ভালোবাসার রংমশাল পর্ব-০২

#ভালোবাসার রংমশাল
#পর্ব-২
#সিফাতী সাদিকা সিতু

শান্তা প্রচন্ড রাগে ফুঁসছে। মনের ভেতরটা পুড়ে যাচ্ছে। সাম্য কিভাবে পারলো নিঝুমকে বিয়ে করতে!সাম্য কি তার মনের আকুলতা কখনো বোঝেনি?কেঁদে ফেললো সে।বেড সাইড টেবিলের সমস্ত জিনিসপত্র আছাড় মেরে দিলো মেঝেতে। নিঝুম এতো খারাপ!শেষ পর্যন্ত সাম্যকেও কেড়ে নিলো!তার সমস্ত ভালোবাসা আজ হেরে গেলো।সাম্যকে ছাড়া কিভাবে বাঁচবে সে।কতটা ভালোবাসে সে সাম্যকে তা কি সাম্য জানতে পারবে না কখনো?সাম্যকে শুধু বন্ধু হিসেবে নয় ওর জীবনসঙ্গিনী হতে চায় সে।তার বেঁচে থাকার মানেটাই শেষ হয়ে গেলো।এবার চিৎকার করে কেঁদে উঠলো সে। শান্তার বাবা মা দৌড়ে আসলেন। দরজা ভেতর থেকে বন্ধ থাকায় তারা ভিতরে ঢুকতে পারলেন না।বাইরে থেকে ডাকতে লাগলেন।এমন সময় সাম্য এসে বললো,আঙ্কেল আমি দেখছি আপনারা একটু ভিতরে যান।
শান্তার মা বাবা জানে সাম্যকে দেখলেই শান্তা ঠিক বের হবে।তারা নিজেদের ঘরে চলে গেলো।
ছোট থেকে শান্তাকে খুব বেশি আদর দিয়েছেন তারা।একমাত্র মেয়ে বলে কখনো শাসন করেন নি। মেয়ের কষ্ট দেখলে তারা ভেঙে পরেন।

সাম্য রেগে বললো,শান্তা দরজা খোল।তোর নাটক দেখার সময় আমার নাই।রাফাত,আরিফ অপেক্ষা করছে।
সাম্য কন্ঠ পেয়ে রেগে দরজা খুললো শান্তা কিন্তু রাগ দেখানোর বদলে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো।

সাম্য শান্তার মাথায় আলতো ভাবে হাত রাখলো।কোমল গলায় বললো,কাঁদছিস কেন পাগলি?কষ্ট কি শুধু তোর হচ্ছে? মারুফ তো আমাদেরও বন্ধু ছিলো।
শান্তা দুচোখ ভর্তি জল নিয়ে সাম্যর দিকে তাকালো।সাম্য আজও বুঝলো না, সে মারুফের জন্য নয় নিজের ভালোবাসা হারিয়ে যাওয়ার কষ্টে কাঁদছে!একতরফা ভালোবাসা কি সবসময় এতো নির্মম হয়?

শাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে বিরতিহীন ভাবে ভিজছে নিঝুম।সমস্ত কষ্ট, গ্লানি ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করতে চাইছে। সাম্যর করা প্রতিটি আচরণ তার মনে দ্বিগুণ ঘৃণার সৃষ্টি করছে।নাস্তা শেষে সাম্য বেরিয়ে যাওয়ার পর সামির রহমান সবাইকে তার রুমে ডেকেছিলেন।বাড়ির সবাইকে বুঝিয়েছেন সে এখন এই বাড়ির বউ।সাম্যর সাথে তার নতুন সম্পর্কটা এগিয়ে নিতে বলেছেন সবকিছু ভুলে।যেহেতু বিয়ে হয়ে গেছে তাই স্বামী -স্ত্রীর মতো স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে হবে।কোহিনূর বেগম কোনো কথা বলেন নি।সারাটা সময় চুপ করে ছিলেন।সাম্যর বাবা বলেছেন,ভাইজান এসব কথা বলতে হবে কেন?নিঝুমকে বউ করতে কোনো সমস্যা হবে না জন্যই বিয়েটা দিয়েছি।আমি সাম্যর সাথে কথা বলেছি ওর কোনো আপত্তি ছিলো না এতে।হয়ত এসব কিছুর জন্য প্রস্তুত ছিলাম না কেউ, তাই বলে তো বিয়েটা মিথ্যা হয়ে যাবে না।
সামির সাহেব নিঝুমের মাথায় হাত রেখে বলেছেন,”মা আমি তোমার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।যা হয়েছে তা অস্বাভাবিক কিছু নয়।তোমার মনে হবে কি বাবা থাকলে তোমার জীবনে আরো ভালো কিছু হতো?বিয়েটা মন থেকে মেনে নিয়েছ তো?”

নিঝুম শীতল গলায় বলেছিলো,”আপনার প্রতিটি সিদ্ধান্ত আমার জন্য কল্যানকর মনিবাবা। এতে আমার বিন্দুমাত্র সন্দেহ থাকলে আমি আপনার মেয়ে হবার যোগ্য নই।”

সামির রহমান সন্তুষ্ট হয়েছেন নিঝুমের কথায়।তাইতো নাজনীন বেগম তাদের নতুন সম্পর্কের সূচনার আয়োজনে মেতে উঠেছেন।নিঝুম সহ্য করতে পারছে না এসবকিছু। তার বিবেক,স্বচ্ছতা সব কলুষিত হচ্ছে। কাউকে বলতে পারছে না সাম্য সাথে সে কখনো নতুন জীবনের সূচনা করতে পারবে না।অপরাধ না করেও সে আজ সাম্যর কাছে ঘৃণিত।

আপু,তোমার গোসল এখনো শেষ হয়নি?
সুপ্তির কথায় নিঝুমের কোনো ভাবান্তর হলে না।সুপ্তি হাতে রাখা শাড়ি গহনা গুলো বিছানায় রেখে নিঝুমকে আরো কয়েকবার ডাক দিলো।নিঝুমের সাড়া না পেয়ে একটু ভয় পেলো।দ্রুত নাজনীন বেগমকে গিয়ে বললো,মা, আপুতো বের হয়নি এখনো ওয়াশরুম থেকে।আমি ডাকলাম কোনো সাড়া নেই।
মেয়ের কথায় নাজনীন বেগম তারাতাড়ি নিঝুমের ঘরে আসলেন।ঘরে ঢুকে দেখলেন,বিছানায় রাখা শাড়ি গহনা গুলো দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে নিঝুম। ভেজা চুলগুলো থেকে টপটপ করে পানি ঝরছে।

নাজনীন বেগম চুল গুলো মুছে দিয়ে বললেন,আমি জানি তোর মনে কি চলছে,মেয়েদের জীবনটাই এমন রে মা।যে পাত্রে রাখবে সে পাত্রের আকার ধারন করতে হয়।সাম্যকে মন থেকে মেনে নিয়ে সংসারটা শুরু কর দেখবি খুব ভালো থাকবি তুই।সাম্য অনেক ভালো ছেলে।তোকে সুখে রাখবে।

নিঝুম নিঃশব্দে চোখে মুছলো।ভেতরটা ছারখার হয়ে যাচ্ছে। মামনিকে খুব বলতে ইচ্ছে করছে, আমি সুখে থাকবো না।দুজনে দুজনকে ঘৃণা করি আমরা।কি করে সংসার করবো!সাম্য যে তাকে ভালো থাকতে দেবে না তা আজ সকালেই বুঝে গেছে। তবে এখন থেকে সে সাম্যর এসব মুখ বুঝে সহ্য করবে না।মামনি,মনিবাবাকে কিছু বলতে না পারলেও সাম্যকে সঠিক জবাব দিবেই। তার নীরবতাকে সাম্য দূর্বলতা ভেবে থাকলে খুব ভুল করবে।যে দোষ সে করেনি তার দায়ভার কেন নিবে সে?

সাম্য বাড়িতে ফিরলো রাত দশটায়।মিলাদ মাহফিল শেষ করে এতিমখানার বাচ্চাদের খাওয়াতে বিকেল হয়ে গেছে।এরপর নিজের কিছু কাজ সারতেই রাত হয়ে গেলো।বেশ ক্লান্ত লাগছে তার।তাই সোজা ঘরে ঢুকে গেলো।ঢুকেই হকচকিয়ে গেলো। একি!সারাঘর ফুল, মোমবাতি দিয়ে সাজানো কেন!এটা কি নিজের ঘরই না ভুল করে অন্য ঘরে ঢুকে গেলো। বিছানায় তাকাতেই আঁতকে উঠলো।বালিশে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে বসে আছে নিঝুম।সাম্যর মনে হলো হঠাৎ তার সব ক্লান্তি নিমিষেই দূর হয়ে গেলো। ধীর পায়ে এগিয়ে গেলো নিঝুমের কাছে।লাল শাড়িতে নতুন বউয়ের বেশে নিঝুমকে দেখে হৃদয়ে স্পন্দন বেড়ে গেছে তার। বুকের ভেতর তোলপাড় করছে।অন্য জগতে প্রবেশ করেছে যেন সে।এগিয়ে গেলো নিঝুমের আরো কাছে।নিঝুমের মুখোমুখি বসে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে দেখছে।নিঝুমের গোল মুখখানা তার কাছে পূর্ণিমার চাঁদের মতো লাগছে।লাল লিপিষ্টিকে লেপ্টে থাকা নিঝুমের ঠোঁট দুটো তার বুকের ভেতর কম্পন ধরিয়ে দিলো।এমন রূপে এতো কাছাকাছি নিঝুমকে দেখেনি এর আগে।গভীর মায়ায় ডুবে যেতে চাইছে তার মন,প্রান,শরীর সবকিছু। সাম্যর তপ্ত নিঃশ্বাস মুখের উপর পরতেই চোখ খুললো নিঝুম।সাম্যকে এতো কাছে দেখে ভয় পেলো খানিকটা। কি করবে ভেবে না পেয়ে আচমকা ধাক্কা দিলো সাম্যকে।সাম্য এতোটাই ঘোরের বসে ছিলো যে নিঝুমের ধাক্কায় টালমাটাল হয়ে বিছানায় কাত হয়ে পরে গেলো।ব্যাপার খানা বুঝতে বেশ কয়েক সেকেন্ড সময় লাগলো তার।রাগে চোয়াল শক্ত হয়ে আসলো।সোজা উঠে বসে চড় বসিয়ে দিলো নিঝুমের গালে।নিঝুম অনেক কষ্টে কান্না আটকালো।কাঁদবে না সে এই জঘন্য লোকটার সামনে।সে কিছু বলার আগেই সাম্য কর্কশ স্বরে বললো, “বেহায়া মেয়ে ঠিকি বউ সেজে চলে এসেছো আমার ঘরে।তোমাকে ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছা আমার কোনদিন হবে না?”

“আপনার মতো জঘন্য লোকের সাথে এক ঘরে থাকার ইচ্ছা আমারো কোনোকালেই হবে না।আপনি বোধহয় ভুলে গেছেন গতকাল আমাদের বিয়ে হয়েছে সেটার কারনেই আজ আমি আপনার ঘরে।”

“বিয়ে হয়ে গেছে জন্য ভেবোনা আমি সবকিছু ভুলে গেছি।তোমার মতো বহুরূপীর জালে আমি ফাঁসবো না।বেরিয়ে যাও আমার ঘর থেকে।”

“মামনি আমাকে এখানে রেখে গেছে।আজকের পর এই ঘরেই আমাকে থাকতে হবে।আপনার যদি সমস্যা হয় মামনির সাথে কথা বলেন।আমার গায়ে হাত তুলে আপনি যে নিচু মনের পরিচয় দিলেন তার জন্য একফোঁটা ইচ্ছেও নেই আপনার মুখটা দেখার।কিন্তু আমার কপালে তো সেটাই লেখা আছে।আপনার মতো কাপুরুষের সাথে বিয়ে হওয়াটা আমার কপালেই ছিলো।”

সাম্য অবাক হয়েছে নিঝুমের এমন জবাবে। সেই সাথে প্রচন্ড রাগে ফেটে পরলো সে। দুহাতে নিঝুমের গাল চেপে ধরলো সে,”এই মেয়ে কাকে তুমি কাপুরুষ বলো?তোমাকে যে মেরে এখনো পুতে রাখিনি তোমার কপাল ভালো।আমাদের সবার মনে যত কষ্ট তুমি দিয়েছ তা সুদে আসলে তোমাকে ফিরিয়ে দেবো। ”

“নিঝুম ঝটকা মেরে হাতটা সরিয়ে দিলো।সে আরো দ্বিগুণ পরিমাণ রাগ নিয়ে বললো,কষ্ট ছাড়া আপনার অন্যকিছু দেয়ার যোগ্যতাও নেই।আপনিও এর পর আমার গায়ে হাত তোলার আগে ভেবে নিবেন।আপনার সবকিছু আমি মুখ বুজে সহ্য করবো না।”

নিঝুম বিছানা থেকে নেমে ওয়াশরুমে ঢুকলো। গাল দুটো ব্যাথা করছে।এতো জোরে চেপে ধরেছে সাম্য যে লাল হয়ে গেছে।নিঝুম দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে নিরবে কাঁদলো। এভাবে কতদিন চলতে পারবে সে?জীবন তাকে কোন পর্যায়ে এনে দাঁড় করিয়েছে!সাম্যর প্রতি ঘৃণাটা আরো বেড়ে গেলো।চোখে মুখে বেশ কয়েকবার পানির ঝাঁপটা দিয়ে বের হলো।সাম্য ঘরে নেই।নিঝুম সোফা টুকুতে শুয়ে পরলো।একটু পরেই ঘুমিয়ে পরলো।কান্না করলেই তার ঘুম আসে দ্রুত!

সাম্য ব্যালকনিতে দাড়িয়ে নিজের ডান হাতটার দিকে তাকিয়ে আছে। মনের ভাবটুকু সে নিজেই বুঝে উঠতে পারলো না।

সকালের মিষ্টি করে রোদের আলোয় ঘুম ভেঙে গেলো সাম্যর।ইশ!জানালাটা রাতে কেন যে খুলে রেখেছে?সাম্য চোখে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে আবার ঘুমোনোর পায়তারা করলো কিন্তু দরজার বাইরে নাজনীন বেগমের গলার আওয়াজে ঝটকরে উঠে বসলো।ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলে আটটা বেজে গেছে। সর্বনাশ!নাস্তার টেবিলে এখনি যেতে হবে।

বাইরে থেকে নাজনীন বেগমের ডাক আসলো,নিঝুম, সাম্য তোরা এখনো উঠিস নাই? উনি তো তোদের জন্য অপেক্ষা করছে।

সাম্য জোরে বললো,উঠে গেছি দাঁড়াও দরজা খুলছি।সাম্য দরজার দিকে এগোতেই দাঁড়িয়ে পরলো।নিঝুম সোফায় ঘুমিয়ে আছে। বড় মাকে বুঝতে দেয়া যাবে না।সে চট করে নিঝুমকে কোলে তুলে নিয়ে বিছানায় শুয়ে দিয়ে দরজা খুললো।
নাজনীন বেগম দরজার বাইরে থেকে বললাম, এইতো উঠে পরেছিস,এখন তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে টেবিলে আয় দুজনে।বেশ দেরী করে ফেলেছিস।

নাজনীন চলে যেতে ধরলে সাম্য তাকে আটকিয়ে একরাশ অসস্তি নিয়ে বললো,বড় মা,নিঝুম এখনো উঠে নি,ওকে ডেকে তোলো।

নাজনীন বেগম হেসে বললেন, তুই ডেকে দে না,আমার অনেক কাজ আছে বাবা।

না তুমি ডেকে দাও বলে সাম্য দ্রুত ওয়াশরুমে ঢুকলো।

নাজনীন বেগম নিঝুমের পাশে এসে বসলেন,ঘুমিয়ে থাকা নিঝুমের মুখটা কি নিষ্পাপ লাগছে!তিনি আলতো ভাবে নিঝুমের মাথায় হাত রাখলেন।স্নেহের স্বরে নিঝুমকে ডাকলেন।নিঝুম ধড়মড় করে উঠে বসলো।নিজেকে সাম্যর বিছানায় দেখে অবাক হয়ে গেলো। সামনে বসা মামনিকে সে খেয়ালই করলো না।সাম্য নিশ্চয়ই তাকে বিছানায় এনেছে?কেন এনেছে তাকে?নিঝুম নিজের দিকে তাকালো।শাড়িটা কুঁচকানো হলেও ঠিকি তো আছে! একটু শান্ত হলো সে।নাজনীন বেগম এতোক্ষণ নিঝুমের কান্ড দেখে মুচকি হাসছেন।এরপর বললেন, বিয়ের পরের দিন সকালে উঠলে সব মেয়ের এমন দশাই হয়।

নিঝুম নাজনীন বেগমকে দেখে অবাক হয়ে বললো,মামনি তুমি?

হুম,আমি তো।এতো ডাকলাম ঘুম ভাঙার নাম নেই।সাম্যই তো দরজা খুলে দিলো।তুই তো এতো বেলা অব্দি ঘুমোস না?

এবার নিঝুম বুঝলো তার বিছানায় থাকার রহস্য। কিন্তু সাম্য তাকে কিভাবে এনেছে। হেঁটে নিয়ে আসে নি নিশ্চয়ই, তাহলে তার ঘুম অবশ্যই ভাঙতো।এর মানে তাকে কোলে তুলে এনেছে!ওমাগো,ছেলেটার কি স্পর্ধা!তাকে ডাকলেই তো পারতো।

কিরে এতো কি ভাবছিস?
কিছুনা মামনি।
নাজনীন বেগম নিঝুম চিবুক তুলে ধরে বললো,তাহলে নতুন জীবনের সাথে পরিচিত হয়েই গেলি?
নিঝুমের বুক ধড়াস করে উঠলো।তাকে এভাবে সাম্যর বিছানায় দেখে মামনি কি ভেবেই নিয়েছে অন্যসব স্বামী- স্ত্রী হিসেবে তাদের সম্পর্কের নতুন সূচনা হয়েছে।নিঝুমের লজ্জা থেকে রাগটা বেশি হলো।সাম্যর এমন উদ্ভট কাজের জন্য মামনি কি না কি ভেবে নিলো!

“হয়েছে আর লজ্জা পেতে হবে না।তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে আয়।”

নিঝুম হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়লো। নাজনীন বেগম চলে গেলে সে কার্বাড খুলে থ্রীপিছ বের করলো।গতকাল তার সব জিনিসপত্র মামনি আর সুপ্তি মিলে গুছিয়ে রেখেছে এই ঘরে। নিঝুম ওয়াশরুমের দরজা নক করলো কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়া পেলো না।বাধ্য হয়ে পর্দার আড়ালে এসে জামা পরলো।এরপর সুপ্তির রুমে চলে গেলো।এখন সুপ্তির ওয়াশরুমটাই ব্যবহার করতে হবে তাকে।

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here