বেপরোয়া ভালোবাসা পর্ব -৩২

#বেপরোয়া_ভালবাসা
#পর্বঃ ৩২
#লিখনীঃ মনা হোসাইন

আনুমানিক দশটায় ঘুম ভাঙল আদির। নিচে নেমেই সে আদিবার খোঁজ করছে কিন্তু আদিবার খোঁজ নেই।

-“মা আদিবা কোথায়…?

আদির প্রশ্নে মা কিছুটা বিরক্তি নিয়েই জবাব দিল
-“আদিবা কোথায় সেটা জেনে তোর কাজ কী? তুই না সাদিয়াকে বিয়ে করবি?

-“তো সাদিয়াকে বিয়ে করলে আদিবার খোঁজ করা যাবে না?

-“আচ্ছা আদি তুই কী বুঝতে পারছিস না তুই অস্বাভাবিক আচারন করছিস..তোর বাবা এই নিয়ে মন খারাপ করেছেন। বলছেন তার ভাইয়ের শেষ আমানত সে রক্ষা করতে পারছে না।

-“তো আমি বাঘ নাকি ভাল্লুক যে আব্বুর ভাইয়ের আমানতকে গিলে ফেলছি…

-“তুই আদিবার সাথে এমন কেন করছিস?

-“আমি আবার কী করলাম আদিবা আমার হবু শালী আমি ওর খোঁজ করতে পারব না?

-“তোর সাথে কথা বলে আসলে লাভ নেই।

-“ঠিক বলেছো এই একটা বিষয় ছাড়া আমার সাথে সব বিষয়ে কথা বলা যাবে..শুধু আদিবার ব্যাপারেই বলা যাবে না যাইহোক এতই যখন আপত্তি তখন সাদিয়াকে বলো আমাকে এক কাপ কফি বানিয়ে দিতে।

আদির মা আর জবাব দিলেন না গিয়ে সাদিয়াকে বললেন কফি বানিয়ে দিতে। সাদিয়া কফি করে এনে আদিকে দিচ্ছে এরমধ্যে আদিবা চোখে মুখে পানি দিয়ে নিচে নেমে আসল। আদি আর সাদিয়া কে একসাথে দেখে একটু থমকে দাঁড়াল আদিবা। মনটা কি আরও একটু খারাপ হল? হবে হয়ত…কিন্তু এই মন খারাপ অন্যদের সামনে প্রকাশ করা যাবে না ভেবেই পাশ কাটিয়ে রান্নাঘরের দিকে চাইল আদিবা। সাথে সাথে আদি বলে উঠল সাদিয়া সবাইকে একটু ডেকে আন তো সবার সাথে আমার কিছু কথা আছে। বাবাকেও আসতে বলবি।

আদির কথা শুনে সাদিয়া চলে গেলও আদিবা থেমে ভ্রু কুচকে তাকাল,

-“কিছু বলবেন ম্যাডাম…?

আদিবা এগিয়ে আসল,
-“আবার কি গন্ডগোল পাঁকাতে চাইছেন?

আদিবার প্রশ্নের জবাব দিল না হা হা করে হেসে উঠল। আদিবা বুঝল আদির সাথে কথা বলে নিজের মেজাজ খারাপ করার মানে হয় না।তাই রান্না ঘরে চলে গেল।

পরক্ষনেই বসার ঘরে তার ডাজ পড়ল,এসে দেখল বাসার সবাই এসে জমা হয়েছে।আদিবা আসতেই আদি বলল,

-“বসেন ম্যাডাম এই আলোচনায় আপনার থাকা আবশ্যক।

বলে আদিবাকে বসার জন্য ইশারা করল আদিবাও বসল,

-“কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার জন্য সবাইকে ডেকেছি। জানি আমার সিধান্ত নিয়ে সবার মাঝেই কিছু সমস্যা আছে আমি সেগুলো ক্লিয়ার করতে চাই। আসলে যেভাবেই হোক আমি অস্ট্রেলিয়ার সিটিজেন হওয়ার সুযোগ পেয়েছি এখন আমি যাকে বিয়ে করব সেও এই সুযোগটা পাবে তাই আমি চাচ্ছিলাম আমার পরিবারের কেউ এই সুযোগটা পাক । সাদিয়া যেহেতু আমাদের বাসায় বড় হয়েছে আর কাকিয়ারো ইচ্ছে ছিল তার মেয়েরা নিজের পায়ে দাঁড়াক তাই আমি সাদিয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছি। এদেশে থেকে চাকরি পাওয়াটা এতটা সহজ না। তাছাড়া বাবার বয়স হয়েছে বাবার পক্ষে সংসার চালানো সম্ভব না আমি একা নিজের পরিবারের দায়িত্ব নিব নাকি বাবা মায়ের নিব নাকি কাকিয়াদের? এমন তো হতে পারে আমার বউ সবার সাথে মিশে থাকাটা পছন্দ করল না তখন কী হবে? আমি শুধু চাই সবাই সবসময় ভাল থাকুক। আমি যেহেতু বিদেশে থাকি বিয়ের পর সাদিয়াও সেখানে চলে যাবে আমি ওকে চাকরি করার সুযোগ দিব ও নিজের পায়ে দাড়িয়ে নিজের পরিবারের খেয়াল রাখতে পারবে.. আমি জানি কাকিয়াও হয়ত এমনটাই চায়। যে যতই সাপোর্ট দেই না কেন নিজের সন্তানের উপার্জনে চলার মধ্যে অন্যরকম শক্তি আছে। এবার তোমাদের সিধান্ত তোমরা যদি চাও বিয়ে হবে না চাইলে হবে না।

আদির কথা শুনে তার মা বললে

-“কিন্তু গতকাল তো তুই বলছিলি তুই আদিবার উপড় রাগ করে সাদিয়াকে বিয়ে করতে চাস।

-“হ্যা বলেছিলাম আদিবার সাথে রাগ করে আমি বিয়েটা করতে চাচ্ছি কিন্তু পরে ভেবে দেখলাম আমি আদিবার সাথে যেটা করছি সেটা একপাক্ষিক। আদিবাকে আমি পছন্দ করলেও আদিবা আমাকে মনে প্রাণে অপছন্দ করে।এতে ওর দোষ নেই আমি ওর সাথে যেমন ব্যবহার করি তাতে অপছন্দ করারেই কথা। স্বাভাবিক দৃষ্টিতে দেখলে আমার সাদিয়াকে নয় আদিবাকে বিয়ে করা উচিত কিন্তু সবাই একবার ভাল করে ভেবে দেখো আদিবা কি আমার সাথে সুখি হবে..? হবে না যে হিসেব নয়েতে মিলেনি সেটা নব্বইতেও মিলবে না।আমাদের মাঝে কখনই সুসম্পর্ক ছিল না সবসময় ঝগড়া মা*রামা*রির সম্পর্ক ছিল। আমি যা যা করেছি তার জন্য আদিবা আমাকে মনে প্রাণে অপছন্দ করে। দোষটা আমার হলেও বিয়ের মত সম্পর্কে দুজনের মত থাকা দরকার আমাদের ক্ষেত্রে সেটা নেই। তাছাড়া আদিবা আমার চেয়ে মাত্র একবছরের ছোট তাই দুজনের ম্যান্টালিটি একই রকম কেউ কারো জন্য সেক্রিফাইস করতে পারি না। অন্যদিকে সাদিয়ার সাথে আমার বয়সের গ্যাপ স্ট্যান্ডার্ড মানের তাই আমাদের বন্ডিংটা ভাল হবে আমার মনে হয়। তাছাড়া আদিবা পড়াশোনা করেনি ও বিদেশে গেলেই বা কি হবে.? ওর পক্ষে নিজের পায়ে দাঁড়ানো সম্ভব?

আদির শেষ প্রশ্নটা যেন তীরের মত বিঁধল আদিবার বুকে। আদিবা চোখ তুলে তাকাল আদির দিকে। সাথে সাথেই আদি বলে উঠল,
-“আই এম সরি আদিবা আমি তোকে হার্ট করতে চাই নি কিন্তু যা সত্যি সেটা তো বদলানো সম্ভব না তাই না? যাইহোক আমার যা যা বলার ছিল বলেছি এবার তোমাদের সিধান্ত তোমরা যদি মনে কর
এই বিয়ে হওয়ার দরকার নেই আমি জোর করব না।
তবে বল্লেই বিদেশে সিটিজেন হওয়া যায় না এই ব্যাপারটা মাথায় রেখো। অন্যকাউকে বিয়ে করে নিয়ে গেলে এই সুযোগটা সে পাবে কিন্তু আমি চাই যার সত্যিই সুযোগটা দরকার সেই পাক। কাকিয়া আর কত অন্যের আশ্রয়ে বাঁচবে..? আমাকে পরে সিধান্ত টা জানিয়ে দিও। বলে আদি নিজের ঘরে চলে গেল। আদির বাবা মা সহ বাসার সবাই আদিবার দিকে তাকিয়ে আছে। আদির কথায় আদিবার যথেষ্ট খারাল লেগেছে কিন্তু সেটা প্রকাশের সুযোগ আজ নেই। আদি তার পরিবারের কথা ভেবেছে এই অনেক। তাছাড়া ভুল তো কিছু বলে নি নিজের পরিবারের দায়িত্ব নেয়ার ক্ষমতা তার নেই তাই এই বিয়েতে আপত্তি জানিয়ে সবার ক্ষতি করার মানে হয় না।

কেউ কিছু বলার আগেই আদিবা বলে উঠল,
-“মা আমার মনে হয় এই বিয়েতে সবারেই ভাল হবে..

আদিবার কথায় সাদিয়া অবাক হয়ে বলল,
-“তুই এসব কি বলছিস আপু..?

-“কেন ভাইয়া কি ছেলে হিসেবে খারাপ? উনি সবার ভালর কথা ভেবেই সিধান্ত নিয়েছেন। তাছাড়া তুই যে কারনে আপত্তি করছিস সেটাও ভিত্তিহীন আমার সাথে ভাইয়ার প্রেমের সম্পর্ক কোনদিনি ছিল না। আমার প্রতি উনার যেটা ছিল সেটাকে মোহ বলে। মোহ কেটে গিয়েছে।

বলেই আদিবা উঠে গেল। এদের দুজনের কাহিনি কারোরেই মাথায় ঢুকে নি। আদিবা সোজা আদির ঘরে গেল।

-“আসব…?

আদিবার কন্ঠ শোনে আদি পিছন ঘুরে জবাব দিল,

-“অনুমতি নেওয়া শুরু করলেন কবে থেকে.?

-“ছোটবোনের বরের ঘরে তো হুটহাট ঢুকে পড়া যায় না তাই জিজ্ঞাসা করলাম আসব কি?

-“আসুন…

-“কয়েকটা কথা বলার ছিল

-“কারন ছাড়া আপনি আমার কাছে আসবেন না জানি বলুন কি বলবেন।

-“আপনার কথায় বুঝলাম বিয়ের ব্যাপারে আপনি সিরিয়াস তাই বড় বোন হিসেবে কথা বলতে এসেছি।

-“তারমানে এই বিয়েতে আপনার কোন আপত্তি নেই?

-“আমার আপত্তি থাকবে কেন?

-“সত্যিই নেই?

-“অবশ্যই না বরং আমি খুশি হয়েছি আপনি আমাদের কথা এত ভেবেছেন।

-“তুই ভাঙবি তবুও মচকাবি না তাই না?
(মনে মনে)

-“কী বিড়বিড় কর করছেন? যেটা বলতে এসেছি আপনার যেহেতু বিয়ে ঠিক হয়েছে তাই আশা করব বন্ধ দরজার ঘটনাগুলোকে বাইরে নিয়ে যাবেন না।আমাদের মাঝে যা কিছু হয়েছে সব ভুলে সাদিয়াকে আপন করে নিবেন।

-“ওহ তাই নাকি শালিকা..কিন্তু আপনি আমার শালী মানে তো আপনি আমার অর্ধেক ঘরওয়ালি।

-“আপনি হয়ত ভুলে যাচ্ছেন আমি সাদিয়ার ছোট নই বড় বোন।আমি কোন এংগেল থেকে আপনার শালী হলাম? আমি সম্পর্কে আপনার বড় বোন হতে চলেছি এবার থেকে সম্মানের চোখে তাকালে খুশি হব।

-“আমি বদলে গেলে তোর আফসোস হবে না?

-“আফসোস হবে কেন? বরং খুশি হব।

-“তুই সত্যিই খুশি হয়েছিস ?

-“ভীষন…মনে হচ্ছে বুকের উপড় থেকে ভারী বোঝা নেমে গেল। আপনার কুনজর থেকে মুক্তি পেয়েছি মানে বুঝতে পাচ্ছেন কতটা লাকি আমি?

-“এই মুহুর্তে আমার চোখের সামনে বিদায় হ.. তোর কথা শুনে মেজাজ গরম হয়ে যাচ্ছে।

-“খারাপ কিছু বলেছি?

-“আদিবা মার খাওয়ার আগে প্লিজ বেরিয়ে যা…

আদিবা আর কিছু না বলে বেরিয়ে আসল। আদিবা ঘরে ঢুকার কিছুক্ষন পরেই জুই সেখানে আসল,
-“আপু আসব..?

-“এসো…

জুই এসে আদিবার পাশে বসল।
-“আপু যদি কিছু মনে না করো কয়কটা কথা বলতে চাই…

-“বলো..কি বলতে চাও।

-“জানি না ভাইয়ার সাথে তোমার কি হয়েছে কিন্তু জীবনটা ছেলে খেলা নয়। রাগ অভিমানে এত বড় সিধান্ত নিও না প্লিজ। একটা বার চেষ্টা করে দেখবে প্লিজ..

-“জুই তুমি ভুল করছো আমি সেই দলের নই যে নিজের অক্ষমতা স্বীকার করতে জানে না। আমি ভাইয়ার সমবয়সী আর ছেলেরা সমবয়সী মেয়েদের তেমন পছন্দ করে না সব ছেলেই চায় তার বউয়ের বয়স কম হোক।তাছাড়া আমি পড়াশোনা করিনি আমাকে সমাজে পরিচয় দিতে উনার লজ্জা হবে। আমি চাইলেই আমার বয়স কমাতে পারব না আর পড়াশোনাও শুরু করতে পারব না তাই এই চেষ্টা না করাই ভাল। যেখানে ভাইয়া আমাদের পরিবারের কথা ভাবছে সেখানে আপত্তি জানানোর প্রশ্নই উঠে না।

আদি আর আদিবা কথা বলছে এর মধ্যেই আদির গলা ভেসে আসল।

-” জুই এখনী একবাত নিচে আয় সাথে মহারানীকেও নিয়ে আসিস

আদির কথা শুনে জুই আদিবাকে প্রশ্ন করল
-‘ভাইয়া হটাৎ ডাকছে কেন তাও তোমাকে মহারানী বলছে কেন আপু..?

-আগের অপমানে হয়ত পোষায় নি তাই আবার করবেন বলে ডাকছেন যাইহোক চল দেখে আসি।

জুই আর আদিবা নিচে নামতে নামতে দেখল আদি রেডি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। জুই বলল,
-“ভাইয়া কোথায় যাচ্ছো..?

আদি আদিবার দিকে তাকিয়ে জবাব দিল।
-“বাড়িতে বিয়ে আর এখনো শপিং করব না? সামনের সপ্তাহেই আমাদের বিয়ে তাই শপিং এ যাচ্ছি।

আদিবা রিয়েক্ট না করে শান্ত গলায় বলল
-“খুব ভাল কথা যান আমাকে ডাকছেন কেন? তাও উল্টা পাল্টা নামে?

-“তো আমার কি বলা উচিত ছিল শালিকা..?

-“সাবধান আমার সাথে লাগতে আসবেন না। এখন থেকে আমাকে আপু বলে ডাকবেন।

-“তাই নাকি শালিকা আপু..?

-“একটা মানুষ এত নির্লজ্জ হতে পারে আমি সত্যিই জানি না।

-“আজেবাজে কথা রেখে আসুন। বিয়ের শপিং করতে যাব।

-“আমি যাব কোন দুঃখে?

-“আপনি পাত্রী পক্ষের গার্জিয়ান আপনি না গেলে হবে? চলুন চলুন…

আদিবাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে হাত ধরে টেনে নিয়ে গেল আদি। গাড়িতে অরিন আর সাদিয়া বসে আছে আদি গিয়েই বলল

-“সবাই রেডি তাহলে এখন যাওয়া যাক…

সাথে সাথে আদিবা উল্টো ঘুরে হাঁটা দিল। পিছন থেকে আদি বলে উঠল

-“তাহলে কী ধরে নিব আপনি আমাদের বিয়েটা মেনে নিতে পারছেন না?

আদিবা ভ্রু কুচকে তাকাল।

-“মানে কী…?

-“আপনার হিংসে হচ্ছে তাই মার্কেটিং এ যেতে চাইছেন না।

আদিবা আদির দিকে চোখ গরম করে একবার তাকিয়ে ধমকে বলে উঠল

-“সাদিয়া সামনে গিয়ে বস বলেই গাড়ির দরজা খোলে পিছনে বসে পড়ল…আদির বাচ্চা আজ তোর শপিং করার শখ আমি মিটাব।( মনে মনে)

দেখতে দেখতে গাড়ি এসে থামল শপিং সেন্টারের সামনে।ঢুকতে ঢুকতে আদি বলল,

-“সাদিয়া যা যা পছন্দ হবে সব নিবি..

সাদিয়া মাথা নেড়ে ভিতরে গেল। সাদিয়া ঘুরে ঘুরে জিনিসপত্র কিনছে আদি সবাইকে শপিং করতে বলেছে তাই অরিন আর জুই ও ঘুরে ঘুরে সব দেখছে।শুধু আদিবা দাঁড়িয়ে আছে।

-“শালিকা যান আপনিও কিছু কিনুন আমার একমাত্র বড় শালী বলে কথা।

আদিবা আদির কথাকে গুরুত্ব দিল না চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে এরমধ্যেই সাদিয়া বলল তার সব পছন্দ করা হয়ে গিয়েছে আদি বিল দিতে যাবে তার মধ্যেই আদিবা গিয়ে সাদিয়ার হাত ধরে অলংকারের সেকশনে নিয়ে গেল।

-“বোকার মত কাপড় নিয়ে চলে যাচ্ছিস কেন? বিদেশ ফিরত ছেলেকে বিয়ে করছিস অলংকার না নিলে হয়? আংকেল এক্সপেন্সিভ দু সেট ব্রাইডাল সেট দিন তো…

দোকানদার এগিয়ে দিতেই সাদিয়া বলে উঠল,
-“আপু কি করছো এগুলো তো অনেক দাম।

আদিবা আদির দিকে তাকিয়ে শয়তানি হাসি দিয়ে বলল,
-“তাতে কী? তোর বর অনেক বড় লোক মানুষ তাছাড়া শপিং এ বড়বোনকে নিয়ে এসেছে একটু খরচ তো করতেই হবে।বড় বোন তো ছোট বোনকে ঠকতে দিবে না।

আদিবার পাল্লায় পরে বেশ মোটা অংকের টাকা খরচ হল কারন সে সাদিয়ার পছন্দের সব কিছু কিনতে দেয় নি সব নিজের পছন্দে কিনেছে।আর সবকিছুই দামি দামি নিয়েছে।

শপিং শেষে সবাই মিলে বাসায় ফিরে আসল,নাহ এত টাকা নষ্ট করেও আদিকে শাস্তি দেয়া গেল না।কিন্তু আদিবা থামল না নানান রকম পরিকল্পনা করতে লাগল কি করে আদিকে উচিত শিক্ষা দেয়া যায়…



চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here