#মেঘের আড়ালে💞
#পর্ব___০৬
#লেখিকাঃফাতেমা জোহরা নাভিলা
১৪.
ঘুমো ঘুমো চোখে উনার দিকে এক প্রকার ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছি মৃদু ফিউচ ডিম লাইট এর মতো করে।। আর উনি মহাশয় আমার দিকে কোবরা মতো বিরক্তিকর গম্ভির লুক দিয়ে আছেন।।।
.
উঠো!!
.
শুনুন না, এমন করেন কিল্লাই মাএরো তো ছয়টা বাজে আর একটু ঘুমাই। কোচিং এতো নিয়ে যাবেন সেইইই নয়টায় তাহলে সমস্যা কি আপনার?? একটু হিসহুস করেন না,,,,, এই নিরহ মেয়েটাকে দেখে কি আপনার এই পাষান দিলে মায়া টয়া হয়না,সেই মায়াতে নাহ হয় আমার উপর করুনা করেন একটু ঘুমাইতে দিন আমাকে ।।।।। (ঘুমঘুম কণ্ঠে)
.
দেখো রাগ উঠাইও না, চুপচাপ উঠে পরো ভালো ভালোই না হলে কিন্তু,,,,
.
কি???
.
তুলে এক আছাড় দিবো।।
.
আই হেভ এ এই মূহুতে গম্ভীরতম কোশেন?? (খাট থেকে নেমে) আপনাকে কি মামনি জন্মের পর মুখে মধুর যায়গায় ভুলে টুলে বাই এনি চান্স নিমপাতা রস দেয়নিতো!!(চিন্তিতো ভঙিতে)
.
হোয়াট রাবিশ।।। (রেগে)
.
তাহলে যখন তখন মুখ খুললে নিমপাতা রসকস সিংগারার মতো এতো বাজে বাজে বকেন কেন।।আর শুনুন কোচিং এ নিয়ে যাচ্ছেন সেই ভালো কথা, কিন্তু শুনে রাখুন আমি কোন ভর্তি তুর্তি হবো না,কোচিং ভবন করে এসে পরবো বাসায় বুঝছেন।।। আমার আব্বুর সাথে এইই নিয়ে বহুত আগেই ডিল কনফ্রম হয়েছে তাই এর মধ্যে আপনার এই লম্বা যুক্ত নাকটা ঢুকিয়ে অযথা বোচা করেন না।। ( ভাব নিয়ে)
.
কি কথা হয়েছিলো??? সেই যাই কথা হয়ে থাকুক না কেন তোমার আব্বুর সাথে হয়ে ছিলো আমার সাথে না তাই আমি তোমার ডিলকে বয়কট করলাম।।।। আর আমার নাক নিয়ে তোমার এতো চিন্তা না করলে ও চলবে।।
.
আপনি বয়কট করার কে??? আর করলেও আমি মানবো কেন?? শুনেন আমি আমার আব্বুর পরম আদরের মেয়ে আব্বু যাই বলবে আমি তাই করবো।।।হুহু।।।
.
তো কি করবা আমি ও একটু শুনি।(শান্ত চাহনিতে)
.
শুনুন আব্বু আমাকে বলসে নূর এই দুইটো বছর একটু কষ্ট করে পরো মা তারপর যে তিন মাস সময় পাবা খালি খাবা দাবা ঘুরবা নো পড়াটুড়া অনলি ঘুরাফিরা। তারপর রেজাল্ট দিলে প্রাইভেট ভার্সিটিতে এডমিশন করিয়ে দিবো। তাই নো প্যারা বস অনলি চিল।।। (ভাব নিয়ে)
.
“ভ্রু চুল্কে তা এই ডিলটা শশুড় মশায় কবে করছিলো তোমার সাথে!!”
“সেকেন্ড ইয়ারে থাকতে কেন বলুন তো?”
অহহ তাহলে তো তখন তুমি তোমার বাবার পররররররম আদরের মেয়ে ছিলা। (চিন্তিতো সুরে)আর এখন তো তোমার ভাষায় বলতে গেলে এই সাইকো আই মিন আমার বউ তো তোমার কি মনে হয়!!তোমার এতো সুখ আদৌঁ আমার সহ্য হইবো?? মাইর খাইতে না চাইলে জলদি করে রেডি হও নূর।।। (রাগিতো সুরে) তখন তুমি তোমার বাবা মেয়ে ছিলা আর এখন আমার ওয়াইফ আমার responsibility তাই এখন থেকে এইমূহুতে আমি যা বলবো তা তুমি শুনতে মানতে করতে বাধ্য।।।।।
.
আপনি আমাকে মারবেন!! (কাঁদোকাঁদো হয়ে)
.
আলবাদ।।কোনো ডাউট আছে!!
.
নাহ আপনার উপর নো ডাউট সাউট (আলমারি থেকে কাপড় নিতে নিতে) কাপড় নিয়ে গুরে ইয়াদ এর দিকে কপাল নাক ফুলিয়ে,,,,,, কেয়া কারু মে মার যায়ু মেরি কয়ি ফিলিং নেহি হ্যা সাধা ফিলিংস ফিলিং মেরা ফিলিং ডোরেমন মুখ ভেঙচি দিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো নূর।
.
নূর এর যাওয়ার পর নূরের কথা বলার রিয়েকশন দেখে ইয়াদ খিল খিল করে হাসছে চোখের কোণায় তার পানি এসে জমে গেছে তার হাসির ফলে।।।।। নূর থাকলে হয়তো ইয়াদ এর সেই মুগ্ধ করা হাসিটা দেখতে পারতো।। কিন্তু দরজার বাহিরে দাঁড়িয়ে ইশারা আর ইরফান সেই হাসি অপলক ভাবে দেখছে।। ইরফানের চোখে পানি।।। বাবা ঠিকই বলেছে ইশারা আমার শালি সাহেবা পারবে ভাইকে আগের মতো করে স্বাভাবিক করে তুলতে আজ কতোদিন পর ভাই এভাবে মন খুলে হাসলো।।
.
ইনশাল্লাহ (ইরফানের কাধে হাত দিয়ে)
১৫.
বিকাল চারটায়,,,,,,,,
কিরে নাত বউ মুখখান এমন পেঁচার মতো ফুলাইয়া রাখসোত কে??? জামাই বুজি আদর কম দিয়ে ফেলছে আজ।(দাত কেলিয়ে) আর এই বুড়ির ঘরে এই তোর আসার সময় হলো।(অভিমান এর সুরে)
.
রাখো তোমার আদর সাদর আগে আমাকে একটা কথা বলো তো??(খাটে বসতে বসতে)
.
কি কথা নূর মামনি আর এতো রাগ হঠাৎ কার উপর। (ভ্রু নাচিয়ে জিজ্ঞাস করলো )
.
ওই তো মামনিও এসে পরছে,,,, আচ্ছা মামনি তুমি বাবা দাদিমা ইরা জিজু আমার অতি মাএরার প্রান প্রিয় রসগোল্লা মতো অতিয়য়য়য়য় লেভেল এর সুইট তাহলে এই আতো আতো অতির মধ্যেই এই ওয়ান পিস চিরতা আর নিমপাতা মিশিতো জুস মিস্কাশয়তান আসলো কিভাবে??(দুঃখী দুঃখী সুরে)
মানে!!!
মানে তোমার গুনোধর হোলা কথা বলছি( গাল ফুলিয়ে)
.
তোর মাথায় এই আজগুবি কথা বার্তা আসে কোথা থেকে রে মামানি। আমার ছেলে ও তোর ভাষায় অতি মাএরায় ভালো সুধু সময় ব্যবধানে একটু পরিবর্তন হয়েছে। (দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে)
.
কঁচু।।।।
.
ইয়াদঃ কোথায় থেকে আর আসবে খালি মাথায় শয়তান এত কারখানা বুঝসো আম্মু। এই আজগুবি কারখানা থেকেই সব আসে।।।(দরজার বাহিরে পকেটে হাত ঢুকিয়ে দাঁড়িয়ে বলল)
.
এইইইইই আপনি আমাকে কি বললেন,,,, (ইয়াদ এর সামনে গিয়ে কোমরে দুই হাত গুঁজে ) শয়তান এর কারখানা বললেন দেখসো মামনি কতোটা বড্ড তোমার ছেলে।।।।রাগিতো সুরে।আর কেউর পারমিশন ছাড়া এভাবে পিছে দাঁড়িয়ে খরগোশ এর মতো কান খাড়া করে কথা শুনা যে বেড ম্যানাস আপিনি জানেন না!!!!
.
দেখা দেখি বাদ এখন চলো।। হাত টেনে।।
.
এইইই কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আমাকে মেরে টেরে ফেলার কোনো নিয়তফিয়ত নেই তো আপনার। অভস্য থাকতেই পারে আপনার যে,,,,,
.
জাস্ট সাটঅাপ।।।। চিল্লিয়ে।
.
বললেই হলো আর আপনি আমাকে স্ট্রেডি রুমে কেন নিয়ে আসলেন।।।।। এনি কে ভ্রু-কুঁচকে??? (সামনের দিকে ইশারা করে)
.
মিট রাহাত আমার কলেজ ফ্রেন্ড আর রাহাত ও নূর যার কথা বলেছিলাম তোকে। আর নূর এই হলো তোমার হোমটিউটর।।
.
হোয়াট।।।।।চিল্লিয়ে।
.
কানে দুই হাত দিয়ে এখন থেকে নো আড্ডাবাজি অনলি পড়া বিড়িংবিড়িং থেকে তিড়িং ফিড়িং হলে ঠান্ডাবাজি,,,,,,,,,,
চলবে,,,,,,,
[ভুলগুলো ক্ষমার চোখে দেখবেন আসা করি। আসলে আজ সারাদিন ভোটার আইডি কার্ড ঝামেলা যুক্ত কাজে একটু ব্যস্ত ছিলাম। অইখান থেকে এসে এই ১ ঘন্টার মধ্যে কি লিখসি আমি নিজেও জানিনা। হয়তো আজকের পার্ট তেমন ভালো দিতে পারিনি আপনাদের আমি দুঃখীত,, কালকের পর্ব বা পরে পর্ব মধ্যে ইয়াদ সম্পকে জানতে পারবেন ইনশাল্লাহ ]