যদি সত্যি টা জানতে
লেখকঃ আবু সাঈদ সরকার
পর্বঃ ২
সাঈদঃ হঠাৎ আমার সামনে এমন একটা মেয়েকে নিয়ে আসলো যার উপর প্রতিদিন রাস্তায় Crush খেতাম….
।
পরে বুঝতে পারলাম এই মেয়ের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছে…
।
তার পর বিদায় দিয়ে দিলো এভাবেই দিন পর দিন পেরিয়ে গেলো তার পরে তুমি হলে যখন তোমার বয়স ১ বছর ২ মাস ৪ তখন হঠাৎ ওই দিন…
তুমি এটা কীভাবে করতে পারলে ছিঃ আমার তো ভাবতেই তোমার উপর ঘেন্না চলে আসতেছে শেষে কী না তুমি আমার বোনের এমন সর্বনাশ টা করলে
।
সাঈদঃ পাগল হয়ে গেছো নাকি বাপের বাড়ি থেকে এসেই কী মাথা নষ্ট হয়ে গেছে নাকি আমি কী করলাম তোমার বোনের..?
।
।
আদ্রিতাঃ না বোঝার ঢং করার হচ্ছে এই নাও তোমার মেয়েকে আর আজ থেকে আমাদের সম্পর্ক এখান থেকেই শেষ…
।
সাঈদঃ What কী বলছো আদ্রিতা তুমি এসব….
।
চিৎকার চেচামেচি শুনে মা বাবা বাইরে বেড়িয়ে আসছে…
।
বাবাঃ কী হয়েছে বউমা…
।
আদ্রিতাঃ বাবা আপনার ছেলে আমার বোনের সাথে জোর জোবস্তি করেছে আমি নিজের চোখের দেখছি…
।
যার ঘরে বউ বাচ্চা থেকেও এমন করে তার সঙ্গে সংসার করা আমার পক্ষে সম্ভব না আপনার নাতনি কে দিয়ে গেলাম বললেই চলে আসলাম….
।
।
বাবাঃ ছি তোকে আমার ছেলে বলে পরিচয় দিতে লজ্জা আসছে তোর মেয়েকে নিয়ে এখনি এই বাড়ি থেকে চলে যা
।
।
সাঈদঃ বাবা বিশ্বাস করো আমি কিছু করি নি…
।
মা তুমি তো চিনো আমাকে তুমিও এই কথা বলো না…
।
।
বাবাঃ বেড়িয়ে যা এই বাড়ি থেকে…
।
সাঈদঃ সেদিন তোকে নিয়ে বাসা থেকে বেড়িয়ে পড়েছিলাম ওই সমাজ তোকে স্বাধীন শান্তিতে বাচতে দিবে না তাই চাকরির সুবাদে আমেরিকায় চলে আসছি…
।
আমি প্রতি নিয়ত আদ্রিতাকে ভুলে থাকতে চাই কিন্তু তোর জন্য ভুলতে পারি না…
।
।
তাসফিয়াঃ sorry abbu আমি বুঝতে পারি নি তোমার খুব কষ্ট হইছিলো ওই দিন ওমন আম্মু আমার দরকার নেই আমার তুমি থাকলেই চলবে আমি কখনো তোমাকে এই কথা বলবো না….
।
।৷
।
।
অন্য দিকে…
।
আদ্রিতাঃ প্রতি টা দিন পাগলের মতো পুরো শহরটা তন্ন তন্ন করে খুজে বেড়াচ্ছি কিন্তু কোথাও ওনার সন্ধান পাচ্ছি না দশটা বছর কেটে গেছে হয়তো এত দিনে বিয়ে করেছে আরেকটা জানি আমার মেয়েটা কী অবস্থায় আছে….
।
।
এভাবে দেখতে দেখতে আরো একটা বছর কেটে গেলো কিন্তু কোথাও সাঈদ নামের নাম গন্ধ খুজে পেলাম না….
।
।
।
।
অন্য দিকে…
।
সাঈদঃ জ্বী স্যার বলুন…
।
স্যারঃ আমাদের কোম্পানির আরেকটা শাখা বাংলাদেশ খোলা হচ্ছে তোমাকে বাংলাদেশ যেতে হবে দুদিন বাদ এই নাও তোমার আর তোমার মেয়ের ভিসা…
।
।
সাঈদঃ জ্বী স্যার আমি যাবো…
।
।
আদ্রিতাঃ বাবা পরশু দিন একটা চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যাবো শেষ বয়সে আমি যেনো আপনাদের পাশে দাড়াতে পারি শুনলাম আমেরিকা থেকে একজন আসবে ইন্টারভিউ নিতে মোট ২৫ জন কে নেওয়া হবে যদি চাকরিটা হয়ে যায় আমাদের তাহলে সব দুঃখ কষ্ট মুছে যাবে…
।
।।
।
।
সাঈদঃ তাসফিয়া আমরা বাংলাদেশে যাচ্ছি পরশু দিন…
।
তাসফিয়াঃ কেনো আব্বু…
।
সাঈদঃ দশ দিনের জন্য সেখানেই তো আমার জন্ম হয়েছিলো…
।
।
তাসফিয়াঃ আব্বু একটা কথা বলবো…
।
সাঈদঃ হুম বলো…
।
তাসফিয়াঃ বাংলাদেশ গেলে দাদু দাদির সঙ্গে দেখা করবা একবার প্লিজ না করো না…
।
।
সাঈদঃ আচ্ছা আমি যাবো না কিন্তু তোমার সঙ্গে অন্য কাউকে পাঠায় দিবো ঠিক আছে…
।
তাসফিয়াঃ ঠিক আছে…
।
।
।
তার পর এলো সেই দিন রাত এর ফ্লাইট করে পরের দিন সকাল বেলা পৌঁছে গেলাম বাংলাদেশ….
।
।
অফিস থেকে একটা রুম বুক করে দিয়েছে ওখানে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে ঘুমাতে যাবো ওমনি…
।
।
তাসিফয়াঃ আব্বু যাবো দাদু সাথে দেখা করতে…
।
সাঈদঃ দ্বারাও আমার কথা জিজ্ঞেস করলে বলবে আমি মরে গেছি ঠিক আছে…
।
একজন কর্মচারীকে সঙ্গে পাঠিয়ে দিলাম….
।
।
।
তাসফিয়াঃ এক ঘন্টার মতো লাগলো আসতে..
।
কর্মচারী টাঃ ওই যে ওই বাসা টা আমি বাইরে আছি…
।
।
তাসফিয়াঃ ওকে…
।
এগিয়ে গিয়ে কলিং বেলটা বাজাতেই…
।
একজন মহিলা এসে দরজাটা খুলে দিলো…
।
আদ্রিতাঃ এত ফুটফুটে পরীর মতো মেয়ে দরজার সামনে…
।
কে তুমি…
।
।
তাসফিয়াঃ আমার নাম তাসফিয়া আমি মিঃ আসাদ সঙ্গে দেখা করতে আসছি…
।
আদ্রিতাঃ ও বাবা ভিতরে আছে তুমি ভিতরে আসো…
।
।
তাসফিয়াঃ ভিতের এসে…
।
আদ্রিতাঃ বাবা এই মেয়েটা আপনার সঙ্গে দেখা করতে আসছে ( কেনো যানি মেয়েটাকে দেখার পর মন টা ছটফট করছে মনে হচ্ছে খুব কাছের কেউ কেনো এমনটা মনে হচ্ছে )
।
।
।
বাবাঃ হ্যা বলো মা কে তুমি…
।
তাসফিয়াঃ বলতে যেও বললাম না আমি এ পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম তো অনেক পিপাসা পাইছে তাই পানি খেতে চলে আসলাম…
।
।
বাবাঃ বাবা ও বসো…
।
বউমা এক গ্লাস পানি নিয়ে আসো তো…
।
তাসফিয়াঃ এই তাহলে আমার দাদু দাদি..
।
।
বাবাঃ আমারো এত দিন তোমার মতো একটা নাতনি থাকতো কিন্তু একটা ভুলের জন্য আজ আমার কাছ থেকে অনেক দুর…
।
।
তাসফিয়াঃ আমি সব জানি দাদু ( মনে মনে) পানি খেয়ে আচ্ছা আসি তাহলে…
।
।
আসতে আসতে…
।
বাবাঃ একলা যেতে পারবে..
।
তাসফিয়াঃ হ্যা…
।
বাবাঃ তোমার বাবার নাম কী…
।
।
তাসফিয়াঃ সাঈদ এই রে মুখ ফসকে বেড়িয়ে পড়লো..
।
।
বাবাঃ কীহ বললে আমি কেনো সাঈদ শুনতে পাইলাম…
।
।
।
।
।
তাসফিয়াঃ তার পরে ওখান থেকে চলে আসলাম এসেই…
।
।
সাঈদঃ তাসফিয়া কিছু বলেছিলো আমার বেপার এ..
।
তাসফিয়াঃ নাহ আব্বু আমি আমার পরিচয় দেই নি..
।
সাঈদঃ গুড চল আমার সঙ্গে তার পর তাসফিয়া কে সঙ্গে করে ইন্টারভিউ নিতে চলে আসলাম…
।
।
আদ্রিতাঃ যাই মা দোয়া করবেন..
।
মাঃ আমার দোয়া সব সময় তোমার সঙ্গে আছে…
।
।
সাঈদঃ নয় জনের ইন্টারভিউ নেওয়ার পর বুঝতে পারলাম সবারি কাজের ধারণা আছে নাম্বার দশ যখম রুমে আসলো…
।
।
মেয়েটাঃ স্যার may i coming…
.
।
সাঈদঃ সাঈদ yes Coming…
.।
।
সামনে তাকাতেই নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছি আমার সামনে আদ্রিতা দাঁড়িয়ে আছে…
।
।
আদ্রিতাঃ হঠাৎ এক দমকা হাওয়াই সব বদলে গেলো আমি কী দেখছি এটা / এটা সত্যি নাকি কোনো স্বপ্ন
।
।
।
চলবে ❤️