, কুখাদ্য রাঁধি না আমি। উপরওয়ালার রহমতে রান্নার হাত আমার ভালোই!”
সাইয়ান হাসলো। হাসি বজায় রেখে বললো,
–“আমি তো সেরকম কিছু বলিনি।”
–“তাহলে আপত্তি কোথায়?”
–“আপনাকে খাটাতে ইচ্ছে করছে না!”
–“এখানে খাটনির কিছু নেই। বাসায় গিয়ে আমার এমনিতেও রান্না করতে হতো। সেখানে আপনার জন্যে রান্না করলে ক্ষতি কী?”
–“ঠিক আছে। আপনার কথাই রইলো!”
রোজার চোখ-মুখ অত্যন্ত জ্বলজ্বল করে উঠলো। নিজের খুশিকে খুব কষ্টে সামলে বলে,
–“বাসায় বাজার আছে?”
সাইয়ান মাথা চুলকে হালকা হেসে বলে,
–“না থাকাটাই স্বাভাবিক!”
রোজা নিঃশব্দে হেসে বলে,
–“বাজার করে আনি চলেন।”
———————-
–“বাবা ডেকেছিলে?”
বলতে বলতেই সোহেল সাহেবের রুমে প্রবেশ করে মেহের। সোহেল সাহেব হাতে একটি খাতা নিয়ে মুচকি হেসে বলে,
–“হ্যাঁ মা। ডেকেছিলাম। আসো!”
মেহের রুমের ভেতর নজর বুলিয়ে দেখলো সিঙ্গেল সোফায় সারিম বসে কফি খাচ্ছে এবং একটি ফাইল দেখছে। সোহেল সাহেবের হাতে খাতার মতো কিছু একটা দেখে মেহেরের ভ্রু কুচকে গেলো। আস্তে আস্তে এগিয়ে গেলো বাবার কাছে। সোহেল সাহেব মেয়েকে বিছানায় বসিয়ে দিয়ে খাতাটি এগিয়ে দেয় এবং বলে,
–“আমি বিয়ে করতে চাই না।’ এটা এতবার কেউ লিখে বুঝি? পাগলি মা আমার। কেউ তোকে বিয়ে করতে জোর করছে না বুঝলি?
মেহেরের মাথায় যেন পুরো আকাশটা ভেঙে পরলো। সোহেল সাহেবের থেকে খাতাটা কেড়ে নিয়ে পর্যবেক্ষণ করলো। এই খাতা পেলো কই সোহেল সাহেব? এটা তো মেহের জানালা দিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলো! চোখ বড়ো বড়ো করে সোহেল সাহেবের দিকে তাকিয়ে অস্ফুট স্বরে বলে,
–“এই খাতা কোথায় পেলে তুমি বাবা?”
–“সন্ধ্যার তোর রুমে গিয়েছিলাম। তখন তুই মায়ের রুমে ছিলি বোধহয়। ফিরে আসতে নিলে খাতাটা তোর টেবিলের উপর পাই!”
মেহের আরেক দফা বিষম খেলো। জানালা দিয়ে ফেলে দেওয়া খাতা কী উড়ে উড়ে তার টেবিলের উপর এসেছে? নাকি এখানে কোনো মানুষের হাত? মেহের চটজলদি সারিমের দিকে চাইলো। সারিম একদম স্বাভাবিক। আবার নিবিড় চাহনি দিলে দেখা যাচ্ছে সারিম মুচকি হাসছে। এর মানে কী এসব সারিমের কাজ? জেনেশুনে বাবার চোখের সামনে এটা আনার কী প্রয়োজন ছিলো? মেহেরের চোখ ফেটে কান্না আসতে চাইলো। সারিম কী কোনোদিনও তাকে বিয়ে করতে দিবে না? মেহের মিনমিন করে বললো,
–“আপনি মোটেও ভালো করেননি সারিম ভাইয়া।”
–“আমাকে কিছু বললি?”
মেহের নজর ঘুরিয়ে নিলো। সোহেল সাহেব হেসে বলে,
–“যাহ। খাতাটা নিয়ে যা কেমন?”
মেহের কোনোদিকে না তাকিয়ে খাতাটা নিয়ে বেরিয়ে গেলো। রুমে গেলো না বরং কিচেনে গেলো। কিচেনে গিয়ে দেখলো তাঁর মা জ্যুতি এবং কাজের মেয়েটা আছে। এর মানে এখন রান্নাঘর খালি পাওয়া যাবে না। আর দেশলাইও পাওয়া যাবে না। মেহের হাল ছাড়লো না। ধপাধপ পা ফেলে সে বাইরে চলে গেলো। বাইরে গিয়ে সর্বপ্রথম দারোয়ানকে গিয়ে ধরলো। দারোয়ান মেহেরকে দেখে আলতো হেসে বললো,
–“কী বলবা মা?”
–“চাচা আপনার দেশলাইটা ধার দিবেন?”
দারোয়ান হতভম্ব হয়ে বলে, “মানে? আমি পাবো কই?”
–“মিথ্যে বলবেন না চাচা। আমি আপনাকে একবার সিগারেট খেতে দেখেছিলাম। যারা স্মোক লাভার তাঁরা কখনোই দেশলাই ছাড়া থাকে না।”
দারোয়ান থতমত খেলো। হালকা শুকনো ঢোঁক গিলে আশেপাশে তাকালো। আস্তে করে প্যান্টের পকেট থেকে দেশলাইয়ের বাক্সটা বের করে মেহেরের হাতে ধরিয়ে দিলো! মেহের এতে হাসলো। দারোয়ান এবার বললো,
–“কী করবা তুমি দেশলাই দিয়া?”
মেহের আলতো হেসে খাতাটা দেখিয়ে বলে,
–“বি**ষ পোড়াবো চাচা। গলা অবধি দেবে আছে কী না!”
——————-
রোজা ধীরে ধীরে সব সবজি বের করছে। সাইয়ান কিচেনের পাশের ডাইনিং এর একটি চেয়ারে বসে রোজার দিকে চেয়ে মুচকি হেসে বলে,
–“পারবেন তো?”
রোজা হেসে বলে, “না পারলে পালাতাম!”
সাইয়ান হাসলো, সঙ্গে রোজাও। রোজা সবজি গুলো পানিতে ভেঁজাতে ভেঁজাতে বলে,
–“এত কষ্ট করার চাইতে একটা বিয়ে করে নিলেই তো পারেন!”
স্বভাবসুলভ সাইয়ান হেসে বলে,
–“বিয়ে করার জন্যে পাত্রীর প্রয়োজন। সৎ, মিষ্টিভাষী পাত্রীর। তাকে না পেলে বিয়ে কী করে হবে?”
–“আপনার কোনো পছন্দ নেই?”
–“নাহ!”
রোজা মুচকি মুচকি হাসলো।
–“আপনি চাইলে পাত্রীর অভাব হবে না।”
–“তা জানা নেই। তবে মনমতো না পেলে আমি বিয়ে করছি না। বিয়ে না করা অবধি আমার আশেপাশের মানুষ-ই নাহয় আমার যত্ন নিক!”
রোজা এবার কেন যেন লজ্জা পেলো। লাজুক হেসে কাজ করতে করতে মিনমিন করে বললো,
–“আমি আপনার অর্ধাঙ্গিনী হলে ক্ষতি কী?”
পরমুহূর্তেই রোজার মাথায় চাড়া দিয়ে উঠলো সাইয়ান এবং তাঁর স্ট্যাটাসের কথা। তাদের আলাদা জীবন-যাপনের কথা। রোজা মুখ ভার করে চুলো জ্বালালো। সাইয়ান প্রশ্ন করলো,
–“আপনি সেদিন বললেন না আপনাদের বাড়িতে কে কে আছে?”
রোজা নিজেকে সামলে দীর্ঘশ্বাস ফেললো। নরম গলায় বললো,
–“মা এবং ছোট ভাই।”
–“আপনার বাবা কী…”
রোজা বুঝলো সাইয়ান কী ইঙ্গিত করছে। রোজা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলে,
–“না আমার বাবা জীবিত। তবে তার সাথে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই।”
সাইয়ান অবাক হয়ে বললো, “মানে?”
রোজার চোখের সামনে ভেসে ওঠে সেই বি*ভৎস অতীত। রোজার সর্বাঙ্গ হঠাৎ অস্থিরতা শুরু হয়। রোজা হঠাৎ অস্থিরতায় কয়েক পা পিছিয়ে যায়। পা জোড়াও যেমন অবশ হয়ে আছে। সাইয়ান দ্রুত রোজাকে গিয়ে ধরে। রোজা চমকে সাইয়ানের দিকে তাকায়। মুহূর্তে-ই সে স্বাভাবিক হয়ে যায়। পা জোড়াও সচল হয়। অস্থির ভাব দূর হয়। অপলক চাহনিতে চেয়ে থাকে সাইয়ানের অস্থির মুখটায়৷ সাইয়ান ব্যস্ত কন্ঠে বললো,
–“কী হলো মিস রোজা? আপনি ঠিকাছেন? কিছু বলছেন না যে? হ্যালো!?”
রোজা অন্তরে আওড়ায়, “আপনি পাশে থাকলে অস্থিরতা কাজ করে না স্যার। সেই দুর্ঘটনার প্রভাব পরে না। কেন এমন হয়? আপনাকে আপন ভেবেছি বলে?”
–“কী হলো মিস রোজা? উত্তর দিন!”
–“ঠিক আছি!”
সাইয়ান দূরে সরে আসে রোজার থেকে। সাইয়ান কপালে এক আঙুলের বিচরণ চালিয়ে বলে,
–“ভয় পাইয়ে দিয়েছিলেন।”
–“স্যরি স্যার!”
–“হঠাৎ কী হলো যে এরকম অস্বাভাবিক হয়ে পরলেন?”
রোজা হাসার চেষ্টা করে বলে, “হঠাৎ ঘোরের মধ্যে চলে গিয়েছিলাম। এমন হয় আমার!”
সাইয়ান আর রোজার বাবাকে নিয়ে ঘাটলো না। কোনো মেয়ে এভাবে বাবার কথা শুনে অস্বাভাবিক হতে পারে তা সাইয়ানের জানা ছিলো না। তবে সাইয়ান ধারণা করছে রোজা মানসিকভাবে কিছুটা বিপর্যস্ত। তাই সরাসরি সাইক্রিয়াট্রিস্টের কথা বললো না সে।
রোজা ঘটনাকে স্বাভাবিক করে বললো,
–“আপনি ভেতরে চলে যান স্যার। আlগুনের তাপ আপনার সহ্য নাও হতে পারে।”
–“ঠিকাছে। বি কেয়ারফুল।”
বলেই সাইয়ান ভেতরের রুমে চলে গেলো। রোজা সাইয়ানের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আলতো হাসলো। চোখ জোড়া অশ্রুসিক্ত করে বললো,
–“এটলিস্ট আপনি আমাকে বলেননি আমি মানসিক রোগী, আমার চিকিৎসার প্রয়োজন। আপনি কেন এত ভালো সাইয়ান স্যার? আপনি কী কোনো ওষুধী প্রাণ? যার সংস্পর্শে আসলে অস্থির, অস্বাভাবিক আমি স্বস্তি অনুভব করি!”
——————-
দেশলাই প্রথমবার জ্বালাতে গিয়ে মেহেরের হাতে হালকা ছ্যাঁকা লাগলেও মেহের দাঁতে দাঁত চেপে তা সহ্য করে নিলো। তাঁর সামনে রয়েছে কতগুলো কাগজ। সবগুলো একসাথে আছে। মেহের দ্রুত সেটায় জ্বলা দেশলাইটা ফেলে দিলো। মুহূর্তে-ই দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। সেই আগুন দেখে মেহের স্বস্তি অনুভব করলো। যাক, এই খাতা এখন কারো হাতেই পরবে না।
–“জ্বালিয়ে দিয়ে কী লাভ? বিয়ের কথা বললে আবারও তোকে দিয়ে লেখাবো নো প্রব্লেম!”
মেহের চমকে পিছে ফিরে তাকালো। সারিম বুকে হাত গুঁজে দাঁড়িয়ে আছে মেহেরের পিছে। সারিমকে দেখে মেহের মুখ ঘুরিয়ে বললো,
–“আপনি-ই আমার রুমে খাতাটা রেখেছেন তাই না?”
–“না পুড়ে ফেলে দিলে আবারও রেখে আসতাম তোর ঘরে। সবাই জানুক, তুই বিয়ে করতে চাস না!”
মেহের এবার উঠে সারিমের দিকে ফিরে তাকিয়ে বললো,
–“আপনি এমন কেন সারিম ভাইয়া? বিয়ের কথা বললে আপনি আমার সাথে এরকম করছেন কেন? আমি কী এমন বলেছি?”
সারিম মেহেরের দিকে গম্ভীর নজরে চেয়ে বলে,
–“পড়াশোনার বয়সে বিয়ের কথা উঠাবি কেন? হাঁটুর বয়সী মেয়ে কী না বিয়ে করবে। হাহ্!”
–“আপনি বিয়ে করেন না আপনার দোষ। আগে আগে বিয়ে করা উত্তম!”
সারিম জোরে গাল টেনে ধরলো মেহেরের। মেহের হালকা আর্তনাদ করে সারিমের হাত থেকে নিজের গাল ছাড়াতে ছাড়াতে বললো,
–“লাগছে ভাইয়া, ছাড়ুন!”
–“লাগুক। আর বিয়ের গীত গাইবি?”
–“কক্ষনো না। ছাড়ুন!”
সারিম ছাড়লো না। বরং নিজের গায়ে থাকা শালটার ভেতরে মেহেরকে ঢুকিয়ে নিজের সাথে জড়িয়ে বললো,
–“চুপচাপ ভেতরে চল!”
——————-
মাহিম মেহেরের লাল হয়ে যাওয়া ডান গালটার দিকে চেয়ে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। মেহের নাক ফুলিয়ে বললো,
–“এত হাসির কী হলো বুঝি না!”
–“গালে কী হয়েছে রে? মশার কামড় খেয়েছিস নাকি পিঁপড়ে কামড়িয়েছে?”
বলতে না বলতেই আবার হেসে উঠলো। এবার মেহেরের রাগ হলো। মাহিম আবার বলে ওঠে,
–“যাক, আমার মতোন তোর গালেও সাইন পরেছে। এবার বুঝবি লজ্জা কারে কয়। আল্লাহ্ বিচার করেছে তোর!”
মাহিমের দিকে ধাওয়া করার পূর্বেই সারিম রুমে প্রবেশ করলো। সারিমকে দেখে মাহিমের হাসি থেমে গেলো। মেহেরও চুপসে গেলো। সারিমের হাতে একটা মলম। সারিম মেহেরের পাশে এসে বসে বললো,
–“খবরদার যদি তোরে কখনো দেখেছি আগুনের ধারে-কাছে গিয়েছিস। আগুনের সামনে নিজেকে সামলে রাখতে জানে না সে আবার দেশলাই জ্বালায়। ইচ্ছে তো করছে তোর সারা গায়ে আগুন জ্বালিয়ে দেই! ইডিয়েট কোথাকার!”
বলেই মেহেরের হালকা পোড়া জায়গাটায় মলম লাগাতে শুরু করে সারিম। যখন মেহেরকে সারিম শালে জড়িয়েছে তখন পোড়া স্থানে হালকা চাপ লাগে মেহেরের। যার করে সে সামান্য কুঁকড়ে উঠেছিলো। নয়তো সারিমও খেয়াল করেনি এই পোড়া হাতের দিকে।
~চলবে, ইন-শা-আল্লাহ্।