রংধনুর রঙ কালো পর্ব ৩৬

#রংধনুর_রঙ_কালো
৩৬.

এ পর্যায়ে হু হু করে এক নিশ্বাসে কেঁদে উঠলো শ্যানিন। এতোক্ষণ তার কান্নাটা ছিল শব্দহীন। এখন প্রায় গর্জন করে কাঁদছে। ইলহান কাকে খুন করেছিল অরিন এই প্রশ্ন করা মাত্রই শুরু হয়েছে শ্যানিনের বাঁধভাঙা কান্নার জোয়ার। অরিন কিছু বুঝে উঠতে পারছে না। শ্যানিনের দুই বাহু চেপে ধরে রাখল।

কানাডায় পড়াশুনা করার সময় শ্যানিনের এক কানাডিয়ানের সাথে রিলেশন হয়েছিল। ছেলেটার নাম ছিল ফ্লিন্ট। এ সম্পর্কে অরিন পাঁচবছর আগে জেনেছিল কিছুটা। শ্যানিন একবার ভিডিওকলে অরিনকে বলেছিল ফ্লিন্টের ব্যাপারে। অরিন ছবি দেখেছিল ফ্লিন্টের। হোস্টেলে থাকা অবস্থায় একটি মেয়ের সাথে শ্যানিনের অনেক ঝগড়া হয়। শ্যানিন এমনিতেই কিছুটা রগচটা আর বোকা স্বভাবের। অতি সহজেই রেগে যায় আর হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। হোস্টেল থেকে শ্যানিনকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। মেয়েটাই ষড়যন্ত্র করে শ্যানিনকে বের করার ব্যবস্থা করেছিল। সেদিন ফ্লিন্টের বাসায় যাওয়া ছাড়া শ্যানিনের আর কোনো উপায় ছিল না। কারণ কানাডায় শ্যানিনের পরিচিত বলতে একমাত্র ফ্লিন্ট। যে ভালোবাসার অধিকারে শ্যানিনের সবচেয়ে আপনজনও বটে। ফ্লিন্ট তার ফ্ল্যাটে একাই থাকতো। শ্যানিন যাওয়ার পর ওরা একই ফ্ল্যাটে কিন্তু আলাদা রুমে বসবাস শুরু করে। ফ্লিন্ট নিজেই রিকোয়েস্ট করেছিল যাতে শ্যানিন ওর সাথে থাকে। কিন্তু শ্যানিন চেয়েছিল আলাদা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকবে। ফ্লিন্ট সেটা হতে দেয়নি। ভালোবাসার দোহাইয়ে শ্যানিন ফ্লিন্টের সাথেই থাকতে শুরু করে যদিও ওদের রুম আলাদা ছিল। তাদের আশেপাশে অনেক কাপল ছিল, যারা লিভ টুগেদার করতো। একই রুমে, একই বিছানায় বিয়ের আগেই। কিন্তু অরিন এ ধরণের সংস্কারে অভ্যস্ত না। সে ফ্লিন্টকে পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, বিয়ের আগে কখনও তারা কাছাকাছি আসবে না৷ ফ্লিন্ট ছিল খ্রিস্টান আর শ্যানিন মুসলিম। ওদের বিয়ে কি আদৌ সম্ভব? তাদের মিলনে বিশাল ঝড় আসতে পারে জেনেও ফ্লিন্টকে অগ্রাহ্য করতে পারেনি শ্যানিন। ছেলেটাকে ভালোবেসে বিশ্বাস করেছিল সে। কিন্তু সেই বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে ফ্লিন্ট প্রতিরাতে শ্যানিনকে গোগ্রাসে ভোগ করেছে। শ্যানিন এইসব বুঝতে পারল যখন সে এক্সিডেন্টলি প্রেগন্যান্ট হয়ে গেল। এই অপরিকল্পিত প্রেগ্ন্যাসির নিউজ শ্যানিনের পুরো জগৎ এলোমেলো করে দিয়েছিল। সেদিন রাতেই বাড়ি ফিরে শ্যানিন জানতে পারলো, ফ্লিন্ট প্রতিরাতে শ্যানিনের খাবারে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে দিতো। তারপর শ্যানিন ঘুমানোর পর ফ্লিন্ট নিজের কাজ হাসিল করতো এবং সবকিছু ভিডিও করে রাখতো। শ্যানিন সেদিন অনেক কেঁদেছিল সে। ফ্লিন্ট শ্যানিনের কনসিভ করার কথা শুনে খুশি হয়নি বরং রেগে গিয়েছিল।হুমকি দিয়েছিল যদি শ্যানিন বাচ্চা নষ্ট না করে তাহলে ফ্লিন্ট তাদের সব ভিডিও ওয়েবসাইটে ওপেন করে দিবে। শ্যানিন হুমকিতে একদম ভয় পায়নি। সম্মান, ভালোবাসা, ভরসা, সব তো আগেই চলে গেছে। নিষ্পাপ শিশুর প্রাণ কেড়ে নিয়ে খুনী সে কিছুতেই হয়নি। ফ্লিন্ট ভয়ে ছিল। এই বাচ্চা তার কুকর্মের ফল। যদি এই বাচ্চার দায়িত্ব নিতে হয়? সেই ভয়ে ফ্লিন্ট আবারও শ্যানিনের খাবারে ঔষধ মিশিয়ে বাচ্চা নষ্ট করে দেয়। পরদিন সকালেই শ্যানিনের মিসক্যারেজ হয়। তখন এমন একটা পরিস্থিতি ছিল যে শ্যানিন কাউকে কিছুই বলতে পারছিল না। সে ফ্লিন্টকে ছেড়েও যেতে পারছিল না আবার ফ্লিন্টের অত্যাচার সহ্য করে তার সঙ্গে থাকতেও পারছিল না। যদি শ্যানিন ফ্লিন্টের একটু অবাধ্য হতো তাহলেই ফ্লিন্ট হুমকি দিতো শ্যানিনের বাবা-মায়ের কাছে তাদের গোপন ভিডিও ফাঁস করে দিবে। ওইসব দেখলে তো বাবা নিশ্চিত মরে যাবে। শ্যানিনের একেকটা দিন ভয়ংকর দুঃসপ্নের মতো কাটছিল। ফ্লিন্টের চেয়ে নিকৃষ্ট আর ভয়ংকর মানুষ সে এই জগতে আর একটাও দেখেনি। ভালোবাসার মানুষের হঠাৎ এমন ভয়াবহ পরিবর্তনে শ্যানিনের জীবনটা নরক হয়ে গেছিল। ফ্লিন্ট শুধু শ্যানিনের সাথেই এতো নিষ্ঠুর ছিল তা কিন্তু না৷ সে বিদেশী সহজ-সরল আরও অনেক মেয়ের সাথে এ ধরণের গেইম খেলে। যাদের ব্লেকমেইল করা সম্ভব হয় না তাদেরকে মেরেও ফেলে। শ্যানিনের এইসব কাউকে না পারছিল বলতে আর না পারছিল সইতে। তারপর বাংলাদেশে ফিরে আসার একটা উপায় পেল। ইলহান অরিনের থেকে প্রাপ্ত ডিভোর্স পেপার নিয়ে যখন বাংলাদেশে ফিরে এলো তখন শ্যানিনকে কানাডা থেকে নিয়ে যেতে তার বড়ফুপু আর বড়ফুপুর হাসব্যান্ড এসেছিলেন। এদের সামনে ফ্লিন্ট আর শ্যানিনকে আটকে রাখতে পারেনি। শ্যানিন ভেবেছিল এইবার হয়তো সে বেঁচে যাবে। আর জীবনেও কানাডা ফিরে আসবে না। ফ্লিন্টের মুখ দেখবে না। বাড়ি ফিরে সবাইকে ফ্লিন্টের নৃশংসতার কাহিনি জানাতে নিয়েও পারেনি শ্যানিন। বাড়ির সবাই আগে থেকেই ইলহান-অরিনের ঝামেলা নিয়ে ডেস্পারেট। তাই নিজের ঝামেলার বোঝা নতুন করে পরিবারের উপর চাপিয়ে দিতে বিবেকে বাঁধছিল। দিনগুলো ভালো কাটছিল না শ্যানিনের। ভয়ংকর স্মৃতিগুলো মনে করে তার প্রতিরাতে গা শিউরে উঠতো। শারীরিক, মানসিক যত অত্যাচার সম্ভব সবই শ্যানিনের উপর করা হয়েছিল। আর শ্যানিন প্রতিবাদ করতে গেলেই অশালীন সেই ভিডিওগুলোর হুমকি দিয়ে থামিয়ে রাখা হয়েছিল তাকে। দিনগুলো খুব খারাপভাবে কাটছিল। কানাডায় থাকা অবস্থায় ফ্লিন্ট তাকে যত অত্যাচার করেছে বাংলাদেশে আসার পর সেই ভয়ংকর স্মৃতিগুলো তাকে মানসিকভাবে বিকারগস্ত করে ফেলছিল৷ তারপর একদিন হঠাৎ করেই ফ্লিন্ট বাংলাদেশে চলে এলো। শ্যানিনকে বলল দেখা করতে। কিন্তু শ্যানিন কিছুতেই যাবে না। তখন আবার সেই হুমকি। শ্যানিন এইবার সহ্য করতে না বাধ্য হলো নুসাইবাকে সবকিছু জানাতে। গভীর রাতে যখন বাবা ঘুমন্ত, পরিবেশ নীরব, তখন শ্যানিন মাকে নিজের রুমে ডেকে এনে সবকিছু জানাল। নুসাইবা এইসব শুনে রাগে-দুঃখে শ্যানিনকেই মারলেন। সে কেনো একটা অপরিচিত ছেলের সাথে ফ্ল্যাটে উঠতে গিয়েছিল? কেনো একটা খ্রিস্টান ছেলেকে ভালোবাসতে গেল সে? একদিকে নিজের ছেলের পাগলের মতো অবস্থা অন্যদিকে মেয়েটার এমন জঘন্য কাহিনি। সব মিলিয়ে নুসাইবা পাগল হয়ে যাচ্ছিলেন। মা-মেয়ে কেউই সেদিন খেয়াল করেনি শ্যানিনের দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে ইলহান সবকিছু শুনেছিল। এর কয়েকদিন পরেই ফ্লিন্টের ভয়াবহ মৃত্যুর খবর পায় শ্যানিন। ফ্লিন্ট বাংলাদেশে এসে যেই হোটেলে উঠেছিল সেই হোটেলের ছাদের সুইমিং পুলে ফ্লিন্টের হাত-পা, আর মাথা সবকিছু আলাদাভাবে ভাসতে দেখা যায়। এইরকম নৃশংস খুন ইলহান কিভাবে করেছিল সেটা এখনও রহস্য। কিন্তু খুন করার পর সে নিজেই পুলিশের কাছে নিজেকে সমর্পণ করে। ঘটনা নিয়ে তদন্ত। ইলহানই খুনী সেটা প্রমাণিত হয়। যদিও শ্যানিনদের পক্ষের উকিল মানে আমানত সাহেব অনেক চেষ্টা করেছিলেন ইলহানকে যে কোনো মূল্যে বাঁচিয়ে দিতে। এজন্য অসদুপায়ও অবলম্বন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু যেখানে ইলহান নিজেই ফ্লিন্টকে খুন করার লোমহর্ষক বর্ণনা স্বচ্ছ ও পুঙ্খানুপঙ্খভাবে পুলিশের কাছে স্বীকার করে ফেলেছে সেখানে আর কারোই তেমন কিছু করার থাকে না। এখন ইলহানের ফাঁসি মওকুফের একটাই উপায়। তাকে পাগল প্রমাণ করতে হবে। কিন্তু মানসিকভাবে দূর্বল একজন মানুষ কখনও এতো ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা করে কাউকে সুনিপুণভাবে খুন করতে পারে না। তাই ইলহানকে মানসিকভাবে অসুস্থ প্রমাণ করতে চাওয়ার ব্যাপারটা নিতান্তই হাস্যকর।

শ্যানিনের রুম থেকে বেরিয়ে অরিন দোতলার ছাদে এসে দাঁড়ালো। এটুকু রাস্তা আসতেই তার প্রায় দশমিনিট লেগে গেল। পা চলছে না। সবকিছু কেমন যেনো লাগছে। এতো করুণ কাহিনী শোনার পর সে শ্যানিনকে একটা সান্ত্বনা বাক্য পর্যন্ত শোনাতে পারল না। তার নিজেরই এখন সবচেয়ে বেশি সান্ত্বনার প্রয়োজন! ছাদের এক কোণায় কারো কান্নার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। অরিন এগিয়ে দেখল মিহরীমা আর সুমনা চেয়ারে বসে আছে। সুমনা কাঁদছে আর মিহরীমা দেখছে। অরিনের নিজেকে সামলাতে সময় লাগলো৷ বেশ কিছুক্ষণ অতিবাহিত হওয়ার পর অরিন হঠাৎ ঢোক গিলে জিজ্ঞেস করল,” সুমনা কি হয়েছে? কাঁদছো কেন?”
সুমনা জবাব দিল না। মিহরীমা বলল,” ভাইয়া সুমু আপুকে ধমক দিয়েছে।”
অরিন উৎকণ্ঠা প্রকাশ করল,” ভাইয়া মানে? অর্ণভ ভাইয়া?”
মিহরীমা হ্যাঁসূচক মাথা নাড়ল। অরিন আবার জিজ্ঞেস করল,” কেনো?”
মিহরীমা মিনমিন করে বলল,” তোমার জন্যই তো..”
” আমার জন্য মানে?”
” তোমাকে ইলহান ভাইয়ার ফাঁসির ব্যাপারে সুমনা আপু বলেছিল তাই..”
সাথে সাথে সুমনা মিহরীমাকে চুপ করিয়ে দিল। তারপর ধরে নিচে নিয়ে গেল। অরিন দাঁড়িয়ে রইল একলা। তার শাড়ির আঁচল, চুলের গোছা, ক্লান্ত দুপুরের আবছা বাতাসে উড়তে লাগল। নিচে তাকাতেই অরিন দেখল ইলহান আর সাদিকাকে। দুজন একটা সাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। হয়তো কোথাও যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে। সাদিকাকে দাঁড় করানো হয়েছে সাইকেলের উপর। সে সাইকেলের উপর দাঁড়িয়ে ইলহানের অগোছালো চুলগুলো ঠিক করে দিচ্ছে। দু’জনের মুখভর্তি হাসি। সাদিকা হাসছে খিলখিল করে। পেটে হাত দিয়ে। মেয়েটাকে এতো সুন্দর দেখাচ্ছে কেনো? ইলহানের হাসিটা অন্যরকম। এখন তার হাসির ধরণেও অনেক পরিবর্তন এসেছে। ওহ, অরিন তো ভুলেই গেছিল। ইলহানের বয়স এখন ত্রিশের কাছাকাছি। পাঁচবছর আগে সে পঁচিশ বছরের ছন্নছাড়া, বেপরোয়া, চরিত্রহীন এক নিকৃষ্ট যুবক ছিল। যেই যুবকের আচরণ ছিল টিনেজারদের মতো। আর এখন সে ফাঁসির আসামী। তবুও তার ব্যক্তিত্বের ধারে অরিনের বিক্ষিপ্ত মন কেটে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র হয়ে যাচ্ছে। অরিন নিচে নেমে আসলো। যেই জায়গায় সাদিকা আর ইলহান দাঁড়িয়ে ছিল ঠিক সেই জায়গায়। সাদিকা অরিনকে হঠাৎ দেখে সাইকেল থেকে নেমে দৌড়ে আসলো। অরিন সাথে সাথে মেয়েকে কোলে নিয়ে গালে একটা চুমু দিল। ইলহান একটিবারের জন্যও ফিরে দেখল না। সাদিকা দৌড়ে আসার সময় বলেছিল,” মাম্মাম এসেছে!” সুতরাং ইলহান জানে অরিন এসেছে। এজন্যই তাকাচ্ছে না। সাদিকা বলল,” জানো মাম্মাম, আমি আর ইলু পাহাড়ে বেড়াতে যাচ্ছি।”
” ইলু মানে?”
” মানে ইলহান। এতোবড় নাম আমার বলতে কষ্ট হয় না? তাই শুধু ইলু বলে ডাকি।”
” ছিঃ মা, বড়দের নাম ধরে ডাকতে হয় না। তুমি ইলু আঙ্কেল বলে ডাকতে পারো।”
” মাম্মাম তুমি কি আমাদের সাথে যাবে?”
অরিন হকচকিয়ে ইলহানের দিকে তাকালো। সাদিকা কোল থেকে নেমে দৌড়ে ইলহানের কাছে গিয়ে বলল,
” ইলু, ইলু, মাম্মামও যাবে প্লিজ।”
ইলহান সাদিকাকে কোলে নিয়ে সাইকেলের উপর রেখে বলল,” মাম্মাম যাবে না।”
এই প্রথম ইলহানের কণ্ঠস্বর শুনলো অরিন। এতো শীতল কেনো লাগছে? কেমন যেনো.. শুনলেই বুকে ধাক্কার মতো লাগে। সাদিকা মনখারাপ করে বলল,” কেনো যাবে না মাম্মাম?”
অরিন হঠাৎ বলে উঠলো,” আমিও যেতে চাই।”
ইলহান চমক লাগা দৃষ্টিতে অরিনের দিকে এমনভাবে তাকালো যে অরিন লজ্জা পেল কিছুটা। সাদিকা খুশিতে দুইহাতে তালি বাজিয়ে লাফাতে লাগল,” ইয়ে,ইয়ে, মাম্মাম যাবে, ইলু যাবে। আমরা সবাই মিলে যাবো।”
ইলহান একদৃষ্টে তাকিয়েই রইল অরিনের দিকে। দুচোখ ভর্তি বিস্ময় নিয়ে। অরিন সেই দৃষ্টিকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে সাইকেলের পেছনে উঠে বসলো। সাদিকা বলল,” আমি সামনে বসবো। আর ইলু মাঝখানে। মাম্মাম, তুমি পেছন থেকে ইলুকে ধরে রেখো। সামনে থেকে আমি ধরে রাখবো। নাহলে কিন্তু আমরা দু’জনেই পড়ে যাবো। জানো মাম্মাম, পাহাড়ের রাস্তা অনেক যিগয্যাগ(আঁকাবাঁকা)। ”
অরিন আড়চোখে ইলহানের দিকে তাকালো।

চলবে

– Sidratul Muntaz

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here